৬ কোটি মানুষের থাই ভাষা কিভাবে শক্তিশালী!



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সাউথ-ইস্ট এশিয়া, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পারিবারিক ও পেশাগত কারণে আমি এখন থাইল্যান্ডে অভিবাসী। থাইল্যান্ডে, বিশেষত ব্যাংককে থাকার সুবিধা হচ্ছে এখানে দেশ থেকে আসা মানুষের দেখা পাওয়া যায় নিয়মিত। থাইল্যান্ড যেহেতু বাংলাদেশিদের জন্য শ্রম বাজার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত না, ফলে কাছের দেশ হলেও অভিবাসী বাংলাদেশিদের সংখ্যা কম। বরং পর্যটকের সংখ্যাই বেশি।

থাইল্যান্ডে বেড়াতে আসা অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, এদের ইংরেজি জ্ঞানের খুব অভাব রয়েছে। তবে ভাষার এই সমস্যা থাকলেও পুরো থাইল্যান্ড আপনি চষে বেড়াতে পারবেন। এখানকার মানুষ বিদেশিতে এতোটাই অভ্যস্ত যে আকার ইঙ্গিতে মনের ভাব কোথাও আটকে থাকবে না। হয়তো কখনো আমাদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটতে পারে।

পশ্চিমাদের প্রতি থাইল্যান্ডের মানুষের দুর্বলতা রয়েছে। এশিয়ার এই দেশটি কখনো সরাসরি কারো উপনিবেশ ছিলো না। বরং থাইল্যান্ডকে উন্মুক্ত বাজার করে দিয়েছিলেন এখানকার রাজারা, যখন কিনা ইউরোপের শিল্প বিপ্লব ঘটে। থাইল্যান্ডের মানুষ যে ইংরেজিতে দুর্বল এতে তারা গর্ববোধও করেন।

থাইরা জাতি হিসেবে একটু লাজুক প্রকৃতির। তবে বলে রাখি বেড়াতে আসলে সুকুমভিত বা পাতায়ার ওয়াকিং স্ট্রিটে যে থাইল্যান্ডকে দেখা যায়, গভীরে প্রবেশ করলে ততোটাই রক্ষণশীলতার দেখা মিলবে। ভিনদেশিদের সহজে নিজেদের আঙিনায় ঢুকতে দিবে না। লজ্জা দুর্বলতাটা এখানে ইংরেজির ব্যবহারে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় অনেক সময়। এখানকার স্নাতক পাশ করা শিক্ষার্থীদের সকলেরই ইংরেজি কোর্স রয়েছে। তাই চলার মতো ইংরেজি তাদের বলতে পারার কথা। কিন্তু ইংরেজি বলতে 'ভুল হবে' এই ভেবে লজ্জায় ভোগেন তারা। তাই না বলাটাকেই উপযোগী মনে করেন তারা।

তবে আমার দেখা দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের মধ্যে নিজের ভাষা নিয়ে যে হীনমন্যতা, সেটা ঔপনিবেশিক দাসত্বের চূড়ান্ত রূপ। একটা দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করি। থাইল্যান্ডে পর্যটক এলাকাগুলো ছাড়ালে ইংরেজি বলা মানুষ পাওয়া দুষ্কর হবে। আমার যখন সন্তান হয়, তখন থাইল্যান্ডের একটি বিভাগীয় শহরের হাসপাতালে পরিচালক থেকে শুরু করে কাউকে পাইনি যারা ইংরেজিতে যোগাযোগ করতে পারে। তবে গুগল ট্রান্সলেটে যোগাযোগ বন্ধ হয়নি।

এই যে ভিনদেশী ভাষাকে এতো ভাল রপ্ত না করার ফল কি জানেন?

