প্লেনে সবুজ জ্বালানির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করছে সিঙ্গাপুর, বাড়বে খরচ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষে সিঙ্গাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া সব উড়োজাহাজে পর্যায়ক্রমে পরিবেশবান্ধব সবুজ জ্বালানি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার। এতে ব্যয় বাড়বে যাত্রীদের।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সিঙ্গাপুরের পরিবহনমন্ত্রী চি হং তাত বলেছেন, ২০২৬ সাল থেকে এ নিয়ম কার্যকর হতে পারে। বৈশ্বিক উড়োজাহাজশিল্প পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে যেভাবে ফিরে যাচ্ছে, তাতে তাল মেলাতেই নগররাষ্ট্রটির এ পরিকল্পনা।

সিঙ্গাপুরে উড়োজাহাজ প্রদর্শনীকে সামনে রেখে আয়োজিত চেঙ্গি এভিয়েশন সম্মেলনে চি হং তাত এসএএফের কিছুটা হলেও ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। পরিবহনমন্ত্রী বলেন, তার দেশের লক্ষ্য হলো, ২০২৬ সাল থেকে উড়োজাহাজগুলোয় প্রচলিত জ্বালানির পাশাপাশি ১ শতাংশ হারে এসএএফের ব্যবহার করা। আর ২০৩০ সালে তা বাড়িয়ে ৩ থেকে ৫ শতাংশ করা।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর সিঙ্গাপুরের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএএস) পরিকল্পনাটি তৈরি করেছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, বেসামরিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে কার্বন নিঃসরণ বন্ধের জন্য এসএএফ জ্বালানি ব্যবহার করা জরুরি। এতে কার্বন নিঃসরণ প্রায় ৬৫ শতাংশ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ২০৫০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণের হার শূন্যে নামিয়ে আনার ক্ষেত্রে জরুরি।

সিনথেটিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কিংবা জৈব উপকরণ থেকে তৈরি করা যায় এসএএফ। বর্তমানে উড়োজাহাজের জ্বালানির বাজারে এসএএফের উপস্থিতি আছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। তবে বেসামরিক উড়োজাহাজশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০৫০ সাল নাগাদ এ হার ৬৫ শতাংশে উন্নীত হবে। কারণ, ওই সময়ের মধ্যে উড়োজাহাজ চলাচল খাতে কার্বন নিঃসরণের হার শূন্যে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা আছে।

তবে তাদের উৎপাদিত জ্বালানি বিক্রি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে এসএএফ- এরই। কারণ উড়োজাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো বলছে, ন্যায্য দামে বিক্রি হওয়ার মতো যথেষ্ট পরিমাণে জ্বালানি সরবরাহ নেই।

বর্তমানে প্রচলিত জেট জ্বালানির চেয়ে এসএএফের দাম পাঁচ গুণ বেশি। এতে করে ব্যয় বেড়ে যাবে উড়োজাহাজ যাত্রীদেরও। তবে খরচ যেন না বাড়ে, তা নিশ্চিত করতে এসএএফ কেনার ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সিঙ্গাপুরের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।

   

যুক্তরাষ্ট্রে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান ঘিরে রণক্ষেত্র হতে পারে ক্যাম্পাসগুলো



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। গত শনিবার (৪ মে) ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও অন্তত ২৫ ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ক্যাম্পাসগুলো থেকে আড়াই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হলো। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানের সময় ঘনিয়ে আসছে।

আগামী দিনগুলোয় স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। গত ১৭ এপ্রিল থেকে চলছে এই বিক্ষোভ। শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ দমনে শুরু থেকেই পুলিশ অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করে এসেছে।

এভাবে বিক্ষোভ দমন ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অধিকারকর্মীরা। শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বিক্ষোভে উত্তাল চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি সপ্তাহের শেষে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি মাসে অথবা আগামী জুনে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে বাধা দিতে পারেন বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা। এ কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার উদ্যোগ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা হুমকি দিয়েছেন, তাদের দাবি মানা না হলে এসব আয়োজন বর্জন ও অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে আসাসহ বিকল্প কর্মসূচি নিয়ে ভাবছেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে এসব অনুষ্ঠান বাতিল করেছে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। কোনো কোনোটি পিছিয়ে দিচ্ছে।

