ইসরায়েলের নতুন বসতি আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ : যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নতুন ইসরায়েলি বসতি অবৈধ এবং কার্যকরভাবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের একটি নীতির বিপরীত।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৩,৩০০টিরও বেশি নতুন ইসরায়েলি বসতি নির্মাণের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা হতাশাজনক।’

আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এটি ডেমোক্র্যাটিক এবং রিপাবলিকান উভয় প্রশাসনের একটি দীর্ঘস্থায়ী নীতি ছিল যে, নতুন বসতি স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য বিপরীতমুখী পদক্ষেপ। এটি আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গেও অসঙ্গতিপূর্ণ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রশাসন বসতি সম্প্রসারণের দৃঢ় বিরোধিতা করে। আমাদের বিচারে এটি ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করে না, বরং আরও বেশি দুর্বল করে।’

এদিকে, বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের অধিকাংশই এই বসতিগুলোকে অবৈধ এবং ইসরায়েলি দখলদারিত্বের সম্প্রসারণ হিসেবে দেখছে।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ব্লিঙ্কেনের অবস্থান বিভিন্ন রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটিক প্রশাসনের ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

অধিকৃত পশ্চিম তীরে হাজার হাজার নতুন বসতি স্থাপনকারী বাড়ি নির্মাণের সর্বশেষ ইসরায়েলি পরিকল্পনার নিন্দা করেছে জার্মানি।

বার্লিনে একটি সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র ক্যাথরিন ডেসচওয়ার বলেছেন, ‘আপনি জনবসতি নির্মাণের ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান জানেন। এটি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।’

   

ভারতে একসাথে জন্ম নিল ৫ কন্যাশিশু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরে একসাথে ৫ কন্যাশিশুর জন্ম দিয়েছেন তাহেরা বেগম নামে এক নারী। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় (নরমাল ডেলিভারি) সন্তানদের জন্ম দিয়েছেন ওই নারী।

পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সোমবার (৬ মে) ভোর ৫টার সময় ইসলামপুরের আমবাগান এলাকায় এক বেসরকারি নার্সিং হোমে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন ওই প্রসূতি। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাভাবিকভাবে পাঁচ কন্যাশিশুর জন্ম দেন তিনি।

জানা গেছে, বিহারের ঠাকুরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা জাভেদ আলম। তার স্ত্রী তাহেরা বেগম। গর্ভধারণের দুই মাস পর আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে চিকিৎসক ফারজানা নুরি ওই প্রসূতিকে জানান, তার গর্ভে পাঁচটি শিশু সন্তান রয়েছে।

সাধারণভাবে দেখা যায়, গর্ভে ২টি সন্তান থাকলেই কোনও না কোনও সমস্যা হয় প্রসূতির। এক্ষেত্রে তেমন কোনও সমস্যাও হয়নি। প্রসূতি তাহেরা বেগম বলেন, ‘আগে থেকেই জানতাম। পাঁচ মেয়ে হয়েছে। আমি খুশি।’

চিকিৎসক ফারজানা নুরি বলেন, প্রসব যন্ত্রণা নিয়েই প্রসূতি এসেছিলেন। প্রসূতি সিজারের জন্য তৈরি ছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। তাই নরমাল ডেলিভারিই হয়েছে। সব বাচ্চা সুস্থ রয়েছে। আমারও চিকিৎসক জীবনে এটাই প্রথমবার ৫ সন্তান একসঙ্গে দেখলাম। কোনও জটিলতা ছিল না। পাঁচ বাচ্চা হওয়ায় কম ওজন হয়েছে তাদের। সবচেয়ে বেশি ওজন হয়েছে সাড়ে সাতশো গ্রাম। সাত মাসের মাথায় ডেলিভারি হয়েছে।

শিশুদের দাদা জাইদুর রহমান বলেন, ৫টি কন্যাশিশুর জন্ম হয়েছে। আজই ভর্তি হয়েছিল। শুনে খুব খুশি।

;

হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সেনা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েল-গাজার মধ্যবর্তী কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিংয়ে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। এতে ইসরায়েলের তিন সৈন্য নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

সোমবার (৬ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার ভেতর থেকে হামাসের রকেট হামলার পর ইসরাইল গাজায় কেরাম শালোম ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে। 

এ হামলায় তিন সৈন্য নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। 

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড বলেছে, তারা কেরেম শালোম ক্রসিংয়ে হামলা চালিয়েছে এবং স্বল্পপাল্লার রকেট দিয়ে তারা ইসরায়েলি সৈন্যদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, কেরেম শালোম থেকে প্রায় ৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার (২ দশমিক ২ মাইল) দক্ষিণে গাজার রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছে একটি এলাকা থেকে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

বাহিনীটি আরও বলেছে, একটি বেসামরিক আশ্রয়কেন্দ্রের প্রায় ৩৫০ মিটার দূরে অবস্থিত একটি স্থাপনা থেকে এসব রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে পরে তারা লঞ্চার এবং কাছাকাছি একটি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে।

;

৬.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্দোনেশিয়ার ওয়েস্ট পাপুয়া অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.২। 

স্থানীয় সময় রোববার (৫ মে) এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। 

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ায় অনুভূত ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.২।

তবে শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের আঘাতের জেরে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পশ্চিম পাপুয়ায় ফাকফাক এলাকার ১৫৩ কিলোমিটার (৯৫ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে। ভূপৃষ্ঠের ১২.১ কিলোমিটার গভীরে।

এর আগে, গত মাসের শেষের দিকে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ইন্দোনেশিয়া। সমুদ্রের নিচে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের জেরে সেসময় অবশ্য বিশাল কোনও ঢেউ সৃষ্টি হয়নি এবং সুনামির সতর্কতাও জারি করা হয়নি।

সূত্র: আনাদুলু এজেন্সি

;

গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করলে হামাস ক্ষমতায় থেকে যাবে: নেতানিয়াহু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে টানা সাত মাস ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের নির্বিচারে এ গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও বিক্ষোভ জানিয়েছে বিশ্ববাসী।

এ পরিস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে বাড়ছে বৈশ্বিক চাপ। হামাসও বলেছে, সম্ভাব্য যেকোনও চুক্তির জন্য যুদ্ধের স্থায়ী অবসান নিশ্চিত করতে চায় তারা। তবে হামাসের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
সোমবার (৬ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় যদি এখন ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করে তাহলে হামাস ক্ষমতায় থেকে যাবে এবং তারা ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে থাকবে।

ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিতের জন্য যুদ্ধে সাময়িক বিরতি দিতে ইসরায়েল রাজি আছে বলে জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। হামাসের কাছে ১৩০ জনের বেশি ইসরায়েলি জিম্মি আছে বলে ধারণা করা হয়।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কিন্তু ইসরায়েল যখন আগ্রহ দেখাচ্ছে, তখন হামাস কট্টর অবস্থানে অনড় রয়েছে। তারা প্রথমেই গাজা থেকে আমাদের সব সেনা প্রত্যাহারসহ যুদ্ধের অবসান চায়। তারা (হামাস) নিজেদের ক্ষমতায় রাখতে চায়। ইসরায়েল তা মেনে নিতে পারে না।

তিনি বলেন, হামাস বারবার হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ ও অপহরণ করে নিজেদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে সক্ষম হবে।

এদিকে কায়রোতে হামাস নেতাদের মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সাথে যুদ্ধবিরতির আলোচনা রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে সেখানে কোনও আপাত অগ্রগতির খবর পাওয়া যায়নি। মূলত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি তার আগের দাবিতেই অনড় রয়েছে যে, যেকোনও চুক্তিতে গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

;