কানাডায় বাংলা বই ও দেশজ ঐতিহ্যের প্রসারে আনোয়ার দোহা



ফারজানা নাজ শম্পা
কানাডায় বাংলা বই ও দেশজ ঐতিহ্যের প্রসারে আনোয়ার দোহা

কানাডায় বাংলা বই ও দেশজ ঐতিহ্যের প্রসারে আনোয়ার দোহা

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আনোয়ার দোহা একজন অমায়িক সদালাপী ব্যক্তিত্ব যিনি দীর্ঘ সময় ধরে কানাডায় মূলধারায়বাংলা বইয়ের প্রসারও বাণিজ্যিকি করণে নিবেদিত থেকেছেন l বেঁচে থাকার ছক কাটা জীবন হতে একটু দুরে থেকে স্বতন্ত্র ধারায় চিন্তাকরেছেন আর হৃদয়ে ধারণ করেন বাংলাদেশের দেশাত্মবোধের ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা l কানাডায় মূলধারায়বাংলা বইয়ের সহজলভ্যতার অভাব জনিত শুন্যতা তাকে তাড়িত করতো সেই অদম্য বাসনা হতে কানাডায়বাংলাদেশি বিভিন্ন সংগঠন অধ্যুষিত জনপ্রিয় ড্যানফোর্থ সড়কে ২৯৭২ ড্যানফোর্থ এভিনিউতে নিজের শেষ সম্বলকে পুঁজি করে তুলে প্রতিষ্ঠান 'এটি এন মেগা স্টোর ( [email protected] l কানাডার পরবাসী বাঙালি ও পরবর্তীপ্রজন্মের কাছে তাঁর বাংলা ভাষা সাহিত্য ও কৃষ্টির আবহ লালিত উপকরণ সম্ভারে পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কে একটি বিশেষ আলাপচারিতায় যাত্রা শুরু প্রসঙ্গে তিনি বলেন ' ২০০১ সালে প্রথমে আমার নিউ ইয়র্ক হতে কানাডায় আগমন l বাংলাদেশের দেশাত্মবোধ হৃদয়ে লালন করে২০০২ সালে প্রাথমিক ভাবে ধ্রপদী ও আধুনিক বাংলা গান চলচ্চিত্র র অডিও ও ভিডিও ক্যাসেট , সিডি ইত্যাদিযাত্রা শুরু করি l পরবর্তীতে তে স্থানীয় বাংলা বই প্রেমী কানাডা প্রবাসী কয়েকজনের বিশেষ উৎসাহ কানাডায় বাংলাভাষা সাহিত্য বিকাশের নিরিখেহৃদয়ে লালিত আমার অদম্য এবং সুপ্ত ইচ্ছের সফল বাস্তবায়ন ঘটে ২০০৬ সাল হতে l বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সব ধরনের বই , অভিধান বাংলাদেশের ও পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন উৎসব সাময়িকীযেমন ঈদ ও পূজা র বিষয়ে অন্যান্য উৎসব সংখ্যা ইত্যাদি নিয়ে সেই যাত্রা শুরু করে এখনো পর্যন্ত পথ চলছি l কোন আদর্শ প্রেক্ষপট তাঁকে এই উদ্যোগে প্রাণিত করেছিল সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন ' আমি মূলত হিসাব বিজ্ঞানবিষয়ে প্রবাসে আমেরিকা ও কানাডা কয়েকটি উচ্চতর ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেই l কানাডায় হিসাব বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষক রূপে দীর্ঘ সময় কর্মরত ছিলাম l

