লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে ২২ জনের মৃত্যু
![ছবি: সংগৃহীত](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2022/Jul/06/1657101198727.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
লিবিয়া উপকূলে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে তিন শিশুসহ ২২ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা সবাই মালির নাগরিক বলে নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ এবং দেশটির সরকার।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ডুবে যাওয়া নৌকাতে ৮৩ জন ছিল। এদের বেশিরভাগই মালির নাগরিক। তাদের বহনকারী নৌকাটি গত ২২ জুন থেকে আটকে পড়ে। মঙ্গলবার মালির পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, লিবিয়ার কোস্টগার্ডের সহায়তায় ৬১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নয় দিন সাগরে আটকে থাকার পর শনিবার তাদের উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়।
আইওএম মুখপাত্র সাফা মাসেলি জানান, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের মতে ২২ জনের মৃত্যুর কারণ ছিল ডুবে যাওয়া এবং পানিশূন্যতা। মাসেলি আরও বলেন, বেঁচে থাকা কয়েকজনের স্বাস্থ্য খুব খারাপ ছিল এবং তাদের আইওএম হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বাকি অভিবাসীদের লিবিয়ার আল-মায়া আটক কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনের যুদ্ধ থেকে উদ্ভূত খাদ্য সংকট, দারিদ্র্য, সংঘাত এবং নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা লোকদের ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। আর এরই মধ্যে সবশেষ বিপর্যয়ের ঘটনাটি সামনে এসেছে। যুদ্ধের পাশাপাশি, বিশ্লেষকরা কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাবকেও একটি চালিকাশক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ইউক্রেনের শস্য রফতানি ব্যাহত হওয়ার কারণে ক্ষুধার সংকট বেড়ে যাওয়ায় আফ্রিকার সাহেল এবং সাব-সাহারান অঞ্চল থেকে বিশৃঙ্খল অভিবাসন শুরু হবে।
গত সপ্তাহে ২০০০ লোকের একটি দল স্পেনের উত্তর আফ্রিকান ছিটমহল মেলিলায় প্রবেশ করার সময় অন্তত ২৩ জন মারা যায়। মরক্কো এবং স্পেনের মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি এই ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।