‘আমি মালালা নই, ভারতে আমি স্বাধীন ও নিরাপদ’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রিটিশ সংসদে সংকল্প দিবস উপলক্ষ্যে কাশ্মীর নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের ভূমিকন্যা ইয়ানা মীর। পেশাগতভাবে তার পরিচিতি ব্লগার ও সাংবাদিক হিসাবে। কাশ্মীরি অ্যাকটিভিস্ট হিসাবেও পরিচিতি রয়েছে তার।

কাশ্মীর সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইয়ানা তার সামনে নিয়ে এসেছেন পাকিস্তানকে। আর সেই সূত্র ধরেই তিনি টেনে আনেন নোবেল জয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের প্রসঙ্গ।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় মালালাকে গুলি করেছিল তালেবানরা। ২০১২ সালের সেই সহিংসতার প্রসঙ্গ তুলে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন ভারতের মেয়ে ইয়ানা মীর।

ব্রিটিশ সংসদ ভবনে দেওয়া ভাষণে ইয়ানা মীর বলেন, 'আমি মালালা ইউসুফজাই নই। কারণ, আমি কোনও দিনওই আমার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাব না।’

কাশ্মীরের এই কন্যা বলছেন, ‘আমি স্বাধীন, আমি নিরাপদ আমার দেশ ভারতে, আমার বাড়ি কাশ্মীরে, যা ভারতের অংশ।’

পাকিস্তানে মালালার ওপর নৃশংস হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘কিন্তু, আমি আপনার বিরোধিতা করি মালালা ইউসুফজাই, আমার দেশ, আমার প্রগতিশীল মাতৃভূমিকে নিপীড়িত বলে অপমান করার জন্য।’

ইয়ানা বলেন, ‘আমি সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিদেশি মিডিয়াতে এই ধরনের সমস্ত টুলকিট সদস্যদের সদস্যদের বিরোধিতা করি, যারা ভারতীয় কাশ্মীর পরিদর্শন না করেই সেখানকার নিপীড়নের গল্প তৈরি করেছেন।’

ভাষণে ইয়ানা মীর বলেন, ‘আমি আপনাদের সকলকে ধর্মের ভিত্তিতে ভারতীয়দের মেরুকরণ বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব, ইউকে আর পাকিস্তানে থাকা আমাদের বিরুদ্ধের কুচক্রীরা আমার দেশকে অপমান করা বন্ধ করবে।’

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম নারী ব্লগার এই ইয়ানা মীর। তিনি পিতৃহারা এবং তথ্য বলছে তিনি কাশ্মীরের শ্রীনগরের বাসিন্দা। তিনি ডাইভারসিটি অ্যাম্বাসাডর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ির পাশে বিমান বিধ্বস্ত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্ত

ছবি: যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের উটাহতে বাড়ির পাশে একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি দুই ইঞ্জিনের পিএ-৩৪ মডেলের একটি ছোট বিমান।

গত বুধবার (২৪ জুলাই) স্থানীয় সময় দুপুর ৩টা ৫৫ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। বিমান বিধ্বস্তের সময় বাড়ির ভেতর মানুষ ছিলেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজে বিমান দুর্ঘটনার বিষয়টি ধরা পড়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, বিমানটি ঘাসযুক্ত জমিতে আছড়ে পড়ছে এবং বাড়িটির গাড়ির গ্যারেজের খুব কাছাকাছি পর্যন্ত চলে এসেছে। ওই সময় আশপাশের প্রতিবেশীরা বিমানে থাকা ব্যক্তি ও ওই বাড়ির মানুষদের সহায়তার জন্য দ্রুত এগিয়ে আসেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যখন বিমানটি বিধ্বস্ত হয় তখন এটির ভেতর শুধুমাত্র দুইজন ব্যক্তি ছিলেন। তবে বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়লেও তারা খুব বেশি আহতও হননি। এখনো চিকিৎসাধীন থাকায় তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু বিমান বিধ্বস্ত হয়ে একটি বাড়ি ও কয়েকটি গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমানের যাত্রী ছাড়া আর কেউ এ ঘটনায় আহত হননি।

