কানাডায় বাংলা বই ও দেশজ ঐতিহ্যের প্রসারে আনোয়ার দোহা



ফারজানা নাজ শম্পা
কানাডায় বাংলা বই ও দেশজ ঐতিহ্যের প্রসারে আনোয়ার দোহা

কানাডায় বাংলা বই ও দেশজ ঐতিহ্যের প্রসারে আনোয়ার দোহা

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আনোয়ার দোহা একজন অমায়িক সদালাপী ব্যক্তিত্ব যিনি দীর্ঘ সময় ধরে কানাডায় মূলধারায়বাংলা বইয়ের প্রসারও বাণিজ্যিকি করণে নিবেদিত থেকেছেন l বেঁচে থাকার ছক কাটা জীবন হতে একটু দুরে থেকে স্বতন্ত্র ধারায় চিন্তাকরেছেন আর হৃদয়ে ধারণ করেন বাংলাদেশের দেশাত্মবোধের ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা l কানাডায় মূলধারায়বাংলা বইয়ের সহজলভ্যতার অভাব জনিত শুন্যতা তাকে তাড়িত করতো সেই অদম্য বাসনা হতে কানাডায়বাংলাদেশি বিভিন্ন সংগঠন অধ্যুষিত জনপ্রিয় ড্যানফোর্থ সড়কে ২৯৭২ ড্যানফোর্থ এভিনিউতে নিজের শেষ সম্বলকে পুঁজি করে তুলে প্রতিষ্ঠান 'এটি এন মেগা স্টোর ( [email protected] l কানাডার পরবাসী বাঙালি ও পরবর্তীপ্রজন্মের কাছে তাঁর বাংলা ভাষা সাহিত্য ও কৃষ্টির আবহ লালিত উপকরণ সম্ভারে পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কে একটি বিশেষ আলাপচারিতায় যাত্রা শুরু প্রসঙ্গে তিনি বলেন ' ২০০১ সালে প্রথমে আমার নিউ ইয়র্ক হতে কানাডায় আগমন l বাংলাদেশের দেশাত্মবোধ হৃদয়ে লালন করে২০০২ সালে প্রাথমিক ভাবে ধ্রপদী ও আধুনিক বাংলা গান চলচ্চিত্র র অডিও ও ভিডিও ক্যাসেট , সিডি ইত্যাদিযাত্রা শুরু করি l পরবর্তীতে তে স্থানীয় বাংলা বই প্রেমী কানাডা প্রবাসী কয়েকজনের বিশেষ উৎসাহ কানাডায় বাংলাভাষা সাহিত্য বিকাশের নিরিখেহৃদয়ে লালিত আমার অদম্য এবং সুপ্ত ইচ্ছের সফল বাস্তবায়ন ঘটে ২০০৬ সাল হতে l বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সব ধরনের বই , অভিধান বাংলাদেশের ও পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন উৎসব সাময়িকীযেমন ঈদ ও পূজা র বিষয়ে অন্যান্য উৎসব সংখ্যা ইত্যাদি নিয়ে সেই যাত্রা শুরু করে এখনো পর্যন্ত পথ চলছি l কোন আদর্শ প্রেক্ষপট তাঁকে এই উদ্যোগে প্রাণিত করেছিল সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন ' আমি মূলত হিসাব বিজ্ঞানবিষয়ে প্রবাসে আমেরিকা ও কানাডা কয়েকটি উচ্চতর ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেই l কানাডায় হিসাব বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষক রূপে দীর্ঘ সময় কর্মরত ছিলাম l

