মিয়ানমারের মিনবায়া শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাখাইন প্রদেশের মিনবায়া টাউনশিপের বাইরে অবস্থিত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুটি ব্যাটালিয়নের সদর দফতর দখল করেছে আরাকান আর্মি। এরপর শহরটি থেকে সেনাদের তাড়িয়ে দিয়ে তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে।

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী গণমাধ্যম দ্য ইরাবতীর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।  

জাতিগত রাখাইনদের দ্বারা গঠিত আরাকান আর্মি জানিয়েছে, মিনবায়া শহরের বাইরে অবস্থিত সামরিক জান্তার ৩৭৯ লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন এবং ৫৪১ লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন সদর দফতর তারা দখল করেছে। শহরটির নিয়ন্ত্রণ পেতে টানা প্রায় এক মাস আক্রমণ চালানোর পর মঙ্গলবার এই সাফল্য পায় আরাকান আর্মি।  

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, শক্তিশালী সামরিক ঘাঁটি দুটি দখলের সময় জান্তার পক্ষে লড়া কয়েক ডজন সেনা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা আরাকান আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি মিনবায়ার বাইরে অবস্থিত ৩৮০ লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের সদর দফতর দখল করে নেয় আরাকান বিদ্রোহীরা। এসময় যুদ্ধবিমান ও গানবোট থেকে গোলাবর্ষণ করেও বিদ্রোহীদের দমাতে পারেনি সরকারি বাহিনী।  

জানুয়ারি মাসে, বার্জে করে (এক ধরনের নৌযান) মিনবায়ায় বিপুল সংখ্যক বাড়তি সেনাশক্তি মোতায়েন করে জান্তা সরকার। কিন্তু, তাঁদের প্রায় প্রত্যককেই চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে পরাজিত করে আরাকান আর্মি। জানুয়ারির শেষদিকে– মিনবায়ায় অবরুদ্ধ সেনাদের জন্য অস্ত্র ও খাদ্য রসদ প্যারাশুটের মাধ্যমে বিমান থেকে ফেলা হয়। কিন্তু, সেগুলো আরাকান আর্মিই জব্দ করে নেয়।

মিনবায়ার সামরিক ঘাঁটিগুলোকে রক্ষা করতে জান্তার অনুগত বাহিনী স্থল, সাগর ও আকাশপথেও মিনবায়া শহর ও তাঁর আশেপাশের গ্রামগুলোতে বোমাবর্ষণ করে। তবু শেষ রক্ষা করতে পারেনি।   

রাখাইনের গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ইরাবতী জানিয়েছে, মঙ্গলবার শেষপর্যন্ত জান্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়েছে মিনবায়া। 

আরাকান আর্মি আরও জানিয়েছে, টানা তিনদিন আক্রমণের পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মংড়ু টাউনশিপের আওতাধীন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি)-র একটি শক্ত অবস্থান তাদের যোদ্ধারা দখল করেছে। 

গত রোববার তুয়াং পায়ো লেফট ও রাইট এ দুই ঘাঁটিতে একযোগে হামলা চালায় আরাকান আর্মি। এরমধ্যে ওইদিনই তাঁরা তুয়াং পায়ো রাইট ঘাঁটি দখলে নেয়। এসময় প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে কয়েক ডজন জান্তা সেনা।  

এরপর থেকে তুয়াং পায়ো লেফট ঘাঁটি দখলে নিতেও তাঁরা হামলা করছিল। তীব্র আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে এপর্যন্ত মিয়ানমারের ৩২৮ জন বিজিপি, কাস্টমস কর্মকর্তা ও সেনা সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। 

রাখাইনের ম্রাউক ঊ, কিয়াকতাও, রামরি, আন ও মায়েবিন টাউনশিপের আওতাধীন এলাকাতেও জান্তা বাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির প্রচণ্ড যুদ্ধ চলার সংবাদ জানা গেছে। গত ১০ দিনে উত্তর রাখাইনের আরও দুটি জান্তা সেনাদের ঘাঁটি দখল করেছে আরাকান আর্মি।  

মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের সদস্য সংগঠন আরাকান আর্মি। গত ২৭ অক্টোবর থেকে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে জান্তা-বিরোধী 'অপারেশন ১০২৭' শুরু করে। এই অভিযানে ২০টি শহর ও গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথসহ শান রাজ্যের বেশিরভাগটাই দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। 

তবে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে চীনের মধ্যস্ততায় জান্তা সরকারের সাথে এক যুদ্ধবিরতি করার পর তারা এই রাজ্যে অভিযান পরিচালনা বন্ধ রাখে। কিন্তু, গত ১৩ নভেম্বর থেকে আরাকান আর্মি রাখাইন প্রদেশ ও চিন প্রদেশের পালেতোয়া টাউনশিপ এলাকায় বৃহৎ পরিসরে আক্রমণ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। 

এই অভিযানে তারা জান্তা বাহিনীর ১৭০টি অবস্থান ও তিনটি শহর দখল করেছে। এগুলো হলো– রাখাইনের মিনবায়া ও পুয়াকতাও, এবং চিন প্রদেশের পালেতোয়া টাউনশিপ। 