তবে কানাডায় মূলধারায় ও অভিবাসী বাঙালির অঙ্গনে বাংলাভাষার প্রসার পরিচিতি অব্যাহত রাখার তাগিদ ও বাংলা বইয়ের প্রাপ্তির শুন্যতা অন্তরে তীব্র তাড়না আমাকে বাংলাদেশের স্বকীয় পরিচয়সমৃদ্ধ এবং স্বতন্ত্র পরিচয়ে লালিত বাংলা বইয়ের দোকান গঠনের সিদ্ধান্ত নেবার শক্তি দেয় l সু সাহিত্যের মাধ্যমেই সুন্দর জীবনবোধসম্পন্ন জাতি গড়ে তোলা সম্ভব তাই কানাডায় অধিবাসী প্রবাসী দের ও পরবর্তী প্রজন্মেরমাঝে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইতিহাস লালিত ক্ষেত্র সমুন্নত রাখার নিরিখে তাঁর এই উদ্যোগ l তাঁর অনুকরণীয় জীবন দর্শন আদর্শেও বিশ্বাস প্রসঙ্গে তিনি জানান ' একজন বাঙ্গালী হিসেবে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিসত্তার প্রতি দায়বদ্ধতা ছোটবেলা থেকে বইয়ের সাথে আমার গভীর সম্পৃক্ততা এবং অপরকে ভাল বই পড়ানোর মানসিক তৃপ্তি এবংএই প্রক্রিয়ায় সুকুমার বিকাশে এই দর্শনেই কানাডায় বাংলা বই বিপণন ও সম্প্রসারণে আগ্রহী হয়েছি। আলোকিত মানুষগড়ার কারিগর শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক আবু সায়িদের জীবন বোধ আমার অনুকরণীয় আদর্শ ।' তাঁর এই প্রতিষ্ঠানেরবাংলা বইয়ের সংগ্রহ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন দুই বাংলার বরণীয় লেখকদের স্মরণীয় জনপ্রিয় লেখাউপন্যাস ও কবিতা , অনুবাদ গল্প সমৃদ্ধ সকল বয়সের পাঠক উপযোগি বই আমাদের সংগ্রহে আছে। শিশুদের জন্যবাংলা বর্ণ শেখা , গণিত ও সংখ্যা গণনা , ছড়া, কবিতা ও পল্পের বই এবং কিশোরদের জন্য ফিক্শান নন ফিকশানসবধরনের উপন্যাস,গল্প ও কবিতাসহ বাংলা ভাষায় রচিত বিভিন্ন ধর্মীয় বই সংগ্রহে রয়েছে। পাঠকদের চাহিদা অনুসারে অর্ডার নেয়া হয় l বাংলা সংস্কৃতি ও ইতিহাস ঐতিহ্যকে লালন করে যেমন মৃৎ শিল্প , পোড়ামাটি , বাঁশ, বেত ও কাঠজাত মনকাড়া গৃহসজ্জা , চিত্র ও উপহার সামগ্রী , বাংলাদেশের পতাকা ও পতাকা খচিত টি-সার্ট সুভেনীর, লুঙ্গি, গামছা ইত্যাদি।বাংলাদেশের ঐতিহ্য ইতিহাস ধারন না লালন করে না পণ্যসামগ্রী আমি আমাদের সংগ্রহে রাখি না। '