তবে কানাডায় মূলধারায় ও অভিবাসী বাঙালির অঙ্গনে বাংলাভাষার প্রসার পরিচিতি অব্যাহত রাখার তাগিদ ও বাংলা বইয়ের প্রাপ্তির শুন্যতা অন্তরে তীব্র তাড়না আমাকে বাংলাদেশের স্বকীয় পরিচয়সমৃদ্ধ এবং স্বতন্ত্র পরিচয়ে লালিত বাংলা বইয়ের দোকান গঠনের সিদ্ধান্ত নেবার শক্তি দেয় l সু সাহিত্যের মাধ্যমেই সুন্দর জীবনবোধসম্পন্ন জাতি গড়ে তোলা সম্ভব তাই কানাডায় অধিবাসী প্রবাসী দের ও পরবর্তী প্রজন্মেরমাঝে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইতিহাস লালিত ক্ষেত্র সমুন্নত রাখার নিরিখে তাঁর এই উদ্যোগ l তাঁর অনুকরণীয় জীবন দর্শন আদর্শেও বিশ্বাস প্রসঙ্গে তিনি জানান ' একজন বাঙ্গালী হিসেবে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিসত্তার প্রতি দায়বদ্ধতা ছোটবেলা থেকে বইয়ের সাথে আমার গভীর সম্পৃক্ততা এবং অপরকে ভাল বই পড়ানোর মানসিক তৃপ্তি এবংএই প্রক্রিয়ায় সুকুমার বিকাশে এই দর্শনেই কানাডায় বাংলা বই বিপণন ও সম্প্রসারণে আগ্রহী হয়েছি। আলোকিত মানুষগড়ার কারিগর শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক আবু সায়িদের জীবন বোধ আমার অনুকরণীয় আদর্শ ।' তাঁর এই প্রতিষ্ঠানেরবাংলা বইয়ের সংগ্রহ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন দুই বাংলার বরণীয় লেখকদের স্মরণীয় জনপ্রিয় লেখাউপন্যাস ও কবিতা , অনুবাদ গল্প সমৃদ্ধ সকল বয়সের পাঠক উপযোগি বই আমাদের সংগ্রহে আছে। শিশুদের জন্যবাংলা বর্ণ শেখা , গণিত ও সংখ্যা গণনা , ছড়া, কবিতা ও পল্পের বই এবং কিশোরদের জন্য ফিক্শান নন ফিকশানসবধরনের উপন্যাস,গল্প ও কবিতাসহ বাংলা ভাষায় রচিত বিভিন্ন ধর্মীয় বই সংগ্রহে রয়েছে। পাঠকদের চাহিদা অনুসারে অর্ডার নেয়া হয় l বাংলা সংস্কৃতি ও ইতিহাস ঐতিহ্যকে লালন করে যেমন মৃৎ শিল্প , পোড়ামাটি , বাঁশ, বেত ও কাঠজাত মনকাড়া গৃহসজ্জা , চিত্র ও উপহার সামগ্রী , বাংলাদেশের পতাকা ও পতাকা খচিত টি-সার্ট সুভেনীর, লুঙ্গি, গামছা ইত্যাদি।বাংলাদেশের ঐতিহ্য ইতিহাস ধারন না লালন করে না পণ্যসামগ্রী আমি আমাদের সংগ্রহে রাখি না। '

নিজের জন্ম পরিবার ও শিক্ষাজীবন ও জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত প্রসঙ্গে 'আমার জন্ম ১৯৫৪ সালের অগাস্ট মাসে বৃহত্তর কুমিল্লার চাঁদপুরজেলায়। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন করি , আমারপড়ালেখা র বিষয়ের সাথে যদিও ভাষা-সংস্কৃতির সাথে যোগাযোগ কম তথাপী আমার বাংলা ভাষা ও ঐতিহ্যের প্রতি অদম্য নেশা সদাই আমাকে আকৃষ্ট রাখতো। কর্ম দক্ষতার প্রসারে দেশে বিদেশে হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক একাধিক পেশাভিত্তিক ডিপ্লোমা নিয়ে আমার অধ্যায়ন জীবনের পরিধি প্রায় ৩৫ বছর। আমাদের ৪৩ বছরেরবিবাহিত জীবনে তিন কন্যা সন্তানের গর্বিত পিতা আমি l কন্যারা সবাই বিবাহিতা এবং স্বামী সন্তানদের নিয়েটরেন্টো তে আছেন । আমার স্ত্রী শুধু আমার জীবনেরই নয় আমার ব্যাবসায় সার্বক্ষণিক সঙ্গিনী। আমার স্মরনীয় মূহুর্ত যখন বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করি এবং " কাজীর সামনে কবুল বলা”। আমার জীবনেরস্মরনীয় ঘটনাবলী অপারশুন্যতা হতে সৃষ্টি ''পিতা ও মাতার মৃ্ত্যু শোক।" আমার অবসর মেলে খুব কম আমার মতে অবসর হলো এককথায় আগামী কালের জন্য মগজ ধোলাই।তাঁর পছন্দের সাহিত্যেকদের বিষয়ে তাঁর মন্তব্য ছিল 'দুই বাংলার প্রায়সব লেখকই আমার প্রিয় তবে সবার লেখাই যে আমার সম মাত্রায় ভালো লাগে এমন নয় , রম্য রসাত্মক লেখা বেশী আকৃষ্ট করে l আগ্রহের তালিকায় আছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় , সৈয়দ মুজতবা আলী, জসিমউদ্দিন, আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ প্রমুখ। ভ্রমন, শপিং আর ভাল কোন বই সংগ্রহ করে অন্যকে পড়ানো আমার শখ বলতেপারেন। অদূর ভবিষ্যতে কানাডার বাংলা সাহিত্য অনুরাগী এবং সংস্কৃতি প্রেমীদের সহযোগিতায় টরেন্টোতে একটি বাংলা পাঠগার প্রতিষ্ঠা করা আগামীর কর্ম পরিকল্পনা।বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নিয়ে প্রকাশনা এবং গবেষনাসম্পর্কে তাঁর মতামত 'মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গবেষণা অবশ্যই হচ্ছে l তবে বাস্তবতা হলো এক্ষেত্রে প্রকৃত গবেষনার চেয়েঅনেক লোকদেখানো বা রাজনৈতিক প্রভাবযুক্ত হয়ে পড়ছে যা আমার বিবেচনায় সঠিক দিক নির্দেশনা বিহীনউদ্যোগ l মহান মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নিরপেক্ষ এবং নির্মোহ দেশাত্মবোধের অবস্থান হতে কাজ করতে হবে l ' তাঁর এই প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন 'আমার প্রাপ্তির অভিজ্ঞতায় কঠোর বাঁধা এবং উৎসাহদুটোই ছিল। বাংলা বইকে কানাডায়'মূলধারায় বানিজ্যিক পন্য হিসাবে আজকের গ্রহণযোগ্য স্থানে নেবারঅভিপ্রায়ে আমাকে প্রচুর কাঠখড়ি পোড়াতে হয়েছে , কানাডায় হাজার হাজার ডলার ভর্তূকি দিতে হয়েছে এবংএখনো হচ্ছে ,তবে আমার শখ বা দেশপ্রেম দুই কারনে কোন বাঁধা ই আমাকে দমিয়ে রাখতে পারছে না এবং হাল ছাড়িনি l '

