স্কটল্যান্ডে খালিস্তান সমর্থকদের বাধার মুখে ভারতীয় হাইকমিশনার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
বিক্রম দুরাইস্বামী।। ছবি : সংগৃহীত

বিক্রম দুরাইস্বামী।। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কানাডার পরে স্কটল্যান্ডে ফের প্রকাশ্যে এলো খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সক্রিয়তা। এবার তাদের টার্গেট হয়েছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দুরাইস্বামী।

ব্রিটেনের ভারতীয় হাই কমিশন সূত্রে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, দুরাইস্বামীকে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) স্কটল্যান্ডের একটি গুরুদ্বারে প্রবেশ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়।

ভারতীয় হাই কমিশনারকে গুরুদ্বার পরিচালনা সমিতির কয়েকজন সদস্য জানিয়ে দেন যে, তিনি সেখানে স্বাগত নন।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ভারতে নিষিদ্ধ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন শিখস ফর জাস্টিসের (এসএফজে) সমর্থকরাই ওই ঘটনা ঘটিয়েছে।

খালিস্তানি নেতা হারদীপ সিং নিজ্জারের হত্যার ঘটনায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিতর্কিত বিবৃতির পরে পর ভারত এবং কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন চলছে। এই পরিস্থিতিতে স্কটল্যান্ডের ঘটনায় পরিস্থিতি নতুন মোড় নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, আলবার্ট ড্রাইভে গ্লাসগো গুরুদ্বার কমিটির সঙ্গে বৈঠকের জন্য গিয়ে খালিস্তানপন্থীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ব্রিটেনের ভারতীয় হাই কমিশনারকে।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেনসহ কয়েকটি দেশে সক্রিয় রয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এসএফজে। পাঞ্জাবের মধ্যে ‘স্বাধীন এবং সার্বভৌম’ রাষ্ট্র গড়ার দাবি তুলেছে তারা।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই এসএফজেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তারা জানায়, ওই সংগঠন ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতার জন্য বড়সড় হুঁশিয়ারি।

২০২০ সালে সংগঠনের নেতা পান্নুনকে জঙ্গি ঘোষণাও করে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাকে আটক করতে ইন্টারপোলকে ‘রেড নোটিস’ জারি করার অনুরোধও জানায় ভারত। যদিও এ বিষয়ে আরও তথ্য চেয়ে ওই আবেদন ফেরত পাঠায় ইন্টারপোল।

   

পশ্চিমাদের হুমকির পর পরমাণু অস্ত্রের মহড়ার ঘোষণা দিল রাশিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপীয় শীর্ষ নেতারা ইউক্রেনের জন্য শক্তিশালী সামরিক সমর্থনের হুমকির কয়েক দিন পর পরমাণু অস্ত্রের মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। রাশিয়া বলছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের অনুশীলন করতে এ মহড়া দেওয়া হবে।

সোমবার (৬ মে) এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালযয়ের এক বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

বিবৃতিতে বলা হয়, পশ্চিমা এবং ন্যাটো-সদস্য দেশগুলির উস্কানিমূলক বিবৃতির প্রতিক্রিয়ার কারণে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক মহড়া ও সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, পশ্চিমা কিছু কর্মকর্তাদের উস্কানিমূলক বিবৃতি এবং হুমকির পরে প্রস্তুতি বাড়াতে ... যুদ্ধের কাজগুলি পূরণ করার উদ্দেশ্যে অ-কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের প্রস্তুতি এবং স্থাপনার অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত করবে।

মন্ত্রণালয় জানায়, দক্ষিণ সামরিক জেলায় ক্ষেপণাস্ত্র গঠন এবং নৌ বাহিনী মহড়ায় অংশ নেবে।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গত সপ্তাহে বলেন, কিয়েভ ব্যাকআপের অনুরোধ করলে তার দেশ ইউক্রেনে স্থল সেনা পাঠানোর বিষয়ে বিবেচনা করবে। একদিন পরে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরন বলেছিলেন, ইউক্রেন চাইলে রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে ব্রিটিশ অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।

রাশিয়ান কর্মকর্তারা উভয় বিবৃতির নিন্দা করেছেন এবং সতর্ক করে মস্কো এ পদক্ষেপকে বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছে। মস্কো দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করেছে যে সামরিক জোটের ইউরোপীয় সদস্যরা ইউক্রেনে যুদ্ধে তাদের সৈন্য পাঠালে ন্যাটোর সাথে সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠবে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ান বাহিনী প্রতিবেশী ইউক্রেন আক্রমণ করার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলি এবং রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক ভেঙে যায়।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া বারবার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিলেওরাশিয়ার পারমাণবিক ভঙ্গিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তি। দেশ দুটির কাছে বিশ্বের ১২ হাজার ১০০টি পারমাণবিক ওয়ারহেডের মধ্যে ১০ হাজার ৬০০টিরও বেশি রয়েছে। ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের পর চীনের কাছে তৃতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।

