ভারতের মহারাষ্ট্রে ভূমিধসে নিহত ৫, আটকা পড়েছে শতাধিক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের রায়গড়ে ভয়াবহ ভূমিধসে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিধসের পর ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে শতাধিক মানুষ।

বুধবার (১৯ জুলাই) গভীর রাতে রায়গড়ের একটি আদিবাসী গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।এখনো উদ্ধারকাজ চলছে।

ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়াদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উদ্ধারকাজ চলছে। এখনই মৃতের সংখ্যা নিরূপণ করা সম্ভব নয়।

মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধার কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। কীভাবে উদ্ধার তৎপরতা ত্বরান্বিত করা যায় এবং ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে পড়াদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া যায়।

দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। মুম্বাই থেকে আরও দুটি দল অভিযানে যোগ দিয়েছে।

   

লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়ে যা বললেন মোদি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তৃতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনে আহমেদাবাদে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

এক স্কুলে ভোট দিয়ে বেরোনোর সময় মোদি বলেন, ‘দেশবাসীকে আর্জি করব-গণতন্ত্রে ভোটদান সামান্য বিষয় নয়। দানের একটা মাহাত্ম্য রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোট দিন। এ জায়গায় আমি প্রতিবার ভোট দিই। গতকাল রাতেই অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এখানে এসেছি।’

এর আগে ভোট দিতে কেন্দ্রটিতে পৌঁছান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেই বুথেই ভোট দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাদের দেখতে রাস্তার দুই পাশে উৎসাহী জনতা ভিড় করেন।

এর আগে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে মোদি তৃতীয় দফার নির্বাচনে ভোটারদের রেকর্ড সংখ্যায় ভোট দেওয়ার আবেদন জানান।

তিনি লেখেন, ‘আজকের এই পর্বের নির্বাচনে যারা ভোট দিচ্ছেন, তাদের সবার কাছে রেকর্ড সংখ্যক ভোটাধিকার প্রয়োগের আর্জি জানাচ্ছি। তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অবশ্যই নির্বাচনকে আরও বেশি প্রাণবন্ত করে তুলবে।’ বাংলাসহ সাত ভাষায় পোস্ট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল ৭টা থেকে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এই দফায় ভারতের ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে।

আজ যে ৯৩ আসনে ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে ৮০ আসনে গতবার বিজেপি ও তাদের শরিকরা জিতেছিল। কংগ্রেস জোট পেয়েছিল মাত্র ১১ আসন।

গুজরাটের ২৬ আসনের মধ্যে ২৫ আসনে ভোট হচ্ছে। রাজ্যের সুরাট আসনে বিজেপির প্রার্থী আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। গতবার রাজ্যের সব আসনে বিজেপি জিতেছিল।

;

পরমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে রাশিয়াকে জার্মানির সতর্কতা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে রাশিয়ার মহড়ার ঘোষণার পর দেশটিকে সতর্ক করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ। সোমবার (৬ মে) লাটভিয়ার রাজধানী রিগায় একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে শোলজ এ কথা বলেন।

আনদালু এজেন্সির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময় তিনটি বাল্টিক রাষ্ট্র তথা লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া এবং এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। ইউক্রেন যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের বিরুদ্ধে মস্কোকে সতর্ক করেন শোলজ।

তিনি বলেন, এটি সর্বদা জোর দিয়ে বলা গুরুত্বপূর্ণ যে, এই যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা উচিত নয়। সুইজারল্যান্ডে একটি শান্তি সম্মেলন আয়োজনের কাজ চলছে, যা অবশ্যই রাশিয়ার কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা হবে।

জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সোমবার প্রথম সরকারি সফরে লাটভিয়ায় পৌঁছেন তিনি। তিনটি বাল্টিক রাষ্ট্রই সফর করবেন শোলজ। তিনটি দেশই আবার সামরিক জোট ন্যাটোর অংশীদার।

জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসন একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল এবং এটি ইউরোপকে বিভক্ত করে ন্যাটোকে দুর্বল করার পরিবর্তে তাদের ঐক্যকে শক্তিশালী করেছে।

এর আগে রাশিয়া ঘোষণা করেছে যে, তারা কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বিষয়ে মহড়া পরিচালনা করবে। অবশ্য শীর্ষ ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের প্রতি শক্তিশালী সামরিক সমর্থন প্রকাশের পরই তার প্রতিক্রিয়ায় এমন ঘোষণা দেয় মস্কো।

ক্রেমলিনের মতে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে পশ্চিমা ও ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সামরিক মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে শোলজ বাল্টিক সাগর অঞ্চলে ন্যাটো অংশীদারদের আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, জার্মানি নির্ভরযোগ্য সামরিক সহায়তা প্রদান করবে।

;

ফের রাফাহ হামলায় নেতানিয়াহুকে বাইডেনের হুঁশিয়ারি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুদ্ধবিরতির খসড়া চুক্তি মেনে নেয়ার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ইসরায়েলের শর্ত মানা হয়নি দাবি করে আবারও রাফাহতে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে রাফাহ অভিযানের বিরোধিতা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) এই তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।

