বৈষম্য ঘোচাতে ফ্রান্সে প্রথমবারের মত স্কুল ড্রেস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যাবে কিন্তু নির্দিষ্ট স্কুল ড্রেস পরবে না, উপমহাদেশের স্কুলগুলোতে এটা কল্পনাতীত। তবে ফ্রান্সের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এতোদিন কোনো নির্দিষ্ট ড্রেস না পরেই স্কুল যেত।

তবে এবার প্রথমবারের মত প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল ড্রেস নির্ধারণ করেছে ফ্রান্স। ফ্রান্সের আঞ্চলিক অধিদপ্তর থেকে আকাশি-নীল রঙের পোলো শার্ট ও সুয়েটার স্কুলের পোশাক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই পোশাকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে পারিবারিক যে অর্থনৈতিক বৈষম্য আছে তা আর পোশাকে ফুটে উঠবে না বলে মনে করে দেশটির আঞ্চলিক নীতিনির্ধারকরা।

ইতোমধ্যেই শিক্ষার্থীরা স্কুল ড্রেস পড়ে স্কুলে আসা শুরু করেছে। ৪ নভেম্বর থেকে শরৎকালীন ছুটি শেষ হয় ফ্রান্সের স্কুল গুলোতে। আর এই ছুটি শেষেই প্যারিসের আশেপাশের স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীরা স্কুল ড্রেস পড়েই স্কুলে আসে। তবে অনেক শিক্ষার্থী স্কুল ড্রেস না পড়ে আসলেও সংশ্লিষ্টরা এই নিয়ে কোনো সংশয় দেখায়নি।

প্রথমবারের মত নির্দিষ্ট ড্রেস পড়ে স্কুলে আসায় শিক্ষার্থীদের মাঝেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া ফুটে উঠে। আট বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী বলে, ‘আমি কিছুটা ভীত। তবে এই পোশাকটা ভালো লেগেছে। কারণ এটা অনেকটা হ্যারি পটারের মত দেখায়।’

স্কুলের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক নিয়ে এ বছরের জুনে একটা জরিপ চালানো হয় ফ্রান্সজুড়ে। সেই সমীক্ষায় ৬২ শতাংশ অভিভাবক এই  স্কুল ড্রেস সংযুক্তির পক্ষে রায় দেয়। জরিপের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নেয় ফ্রান্স সরকার। 

   

বাইডেনকে তিরস্কার করে ইসরায়েলে অস্ত্র চালান জোরদারে বিল পাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলে বোমার চালান স্থগিত করায় রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ (প্রতিনিধি পরিষদ) প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে তিরস্কার করেছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলে অস্ত্র চালান জোরদার করতে প্রতিনিধি পরিষদে বিল পাস হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিলটি ২২৪-১৮৭ ভোটে পাস হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়র্টাস। বিলে রিপাবলিকানদের সঙ্গে ডেমোক্র্যাট দলের ১৬ জন হ্যাঁ ভোট দিয়েছেন এবং ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে তিনজন রিপাবলিকান বিলের বিরোধিতা করেন।

এর আগে, গাজার রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযানের জের ধরে গত সপ্তাহে দেশটিতে বোমার একটি চালান স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইসরায়েলকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিতে যাচ্ছে।

ইসরায়েলকে নতুন করে আরও ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিতে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নতুন করে অস্ত্রসহায়তা দেওয়ার যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে প্রায় ৭০ কোটি ডলারের ট্যাংকের গোলা, ৫০ কোটি ডলারের কৌশলগত সামরিক যান ও ৬ কোটি ডলারের মর্টারের গোলা।

তবে কত দ্রুত এসব অস্ত্রশস্ত্র ও গোলা পাঠানো হবে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামলার মুখে গাজার দক্ষিণে রাফায় আশ্রয় নেন লাখ লাখ মানুষ। এবার সেখানেও স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাহিনী। তাদের এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশটির ঘনিষ্ঠ মিত্ররাও।

এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজার রাফা এলাকায় সামরিক অভিযান বন্ধে ইসরায়েলকে চাপ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার করা আবেদনের ওপর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) শুনানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার শুনানির প্রথম দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছে প্রিটোরিয়া। শুনানিতে দেশটির অভিযোগ—গাজায় ইসরায়েলের জাতিগত নিধন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

গত শুক্রবার জাতিসংঘের শীর্ষ এ আদালতে আবেদনটি করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। গাজায় ইসরায়েলের চলমান অভিযান ঘিরে আইনি প্রক্রিয়া শুরুর পর এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো আদালতটির কাছে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানাল দেশটি।

এর আগে উপত্যকাটিতে গণহত্যার অভিযোগ এনে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

;

খারকিভে কঠিন লড়াই চলছে, তবে ‘নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে: জেলেনস্কি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের খারকিভ শহর ঘিরে ‘কঠিন লড়াই’ চলছে বলে জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত কঠিন’, তবে ‘নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) খারকিভের শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের পর জেলেনস্কি এসব কথা বলেন।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ সীমান্তে আকস্মিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ইতোমধ্যে তারা বেশকিছু এলাকা দখল করে নিয়েছে যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে।

জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনীয় সৈন্যরা দখলদারের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষতি সাধন করছে। তিনি বলেন, তবে এলাকাটিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে আমাদের ইউনিটকে শক্তিশালী করছি।

