দুবাই মল: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শপিং মল



তোফায়েল পাপ্পু, দুবাই করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দুবাই মল

দুবাই মল

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনপ্রিয় ও প্রধান আকর্ষণীয় শহরের নাম দুবাই। বিলাসবহুল জীবন-যাপন, চোখ ধাঁধানো রঙিন আলোকরশ্মি, আকাশচুম্বি অট্টালিকা, হোটেল, কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জসহ নানা কারণে দুবাই পর্যটকদের জন্য পছন্দের শীর্ষে। পৃথিবীর মধ্যে বিখ্যাত টাওয়ারগুলো দুবাই শহরে অবস্থিত। শুধুমাত্র টাওয়ারই নয় রয়েছে আরও নানা নান্দনিক জায়গা। এর মধ্যে অন্যতম একটি নিদর্শন দুবাই মল। শপিং প্রেমীদের জন্য এক স্বপ্নময় স্থান আরব আমিরাতে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং বুর্জ খলিফার পাশে অবস্থিত দুবাই মল।

প্রায় ১২ মিলিয়ন বর্গ ফুট জায়গাজুড়ে বিস্তৃত দুবাই মলের উদ্বোধন করা হয় ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর।এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শপিংমল। প্রায় ৫০টি ফুটবলের মাঠের সমান জায়গাজুড়ে গড়ে উঠা এই মলে রয়েছে প্রায় ১ হজার ২০০টি দোকান, এক্সক্লুসিভ ফ্যাশন হাউজ, ২০টি বিলাসবহুল হোটেল, ২২টি সিনেমা হল, বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর এবং কয়েকশ রেস্টুরেন্ট। এছাড়া দুবাই একুয়ারিয়াম, আন্ডার ওয়াটার জু ও থিম পার্কসহ বিনোদনের নানা আয়োজন রয়েছে দুবাই মলে। আর তাই দুবাই বেড়াতে আসলে পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে থাকে এই দুবাই মল। ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায় দুবাই মলে।

দুবাই মল পর্যটকদের জন্য পছন্দের শীর্ষে

দুবাই মল শুধু শপিং প্রেমিকদের জন্যই নয় বরং আরও বেশি নান্দনিক হয়েছে এর বৈশিষ্ট মন্ডিত বিভিন্ন বিষয়ের কারণে। দুবাই মলে বিনোদনের জন্য রয়েছে নানা আয়োজন। মলের ভিতরে মধ্যপ্রাচ্যের ৭০ দশকের ব্লু মিংডেল, গ্যালারিস লাফায়েতের মতো শপগুলো পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ফ্যাশন সচেতনদের জন্য বিশ্বখ্যাত ডিজাইনারদের নানা কালেকশন রয়েছে এখানে। এদের মধ্যে আছে ভার্সেস, বারবেরির মতো স্বনামধন্য সকল ব্রান্ড।

এছাড়াও দুবাই মলে পরিবার নিয়ে ঘুরার জন্য আছে দ্য দুবাই একুরিয়াম ও আন্ডার ওয়াটার জু, বাচ্চাদের পছন্দের কিন্ডাজিয়াসহ দ্য দুবাই ফাইন্টেন, আইস রিঙ্কসহ আরও অনেক কিছু।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শপিং মল

দুবাই মলের নিচ তালায় অবস্থিত এই দুবাই একুয়ারিয়ামটি প্রায় ৫১ মিটার লম্বা, ২০ মিটার গভীর ও ১১ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট। এই একুয়ারিয়ামে প্রায় ৩,০০০ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী রয়েছে, এদের মধ্যে প্রায় ৪০০ এর বেশি শার্ক ও রেইস আছে। আর সবচেয়ে বড় কথা এই মলের ভিতরে অবস্থান করলে এক্রাইলিক প্যানেলের মধ্যে দিয়েই একুয়ারিয়ামটি দেখা যায়। তবে টিকেট কেটে ৪৮ মিটার লম্বা টানেলের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করলে এই একুয়ারিয়ামকে ভিন্ন ভাবে দেখার সুযোগ পাওয়া যায়। যেখানে খুব কাছ থেকে শার্ক, রেইস, অক্টোপাসসহ অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী কাঁচের প্রাচীরের গায়ে ঘুরে বেড়াতে দেখবেন। এই একুয়ারিমের টানেলের মধ্যে দিয়ে দুবাই মলের দ্বিতীয় তালায় অবস্থিত আন্ডার ওয়াটার জু দেখা যায়। প্রায় ৪০টি মেরিন হাউজে পিরানহা, পেক্সগুইন, কুমির, বড় টিকটিকি, সাপ, বড় ইলসহ আরও অনেক কিছু দেখতে পারবেন। এখানের ছোট আর্চার ফিস ও তাদের নিজেদের খাবার শিকার করার পদ্ধতি পর্যটকদের জন্য এক বিশেষ আকর্ষণ। এছাড়াও এখানে গ্লাস বোটমড বোট রাইড, কেজ স্লোরিং, শার্ক ডাইভস ও প্যাডি ডাইভিং করতে পারেন।

দ্য দুবাই একুয়ারিইয়াম ও জু

সপ্তাহের ৭ দিনই খোলা থাকা দ্য দুবাই একুয়ারিইয়াম ও জু। এখানে ঢোকার প্রবেশ মূল্য ৫৫ দিরহাম (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৫১৫ টাকা)। তবে ৩ বছরের নিচের বাচ্চাদের জন্য কোন এন্ট্রি ফি দিতে হয় না।

দ্য দুবাই ফাউন্টেন

পুরো দুবাই শহরের মধ্যে দুবাই মলের সামনে অবস্থিত দ্য দুবাই ফাউন্টেন (The Dubai Fountain) পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে এখানে ছবি তুলতে সবাই খুব পছন্দ করে। এই ফাউন্টেনের কোরিওগ্রাফি এমন ভাবে করা হয়েছে যে দেখলে মনে হবে ফাউন্টেনের পানি যেন আকাশ ছুঁয়েছে। আর এরই সঙ্গে হালকা বিটের আরাবিক ক্লাসিক থেকে শুরু করে মাইকেল জ্যাকসনের থ্রিলার ধাঁচের গান সবসময়ই বাজতে থাকে। এখানে সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রতি ৩০ মিনিট পর পর এক ধরনের লাইট ইলুমিনেটিং শো হয় যা দেখতে অনেক মানুষের ভিড় হয়।

দুবাই মল

আর্টসের প্রদর্শনী দেখার জন্য আছে দুবাই অপেরা। আর একদম উপরে আছে বুর্জ খলিফা অবজারভেশন ডেক যেখান থেকে একদম উপর থেকে ৩৭০ ডিগ্রি এঙ্গেলে বুর্জ খলিফার চমৎকার দৃশ্য চোখে পড়বে। বিশেষ করে সন্ধ্যার সময় বেশি সুন্দর লাগে।

দুবাই মল এক কথায় অসাধারণ। চোখ ধাঁধানো সব দোকান এবং ভেতরের পরিবেশ। ঘুরতে ঘুরতে আপনি বার বার থমকে যাবেন কিছু না কিছু দেখেই। দুবাই মলে বিশ্বের বিখ্যাত ডিজাইনারদের ডিজাইন করা এক্সক্লুসিভ ড্রেস, লেডিস ও জেন্টস সু, গোল্ড ও ডায়মন্ডের জুয়েলারি, নামি দামি ব্যান্ডের আতর, ব্যাগ, ইলেক্ট্রনিকস, বাচ্চাদের খেলনা, কাপড়চোপড়, গিফট আইটেম, ঘর সাজানোর নানা জিনিস থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় ও সৌখিনতার বিভিন্ন জিনিস খুঁজে পাবেন।

   

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রামের আকবর



কুয়েত করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুয়েত
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আকবর হোসেন নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর গ্রামের আদর্শ পাড়া হাদির গো বাড়ির সুলতান আহমদের ছেলে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে কুয়েতের রাবিয়া নামক স্থানে ইশারা আল কাসেমিতে রাস্তা পারাপারের সময় গাড়ির ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনায় ঘটে।

