দালাল ছাড়াই বিদেশ; 'আমি প্রবাসী'র সুফল পাচ্ছে বিদেশ গমনেচ্ছুরা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
দালাল ছাড়াই বিদেশ; 'আমি প্রবাসী'র সুফল পাচ্ছে বিদেশ গমনেচ্ছুরা

দালাল ছাড়াই বিদেশ; 'আমি প্রবাসী'র সুফল পাচ্ছে বিদেশ গমনেচ্ছুরা

  • Font increase
  • Font Decrease

 

বিদেশগামীদের ভোগান্তির কথা সবার জানা। অসহনীয় এই ভোগান্তি কমিয়ে আনতে পুরো প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনে কাজ করে যাচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। ২০২১ সালের শেষের দিকে বিদেশগামীদের সেবা দিতে তৈরি করা হয় আমি প্রবাসী নামের একটি অ্যাপ। এটি ব্যবহার করে সহজেই যে কেউ বিদেশে কর্মসংস্থান খুঁজে বের করাসহ বিদেশ যাওয়ার পুরো প্রক্রিয়া ঘরে বসে সম্পন্ন করতে পারছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিদেশ গমনেচ্ছুদের সেবা ডিজিটালাইজড করার মাধ্যমে অভিবাসন খাত এখন পরিণত হচ্ছে স্মার্ট সেক্টরে।

মাত্র তিন বছরেই দেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারী অ্যাপের কাতারে জায়গা করে নিয়েছে আমি প্রবাসী। এরই মধ্যে অ্যাপটি ব্যবহার করছেন ৫২ লাখেরও বেশি মানুষ। এ সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করে ঘরে বসেই এখন বিএমইটির ডাটাবেজে রেজিট্রেশন করা সম্ভব হচ্ছে। আর এখন পর্যন্ত এই সেবা নিয়েছেন ২৮ লাখেরও বেশি বিদেশ গমনেচ্ছু ব্যক্তি। আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে এই সেবা নিতে যে কোনো জনশক্তি কার্যালয়ে গিয়ে দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। এখন আমি প্রবাসী অ্যাপটি ব্যবহার করে ঘরে বসেই সেবা নিচ্ছেন বিদেশগমনেচ্ছুরা।

এ প্রসঙ্গে দুবাই ফেরত প্রবাসী মুরাদ হাসান বলছিলেন তার অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, ‘প্রথমবার বিদেশ যাইতে অনেক কষ্ট করতে হইছে। এজেন্টের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেও রেজিস্ট্রেশন, ট্রেইনিংয়ের সিডিউল নেওয়া, সার্টিফিকেট উত্তোলন, স্মার্ট কার্ডসহ বিদেশ যাওয়ার প্রত্যেকটা ধাপ এবং প্রক্রিয়া ম্যানুয়াল থাকায় অনেক ঝামেলা পোহাতে হতো। ভোগান্তি হতো অনেক। ব্যয় হতো অতিরিক্ত অর্থও। তবে এখন এসব প্রক্রিয়া ডিজিটাল হওয়ায় ভোগান্তি কমেছে।’

করোনা মহামারিতে সারা বিশ্বের অর্থনীতি যখন স্থবির হয়ে পড়ে। বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতিও থমকে যায়। আর এই সময় ভরসা হয়ে উঠে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। এমতাবস্থায় প্রবাসী আয় বাড়াতে তৎপর হয় সরকার। বিদেশ গমনেচ্ছুদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এবং সুশৃংখলভাবে করোনার টিকা পেতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আমি প্রবাসী অ্যাপ।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিদেশগামীদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। মন্ত্রণালয় নিবন্ধিত কর্মীদের বিএমইটি নম্বর করোনা টিকার জন্য সুরক্ষা অ্যাপে পাঠিয়ে কর্মীদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। পরে পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন সরকার অ্যাপটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়। এরপর আমি প্রবাসী অ্যাপ ব্যবহার করে ১৭ লাখেরও বেশি বিদেশগামী করোনা টিকার রেজিস্ট্রেশন করেন। এর ফলে কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই বিদেশগামীরা সেবা গ্রহণ করেন।

করোনা পরবর্তী সময়ে বিএমইটির ডিজিটাল সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে বিদেশগমনেচ্ছুদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমাতে বিদেশ যাত্রার সব সরকারি প্রক্রিয়াগুলো ডিজিটালাইজেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে আমি প্রাবাসী প্রাথমিকভাবে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন, প্রিডিপার্চার ওরিয়েন্টেশন (পিডিও), ট্রেনিং এবং বিএমইটি QR Code সম্বলিত স্মার্ট কার্ডসহ চারটি সেবা ডিজিটালাইজেশনের মধ্য দিয়ে অভিবাসনের ডিজাটালাইজেশন শুরু করে অ্যাপটি। বিএমইটির তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ২০ লাখের বেশি পিডিও অন্তভূক্তি হয়েছে এই অ্যাপের মাধ্যমে।

অভিবাসন বিশ্লেষকদের মতে, আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পিডিওতে অংশ নেওয়ার জন্যও নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো। এই সেবাটি নিতে বিদেশগমনেচ্ছুদের একদিন পিডিও শিডিউল চেক করতে আসতে হতো, আরেক দিন ভর্তি, তারপর কোর্সে অংশগ্রহণ এবং সর্বশেষ সার্টিফিকেট উত্তোলন। এসব প্রক্রিয়াতেই শুধু নষ্ট হতো পাঁচ কর্মদিবস। সেইসঙ্গে অতিরিক্তি অর্থও। আর এখন পিডিওর ডিজিটালাইজেশনের ফলে অনলাইনেই সেবাগ্রহীতা শিডিউল দেখে অনলাইনে পেমেন্ট করে সরাসরি পিডিও সেশনে ভর্তি হতে পারছেন। আবার কোর্স শেষে সার্টিফিকেটও মিলছে অনলাইনেই। এর ফলে বিদেশ গমনেচ্ছুরা এখন যেমন সময় ও ভোগান্তি থেকে বাঁচছেন, তেমনি বাচঁছেন অতিরিক্ত অর্থের অপচয় থেকেও।

কর্মকর্তাদের ফাইল জট কমাতে ও রিক্রুটিং এজেন্সিদের সেবাগুলোও নিরবিচ্ছিন্ন করতে বিদেশগমনেচ্ছুদের পাশাপাশি ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সিদের সার্ভিসগুলোও। শুরুতে এজেন্সিগুলোর ডিজিটালাইজেশনে কিছুটা অনীহা থাকলেও সময়ের ব্যবধানে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি রিক্রুটিং এজেন্সি যুক্ত হয়েছে আমি প্রবাসীর স্মার্ট সার্ভিস সিস্টেমে। অ্যাপে গিয়ে যাবতীয় কাগজপত্রাদিসহ একজন বিদেশগামীকে অনলাইন ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করতে হয়। এরপর কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গেই অভিবাসন প্রত্যাশীরা তাদের মোবাইলে স্মার্ট কার্ডটি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা প্রিন্টও করতে পারবেন। সেইসঙ্গে কিউআর কোডের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ডটি দেখাতে পারবেন ইমিগ্রেশনসহ বিশ্বের যে কোনো স্থানে। এর ফলে স্মার্ট কার্ডটি হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কোনো ভয়ও থাকছে না।

আমি প্রবাসীর কর্মকর্তা, মোঃ সাইফ-উল-আলম জানান, ‘অ্যাপটি ব্যবহারে বিদেশগমনেচ্ছুদের চেয়েও বেশি সুবিধা পাবেন রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। কারণ, আমাদের সিস্টেমে রিক্রুটিং এজিন্সিগুলো বিএমইটিতে না এসেও অনলাইনে তাদের ক্লায়েন্টদের ফাইল পুট-আপের সুযোগ রয়েছে। এ কারণে ফাইল নিয়ে তাদের আর কোনো দপ্তরে দপ্তরে ঘুরতে হয় না। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তি ও অতিরিক্তি অর্থ খরচ হয় না। তিনি আরও বলেন, আগে শুধু ম্যানুয়ালি যখন বিএমইটি ক্লিয়ারেন্সের জন্য ফাইল জমা পড়তো, সেখানে লোকবলের ঘাটতি থাকায় সময়মতো অনেকেরই ক্লিয়ারেন্স পেতে সমস্যা হতো। এবার ডিজিটালাইজেশনের কারণে অনলাইনে কিউআর কোডের মাধ্যমে মিলছে বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স।‘

নারী কর্মীদের বিদেশ যাত্রা নিরাপদ করতে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই অ্যাপটি। এ ই প্রসঙ্গে আমি প্রবাসীর কর্মকর্তারা বলেন, একটা সময় ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে নারীদের বিদেশ পাঠানো হতো। প্রশিক্ষাণ ছাড়া বিদেশ যাওয়া যাদের বেশির ভাগকেই পড়তে হতো বিপদে। তবে এখন, নারীদের বিদেশ যাত্রা নিরাপদ করতে সরকার নারী কর্মীদের বিএমইটি ছাড়পত্র ক্লিয়ারেন্সের আবেদন আমি প্রাবসীতে বাধ্যতামুলক করেছে। ফলে এখন কোন অসাধু চক্র ভুয়া সার্টিফেকেট দিয়ে নারীদের বিদেশে পাঠাতে পারছেনা।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞগণ অ্যাপটিকে সেইফ মাইগ্রেশন বা স্মার্ট মাইগ্রেশন নাম দিয়ে ডিজিটাল QR Codeভিত্তিক স্মার্ট কার্ড প্রবর্তনকে যুগান্তকারী সংযোজন হিসেবে অবিহিত করেছেন। এর মাধ্যমে একদিকে কার্ড প্রিন্টিংয়ের অতিরিক্তি ঝামেলা কমেছে। শুধুমাত্র কার্ড প্রিন্টিং এড়ানোর কারণেই সরকার এখান থেকে লাভবান হচ্ছে। এছাড়াও ভুয়া স্মার্ট কার্ড বা জালিয়াতির মাধ্যমে ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়েছে। এছাড়াও কাজে এসেছে স্বচ্ছতা। সবচেয়ে গুরুতদ্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে এই অ্যাপ নির্মাণে কিন্তু সরকারের কোন টাকাই খরচ করতে হয়নি। উল্টো আমাদের কাগজ প্রিন্ট এবং প্লাস্টিকের স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিংয়েরও খরচ বেচে গেছে। কেননা এখন আমি প্রাবাসী অ্যাপের মাধ্যমে QR Code ভিত্তিক স্মার্ট কার্ড বিতরণের ফলে এই প্রিন্টিং বাবদ এখন আর কোন কোন টাকা খরচ হয়না সরকারের।

গত বছরের জুনে অনলাইনে বিএমইটি ক্লিয়ারেন্সের ফিচারটি চালুর পর থেকেই ব্যাপক সাড়া পড়েছে। বিএমইটির তথ্যমতে, এরই মধ্যে চার লাখেরও বেশি QR Code ভিত্তিক ইমিগ্রেশন স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। এর ফলে ৩০০ শতাংশ সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও টেনিংয়ে অংশ না নিয়ে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়েছে। এর ফলে একদিকে বিদেশে গিয়ে শ্রমিকদের প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে গেছে। অন্যদিকে, বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছেও বাংলাদেশি শ্রমিকদের হারানো আস্থা ফিরে এসেছে। এরই মধ্যে আড়াই লাখেরও বেশি কর্মী বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টারের বিভিন্ন কোর্সে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় তালিকাভুক্ত হয়েছেন।

বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার নতুন চাকরির খোঁজ মিলেছে। যে কেউ চাইলেই নিজের চাকরি নিজেই খুঁজে অথবা নিজের সংগৃহীত ভিসার প্রসেসিং বা সিংগেল ভিসার প্রসেসিং ওয়ানস্টপের মাধ্যমে করতে পারবেন। বিএমইটির ওয়ানস্টপ সার্ভিসের ডিজিটালেইজেশনের ফলে এখন যে কেউ চাইলেই নিজের ভিসার যাবতীয় কার্যক্রম ঘরে বসে অনলাইনেই সম্পন্ন করতে পারবেন। সেইসঙ্গে একজন ব্যক্তি বিদেশ যাওয়ার আগে তার জব বা তার ভিসা সঠিক কিনা অথবা তিনি যে কোম্পানিতে যাচ্ছেন সেটির তথ্য যাচাই করতে পারছেন।

সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা অনুযায়ী স্মার্ট মাইগ্রেশন বা স্মার্ট অভিবাসন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আমি প্রবাসীর কো-ফাউন্ডার এবং সিইও নামির আহমেদ। তিনি বলেন, আমাদের এই সেক্টর শতভাগ ডিজিটাল সেবার আওতায় নিয়ে আনতে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা ডিজিটাল সত্যায়ন চালু করছি। এর ফলে আর কোনো কর্মী বিদেশে গিয়ে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। সেইসাথে সরকারও ভিসা এটাস্টেশন বাবদ নির্ধারিত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে না।

তিনি আরও বলেন, বিদেশ যাওয়ার জন্য যে কেউ চাইলেই আমাদের অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসে বিদেশ যাত্রার সব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন অনলাইনে। সেক্ষেত্রে কিছু কিছু সার্ভিসের বিনিময়ে নামমাত্র একটা ফি নির্ধারণ করা আছে। এছাড়াও ঘরে বসে বিএমইটি ফর্ম পুরণ করে বিকাশ/নগদ বা মোবাইলে ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট করে তার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।

সরকার যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে, ঠিক এই মুহুর্তে একটি মহল ডিজিটাল অভিবাসন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে এবং সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের অপরিহার্য অংশ স্মার্ট অভিবাসন প্রতিষ্ঠায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিজিটালাইজেশনের ফলে ভুয়া সনদ বা ভুয়া ভিসায় ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আগের ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে একজন কর্মকর্তা চাইলেই ভুয়া সনদ এমনকি ভুয়া ভিসাতেও ছাড়পত্র দেওয়ার সুযোগ পেতেন। এ কারণেই কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর অবৈধ আয় বন্ধের আশঙ্কায় নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে ডিজিটাল সেবা ব্যাহত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ডিজিটাল সেবাগ্রহীতারা। তারা বলছেন, কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারিই এবং সদিচ্ছাই পারবে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সহযাত্রী স্মার্ট অভিবাসন বা অভিবাসনে ডিজিটালাইজেশন করতে।

আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৩ বাংলাদেশির যাবজ্জীবন, ৫৪ জনকে জেল



সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে
আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৩ বাংলাদেশির যাবজ্জীবন

আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৩ বাংলাদেশির যাবজ্জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) একদল বাংলাদেশি প্রবাসী বিক্ষোভ মিছিলের ঘটনায় তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) আদালত। একই সঙ্গে আরও ৫৪ জনকে ১০ এবং ১১ বছরের জেল দেয়া হয়েছে।

সোমবার (২২ জুলাই) আবুধাবি ফেডারেল আপিল আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। কর্তৃপক্ষের বরাতে এই খবর দিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম খালিজ টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতার মাঝে নিজ দেশের সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে ইউএই’তে বিক্ষোভের ডাক দেয়া এবং দাঙ্গা উসকে দেয়ার অভিযোগে ওই তিন বাংলাদেশিকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছে।

গত সোমবার (২২ জুলাই) আবু ধাবি ফেডারেল আপিল আদালত রায় ঘোষণা করে এবং এই বহিরাগতদের অবৈধ জমায়েতের জন্য শাস্তি দেয়া হয়। বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের স্বদেশের সরকারকে চাপ দেওয়ার লক্ষ্যে বিক্ষোভের আহ্বান ও উসকানি দেওয়ার জন্য ৩ অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড জারি করা হয়েছিল।

আদালত আরও ৫৩ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং একজন আসামিকে অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ ও সমাবেশে অংশগ্রহণের দায়ে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এর আগে, ইউএই’র অ্যাটর্নি-জেনারেল চ্যান্সেলর ডাঃ হামাদ সাইফ আল শামসি অবিলম্বে ওই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন এবং সন্দেহভাজনদের একটি ‘জরুরি বিচার’র জন্য রেফার করেন।

অভিযুক্তরা এই ঘটনার ভিজ্যুয়াল এবং অডিও ক্লিপগুলিও ধারণ করে ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

এ বিষয়ে প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপি-জামায়াতপন্থিরা বিদেশের মাটিতে বসে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা (আজ বুধবার) সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলব। আশা করি দ্রুতই এই সংকটের সমাধান হয়ে যাবে।

;

লন্ডনে চট্টগ্রামের 'মেজ্জান', এ যেন বাঙালির মিলনমেলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মেজবান বা মেজ্জান চট্টগ্রামের ঐতিহ্য। চট্টগ্রামের মানুষ অতিথিপরায়ণ। নানা উপলক্ষে অতিথি আপ্যায়নে মেজবানির আয়োজন এখন চট্টগ্রামের একটি সংস্কৃতির অংশ। দেশব্যাপী এ মেজবানের খ্যাতি রয়েছে। মেজবান এখন দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও বেশ জনপ্রিয়।

জাঁকজমক চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান ও মিলন মেলা হয়ে গেলো লন্ডনে । পরবাসে সাদা ভাত, ৭ গরুর মাংস আর ডালের এই ভোজ আয়োজন যে কতটা উৎসবমুখর হয়ে উঠতে পারে তারও প্রমাণ মিলল চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান আয়োজনে।

স্থানীয় সময় রোববার পূর্ব লন্ডনের মেফেয়ার হলে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে মেজবানি খাবারের পাশাপাশি ছিল মন মাতানো সাংস্কৃতিক আয়োজন। যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বৃহত্তর চট্টগ্রামবাসীর প্রতিনিধিত্বকারী ও বাংলাদেশীদের অন্যতম শীর্ষ সংগঠন ‘গ্রেটার চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন ইউকে’ (জিসিএ) পঞ্চমবারের মতো বিশাল এই আয়োজন করে। এই সংগঠনটি প্রথম বিলাতে তথা প্রবাসে মেজবানকে বিশাল আংগিকে ও ভিন্ন আমেজে পরিচিত করেছে।

বাংলাদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অনেক কিছুই ঠাঁই করে নিয়েছে সুদূর যুক্তরাজ্যে। পিঠা উৎসব, বৈশাখী মেলা কিংবা বাঙালির বিয়ের মতো জমজমাট আয়োজন এখন নিয়মিত দেখা যায় সেখানে। তিন হাজার মানুষ মেজবানে অংশ নেয় এবারের মেজবানে। এদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে এই মিলন মেলা।


সংগঠনের ট্রেজারার মাসুদুর রহমানের উপস্হাপনায় অনুষ্ঠান শুরু হয় কোরান তেলাওয়াত, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের বর্তমান কার্যকরী কমিচির প্রেসিডেন্ট আখতারুল আলম এবং সেক্রেটারি ওসমান মাহমুদ ফয়সাল। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী, ১০৪ বছর বয়স্ক চ্যারিটি ফান্ড রেইজার দবিরুল ইসলাম চৌধুরী, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ট্রাষ্টি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন, চ্যানেল এস'র ফাউন্ডার মাহি জলিল, বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষে ইসমাঈল হোসেন, সাবেক সভাপতি ইসহাক চৌধুরী, ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন, সিপ্লাসটিভির আলমগীর অপু, কাউন্সিলর সৈয়দ ফিরোজ গনী, আই অন টিভির পরিচালক আতাউল্লাহ ফারুক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শওকত মাহমুদ টিপু, সলিসিটর জাগির আলম প্রমুখ।

এ সময় মঞ্চে নানা পর্বের সঞ্চালনায় ছিলেন মোহাম্মদ কায়সার, মাসুদুর রহমান, শহিদুল ইসলাম সাগর, নূরুন্নবী আলী, শহিদুল ইসলাম সাগর, ডা. মিফতাহুল জান্নাত। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সার্বিক ব্যবস্হাপনায় ছিলেন মীর রাশেদ আহমেদ, শওকত মাহমুদ টিপু, আরশাদ মালেক, আলী রেজা, রাজ্জাকুল হায়দার বাপ্পী, হাসান আনোয়ার, ব্যারিস্টার শওকত আলী, টিংকু চৌধুরী, অনুপম সাহা, আবু রায়হান শাকিল, লুতফুন নাহার লীনা, আসমা আলম, ফয়সাল আনোয়ার, শেখ নাছের, ইব্রাহিম জাহান, মোরশেদ, মোহাম্মদ ইসলাম, ফসি উদ্দিন প্রমুখ।


আয়োজনটি চট্টগ্রামবাসীর হলেও যুক্তরাজ্যে বসবাসরত অন্য অঞ্চলের বাংলাদেশিরাও এতে অংশ নেয়। লন্ডনের আশপাশের শহরসহ স্কটল্যান্ড, ম্যানচেস্টার, বার্মিংহামের মতো দূরের শহরগুলো থেকেও চট্টগ্রামবাসী অনেকে ছুটে আসেন ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনে যোগ দিতে। আয়োজকরা বলেন, এবারের মেজবানে কয়েক হাজার লোকের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়। মেফেয়ার হলে খাবার পরিবেশনের কক্ষের পেছনের দরজায় ভোজনপ্রেমীদের দীর্ঘ লাইন। এক ব্যাচ খেয়ে সামনের দরজা দিয়ে বের হচ্ছেন। আর পেছন দরজা দিয়ে ঢুকছেন আরেক ব্যাচ। মেজবানের চিরাচরিত টেবিল দখলের দৃশ্যও এখানে বাদ যায়নি। পরিবার-পরিজন নিয়ে একসঙ্গে বসতে টেবিল দখলের প্রচেষ্টাও ছিল লক্ষণীয়।

দিনব্যাপী মেজবানি খাবারের পাশাপাশি চলে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাসী আঞ্চলিক গান, নাচ ও নানা ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ফকির শাহাবুদ্দিন , হিমাংশু গোস্বামী , পাঞ্জাবিওয়ালা খ্যাত শিরিন জাওয়াত , আতিক হাসান , লাবণী বড়ুয়া , এম এ মোস্তফা , তাহমিনা শিপু , আই অন বাংলা স্কুল , পার্পল নাইট ব্যান্ডের জাওয়াদ, রুবেল, জয়, নাবিল , আয়ুস সাহাসহ স্থানীয় শিল্পীবরা। কৌতুক পরিবেশন করেন মিরাকাল কমেডিয়ান আরমন ।

বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী বলেন, মেজবানের খাবার বিশ্বের সেরা খাবার। তিনি চট্টগ্রামের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন বলেন, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চট্টগ্রামবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক যোগযোগ বৃদ্ধির জন্যই এই মেজবানের আয়োজন। চট্টগ্রামবাসীসহ অন্যান্য জেলার লোকদের মধ্যে এবারের মেজবান যে সাড়া ফেলেছে, তাতে ভিড় সামলাতে হয়তো ভবিষ্যতে খোলা কোনো মাঠে এই আয়োজন করতে হবে।

;

মালয়েশিয়ায় যৌন বিনোদনকেন্দ্রে বাংলাদেশি নারী-পুরুষ আটক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
মালয়েশিয়ায় যৌন বিনোদনকেন্দ্রে বাংলাদেশি নারী-পুরুষ আটক

মালয়েশিয়ায় যৌন বিনোদনকেন্দ্রে বাংলাদেশি নারী-পুরুষ আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের ক্লাং ভ্যালির একটি যৌন বিনোদন কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে ৭৫ জনকে আটক করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ১১ জন বাংলাদেশি নারী এবং ৮ জন বাংলাদেশি পুরুষ। বিদেশি যৌন কর্মীদের এটি একটি বড় সিন্ডিকেট বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ।

মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ বলেন, গত শুক্রবার বেলা ২টায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুত্রজায়া হেডকোয়ার্টারের একটি বিশেষ দল এই অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানের আগে দুই সপ্তাহ ধরে গোয়েন্দা তৎপরতা চালানো হয় এবং স্থানীয়দের থেকে তথ্য নেয়া হয়।

অভিযানে মোট ৫৭ জন নারীকে আটক করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে ৩২ জন ইন্দোনেশিয়ান, ১১ জন বাংলাদেশি, ৮ জন ভিয়েতনামিজ এবং ৬ জন ভারতীয়।

এছাড়াও অভিযানে ১০ জন পুরুষ আটক হয়েছেন। যাদের বয়স ১৭ থেকে ৪৬ এর মধ্যে। যার মধ্যে রয়েছেন ৭ জন বাংলাদেশি, ২ জন মিয়ানমারের নাগরিক এবং একজন ইন্দোনেশিয়ান।

