বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে লন্ডন হাই কমিশনের বিশেষ উদ্যোগ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে লন্ডন হাই কমিশনের বিশেষ উদ্যোগ

বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে লন্ডন হাই কমিশনের বিশেষ উদ্যোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে শুক্রবার মিশনের ‘বঙ্গবন্ধু লাউঞ্চে’ যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের সভাপতিত্বে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রেরণের সাথে সম্পৃক্ত যুক্তরাজ্যের মানি এক্সচেঞ্জ হাউজের প্রতিনিধিদের সাথে “Opportunities for Greater Remittance Flows from the UK and Ireland” শীর্ষক এক আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার প্রবাসীদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক আয় বৈধ পথে বাংলাদেশে প্রেরণে উৎসাহ প্রদানের জন্য ঘোষিত ২.৫% প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সবসময় বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠানোর আহ্বান জানান। তিনি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোকেও রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা নেয়ার পরামর্শ দেন।

হাইকমিশনার বলেন, “বৈধ্য পথে রেমিটেন্স প্রেরণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য হাই কমিশন এবছর পূর্ব লন্ডনে একটি রেমিটেন্স ফেয়ার করবে। এছাড়া পূর্ব লন্ডনে হাই কমিশনের কন্সুলার সার্জারি সেবা প্রদানের পাশাপাশি বিশেষ ব্যবস্থায় মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর প্রতিনিধিরা বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে কীভাবে সহজে ও কম খরচে বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠানো যায় সে বিষয়ে সবাইকে অবহিত করবেন। কমিউনিটি টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও এবিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।

সভায় মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে ২.৫% প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁরা বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রেরণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে এসব সমাধানের জন্য কতিপয় প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

হাইকমিশনার তাদের সমস্যাগুলো ও প্রস্তাবসমূহ মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং এব্যাপারে হাই কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান।

নিউইয়র্কে লায়লা হাসান’র বৈশাখী মেলা ও বাংলা বর্ষবরণের আহ্বান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
একুশে পদক প্রাপ্ত নৃত্য শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়লা হাসান

একুশে পদক প্রাপ্ত নৃত্য শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়লা হাসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউইয়র্কে শতকণ্ঠে ১৪৩০ বাংলা বর্ষবরণ, মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বৈশাখী মেলা উদযাপনের আহ্বান করেছেন একুশে পদক প্রাপ্ত নৃত্য শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়লা হাসান।

রোববার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় তিনি নিউইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে শতকণ্ঠে বর্ষবরণের এ আয়োজনের চতুর্থ মহড়ায় অংশ নেন। এর আগে আরো তিনটি মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছেন এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড, সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল লিটন জানান, এতে গান গাইবেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং কলকাতা থেকে অংশ নিবেন কমলিনী মুখোপাধ্যায় ও আরো অনেকে।

জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে শতকণ্ঠে বর্ষবরণ আয়োজনের চতুর্থ মহড়া

এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন লেখক, চিকিৎসক হুমায়ুন কবির, সংগীত পরিচালক মহিতোষ তালকদার তাপস এবং উপমহাদেশের খ্যাতনামা সঙ্গীতজ্ঞ মুত্তালিব বিশ্বাস। মুত্তালিব বিশ্বাস বলেন, “আমি মুগ্ধ হয়ে ৪ ঘণ্টার মহড়া উপভোগ করেছি। আমাদের শত বিভাজনের মধ্যে এক হওয়ার মূল মন্ত্র বাঙালিয়ানা সংস্কৃতি আমাদের একত্রিত করে। বিশাল এই আয়োজনটি সফল করতে সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।”

হুমায়ুন কবির বলেন, “আমাদের প্রথম ও শেষ কথা আমরা বাঙালি। বিশ্বব্যাপী আমাদের এই বাঙালিয়ানা প্রকাশ করার সুযোগ পাওয়া যায় এমন বৃহৎ আয়োজনে। নানান প্রভাবে আমরা মানবিকতা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি, কিন্তু সংস্কৃতি আমাদের মানবিক করে তোলে। এই আয়োজন শতকণ্ঠের হলেও এখানে যুক্ত হবে কোটি কণ্ঠ এই প্রত্যাশা করি।”


আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়লা হাসান বলেন, “উপমহাদেশের খ্যাতনামা সঙ্গীতজ্ঞ মুত্তালেব বিশ্বাসের উপস্থিতিতে সবাই মিলে আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তাতে আমি সম্মানিত বোধ করছি। আহ্বায়ক হিসেবে আমি আন্তরিকভাবে কাজ করব। সবার সহযোগিতা নিয়ে ঐতিহাসিক এ আয়োজনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে চাই।” তিনি আগামী ১৪ ও ১৫ এপ্রিলের এ উৎসবে উত্তর আমেরিকার সব অভিবাসীদের অংশগ্রহণেরও আহ্বান জানান।

;

রোমাঞ্চকর দুবাই মরুভূমির ডেজার্ট সাফারি



তোফায়েল পাপ্পু, দুবাই (সংযুক্ত আরব আমিরাত) থেকে
দুবাই মরুভূমির ডেজার্ট সাফারি

দুবাই মরুভূমির ডেজার্ট সাফারি

  • Font increase
  • Font Decrease

দারুণ স্থাপত্যের সব অট্টালিকা নিয়েই পুরোটা শহর। এটা মূলত কোন দেশ নয়। অনেকেই এই শহরটাকে কোন একটা দেশ মনে করে থাকেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি রাজ্য অর্থাৎ একটি সিটির নাম দুবাই। পুরো শহরজুড়ে উঁচু উঁচু দালান। একেকটা যেন আকাশ ছুঁতে চায়, ডিজাইনে-নান্দনিকতায় ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াইটাও স্পষ্ট। শহর থেকে একটু বাহিরে গেলেই দেখা মিলে ভিন্ন দৃশ্য। রাস্তার দু'পাশে দিগন্ত জোড়া বালুকাবেলা। অনেকটা আঁকা-বাকা রাস্তা। যেমনটা এখানকার রাজপথে তেমন একটা দেখা যায় না।

সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড উপভোগ

একদিকে যেমন বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু দালান দেখতে দর্শনার্থীরা ভিড় করেন এখানে, অন্যদিকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুলের বাগান দেখতেও দর্শনার্থীদের কমতি নেই। তেমনি দুবাইয়ের মরুভূমি না দেখলে যেন মনে হবে দুবাই ভ্রমণ করা হয়নি। একটা আফসোস থেকে যাবে। বিশেষ করে আরবের দেশগুলোকে মরুভূমির দেশ বলে আখ্যায়িত করা হয়। তাই দুবাই বা সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসে মরুভূমি না দেখলে আফসোস থেকেই যাবে। মরুভূমি দেখতে হলে যেতে হবে দুবাই শহরের বাহিরে।

মরুভূমির ডেজার্ট সাফারি

দুবাই মরুভূমি সাফারি একটি অভিনব অভিজ্ঞতা যা আপনাকে স্থানীয় জীবনধারা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে পরিচিত করে দেবে। দুবাই মরুভূমি সাফারি দেশের উত্তরপশ্চিম এলাকা থেকে শুরু হয় এবং অনেক কম বর্ষার একটি সমতল এলাকায় পরিচর্যা করা হয়।

দুবাই সাফারি মরুভূমি দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ। এটি একটি মরুভূমি সাফারি অভিজ্ঞতা যা দর্শকদের দুবাইয়ের বিশাল এবং সুন্দর মরুভূমির ল্যান্ডস্কেপ অন্বেষণ করার সুযোগ দেয়।

আমিরাতের একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ

এমনিতে মরুভূমির কথা মনে হলে ছোটবেলা থেকে একটা ছবিই স্মরণ হতে পারে, অ্যরাবিয়াননাইটসের সেই আলিফ লায়লার কথা। ভোগ-বিলাসের সেই জীবনের কথা। ওমান সীমান্তের কাছে বা এর আশে পাশে রয়েছে মরু এলাকা। দুবাই শহর থেকে প্রায় ৮০-১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে অবস্থিত ডেজার্ট সাফারি এলাকা।

