ইকুয়েডরে টিভি স্টেশনে হামলার পর গ্যাংদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টেলিভিশন স্টুডিওতে হামলার পর কয়েকদিন ধরে চলা সহিংসতার পর ইকুয়েডরের রাষ্ট্রপতি নোবোয়া অপরাধী দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনার নির্দেশ দিয়েছেন। খবর বিবিসির।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুখোশধারী বন্দুকধারীরা একটি পাবলিক টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারের সময় লাইভ স্টুডিওতে প্রবেশ করে, এসময় তারা বন্দুক ধরে কর্মীদের মেঝেতে বসতে বাধ্য করে। হামলার পর পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, এসময় টেলিভিশনটির দুই কর্মচারী আহত হয়েছে।

এদিকে এক কুখ্যাত গ্যাংস্টার তার কারাগার থেকে নিখোঁজ হওয়ার পরে গত সোমবার (৮ জানুয়ারি) থেকে ইকুয়েডরে ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করার পরেই এই ঘটনা ঘটলো। জরুরি অবস্থা হওয়ার পর থেকে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে।

গুয়াকিলের টিভি স্টুডিওতে ঘটনাটি চোনেরোস গ্যাংয়ের বস অ্যাডলফো ম্যাকিয়াস ভিলামার, বা ফিটোর একই শহরের একটি কারাগার থেকে নিখোঁজ হওয়ার সাথে সম্পর্কিত কিনা তা স্পষ্ট নয়।

মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) দেশটির রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন যে দেশে এখন একটি "অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাত" বিদ্যমান এবং তিনি "নিরপেক্ষ করার জন্য সামরিক অভিযান" চালানোর জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে একত্রিত করছেন।

এদিকে পুলিশ জানিয়েছে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) গুয়াকিলে অপরাধী চক্রের সাথে জড়িত আটজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছে এবং নিকটবর্তী শহর নোবোলে "সশস্ত্র অপরাধীদের" দ্বারা দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে।

রিওবাম্বা শহরে, অন্য একজন দণ্ডিত মাদক সম্রাট সহ প্রায় ৪০ জন বন্দী একটি কারাগার থেকে বেরিয়ে আসে।

অন্তত সাতজন পুলিশ কর্মকর্তাকেও অপহরণ করা হয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে অপহৃত কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনজন বন্দুক নিয়ে মাটিতে বসে আছেন কারণ একজনকে প্রেসিডেন্ট নোবোয়াকে সম্বোধন করা একটি বিবৃতি পড়তে বাধ্য করা হয়েছে।

অফিসারটি বিবৃতিটি পড়ে শোনান, এতে বলা হয়, "আপনি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, আপনি যুদ্ধ পাবেন,"। "আপনি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। আমরা পুলিশ, বেসামরিক এবং সৈন্যদের তুলে নিবো বলে ঘোষণা করছি।"

নিরাপত্তার কারণে কুইটোতে সরকারি কম্পাউন্ড খালি করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।

কুইটোর বাসিন্দারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গুয়াকিলের টিভি স্টেশনে হামলার খবরের পর থেকে শহরটি বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে।

প্রতিবেশী দেশ পেরুর সরকার দেশের অভ্যন্তরে কোনো অস্থিতিশীলতা প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে অবিলম্বে পুলিশ মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে তারা ইকুয়েডরে "নির্ভর হামলার" নিন্দা করে এবং রাষ্ট্রপতি ড্যানিয়েল নোবোয়া এবং তার ইকুয়েডর সরকারের সাথে "ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করছে" এবং "সহায়তা দিতে প্রস্তুত"।

   

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত বেড়ে ৩৪৬০০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গাজায় নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৩৪ হাজার ৬০০ জনে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের বর্বর হামলায় অন্তত আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ৫১ জন আহত হয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার ওই অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
আনাদোলু বলছে, আন্তর্জাতিক আদালতের অস্থায়ী রায়কে উপেক্ষা করে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তার আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর চলা নিরলস এই হামলায় কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৫ হাজার ৮১৫ জন আহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অন্তর্বর্তীকালীন এক রায়ে আদালত তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

 

 

;

আমেরিকানদের বিক্ষোভের অধিকার আছে, সহিংসতা নয়: বাইডেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমেরিকানদের বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার আছে, তবে সহিংসতা ছড়ানোর অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

গাজা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের বিষয়ে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক চাপের মধ্যে বৃহস্পতিবার (০২ মে) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ মন্তব্য করেন।

বাইডেন বলেন, বিক্ষোভ করার অধিকার সবার আছে, কিন্তু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অধিকার কারও নেই।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থিরা বিক্ষোভ করে আসছেন। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে শতাধিক শিক্ষার্থীকে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাইডেন প্রশাসনের উদ্যোগের সমালোচনা করছেন অনেকে। বৃহস্পতিবারের আগ পর্যন্ত তিনি মুখপাত্রের মাধ্যমে মন্তব্য করে আসছিলেন।