নিহতের আত্মীয় সাখাওয়াত হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'বেশ কিছুদিন যাবৎ তিনি মানসিকভাবে চাপের মধ্যে ছিলেন। শুক্রবার রাতে রাস্তা পারাপার করতে গেলে দুর্ঘটনার শিকার হয়।এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।'

বর্তমানে মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

;

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো



ড. হাসিন মাহবুব চেরী, সিনিয়র স্পেশালিস্ট সায়েন্টিস্ট, ইউকে
দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা বয়সের পরে আমরা আটকা পড়ি শুধুই মায়ার টানে। কোন মানুষটা আমাদের মন থেকে মায়া করে, এটাই সব কিছুর ঊর্ধ্বে বিবেচ্য হয় আমাদের কাছে (অন্তত আমার কাছে ব্যাপারটা এখন তাই)।

কারণ, আমরা বুঝতে শিখি যে, আমাদের আশেপাশে বন্ধুরূপী অসংখ্য মুখের ভিড়ে শুধু মাত্র সেই মুখগুলোই মূল্যবান - যার কাছে আমি মূল্যবান। আর ঠিক একারণেই সুদূর বিলাতের বিভূঁই পরিবেশে ফারহানা হোসেন আপু যখন বললো দেশ থেকে আসা ইলিশ তোমাকে আর Rumana Newlands কে ছাড়া খাবো না বলে তুলে রেখেছি, কবে আসবে? মনে হলো এই ভালোবাসার ডাক পাবার মতো ভাগ্য আসলে ক'জনেরই বা হয়? তাই প্রচন্ড ব্যস্ত সময়ের মধ্যেই হুট করে একবেলার জন্যে লন্ডন থেকে গ্লাসগো উড়ে চলে গেলাম।

এই ঝটিকা সফর বহু কারণেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে, তবে অর্ধেক দিনের এই মেমরি আমাকে আবার শেখালো:

Life is not about quantity, it`s all about quality. So it doesn`t matter what you have in life, but who you have only matters.

আর জীবনে নিজের পরিবারের মানুষ ছাড়াও কারো সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়া আসলেই বিশাল ভাগ্যের ব্যাপার। ফারহানা আপু এবং সাজ্জাদ ভাইয়ার আন্তরিকতায় আবারো মুগ্ধ হতে হতে তাই ভাবছিলাম, যদিও আমি সবসময় সবার থেকে ভালো জিনিস গুলো শেখার চেষ্টা করি তবে কিছু কিছু কোয়ালিটি আসলে মানুষের মধ্যে আসে 'ইন বিল্ট' হয়ে, যেটা অন্য কেউ হয়তো হাজার চেষ্টা করেও আয়ত্ত্ব করতে পারে না!

অন্যকে স্পেশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ ফিল করানোও ঠিক সেরকমই একটা ইন বিল্ট কোয়ালিটি যেটা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেঔ অনুপস্থিত। যেমন আপু এবং ভাইয়া (আমার দেখা দুই অন্যতম ব্রিলিয়ান্ট এবং down to earth মানুষ) যেভাবে ওয়ার্কিং ডে 'র শেষে আমাকে এয়ারপোর্ট থেকে পিক করা থেকে শুরু করে নিজের হাতে রান্না করা বহু পদের মুখরোচক খাবার এবং নিজের হাতে বানানো মিষ্টি'র আয়োজন করলেন, স্কটল্যান্ডে এসে আমার ভাইয়ের সাথে দেখা হবে না বলে আমার ভাই কেও আবেরডিন থেকে ডেকে নিয়ে আসলেন, এবং আসবার পথে একগাদা খাবার প্যাক করে ব্যাগে নিজের হাতে ঢুকিয়ে দিয়ে একদম এডিনবরা এয়ারপোর্ট এর সিকিউরিটি পর্যন্ত এসে বিদায় দিয়ে গেলেন - এই আন্তরিকতাটা বোধহয় একেবারে মনের গভীর থেকে না আসলে করা সম্ভব নয়।