   

ভারতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে মেঘালয়ের পূর্বাঞ্চলে পশ্চিম খাসি হিলস জেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে হত্যার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজ বাড়িতে থাকার সময় দুই ব্যক্তি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওই কিশোরীর। দুজন প্রথম ছুরি দিয়ে হামলা চালায়। পরে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে চিৎকার দেয়। তার চিৎকারে আশপাশের বাড়ি থেকে অনেকে এসে দুজনকে আটক করেন।

এরপর প্রায় দেড় হাজার গ্রামবাসী মিলে দুজনকে একটি কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে বেঁধে ফেলে। শুরু হয় নির্যাতন। এর মধ্যেই খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশ। তাদের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটও ছিল। 

দুজনকে তাদের হেফাজতে দেওয়ার জন্য বলা হলেও এলাকাবাসী রাজি হয়নি। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই আরও পিটুনিতে গুরুতর আহত হয় দুজন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মেঘালয় মনিটর বলছে, তাদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে দুজনেই মারা যায়। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ দুজন ওই গ্রামে শ্রমিকের কাজ করতেন।

;

আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহু সরকারের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলে কাতারভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছেন।

রোববার (৫ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, কাতারভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল জাজিরার সম্প্রচার কার্যক্রম ইসরায়েলে বন্ধ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমার নেতৃত্বাধীন সরকার সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে: ইসরায়েলে উসকানিমূলক চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধ করা হবে।

জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত বিদেশি সংবাদমাধ্যম নিষিদ্ধ করার জন্য ইসরায়েল সরকারকে ক্ষমতা দিয়ে একটি আইন পাসের এক মাস পর আলজাজিরার বন্ধের এই সিদ্ধান্ত আসল।

এর আগে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, আল–জাজিরার আঞ্চলিক কার্যালয় বন্ধে তিনি ‘দ্রুত ব্যবস্থা’ নেবেন।

অবরুদ্ধ ও নরকপুরীতে পরিণত হওয়া এ উপত্যকা থেকে হাতে গোনা যে কয়েকজন সাংবাদিক যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে পারছেন, আল–জাজিরার স্থানীয় কর্মীরা তাদের কয়েকজন।

;

‘রাফাহ হামলা’ না চালানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চায় হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের রাফাহ অঞ্চলে চলমান স্থল হামলা বন্ধ এবং ফের হামলা না চালানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চেয়েছে হামাস। 

হামাসের জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র ওসামা হামদান বলেন, যেকোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হতে হলে ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহ এলাকায় স্থল হামলা চালাবে না-যুক্তরাষ্ট্রকে এমন নিশ্চয়তা দিতে হবে। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আল জাজিরাকে তিনি বলেন, আমরা এখন যে মূল বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলছি তা হলো- গাজায় সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। দুর্ভাগ্যজনকভাবে নেতানিয়াহু তার এক বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলেছিলেন, কোনো যুদ্ধবিরতি হোক বা না হোক, তিনি রাফাহর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাবেন। যার অর্থ কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না।

হামদান আরও বলেন, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে আমাদের বোঝাপড়ার অর্থ হচ্ছে রাফাহসহ গাজার কোথাও আর কোনো হামলা হবে না।

উল্লেখ্য, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় সাত মাসের বোমা হামলায় ৩৪ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজার ২২ লাখ মানুষের অর্ধেক অনাহারের দ্বারপ্রান্তে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের আশঙ্কা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে।

;

যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়ে তাদের কাছে থাকা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে হাজার হাজার ইসরায়েলের নাগরিক।

শনিবার (০৪ মে) যখন মিশরের কায়রোতে হামাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা চলছিল তখন বিক্ষোভে নামে ইসরায়েলিরা। 

বার্তাসংস্থা  রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের দাবি হামাসের কাছে জিম্মি থাকা ১৩০ জনকে ফিরিয়ে আনতে এজন্য ইসরায়েলকে সম্ভব্য সবকিছুই করতে হবে। 

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নাতালি এলদোর বলেন, ‘চুক্তির সমর্থনে আমি এখানে এসেছি। আমরা চাই সকল জিম্মি ফিরে আসুক। যারা বেঁচে আছে তাদের সহ যারা মারা গেছে তাদেরও ফিরিয়ে আনা হোক। আমাদেরকে সরকার পরিবর্তন করতে হবে। আমরা তার শেষ চাই। 

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে ১২০০ ইসরায়েরি নিহত হয়। জিম্মি করে নেওয়া হয় ২৫৩ জনকে। 

এ ঘটনার পর গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

এদিকে নেতানিয়াহু সরকার বলছে, হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। তবে জিম্মিদের কারণে এ যুদ্ধ এগিয়ে নেয়া কঠিন হয়েছে পড়েছে। কারণ জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির দিকে হাঁটতে হচ্ছে। 

অন্যদিকে নেতানিয়াহু সরকারকে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে না যেতে চাপ দিচ্ছে দেশটির ন্যাশনালিস্ট রিলিজিয়াস পার্টি। একই সঙ্গে তারা দক্ষিণ গাজার শহর রাফাতে অভিযানের কথা বলছে। 

;