নিজের জন্ম পরিবার ও শিক্ষাজীবন ও জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত প্রসঙ্গে 'আমার জন্ম ১৯৫৪ সালের অগাস্ট মাসে বৃহত্তর কুমিল্লার চাঁদপুরজেলায়। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন করি , আমারপড়ালেখা র বিষয়ের সাথে যদিও ভাষা-সংস্কৃতির সাথে যোগাযোগ কম তথাপী আমার বাংলা ভাষা ও ঐতিহ্যের প্রতি অদম্য নেশা সদাই আমাকে আকৃষ্ট রাখতো। কর্ম দক্ষতার প্রসারে দেশে বিদেশে হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক একাধিক পেশাভিত্তিক ডিপ্লোমা নিয়ে আমার অধ্যায়ন জীবনের পরিধি প্রায় ৩৫ বছর। আমাদের ৪৩ বছরেরবিবাহিত জীবনে তিন কন্যা সন্তানের গর্বিত পিতা আমি l কন্যারা সবাই বিবাহিতা এবং স্বামী সন্তানদের নিয়েটরেন্টো তে আছেন । আমার স্ত্রী শুধু আমার জীবনেরই নয় আমার ব্যাবসায় সার্বক্ষণিক সঙ্গিনী। আমার স্মরনীয় মূহুর্ত যখন বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করি এবং " কাজীর সামনে কবুল বলা”। আমার জীবনেরস্মরনীয় ঘটনাবলী অপারশুন্যতা হতে সৃষ্টি ''পিতা ও মাতার মৃ্ত্যু শোক।" আমার অবসর মেলে খুব কম আমার মতে অবসর হলো এককথায় আগামী কালের জন্য মগজ ধোলাই।তাঁর পছন্দের সাহিত্যেকদের বিষয়ে তাঁর মন্তব্য ছিল 'দুই বাংলার প্রায়সব লেখকই আমার প্রিয় তবে সবার লেখাই যে আমার সম মাত্রায় ভালো লাগে এমন নয় , রম্য রসাত্মক লেখা বেশী আকৃষ্ট করে l আগ্রহের তালিকায় আছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় , সৈয়দ মুজতবা আলী, জসিমউদ্দিন, আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ প্রমুখ। ভ্রমন, শপিং আর ভাল কোন বই সংগ্রহ করে অন্যকে পড়ানো আমার শখ বলতেপারেন। অদূর ভবিষ্যতে কানাডার বাংলা সাহিত্য অনুরাগী এবং সংস্কৃতি প্রেমীদের সহযোগিতায় টরেন্টোতে একটি বাংলা পাঠগার প্রতিষ্ঠা করা আগামীর কর্ম পরিকল্পনা।বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নিয়ে প্রকাশনা এবং গবেষনাসম্পর্কে তাঁর মতামত 'মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গবেষণা অবশ্যই হচ্ছে l তবে বাস্তবতা হলো এক্ষেত্রে প্রকৃত গবেষনার চেয়েঅনেক লোকদেখানো বা রাজনৈতিক প্রভাবযুক্ত হয়ে পড়ছে যা আমার বিবেচনায় সঠিক দিক নির্দেশনা বিহীনউদ্যোগ l মহান মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নিরপেক্ষ এবং নির্মোহ দেশাত্মবোধের অবস্থান হতে কাজ করতে হবে l ' তাঁর এই প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন 'আমার প্রাপ্তির অভিজ্ঞতায় কঠোর বাঁধা এবং উৎসাহদুটোই ছিল। বাংলা বইকে কানাডায়'মূলধারায় বানিজ্যিক পন্য হিসাবে আজকের গ্রহণযোগ্য স্থানে নেবারঅভিপ্রায়ে আমাকে প্রচুর কাঠখড়ি পোড়াতে হয়েছে , কানাডায় হাজার হাজার ডলার ভর্তূকি দিতে হয়েছে এবংএখনো হচ্ছে ,তবে আমার শখ বা দেশপ্রেম দুই কারনে কোন বাঁধা ই আমাকে দমিয়ে রাখতে পারছে না এবং হাল ছাড়িনি l '

ভাল বই আমাদের পরিশুদ্ধ মনন গঠন এবং বিশুদ্ধ চিন্তা করতে শেখায় l এই বোধ কে সামনে রেখে ই আনোয়ারদোহা টরেন্টো তে অগ্রসর হয়েছেন l টরেন্টো সংক্ষিপ্ত সফর এবং আনোয়ার দোহা ভাইয়ের দোকানে যখনই গিয়েছি তিনি উষ্ণআন্তরিকতায় ও পারিবারিক আতিথ্য আমাদের ভরিয়ে রেখেছেন l আমি লিখি তা অবগত হয়ে গুরুত্বপূর্ন বইয়েরপাঠ ও কেনার নির্দেশনা ও বই উপহার দিয়েছেন l আমাদের আলাপচারিতায় অমায়িক সদালাপী এবং দেশপ্রেমিকএই প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব অনর্গল বলেছিলেন বাংলাদেশের অশ্রুত ইতিহাসের মূল্যবান বিভিন্ন দিক l কানাডায় বাংলা ভাষা ইতিহাস এবং ঐতিহ্য কে হৃদয়ে ধারন করে শ্রদ্ধাভাজন আত্মপ্রত্যয় দীপ্ত এই ব্যক্তিত্বের উদ্যোগ সুদীর্ঘ সফলতা লাভকরুক l আনোয়ার দোহা ভাইয়ের কানাডার মূলধারায় বাংলা বইয়ের দীর্ঘ পথযাত্রায় মাঝে মধ্যেই 'এ টি এন মেগাস্টোর গ্রন্থনীড়ে কানাডায় বসবাসরত এবং কানাডায় সফর কারী বাংলা ভাষা সাহিত্যের অনেক কালজয়ী সাহিত্যকসাংষ্কৃতিক গুণীজনের মিলন মেলায় পরিণত হয় l আর কানাডার বাংলা সাহিত্য ইতিহাস অনুরাগী পরবাসী পাঠকলেখক সহ অভিবাসী পাঠকের খুঁজে পায় দেশের স্বকীয় আত্মপরিচয়সমৃদ্ধ চিন্তার আনন্দেলোক l কোভিড মহামারীকালিন সময়ে কানাডায় বাংলাবইয়ের ক্রেতা সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেলেও আনোয়ার দোহা দমে জাননি l

