মানব মস্তিষ্কে চিপ বসানোর অনুমতি পেল মাস্কের কোম্পানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউরালিংক ইমপ্লান্ট কোম্পানি কম্পিউটারের সঙ্গে মস্তিষ্ককে সংযুক্ত করে মানুষের দৃষ্টি ও গতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করতে চায়। এতদিন সেটি প্রত্যাখ্যান হয়ে এসেছে। কিন্তু, এবার ইলন মাস্কের ব্রেইন-চিপ ফার্ম জানিয়েছে, তারা মানুষের ওপর প্রথম পরীক্ষা চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে। খবর বিবিসি।

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, ইলনের ফার্মের বক্তব্য অনুযায়ী অংশগ্রহণকারীদের নিয়োগ শুরুর তাৎক্ষণিক কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। আর এফডিএ জানিয়েছে, তারা নিউরালিংকের ঘোষণাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

গত মার্চে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এফডিএর অনুমোদন পাওয়ার জন্য নিউরালিংকের একটি প্রস্তাব নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। আর গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, নিউরালিংক পক্ষাঘাত ও অন্ধত্বের মতো অবস্থার চিকিৎসার জন্য এবং কিছু প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কম্পিউটার ও মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সহায়তা করার জন্য মাইক্রো চিপগুলো ব্যবহারের আশা করে। বিবিসি তাদের এই প্রতিবেদনে রয়টার্সের তথ্যও তুলে ধরে।

বানরের ওপর পরীক্ষা করা চিপগুলো মস্তিষ্কে উৎপাদিত সংকেত ব্যাখ্যা করতে এবং ব্লুটুথের মাধ্যমে ডিভাইসে তথ্য পাঠাতে ডিজাইন করা হয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে নিউরালিংকের মস্তিষ্কের ইমপ্লান্ট ব্যাপকভাবে উপলব্ধ হতে হলে প্রযুক্তিগত ও নৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে ব্যাপক পরীক্ষার প্রয়োজন হবে।

   

‘কসোভোয় হামলার পরিকল্পনা করেছেন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
কসোভোর প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তি। ছবি : সংগৃহীত

কসোভোর প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তি। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকসান্ডার ভুসিক যুদ্ধ শুরুর লক্ষ্যে উত্তর কসোভোতে হামলার পরিকল্পনা করেছেন এবং নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন কসোভোর প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তি।

প্রসঙ্গত, প্রায় ৩০ জন ভারী অস্ত্রধারী সার্ব হামলাকারী গত রবিবার বানজস্কা গ্রামে হামলা চালায়। সার্বিয়ার ওই সশস্ত্র যোদ্ধারা অর্থোডক্স মঠে হামলা চালালে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে কসোভোর এক পুলিশ এবং তিন সার্ব হামলাকারী নিহত হন।

কয়েক ঘন্টা পরে পুলিশ মঠটি পুনরুদ্ধার করে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে।

কসোভোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হেলাল ভেকলার মতে, সশস্ত্র হামলাকারীদের মধ্যে আহত ছয় সদস্যকে দক্ষিণ সার্বিয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকি হামলাকারীরা পালিয়ে গেছে।

আলবিন কুর্তি আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘বানজস্কায় সশস্ত্র হামলাকারীদের কাছ থেকে সার্বিয়ায় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, যা খোলা বাজারে পাওয়া যায় না। আমরা পাঁচ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের গোলাবারুদ এবং অস্ত্র উদ্ধার করেছি, যার সবই সার্বিয়ার অস্ত্র কারখানায় তৈরি করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হ্যান্ড গ্রেনেড, মেশিনগান উদ্ধারের ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে, সার্বিয়ার সেনাবাহিনী একটি আধাসামরিক বাহিনী গঠন করেছে।’

কুর্তি বলেন, ‘গত রবিবারের আক্রমণের চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল উত্তেজনা বাড়ানো। তারা চেয়েছিল আমাদের পুলিশ বানজস্কা মঠে প্রবেশ করুক, যাতে তারা সেই ছবি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু, এটি ঘটেনি কারণ আমাদের পুলিশ খুব শক্তিশালী এবং খুব পেশাদার। ফলে, হামলাকারীরা পালিয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা গত রবিবার যুদ্ধ শুরু করতে চেয়েছিল। এটি সর্বজনবিদিত যে, সারাজেভোতে কীভাবে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। আমরা খুব সতর্ক ছিলাম যাতে অনুরূপ কিছু না ঘটে। কিন্তু, আমি মনে করি তারা যুদ্ধের শুরু থেকেই যুগোস্লাভিয়ার সাবেক এই প্রজাতন্ত্রে যুদ্ধ পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি করতে চেয়েছিল।’