আগামী নভেম্বরে পুনরায় নির্বাচিত হতে প্রত্যাশী বাইডেন খুব সতর্কতার সঙ্গে মন্তব্য করেছেন। তার মন্তব্যে ইহুদিবিদ্বেষকে খারিজ করলেও তরুণদের বিক্ষোভের অধিকারের পক্ষ নিয়েছেন। দীর্ঘমেয়াদে রাজনৈতিক ক্ষতি এড়াতে তিনি এমন অবস্থান নিয়েছেন।

বাইডেন বলেছেন, উভয়পক্ষের যৌক্তিক পয়েন্ট রয়েছে। গণতন্ত্রে শান্তিপূর্ণ ভিন্নমত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সহিংসতা মেনে নেওয়া হবে না।

বাইডেন বলেন, বিক্ষোভ করার অধিকার সবার আছে, কিন্তু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অধিকার কারও নেই।

তিনি বলেন, সম্পদ ধ্বংস করা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ নয়। এটি আইনের পরিপন্থি। ভাঙচুর, অনুপ্রবেশ, জানালা ভাঙা, ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়া, ক্লাস বাতিল করতে বাধ্য করা– এর কোনোটাই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ নয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র নয় যা সমালোচকদের চুপ করে করিয়ে দেবে। তবে শৃঙ্খলা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে।

দুই সপ্তাহ আগে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু হয়েছিল ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ। পরে তা আমেরিকার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে কমপক্ষে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন হচ্ছে।

;

গাজা ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা যুদ্ধের জেরে অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক।

তুর্কি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বৃহস্পতিবার (২ মে) এ তথ্য জানিয়েছে।

তুর্কি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েল গাজায় নিরবচ্ছিন্ন এবং পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তার অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।

বিবিসি জানায়, ২০২৩ সালে ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে বাণিজ্য হয়েছে প্রায় ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে স্বৈরশাসকের মতো আচরণ করছেন বলে অভিযোগ ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।

ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, এরদোগান তুর্কি জনগণ ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে উপেক্ষা করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি ভঙ্গ করছেন।

তুরস্ক বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ায় বিকল্প হিসেবে অন্য দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানি এবং স্থানীয়ভাবে পণ্য উৎপাদনের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি লিখেছেন, তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্যের বিকল্প খুঁজে বের করতে আইএমএফ-এর মহাপরিচালককে সংশ্লিষ্ট পার্টির সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ শুরুর নির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়া তাকে স্থানীয় উৎপাদন এবং অন্যান্য দেশ থেকে পণ্য আমদানির জন্য বলেছি। ইসরায়েল শক্তিশালী ও ভয়ঙ্কর অর্থনীতি হিসেবে আবির্ভূত হবে। তারা হারবে আমরা জিতব।

১৯৪৯ সালে তুরস্ক ছিল প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ যারা ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।

২০১০ সালে ইসরায়েলি কমান্ডোদের সঙ্গে সংঘর্ষে দশ ফিলিস্তিনিপন্থী তুর্কি কর্মী নিহতের জেরে তুরস্ক ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।

;

ইউক্রেনে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া: যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত নিষিদ্ধ রাসায়নিক ‘ক্লোরোপিকরিন’ ব্যবহার করছে রাশিয়া বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনে এই অস্ত্রটি দিয়ে হামলা ‘বিচ্ছিন্ন’ কোনো ঘটনা নয়। রাশিয়া হরহামেশাই তা ব্যবহার করছে।

তবে ক্রেমলিন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মস্কোতে সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্রবিষয়ক কনভেনশনের (সিডব্লিউসি) বাধ্যবাধকতা বজায় রেখেছে।

সিডব্লিউসি অনুযায়ী, কোনো যুদ্ধে ক্লোরোপিকরিনের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (সিডিসি) বলছে, তেল চিটচিটে এই রাসায়নিকটি ব্যবহারের ফলে মানুষের ফুসফুস, চোখ ও ত্বকে প্রদাহ হয়। এতে বমি, বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য অনুযায়ী, সুরক্ষিত অবস্থান থেকে ইউক্রেনের সেনাদের পিছু হটাতে ক্লোরোপিকরিন ব্যবহার করেছে রাশিয়া।

ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে এর আগে রাশিয়াকে সতর্ক করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনে হামলা শুরুর কয়েক সপ্তাহ পর ২০২২ সালের মার্চে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছিলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যদি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেন, তাহলে এর জন্য তাকে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে।

এরপরও ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে মস্কো হামলা চালিয়েছে বলে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত রাসায়নিক দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছেন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যালরি স্টেওয়ার্ট। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় রাসায়নিক হামলার শিকার হওয়ার কথা বলেছেন ইউক্রেনের সেনারাও।

;