কানাডা ও উত্তরআমেরিকার প্রবাসী বাঙালিরা তাঁর প্রতিষ্ঠান হতে বই কিনে বাংলা ভাষী ও বাংলাদেশি রা তাঁদের জাতিগত আত্মপরিচয়জাত চিন্তার উত্তরণ ঘটিয়ে আনোয়ার দোহা ভাইযের অনন্য উদ্যোগের পাশে আছেন।

   

ইতালিতে ফ্রোজেন ফুড কোচ কোম্পানির কর্মীদের মিলনমেলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইতালিতে ফ্রোজেন ফুড কোচ কোম্পানির কর্মীদের মিলনমেলা

ইতালিতে ফ্রোজেন ফুড কোচ কোম্পানির কর্মীদের মিলনমেলা

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতালিতে তাজা হিমায়িত পণ্যের জন্য বিখ্যাত কোচ (koch) কোম্পানিতে কর্মরত কয়েক শতাধিক কর্মীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে এই উপলক্ষে কোম্পানি থেকে কর্মীদের জন্য ডিনার পার্টি আয়োজন করে মালিকপক্ষ, সেই সাথে গত এক বছরে কোম্পানিতে সব চেয়ে ভাল কাজ করা কর্মীদের পুরষ্কার দেয়া হয়।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভাল কাজের জন্য কোম্পানির মালিকপক্ষ বাংলাদেশিদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। কোচ কোম্পানি ১৯৮০ সালে ইতালির বোলজানোতে পিটার গোজার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এখনও এটি হিমায়িত খাবারের একটি গর্বিত প্রতিষ্ঠান।

কোচের বিখ্যাত ফুড গুলোর মধ্যে রয়েছে পিৎজা, পাস্তা সহ অন্যান্য। কোচ কোম্পানী পাইকারি বাণিজ্যের সেক্টরে কাজ করে এবং সেই সাথে খুচরা চেইনে অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশে কাজ করে।

কোচ (koch) কোম্পানির গুণগত মানের জন্য অস্ট্রিয়া, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, স্লোভেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, স্পেন, পর্তুগাল, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জাপান এবং আমেরিকায় এর শাখা রয়েছে।

;

বিশ্বের প্রথম ভাসমান মসজিদ নির্মিত হচ্ছে দুবাইয়ে



তোফায়েল পাপ্পু, সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই) করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বে প্রথমবারের মতো ভাসমান মসজিদ নির্মাণ করার ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই কর্তৃপক্ষ। নামাজ আদায়ের পাশাপাশি দেশের পর্যটন শিল্পেও এক অনন্য আকর্ষণ যোগ করবে এই মসজিদ।

নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে আনুমানিক ৫ কোটি ৫০ লাখ দিরহাম। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১৬৪ কোটিরও বেশি। দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস বিভাগ (আইএসিএডি) প্রকল্পটির ঘোষণা দেয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইএসিএডির মহাপরিচালক ড. হামাদ আল শেখ আহমেদ আল শাইবানিসহ বিভাগের অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিশিষ্ট কর্মকর্তারা। ইসলামি পর্যটনকে আরও শক্তিশালী করতে উচ্চাভিলাষী এই ধর্মীয় প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি। মসজিদটি হবে তিন তলা বিশিষ্ট। এক তলা থাকবে সাগরের নিচে, আর বাকি দুই তলা পানির ওপরে। প্রথম তলায় থাকবে নামাজ আদায়ের জায়গা। যাতে একসঙ্গে ৫০ থেকে ৭৫ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।