মরুভূমির সূর্যাস্ত

প্রাইভেট গাড়ি, বাস অথবা ট্যাক্সি করে যেতে হবে ওখানে। সড়কের পাশে গাড়ি পার্কিং করার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ির মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হবে মরুভূমির ভিতরে ক্যাম্পের পাশে। সাফারিটি সাধারণত একটি ৪ঢ৪ গাড়িতে একটি রোমাঞ্চকর ডুন ব্যাশিং রাইড দিয়ে শুরু হয়, যেখানে দর্শকরা বালির টিলায় উপরে এবং নীচে গাড়ি চালানোর অ্যাড্রেনালিন রাশ অনুভব করতে পারে। গাড়ি চালানো শুরু থেকে প্রায় ৩ থেকে ৪ মিনিট চড়ার মধ্যেই অনুভূত হবে এক অসাধারণ রোমাঞ্চ। মরুভূমির উপর দিয়ে উঁচু উঁচু বালুর টিলা বেয়ে গাড়ি চড়াটা যে কত আনন্দের তা সরেজমিন না গেলে বুঝার উপায় নেই। গাড়ি একবার বালির পাহাড়ে উঠে তো আবার নিচে। মনে হবে এই বুঝি উল্টে যাবে গাড়ি।এতোদিন যা হলিউডের সিনেমায় দেখেছেন তার অভিজ্ঞতাটা এখানে আসলে বুঝা যাবে। মরুভূমি পেরিয়ে উঁচু থেকে নিচুতে ছুটতে থাকা গাড়িগুলো যেন বালির সঙ্গে যুদ্ধ করছে। এই যে গাড়ি কাত হয়ে যাওয়া কিংবা প্রায় উল্টে যাওয়া এটিই এই ডেসার্ট সাফারির সেরা বিনোদন। এখানে যারা গাড়ি চালান তাদের প্রত্যেকের রয়েছে ডেজার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স। মনে মনে ভয় ঢুকে যাবে তাদের ড্রাইভিংয়ে। কিন্তু নিরাপদ থাকবেন আপনি। তবে হ্যা, হার্টে সমস্যা থাকলে এই রাইডে যাওয়ার ব্যাপারে কিছুটা বিধি-নিষেধও আছে!

 ঐতিহ্যবাহী আরব আতিথেয়তা

টিলা বাশিং রাইডের পরে, দর্শকরা একটি ঐতিহ্যবাহী বেদুঈন-স্টাইল ক্যাম্পসাইট উপভোগ করতে পারে যেখানে তারা ঐতিহ্যবাহী আরব আতিথেয়তা অনুভব করতে পারে এবং উটের চড়া, মেহেদি পেইন্টিং এবং শিশা ধূমপানের মতো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড উপভোগ করতে পারেন।

মরুভূমি সাফারি

মরুভূমি সাফারি একটি ভারী জিনিস, এবং এটি সুরক্ষিত ও কর্তব্যশীল হতে হবে। এখানে যাওয়ার পূর্বে নিশ্চিত হতে হবে যে স্থানীয় গাইডসহ সাফারি করছেন যা আপনাকে সুরক্ষা এবং জিজ্ঞাসা করতে সাহায্য করবে। মরুভূমি সাফারি আপনাকে অনেক অভিজ্ঞতা দেবে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অর্থহীন স্থানগুলো রয়েছে যেমন মরু ডেজার্ট এবং স্থানীয় বস্তুতেও অভিজ্ঞতা দেওয়া হয়। এই সাফারি পর্যটকদের সাধারণত সন্ধ্যা থেকে রাত বেলা পর্যন্ত চলে। সাফারি শুরু হয় আরব আদমির সাথে একটি জীবনযাপনে যেখানে আপনি উফানপূর্ণ আবহাওয়া এলাকার অসাধারণ দৃশ্য, শুকনো রেগিস্তান, সুন্দর সূর্যাস্ত এবং দুনিয়ার সবচেয়ে বড় স্থানীয় সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা দেখতে পারবেন।

মরুভূমির উট

সাফারির অংশ হিসেবে দুবাই রেগিস্তান সফারি, স্কি বোর্ড সাফারি, বাগি সাফারি এবং ফালকন সাফারি, হাম্বার রাইডিং, ক্যামেল সাফারি, বিভিন্ন আকর্ষণ যেমন হাই ডিজার্ট ক্যাম্প, বেলনা চালানো, ক্যামেল রাইড, বেল্ট বাজি শো এবং ট্রাডিশনাল আরবি ডিনার জমিয়ে থাকে। আপনি যদি চান তবে আপনি একটি টেন্টে থাকতে পারেন এবং শান্তি এবং সুবিধা একটি স্বপ্নসুঞ্চনীয় অভিজ্ঞতা।

দুবাইয়ের এমন রোমাঞ্চের জীবন খুঁজতে চাইলে মরুভূমিতে যেন আসতেই হবে! সামগ্রিকভাবে, দুবাই সাফারি মরুভূমি একটি অনন্য এবং অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা যা দর্শকদের ঐতিহ্যবাহী বেদুঈদ জীবনধারা এবং আরবীয় মরুভূমির সৌন্দর্যের একটি আভাস দেয়।

