বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলান কর্তৃক বিজয় দিবস উদযাপিত



ইতালি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলান কর্তৃক মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলান কর্তৃক মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতালির মিলানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলান কর্তৃক বিপুল সংখ্যক প্রবাসীদের উপস্থিতিতে আনন্দঘন পরিবেশে বাংলাদেশের ৫১তম মহান বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে সম্মিলিতভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ। মিলানস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ-এর নেতৃত্বে কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মাধ্যমে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের সূচনা হয়। এরপর উপস্থিত সকলেই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন। এ পর্বে কনস্যুলেটের কর্মকর্তাবৃন্দ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। এছাড়াও বিজয়দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তাগণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে গভীরভাবে স্মরণ করেন। তারা জানান যে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী যেকোন ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা প্রতিহত করতে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ সর্বদাই সজাগ থাকবে।

এসময় কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ তাঁর বক্তব্যে বর্তমান সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়করী অর্থনৈতিক বিকাশ ও সম্ভাবনার নতুন যুগের কথা সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিগন্তজয়ী নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে নিয়ে যেতে সরকারের গৃহীত প্রবাসীবান্ধব নানামুখী পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেন।


তিনি আরো তুলে ধরেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ১ ট্রিলিয়ন ডলার জিডিপির অর্থনীতি হবে এবং সে অগ্রযাত্রায় দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হবেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত প্রবাসী জনশক্তি। এর সুফল হিসেবে ইতালি প্রবাসীগণ একটি উন্নত দেশের নাগরিক হিসেবে আরেকটি উন্নত দেশে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন বলে তিনি দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এছাড়াও কনসাল জেনারেল ইতালির সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশি প্রবাসীদের সুনাম ও তাদের বিষয়ে ইতালি সরকারের ইতিবাচক মনোভাব সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন বলে জানান। নানামুখী সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তিনি প্রবাসীবান্ধব কনস্যুলেট তৈরিতে তাঁর সময়ে গৃহিত নানামুখী পদক্ষেপ বিশেষ করে দূরবর্তী অঞ্চলে পাসপোর্ট ডেলিভারি, সরাসরি সাক্ষাৎকার সেবা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবস উপলক্ষ্যে কমিশন-ফ্রি রেমিট্যান্স প্রেরণে কনস্যুলেটের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির বিষয়ে প্রবাসীদের অবহিত করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিগণ তাদের মেধা ও পরিশ্রম দ্বারা যে সুনাম অর্জন করেছেন তারই ধারাবাহিকতায় ইতালির মূলধারার রাজনীতিতে আরো বেশি সম্পৃক্ত হবেন এবং সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে বিভিন্ন পদে কাজ করবেন।

শ্রম কনসাল সাব্বির আহমেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবসের এ অনুষ্ঠানে মিলান লোম্বার্দিয়া আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মান্নান মালিথা ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মিলান সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচিত কাউন্সিলর বিবাস চন্দ্র কর, মিলান বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম কাওসছার, মিলানস্থ জনতা এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এসআরএল-এর ব্যবস্থাপক এমডি শাহাদাত হোসেন, উত্তর ইতালির বিভিন্ন পেশার বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীগণ।

রিপামন্তি ইসলামিক সেন্টারের ইমাম মাওলানা কবির আহমেদের পরিচালনায় বাংলাদেশকে নিয়ে বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।

আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৩ বাংলাদেশির যাবজ্জীবন, ৫৪ জনকে জেল



সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে
আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৩ বাংলাদেশির যাবজ্জীবন

আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৩ বাংলাদেশির যাবজ্জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) একদল বাংলাদেশি প্রবাসী বিক্ষোভ মিছিলের ঘটনায় তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) আদালত। একই সঙ্গে আরও ৫৪ জনকে ১০ এবং ১১ বছরের জেল দেয়া হয়েছে।

সোমবার (২২ জুলাই) আবুধাবি ফেডারেল আপিল আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। কর্তৃপক্ষের বরাতে এই খবর দিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম খালিজ টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতার মাঝে নিজ দেশের সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে ইউএই’তে বিক্ষোভের ডাক দেয়া এবং দাঙ্গা উসকে দেয়ার অভিযোগে ওই তিন বাংলাদেশিকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছে।

গত সোমবার (২২ জুলাই) আবু ধাবি ফেডারেল আপিল আদালত রায় ঘোষণা করে এবং এই বহিরাগতদের অবৈধ জমায়েতের জন্য শাস্তি দেয়া হয়। বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের স্বদেশের সরকারকে চাপ দেওয়ার লক্ষ্যে বিক্ষোভের আহ্বান ও উসকানি দেওয়ার জন্য ৩ অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড জারি করা হয়েছিল।

