পণ্য সাপ্লাই চেইনের গলা টিপে ধরেছে হুতিরা, বিকল্প রুটের সন্ধানে বিশ্ব



মানসুরা চামেলী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পণ্য সাপ্লাই চেইনের গলা টিপে ধরেছে হুতিরা, বিকল্প রুটের সন্ধানে বিশ্ব

পণ্য সাপ্লাই চেইনের গলা টিপে ধরেছে হুতিরা, বিকল্প রুটের সন্ধানে বিশ্ব

  • Font increase
  • Font Decrease

বিপুলাকায় একটি জাহাজের উপর দিয়ে চক্কর খাচ্ছে একটি ক্ষুদ্র হেলিকপ্টার। ভয়ে গতিপরিবর্তনের চেষ্টা করছে জাহাজটি। এমন একটি দৃশ্য এখন অনেকেরই জানা। ওটা ছিলো লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজটিতে হুতি সন্ত্রাসীদের আক্রমণ। বিপুল সমুদ্রে একা একটি জাহাজ এই সন্ত্রাসীদের কাছে কতটা বিপন্ন তা ভেসে উঠেছে এ দৃশ্যে।

আর তাই হুতি সন্ত্রাসীদের আক্রমণের ভয়ে এখন আর লোহিত সাগর ব্যবহার করতে চাইছে না বিশ্বের পণ্যবাহী জাহাজ সংস্থাগুলো। যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বড় সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় একশ’র বেশি কার্গো জাহাজ ও ট্রাঙ্কার লোহিত সাগরে হুতিদের আক্রমণ এড়িয়ে আফ্রিকার দক্ষিণে তাদের গতিপথ পরিবর্তন করে নিয়েছে। তবে প্রশ্ন দাঁড়াচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় আকারের জাহাজগুলো সরানো কতটা সহজসাধ্য?

গত ১৭ জানুয়ারি মার্কিন জাহাজ জেনকো পিকার্ডি লোহিত সাগর হয়ে পণ্য নিয়ে যাওয়ার সময় হুতিদের আক্রমণের শিকার হয়। এরপরেই বিশ্বের ব্যস্ততম শিপিং লেন ‘লোহিত সাগর’ বাণিজ্যিক চলাচলের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।


এর আগেও গত নভেম্বরে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী বাব আল-মান্দাবের প্রণালী দিয়ে যাওয়ার সময় একটি পণ্যবাহী জাহাজকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

বাব আল মান্দাব প্রণালী ২০ মাইলের একটি প্রশস্ত প্রণালী। যা আরব উপদ্বীপের ইয়েমেনকে উত্তর-পূর্ব আফ্রিকা বিভক্ত করে। অভিযোগ রয়েছে, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরাইলি পণ্যবাহি জাহাজগুলোকেই টার্গেট করতে শুরু করে হুতিরা। জাহাজ ছিনতাই করতে তারা ভারী অস্ত্রসহ মিসাইল ও ড্রোন ব্যবহার করছে। এমন অবস্থায় সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন জাহাজের নাবিকরা। আক্রমণের মুখে জাহাজের গতি পরিবর্তন অসম্ভব। সুতারাং বিদ্রোহীদের হাতে জিম্মি হতে হচ্ছে তাদের।

এমভি জেনকো পিকার্ডির কথাই ধরা যাক। এডেন উপসাগরে মার্কিন মালিকানাধীন পতাকাবাহী জাহাজটি হুতিদের ড্রোন হামলার শিকার হয়। জাহাজটি তখন ফসফেট শিলা বহন করছিল। ফলে জাহাজ নিয়ে সটকে পড়া অসম্ভব ছিলো ফলে ওই সময় ২২ জন নাবিক আটকা পড়েন। পরে অবশ্য তাদের উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ভয়টা থেকেই যায়।