কিছু গণমাধ্যম জানিয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথমদিকে ৬০০ মুসল্লির জন্য বিস্তৃৃত পরিসরে এটি উন্মুক্ত করা হবে। ২ হাজার বর্গফুটজুড়ে বিস্তৃত মসজিদের নির্মাণ কাজ চালু হবে চলতি বছরের অক্টোবরে। নির্মাণে সময় লেগে যাবে প্রায় ১২ মাস।

মসজিদের প্রথম তলায় ওজুর সুবিধা ও ওয়াশরুমের সুবিধাও থাকবে। দ্বিতীয় তলায় থাকবে ইসলামিক বক্তৃতা ও কর্মশালার আয়োজনের জন্য একটি বহুমুখী হল। তৃতীয় তলায় থাকবে কুরআন প্রদর্শনী কেন্দ্র।

খালিজ টাইমসের শেয়ার করা একটি ছবিতে দেখা যায়, মসজিদের অবকাঠামোর পানির ওপরের অংশে থাকবে বসার জায়গাসহ একটি কফি শপ। নিচতলার নামাজের কক্ষে বসে সমুদ্রও দেখতে পারবেন মুসল্লিরা। এ লক্ষ্যেই নামাজ ঘরের একপাশে বিশাল একটা কাচের দেওয়াল হবে।

মসজিদটি সব ধর্মের মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে দর্শনার্থী নারী-পুরুষ প্রত্যেককেই পরিধান করতে হবে শালীন পোশাক। মেনে চলতে হবে ইসলামিক ঐতিহ্য ও রীতিনীতি। নারীদের ক্ষেত্রে মাথা-কাঁধ ঢাকা থাকে এমন পোশাক পরিধান করতে হবে।

মসজিদটি নির্মাণের অবস্থান এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে এটি উপকূলের খুব কাছাকাছি হবে বলে জানিয়েছেন বিভাগের কালচারাল কমিউনিকেশন কনসালট্যান্ট আহমেদ খালফান আল মনসুরি। মসজিদে আসা পর্যটক ও নামাজ আদায়কারীরা মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত একটি সেতু দিয়ে মসজিদে ঢুকবেন বলে জানান তিনি।

দুবাইয়ে ধর্মীয় পর্যটন প্রকল্পের লক্ষ্য হলো একটি বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে দুবাইয়ের মর্যাদা প্রচার করা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঘোষিত দুবাই কৌশল-২০২৫ সালে দুবাইকে বিশ্বের সর্বাধিক পর্যটকের শহরে উন্নীত করার পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। প্রকল্পটি চালু হলে এদেশে পর্যটকদের পরিদর্শনের হার ৩ থেকে ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রেলিজিয়াস ট্যুরিজম ইনিশিয়েটিভের প্রধান ড. আবদুল্লাহ ইব্রাহিম আব্দুল জব্বার বলেন, এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত থাকবে দুবাই ইফতার, ধর্মীয় প্রতিনিধিদের একটি অনন্য সমাবেশ আর ঐতিহাসিক, নতুন বিশিষ্ট মসজিদ পরিদর্শনসহ একাধিক উদ্যোগ।

আল মনসুরি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি বৈশ্বিক পর্যটন সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় তিনি নিরাপত্তা, আতিথেয়তা আর বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের খ্যাতির কথা উল্লেখ করে সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধনে পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

;

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা



সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই) থেকে তোফায়েল পাপ্পু:
সংযুক্ত আরব আমিরাতে আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসে ধুলিকণা সৃষ্টি করে কিছু উপকূলীয় এবং অভ্যন্তরীণ এলাকায় মঙ্গলবার রাত এবং বুধবার সকাল পর্যন্ত আর্দ্রতা থাকবে। আমিরাতের ন্যাশনাল সেন্টার অফ মেটিওরোলজি (এনসিএম) এর তথ্যমতে সারা দেশে আবহাওয়ার অবস্থা রৌদ্রোজ্জ্বল হবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে কিছু অংশে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ এবং বৃষ্টিপাতের সাথে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।