ভাল বই আমাদের পরিশুদ্ধ মনন গঠন এবং বিশুদ্ধ চিন্তা করতে শেখায় l এই বোধ কে সামনে রেখে ই আনোয়ারদোহা টরেন্টো তে অগ্রসর হয়েছেন l টরেন্টো সংক্ষিপ্ত সফর এবং আনোয়ার দোহা ভাইয়ের দোকানে যখনই গিয়েছি তিনি উষ্ণআন্তরিকতায় ও পারিবারিক আতিথ্য আমাদের ভরিয়ে রেখেছেন l আমি লিখি তা অবগত হয়ে গুরুত্বপূর্ন বইয়েরপাঠ ও কেনার নির্দেশনা ও বই উপহার দিয়েছেন l আমাদের আলাপচারিতায় অমায়িক সদালাপী এবং দেশপ্রেমিকএই প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব অনর্গল বলেছিলেন বাংলাদেশের অশ্রুত ইতিহাসের মূল্যবান বিভিন্ন দিক l কানাডায় বাংলা ভাষা ইতিহাস এবং ঐতিহ্য কে হৃদয়ে ধারন করে শ্রদ্ধাভাজন আত্মপ্রত্যয় দীপ্ত এই ব্যক্তিত্বের উদ্যোগ সুদীর্ঘ সফলতা লাভকরুক l আনোয়ার দোহা ভাইয়ের কানাডার মূলধারায় বাংলা বইয়ের দীর্ঘ পথযাত্রায় মাঝে মধ্যেই 'এ টি এন মেগাস্টোর গ্রন্থনীড়ে কানাডায় বসবাসরত এবং কানাডায় সফর কারী বাংলা ভাষা সাহিত্যের অনেক কালজয়ী সাহিত্যকসাংষ্কৃতিক গুণীজনের মিলন মেলায় পরিণত হয় l আর কানাডার বাংলা সাহিত্য ইতিহাস অনুরাগী পরবাসী পাঠকলেখক সহ অভিবাসী পাঠকের খুঁজে পায় দেশের স্বকীয় আত্মপরিচয়সমৃদ্ধ চিন্তার আনন্দেলোক l কোভিড মহামারীকালিন সময়ে কানাডায় বাংলাবইয়ের ক্রেতা সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেলেও আনোয়ার দোহা দমে জাননি l