গ্লোবাল মেরিটাইম বিশেষজ্ঞ লয়েড'স লিস্ট ইন্টেলিজেন্সের প্রধান বিশ্লেষক মিশেল উইজ বকম্যান বলেছেন, চলতি সপ্তাহে ভয়ে ভয়ে প্রায় ৩০০ টির বেশি পণ্যবাহী জাহাজ লোহিত সাগর পাড়ি দিয়েছে। ৩০০ জাহাজের প্রত্যেকটিতে ১৫ থেকে ২৫ জনের মতো লোক ছিল। তাদের কাছে লোহিত সাগর পাড়ি দেওয়াটা এক প্রকারের যুদ্ধক্ষেত্র বলা যায়।’

পরিসংখ্যান মতে, প্রতি বছর লোহিত সাগর দিয়ে বিশ্বের ১২ শতাংশ বাণিজ্য হয়। যার আর্থিক মূল্য ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অধিকাংশ শিপিং কোম্পানি লোহিত সাগর এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এতে পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ দুটোই বেড়ে গেছে। তার চেয়ে বড় কথা জাহাজগুলোর গতি পরিবর্তন অনেকাংশেই কষ্টসাধ্য।

শত শত বিশালাকৃতির কনটেইনার জাহাজ, এর মধ্যে কোনো কোনোটি ৩০০ ফুটেরও বেশি লম্বা। জাহাজগুলো এখন লোহিত সাগর ও সুয়েজ খাল হয়ে এশিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার পরিবর্তে আফ্রিকা মহাদেশের দীর্ঘ পথ বেছে নিচ্ছে। বিশালাকৃতির জাহাজগুলোর দিক পরিবর্তন করতে লাগছে বাড়তি লজিস্টিক সাপোর্ট পাশাপাশি অতিরিক্ত সময়।

এদিকে খরার কারণে পানামা খাল হয়ে পণ্য পরিবহন বেশ আগে থেকেই কমে গেছে। তারপর উপর ইউক্রেন যুদ্ধ কৃষ্ণসাগর হয়ে পণ্য পরিবহণ কম হয়। সব কিছু মিলে বলা যায় এখন বিশ্বব্যাপী পণ্য সাপ্লাই চেইনের গলা টিপে ধরেছে হুতিরা। ভয়ঙ্কর আর্থিক মন্দা ও পরিবেশগত বিপর্যয় এড়াতে এই মুহূর্তে একটি বিকল্প রুট খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।


গত বছরের নভেম্বরে হুতিরা তাদের ছিনতাই করা একটি জাহাজের ভিডিও প্রকাশ করে। সেবার রাশিয়ার একটি তেল ট্যাঙ্কার অল্পের জন্য হামলা থেকে রক্ষা পায়।

যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনী তাদের জাহাজগুলোকে রক্ষা করতে হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে। তবে লোহিত সাগরের এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নাবিকদের জীবনের জন্য হুমকি তৈরি করেছে। আর পণ্য সঙ্কটতো রয়েছেই।

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বীমা প্রিমিয়ামের পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ এই জাহাজগুলোর বহন করা পণ্যের মূল্য কয়েক লাখ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

এ অবস্থায় শিপিং কোম্পানিগুলো তাদের জাহাজ অন্য রুট হয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে এতে প্রতিটি জাহাজকে ৩ হাজার ৫০০ নটিক্যাল মাইল অতিরিক্ত পথ ঘুরে যেতে হয়। এতে সময় লাগে ১০ থেকে ১২ দিন বেশি। সেই সঙ্গে বাড়তি জ্বালানি খরচ হয় ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের। বাড়তি সময় ও ব্যয় সত্ত্বেও জাহাজ কোম্পানিগুলো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও হাইজ্যাকের হাত থেকে বাঁচতে বিকল্প পথ ব্যবহার করছে।

লোহিত সাগর এড়িয়ে অতিরিক্ত সময় ও ব্যয় নিয়ে পণ্য পরিবহন করার ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। সেই সঙ্গে পণ্যের দাম বাড়বে এবং খাদ্য ঘাটতিও দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন গ্লোবাল মেরিটাইম বিশেষজ্ঞ লয়েড'স লিস্ট ইন্টেলিজেন্সের প্রধান বিশ্লেষক মিশেল উইজ বকম্যান।