আদালত আরও ৫৩ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং একজন আসামিকে অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ ও সমাবেশে অংশগ্রহণের দায়ে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এর আগে, ইউএই’র অ্যাটর্নি-জেনারেল চ্যান্সেলর ডাঃ হামাদ সাইফ আল শামসি অবিলম্বে ওই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন এবং সন্দেহভাজনদের একটি ‘জরুরি বিচার’র জন্য রেফার করেন।

অভিযুক্তরা এই ঘটনার ভিজ্যুয়াল এবং অডিও ক্লিপগুলিও ধারণ করে ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

এ বিষয়ে প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপি-জামায়াতপন্থিরা বিদেশের মাটিতে বসে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা (আজ বুধবার) সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলব। আশা করি দ্রুতই এই সংকটের সমাধান হয়ে যাবে।

;

লন্ডনে চট্টগ্রামের 'মেজ্জান', এ যেন বাঙালির মিলনমেলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মেজবান বা মেজ্জান চট্টগ্রামের ঐতিহ্য। চট্টগ্রামের মানুষ অতিথিপরায়ণ। নানা উপলক্ষে অতিথি আপ্যায়নে মেজবানির আয়োজন এখন চট্টগ্রামের একটি সংস্কৃতির অংশ। দেশব্যাপী এ মেজবানের খ্যাতি রয়েছে। মেজবান এখন দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও বেশ জনপ্রিয়।

জাঁকজমক চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান ও মিলন মেলা হয়ে গেলো লন্ডনে । পরবাসে সাদা ভাত, ৭ গরুর মাংস আর ডালের এই ভোজ আয়োজন যে কতটা উৎসবমুখর হয়ে উঠতে পারে তারও প্রমাণ মিলল চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান আয়োজনে।

স্থানীয় সময় রোববার পূর্ব লন্ডনের মেফেয়ার হলে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে মেজবানি খাবারের পাশাপাশি ছিল মন মাতানো সাংস্কৃতিক আয়োজন। যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বৃহত্তর চট্টগ্রামবাসীর প্রতিনিধিত্বকারী ও বাংলাদেশীদের অন্যতম শীর্ষ সংগঠন ‘গ্রেটার চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন ইউকে’ (জিসিএ) পঞ্চমবারের মতো বিশাল এই আয়োজন করে। এই সংগঠনটি প্রথম বিলাতে তথা প্রবাসে মেজবানকে বিশাল আংগিকে ও ভিন্ন আমেজে পরিচিত করেছে।

বাংলাদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অনেক কিছুই ঠাঁই করে নিয়েছে সুদূর যুক্তরাজ্যে। পিঠা উৎসব, বৈশাখী মেলা কিংবা বাঙালির বিয়ের মতো জমজমাট আয়োজন এখন নিয়মিত দেখা যায় সেখানে। তিন হাজার মানুষ মেজবানে অংশ নেয় এবারের মেজবানে। এদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে এই মিলন মেলা।


সংগঠনের ট্রেজারার মাসুদুর রহমানের উপস্হাপনায় অনুষ্ঠান শুরু হয় কোরান তেলাওয়াত, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের বর্তমান কার্যকরী কমিচির প্রেসিডেন্ট আখতারুল আলম এবং সেক্রেটারি ওসমান মাহমুদ ফয়সাল। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী, ১০৪ বছর বয়স্ক চ্যারিটি ফান্ড রেইজার দবিরুল ইসলাম চৌধুরী, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ট্রাষ্টি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন, চ্যানেল এস'র ফাউন্ডার মাহি জলিল, বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষে ইসমাঈল হোসেন, সাবেক সভাপতি ইসহাক চৌধুরী, ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন, সিপ্লাসটিভির আলমগীর অপু, কাউন্সিলর সৈয়দ ফিরোজ গনী, আই অন টিভির পরিচালক আতাউল্লাহ ফারুক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শওকত মাহমুদ টিপু, সলিসিটর জাগির আলম প্রমুখ।

