মণিপুরের সিবিআই মামলার শুনানি আসামে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পৃথক প্রশাসনের দাবিতে বিক্ষোভরত কুকি নারীরা। ছবি : সংগৃহীত

পৃথক প্রশাসনের দাবিতে বিক্ষোভরত কুকি নারীরা। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের রাজ্য মণিপুরের যেসব মামলার তদন্তে সিবিআই রয়েছে, সেসব মামলার শুনানি আসামের কোর্টে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।

মামলাগুলোকে সুপ্রিম কোর্ট আসাম কোর্টে স্থানান্তরিত করেছেন। মামলার বিচারের জন্য নিম্ন আদালত মনোনয়নের ভার দেওয়া হয়েছে আসামের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ওই নির্দেশ দেন।

ভারতের শীর্ষ আদালতের রবাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ধৃতদের রিমান্ডে নেওয়া, সহিংসতায় অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং সাক্ষীদের শুনানিও গুয়াহাটিতে হবে।

সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, কে কতটা বেশি আঘাত পেয়েছে, সেই হিসাব আমরা কষতে পারি না। কারণ, দুই পক্ষের মানুষই আক্রান্ত হয়েছে।

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট মণিপুরে সহিংসতার ইস্যুতে সিবিআই মামলাগুলো স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়। সেখানে শারিরিক উপস্থিতির পাশাপাশি হতে পারে ভার্চুয়াল শুনানিও। আর এই ভার্চুয়াল শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্ট মণিপুর সরকারকে সঠিক ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের নির্দেশও দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৩ মে থেকে জাতিগত সহিংসতার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও তা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং ও কাংপোকপি জেলার অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে।

ইম্ফল উপত্যকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হলো মৈতৈ জনজাতি। তবে তারা সম্প্রতি দাবি তুলেছিল যে, তাদের তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দিতে হবে। তাদের এ দাবির প্রতি বিরোধ জানিয়েছে স্থানীয় আদিবাসীরা।

এ অবস্থার মধ্যে গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন একটি মিছিলের আয়োজন করেছিল। সেই মিছিল ঘিরেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে চূড়াচাঁদপুর জেলায়।

এদিকে, তফসিলি উপজাতির ইস্যুর পাশাপাশি সংরক্ষিত জমি এবং সার্ভে নিয়েও উত্তাপ ছড়িয়েছে রাজ্যটিতে। এ পরিস্থিতিতে গত এপ্রিলে এ চূড়াচাঁদপুর জেলাতেই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের সভাস্থলে আগুন দিয়েছিল ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডার্স ফোরামের সদস্যরা।

   

লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় এক পরিবারের ৪ সদস্য নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত ঘেষা মেইস আল জাবালে গ্রামে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে এক পরিবারের চার সদস্য নিহত হয়েছেন।

রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হামলায় ওই চার লেবানিজ নিহত হয়েছেন বলে দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সূত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল এবং ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গ্রুপের মধ্যে নিয়মিত গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটছে। এতে মেই আল জাবালের গ্রামসে বাসিন্দারা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

এদিকে এক বিবৃতিতে, হিজবুল্লাহ জানায়, তারা প্রতিশোধ হিসেবে লেবাননের সীমান্তের নিকটবর্তী ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কিরিয়াত শমোনা শহরে দশটি কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করেছে।

অক্টোবর থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে পাল্টাপাল্টি বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণ চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনী। তবে উভয়পক্ষ সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়ানো থেকে বিরত রয়েছে।

অক্টোবর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ২৫০ জনেরও বেশি হিজবুল্লাহ সদস্য এবং ৭৫ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলের একাধিক সূত্র বলেছে, লেবানন থেকে ছোড়া হিজবুল্লাহর রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলি অন্তত এক ডজন সৈন্য নিহত ও বেশ কয়েকজন বেসামরিক আহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে ইসরায়েলের এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ২৫২ জন হামাসের হাতে জিম্মি রয়েছেন বলেও জানায় ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ।

;

পানিশূন্যতায় ভুগছেন গাজার দেড় লাখেরও বেশি গর্ভবতী নারী 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দিন দিন পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

গাজায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিনই ফিলিস্তিনি জনগণ হত্যার শিকার হচ্ছে। এ সংঘাত পুরো বিশ্বে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

