দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করে বিল পাস 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুকুরের মাংস খাওয়া এবং জবাই নিষিদ্ধ করে বিল পাস করেছে দক্ষিণ কোরিয়া সংসদ। এতে ভোক্তাদের কুকুরের মাংস খাওয়ার ঐতিহ্যগত  অভ্যাসের অবসান ঘটতে চলেছে দেশটিতে। দেশব্যাপী বিতর্কের পর ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী  উভয় দলের সমর্থনে বিলটি পাস হয়।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির জাতীয় পরিষদের সংশ্লিষ্ট কমিটি জানিয়েছে, আইনটি কুকুরের উপাদান দিয়ে তৈরি বা প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বিতরণ ও বিক্রিকে নিষিদ্ধ করছে। তবে যে গ্রাহকরা কুকুরের মাংস বা সম্পর্কিত কোনো পণ্যদ্রব্য খাবে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে না। অর্থাৎ এই আইনটি মূলত কুকুরচাষী বা বিক্রেতাদের লক্ষ্য করে প্রণীত হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিলটি দক্ষিণ কোরিয়ার বিভক্ত রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপ জুড়ে বিরল দ্বিদলীয় সমর্থন পেয়েছে। শিল্পায়নের সময় থেকে গত কয়েক দশকে কুকুর খাওয়ার প্রতি দেশটির জনগণের মনোভাব দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে। ক্ষুধা নিবারণ এবং প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর জন্য কুকুর খাওয়ার যে ঐতিহ্য দেশটিতে গড়ে উঠেছিল তা ক্রমশই বিতর্কে পরিণত হয়েছিল।

বিলের বলা হয়, যদি কেউ খাবারের জন্য কুকুর জবাই করে তবে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড বা ৩০ মিলিয়ন কোরিয়ান ওয়ান (প্রায় ২৩ হাজার ডলার) পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে। আবার কেউ যদি খাওয়ার উদ্দেশ্যে কুকুরের বংশবৃদ্ধি করে বা জেনেশুনে কুকুর থেকে তৈরি খাবার সংগ্রহ, পরিবহন, সঞ্চয় বা বিক্রি করে তবে তাকেও জরিমানা এবং জেলের মুখোমুখি হতে হবে।

কমিটির মতে, খামার মালিক, কুকুরের মাংসের রেস্তোরাঁ এবং কুকুরের ব্যবসার অন্যান্য কর্মীদের তাদের ব্যবসা বন্ধ বা পরিবর্তন করার জন্য তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ড সময় দেওয়া হবে। এসময় স্থানীয় সরকারকে সেসব ব্যবসায়ী বা মালিকদের অন্যান্য ব্যবসায় স্থানান্তর করতে সহায়তা করতে বলা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

বিলটি এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতি ইউন সুক ইওলের কাছে যাচ্ছে। এটি ইউনের শাসক দল এবং প্রধান বিরোধী দল উভয়ের দ্বারাই সংসদে প্রস্তাবিত হয়েছিল। ফার্স্ট লেডি কিম কিওন হির কাছ থেকেও সোচ্চার সমর্থন পেয়েছে এই বিল।  

ভিয়েতনাম এবং দক্ষিণ চীনের কিছু অংশের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার কুকুরের মাংস খাওয়ার ইতিহাসও পুরোনো। দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের মাংসকে গ্রীষ্মকালে তাপ প্রশমনে সহায়ক খাবার হিসেবে ভাবা হতো। যখন দেশটিতে দারিদ্র্যের হার অনেক বেশি ছিল তখন প্রোটিনের একটি সস্তা এবং সহজলভ্য উৎস ছিল কুকুরের মাংস।