হোয়াইট হাউজের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাইডেন ফোনকলে 'রাফাহ অভিযান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার বিষয়টি আবারও পরিষ্কার করেছেন।'

রাফাহতে হামলা শুরুর আগে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নেওয়ার একটি গ্রহণযোগ্য পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বারবার ইসরায়েলকে তাগাদা দিলেও এখনো দেশটি এই অনুরোধ রাখেনি।

সোমবার (৬ মে) হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কার্বি জানান, রাফার বেসামরিক মানুষ ঝুঁকিতে থাকবে এরকম কোনো স্থল অভিযানকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না। এর আগে পর্যন্ত হোয়াইট হাউজ বলছিল, রাফায় 'বড় ধরনের' অভিযানের বিরোধিতা করছে ওয়াশিংটন। বিশ্লেষকদের মতে, এবার আরও কড়া ভাষায় ইসরাইলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন।

বাইডেন প্রশাসন রাফা অভিযানের বিকল্প হিসেবে মিশর-গাজা সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও সুনির্দিষ্টভাবে হামাসের নেতাদের বিরুদ্ধে হামলার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু নেতানিয়াহু রাফা অভিযানকে অত্যাবশ্যক বলে দাবি করেছেন।

নেতানিয়াহুর মতে, হামাসকে নির্মূল করতে এই অভিযান জরুরি, কারণ রাফাহ এলাকায় হামাসের অনেক যোদ্ধা লুকিয়ে আছেন। রাফাহ শহরে হামাসের চারটি ব্যাটেলিয়ন রয়েছে, যাদেরকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত বিজয় অর্জন হবে না।

জন কার্বি আরও জানান, ফোনকলে বাইডেন রাফাহ অভিযান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, গাজায় আটকে থাকা ইসরাইলি জিম্মিদের জীবনকে সুরক্ষিত করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মতি দেওয়া।

তিনি বাইডেনের বরাত দিয়ে বলেন, 'আমরা জিম্মিদের মুক্ত করতে চাই। আমরা ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চাই এবং মানবিক সহায়তা বাড়াতে চাই। চুক্তিতে সব পক্ষ সম্মত হলে তা হবে সবচেয়ে ভালো ফলাফল'।

সোমবার হামাস চুক্তিতে সম্মতি দেওয়ার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) রাফাহ পূর্ব মহল্লাগুলো থেকে সবাইকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর বেশ কয়েক দফা বিমানহামলা চালায় আইডিএফ।

কার্বি জানান, সোমবার নেতানিয়াহুকে কল করার মূল কারণ হল সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি, রাফাহ অভিযান ও গাজায় প্রবেশের কেরেম শালোম ক্রসিং বন্ধ নিয়ে আলোচনা করা।

উল্লেখ্য, উত্তর গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে বলার পর সেখানকার হাজারো বাসিন্দা দক্ষিণের রাফায় আশ্রয় নেন। সেখানে এ মুহূর্তে ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি অবস্থান করছেন, যাদের বেশিরভাগই খোলা আকাশের নিচে তাঁবু খাটিয়ে বাস করছেন।

;

যুদ্ধবিরতিতে হামাস রাজি হওয়ায় ফিলিস্তিনিদের উল্লাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গাজা উপত্যকায় একটি প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার পরপরই রাস্তায় নেমে উল্লাস প্রকাশ করেন ফিলিস্তিনিরা।হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় উল্লাস করেছেন। 

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন সাইটে শেয়ার করা ভিডিও ক্লিপগুলোতে দেখা গেছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহ, খান ইউনিস এবং কেন্দ্রীয় দেইর আল-বালাহ শহরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় হামাস জানায় যে, তারা গাজা উপত্যকায় প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

হামাসের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে আনাদোলু জানিয়েছে, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি এবং মিশরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং তার সংগঠনের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অনুমোদনের কথা জানিয়েছেন।

হামাস এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে এমন সময় অনুমোদন দিল যখন ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের পূর্ব পার্শ্ববর্তী এলাকায় অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়ে সেখানকার ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার আদেশ জারি করে। প্রায় ১৫ লাখ উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। ইসরায়েল অনেক দিন থেকেই এই রাফাহতে অভিযান চালানোর হুমকি দিয়ে আসছে। 

মিশরের রাষ্ট্রীয় আল কাহেরা নিউজ চ্যানেল একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সোমবার ভোরে বলেছে, গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য হামাসের একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার ভোরে কায়রোতে আসে।

এর আগে হামাসের প্রতিনিধি দলটির সদস্যরা তাদের নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য দুই দিনের যুদ্ধবিরতি আলোচনার পর রোববার মিশরের রাজধানী ত্যাগ করেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সীমান্তের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এতে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়। সেই সঙ্গে অন্তত ২০০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এর জবাবে ওইদিন থেকেই গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। 

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় গত কয়েক মাসের ইসরায়েলি হামলায় ৩৪ হাজার ৭০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সেই সঙ্গে প্রায় ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

;