কানাডা ও উত্তরআমেরিকার প্রবাসী বাঙালিরা তাঁর প্রতিষ্ঠান হতে বই কিনে বাংলা ভাষী ও বাংলাদেশি রা তাঁদের জাতিগত আত্মপরিচয়জাত চিন্তার উত্তরণ ঘটিয়ে আনোয়ার দোহা ভাইযের অনন্য উদ্যোগের পাশে আছেন।

   

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রামের আকবর



কুয়েত করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুয়েত
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আকবর হোসেন নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর গ্রামের আদর্শ পাড়া হাদির গো বাড়ির সুলতান আহমদের ছেলে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে কুয়েতের রাবিয়া নামক স্থানে ইশারা আল কাসেমিতে রাস্তা পারাপারের সময় গাড়ির ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনায় ঘটে।

নিহতের আত্মীয় সাখাওয়াত হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'বেশ কিছুদিন যাবৎ তিনি মানসিকভাবে চাপের মধ্যে ছিলেন। শুক্রবার রাতে রাস্তা পারাপার করতে গেলে দুর্ঘটনার শিকার হয়।এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।'

বর্তমানে মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

;

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো



ড. হাসিন মাহবুব চেরী, সিনিয়র স্পেশালিস্ট সায়েন্টিস্ট, ইউকে
দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা বয়সের পরে আমরা আটকা পড়ি শুধুই মায়ার টানে। কোন মানুষটা আমাদের মন থেকে মায়া করে, এটাই সব কিছুর ঊর্ধ্বে বিবেচ্য হয় আমাদের কাছে (অন্তত আমার কাছে ব্যাপারটা এখন তাই)।

কারণ, আমরা বুঝতে শিখি যে, আমাদের আশেপাশে বন্ধুরূপী অসংখ্য মুখের ভিড়ে শুধু মাত্র সেই মুখগুলোই মূল্যবান - যার কাছে আমি মূল্যবান। আর ঠিক একারণেই সুদূর বিলাতের বিভূঁই পরিবেশে ফারহানা হোসেন আপু যখন বললো দেশ থেকে আসা ইলিশ তোমাকে আর Rumana Newlands কে ছাড়া খাবো না বলে তুলে রেখেছি, কবে আসবে? মনে হলো এই ভালোবাসার ডাক পাবার মতো ভাগ্য আসলে ক'জনেরই বা হয়? তাই প্রচন্ড ব্যস্ত সময়ের মধ্যেই হুট করে একবেলার জন্যে লন্ডন থেকে গ্লাসগো উড়ে চলে গেলাম।

এই ঝটিকা সফর বহু কারণেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে, তবে অর্ধেক দিনের এই মেমরি আমাকে আবার শেখালো:

Life is not about quantity, it`s all about quality. So it doesn`t matter what you have in life, but who you have only matters.

আর জীবনে নিজের পরিবারের মানুষ ছাড়াও কারো সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়া আসলেই বিশাল ভাগ্যের ব্যাপার। ফারহানা আপু এবং সাজ্জাদ ভাইয়ার আন্তরিকতায় আবারো মুগ্ধ হতে হতে তাই ভাবছিলাম, যদিও আমি সবসময় সবার থেকে ভালো জিনিস গুলো শেখার চেষ্টা করি তবে কিছু কিছু কোয়ালিটি আসলে মানুষের মধ্যে আসে 'ইন বিল্ট' হয়ে, যেটা অন্য কেউ হয়তো হাজার চেষ্টা করেও আয়ত্ত্ব করতে পারে না!

অন্যকে স্পেশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ ফিল করানোও ঠিক সেরকমই একটা ইন বিল্ট কোয়ালিটি যেটা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেঔ অনুপস্থিত। যেমন আপু এবং ভাইয়া (আমার দেখা দুই অন্যতম ব্রিলিয়ান্ট এবং down to earth মানুষ) যেভাবে ওয়ার্কিং ডে 'র শেষে আমাকে এয়ারপোর্ট থেকে পিক করা থেকে শুরু করে নিজের হাতে রান্না করা বহু পদের মুখরোচক খাবার এবং নিজের হাতে বানানো মিষ্টি'র আয়োজন করলেন, স্কটল্যান্ডে এসে আমার ভাইয়ের সাথে দেখা হবে না বলে আমার ভাই কেও আবেরডিন থেকে ডেকে নিয়ে আসলেন, এবং আসবার পথে একগাদা খাবার প্যাক করে ব্যাগে নিজের হাতে ঢুকিয়ে দিয়ে একদম এডিনবরা এয়ারপোর্ট এর সিকিউরিটি পর্যন্ত এসে বিদায় দিয়ে গেলেন - এই আন্তরিকতাটা বোধহয় একেবারে মনের গভীর থেকে না আসলে করা সম্ভব নয়।