কুর্তি বলেন, ‘মিলান রাডোসিক নামের একজন শীর্ষস্থানীয় কসোভো সার্ব রাজনীতিবিদ শুক্রবার স্বীকার করেছেন যে, তিনি হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন এবং বেলগ্রেড থেকে সামরিক সরঞ্জাম এবং প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলেন। তারা সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ভুসিকের কাছ থেকে রাজনৈতিক আদেশও পেয়েছিলেন।’

কসোভোর বেলগ্রেড সমর্থিত সার্ব রাজনৈতিক দল ‘সার্ব লিস্ট’-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট রাডোসিক শুক্রবার তার অবস্থান থেকে পদত্যাগ করেন এবং আক্রমণটিকে কসোভো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরক্ষা অভিযান বলে অভিহিত করেন।

;

পাকিস্তানের হামলায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত, দাবি পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পাকিস্তানের অন্তবর্তীকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি । ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের অন্তবর্তীকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি । ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান ও খাইবার-পাখতুনকওয়া প্রদেশে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা, রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (RAW) জড়িত বলে দাবি করেছেন দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি। পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।  

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দেশটির কোয়েটা প্রদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বুগতি বলেন, আমরা জানি কে এবং কারা কোথা থেকে এ ঘটনার ইন্ধন দিচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জানে কারা এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত। পাকিস্তানিরা এ হামলার প্রতিটি রক্তের ফোঁটার প্রতিশোধ নেবে।

দেশে জঙ্গি ও তাদের সহায়তাকারীদের কোনো স্থান নেই বলে জোর দিয়ে সন্ত্রাস নির্মূলে সব ধরনের শক্তি ব্যবহার করার প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।

এদিকে, বেলুচিস্তানের মাস্তুং জেলায় ঈদে মিলাদুন নবীর মিছিলের প্রস্তুতি চলাকালীন আত্মঘাতী হামলার বিরুদ্ধে কোয়েটার কাউন্টার-টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) থানায় অজ্ঞাত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

সিটিডির এক মুখপাত্র জিও নিউজকে জানান, খুন, খুনের চেষ্টা, সন্ত্রাসবিরোধী এবং বিস্ফোরক আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মুখপাত্র আরও জানান, ঘটনার পরে তদন্ত চলছে, তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রসহ, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, আলজেরিয়া, ফ্রান্স, তুর্কি এবং মিশর এ সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

দেশগুলো সকল প্রকার সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ এবং নাগরিকদের ভয় দেখানোর বিরুদ্ধে তাদের দৃঢ় অবস্থান পুন:ব্যক্ত করেছে এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছে।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানে পরপর দুইবার বোমা হামলার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৭ জন এবং আহত শতাধিক।



;

সাইফার মামলার তদন্তে দোষী সাব্যস্ত ইমরান খান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ইমরান খান। ছবি : সংগৃহীত

ইমরান খান। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে শনিবার রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা প্রকাশের (সাইফার) মামলায় দোষী ঘোষণা সাব্যস্ত করেছে দেশটির শীর্ষ তদন্ত সংস্থা।

ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান এবং তার ডেপুটি কুরেশির বিরুদ্ধে শনিবার চার্জশিট জমা দিয়েছে।

পাকিস্তান অবজারভারভারের ওয়েবসাইটের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে প্রতিষ্ঠিত একটি বিশেষ আদালতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলছে এবং ইমরান ও কুরেশি-উভয়ই বর্তমানে বিচার বিভাগীয় রিমান্ডে কারাগারে আটক রয়েছেন।

গত বছর মার্চ মাসে ওয়াশিংটনে দেশটির দূতাবাসের পাঠানো একটি গোপন কূটনৈতিক তথ্য প্রকাশ করায় অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগে গত মাসে গ্রেপ্তার হন ৭০ বছর বয়সি ইমরান খান।

সাইফার মামলায় পিটিআই নেতাদের বিচার শুরু করতে এবং আইন অনুযায়ী তাদের সাজা দেওয়ার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেছে এফআইএ।

এফআইএ-এর চার্জশিটে ইমরান ও কুরেশির নাম থাকলেও পিটিআইয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উমরের নাম নেই বলে জানা গেছে।

জিওটিভি জানিয়েছে, ওই মামলায় সাবেক মুখ্য সচিব আজম খানকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে এফআইএ-এর শক্তিশালী সাক্ষী হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন আজম খান।

পাকিস্তান অবজারভার আরও জানিয়েছে, আদালতে চার্জশিটসহ ২৮ জন সাক্ষীর একটি তালিকা জমা দিয়েছে এফআইএ।

