‘থাইল্যান্ডই প্রথম রাষ্ট্র যে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত পাঠিয়েছে’



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সাউথ-ইস্ট এশিয়া
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল হাই একজন অভিজ্ঞ কূটনীতিবিদ। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে দায়িত্ব পালন করছেন থাইল্যান্ডে। এর আগে ২০০৪ থেকে ২০০৭ সালেও এই দেশে নিযুক্ত ছিলেন কর্মকর্তা হিসেবে।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ব্যাংককের একটি হোটেলে বার্তা'র সঙ্গে থাইল্যান্ড-বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। আলোচনার প্রথম পর্বে উঠে এসেছে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক।

দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে রাষ্ট্রদূত আবদুল হাই বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের রাজনৈতিক দিক রয়েছে। এর অর্থনৈতিক দিক রয়েছে এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগের একটি দিকও রয়েছে, যা সাংস্কৃতিক পর্যায়ের।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ডই প্রথম রাষ্ট্র যে, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে এবং এই স্বীকৃতি প্রদানের সিদ্ধান্তটি তাদের কেবিনেটে উত্থাপন করে ১৯৭২ সালে আমাদের জানানো হয়। এরপর কূটনৈতিক নোট বিনিময় হয় ১৯৭২ সালের অক্টোবরে। এই নোট বিনিময় হয়, নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত থাই এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে। এরপর দীর্ঘ সময় এই দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছে।

তিনি বলেন, আরেকটা বিষয় আমরা হয়ত অনেকেই জানি না বা ভুলে যাই, সেটা হচ্ছে থাইল্যান্ডই প্রথম রাষ্ট্র যে, বঙ্গবন্ধুর খুনিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।

বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই যে, থাইল্যান্ডই প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীকে এই দেশ থেকে ফেরত পাঠিয়েছে। পরবর্তীতে ওই হত্যাকারীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে এবং এই অপরাধী ফেরত পাঠানো যে সম্ভব, সেটি থাইল্যান্ড সেটা দেখিয়ে দিয়েছে। তবে এখন আমরা অনেক দেশেই দেখতে পাচ্ছি, দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনার পরেও দণ্ডিত অপরাধীদের ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না।

ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে যখন বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজর বজলুল হুদাকে ফেরত পাঠানো হয় তখন এখানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা, আকরামুল কাদের। আমি যখন ১৯৯০ সালের দিকে মন্ত্রণালয়ে যোগদান করি স্যারের সঙ্গে আমার সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছিল।

বিষয়টা রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তখন থাইল্যান্ডের যিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তিনি ছিলেন একজন মানবাধিকারকর্মী, ড. সুরিন পেটসোয়ান। পরবর্তীতে তিনি আসিয়ানের মহাসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি নিজে যেহেতু মানবাধিকার নিয়ে সচেতন ছিলেন এবং চর্চা করতেন, তাই, তার পক্ষে সম্ভব হয়েছিল সবদিক বিবেচনায় নিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফেরত পাঠানো। যদিও থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি ছিল না তারপরও থাই কেবিনেট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। চুক্তি ছাড়াই রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে ফেরত পাঠিয়েছিল এবং দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল যে, চুক্তি থাকা বা না থাকার চেয়েও রাজনৈতিক সমঝোতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭২ সালে থাইল্যান্ড যখন বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে তখন তার ভিত্তি ছিল এই রাষ্ট্রটি (বাংলাদেশ) এশিয়ার পূর্বাংশে অবস্থিত এবং এদের সঙ্গে থাইদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে হবে।

এখন থাইল্যান্ড বছরে বাংলাদেশে দেড় বিলিয়ন ডলার রফতানি করে থাকে। আমরা এদিক থেকে একটু পিছিয়ে। আমাদের রফতানি ৬০ থেকে ৮০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে।

দুই দেশের মধ্যে যেসব পণ্য বিনিময় হয়, সেগুলোর উল্লেখ করেন তিনি। থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে প্লাস্টিক পণ্য, ফল, বিভিন্ন ধরনের বিয়ের সাজসরঞ্জাম, ফুল রফতানি করা হয়। এছাড়াও কিছু মেশিনারিজ যায় আর বাংলাদেশ থেকে ইদানিং তৈরি পোশাক আসছে। এছাড়াও পাটজাতপণ্য, কিছু মাছ আসে, যেগুলো আমাদের দেশের সামুদ্রিক মাছ কিন্তু আমরা খাই না। সেগুলো কিছু ব্যবসায়ী এদেশে নিয়ে আসেন। এখানে সেগুলো প্রসেস করে আবার বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হয়।

থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা বৃদ্ধির ক্ষেত্র তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত আব্দুল হাই বলেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা বৃদ্ধির আরো সুযোগ রয়েছে। এই দেশে আমি ২০০৪ থেকে ২০০৭ সালেও কাজ করেছি। সেই অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, তৎকালীন সময়ে থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