খারকিভের গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ বলেছেন, ইউক্রেন এই অঞ্চলে ফ্রন্ট লাইনকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং রাশিয়ার অগ্রগতি আংশিকভাবে থামাতে সক্ষম হয়েছে।

ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মস্কো ৯ থেকে ১৫ মের মধ্যে ইউক্রেনের ২৭৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করেছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার শুরুতে খারকিভ শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে গিয়েছিল রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে তারা আবার সীমান্তে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

;

ক্লদ মনে’র পেইন্টিং ৩৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরাসি চিত্রশিল্পী ক্লদ মনের একটি পেন্টিং নিউইয়র্কে বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় এক নিলামে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

নিলাম প্রতিষ্ঠান সোথেবিস বলেছে, এর মাধ্যমে নিউইয়র্কে বসন্তকালীন নিলামে পেন্টিং চড়া মূল্যে বিক্রির সম্ভাবনার সূচনা ঘটেছে।

সোথেবিস এবং প্রতিদ্বদ্ধী নিলাম ঘর ক্রিস্টি উভয়ই গত সোমবার তাদের বসন্তকালীন পেন্টিং নিলাম শুরু করেছে। যদিও বৈশ্বিক শিল্প বাজার গত বছর দুর্বল ছিল, কিন্তু, ২০২৪ সালে লন্ডন এবং প্যারিসে ওঠা চড়া দাম তাদের মধ্যে আশাবাদের জন্ম দিয়েছে।

১৮৯৩ সালে ফরাসি ইমপ্রেশনিস্ট শিল্পী ক্লদ মনের আঁকা পেন্টিং ‘মিউলস এ জিভার্নি’ নিলামের দরকষাকষির লড়াইয়ে দাম উঠেছে ৩৪.৮ মিলিয়ন ডলার।

এদিকে, ব্রিটিশ-মেক্সিকান শিল্পী লিওনোরা ক্যারিংটন তার নিজের নিলামের রেকর্ড ভেঙেছেন। তার ‘লেস ডিস্ট্রাকশন ডি ডাগোবার্ট’ পেন্টিংটি ২৮.৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে।

সাথেবিস বলেছে, ‘নতুন রেকর্ডটি ক্যারিংটনকে নিলামে শীর্ষ পাঁচ নারী শিল্পীর মধ্যে স্থান দিয়েছে এবং শীর্ষ চার পরাবাস্তববাদী শিল্পীর মধ্যে ম্যাক্স আর্নস্ট এবং সালভাদর ডালিকে ছাড়িয়ে গেছে।’

ইতোমধ্যে নিলাম ঘর ক্রিস্টি প্রায় ১১৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে, যার মধ্যে একটি জিন-মিশেল বাস্কিয়েরেট পেইন্টিং ৩২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে।

;

গাজা শীর্ষ সম্মেলন, বাহরাইন যাচ্ছেন আরব নেতারা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় একটি শীর্ষ সম্মেলনের জন্য বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাহরাইনে সমবেত হচ্ছেন আরব নেতারা।

এ সম্মেলন উপলক্ষ্যে উপসাগরীয় রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বুধবার (১৫ মে) দেশটির রাজধানী মানামায় পৌঁছাতে শুরু করেন। সম্মেলন স্থলে আরব লীগের ২২ সদস্যের পতাকা উড়ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রতিবেশী সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে নভেম্বরে একটি শীর্ষ সম্মেলনের পর থেকে এই প্রথম ব্লকটি একত্রিত হলো। সৌদি আরবের সম্মেলনে জেদ্দাভিত্তিক ৫৭ সদস্যের অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

ওই বৈঠকে নেতারা গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর কর্মকান্ডের নিন্দা জানিয়েছিলেন।

কুয়েতের বিশ্লেষক জাফের আল-আজমি বলেছেন, ‘৭০ বছরেরও বেশি সময় আগে ইসরায়েলের জন্মের পর থেকে পশ্চিমা জনমত ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করতে এবং তাদের ওপর করা অন্যায় বন্ধের দাবির প্রতি আরও বেশি ঝুঁকেছে।’

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করাসহ তাদের যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।

ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যান তুলে ধরে এএফপি জানায়, দক্ষিণ ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ১,১৭০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। এ সময় হামাস প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে।

ইসরায়েলের মতে এদের মধ্যে ১২৮ গাজায় রয়ে গেছে, যার মধ্যে ৩৬ জন মারা গেছে বলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ধারণা।

হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে।

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের সামরিক প্রতিশোধে কমপক্ষে ৩৫,২৩৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

পাশাপাশি ইসরায়েলের অবরোধের কারণে ভয়াবহ খাদ্য সংকট এবং দুর্ভিক্ষের হুমকি দেখা দিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার বলেছেন, প্রায় ৫ লাখ লোককে দক্ষিণ গাজার শহর রাফাহ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আপত্তি সত্ত্বেও হামাস ব্যাটালিয়নের অবশিষ্টাংশের নির্মূল করার ওপর জোর দিচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশিরভাগই রাফাহ আক্রমণের সম্পূর্ণ বিরোধিতা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু সেখানে ইসরায়েলি অভিযানে মানবিক বিপর্যয় ঘটাবে-এমন দাবি মানতে নারাজ।

এই পটভূমিতে কাতারের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তির আলোচনাকে অচলাবস্থার কাছাকাছি বলে বর্ণনা করে আজমি বলেন, ‘আরব দেশগুলোর সুর পরিবর্তিত হয়েছে।’

;