একটি বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কর্মকর্তাদের মন্তব্যের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে হুতিরা বেপরোয়া হয়ে গেছে। ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ অ্যানা নাগুর্নি বলেন, পানামা খাল শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ইতিমধ্যে বিশ্ব বাণিজ্য ও সরবরাহে ঘাটতি দেখা গেছে। চীনের অনেক জাহাজ পানামা খাল দিয়ে চলাচল না করে সুয়েজ খাল ব্যবহার শুরু করেছিল। এখন একটা বিপর্যয়ের দিকে বিষয়টি যাচ্ছে।

সি ইন্টেলিজেন্স প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, লোহিত সাগর থেকে জাহাজগুলো সরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তমাশা অন্তরীপের দীর্ঘ ট্রানজিট ব্যবহার করতে হচ্ছে। পণ্য সাপ্লাই চেনে যার প্রভাব এরই মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ের প্রভাবকেও ছাড়িয়ে গেছে।

তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে পণ্য পরিবহনে যেমন বিকল্প পথ ব্যবহার করা হয়েছিল। তেমনি হুতিদের হামলার কারণে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হবে। যদিও এটি ব্যয়বহুল এবং এর বোঝা ভোক্তাদের বইতে হবে। কিন্তু বিকল্প রুট ছাড়া আর কোন পথ নেই।

এদিকে, লোহিত সাগর দিয়ে যাওয়া জাহাজগুলোর রুট পরিবর্তনের কারণে সামুদ্রিক পরিবেশে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা। তারা বলেন, পানির নিচে বসবাসকারী প্রাণী ও মাছের জীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। জাহাজগুলোর বিকল্প পথ ব্যবহারের ফলে হাজার মাইল বেশি চলতে হবে, এত অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ হবে, কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হবে। কার্বন নির্গমন ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন লক্ষ্যের অর্ধেক হলে, ২০৫০ সালে সালে নেট-শূন্য কার্বন নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। জাহাজগুলোর রুট পরিবর্তনের ফলে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না- বলেন ব্যাংকিং এবং আর্থিক পরিষেবা সংস্থা আইএনজি’র পরিবহন অর্থনীতিবিদ রিকো লুমান।

যদিও এটা পরিষ্কার যে, বিশ্ব বাণিজ্যের উপর হুতিদের হামলা সরবরাহ চেইনকে ধ্বংস করবে না। তবে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে একটা বড় প্রভাব পড়বে। এতে অর্থনৈতিক সংকটও তৈরি হবে।

সূত্র: বিবিসি

   

ভারত ভ্রমণে অস্ট্রেলিয়ার এমপিদের বার্নার ফোন ব্যবহারের পরামর্শ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ার এমপি ও বিশিষ্ট নাগরিকদের ভারত ভ্রমণের সময় বার্নার মোবাইল ফোন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড (ডিএফএটি)। চীন ও ইউক্রেন ভ্রমণকারীদেরও একই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সতর্ক করে বলা হয়েছে, তাদের ফোন চীনা এবং রাশিয়ানরা হ্যাক করতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম দ্য নাইটলি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

ডিএফএটির এমন বার্তায় অস্ট্রেলিয়া এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকারের মধ্যে টানাপোড়েনের বিষয়টি সামনে এল। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ান নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এএসআইও) আরও জানায়, ২০২০ সালে কিছু গুপ্তচরদের চক্রান্ত ভন্ডুল ও তাদের অস্ট্রেলিয়া থেকে বিতাড়িত করা হয়, সেই গুপ্তচরদের দল ভারতীয় ছিল।

