গাজার গুরুতর মানবিক সংকট এড়াতে সম্মত শি-মাখোঁ

ইমানুয়েল মাখোঁ এবং শি জিনপিং। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে ফোন কলে সোমবার (২০ নভেম্বর) আলোচনা করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
বেইজিংয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি জানিয়েছে, ‘দুই নেতা গাজার গুরুতর মানবিক সংকট এড়াতে সম্মত হয়েছেন।
সিসিটিভি জানিয়েছে, ‘দুই রাষ্ট্রপ্রধান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের বিষয়ে মতামত বিনিময় করেছেন এবং উভয়েই বিশ্বাস করেন যে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে পরিস্থিতির আরও অবনতি এড়াতে, বিশেষ করে আরও গুরুতর মানবিক সংকট এড়ানোই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।’
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কলোনার চীন সফরের কয়েকদিন আগে শি’র সঙ্গে ফোন কলে আলাপ করলেন মাখোঁ।
সিসিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, শি এবং মাখোঁ আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক বিষয়ে যোগাযোগ বজায় রাখতে এবং বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অবদান রাখতে সম্মত হয়েছেন।
সিসিটিভি আরও জানিয়েছে, ‘ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে পুনরাবৃত্ত সংঘাত সমাধানের মৌলিক উপায় হল দ্বি-রাষ্ট্র তত্ত্ব।’
এদিকে, গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানিয়েছেন আরব ও মুসলিম দেশের মন্ত্রীরা। তারা সোমবার (২০ নভেম্বর) ওই আহ্বান জানান বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
উল্লেখ্য, আবর দেশগুলোর প্রতিনিধি দল সকল বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ছিটমহলে মানবিক সাহায্যের অনুমতি আদায়ের জন্য সফরের প্রথম পর্যায়ে বেইজিং সফর করছেন।
ওই প্রতিনিধিদল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্যের প্রত্যেকের প্রতিনিধিত্বকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে।
এ ছাড়াও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আত্মরক্ষা হিসাবে তার কর্মকাণ্ডের ন্যায্যতা প্রত্যাখ্যান করার জন্য পশ্চিমের উপরও চাপ সৃষ্টি করছে তারা।
চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ইয়ের সঙ্গে সোমবারের বৈঠকে সৌদি আরব, জর্ডান, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিস্তিন অধিকৃত অঞ্চল এবং ওআইসির সদস্যসহ আরও অনেক দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
চলতি মাসে রিয়াদে যৌথ ইসলামিক-আরব শীর্ষ সম্মেলনেও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েল যে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে তা তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে।