ইন্দোনেশিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে জীবিতের খোঁজ মেলেনি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্দোনেশিয়ার জাভা সাগরে ১৮৯ আরোহী নিয়ে লায়ন এয়ারের যাত্রীবাহী বোয়িং ৭৩৭ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এখনো কাউকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। দেশটির অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, ধ্বংসাবশেষ ও মানবদেহের অংশের খোঁজ পাওয়া যাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে কেউ জীবিত নেই।

ইন্দোনেশিয়ার অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা সোমবার আল-জাজিরাকে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ৬টা ২০ মিনিটে জাকার্তা থেকে সুমাত্রা যাওয়ার পথে লায়ন এয়ারের একটি যাত্রীবাহী বিমান জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/29/1540823775122.jpg

কর্মকর্তারা জানান, বিমানটিতে ক্রুসহ ১৮৯ জন আরোহী ছিল। উড্ডয়নের ১৩ মিনিট পর স্থানীয় সময় সাড়ে ৬টায় বিমানটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।

বিমান ট্র্যাকিং সেবাদাতা ফ্লাইটর‌্যাডার ২৪ জানায়, বিমানটি ছিল একটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮।

এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় বিমানটি সমুদ্রপৃষ্ঠের এক হাজার ১১৩ মিটার ওপর দিয়ে পাড়ি দিয়ে রাজধানী থেকে সুমাত্রার পংকল পিনাং যাচ্ছিল।

ইন্দোনেশিয়ার বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপত্র ইয়োহানেজ সিরাইত জানান, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে পাইলট খুব দ্রুত বিমানবন্দরে ফিরতে অনুরোধ করেছিল।

সিরাইত বলেন, ‘এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল পাইলট সে অনুমতি দিয়েছিল, কিন্তু তারপরই বিমানটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।’

অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ সিয়াগি জানান, বিমানটি যেখানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় সেখানে ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে সিয়াগি বলেন, ‘আমরা এখনও জানি না সেখানে কেউ বেঁচে আছেন কিনা। আমরা আশা করি, প্রার্থনা করি কিন্তু এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/29/1540823721869.jpg

সংস্থার প্রায়োগিক পরিচালক ব্যামব্যাং সারিও বলেন, ‘এখন আমাদের মূল কাজ হচ্ছে মূল বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া।’

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ইন্দোনেশিয়ায় এয়ারএশিয়া’র একটি বিমান সাগরে নিমজ্জিত হওয়ার পর এটিই সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনা। ঐ দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ১৬২ জনের সবাই প্রাণ হারান।

লায়ন যাত্রীবাহী বিমানে তিন শিশুসহ ১৮১ আরোহী ও আট জন ক্রু ছিল। ধারণা করা হচ্ছে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ডুবে গেছে।

ধ্বংসাবশেষ পাওয়া স্থানে ডুবুরিদের কাজে লাগানো হয়েছে। সাগরের সেখানে জীবনরক্ষাকারী জ্যাকেট ও মোবাইল ফোন ভাসতে দেখা যায়।

জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা জানায়, বিমানটি পশ্চিম জাভার সাগরে পতিত হয়েছে, যেখানে পানির গভীরতা ৩০ থেকে ৩৫ মিটার।

দেশটির পরিবহণ নিরাপত্তা কমিটির এক কর্মকর্তা জানান, তিনি বিমানটির বিধ্বস্ত হওয়ার কোনো কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি।

সুয়েরজানতো জাজনো বলেন, ‘কন্টোল টাওয়ার থেকে বিমানটি যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করব। বিমানটি খুবই আধুনিক মানের, এটি চলার সময় তথ্য প্রেরণ করে এবং আমরা এটিও পর্যালোচনা করব। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ব্লাকবক্স।

ফ্লাইটর‌্যাডার ওয়েবসাইট দেখায় যে বিমানটি উড্ডয়নের সময়ই দক্ষিণ দিকে বাঁক নিচ্ছিল। এরপর জাভা সাগরের ওপরে উপকূলের অদূরে যাত্রাপথ শেষ করার আগে উত্তর দিকে এগোচ্ছিল।

ফ্লাইটর‌্যাডার জানায়, সাগরে পতিত হওয়ার আগে বিমানটি একবার এক হাজার ৫২০ মিটার উচ্চতায় ওঠে। রেকর্ড অনুসারে বিমানটি সর্বশেষ এক হাজার ১১৩ মিটার উচ্চতায় ছিল এবং গতি ৩৪৫ নটে বৃদ্ধি পেয়েছিল।

ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পার্টামিনা কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান, সাগরে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমের পাশেই বিমানের আসনসহ ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

দেশটির টেলিভিশনে দেখা যায়, পংকল পিনাং বিমানবন্দরের বাইরে কয়েকশত মানুষ অপেক্ষা করছেন।

বিমান দুর্ঘটনা অনুসন্ধানকারীদের মতে, গত আগস্টে লায়ন বিমানে বোয়িংটি অন্তর্ভুক্ত হয়। এ পর্যন্ত বিমানটি ৮০০ ঘণ্টা উড্ডয়ন করেছে।

জ্বালানি সাশ্রয়ী বহুল বিক্রিত বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স এর উন্নত সংস্করণ এ বিমানের এটিই প্রথম কোনো দুর্ঘটনার খবর। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মত বোয়িং ৭৩৭ যাত্রা শুরু করে।

টুইটারে বিমানটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জানায়, বিধ্বস্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে বোয়িং খুবই সতর্ক ছিল এবং নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার এ ঘটনায় সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহণ নিরাপত্তা বোর্ড। এক্ষেত্রে তারা বোয়িং ও যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্স নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিএফএম এর কারিগরি পরামর্শ নেবে।

লায়ন এয়ার হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে নতুন ও বড় বিমান সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, এটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করে।

   

রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান মিলেছে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আল জাজিরা জানিয়েছে, উদ্ধার ও অনুসন্ধান দলগুলো বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির সন্ধান পেয়েছে। তবে, ওই প্রতিবেদনে হেলিকপ্টারের আরোহী প্রেসিডেন্ট রাইসি ও অন্য কর্মকর্তাদের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে, হেলিকপ্টারটির উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া ইরানের রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যম বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়া গেছে বলে অসমর্থিত তথ্য প্রকাশ করেছে।

জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ানের বরাতে দেশটির রাষ্ট্রয়াত্ত টেলিভিশনের এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।

রবিবার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

ওই হেলিকপ্টারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।

;

ইরানকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত যেসব দেশ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার রবিবার (১৯ মে) বিধ্বস্ত হওয়ার পর ইরানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে সৌদি আরব বলেছে, ইরানের জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে তারা।

আরব নিউজ জানিয়েছে, সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, উদ্বেগের সঙ্গে এই বিধ্বস্তের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছে রিয়াদ।

এদিকে ইরাক সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, রেড ক্রিসেন্ট এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুসন্ধান মিশনে প্রতিবেশী ইরানকে সহায়তা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, রবিবার প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি একটি দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হওয়ার পর ইরানের অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলগুলো কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।

ইরনা আরও জানিয়েছে, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর রাইসির জন্য শঙ্কা বেড়ে যায়।

অন্যদিকে, কাতারও বলেছে যে, ইরানের অনুসন্ধান প্রচেষ্টার জন্য তারা সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি খুঁজে বের করার প্রচেষ্টায় সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমে সব ধরণের সহায়তা প্রদানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, তারা ইরানকে হেলিকপ্টার অনুসন্ধানে সহায়তা করার জন্য তাদের দ্রুত প্রতিক্রিয়া ম্যাপিং পরিষেবা সক্রিয় করেছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে লিখেছেন, ‘নিখোঁজ হেলিকপ্টারটির সন্ধানে এবং ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দিতে প্রস্তুত রাশিয়া।’

;

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্বিগ্ন মোদি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট রাইসির আজকের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা এই সঙ্কটের সময়ে ইরানি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি এবং প্রেসিডেন্ট ও তার সফর সঙ্গীদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।’

আর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘মাননীয় প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার সম্পর্কে ইরান থেকে দুঃখজনক সংবাদ শুনেছি। প্রচণ্ড উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছি সুসংবাদের জন্য, যে সব ঠিক আছে। আমাদের প্রার্থনা এবং শুভকামনা মাননীয় প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং সমগ্র ইরানী জাতির সঙ্গে রয়েছে।’

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধস্ত হওয়ার প্রতিবেদনগুলো যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ করছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিও নিখোঁজ হেলিকপ্টারটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, আল্লাহ মহামান্য প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীদের জাতির কাছে ফিরিয়ে দেবেন। সকলকে তাদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করতে হবে। ইরানি জাতির উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়।’

এ সময় সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশাসনে বিঘ্ন না ঘটানোর আহ্বান জানান খামেনি।

;

ইরানের মন্ত্রিসভার বৈঠক, তাবরিজ যাচ্ছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর বৈঠক করেছেন দেশটির মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর পর ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কয়েকজন মন্ত্রী পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের তাবরিজের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইরান সরকারের মুখপাত্র আলী বাহাদুরি ঝারোমি।

রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ আলী বাহাদুরি ঝারোমি লিখেছেন, ‘আজ (রবিবার) মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়েও আলোচনা হয়। এর পর এক্সিকিউটিভ ডেপুটি প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য তাবরিজের উদ্দেশে রওনা হন।’

উল্লেখ্য, রবিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এর পর অন্তত দুই ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও প্রেসিডেন্টের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারের বিষয়েও কিছু জানা যায়নি। পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী হলো তাবরিজ শহর।

ওই হেলিকপ্টারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন। ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

;