লড়াইয়ে টিকতে না পেরে আভদিভকা ছাড়ল ইউক্রেনের সেনারা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রুশ বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর আভদিভকা থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে ইউক্রেন।

ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক কর্নেল জেনারেল ওলেকজান্দর সিরস্কি জানিয়েছেন, তিনি দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শহর আভদিভকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, কয়েক মাস ধরে অবরুদ্ধ আভদিভকায় ব্যাপক লড়াই চলছে। কিন্তু রাশিয়ার আক্রমণের বিপরীতে সেনা ও গোলাবারুদের সংকটে ইউক্রেন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর তথ্য অনুসারে, আভদিভকায় রাশিয়ার প্রায় ১৫ হাজার সেনা আছে। বিপরীতে ইউক্রেনের সেনা আছে ২ হাজারের কিছু বেশি। অর্থাৎ শহরটিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনার অনুপাত ৭:১।

কিয়েভের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এল, যখন রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের দুই বছর শেষ হতে যাচ্ছে। এর আগে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে একটি তথাকথিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ নামে আক্রমণ শুরু করে। এছাড়া, আর মাত্র মাসখানেক পরেই রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করা এক পোস্টে সিরস্কি বলেন, তিনি মূলত অবশিষ্ট সেনাদের প্রাণ রক্ষা ও রুশ বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার হাত থেকে বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, আভদিভকার আশপাশের যুদ্ধ পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে সৈন্যদের প্রাণ রক্ষার্থে আমাদের ইউনিটগুলোকে শহর থেকে প্রত্যাহার করে আরও অনুকূল সীমান্তে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আভদিভকা রাশিয়ান দখলকৃত শহর দোনেৎস্কের একটি প্রবেশদ্বার।

   

যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়ে তাদের কাছে থাকা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে হাজার হাজার ইসরায়েলের নাগরিক।

শনিবার (০৪ মে) যখন মিশরের কায়রোতে হামাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা চলছিল তখন বিক্ষোভে নামে ইসরায়েলিরা। 

বার্তাসংস্থা  রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের দাবি হামাসের কাছে জিম্মি থাকা ১৩০ জনকে ফিরিয়ে আনতে এজন্য ইসরায়েলকে সম্ভব্য সবকিছুই করতে হবে। 

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নাতালি এলদোর বলেন, ‘চুক্তির সমর্থনে আমি এখানে এসেছি। আমরা চাই সকল জিম্মি ফিরে আসুক। যারা বেঁচে আছে তাদের সহ যারা মারা গেছে তাদেরও ফিরিয়ে আনা হোক। আমাদেরকে সরকার পরিবর্তন করতে হবে। আমরা তার শেষ চাই। 

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে ১২০০ ইসরায়েরি নিহত হয়। জিম্মি করে নেওয়া হয় ২৫৩ জনকে। 

এ ঘটনার পর গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

এদিকে নেতানিয়াহু সরকার বলছে, হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। তবে জিম্মিদের কারণে এ যুদ্ধ এগিয়ে নেয়া কঠিন হয়েছে পড়েছে। কারণ জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির দিকে হাঁটতে হচ্ছে। 

অন্যদিকে নেতানিয়াহু সরকারকে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে না যেতে চাপ দিচ্ছে দেশটির ন্যাশনালিস্ট রিলিজিয়াস পার্টি। একই সঙ্গে তারা দক্ষিণ গাজার শহর রাফাতে অভিযানের কথা বলছে। 

;

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলায় ৫ ফিলিস্তিনি নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১২ ঘণ্টার অবরোধের সময় একটি ভবনে ৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেড তাদের তুলকারেম প্রধান আলা আদিবসহ তিন যোদ্ধার মৃত্যুর খবর দিয়েছে।

বার্তাসংস্থা এএফপির একজন ফটোগ্রাফার তুলকারেমের শহরের উত্তরে দেইর আল-ঘুসুন গ্রামে সেনা মোতায়েন দেখেছেন।

ফটোগ্রাফার জানান, সৈন্যরা একটি ভবন সমতল করার জন্য বুলডোজার মোতায়েন করেছিল এবং ধ্বংসস্তুপ থেকে অন্তত একটি মৃতদেহ বের করেছিল।

সেনাবাহিনী এবং শিন বেট নিরাপত্তা পরিষেবা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী ‘তুলকারেম এলাকায় ১২ ঘন্টার ব্যাপক দমন অভিযানে নিযুক্ত ছিল।’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, সৈন্যরা ‘প্রতিরোধ সেলকে ধ্বংস’ করার জন্য গ্রামে প্রবেশ করার পরে তারা গুলি চালায় এবং কাঁধ থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য অস্ত্র’ দিয়ে ‘প্রতিশোধ’ নিয়েছিল।

সেনারা বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলতে যাওয়ার আগে একটি সেনা ড্রোন ভবনটিতে দু’বার আঘাত হেনেছিল।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাঁচজন প্রতিরোধ যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে এবং যুদ্ধাস্ত্র জব্দ করার মধ্য দিয়ে সংঘর্ষ শেষ হয়েছে। অভিযানে ইসরায়েলের সীমান্ত পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একজন সদস্য আহত হয়েছেন।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৬৫৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।

;

ওআইসি সম্মেলনে ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি’ নিয়ে ইরানের বার্তা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান বিক্ষোভ গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলেছে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান।

শনিবার (৪ মে) গাম্বিয়ার বানজুলে ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেন, এই সম্মেলনে ইসলামিক দেশগুলোতে টেকসই উন্নয়ন এবং গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দিকে বিশেষ মনোনিবেশ করেছে। ফিলিস্তিনিদের অধিকার পূরণ, গাজায় যুদ্ধ ও গণহত্যা বন্ধের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উচিত গাজাবাসীদের জন্য মানবিক সাহায্য পাঠানো এবং তাদের বসবাসের জায়গায় যাতে কেউ দখল করতে না পারে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান আঞ্চলিক সংকট সমাধানে সহায়তার জন্য সবার মধ্যে সমন্বয়ের জন্য বানজুলে বেশ কয়েকটি চুক্তি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের এই নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা সারা দেশে এবং অন্যান্য দেশেরও বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে।

;

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ আটক ৩০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ায় আবাসিক ভবনে অভিযান চালিয়ে ৩০ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির পাহাং অভিবাসন বিভাগ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাহাং রাজ্যের কুয়ান্তান এবং মারান জেলার আশেপাশের আবাসিক ভবনে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

শনিবার (৪ মে) পাহাং অভিবাসন বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযানে প্রথমে ৫৫ জন বিদেশিকে তল্লাশি করে ২২ থেকে ৫১ বছর বয়সি ৩০ জনকে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর অধীনে বিভিন্ন অপরাধের জন্য আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে অনুমোদিত সময়ের বেশি দেশটিতে অবস্থান করেছে অনেকে।

আটককৃতদের মধ্যে ১০ বাংলাদেশি ছাড়াও ইন্দোনেশীয় ১০, থাইল্যান্ডের ৭, মিয়ানমারের ২ এবং একজন কম্বোডিয়ার নাগরিক রয়েছেন। আটক অভিবাসীদের পরিচয় প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।

অধিকতর তদন্তের জন্য কেমায়ান ইমিগ্রেশন ডিপোতে সকল বন্দীকে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর ৫১(৫) (বি) ধারায় ১৪ দিনের রিমান্ডে রাখা হয়েছে। এছাড়া অবৈধ অভিবাসীদের বাড়ি ভাড়া দেয়ায় বাড়ির মালিকদেরও সন্ধান করছে বিভাগটি।

;