দক্ষিণ কোরিয়ার কৃষি, খাদ্য ও গ্রামীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুসারে, দেশটিতে প্রায় ১ হাজার ১০০টি কুকুরের খামার রয়েছে এবং এই খামারগুলোতে প্রায় অর্ধ মিলিয়ন কুকুর লালন-পালন করা হচ্ছে। কিন্তু সাম্প্রতিক দশকে পশু অধিকার কর্মীরা এ বিষয়ে সোচ্চার হয় এবং সমালোচনামূলক প্রচারণা চালায়। এতে আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠী যেমন হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল (এইচএসআই) এর নজরে আসে বিষয়টি। তখন থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার খামার থেকে কুকুর উদ্ধার এবং তাদের বিদেশে স্থানান্তর করার কাজ করেছে সংস্থাটি।

কুকুরের মাংস খাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ানদের সংখ্যাও নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। গ্যালাপ কোরিয়ার ২০২২ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, ৬৪ শতাংশ মানুষ কুকুরের মাংস খাওয়ার বিরুদ্ধে ছিলেন। ২০১৫ সালের একই ধরনের সমীক্ষায় তার ফলাফল ছিল একেবারেই উল্টো। বিগত বছরগুলোতে কুকুরের মাংস খাওয়া মানুষের সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। ২০১৫ সালে দেশটির ২৭ শতাংশ মানুষ কুকুরের মাংস খেত। ২০২২ সালের সমীক্ষায় সে হার মাত্র ৮ শতাংশ।

সরকারি পরিসংখ্যান মতে, ২০০৫ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে, রাজধানী সিউলে কুকুর পরিবেশনকারী রেস্তোরাঁর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। 

কোরিয়ায় কুকুরের মাংস নিষিদ্ধের প্রচারাভিযান পরিচালনাকারী ম্যানেজার লি সাং-কিয়ং বলেন, কুকুরের মাংস খাওয়া এবং প্রাণীর জীবন রক্ষা সম্পর্কে গত কয়েক দশক ধরে প্রচারণা চালানোর ফলে মানুষের মনোভাব পরিবর্তিত হচ্ছে।

   

পানিশূন্যতায় ভুগছেন গাজার দেড় লাখেরও বেশি গর্ভবতী নারী 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দিন দিন পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

গাজায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিনই ফিলিস্তিনি জনগণ হত্যার শিকার হচ্ছে। এ সংঘাত পুরো বিশ্বে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

ইউএনআরডব্লিউএ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে গাজায় লাখ লাখ অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যপান করানো নারী প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছেন না। তারা স্যানিটেশন সমস্যায়ও ভুগছেন। সেখানে বলা হয়, ঐ নারীদের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার নারী রয়েছেন, যারা খুব কঠিন সময় পার করছেন। তাদের বেশির ভাগই পানিশূন্যতায় ভুগছেন বলে জানানো হয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউ-এর তথ্যানুযায়ী, গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি নারীর প্রাণহানি হয়েছে। ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নারী আহত হয়েছেন। যেসব নারী মারা যাচ্ছেন তাদের অনেকেই সন্তানের মা। ফলে গড়ে প্রতিদিন মা হারাচ্ছে অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু।

উল্লেখ্য, বিশ্ব জুড়েই গাজা সংঘাত বন্ধের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বরং রাফাহ এবং অন্যান্য শহরে হামলার তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার।

;

বিজেপি কখনোই ভারতের সংবিধান পরিবর্তন করবে না: রজনাথ সিং



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিজেপি (ভারতীয় জনতা পার্টি) কখনোই দেশের সংবিধান পরিবর্তন করবে না বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা ও ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

তিনি বলেন, কংগ্রেস গুজব ছড়াচ্ছে যে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে ভারতের সংবিধান পরিবর্তন করবে। তারা ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করছে।

রোববার (৫ মে) ভারতের টিভি চ্যানেল এনডিটিভি প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া’র (পিটিআই) বরাত দিয়ে জানায় যে, পিটিআইয়ের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রজনাথ সিং বলেছেন, বিজেপি ক্ষমতা এলে দেশের সংবিধান বিশেষত এর ভূমিকা পরিবর্তন করবে না। এগুলো পরিবর্তনের কোনো প্রশ্নই আসে না।