;

চট্টগ্রাম থেকে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট চালুর ঘোষণা



তাইফুর রহমান, কাতার করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
কাতার এয়ারওয়েজ

কাতার এয়ারওয়েজ

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে অবস্থানরত প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বছরের মার্চে চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট চালু করবে কাতার এয়ারওয়েজ।

এক ঘোষণায় কাতার এয়ারওয়েজ জানায়, প্রবাসীদের ভ্রমণ আরামদায়ক ও নিরবিচ্ছিন্ন করতে আগামী ২০২৪ সালের ১১ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে কাতার সরাসরি ফ্লাইট চালু করা হবে।

এই ঘোষণায় আরও নতুন ৬টি গন্তেব্য, ১১টি রুটে পুনরায় ফ্লাইট চালু এবং ৩৫ রুটে ফ্লাইট বাড়ানোর কথা জানায় কাতার এয়ারওয়েজ।

চট্টগ্রাম ছাড়া নতুন রুটগুলো হলো-সাউথ সুদানের জুবা, কঙ্গোর কিনশাসা, ফ্রান্সের লিওঁ এবং তলুজ, ইন্দোনেশিয়ার মেদান ও তুরস্কের ট্রাবজোন।

এদিকে নতুন এই ঘোষণায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রবাসীদের মধ্যে একটি স্বস্তির সুবাতাস বইছে।

এর আগে কাতার থেকে ঢাকায় গিয়ে তারপর আবার চট্টগ্রামে পৌঁছাতে হত প্রবাসীদের। কাতার-চট্টগ্রাম সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনায় ওই অঞ্চলের প্রবাসীদেরকে আর ভ্রমণ জটিলতায় পরতে হবে না।

;

মরুর বুকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুলের বাগান



তোফায়েল পাপ্পু, দুবাই করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
মিরাক্কেল গার্ডেন

মিরাক্কেল গার্ডেন

  • Font increase
  • Font Decrease

কবির ভাষায় ভালোবাসা আর যত্ন দিয়ে মরুভূমিতেও ফুল ফোটানো যায়। তবে এ বিখ্যাত উক্তিটির বাস্তবতাও পাওয়া গেল দুবাইয়ে। যেখানে ভালোবাসা আর অতি যত্নে এমন অসম্ভবকেই সম্ভব করা হয়েছে। মরুভূমির উত্তপ্ত বালিতে যেখানে গাছ খুঁজে পাওয়াটা কঠিন, সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ফুলের বাগান। যার নাম দেওয়া হয়েছে মিরাক্কেল গার্ডেন। সুন্দর চিরকাল-ই সুন্দর । কিন্তু এখানে না আসলে অদ্ভুত সুন্দর দেখা হতো না। কিছু সুন্দর, কিছু মুহূর্ত, কিছু আবেগ, ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

এমিরেটস এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস

রাজ্যটাই যেন ফুলের। চারিদিকে ফুল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নানা দৃশ্য। একটু উপর থেকে দেখলে মনে হয় এ যেন এক ফুলের সাগর। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুলের বাগান এটি। এখানে প্রবেশ করে কারও বোঝার উপায় নেই মরুভূমির কোন দেশে আছি নাকি চিরসবুজ কোনো উদ্যানে আছি। চারদিকে নানা রঙের বাহারি ফুলের সমারোহ। ফুল দিয়ে যে কত অবাক করা আর দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা তৈরি করা সম্ভব তা দুবাই মিরাকল গার্ডেন না দেখলে বোঝা যাবে না। কারণ ফুল মানুষকে কতটুকু আনন্দ দিতে পারে তা দর্শনার্থীদের ভিড় দেখলেই বোঝা যায়।

রাশি রাশি ফুল গাছ

পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু দালান দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার পরেই মিরাক্কেল গার্ডেন এখন বিশ্ব পর্যটকদের কাছে দারুণ আকর্ষণীয় এক স্থান। এাঁনে গেলে সব বয়সের মানুষের মনটাকে নিমিষেই ভালো করে দেয়। মরুভূমির দেশেও যে আরও অনেক কিছুই আছে যা আমাদের দৃষ্টি ও মনকে বিমোহিত করে চোখের পলকেই। যেদিকে চোখ যায় রাশি রাশি ফুল গাছের মনোমুগ্ধকর সব আকৃতি দিয়ে সাজানো বাগান। আরব আমিরাতের বিভিন্ন ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাহারি সব প্রাকৃতিক চিত্র কর্মের মাধ্যমে।