ইউএনআরডব্লিউএ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে গাজায় লাখ লাখ অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যপান করানো নারী প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছেন না। তারা স্যানিটেশন সমস্যায়ও ভুগছেন। সেখানে বলা হয়, ঐ নারীদের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার নারী রয়েছেন, যারা খুব কঠিন সময় পার করছেন। তাদের বেশির ভাগই পানিশূন্যতায় ভুগছেন বলে জানানো হয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউ-এর তথ্যানুযায়ী, গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি নারীর প্রাণহানি হয়েছে। ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নারী আহত হয়েছেন। যেসব নারী মারা যাচ্ছেন তাদের অনেকেই সন্তানের মা। ফলে গড়ে প্রতিদিন মা হারাচ্ছে অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু।

উল্লেখ্য, বিশ্ব জুড়েই গাজা সংঘাত বন্ধের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বরং রাফাহ এবং অন্যান্য শহরে হামলার তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার।

;

বিজেপি কখনোই ভারতের সংবিধান পরিবর্তন করবে না: রজনাথ সিং



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিজেপি (ভারতীয় জনতা পার্টি) কখনোই দেশের সংবিধান পরিবর্তন করবে না বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা ও ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

তিনি বলেন, কংগ্রেস গুজব ছড়াচ্ছে যে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে ভারতের সংবিধান পরিবর্তন করবে। তারা ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করছে।

রোববার (৫ মে) ভারতের টিভি চ্যানেল এনডিটিভি প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া’র (পিটিআই) বরাত দিয়ে জানায় যে, পিটিআইয়ের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রজনাথ সিং বলেছেন, বিজেপি ক্ষমতা এলে দেশের সংবিধান বিশেষত এর ভূমিকা পরিবর্তন করবে না। এগুলো পরিবর্তনের কোনো প্রশ্নই আসে না।

নির্বাচনি বিভিন্ন বক্তব্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ মুছে ফেলবে।

রজনাথ সিং বলেন, কংগ্রেস সংবিধানে অনেকবার পরিবর্তন এনেছে। তারা মোট ৮০ বার সংবিধান পরিবর্তন করেছে।

তিনি বলেন, বিজেপি কখনোই সংবিধান পরিবর্তন করবে না। সংবিধান যারা বানায়, তারা কখনো সংবিধানের ভূমিকা পরিবর্তনের কথা কল্পনা করতে পারে না। আপনারা (কংগ্রসেকে উদ্দেশ করে) সংবিধানের মূল ধারণাকে আঘাত করেছেন।

সংবিধানের ভূমিকা সংবিধানের মূলনীতিকে প্রতিফলন করে। ১৯৭৬ সালে সংবিধানে ৪২তম সংশোধন আনা হয়। তখন সংবিধানের ভূমিকায় সংশোধন এনে ‘সার্বভৌম গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী’ থেকে ‘সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপক্ষ গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী’ করা হয়।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রজনাথ সিং বলেন, তারা (কংগ্রস) মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে সমর্থন নেওয়ার চেষ্টা করছে।

তিনি এসময় কংগ্রসকে উদ্দেশ করে বলেন, আমি আপনাদের পরামর্শ দেবো যে, জনগণের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে নয় বরং তাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করুন।

শুক্রবার (৩ মে) রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি এবং আরএসএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, ভারতের গণতন্ত্রকে তারা ক্রমাগত আঘাত করে যাচ্ছে এবং তারা সংবিধানকে ধ্বংস করতে চাইছে।

 

;

ভারতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে মেঘালয়ের পূর্বাঞ্চলে পশ্চিম খাসি হিলস জেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে হত্যার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজ বাড়িতে থাকার সময় দুই ব্যক্তি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওই কিশোরীর। দুজন প্রথম ছুরি দিয়ে হামলা চালায়। পরে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে চিৎকার দেয়। তার চিৎকারে আশপাশের বাড়ি থেকে অনেকে এসে দুজনকে আটক করেন।

এরপর প্রায় দেড় হাজার গ্রামবাসী মিলে দুজনকে একটি কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে বেঁধে ফেলে। শুরু হয় নির্যাতন। এর মধ্যেই খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশ। তাদের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটও ছিল। 

দুজনকে তাদের হেফাজতে দেওয়ার জন্য বলা হলেও এলাকাবাসী রাজি হয়নি। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই আরও পিটুনিতে গুরুতর আহত হয় দুজন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মেঘালয় মনিটর বলছে, তাদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে দুজনেই মারা যায়। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ দুজন ওই গ্রামে শ্রমিকের কাজ করতেন।

;