সাক্ষীদের তালিকায় পররাষ্ট্র সচিব আসাদ মজিদ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সোহেল মাহমুদ এবং অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ফয়সাল নিয়াজ তিরমিজির নাম রয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর তৃতীয়বারের মতো ইমরান খানকে রিমান্ডে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। তার বিচার বিভাগীয় রিমান্ড প্রাথমিকভাবে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

;

রাশিয়ার ৩০টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ইউক্রেনের আকাশে ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন। ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেনের আকাশে ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে রাশিয়ার পাঠানো ইরানের তৈরি ৪০টি শাহেদ ড্রোনের মধ্যে ৩০টি ড্রোন কিয়েভের বিমানবাহিনী ভূপাতিত করেছে বলে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দাবি করেছে দেশটির আঞ্চলিক ও সামরিক কর্মকর্তারা।

ইউক্রেনের দক্ষিণ সামরিক কমান্ডের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ভূপাতিত করা ৩০ টি ড্রোনের মধ্যে ২০টি ড্রোন মধ্য ভিনিশিয়া অঞ্চলে এবং বাকি ১০টি দক্ষিণে ওডেসা এবং মাইকোলাইভ অঞ্চলে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়।

দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের মুখপাত্র নাটালিয়া হুমেনিউক ইউক্রেনের টিভিকে বলেছেন, রাশিয়া দানিয়ুব নদীর শস্যবন্দরের অবকাঠামোতে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে এবং অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে হামলা করছে।

প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ে শস্যচুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে দানিউব নদীর শস্যবন্দর, ওডেসা বন্দরসহ ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি অবকাঠামোতে বিমান হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া।

ভিন্নিতসিয়ার আঞ্চলিক গভর্নর সেরহি বোরজভ বলেছেন, মস্কোর ড্রোন এই অঞ্চলের একটি অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে, যার ফলে বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

তবে, ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আর কোনো তথ্য দেননি তিনি। আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, দক্ষিণ খেরসন অঞ্চলে তিনজন আহত হয়েছে।

এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বৈঠক করেছেন চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ।

রয়টার্স জানিয়েছে, পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় চেচেন অঞ্চলের অবদান নিয়ে আলোচনা করেছেন কাদিরভ।

প্রসঙ্গত, মস্কোর স্বার্থ রক্ষায় চেচনিয়াকে নির্মমভাবে পরিচালনার জন্য পুতিনের কাছ থেকে বিস্তৃত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন কাদিরভ।

মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে একটি পোস্টে কাদিরভ লিখেছেন, পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেনে চেচেন যোদ্ধাদের ভূমিকাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

তিনি আরও লিখেছেন, আলোচনায় অন্য কিছু সমস্যা উত্থাপিত হয়েছিল এবং পরে ওই সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

কাদিরভের ছেলে গত মাসে কোরআন পোড়ানোর অভিযোগে অ্যাডাম নিকিতা ঝুরাভেল নামে একজন জাতিগত রাশিয়ান বন্দিকে লাথি ও ঘুষি মেরেছিল।

যদিও পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় ওই ঘটনা উঠেছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়।

কাদিরভ সোমবার ওই রাশিয়ান বন্দিকে মারধরের ভিডিও পোস্ট করে বলেছেন, মুসলিম ধর্ম রক্ষায় তার ছেলের ভূমিকার জন্য গর্বিত তিনি।

কথিত কোরআন পোড়ানোর ঘটনা চেচনিয়ায় ঘটেনি। তবে রাশিয়ান তদন্তকারীরা বলেছেন, তারা ঝুরাভেলকে চেচেন হেফাজতে স্থানান্তর করেছেন, কারণ সেখানকার মুসলমানরা নিজেদেরকে ওই ঘটনার শিকার হিসাবে দেখছে।

সাবেক ক্রেমলিনের বক্তৃতা লেখক এবং বর্তমানে পুতিনের কঠোর সমালোচক আব্বাস গ্যালিয়ামভ বলেছেন, ‘ওই মারধরের ঘটনায় পুতিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা যায় যে, তিনি একজন জাতিগত রাশিয়ানকে হত্যা করার জন্য চেচেনদের হাতে তুলে দিয়েছেন।’

এদিকে, চলতি মাসে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, ৪৬ বছর বয়সি কাদিরভ গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছেন।

কাদিরভ ক্ষমতা হস্তান্তর করার বিষয়ে বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যে ভেবেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি তিন কিশোর ছেলের প্রোফাইল উত্থাপনও করেছেন, যাদের মধ্যে বড় ছেলেটি গত মার্চ মাসে ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে ছবি তুলেছিল।

অন্যদিকে, চেচনিয়ায় স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা মস্কোর জন্য অত্যাবশ্যক। কারণ, সোভিয়েত ইউনিয়ন পৃথক না হওয়ার জন্য দুটি নৃশংস এবং ব্যয়বহুল যুদ্ধ করেছে তারা।

;