কিছু উপকূলীয় এবং অভ্যন্তরীণ এলাকায় মঙ্গলবার রাত এবং বুধবার সকাল পর্যন্ত আর্দ্র থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি বাতাসের কারণে ধুলো উড়বে।

এদিতে কারও যদি ধূলিকণার অ্যালার্জি থাকে এমন কেউ বাইরের দিকে না যায় এবং বাহিরে যেসব শ্রমিক কাজ করছেন তাদেরও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কেননা কখনও কখনও হালকা থেকে মাঝারি বাতাস, ১৫-২৫ বেগে, ৪৫ কিমি/ঘন্টা বেগে, ধুলো এবং বালি উড়তে পারে।"

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১-৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫-২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।


উপকূলীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৭-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং পার্বত্য অঞ্চলে ৩০-৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে। পার্বত্য অঞ্চলে আর্দ্রতা ৬০-৮০ শতাংশ মাঝারি থাকবে, যেখানে উপকূলীয় অঞ্চলে এটি ৭০-৯০ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এনসিএম আরও বলেছে যে মঙ্গলবার রাত এবং বুধবার সকালে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়তে পাওে এবং কিছু অভ্যন্তরীণ এবং উপকূলীয় এলাকায় কুয়াশা এবং কুয়াশা তৈরি হচ্ছে। মাঝারি বাতাস প্রত্যাশিত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলরেখা বরাবর সমুদ্র তুলনামূলকভাবে শান্ত থাকবে।

;

মালয়েশিয়ায় পুলিশের মোটরসাইকেল কিনে বিপাকে বাংলাদেশি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সাউথ-ইস্ট এশিয়া, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ান পুলিশের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল মাত্র ১ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত বা ৩০ হাজার টাকায় কেনেন একজন প্রবাসী বাংলাদেশি। সেটা চালানোও শুরু করেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো টিকটকে বড় কথা বলতে গিয়ে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই মালয়েশিয়ান পুলিশের মোটরসাইকেল চালানোর বিষয়টি টিকটকে বড়াই করে জানান দেন প্রবাসী। ভিডিওটিও ভাইরাল হয়ে পড়ে। আর সেটা চোখে পড়ে মালয়েশিয়ান পুলিশের। অবশেষে খুঁজে বের করা হয় তাকে।

সেপাং জেলা পুলিশের প্রধান সহকারী কমিশনার ওয়ান কামারুল আজরান ওয়ান ইওসুফ বলেন, সেপাং পুলিশ হেডকোয়ার্টারের একজন সদস্যের মোটরসাইকেল ছিল সেটি। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।

তিনি বলেন, পুলিশ সদস্য তার মোটর সাইকেলটি মেকানিক দোকানে নিয়ে যান কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি ঠিক করতে।

মোটরসাইকেলটি অনেকদিন ধরেই পরিচর্যা করা হয়নি। পরে মেকানিক দোকানের বাংলাদেশি কর্মচারী বলেন, ১ হাজার ৫০০ রিঙ্গিতের বিনিময়ে তিনি মোটরসাইকেলটি কিনতে চান। মোটর সাইকেলের মালিক এই প্রস্তাবে রাজি হন।

এরপর ক্রেতা বাংলাদেশি টিকটকে একটি ভিডিও প্রকাশ করলে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে তিনি নিজেই বলেন যে, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই তিনি গাড়িটা চালাচ্ছেন। এবং দ্বি-চক্র যানটির সড়ক কর পরিশোধ করা নেই।

এছাড়াও ১৫০০ রিঙ্গিত দিয়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে মোটরসাইকেলটি কিনেছেন বলেও জানান তিনি।

ওয়ান কামারুল আজরান বলেন, ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়লে গত শনিবার ওই বাংলাদেশি ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়।

রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৮৭ এর ২৬ (১) ধারায় তাকে জরিমানাসহ শাস্তি দেয়া হয়েছে বিনা লাইসেন্সে মোটর সাইকেল চালনার জন্য।

;