আসলে জীবনে আমরা বহু অপাত্রে আমাদের ভালোবাসা এবং সময় দান করে নষ্ট করি, বহু মানুষের ব্যবহার দেখে মনে হয় সত্যিই বোধহয় স্বার্থপর না হওয়াটাই আজকাল বোকামি। তবে পরমুহূর্তেই আবার যখন এরকম সুন্দর মনের মানুষ গুলোর আন্তরিকতায় অবাক এবং মুগ্ধ হই, তখন মনে হয় এই সুন্দর মনের মানুষগুলোর উপস্থিতির জন্যেই আসলে জীবনটা এতো সুন্দর। আর এরকম মানুষের উপস্থিতি আমাদের ঠিক একইভাবে ওনাদের মতোই অন্য কারো জীবনেও নিজের উপস্থিতি দিয়ে তার জীবনের কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপহার দিতে অনুপ্রেরণা যোগায়।

;

শেখ হাসিনার সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করবে: থাই সরকারের মুখপাত্র



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর থাইল্যান্ডে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বুধবার (২৪ এপ্রিল) তিনি থাইল্যান্ডে এসে পৌঁছাবেন। পাঁচদিনের সফর শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি দেশে ফিরে যাবেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থাই সরকারের মুখপাত্র চাই ওয়াচারানক স্থানীয় গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাবিসিন এর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে আসছেন।

শেখ হাসিনার ভ্রমণের সময় উভয় দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি এবং এমওইউ স্বাক্ষর হবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সফরসঙ্গীদের জন্য গভর্মেন্ট হাউজে দুপুরের খাবারের আয়োজন করেছেন শ্রেত্থা থাবিসিন।

চাই ওয়াচারানক জানান, ২০০২ সালের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি প্রথম থাইল্যান্ড সফর। এই সফরে দুই দেশের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বি-পাক্ষীক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে আলোচনা করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে সহযোগীতা বৃদ্ধি, বিশেষত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এছাড়াও যোগাযোগ, পর্যটন এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান থাই সরকারের মুখপাত্র। 

;

আমিরাতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব



তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে বসবাসরত বাঙালিরা দিনটি সাড়ম্বরে পালন করে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার ঈদের ছুটি অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পহেলা বৈশাখ। যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লোকায়ত সংস্কৃতির ডালা সাজিয়ে বর্ণিল উৎসব আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশটিতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

ভিনদেশের মাটিতেও বাঙালি সংস্কৃতির চিরায়ত পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হলো নানা অনুসঙ্গে। দেশটিতে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যেও ছিল আনন্দের কলরব। আর এই আনন্দ উচ্ছ্বাসকে সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে প্রবাসী সনাতনি ঐক্য পরিষদের চমৎকার আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক নতুন মাত্রা পেয়েছে।


রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমিরাতের সারজায় আল জায়েদ ফার্ম হাউজে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা নববর্ষ বরণ করে নিতে সকাল সাড়ে ১০টায় মঙ্গল শোভযাত্রা র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরে নাচ, গান, মধ্যাহৃভোজ ও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণ উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

একাকী প্রবাসজীবনে পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকা, দেশীয় স্বাদ ও আমেজের জন্য সারাবছর লালায়িত থাকা এই প্রবাসীরা হাজার মাইলের দূরত্ব কষ্ট ভুলে গিয়েছিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে। আমিরাতের আবুধাবী, দুবাই, আজমান ও বিভিন্ন শহর থেকে প্রবাসীরা পরিবার নিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন, বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার, প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সিনিয়র উপদেষ্টা বিশ্বনাথ দাশ, সভাপতি অজিত কুমার রায়, সহ সভাপতি অজিত চৌধুরী মিঠু, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার, অর্থ সম্পাদক কার্তিক সাহা, দপ্তর সম্পাদক দেবব্রত তালুকদার, ফুজাইরাহ বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি বাবু তপন সরকার, জাতীয় হিন্দু মহাজোট ইউএই’র সিনিয়র উপদেষ্টা মিনাল কান্তি ধর প্রমুখ।

প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার রায় জানান, প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগামীতে আরও বড় পরিসরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

 

;