আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুতে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কারাগারে বন্দি রাশিয়ার বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুতে রাশিয়াসহ বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে।

নাভালনির মৃত্যুতে তার ডেপুটি ইভান ঝদানভ এক্স-এ বলেছেন, নাভালনির আত্মীয়দের ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার মৃত্যুর বিষয়ে অবহিত করা উচিত ছিল, কিন্তু সেই সিয়ম মেনে কোনও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি।

রাশিয়ান সংবাদপত্র সম্পাদক এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী দিমিত্রি মুরাতোভ রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলার সময় নাভালনির মৃত্যুকে ‘হত্যা’ বলে অভিহিত করে বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, কারাগারের পরিস্থিতি নাভালনির মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।

বর্তমানে মিউনিখে অবস্থানরত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘প্রথমে আমাদের হৃদয় তার স্ত্রী এবং তার পরিবারের প্রতি ব্যথিত। রাশিয়ার কারাগারে নাভালনির মৃত্যু রাশিয়ার শাসন ব্যবস্থার পচনকে নির্দেশ করে। পুতিন যে ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন, তার জন্য সামগ্রিকভাবে দায়ী মস্কো। আমরা আলেক্সি নাভালনি সম্পর্কে উদ্বিগ্ন অন্যান্য দেশের সাথে কথা বলব।’

হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জ্যাক সুলিভান এনপিআরে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘যদি নাভালনির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়, তবে এটি একটি ভয়ানক ট্র্যাজেডি।।’

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বারবক বলেছেন, ‘আলেক্সি নাভালনি ছিলেন একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক রাশিয়ার প্রতীক। ঠিক এই কারণেই তাকে মৃত্যুবরণ করতে হলো। নাভালনি একটি গণতান্ত্রিক রাশিয়ার জন্য লড়াই করেছিলেন। এর জন্য পুতিন তাকে নির্যাতন করে হত্যা করেছেন।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ‘এটি একটি ভয়ঙ্কর খবর। রাশিয়ার গণতন্ত্রের প্রহরী হিসাবে নাভালনি তার সারাজীবন অবিশ্বাস্য সাহস প্রদর্শন করেছেন।’

ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফেন সেজর্ন বলেছেন, ‘অ্যালেক্সি নাভালনি একটি নিপীড়নের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের মূল্য তার জীবন দিয়ে প্রদান করেছেন। শাস্তিমূলক উপনিবেশে তার মৃত্যু আমাদের ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনের বাস্তবতার কথা মনে করিয়ে দেয়। তার পরিবার, তার প্রিয়জন এবং রাশিয়ার জনগণের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে ফ্রান্স।’

সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন বলেছেন, ‘আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুর খবর ভয়ঙ্কর। নাভালনির বেঁচে থাকার জন্য রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন ব্যক্তিগতভাবে দায়ী।’

ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল বলেন, ‘আলেক্সি নাভালনি স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মূল্যবোধের জন্য লড়াই করেছেন। তার আদর্শের জন্য তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য একমাত্র রাশিয়া সরকারকে দায়ী করছে।’

ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন তার শোকবার্তায় বলেছেন, ‘অ্যালেক্সি নাভালনির মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও ব্যথিত। পুতিন তার নিজের জনগণের থেকে ভিন্নমত ছাড়া অন্য কিছুকে ভয় পান না। পুতিন এবং তার শাসনামল কী তা নিয়ে একটি ভয়াবহ অনুস্মারক। আসুন স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আমাদের লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হই।’

ন্যাটো সেক্রেটারি-জেনারেল জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ‘ভালনির মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে দুঃখিত ও বিচলিত। রাশিয়াকে তার মৃত্যু সম্পর্কে সমস্ত গুরুতর প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।’

   

আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহু সরকারের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলে কাতারভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে।

রোববার (৫ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, কাতারভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল জাজিরার সম্প্রচার কার্যক্রম ইসরায়েলে বন্ধ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমার নেতৃত্বাধীন সরকার সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে: ইসরায়েলে উসকানিমূলক চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধ করা হবে।

;

‘রাফাহ হামলা’ না চালানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চায় হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের রাফাহ অঞ্চলে চলমান স্থল হামলা বন্ধ এবং ফের হামলা না চালানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চেয়েছে হামাস। 

