পার্কে ভালুকের আক্রমণে প্রাণ গেল দম্পতির



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কানাডার একটি পার্কে ভালুকের আক্রমণে এক দম্পতিসহ তাদের পোষা কুকুর প্রাণ হারিয়েছেন।

সোমবার (২ অক্টোবর) পার্ক কর্মকর্তা ও নিহতদের এক বন্ধুর বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডার আলবার্টার ব্যানফ ন্যাশনাল পার্কে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

দেশটির সরকারি সংস্থা পার্কস কানাডা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জিপিএস ডিভাইসের মাধ্যমে গত শুক্রবার গভীর রাতে ব্যানফ ন্যাশনাল পার্কের ইয়া হা টিন্ডা রাঞ্চের পশ্চিমে রেড ডিয়ার রিভার ভ্যালিতে একটি ভালুকের আক্রমণের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। খুব রাগান্বিত অবস্থায় থাকা ভালুকটির আক্রমণের শিকার হন ওই দম্পতি।

বিয়ার সেফটি অ্যান্ড মোরের প্রতিষ্ঠাতা এবং নিহতদের পরিবারের একজন বন্ধু কিম টিচেনার জানান, নিহতরা কানাডিয়ান দম্পতি এবং তাদের একটি কুকুরও সঙ্গে ছিল।

টিচেনার ভালুকের সুরক্ষা এবং ভালুকের মূল্যায়নের প্রশিক্ষণ দেন। তিনি বলেন, পার্কে অনেক মানুষের সমাগোমের কারণে এ ধরনের ঘটনা সম্প্রতি বাড়ছে। কিন্তু এই ঘটনার মতো মারাত্মক আক্রমণের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। বিশ্বে শতকরা ১৪ ভাগ গ্রিজলি ভালুকের আক্রমণের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

   

নানা অসন্তোষে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক বাতিল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
মঞ্চে উপবিষ্ট ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা। ছবি : সংগৃহীত

মঞ্চে উপবিষ্ট ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র ডাকা বৈঠক বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। ওই জোটের সদস্যদের নিয়ে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) নয়াদিল্লিতে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা ওই বৈঠকে থাকতে পারবেন না জানিয়ে দেওয়ায় আপাতত বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় এবং রাজস্থান-এই তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় এবং দলের শোচনীয় ফলে লোকসভা নির্বাচনের রণনীতি ঠিক করতে তড়িঘড়ি ইন্ডিয়ার শরিকদের নিয়ে ৬ ডিসেম্বর বৈঠক ডেকেছিল কংগ্রেস।

কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, ওই বৈঠকে তিনি হাজির থাকতে পারবেন না। কারণ, উত্তরবঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে তার।

সূত্রের খবর, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং সপা’র প্রধান অখিলেশ যাদবও ওই বৈঠকে থাকতে পারবেন না। ফলে একের পর এক শীর্ষ নেতারা বৈঠকে না থাকার সম্ভাবনা প্রবল হওয়ায় বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শুধু মমতা, নীতীশ কুমার বা অখিলেশ যাদবই নয়, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনেরও ওই বৈঠকে না থাকার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ, তামিলনাড়ুতে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডব চলছে। পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালাতে হচ্ছে তাকে। ফলে বৈঠকে হাজির না থাকার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছিল।

তিন রাজ্যে কংগ্রেসের হার নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জোট শরিকদের মধ্যেই। আসন সমঝোতা, আগামী লোকসভা নির্বাচনে কীভাবে বিজেপিকে রুখে দেওয়া যাবে ইত্যাদি রণকৌশল নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে শরিক দলগুলোর মতপার্থক্য প্রকাশ্যে আসে।

সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে চার রাজ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে ইন্ডিয়ার শরিক দলগুলোর সঙ্গে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। বিজেপি বিরোধী ছোট আঞ্চলিক দল, কংগ্রেস ভেঙে তৈরি হওয়া দল, এমনকী বিজেপি বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার শরিকদেরও ভোটের ময়দানে এক ছটাকও জায়গা দিতে চায়নি কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, কংগ্রেসের এই মনোভাব শরিক দলগুলোর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে।