অভিযানে ৭ জন স্থানীয় পুরুষ এবং একজন নারীকে আটক করা হয়। যাদের বয়স ২৩ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে।

অভিযানে আটক ১৩ জন ইন্দোনেশিয়ান নারী এবং ৪ জন ভিয়েতনামিজ নারীর কাছে বৈধ পাসপোর্ট পাওয়া যায়। এছাড়া ২ জন ইন্দোনেশিয়ান নারী এবং একজন ভিয়েতনামিজ নারীর ভিসার মেয়ার পূর্ণ হয়েছে।

বাকি কারো কাছেই মালয়েশিয়া থাকার বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

অভিযানে একটি মোবাইল ফোন, ১৫টি ইন্দোনেশিয়ান পাসপোর্ট, পাঁচটি ভিয়েতনামিজ পাসপোর্ট, ১ হাজার ৭৫০ রিঙ্গিত নগদ, একটি কম্পিউটার এবং ১০টি গ্রাহক বই জব্দ করা হয়েছে।

;

মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক খাদ্য ও পানীয় মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক খাদ্য ও পানীয় মেলায় দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। ২-৪ জুলাই দুই দিনব্যাপী মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের মাইটেক কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত 'ফুড অ্যান্ড ড্রিংকস মালয়েশিয়া বাই সিয়াল’ নামে এ মেলায় বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে। মেলায় বাংলাদেশসহ ২২টি দেশ অংশগ্রণ করে এবং ৩৩০টি বুথ এবং একটি বিশেষ আন্তর্জাতিক লাউঞ্জে পণ্য প্রদর্শন করা হয়।

মেলার উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন অ্যান্ড কমোডিটিস বিষয়ক উপমন্ত্রী দাতুক চ্যান ফুং হিন। বাংলাদেশ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধান ও সহযোগিতায় মেলায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানি প্রাণ ফুডস লিমিটেড। ⁠মেলায় নির্ধারিত বুথের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক লাউঞ্জে অন্য ৭টি দেশের (কানাডা, ইউক্রেন, ভিয়েতনাম, ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া) সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাদ্য ও পানীয় পণ্য প্রদর্শন করা হয়।

উদ্বোধনের দিন আন্তর্জাতিক লাউঞ্জ এর বাংলাদেশ কর্নার এবং বাংলাদেশি পণ্যের বুথ পরিদর্শন করেন প্ল্যান্টেশন এবং কমোডিটিস বিষয়ক উপমন্ত্রী দাতুক চ্যান ফুং হিন এবং সাবাহ রাজ্যের শিল্প উন্নয়ন মন্ত্রী দাতুক ফুং জিন ঝে।

সমাপনী দিন বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই ) মেলা এবং বাংলাদেশী স্টল পরিদর্শন করেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।

এসময় হাইকমিশনার উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষাপটে হাইকমিশন বাংলাদেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণসহ অন্যান্য পরিকল্পনা নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ⁠রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য বেশি করে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’ অনুসরণের ধারাবাহিকতায় এ ধরনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে।

পরিদর্শনের সময় আয়োজক কোম্পানি কমেক্সপোসিয়াম এশিয়া পেসিফিক এর পরিচালক হেনরি তান, একই কোম্পানির এসিস্টেন্ট মার্কেটিং ম্যানেজার কিয়েন এনজি ও স্মৃতিকা সিভানেসসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রবাসী সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

মালয়েশিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ও মাইসেব, ম্যাট্রেড, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়, পিকেএনএস, মালয়েশিয়া বিজনেস গ্রুপ, সাবাহ এমআইপিই,মালয়েশিয়া কোকো বোর্ড ও মালয়েশিয়া স্পাইস বোর্ডের সহায়তায় আয়োজিত বিশ্বের ব্র্যান্ড এবং শিল্প উদ্যোক্তাদের অংশ হিসেবে এ মেলার আয়োজন করা হয়। বিশ্বব্যাপী বাজার অন্বেষণে শিল্প উদ্যোক্তা ও অর্থনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ, ব্যবসায়িক সমঝোতা, উদ্ভাবনী সমাধানে ব্যবসাকে শক্তিশালী করতে প্রতি বছর এ বাণিজ্য সম্মেলন ও মেলার আয়োজন করা হয়।

;