হামাসের জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র ওসামা হামদান বলেন, যেকোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হতে হলে ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহ এলাকায় স্থল হামলা চালাবে না-যুক্তরাষ্ট্রকে এমন নিশ্চয়তা দিতে হবে। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আল জাজিরাকে তিনি বলেন, আমরা এখন যে মূল বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলছি তা হলো- গাজায় সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে নেতানিয়াহু তার এক বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, কোনো যুদ্ধবিরতি হোক বা না হোক, তিনি রাফাহর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাবেন। যার অর্থ কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না।

হামদান আরও বলেন, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে আমাদের বোঝাপড়ার অর্থ হচ্ছে রাফাহসহ গাজার কোথাও আর কোনো হামলা হবে না।

উল্লেখ্য, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় সাত মাসের বোমা হামলায় ৩৪ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজার ২২ লাখ মানুষের অর্ধেক অনাহারের দ্বারপ্রান্তে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের আশঙ্কা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে।

;

যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়ে তাদের কাছে থাকা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে হাজার হাজার ইসরায়েলের নাগরিক।

শনিবার (০৪ মে) যখন মিশরের কায়রোতে হামাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা চলছিল তখন বিক্ষোভে নামে ইসরায়েলিরা। 

বার্তাসংস্থা  রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের দাবি হামাসের কাছে জিম্মি থাকা ১৩০ জনকে ফিরিয়ে আনতে এজন্য ইসরায়েলকে সম্ভব্য সবকিছুই করতে হবে। 

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নাতালি এলদোর বলেন, ‘চুক্তির সমর্থনে আমি এখানে এসেছি। আমরা চাই সকল জিম্মি ফিরে আসুক। যারা বেঁচে আছে তাদের সহ যারা মারা গেছে তাদেরও ফিরিয়ে আনা হোক। আমাদেরকে সরকার পরিবর্তন করতে হবে। আমরা তার শেষ চাই। 

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে ১২০০ ইসরায়েরি নিহত হয়। জিম্মি করে নেওয়া হয় ২৫৩ জনকে। 

এ ঘটনার পর গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

এদিকে নেতানিয়াহু সরকার বলছে, হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। তবে জিম্মিদের কারণে এ যুদ্ধ এগিয়ে নেয়া কঠিন হয়েছে পড়েছে। কারণ জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির দিকে হাঁটতে হচ্ছে। 

অন্যদিকে নেতানিয়াহু সরকারকে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে না যেতে চাপ দিচ্ছে দেশটির ন্যাশনালিস্ট রিলিজিয়াস পার্টি। একই সঙ্গে তারা দক্ষিণ গাজার শহর রাফাতে অভিযানের কথা বলছে। 

;

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলায় ৫ ফিলিস্তিনি নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১২ ঘণ্টার অবরোধের সময় একটি ভবনে ৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেড তাদের তুলকারেম প্রধান আলা আদিবসহ তিন যোদ্ধার মৃত্যুর খবর দিয়েছে।

বার্তাসংস্থা এএফপির একজন ফটোগ্রাফার তুলকারেমের শহরের উত্তরে দেইর আল-ঘুসুন গ্রামে সেনা মোতায়েন দেখেছেন।

ফটোগ্রাফার জানান, সৈন্যরা একটি ভবন সমতল করার জন্য বুলডোজার মোতায়েন করেছিল এবং ধ্বংসস্তুপ থেকে অন্তত একটি মৃতদেহ বের করেছিল।

সেনাবাহিনী এবং শিন বেট নিরাপত্তা পরিষেবা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী ‘তুলকারেম এলাকায় ১২ ঘন্টার ব্যাপক দমন অভিযানে নিযুক্ত ছিল।’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, সৈন্যরা ‘প্রতিরোধ সেলকে ধ্বংস’ করার জন্য গ্রামে প্রবেশ করার পরে তারা গুলি চালায় এবং কাঁধ থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য অস্ত্র’ দিয়ে ‘প্রতিশোধ’ নিয়েছিল।

সেনারা বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলতে যাওয়ার আগে একটি সেনা ড্রোন ভবনটিতে দু’বার আঘাত হেনেছিল।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাঁচজন প্রতিরোধ যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে এবং যুদ্ধাস্ত্র জব্দ করার মধ্য দিয়ে সংঘর্ষ শেষ হয়েছে। অভিযানে ইসরায়েলের সীমান্ত পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একজন সদস্য আহত হয়েছেন।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৬৫৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।

;