তিনি তখন লক্ষ করেন, পুরোনো ব্যবসায়ীরা তাদের নিয়মিত রফতানি বাজারের বাইরে যেতে চান না। তিনি তরুণ ব্যবসায়ী, যাদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছর, তাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বাজার বিস্তৃত করার অনুরোধ করেন। সেই সময়েই একটি বড় অংশ বাংলাদেশে তাদের ব্যবসাকে প্রসার করেন। একইভাবে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদেরও এখন এগিয়ে আসতে হবে। যারা ইউরোপ আমেরিকায় ক্রেতা পেয়েছেন, তারা হয়ত এখনি এখানে আসতে চাইবে না তবে এটাও মানতে হবে, নতুন দেশে ব্যবসা প্রসার করতে কিছুটা সময় লাগবে এবং কাজ করতে হবে অনেক।

বিশ্ববাজারের দুটি চরিত্রের কথা উল্লেখ করেন তিনি। একটি হচ্ছে, মার্কেটে এসে ফেরি করে পণ্য বিক্রি করা। আরেকটি হচ্ছে, ক্রেতা, মার্কেট খুঁজে আমার দেশে পণ্য কিনতে যাওয়া। আমরা দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ভালো করলেও এখনো ফেরি করে আমাদের পণ্যকে বাইরে নিয়ে যেতে পারিনি উল্লেখযোগ্যভাবে।

   

মারা গেছেন নোবেলজয়ী সাহিত্যিক এলিস মুনরো



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কথাসাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কানাডীয় লেখক এলিস মুনরো মারা গেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ মে) রাতে কানাডার অন্টারিওর পোর্ট হোপে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। খবর বিবিসির।

এলিস মুনরো দীর্ঘ ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছোট গল্প ও উপন্যাস লিখেছেন। তার সাহিত্যের প্রধান অনুষঙ্গ ছিল কানাডার গ্রামীণ জীবন। গভীরতম সাহিত্যবোধের কারণে তাকে কিংবদন্তী রুশ লেখক আন্তন চেখভের সঙ্গে তুলনা করা হয়। তিনি ২০১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জয় করেছিলেন। সে সময় পুরস্কারের ঘোষণায় মুনরোকে ‘সমকালীন ছোটগল্পের মাস্টার’ অভিহিত করেছিল নোবেল কমিটি। বলেছিল, ‘তিনি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে গল্প বলতে পারেন। তার গল্পের বিষয়বস্তু সুস্পষ্ট ও বাস্তববাদী।’

এলিস মুনরোর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তার প্রকাশক ও পেঙ্গুইন র‍্যান্ডম হাউস কানাডার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টিন কোচরান বলেন, ‘অন্টারিওর পোর্ট হোপে নিজ বাড়িতেই মারা গেছেন এলিস মুনরো। সারা বিশ্বে এই মহান লেখকের পাঠকেরা রয়েছেন। তিনি তার লেখায় গভীর জীবনবোধ ও মানবতা তুলে ধরার কারণে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়েছেন।’

১৯৩১ সালের ১০ জুলাই কানাডার অন্টারিও প্রদেশের উইংহ্যাম এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন মুনরো। তার বাবা ছিলেন খামার মালিক আর মা স্কুল শিক্ষক। মাত্র ১১ বছর বয়সেই মুনরো লেখক হওয়ার সিন্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। আর সেভাবেই এগিয়েছেন তিনি। তিনি লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্নে বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।

১৯৬৮ সালে প্রথম ছোটগল্প সংকলন প্রকাশের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন এলিস মুনরো। তার ছোটগল্প ‘ডান্স অব দ্য হ্যাপি শেড’ কানাডার সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার গভর্নর জেনারেল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল। জীবদ্দশায় তিনবার তিনি এই পুরস্কার পেয়েছিলেন।

মুনরোর লেখা ‘দ্য বিয়ার কাম ওভার দ্য মাউন্টেন’ গল্প থেকে ২০০৬ সালে ‘অ্যাওয়ে ফ্রম হার’ চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য ২০০৯ সালে তিনি ম্যান বুকার পুরস্কার পেয়েছেন। ম্যান বুকার পুরস্কার দেওয়ার সময় বিচারকেরা বলেছিলেন, ‘এলিস মুনরো পড়ার অর্থ হচ্ছে, প্রতিবার আপনি এমন কিছু শিখবেন যা আগে কখনো ভাবেননি।’ 

;

হলফনামায় যা যা উল্লেখ করলেন মোদী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হলফনামায় সম্পত্তির হিসাব দিয়েছেন। এতে দেখা গেছে, মোদীর তিন কোটি রুপির সামান্য বেশি সম্পত্তি রয়েছে, তবে নেই কোনো গাড়ি কিংবা বাড়ি।

উত্তর প্রদেশের বারণসিতে নিজের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন শেখানেই তিনি এসব তথ্য দিয়েছেন।

