লটারির নম্বর ‘ভুল’ দাবি করে পুরস্কার দেওয়ায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা
![জন চিকস পুরস্কার দাবী করতে গিয়ে শোনেন, তার লটারির নাম্বার ভুলে প্রকাশ করা হয়েছিল](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Feb/22/1708606708984.jpg)
জন চিকস পুরস্কার দাবী করতে গিয়ে শোনেন, তার লটারির নাম্বার ভুলে প্রকাশ করা হয়েছিল
পাওয়ার বলের লটারি কিনেছেন এক ব্যক্তি। এক বছর পর, লটারির বিজয়ীর নাম্বার প্রকাশ করা হয়েছে। নাম্বার মিলিয়ে দেখলেন সৌভাগ্য সঙ্গ দিয়েছে। তার লটারির নাম্বারটিই স্ক্রিনে ভাসছে! খুশির আনন্দে তিনিও যেন বাতাসে ভাসতে শুরু করলেন। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হলো না। পুরস্কার গ্রহণ করতে গিয়ে যেন আকাশ থেকে সোজা মাটিতেই মুখ থুবড়ে পড়লেন। ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
জনপ্রিয় কোম্পানি পাওয়ার বলের নামে মামলা করেছে জন চিকস নামের মার্কিন নাগরিক। ৩৪০ মিলিয়ন ইউএস ডলারের জন্য একটি লটারির টিকিট কেটেছিলেন জন। বিজয়ীর টিকিট নাম্বার প্রকাশ হওয়ার পর তিনি দেখতে পান হুবহু তার টিকিটের নাম্বারটি স্ক্রিনে রয়েছে। সাথে তার পারিবারিক সকল তথ্যও উল্লেখ করা ছিল সেখানে।
চিকস তখন চিৎকার বা লাফলাফি করেননি। সরাসরি তার পুরানো এক কাছের বন্ধুকে কল করেন জন। তার বন্ধু সাথে পরামর্শ দেয় স্ক্রিনের নাম্বারটির ছবি তুলে রাখার। বন্ধুর কথা মতো তাই করেন তিনি।
এরপর টিকিট নিয়ে পুরস্কারের টাকা তুলতে ওয়াসিংটন ডিসিতে যান জন। তবে তখন পাওয়ার বল কর্তৃপক্ষ পুরস্কারের টাকা দিতে অস্বীকার করে।
তাদের দাবী, ডিসি অফিস থেকে ভুলক্রমে জন চিকসের নাম্বারটি প্রকাশ করা হয়েছে। টেলিভিশনে প্রদর্শিত নাম্বার এবং অনলাইনে জন চিকসের দেখা নাম্বার ভিন্ন। অনলাইনে ভুলে প্রকাশ করা নাম্বারটি পরিবর্তন করা হয়নি। ৩ দিন অবধি ওয়েবসাইটে সেই নাম্বারটিই প্রকাশ করা ছিল।
তাছাড়া লটারির নাম্বার প্রকাশ করার একদিন আগে ওয়েবসাইটে নাম্বারটি প্রকাশ করা হয়েছিল। তাই নিঃসন্দেহে সেটি ভুল নাম্বার। তাছাড়া, লটারি টিকিটের গায়ে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, ওয়েবসাইটের প্রকাশ করা সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নয়।
তবে, এই ঘটনাকে প্রতারণা হিসেবে দেখছেন জন চিকস। আইনি সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আইনজীবী রিচার্ড ইভানসের কাছে যান তিনি। রিচার্ড বলেন, শুধু লটারির টিকিটের নাম্বার ভুল হওয়ার ব্যাপার নয়, এটি পাওয়ার বল কোম্পানির প্রতি বিশ্বস্ততার প্রশ্ন তোলে। এই কোম্পানির নির্ভরশীলতা প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কারণ টিকিটের নাম্বারে ভুল হওয়া এই প্রথম বার নয়। আগে বড় কোম্পানিগুলো ভুল নাম্বার প্রকাশ করার পর ক্ষতিপূরণ দিয়েছে।
চিকসের দাবী তার ক্ষতিপূরণ চাই। সে একজন গ্রাহক এবং অন্য সবার মতো নিজের পকেটের টাকা খরচ করে টিকিট কিনেছে। ভুল করে হলেও সে তো জিতেছে! সেই হিসেবে পুরস্কার তো তার প্রাপ্য।
তথ্যসূত্র: এনপিআর নিউজ