এ সময় মঞ্চে নানা পর্বের সঞ্চালনায় ছিলেন মোহাম্মদ কায়সার, মাসুদুর রহমান, শহিদুল ইসলাম সাগর, নূরুন্নবী আলী, শহিদুল ইসলাম সাগর, ডা. মিফতাহুল জান্নাত। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সার্বিক ব্যবস্হাপনায় ছিলেন মীর রাশেদ আহমেদ, শওকত মাহমুদ টিপু, আরশাদ মালেক, আলী রেজা, রাজ্জাকুল হায়দার বাপ্পী, হাসান আনোয়ার, ব্যারিস্টার শওকত আলী, টিংকু চৌধুরী, অনুপম সাহা, আবু রায়হান শাকিল, লুতফুন নাহার লীনা, আসমা আলম, ফয়সাল আনোয়ার, শেখ নাছের, ইব্রাহিম জাহান, মোরশেদ, মোহাম্মদ ইসলাম, ফসি উদ্দিন প্রমুখ।


আয়োজনটি চট্টগ্রামবাসীর হলেও যুক্তরাজ্যে বসবাসরত অন্য অঞ্চলের বাংলাদেশিরাও এতে অংশ নেয়। লন্ডনের আশপাশের শহরসহ স্কটল্যান্ড, ম্যানচেস্টার, বার্মিংহামের মতো দূরের শহরগুলো থেকেও চট্টগ্রামবাসী অনেকে ছুটে আসেন ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনে যোগ দিতে। আয়োজকরা বলেন, এবারের মেজবানে কয়েক হাজার লোকের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়। মেফেয়ার হলে খাবার পরিবেশনের কক্ষের পেছনের দরজায় ভোজনপ্রেমীদের দীর্ঘ লাইন। এক ব্যাচ খেয়ে সামনের দরজা দিয়ে বের হচ্ছেন। আর পেছন দরজা দিয়ে ঢুকছেন আরেক ব্যাচ। মেজবানের চিরাচরিত টেবিল দখলের দৃশ্যও এখানে বাদ যায়নি। পরিবার-পরিজন নিয়ে একসঙ্গে বসতে টেবিল দখলের প্রচেষ্টাও ছিল লক্ষণীয়।

দিনব্যাপী মেজবানি খাবারের পাশাপাশি চলে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাসী আঞ্চলিক গান, নাচ ও নানা ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ফকির শাহাবুদ্দিন , হিমাংশু গোস্বামী , পাঞ্জাবিওয়ালা খ্যাত শিরিন জাওয়াত , আতিক হাসান , লাবণী বড়ুয়া , এম এ মোস্তফা , তাহমিনা শিপু , আই অন বাংলা স্কুল , পার্পল নাইট ব্যান্ডের জাওয়াদ, রুবেল, জয়, নাবিল , আয়ুস সাহাসহ স্থানীয় শিল্পীবরা। কৌতুক পরিবেশন করেন মিরাকাল কমেডিয়ান আরমন ।

বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী বলেন, মেজবানের খাবার বিশ্বের সেরা খাবার। তিনি চট্টগ্রামের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন বলেন, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চট্টগ্রামবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক যোগযোগ বৃদ্ধির জন্যই এই মেজবানের আয়োজন। চট্টগ্রামবাসীসহ অন্যান্য জেলার লোকদের মধ্যে এবারের মেজবান যে সাড়া ফেলেছে, তাতে ভিড় সামলাতে হয়তো ভবিষ্যতে খোলা কোনো মাঠে এই আয়োজন করতে হবে।

;

মালয়েশিয়ায় যৌন বিনোদনকেন্দ্রে বাংলাদেশি নারী-পুরুষ আটক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
মালয়েশিয়ায় যৌন বিনোদনকেন্দ্রে বাংলাদেশি নারী-পুরুষ আটক

মালয়েশিয়ায় যৌন বিনোদনকেন্দ্রে বাংলাদেশি নারী-পুরুষ আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের ক্লাং ভ্যালির একটি যৌন বিনোদন কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে ৭৫ জনকে আটক করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ১১ জন বাংলাদেশি নারী এবং ৮ জন বাংলাদেশি পুরুষ। বিদেশি যৌন কর্মীদের এটি একটি বড় সিন্ডিকেট বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ।

মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ বলেন, গত শুক্রবার বেলা ২টায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুত্রজায়া হেডকোয়ার্টারের একটি বিশেষ দল এই অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানের আগে দুই সপ্তাহ ধরে গোয়েন্দা তৎপরতা চালানো হয় এবং স্থানীয়দের থেকে তথ্য নেয়া হয়।

অভিযানে মোট ৫৭ জন নারীকে আটক করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে ৩২ জন ইন্দোনেশিয়ান, ১১ জন বাংলাদেশি, ৮ জন ভিয়েতনামিজ এবং ৬ জন ভারতীয়।