;

রাফাহ ছাড়ার নির্দেশ ইসরায়েলের, হামলা হবে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহতে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদের শহরটির একটি অংশ খালি করতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। 

সোমবার (৬ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইডিএফের এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, রাফাহর পূর্বাঞ্চলে বসবাস করা বেসামরিক মানুষদের নিকটস্থ সুনির্দিষ্ট ‘মানবিক এলাকায়’ চলে যেতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। তবে এ জন্য কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। 

তবে পূর্বেঘোষিত ‘ব্যাপক পরিসরের স্থল অভিযানের’ প্রস্তুতি হিসেবে মানুষজনকে রাফাহর একাংশ ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে কি না, প্রাথমিকভাবে তা নিশ্চিত নয়। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজায় চরম শক্তি প্রয়োগ করতে চলেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজা উপত্যকার রাফায় লাখ লাখ উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছেন। তবে ইসরায়েলের দাবি, রাফায় হামাসের অসংখ্য যোদ্ধা রয়েছে। তাদের নির্মূল করতে শহরটিতে ব্যাপক অভিযান চালানো হবে। 

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে মিশরের কায়রোয় শান্তি আলোচনা চলছে। এর মধ্য রাফাহ খালি করার নির্দেশনায় চলমান শান্তি আলোচনা এবং গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

ইসরায়েলের হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ।

;

ইসরায়েলি ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরান সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা লেবাননের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সোমবার (৬ মে) গোলান মালভূমির একটি ইসরায়েলি ঘাঁটিতে ‘বেশ কয়েকটি কাতিউশা রকেট’ হামলা চালিয়েছে তারা।

সোমবার আরব নিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, লেবাননের সরকারি মিডিয়া জানায়, দেশটির পূর্বাঞ্চলে সোমবার ভোরে ইসরায়েলি হামলায় তিন বেসামরিক লোক আহত হয়েছে। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি, তাদের নিক্ষিপ্ত রকেটগুলো হিজবুল্লাহর একটি ‘সামরিক কম্পাউন্ডে’ আঘাত হেনেছে।

এদিকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরায়েলের নাফাহ ঘাঁটিতে গোলান বিভাগের সদর দপ্তর লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করেছে। গ্রুপটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এটি লেবাননের বেকা অঞ্চলকে লক্ষ্য করে শত্রুর হামলার জবাব।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে স্বাধীনতাকামী হামাসের হামলার প্রেক্ষিতে গাজা উপত্যকায় উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের সূত্রপাত হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ও লেবাননের হিজবুল্লাহ’র মধ্যে আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময় অব্যাহত রয়েছে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হামাস-মিত্র হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েলে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে আর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবাননের ভূখ-ের গভীরে হামলা চালিয়েছে।

লেবাননের সরকারি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে,‘শত্রুর (ইসরায়েলি) যুদ্ধবিমানগুলো আজ মধ্যরাতের দিকে সিফ্রির একটি কারখানায় হামলা চালালে তিন বেসামরিক লোক আহত ও ভবনটি ধ্বংস হয়।

;

জ্বালানি তেলের দাম বাড়াল সৌদি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরবের তেলের দাম বাড়ানোর জের ধরে বিশ্ববাজারেও জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে।

সোমবার (৬ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সে এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলের জন্য সৌদি আরবের তেলের দাম বাড়ানো এবং তার সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আরও কমে যাওয়ায় তেলের দাম বেড়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম এই তেল উৎপাদনকারী অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে ইসরায়েল-হামাস সংকট ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার সকালে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ২৮ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৮৩ দশমিক ২৪ ডলারে উঠেছে। এছাড়া ইউএস টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের (ডব্লিউটিআই) দাম ব্যারেল প্রতি ২৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৭৮ দশমিক ৪০ ডলারে উঠেছে।

জুন মাসে এশিয়া, উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের দেশগুলোতে যে তেল বিক্রি করবে সৌদি আরব, তার দাম বাড়ানো হয়েছে। এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, চলতি গ্রীষ্মকালে জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়বে।

গত সপ্তাহে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়ায় জ্বালানি তেলের দাম ৭ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছিল। আজ সপ্তাহের শুরুতে সেই ধারা ভেঙে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বাড়ল। বহুজাতিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইএনজির পণ্য গবেষণা বিভাগের প্রধান ওয়ারেন প্যাটারসন এ তথ্য দিয়েছেন।

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছিল গত সপ্তাহে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আরও কমে গেছে। হামাস দাবি করেছিল, বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হোক; কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এদিকে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় তেল ও গ্যাসের খনির সংখ্যা কমেছে, বিশেষ করে তেলের খনির সংখ্যা কমেছে বেশি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সাতটি কমে গিয়ে সক্রিয় খনির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯৯টি। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের পর আর কখনো এক সপ্তাহের ব্যবধানে এতগুলো খনি উৎপাদনের বাইরে চলে যায়নি।

;