মধ্যপ্রদেশের ৬টি আসন চেয়েছিলেন ইন্ডিয়ার শরিক সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তা দিতে রাজি হননি রাহুল গান্ধীরা।

পরে ৭১ আসনে প্রার্থী দিয়ে অখিলেশ ঘোষণা করেছিলেন, কংগ্রেসের বেমাইনির জবাব দেবেন তিনি। শুধু মধ্যপ্রদেশ নয়, হিন্দি বলয়ের অন্য দুই রাজ্য ছত্তীসগড় এবং রাজস্থানে কংগ্রেসের ভরাডুবির কারণ হিসাবেও উঠে এসেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, সাংগঠনিক দুর্বলতা, প্রচারের দিশাহীনতার কথা।

;

গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে 'গণহত্যা‘র সতর্কতা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আল-শিফা ও ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পর উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতাল ঘেরাও করেঝে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ভিতরে অবস্থানরত যেকেউ বের হলেই গুরি ছুঁড়ছে তারা। এ পরিস্থিতিতে এই হাসপাতালেও 'গণহত্যার' সতর্কবার্তা জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বুরশ।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার  প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে একটি ভয়াবহ হত্যাকার্য হওয়ার আশঙ্কা করছে। হাসপাতালের বাইরে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক এবং স্নাইপাররা ঘিরে রেখেছে এবং যারা সরে যায় তাকেই গুলি করছে বলে জানিয়েছে।

হাসপাতালের বাইরে মৃতদেহ জমা হচ্ছে, যেখানে প্রায় ৭ হাজার ফিলিস্তিনি ভিতরে আশ্রয় নিচ্ছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বুরশ বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় ইতিমধ্যে হাসপাতালের আশেপাশে ১০৮ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা কামাল আদওয়ান হাসপাতালের ভিতরে একটি গণহত্যার আশঙ্কা করছি, যেমনটি হয়েছিল আল-শিফা হাসপাতাল এবং ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে।’ 

উল্লেখ্য, কামাল আদওয়ান হাসপাতাল গাজা উপত্যকায় এখনও চালু থাকা মাত্র ছয়টি হাসপাতালের একটি। হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংস্থান এবং ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে প্রতিদিন শত শত আহতের চিকিৎসাসেবা ব্যহত হচ্ছে।

 

;

ইউক্রেনকে সাহায্য করার মতো অর্থ নেই যুক্তরাষ্ট্রের 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রুশ আগ্রাসনে টানা প্রায় দুই বছর ধরেই চলছে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা করে আসলেও  এই মুহুর্তে তা আর সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জার্মান বার্তাসংস্থা ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

রিপাবলিকানরা হোয়াইট হাউসে ১০ হাজার কোটি ডলারের একটি সহায়তা প্যাকেজ আটকে দিলে এমন ঘোষণা আসে। এতে ইউক্রেনকে সাহায্য করার মতো অর্থ বাইডেন প্রশাসনের হাতে নেই বলে জানানো হয়। 

এ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ‘কংগ্রেস যদি দ্রুত এই প্যাকেজ অনুমোদন না করে, তাহলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনকে সাহায্য করা যাবে না। সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে, আমাদের হাতে ইউক্রেনকে সাহায্য করার মতো অর্থও আর নেই।’

উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে বাইডেন প্রশাসন কংগ্রেসকে ১০ হাজার কোটি ডলারের প্যাকেজ অনুমোদন করতে বলে। ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে সাহায্য করার জন্য মোট ১০৬ বিলিয়নের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে  রিপাবনিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে বাইডেন প্রশাসনকে এই অনুমোদন দেয়নি হাউস।

সোমবার হাউসের স্পিকারকে চিঠি লিখেছেন জো বাইডেনের বাজেট ডিরেক্টর লিখেছেন, ‘আমাদের হাতে কোনও জাদুর ঘড়া নেই, যা দিয়ে আমরা পরিস্থিতি সামলাতে পারি। আমাদের হাতে কোনও অর্থ নেই। আর আমাদের হাতে সময়ও নেই।’