ফুটে আছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল

মিরাক্কেল গার্ডেনের ফুল বাগানের মোট আয়তন ৭২ হাজার স্কয়ার মিটার। যেখানে জুড়ে আছে শত শত রকমের শুধু ফুল আর ফুল। হাঁটার রাস্তা চার কিলোমিটার। আর মিরাক্কেল গার্ডেনের অফিসিয়াল তথ্যমতে, গোটা পার্কে সবসময় ফুটে থাকে বিভিন্ন প্রজাতির দৃষ্টি নন্দন ৪৫ মিলিয়ন ফুল। তবে বর্তমানে ফুলের সংখ্যা প্রায় ৫০ মিলিয়নের কাছাকাছি। মিরাক্কেল গার্ডেনের সামনেই বাম দিকে চোখে পড়বে আরেকটি বিস্ময়। পৃথিবীর দীর্ঘতম আয়তনের এবং সবচেয়ে বড় ওয়ালের ফুলের বাগানের অপার দৃশ্যটি এখান থেকেই মুগ্ধতা ভরে দেখতে পাবেন। একারণেই মিরাক্কেল গার্ডেনটির নাম উঠেছে গিনিস বুকে।

এই বাগানে ঋতুভিত্তিক রং বদলায়

নানা রঙের ফুল দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন সাজে নানা ধরনের আকৃতিতে ফুলগুলোকে উপস্থাপন করা হয়েছে। ফুলগাছগুলোকে বিভিন্ন আকৃতি দিয়ে দর্শনার্থীদের আনন্দ দেওয়া হয়। বাগানে ফুল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পুরনো নানা মডেলের গাড়ি, ফুলের জাহাজ, ফুলের বিছানা, ফুলের পাহাড়, ফুলের ঘোড়ার গাড়ি, ফুলের বাড়ি, ফুলের ঘর, ফুলের সাগর, বরফের ঘর, ফুলের দোলনা, ফুলের সবচেয়ে বড় দেয়াল, পিরামিড, চলমান পানির টেপ, ফুল দিয়ে তৈরি ময়ূরপঙ্খী, প্রজাপতি, ফুলের ঝর্ণাধারা মানবাকৃতিসহ বিভিন্ন আকৃতি দেওয়া হয়েছে যা ঋতুভিত্তিক রং বদলায়। কোন মানুষের মন খারাপ থাকলে এমন দৃশ্য উপভোগ করলে মুহূর্তেই ভালো হয়ে যাবে।

 নানা ধরনের আকৃতিতে ফুল

বাগানে ফুল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে আরব আমিরাতের জাতীয় পাখির আকৃতি। কলস থেকে পানির মতো করে ফুল ঝরছে এমনও অনেক চোখ জুড়ানো দৃশ্য চোখে পড়ে বাগানটিতে। এছাড়া ফুলের দূর্গ, মিকি মাউস, রয়েছে ফুল দিয়ে সাজানো এমিরেটস এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস যা সত্যিই দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।

ফ্রেন্ডস অব আরব আমিরাত হিসেবে বিভিন্ন দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্যগত কিছু ছবি যেমন- পতাকা, ফুল, পাখি, ফল ইত্যাদি তৈরি করে রাখার সুন্দর একটি জায়গা আছে এক পাশে। যা প্রতি বছর পর্যায়ক্রমে বদল করা হয়। বাংলাদেশের পতাকা এবং শাপলাও কর্তৃপক্ষের ভালোবাসায় সেখানে স্থান পেয়েছে।

মরুর বুকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুলের বাগান

নয়নাভিরাম এ বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বর্তমানে টিকেটের মূল্য রাখা হয়েছে বড়দের জন্য ৭৫ দিরহাম (বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় দুই হাজার দুইশত পঞ্চাশ টাকা), ছোটদের জন্য ৫৫ দিরহাম (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক হাজার ছয়শত পঞ্চাশ টাকা)। ২ বছরের কম বয়সিদের জন্য প্রবেশ ফ্রি। দুবাইয়ের যেকোন এলাকা থেকে প্রাইভেট গাড়ি, ট্যাক্সি, ও বাসে করেও মিরাক্কেল গার্ডেন যাওয়া যায়।

;