হলফনামায় মোদী মোট তিন কোটি দুই লাখ রুপি মূল্যের সম্পত্তির হিসাব দিয়েছেন। এর মধ্যে স্থায়ী আমানত হিসেবে দেখিয়েছেন দুই কোটি ৮৬ লাখ রুপি। এই অর্থ স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় আমানত রয়েছে। বর্তমানে তার হাতে নগদ অর্থ রয়েছে ৫২ হাজার ৯২০ রুপি। তাছাড়া আরও দুইটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তার ৮০ হাজার ৩০৪ রুপি রয়েছে।

তাছাড়া ন্যাশনাল স্যাভিংস সার্টিফিকেটে ৯ লাখ ১২ হাজার রুপি বিনিয়োগ রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর। পাশাপাশি ২ লাখ ৬৮ হাজার রুপি মূল্যের চারটি সোনার আংটি রয়েছে তার।

হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তার আয় ছিল ১১ লাখ ১৪ হাজার রুপি। কিন্তু ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে ২৩ লাখ ৫৬ হাজার রুপি হয়েছে।

মোদী ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও ১৯৮৩ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো বিচারাধীন ফৌজদারি মামলা নেই বলেও উল্লেখ করেছেন।

;

কংগ্রেসে যোগ দিলেন মোদির সাবেক মন্ত্রীর ছেলে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে ঝাড়খণ্ডে ধাক্কা খেল বিজেপি। কারণ, মঙ্গলবার (১৪ মে) কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন হাজারিবাগের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ তথা সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত সিনহার ছেলে আশির।

জয়ন্তের পিতা যশবন্ত সিনহা এক সময় অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

এনডিটিভি জানিয়েছে, আগামী ২০ মে পঞ্চম দফায় হাজারিবাগ লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ। এমত অবস্থায় মঙ্গলবার আশির সেখানকার কংগ্রেস প্রার্থী জয়প্রকাশ ভাই পাটেলের প্রতি সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন।

ঘটনাচক্রে, ২০১৯ সালে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে হাজারিবাগের মাণ্ডু কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন জয়প্রকাশ। গত মার্চ মাসে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে কংগ্রেসে শামিল হন তিনি।

আশিরের পিতা, বিদায়ী সাংসদ জয়ন্ত তার আগেই লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার কথা ঘোষণা করেছিলেন।

আশিরের দাদা যশবন্ত হাজারিবাগ থেকেই বিজেপি প্রার্থী হিসাবে ১৯৯৮ এবং ১৯৯৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জিতে বাজপেয়ীর সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন।

২০০৪ সালে হেরে গেলেও ২০০৯ সালে হাজারিবাগ পুনরুদ্ধার করেন যশবন্ত। ২০১৪ সালে বাবার লোকসভা কেন্দ্র হাজারিবাগ থেকেই জিতে আসার পরে জয়ন্তকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তার পরে বিমান মন্ত্রণালয়ের স্বাধীন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীও হয়েছিলেন। কিন্তু, মোদির দ্বিতীয় দফায় মন্ত্রিত্ব পাননি জয়ন্ত।

বাজপেয়ী সরকারের অর্থ এবং পররাষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলানো যশবন্ত বিজেপি রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েন মোদির জমানায়।

তিনি ২০১৮ সালে বিজেপি ছাড়েন। ২০২১ সালের মার্চে নীলবাড়ির লড়াই পর্বে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। জয়ন্ত অবশ্য বিজেপিতেই থেকে গিয়েছিলেন।

২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় যশবন্তকে প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসসহ বিভিন্ন বিরোধী দলের সমর্থনও তিনি পেয়েছিলেন।

কিন্তু, বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে হেরে যান তিনি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পরে প্রকাশ্যে নিজের সাবেক দলের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে দল ভাঙানোর অভিযোগ তুলেছিলেন যশবন্ত। সেই সঙ্গেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথাও ঘোষণা করেন তিনি।

;

চিলি সফর স্থগিত করলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে ভয়াবহ বন্যার কারণে চিলিতে তার রাষ্ট্রীয় সফর স্থগিত করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও দা সিলভা।

রয়টার্স জানিয়েছে, ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় এ পর্যন্ত ১৪৭ জন মারা গেছে।

প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে সোমবার (১৪ মে) বলা হয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কারণে আগামী ১৭ ও ১৮ মে প্রেসিডেন্টের চিলি সফর হচ্ছে না।

প্রসঙ্হত, চলতি মাসের প্রথম থেকে দেশটির রিও গ্রান্ডি ডো সুলে প্রবল বর্ষণের ফলে নদীর পানি উপছে পড়ে শহর ভাসিয়ে দেয়।

ফলে, রাজ্যের রাজধানী পোর্টো আলেগ্রির অংশ বিশেষসহ কয়েকটি শহর বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়।

এতে প্রায় ২০ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছয় লাখেরও বেশি লোক তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

ব্রাজিলের সরকারি হিসেবে বলা হয়েছে, বন্যার ফলে এখনও ১২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে নতুন করে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় নদীর পানি আবারো উপছে পড়া এবং পুনরায় ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে।

রাজ্য গভর্ণর এডুয়ার্ডো লেইট এক্সে লিখেছেন, ‘পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে থাকবে।’

;