চট্টগ্রামে নিহত মালয়েশিয়ান ক্রু’র মরদেহ দ্রুত নিতে পরিবারের আবেদন
বাংলাদেশের চট্টগ্রামের জলসীমায় দুর্ঘটনায় নিহত মালয়েশিয়ান নাগরিকের মরদেহ দ্রুত সে দেশে ফিরিয়ে নিতে সেই দেশের সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে পরিবারটি।
গত বুধবার (৮ মে) চট্টগ্রাম বন্দরের কাছে জাহাজের পাইলট মই বসানোর সময় সাগরে পড়ে মৃত্যু হয় মালয়েশিয়ান ক্রু মুহাম্মদ ঈসা মুহাম্মদ বীরমোহনের। এরপর গত সোমবার (১৩ মে) মরদেহটি খুঁজে পেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মৃতদেহ ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া দ্রুত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নিহতের পরিবার মালয়েশিয়া সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
ন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ সিফারার্স অফ পেনিনসুলার মালয়েশিয়ার (এনইউএসপিএম) নির্বাহী পরিচালক ইকমাল আজম থানারাজ আবদুল্লাহ গত বুধবার (১৫ মে) নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। এ সময় তার স্বজনেরা ইকমাল আজমের কাছে এই আবেদন জানান।
ইকবাল আজম স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বুধবার (১৫ মে) পর্যন্ত মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই রয়েছে। আমরা সরকারের সঙ্গে কথা বলে চেষ্টা করছি দ্রুত মরদেহ মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসতে। পরিবারটি আশা করছে মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া দ্রুত হবে।’
অত্যাধুনিক রকেটের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান
অত্যাধুনিক রকেটের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। সফলভাবে পরীক্ষা চালানো ওই রকেটটির নাম ফাতাহ-২।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী সফলভাবে ফাতাহ-২ গাইডেড রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। এটি ৪০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। এই অস্ত্র পাকিস্তানের সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রকেট সিস্টেমটি তাদের সেনাবাহিনীর প্রচলিত অস্ত্রাগারের নাগাল এবং প্রাণঘাতী সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে আপগ্রেড করবে।
দ্য ডন বলছে, গাইডেন্স সিস্টেম এই রকেটটিকে নির্ভুল অস্ত্র করে তুলেছে। কারণ এর ফলে অস্ত্রটির ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা এবং কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ট্র্যাজেক্টোরি মোড এবং টার্মিনাল গাইডেন্স প্রযুক্তির ফলে এই রকেটটি শত্রুর অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমও এড়াতে সক্ষম।
রকেটটিকে সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ডিভিশনে অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে। এটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বারা পরিচালিত যুদ্ধে ব্যবহার করা হবে।
রকেট সিস্টেম উৎক্ষেপণের সময় উপস্থিত ছিলেন, সেনাপ্রধান, তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা।
এমন কৃতিত্বের জন্য দেশটির রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান এবং সেনাপ্রধান অংশগ্রহণকারী সেনা ও বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ইসরায়েলে ৬০টিরও বেশি রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ
লেবাননের পূর্বে ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য ৬০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছে দেশটির ইরান-সমর্থিত গ্রুপ হিজবুল্লাহ।
রয়টার্স জানিয়েছে, সীমান্ত অঞ্চলে ইসরায়েল এবং হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহ’র মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই গুলি বিনিময় চলছে।
গ্রুপটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরায়েল-অধিভুক্ত গোলান হাইটসে বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি সামরিক অবস্থানে ৬০টিরও বেশি কাতিউশা রকেট ছুড়েছে।
পূর্ব লেবাননের বালবেক এলাকায় বুধবার রাতে ইসরায়েলি শত্রুদের আক্রমণের জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে গ্রুপটি।
এর আগে বৃহস্পতিবার লেবাননের রাষ্ট্র পরিচালিত মিডিয়া বালবেক এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলার খবর জানায়।
লেবাননের সরকারি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) জানিয়েছে, ‘পূর্ব লেবাননের পর্বতশ্রেণীর উপকণ্ঠের শহরটি মধ্যরাতে পাঁচবার শত্রু আক্রমণের শিকার হয়েছিল।’
এনএনএ আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় এক বেসামরিক নাগরিক সামান্য আহত হয়েছে।
হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ’র একটি সামরিক ক্যাম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র এএফপিকে বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল বিমান হামলা চালানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, বেকা উপত্যকার বালবেক এলাকাটিতে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী হিজবুল্লাহর ঘাঁটি রয়েছে।
ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর
পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালিতে রাতের অন্ধকারে এক নারীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় এফআইআর দাখিল করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ওই নারী অভিযোগপত্রে স্থানীয় তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিকসহ মোট পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করেছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
বুধবার (১৪ মে) রাতেই থানায় ওই অভিযোগ দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে সেই অভিযোগকে এফআইআর হিসাবে ধার্য করার খবর পাওয়া যায়।
জানা গেছে, এফআইআরে নাম রয়েছে তৃণমূল নেতা দিলীপ এবং তার ছায়াসঙ্গী সৈকত দাসেরও।
সন্দেশখালির মাঝেরপাড়া এলাকায় এক নারীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে তিন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক। ওই নারীর স্বামী সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই নারী নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে থাকেন। ধস্তাধস্তিতে তিনি পাশের পুকুরে পড়ে যান। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন।
ওই নারীর দাবি, তখন পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন। রাতেই সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ জানান তিনি। সকালে সেই অভিযোগকে এফআইআর হিসাবে নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে ওই নারীকে সন্দেশখালি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তার বয়ান রেকর্ড করা হয়। এরপর তাকে বসিরহাটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। বসিরহাট মহকুমা আদালতে তার গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র বলেন, ‘শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হয়েছে ঠিকই। কিন্তু শাহজাহান বলেছিল, সন্দেশখালিতে প্রচুর শেখ শাহজাহান তৈরি আছে। তার কথাই ঠিক হলো। এই দুষ্কৃতীরা আজ আমাদের মা-বোনেদের উপর অত্যাচার করছে। আসলে তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই এসব করছে।’
অন্যদিকে, সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, ‘দলে দলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। তাই বিজেপি দিশাহারা হয়ে গেছে। ফলে নারীদের দিয়ে এসব অভিযোগ করাচ্ছে। আসলে দিলীপ মল্লিক খুব ভাল সংগঠক। ভাল কাজ করছেন। যেটা বিজেপির পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। সেই কারণেই দিলীপ মল্লিকের বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ।’