অস্ট্রেলিয়ার নিয়ম যে, ফাইভ আইজ জোটবর্হিভূত কোনো দেশে অস্ট্রেলিয়ার ভিআইপিরা ভ্রমণে গেলে তাদের মোবাইল ফোন বাড়িতে রেখে যাওয়ার। তবে দেশটির গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ভারতের ক্ষেত্রে এ বিষয়ে জোরারোপ করেছে।

নিরাপত্তার জন্য এই পরামর্শের বিষয়ে ডিএফএটি কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করেনি।

বার্নার ফোন এমন এক ধরণের মোবাইল যা দিয়ে অস্থায়ী ও বেনামি নম্বর তৈরি করা যায়। একবার ব্যবহারের পর ওই নম্বর চিরতরে মুছে ফেলা যায়। এই ধরনের মোবাইল ফোন দামেও সস্তা। আনুষ্ঠানিক চুক্তি ছাড়াই প্রিপেইড মিনিটসহ বার্নার মোবাইল কেনা হয়। এই ফোন বিশেষ করে মাদক ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করে থাকে।

ভারতকে দীর্ঘদিন অস্ট্রেলিয়া একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করতো। কিন্তু গত বছর কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় হরদীপ সিং নিজার হত্যাকাণ্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে শিখ নেতা পান্নুন হত্যাচেষ্টাকে ঘিরে ফাইভ-আইস জোট ও কোয়াড মিত্রদের সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে ভারতের। যার জেরে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও দেশটির তিক্ততা তৈরি হয়।

ফাইভ-আইস জোট ও কোয়াড মিত্ররা হলো- অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।

নিয়মিত ভারত ভ্রমণ করা নাম জানাতে অনিচ্ছুক অস্ট্রেলিয়ার বিশিষ্ট এক ব্যক্তি বলেন, তাকে ভারতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বার্নার ফোন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক এবং ভারত বিশেষজ্ঞ ইয়ান হল বলেছেন, তিনি আশা করেন, নিরাপত্তা বিষয়ক এই পরামর্শ অস্ট্রেলিয়াকে ভারত সম্পর্কে আরও বাস্তবসম্মত বৈদেশিক নীতির দিকে নিয়ে যাবে।

নাগরিকদের এই ধরনের পরামর্শে ভারতের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড, কানাডীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব, মার্কিন অনুরোধের প্রতি নয়াদিল্লির প্রতিক্রিয়া ফুটে উঠেছে বলেন তিনি। তিনি আশা করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা অতি-উচ্ছ্বসিত কথার তুবড়ি থেকে আরও পরিমাপিত ও স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে ভারত নীতির দিকে নিয়ে যাবে।

;

জিহ্বার ক্যান্সারে ভুগছেন পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফুজিমোরির জিহ্বায় ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক ভিডিও বার্তায় এ খবর নিজেই জানিয়েছেন তিনি।

১৬ বছর কারাভোগের পর গত বছরের ডিসেম্বরে মুক্তি পান ফুজিমোরি। তার ২৫ বছর কারাভোগের কথা থাকলেও ভগ্ন স্বাস্থ্যের জন্যে মানবিক কারণে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

ফুজিমোরি ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পেরুর প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এখন তার বয়স ৮৫ বছর।

তাকে ২০০৯ সালে ২৫ বছরের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু অভিযোগ রয়েছে।

এর মধ্যে ১৯৯১ ও ১৯৯২ সালে ২৫ ব্যক্তিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অপরাধে তাকে ওই কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ভিডিও বার্তায় ফুজিমোরি বলেন, ‘এখন আমি আমার স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। আমি একটি নতুন যুদ্ধের মুখোমুখি।’

তিনি আরো বলেন, ‘জিহ্বায় নতুন একটি টিউমার শনাক্ত হয়েছে, যা মেলিগন্যান্ট। সুতরাং পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে আমি চিকিৎসা শুরু করতে যাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে তার প্রশাসনের কর্মকান্ডের জন্যে তিনি ক্ষমা চেয়েছিলেন।

;

কেজরিওয়ালের হুঙ্কারের জবাব দিলেন অমিত শাহ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখই নরেন্দ্র মোদি ৭৫ বছরে পা দেবেন। এরপর কি তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন? যদি তাই হয়, তবে মোদির পরে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? অমিত শাহ?’