;

পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ শহরের শীর্ষ দশে ঢাকা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোনো দেশ ভ্রমণ করার আগে দেশটির নিরাপত্তার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়ে থাকে। নিরাপত্তাজনিত সমস্যা থাকলে সে দেশটিতে মানুষ ভ্রমণে অনাগ্রহ দেখায়। প্রখ্যাত সাময়িকী ফোর্বসের এক গবেষণায় বিশ্বে পর্যটকদের জন্য যেসব শহর ঝুঁকিপূর্ণ, তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।

ফোর্বস অ্যাডভাইজরের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ শহরের শীর্ষে রয়েছে ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাস। আর ঢাকার অবস্থান ৬ নম্বরে।

বিশ্বের মোট ৬০টি শহরের মধ্যে পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ও নিরাপদ শহরের তালিকা করেছে ফোর্বস অ্যাডভাইজর। সাতটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনা করে বিশ্বের ৬০টি শহর নিয়ে এ তালিকা তৈরি করেছে ফোর্বস। সেখানে রয়েছে অপরাধ, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ডিজিটাল নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলো।

ফোর্বস অ্যাডভাইজরের তথ্যানুসারে, ১০০ স্কোরের মধ্যে ঢাকার স্কোর ৮৯ দশমিক ৫০। ফোর্বসের প্রতিবেদন মতে, ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় প্রথমে আছে ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাস। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে যথাক্রমে পাকিস্তানের করাচি ও মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন।

ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় শীর্ষদশে থাকা অন্য শহরগুলো হলো—চতুর্থ নাইজেরিয়ার রাজধানী লাগোস, পঞ্চম ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা, সপ্তম কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটা, অষ্টম মিসরের রাজধানী কায়রো, নবম মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি এবং দশম ইকুয়েডরের রাজধানী কিটো।

এদিকে শূন্য স্কোর নিয়ে নিরাপদ শহরের তালিকায় এক নম্বরে আছে সিঙ্গাপুর। এর পরের শহরগুলো হলো যথাক্রমে—জাপানের রাজধানী টোকিও, কানাডার টরোন্টো, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, সুইজারল্যান্ডের জুরিখ, ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল, জাপানের আরেক শহর ওসাকা, অস্ট্রেলিয়ার আরেক শহর মেলবোর্ন ও নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডাম।

;

মোদির ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত নীতীশ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বৈঠকে শনিবার যোগ দেননি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। প্রশাসন সূত্রে এনডিটিভি জানিয়েছে, বিহারের দুই উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধরি এবং বিজয়কুমার সিংহকে দিল্লির ওই বৈঠকে পাঠিয়েছেন জেডিইউ (জনতা দল ইউনাইটেড) নেতা নীতীশ। এএনআই জানিয়েছে, বিহারের ওই দুই উপমুখ্যমন্ত্রীই বিজেপির।

বিশ্লেষকদের মতে, কেন নীতি মোদির বৈঠকে যোগ দিলেন না নীতীশ, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে, তার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এর আগেও নীতি আয়োগের বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছেন নীতীশ।

শনিবার (২৭ জুলাই) রাষ্ট্রপতি ভবনে বসে নীতি আয়োগের বৈঠক। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সাত মুখ্যমন্ত্রী সেই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের শরিক হয়েও তাতে যোগ দেননি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ। এটা নিয়ে তাই উঠেছে প্রশ্ন।

যদিও জেডিইউয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবারই প্রথম নয়, এর আগেও নীতি আয়োগের বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছেন নীতীশ।

জেডিইউ মুখপাত্র নীরজ কুমার পিটিআইকে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নীতি আয়োগের বৈঠকে অনুপস্থিতি এবারই প্রথম না। এর আগেও নীতি আয়োগের বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছেন নীতীশ। তখন বিহারের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রীরা। এবার রাজ্যের দুজন উপমুখ্যমন্ত্রীই বৈঠকে যোগ দিতে গেছেন।’

নীরজ আরো বলেন, ‘নীতি আয়োগের সদস্য চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিহারের। তারাও এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।