এছাড়াও অভিযানে ১০ জন পুরুষ আটক হয়েছেন। যাদের বয়স ১৭ থেকে ৪৬ এর মধ্যে। যার মধ্যে রয়েছেন ৭ জন বাংলাদেশি, ২ জন মিয়ানমারের নাগরিক এবং একজন ইন্দোনেশিয়ান।

অভিযানে ৭ জন স্থানীয় পুরুষ এবং একজন নারীকে আটক করা হয়। যাদের বয়স ২৩ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে।

অভিযানে আটক ১৩ জন ইন্দোনেশিয়ান নারী এবং ৪ জন ভিয়েতনামিজ নারীর কাছে বৈধ পাসপোর্ট পাওয়া যায়। এছাড়া ২ জন ইন্দোনেশিয়ান নারী এবং একজন ভিয়েতনামিজ নারীর ভিসার মেয়ার পূর্ণ হয়েছে।

বাকি কারো কাছেই মালয়েশিয়া থাকার বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

অভিযানে একটি মোবাইল ফোন, ১৫টি ইন্দোনেশিয়ান পাসপোর্ট, পাঁচটি ভিয়েতনামিজ পাসপোর্ট, ১ হাজার ৭৫০ রিঙ্গিত নগদ, একটি কম্পিউটার এবং ১০টি গ্রাহক বই জব্দ করা হয়েছে।

;

মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক খাদ্য ও পানীয় মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক খাদ্য ও পানীয় মেলায় দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। ২-৪ জুলাই দুই দিনব্যাপী মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের মাইটেক কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত 'ফুড অ্যান্ড ড্রিংকস মালয়েশিয়া বাই সিয়াল’ নামে এ মেলায় বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে। মেলায় বাংলাদেশসহ ২২টি দেশ অংশগ্রণ করে এবং ৩৩০টি বুথ এবং একটি বিশেষ আন্তর্জাতিক লাউঞ্জে পণ্য প্রদর্শন করা হয়।

মেলার উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন অ্যান্ড কমোডিটিস বিষয়ক উপমন্ত্রী দাতুক চ্যান ফুং হিন। বাংলাদেশ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধান ও সহযোগিতায় মেলায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানি প্রাণ ফুডস লিমিটেড। ⁠মেলায় নির্ধারিত বুথের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক লাউঞ্জে অন্য ৭টি দেশের (কানাডা, ইউক্রেন, ভিয়েতনাম, ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া) সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাদ্য ও পানীয় পণ্য প্রদর্শন করা হয়।

উদ্বোধনের দিন আন্তর্জাতিক লাউঞ্জ এর বাংলাদেশ কর্নার এবং বাংলাদেশি পণ্যের বুথ পরিদর্শন করেন প্ল্যান্টেশন এবং কমোডিটিস বিষয়ক উপমন্ত্রী দাতুক চ্যান ফুং হিন এবং সাবাহ রাজ্যের শিল্প উন্নয়ন মন্ত্রী দাতুক ফুং জিন ঝে।

সমাপনী দিন বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই ) মেলা এবং বাংলাদেশী স্টল পরিদর্শন করেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।

এসময় হাইকমিশনার উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষাপটে হাইকমিশন বাংলাদেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণসহ অন্যান্য পরিকল্পনা নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ⁠রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য বেশি করে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’ অনুসরণের ধারাবাহিকতায় এ ধরনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে।

পরিদর্শনের সময় আয়োজক কোম্পানি কমেক্সপোসিয়াম এশিয়া পেসিফিক এর পরিচালক হেনরি তান, একই কোম্পানির এসিস্টেন্ট মার্কেটিং ম্যানেজার কিয়েন এনজি ও স্মৃতিকা সিভানেসসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রবাসী সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

মালয়েশিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ও মাইসেব, ম্যাট্রেড, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়, পিকেএনএস, মালয়েশিয়া বিজনেস গ্রুপ, সাবাহ এমআইপিই,মালয়েশিয়া কোকো বোর্ড ও মালয়েশিয়া স্পাইস বোর্ডের সহায়তায় আয়োজিত বিশ্বের ব্র্যান্ড এবং শিল্প উদ্যোক্তাদের অংশ হিসেবে এ মেলার আয়োজন করা হয়। বিশ্বব্যাপী বাজার অন্বেষণে শিল্প উদ্যোক্তা ও অর্থনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ, ব্যবসায়িক সমঝোতা, উদ্ভাবনী সমাধানে ব্যবসাকে শক্তিশালী করতে প্রতি বছর এ বাণিজ্য সম্মেলন ও মেলার আয়োজন করা হয়।

;