গত শনিবার সকাল পর্যন্ত ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চলছিল। ওই সময় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ক্যাম্পাসের লন থেকে কয়েক বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীকে আটক করছে।

এ ছাড়া বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করছে। এর পরই বিক্ষোভ একরকম দাঙ্গায় রূপ নেয়।

এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট জিম রায়ান বলেন, গত শুক্রবার রাতে বিক্ষোভকারীরা তাঁবু গেড়ে বিক্ষোভ করবে-এমন খবরে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশকে জানালে বিক্ষোভকারীদের আটক করা হয়। তবে আটকদের মধ্যে ঠিক কতজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তা স্পষ্ট নয়।

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানস্থলে মঞ্চের সামনে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনপন্থিরা। তবে এই বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ। ক্যাম্পাস পুলিশ দ্রুত বিক্ষোভকারীদের ঘিরে ফেলে স্টেডিয়ামের পেছনের অংশে নিয়ে যায়। তবে পতাকা, কাফিয়াহ এবং গ্র্যাজুয়েশন ক্যাপ পরে কয়েক ডজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্নাতক অনুষ্ঠান পণ্ড করেন।

এর এক দিন পর গতকাল রোববার নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি এবং ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সমাপনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও সূচনা অনুষ্ঠান ব্যাহত হয়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও এই বিক্ষোভ এখন নতুন নতুন দেশে ছড়িয়েছে। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভে নেমেছেন ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, ভারত, লেবানন, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও মেক্সিকোর শিক্ষার্থীরা।

;

ব্রুনাইয়ের আদালতে বাংলাদেশীকে ৫১ লাখ টাকা জরিমানা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধ সিগারেট চোরাচালানের অপরাধে এক বাংলাদেশী অভিবাসীকে ৬২ হাজার ব্রুনাই ডলার বা প্রায় ৫১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ব্রুনাইয়ের আদালত।

৬৩ কার্টন সিগারেট চোরাচালানের অভিযোগে গত শুক্রবার (৩ মে) এই রায় দিয়েছেন আদালত।

নির্বাহী বিচারক আজিম বিন ওসমান এই জরিমানা করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

অনাদায়ে বাংলাদেশি নাগরিক হাদিউল ইসলামকে (৪৩) ১৬ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

কাস্টমস প্রসিকিউটর আদালতে প্রকাশ করেন যে, আসামীর কাছ থেকে ৬৩ কার্টন চোরাচালান করা সিগারেট, একটি মোবাইল ফোন, ২ হাজার ২৪৩ ব্রুনাই ডলার এবং ৫৩ সিঙ্গাপুর ডলার নগদ পাওয়া গেছে।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টায় কাম্পং পাঞ্চোর মেংকুবাউ এলাকায় দেশটির কাস্টমস বিভাগের অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে হাদিউলের কোয়ার্টার থেকে এই চোরাচালানের সিগারেট উদ্ধার করা জয়।

আদালত মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন এবং সিগারেটগুলো ধ্বংসের আদেশ দিয়েছেন।

;

ইনস্টাগ্রামে ছবি দেখে অবস্থান শনাক্ত, আততায়ীর হাতে ইনফ্লুয়েন্সার খুন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ল্যান্ডি প্যারাগা গয়বুরোর

ল্যান্ডি প্যারাগা গয়বুরোর

  • Font increase
  • Font Decrease

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া একটি ছবিই কাল হয়ে দাঁড়াল ইকুয়েডরের বিখ্যাত ইনফ্লুয়েন্সার ল্যান্ডি প্যারাগা গয়বুরোর (২৩) জীবনে। পোস্ট দেওয়া ওই অবস্থানের সূত্র ধরেই তাকে খুন হতে হয় দুজন বন্দুকধারীর হাতে। ইনস্টাগ্রামে তার প্রায় পৌনে ২ লাখ অনুসারী। খবর এনডিটিভি। 