নীতি আয়োগের চেয়ারম্যান হলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদি। দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লেফ্‌টেন্যান্ট গভর্নর, কয়েক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এর সদস্য।

এ বারের বৈঠকে মূল ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ নিয়েই আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। বিরোধী জোটের সাত মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেননি বৈঠকে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে যোগ দিলেও বৈঠকের মাঝপথেই ওয়াক আউট করে বেরিয়ে আসেন।

তার অভিযোগ, তাকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। প্রতিবাদে তিনি বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।

;

প্যারাগ্লাইডারে রুশ পাইলটের সফলভাবে উত্তর মেরু অভিযান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্যারাগ্লাইডারে রুশ পাইলটের সফলভাবে উত্তর মেরু অভিযান

প্যারাগ্লাইডারে রুশ পাইলটের সফলভাবে উত্তর মেরু অভিযান

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বে প্রথমবারের মতো সফলভাবে উত্তর মেরু অভিযান সম্পন্ন করেছেন দুইজন রুশ পাইপট। ফিওদর কোনিউকভ এবং ইগোর পতাপকিন সম্প্রতি একটি দুই আসন বিশিষ্ট মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডারে ফ্রাঞ্জ জোসেফ ল্যান্ড থেকে উড্ডয়ন করে তারা উত্তর মেরুতে পৌঁছান।

উত্তর মেরুতে অবতরণের পর পাইলটদ্বয় স্যাটেলাইট ফোনের সাহায্যে তাদের সফল অভিযান সম্পর্কে নিয়ন্ত্রণ কক্ষকে অবহিত করে এবং সেখানে তারা সাময়িক ক্যাম্প স্থাপন করেন। পুরো সময় ধরে অভিযাত্রীরা স্যাটেলাইটের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন। তাদের সাথে থাকা বয়াগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়মিত তাদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পাঠাতে থাকে।

Caption

রসাটমের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এটমফ্লোটের আইসব্রেকার বিজয়ের পঞ্চাশ বছর-এ করে পাইলটদ্বয়কে তাদের যাত্রার স্টার্টিং পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়াও প্যারাগ্লাইডারের জন্য উচ্চ প্রযুক্তি সামগ্রী সরবরাহ করে রসাটম। প্যারাগ্লাইডারের জন্য বিশেষ ফেয়ারিং প্রযুক্তি তৈরি করে সেন্ট পিটার্সবার্গ পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির এডভান্সড ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল ‘ডিজিটাল ইঞ্জিনিয়ারিং’। ফেয়ারিং তৈরিতে কার্বন এবং গ্লাস ফাইবার ভিত্তিক ফেব্রিক ব্যবহার করা হয়। এর ফলে প্যালাগ্লাইডারের ফ্লাইট রেঞ্জ ৯০০ কিলোমিটার থেকে বেড়ে ১২০০ থেকে ১৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

রেকর্ড সৃষ্টিকারী এই ফ্লাইটটি উত্তর মেরুর ২৬৭- ৮৩৫ মিটার উচ্চতায় পরিচালিত হয় এবং মোট ৪৪০ কিলোমিটার অতিক্রম করে। এতে সময় লাগে ১০ ঘণ্টা ১৩ মিনিট। প্যারাগ্লাইডারটির গড় গতি ছিল ঘণ্টায় ৪৭ কিলোমিটার।

ফিওদর কোনিউকভ রসাটমের প্রযুক্তিগত সহায়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, রসাটম বিশেষজ্ঞদের তৈরি কম্পোজিট আমাদের সফলতার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছে। আজকে রাশিয়ার কম্পোজিট শিল্পের জন্য একটি রেকর্ড স্থাপিত হয়েছে। কারণ, প্যারাগ্লাইডারে ব্যবহৃত কার্বন ও গ্লাস ফাইবার উত্তর মেরুর কঠিন পরিবেশের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

অনবোর্ড স্যাটেলাইট ট্র্যাকারের সকল ডেটা বিশ্লেষণের পর মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডারে প্রথম সফল উত্তর মেরু অভিযান সংক্রান্ত রেকর্ড সৃষ্টির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।

;