তিনি জানিয়েছেন, ‘যদি কংগ্রেস ওই প্য়াকেজে অনুমোদন না করে, তাহলে এই বছরের শেষে আমাদের হাতে কোনও অর্থ থাকবে না, যা দিয়ে আমরা ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র বা যন্ত্রপাতি কিনতে পারি।  আর এই অস্ত্র ও সাহায্য না পেলে ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে লড়তে পারবে না। তারা যেটুকু অগ্রগতি অর্জন করেছে, সেটিও নষ্ট হবে।’

জতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যক সুলিভান বলেছেন, যদি প্যাকেজ অনুমোদিত না হয়, তাহলে রাশিয়া লাভবান হবে। তিনি সংবাদিকদের বলেছেন, ‘কংগ্রেসকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা ইউক্রেনের স্বাধীনতার লড়াইয়ে সাহায্য করবে, নাকি পুতিনের লাভ দেখবে।’



;

উগান্ডা-জিম্বাবুয়ের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ে ও উগান্ডার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ ঘোষণা দেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনে কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, বিরোধীদের নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দেওয়া এবং বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপের অভিযোগে জিম্বাবুয়ে ও উগান্ডার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, জিম্বাবুয়েতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করায় দেশটির ওপর নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির আওতায় যারা জিম্বাবুয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা অভিযুক্ত, তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২ (এ) (৩) (সি) অনুসারে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।

কোনো ধরনের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে, সে বিষয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে—নির্বাচনে কারচুপি, ভোটারদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা বা ব্যক্তিকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা দেওয়া, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাইরে রাখা; গণতন্ত্র, শাসন বা মানবাধিকারসংক্রান্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত নাগরিক সমাজের সংস্থাগুলোর ক্ষমতা সীমিত করা। ভোটার, নির্বাচন পর্যবেক্ষক বা নাগরিক সমাজকে হুমকি বা শারীরিক সহিংসতার মাধ্যমে ভয় দেখানো।

এর বাইরে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা ব্যক্তিরাও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন বলে ঘোষণা করেন ব্লিঙ্কেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী মামলার বিচারের সময় বিচার বিভাগের স্বাধীন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করা বা জিম্বাবুয়েতে মানবাধিকারের অপব্যবহার বা লঙ্ঘনে জড়িত ব্যক্তিরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কেবল যেসব ব্যক্তি এসব কাজে যুক্ত থাকবেন, তারাই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

ব্লিঙ্কেন বলেন, এ ধরনের ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এই বিধিনিষেধের আওতাভুক্ত হতে পারেন। সোজা কথায়, যে বা যারা জিম্বাবুয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করেন—২০২৩ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সময় এবং তার পরে বা আগে—এই নীতির অধীনে মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

উগান্ডা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল ও ক্ষুণ্ন করায় ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ব্লিঙ্কেন বলেন, ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় উগান্ডার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে একটি ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সময় দেশটির সরকারকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া উন্নত করতে এবং ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়া, সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের জন্য দায়ীদের জবাবদিহি করতে অনুরোধ করা হয়।

কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হওয়ায় আমি উগান্ডার বর্তমান বা সাবেক কর্মকর্তাদের বা অন্যদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ভিসা-নীতির সম্প্রসারণ ঘোষণা করছি। যারা উগান্ডার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য বা প্রান্তিক সদস্যদের দমন করার লক্ষ্যে নীতি বা কর্মের জন্য দায়ী বা জড়িত তারাই এর লক্ষ্য।

এছাড়া পরিবেশকর্মী, মানবাধিকার রক্ষাকারী, সাংবাদিক, এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তি ও সুশীল সমাজ সংগঠকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিরা এই নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন। জিম্বাবুয়ের মতোই বলা হয়, গণতান্ত্রিক পরিবেশ ক্ষুণ্ণকারী ওই সব ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও বিধিনিষেধের অধীন হতে পারেন।

;