অ্যাপল থেকে শুরু করে সব ব্র্যান্ডের ডিভাইসে থাই বর্ণমালা রয়েছে। হলিউডের যে কোন সিনেমা যেমন আমাদের দেশে প্রথম দিনেই মুক্তি পায়, সেটা থাইল্যান্ডে মুক্তি পায় এক সপ্তাহ পর। কারণ একটা ভার্সন বের হয় থাই ডাবিংসহ, আরেকটা ভার্সন থাই সাবটাইটেলসহ। নেটফ্লিক্সে সাবটাইটেলের তালিকায় থাই ভাষা রয়েছে। ডাবও রয়েছে।

ফলে থিয়েটারে ইংরেজভাষী বাঙালির মতো না বুঝে হাসতে বা মুখ চাওয়া হতে হয় না। দুনিয়াজুড়ে থাই ভাষাভাষী জনসংখ্যা কম বেশি ৬ কোটি। আমাদের অর্ধেকেরও কম। কিন্তু এই ভাষাভাষী মানুষের চিকিৎসা বা প্রকৌশলের মতো উচ্চশিক্ষার বইগুলো সব থাই ভাষায়। পশ্চিমের বড় লেখকের বই ইংরেজির পাশাপাশি থাই ভাষায় অনুবাদ হয়ে আসে মার্কেটে।

আমার স্ত্রী এবং থাই বন্ধুদের কখনো দেখিনি অফিসের ইমেইল ইংরেজিতে লিখতে। অথচ আমরা বাংলাদেশে পাশের সহকর্মীকেও ইংরেজিতে ইমেইল করি। যে ইমেইলে কোন বিদেশি নাই, যে অনুষ্ঠানে কোন বিদেশি নাই, সেখানেও ইংরেজিতে উপস্থাপনা করি, কথা বলি। এতে বড় সমস্যা হচ্ছে, এর ফলে অনেক মানুষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেও আলোচনায় অংশ নিতে পারেন না। অথচ হয়তো তিনি অংশ নিতে পারলে তার কোন ভাবনাই নতুন কোন দিগন্তের উন্মোচন করতে পারতো।

আমাদের দেশে আপনি বাংলায় অফিসিয়াল ইমেইল লিখার কথা ভাবতে পারেন! ভিনদেশি ভাষা অতিরিক্ত গুণ, আবশ্যক কখনোই হতে পারে না। শুধুমাত্র আপনারা বাংলাকে আজ দ্বিতীয় স্তরের ভাষা ভাবাতে অনেক প্রতিভার বিকাশ হতে পারে না। যেমন ধরেন একজন যুবক খুব সৃষ্টিশীল, বাংলায় ভাল কবিতা লিখেন।

থাইল্যান্ডকে উদাহরণ হিসেবে বললাম, ছোটো একটা ভাষা গোষ্ঠী কিভাবে নিজ ভাষার প্রয়োজনীয়তা তৈরি করেছে।

আমার নিজের ইংরেজি ভাল না। একসময় খুব হীনমন্যতায় ভুগতাম বিদেশের মাটিতে। তবে একবার আমার এক আমেরিকান শিক্ষক বললেন, ইংরেজিতো তোমার মাতৃভাষা না। তোমাকে কেন সেটা শুদ্ধভাবে পারতে হবে! ভাষাটা বোঝাতে পারলেই হবে। আমি কি তোমার ভাষা দু বছর শিখলেও সঠিকভাবে বলতে পারবো? তাই জড়তা ঝেড়ে বলো।

আমরা যতই ইংরেজি বলি বা পাসপোর্ট পরিবর্তন করে খোলস পাল্টাতে চাই, আসলে আমাদের চামড়া কিন্তু সেটা বদলাতে দিবে না। কারণ চামড়া আর ভাষা, দুটোই আমাদের জাতের প্রকাশ। তাই এই খোলস না পাল্টে আমাদের ভাষা তার প্রয়োজনীয়তা দুনিয়াজুড়ে তৈরি করতে কেন ব্যর্থ হচ্ছে সেটা খুঁজে বের করি। অথচ বাংলা পৃথিবীর প্রায় ৩০ কোটি মানুষের মুখের ভাষা। দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ব্যবহার করেন প্রায় সাড়ে ৩ কোটি মানুষ।