তার মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশ জানায়, খুন হওয়ার আগে ল্যান্ডি দুপুরের খাবারের জন্য একটি রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি ওই খাবারের ছবি পোস্ট করেন তার ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে। ওই ছবি দেখে ল্যান্ডির অবস্থান চিহ্নিত করেছিলেন খুনিরা। এরপর সেখানে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন করেন জনপ্রিয় এ ইনফ্লুয়েন্সারকে।

তারা আরও জানায়, ল্যান্ডিকে খুন করতে ওই রেস্তোরাঁয় দুজন বন্দুকধারী গিয়েছিলেন। তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পুরো ঘটনা সেখানে থাকা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।

ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, ল্যান্ডি ওই রেস্তোরাঁয় খাওয়ার সময় একজনের সাথে কথা বলছিলেন। হঠাৎ ওই স্থানে অজ্ঞাত দুই বন্দুকধারী প্রবেশ করে গুলি ছোড়েন।

এ ঘটনার পর মুহূর্তের মধ্যেই রেস্তোরাঁর পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়। দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা। গুলিবিদ্ধ হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন ল্যান্ডি। এরপর পালিয়ে যান বন্দুকধারীরা। দেখা যায়, সাবেক বিউটি কুইন (সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী) ল্যান্ডির রক্তাক্ত দেহ রেস্তোরাঁর ভেতর পড়ে আছে।

তদন্তকারীরা বলছে, তার খাবারের ছবির সূত্র ধরেই বন্দুকধারীরা রেস্তোরাঁয় পৌঁছায়। তারপর তারা সেখানে এসে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।

তবে এখন পর্যন্ত এই খুনের পিছনের কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি। এ নিয়ে কিছু গুঞ্জন ছড়িয়েছে। যেমন কেউ বলছেন, স্থানীয় একজন কুখ্যাত গ্যাং লিডারের সঙ্গে ল্যান্ডির সম্পর্ক ছিল। কেউ বলছেন, সংগঠিত অপরাধে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের দুর্নীতিসংশ্লিষ্ট একটি তদন্তের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ায় খুন হতে হয়েছে তাকে।

এমন গুঞ্জনও রয়েছে যে একজন মাদক সম্রাটের সঙ্গে ল্যান্ডির সম্পর্ক ছিল। তাই ওই ব্যবসায়ীর বিধবা স্ত্রী ল্যান্ডিকে খুন করিয়ে থাকতে পারেন।

;

লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় এক পরিবারের ৪ সদস্য নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত ঘেষা মেইস আল জাবালে গ্রামে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে এক পরিবারের চার সদস্য নিহত হয়েছেন।

রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হামলায় ওই চার লেবানিজ নিহত হয়েছেন বলে দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সূত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল এবং ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গ্রুপের মধ্যে নিয়মিত গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটছে। এতে মেই আল জাবালের গ্রামসে বাসিন্দারা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

এদিকে এক বিবৃতিতে, হিজবুল্লাহ জানায়, তারা প্রতিশোধ হিসেবে লেবাননের সীমান্তের নিকটবর্তী ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কিরিয়াত শমোনা শহরে দশটি কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করেছে।

অক্টোবর থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে পাল্টাপাল্টি বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণ চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনী। তবে উভয়পক্ষ সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়ানো থেকে বিরত রয়েছে।

অক্টোবর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ২৫০ জনেরও বেশি হিজবুল্লাহ সদস্য এবং ৭৫ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলের একাধিক সূত্র বলেছে, লেবানন থেকে ছোড়া হিজবুল্লাহর রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলি অন্তত এক ডজন সৈন্য নিহত ও বেশ কয়েকজন বেসামরিক আহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে ইসরায়েলের এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ২৫২ জন হামাসের হাতে জিম্মি রয়েছেন বলেও জানায় ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ।

;