নির্বাচনি বিভিন্ন বক্তব্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ মুছে ফেলবে।

রজনাথ সিং বলেন, কংগ্রেস সংবিধানে অনেকবার পরিবর্তন এনেছে। তারা মোট ৮০ বার সংবিধান পরিবর্তন করেছে।

তিনি বলেন, বিজেপি কখনোই সংবিধান পরিবর্তন করবে না। সংবিধান যারা বানায়, তারা কখনো সংবিধানের ভূমিকা পরিবর্তনের কথা কল্পনা করতে পারে না। আপনারা (কংগ্রসেকে উদ্দেশ করে) সংবিধানের মূল ধারণাকে আঘাত করেছেন।

সংবিধানের ভূমিকা সংবিধানের মূলনীতিকে প্রতিফলন করে। ১৯৭৬ সালে সংবিধানে ৪২তম সংশোধন আনা হয়। তখন সংবিধানের ভূমিকায় সংশোধন এনে ‘সার্বভৌম গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী’ থেকে ‘সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপক্ষ গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী’ করা হয়।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রজনাথ সিং বলেন, তারা (কংগ্রস) মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে সমর্থন নেওয়ার চেষ্টা করছে।

তিনি এসময় কংগ্রসকে উদ্দেশ করে বলেন, আমি আপনাদের পরামর্শ দেবো যে, জনগণের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে নয় বরং তাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করুন।

শুক্রবার (৩ মে) রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি এবং আরএসএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, ভারতের গণতন্ত্রকে তারা ক্রমাগত আঘাত করে যাচ্ছে এবং তারা সংবিধানকে ধ্বংস করতে চাইছে।

 

;

ভারতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে মেঘালয়ের পূর্বাঞ্চলে পশ্চিম খাসি হিলস জেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে হত্যার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজ বাড়িতে থাকার সময় দুই ব্যক্তি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওই কিশোরীর। দুজন প্রথম ছুরি দিয়ে হামলা চালায়। পরে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে চিৎকার দেয়। তার চিৎকারে আশপাশের বাড়ি থেকে অনেকে এসে দুজনকে আটক করেন।

এরপর প্রায় দেড় হাজার গ্রামবাসী মিলে দুজনকে একটি কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে বেঁধে ফেলে। শুরু হয় নির্যাতন। এর মধ্যেই খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশ। তাদের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটও ছিল। 

দুজনকে তাদের হেফাজতে দেওয়ার জন্য বলা হলেও এলাকাবাসী রাজি হয়নি। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই আরও পিটুনিতে গুরুতর আহত হয় দুজন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মেঘালয় মনিটর বলছে, তাদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে দুজনেই মারা যায়। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ দুজন ওই গ্রামে শ্রমিকের কাজ করতেন।

;

আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহু সরকারের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলে কাতারভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছেন।

রোববার (৫ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, কাতারভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল জাজিরার সম্প্রচার কার্যক্রম ইসরায়েলে বন্ধ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমার নেতৃত্বাধীন সরকার সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে: ইসরায়েলে উসকানিমূলক চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধ করা হবে।

জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত বিদেশি সংবাদমাধ্যম নিষিদ্ধ করার জন্য ইসরায়েল সরকারকে ক্ষমতা দিয়ে একটি আইন পাসের এক মাস পর আলজাজিরার বন্ধের এই সিদ্ধান্ত আসল।

এর আগে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, আল–জাজিরার আঞ্চলিক কার্যালয় বন্ধে তিনি ‘দ্রুত ব্যবস্থা’ নেবেন।

অবরুদ্ধ ও নরকপুরীতে পরিণত হওয়া এ উপত্যকা থেকে হাতে গোনা যে কয়েকজন সাংবাদিক যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে পারছেন, আল–জাজিরার স্থানীয় কর্মীরা তাদের কয়েকজন।

;