আসলে জীবনে আমরা বহু অপাত্রে আমাদের ভালোবাসা এবং সময় দান করে নষ্ট করি, বহু মানুষের ব্যবহার দেখে মনে হয় সত্যিই বোধহয় স্বার্থপর না হওয়াটাই আজকাল বোকামি। তবে পরমুহূর্তেই আবার যখন এরকম সুন্দর মনের মানুষ গুলোর আন্তরিকতায় অবাক এবং মুগ্ধ হই, তখন মনে হয় এই সুন্দর মনের মানুষগুলোর উপস্থিতির জন্যেই আসলে জীবনটা এতো সুন্দর। আর এরকম মানুষের উপস্থিতি আমাদের ঠিক একইভাবে ওনাদের মতোই অন্য কারো জীবনেও নিজের উপস্থিতি দিয়ে তার জীবনের কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপহার দিতে অনুপ্রেরণা যোগায়।

;

শেখ হাসিনার সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করবে: থাই সরকারের মুখপাত্র



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর থাইল্যান্ডে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বুধবার (২৪ এপ্রিল) তিনি থাইল্যান্ডে এসে পৌঁছাবেন। পাঁচদিনের সফর শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি দেশে ফিরে যাবেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থাই সরকারের মুখপাত্র চাই ওয়াচারানক স্থানীয় গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাবিসিন এর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে আসছেন।

শেখ হাসিনার ভ্রমণের সময় উভয় দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি এবং এমওইউ স্বাক্ষর হবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সফরসঙ্গীদের জন্য গভর্মেন্ট হাউজে দুপুরের খাবারের আয়োজন করেছেন শ্রেত্থা থাবিসিন।

চাই ওয়াচারানক জানান, ২০০২ সালের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি প্রথম থাইল্যান্ড সফর। এই সফরে দুই দেশের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বি-পাক্ষীক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে আলোচনা করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে সহযোগীতা বৃদ্ধি, বিশেষত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এছাড়াও যোগাযোগ, পর্যটন এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান থাই সরকারের মুখপাত্র। 

;

আমিরাতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব



তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে বসবাসরত বাঙালিরা দিনটি সাড়ম্বরে পালন করে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার ঈদের ছুটি অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পহেলা বৈশাখ। যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লোকায়ত সংস্কৃতির ডালা সাজিয়ে বর্ণিল উৎসব আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশটিতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

ভিনদেশের মাটিতেও বাঙালি সংস্কৃতির চিরায়ত পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হলো নানা অনুসঙ্গে। দেশটিতে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যেও ছিল আনন্দের কলরব। আর এই আনন্দ উচ্ছ্বাসকে সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে প্রবাসী সনাতনি ঐক্য পরিষদের চমৎকার আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক নতুন মাত্রা পেয়েছে।


রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমিরাতের সারজায় আল জায়েদ ফার্ম হাউজে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা নববর্ষ বরণ করে নিতে সকাল সাড়ে ১০টায় মঙ্গল শোভযাত্রা র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরে নাচ, গান, মধ্যাহৃভোজ ও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণ উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

একাকী প্রবাসজীবনে পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকা, দেশীয় স্বাদ ও আমেজের জন্য সারাবছর লালায়িত থাকা এই প্রবাসীরা হাজার মাইলের দূরত্ব কষ্ট ভুলে গিয়েছিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে। আমিরাতের আবুধাবী, দুবাই, আজমান ও বিভিন্ন শহর থেকে প্রবাসীরা পরিবার নিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন, বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার, প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সিনিয়র উপদেষ্টা বিশ্বনাথ দাশ, সভাপতি অজিত কুমার রায়, সহ সভাপতি অজিত চৌধুরী মিঠু, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার, অর্থ সম্পাদক কার্তিক সাহা, দপ্তর সম্পাদক দেবব্রত তালুকদার, ফুজাইরাহ বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি বাবু তপন সরকার, জাতীয় হিন্দু মহাজোট ইউএই’র সিনিয়র উপদেষ্টা মিনাল কান্তি ধর প্রমুখ।

প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার রায় জানান, প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগামীতে আরও বড় পরিসরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

 

;