শনিবার এমন প্রশ্নই তুলেছিলেন আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এবার সেই প্রশ্নেরই জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জনসভা থেকে তিনি স্পষ্ট জানান, আগামীতে মোদিই দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন।

শনিবার এক জনসভা থেকে শাহ বলেন, আমি অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে বলতে চাই, বিজেপির সংবিধানে এ জাতীয় কিছুরই (৭৫ বছরের বয়সসীমা) উল্লেখ নেই। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদিই মেয়াদ শেষ করবেন। আগামীতে তিনিই দেশকে নেতৃত্ব দেবেন। বিজেপির মধ্যে এ নিয়ে কোনও বিভ্রান্তি নেই।

আবগারি মামলায় ২১ মার্চ গ্রেফতার হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। ৫০ দিন পর শুক্রবারই অন্তর্বর্তী জামিনে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই সুপ্রিমকোর্ট কেজরিওয়ালের ২১ দিনের জামিন মঞ্জুর করেছে। শনিবার সকাল থেকেই প্রচারে নেমেছেন কেজরিওয়াল। সস্ত্রীক মন্দিরে পুজো দিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই মোদি এবং বিজেপিকে একাধিক ইস্যুতে নিশানা করেছেন কেজরিওয়াল।

কেজরিওয়াল প্রশ্ন তোলেন, ওরা (বিজেপি) প্রশ্ন করছে, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে? আমি বিজেপিকে জিজ্ঞেস করতে চাই, তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? আগামী বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর মোদিজি ৭৫ বছরে পা দেবেন। তিনি নিজেই ২০১৪ সালে নিয়ম করেছিলেন, ৭৫ বছর বয়সি ব্যক্তিদের অবসর দেবেন। লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর যোশী, সুমিত্রা মহাজনেরা অবসর নিয়েছিলেন।

এখানেই থেমে থাকেননি কেজরি। আপ প্রধান আরও বলেন, তিনি (মোদি) আগামী বছর অবসর নেবেন। তিনি অমিত শাহকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য ভোট চাইছেন। শাহ কি মোদিজির গ্যারান্টি পূরণ করবেন? কেজরির এ দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন শাহ।

;

জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করলো হামাসের সশস্ত্র শাখা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এক জিম্মির ভিডিও শনিবার (১১ মে) প্রকাশ করেছে হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেড।

এনডিটিভি জানিয়েছে, ১১ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপে জিম্মি লোকটিকে কথা বলতে দেখা গেছে। ওই ভিডিওর নিচে আরবি এবং হিব্রুতে লেখা রয়েছে, ‘সময় ফুরিয়ে আসছে। তোমার সরকার মিথ্যা বলছে।’

হামাসের টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করা ভিডিওতে ওই জিম্মিকে জোরে কথা বলতে দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, এর মধ্য দিয়ে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করলো হামাস।

গত ২৭ এপ্রিল হামাস একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে দুই জিম্মিকে জীবিত দেখানো হয়েছে এবং তাদেরকে কিথ সিগেল এবং ওমরি মিরান বলে সনাক্ত করা গেছে।

এর তিন দিন আগে হামাসের প্রকাশ করা আরেকটি ভিডিওতে জিম্মি হার্শ গোল্ডবার্গ-পলিনকে জীবিত দেখানো হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ২৫০ জনকে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে আসে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের মধ্যে ১২৮ জন এখনও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বন্দী রয়েছেন। বাকি ৩৬ জন মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে এএফপির সমীক্ষা অনুসারে, হামাসের হামলার ফলে ১,১৭০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি মারা গেছে।

জবাবে গাজায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত অন্তত ৩৪,৯৭১ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

;