তাই ভাষার প্রয়োজনীয়তা তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে থাই ল্যাঙ্গুয়েজ লার্নিং সেন্টারগুলোতে বিদেশিদের ভিড়। এর বড় কারণ এরা থাই অর্থনীতির অংশ হতে চায় অথবা এখানে বিনিয়োগ করতে চান। ফলে ভাষা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। থাই অর্থনীতির অংশ হওয়া মানে এখানে বাজার রয়েছে যেখানে পণ্য বেচাকেনা সম্ভব। আর বাজারে থাই ভাষাভাষী মানুষেরও প্রাধান্য রয়েছে। যে কারণে সব টেক ডিভাইসে থাই ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে।

ভাষার চর্চার সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক যেমন রয়েছে তেমনি ভাষার চর্চাটাও করে যেতে হয়। বাংলা ভাষায় নতুন শব্দ তেমন খুঁজে পাবো না আমরা। কারণ ভাষা নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কাজ হয়না। তবে থাইল্যান্ডে উড়োজাহাজ, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, চেয়ার, টেবিল, মিস কল, কল, এই ধরনের সকল শব্দের থাই শব্দ রয়েছে।

ভাষার জন্য জীবন দেওয়া একটি জাতি, নাম বাঙালি। বাংলাদেশে, আসামে বাংলা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছি আমরা। অথচ গত প্রায় ৭৫ বছরেও নিজেদের ভাষাকে ব্যবহারের মাধ্যমে সম্মানিত করতে পারিনি, তৈরি করতে পারিনি ভাষার প্রয়োজনীয়তা।

   

ইসরায়েলে কার্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্তে আলজাজিরার নিন্দা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেমে অবস্থিত আল-জাজিরার কার্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্তে নিন্দা জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক।

এর আগে রোববার (৫ মে) নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি দাবি করে মন্ত্রিসভায় গাজা যুদ্ধ চলা অবস্থায় বিদেশি গণমাধ্যম সাময়িকভাবে বন্ধ করার বিষয়ে আইন পাস করে ইসরায়েল। এই আইনের ভিত্তিতে রোববার আল-জাজিরার স্থানীয় কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় নেতানিয়াহু প্রশাসন।

মূলত ইসরায়েলের সংসদে পাস হওয়া ওই আইনকে উদ্দেশ্য করে নিন্দা জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক ওই টেলিভিশন চ্যানেল।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, আল-জাজিরা কর্তৃপক্ষের দাবি মুক্ত গণমাধ্যম দমনে আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। এতে কঠিন নিন্দা জানিয়েছে ওই টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ‘ক্রিমিনাল অ্যাক্টের’ যে অভিযোগ উত্থাপন করেছে তেল আবিব তা ভিত্তিহীন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মনে করছে আলজাজিরা।

রোববার কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, তথ্য সম্প্রচারের প্রাধমিক যে অধিকার রয়েছে সে হিসেবেও ইসরায়েলের এমন সিদ্ধান্ত নিন্দনীয়। আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক দর্শক এবং পাঠকদের জন্য নিয়মিত খবর সংগ্রহ করবো ও তা তাদের জন্য সম্প্রচার করবো।

গণমাধ্যমের ওপর ইসরায়েলের এসব দমন পীড়ন গাজা উপত্যকায় তাদের নৃশংসতা গোপন করার নীতি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। এর মাধ্যমে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক এবং মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করছে বলেও অভিযোগ তাদের।

;

ভারতে একসাথে জন্ম নিল ৫ কন্যাশিশু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরে একসাথে ৫ কন্যাশিশুর জন্ম দিয়েছেন তাহেরা বেগম নামে এক নারী। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় (নরমাল ডেলিভারি) সন্তানদের জন্ম দিয়েছেন ওই নারী।

পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সোমবার (৬ মে) ভোর ৫টার সময় ইসলামপুরের আমবাগান এলাকায় এক বেসরকারি নার্সিং হোমে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন ওই প্রসূতি। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাভাবিকভাবে পাঁচ কন্যাশিশুর জন্ম দেন তিনি।

জানা গেছে, বিহারের ঠাকুরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা জাভেদ আলম। তার স্ত্রী তাহেরা বেগম। গর্ভধারণের দুই মাস পর আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে চিকিৎসক ফারজানা নুরি ওই প্রসূতিকে জানান, তার গর্ভে পাঁচটি শিশু সন্তান রয়েছে।

সাধারণভাবে দেখা যায়, গর্ভে ২টি সন্তান থাকলেই কোনও না কোনও সমস্যা হয় প্রসূতির। এক্ষেত্রে তেমন কোনও সমস্যাও হয়নি। প্রসূতি তাহেরা বেগম বলেন, ‘আগে থেকেই জানতাম। পাঁচ মেয়ে হয়েছে। আমি খুশি।’

চিকিৎসক ফারজানা নুরি বলেন, প্রসব যন্ত্রণা নিয়েই প্রসূতি এসেছিলেন। প্রসূতি সিজারের জন্য তৈরি ছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। তাই নরমাল ডেলিভারিই হয়েছে। সব বাচ্চা সুস্থ রয়েছে। আমারও চিকিৎসক জীবনে এটাই প্রথমবার ৫ সন্তান একসঙ্গে দেখলাম। কোনও জটিলতা ছিল না। পাঁচ বাচ্চা হওয়ায় কম ওজন হয়েছে তাদের। সবচেয়ে বেশি ওজন হয়েছে সাড়ে সাতশো গ্রাম। সাত মাসের মাথায় ডেলিভারি হয়েছে।

শিশুদের দাদা জাইদুর রহমান বলেন, ৫টি কন্যাশিশুর জন্ম হয়েছে। আজই ভর্তি হয়েছিল। শুনে খুব খুশি।

;

হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সেনা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েল-গাজার মধ্যবর্তী কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিংয়ে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। এতে ইসরায়েলের তিন সৈন্য নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

সোমবার (৬ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার ভেতর থেকে হামাসের রকেট হামলার পর ইসরাইল গাজায় কেরাম শালোম ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে। 

এ হামলায় তিন সৈন্য নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। 

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড বলেছে, তারা কেরেম শালোম ক্রসিংয়ে হামলা চালিয়েছে এবং স্বল্পপাল্লার রকেট দিয়ে তারা ইসরায়েলি সৈন্যদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, কেরেম শালোম থেকে প্রায় ৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার (২ দশমিক ২ মাইল) দক্ষিণে গাজার রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছে একটি এলাকা থেকে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

বাহিনীটি আরও বলেছে, একটি বেসামরিক আশ্রয়কেন্দ্রের প্রায় ৩৫০ মিটার দূরে অবস্থিত একটি স্থাপনা থেকে এসব রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে পরে তারা লঞ্চার এবং কাছাকাছি একটি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে।

;

৬.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্দোনেশিয়ার ওয়েস্ট পাপুয়া অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.২। 

স্থানীয় সময় রোববার (৫ মে) এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। 

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ায় অনুভূত ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.২।

তবে শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের আঘাতের জেরে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পশ্চিম পাপুয়ায় ফাকফাক এলাকার ১৫৩ কিলোমিটার (৯৫ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে। ভূপৃষ্ঠের ১২.১ কিলোমিটার গভীরে।

এর আগে, গত মাসের শেষের দিকে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ইন্দোনেশিয়া। সমুদ্রের নিচে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের জেরে সেসময় অবশ্য বিশাল কোনও ঢেউ সৃষ্টি হয়নি এবং সুনামির সতর্কতাও জারি করা হয়নি।

সূত্র: আনাদুলু এজেন্সি

;