বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলান কর্তৃক বিজয় দিবস উদযাপিত



ইতালি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলান কর্তৃক মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলান কর্তৃক মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতালির মিলানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলান কর্তৃক বিপুল সংখ্যক প্রবাসীদের উপস্থিতিতে আনন্দঘন পরিবেশে বাংলাদেশের ৫১তম মহান বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে সম্মিলিতভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ। মিলানস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ-এর নেতৃত্বে কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মাধ্যমে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের সূচনা হয়। এরপর উপস্থিত সকলেই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন। এ পর্বে কনস্যুলেটের কর্মকর্তাবৃন্দ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। এছাড়াও বিজয়দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তাগণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে গভীরভাবে স্মরণ করেন। তারা জানান যে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী যেকোন ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা প্রতিহত করতে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ সর্বদাই সজাগ থাকবে।

এসময় কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ তাঁর বক্তব্যে বর্তমান সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়করী অর্থনৈতিক বিকাশ ও সম্ভাবনার নতুন যুগের কথা সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিগন্তজয়ী নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে নিয়ে যেতে সরকারের গৃহীত প্রবাসীবান্ধব নানামুখী পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেন।


তিনি আরো তুলে ধরেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ১ ট্রিলিয়ন ডলার জিডিপির অর্থনীতি হবে এবং সে অগ্রযাত্রায় দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হবেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত প্রবাসী জনশক্তি। এর সুফল হিসেবে ইতালি প্রবাসীগণ একটি উন্নত দেশের নাগরিক হিসেবে আরেকটি উন্নত দেশে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন বলে তিনি দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এছাড়াও কনসাল জেনারেল ইতালির সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশি প্রবাসীদের সুনাম ও তাদের বিষয়ে ইতালি সরকারের ইতিবাচক মনোভাব সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন বলে জানান। নানামুখী সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তিনি প্রবাসীবান্ধব কনস্যুলেট তৈরিতে তাঁর সময়ে গৃহিত নানামুখী পদক্ষেপ বিশেষ করে দূরবর্তী অঞ্চলে পাসপোর্ট ডেলিভারি, সরাসরি সাক্ষাৎকার সেবা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবস উপলক্ষ্যে কমিশন-ফ্রি রেমিট্যান্স প্রেরণে কনস্যুলেটের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির বিষয়ে প্রবাসীদের অবহিত করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিগণ তাদের মেধা ও পরিশ্রম দ্বারা যে সুনাম অর্জন করেছেন তারই ধারাবাহিকতায় ইতালির মূলধারার রাজনীতিতে আরো বেশি সম্পৃক্ত হবেন এবং সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে বিভিন্ন পদে কাজ করবেন।

শ্রম কনসাল সাব্বির আহমেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবসের এ অনুষ্ঠানে মিলান লোম্বার্দিয়া আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মান্নান মালিথা ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মিলান সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচিত কাউন্সিলর বিবাস চন্দ্র কর, মিলান বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম কাওসছার, মিলানস্থ জনতা এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এসআরএল-এর ব্যবস্থাপক এমডি শাহাদাত হোসেন, উত্তর ইতালির বিভিন্ন পেশার বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীগণ।

রিপামন্তি ইসলামিক সেন্টারের ইমাম মাওলানা কবির আহমেদের পরিচালনায় বাংলাদেশকে নিয়ে বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।

   

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রামের আকবর



কুয়েত করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুয়েত
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আকবর হোসেন নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর গ্রামের আদর্শ পাড়া হাদির গো বাড়ির সুলতান আহমদের ছেলে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে কুয়েতের রাবিয়া নামক স্থানে ইশারা আল কাসেমিতে রাস্তা পারাপারের সময় গাড়ির ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনায় ঘটে।

নিহতের আত্মীয় সাখাওয়াত হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'বেশ কিছুদিন যাবৎ তিনি মানসিকভাবে চাপের মধ্যে ছিলেন। শুক্রবার রাতে রাস্তা পারাপার করতে গেলে দুর্ঘটনার শিকার হয়।এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।'

বর্তমানে মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

;

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো



ড. হাসিন মাহবুব চেরী, সিনিয়র স্পেশালিস্ট সায়েন্টিস্ট, ইউকে
দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

দেশের ইলিশের টানে লন্ডন থেকে গ্লাসগো

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা বয়সের পরে আমরা আটকা পড়ি শুধুই মায়ার টানে। কোন মানুষটা আমাদের মন থেকে মায়া করে, এটাই সব কিছুর ঊর্ধ্বে বিবেচ্য হয় আমাদের কাছে (অন্তত আমার কাছে ব্যাপারটা এখন তাই)।

কারণ, আমরা বুঝতে শিখি যে, আমাদের আশেপাশে বন্ধুরূপী অসংখ্য মুখের ভিড়ে শুধু মাত্র সেই মুখগুলোই মূল্যবান - যার কাছে আমি মূল্যবান। আর ঠিক একারণেই সুদূর বিলাতের বিভূঁই পরিবেশে ফারহানা হোসেন আপু যখন বললো দেশ থেকে আসা ইলিশ তোমাকে আর Rumana Newlands কে ছাড়া খাবো না বলে তুলে রেখেছি, কবে আসবে? মনে হলো এই ভালোবাসার ডাক পাবার মতো ভাগ্য আসলে ক'জনেরই বা হয়? তাই প্রচন্ড ব্যস্ত সময়ের মধ্যেই হুট করে একবেলার জন্যে লন্ডন থেকে গ্লাসগো উড়ে চলে গেলাম।

এই ঝটিকা সফর বহু কারণেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে, তবে অর্ধেক দিনের এই মেমরি আমাকে আবার শেখালো:

Life is not about quantity, it`s all about quality. So it doesn`t matter what you have in life, but who you have only matters.

আর জীবনে নিজের পরিবারের মানুষ ছাড়াও কারো সত্যিকারের ভালোবাসা পাওয়া আসলেই বিশাল ভাগ্যের ব্যাপার। ফারহানা আপু এবং সাজ্জাদ ভাইয়ার আন্তরিকতায় আবারো মুগ্ধ হতে হতে তাই ভাবছিলাম, যদিও আমি সবসময় সবার থেকে ভালো জিনিস গুলো শেখার চেষ্টা করি তবে কিছু কিছু কোয়ালিটি আসলে মানুষের মধ্যে আসে 'ইন বিল্ট' হয়ে, যেটা অন্য কেউ হয়তো হাজার চেষ্টা করেও আয়ত্ত্ব করতে পারে না!

অন্যকে স্পেশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ ফিল করানোও ঠিক সেরকমই একটা ইন বিল্ট কোয়ালিটি যেটা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেঔ অনুপস্থিত। যেমন আপু এবং ভাইয়া (আমার দেখা দুই অন্যতম ব্রিলিয়ান্ট এবং down to earth মানুষ) যেভাবে ওয়ার্কিং ডে 'র শেষে আমাকে এয়ারপোর্ট থেকে পিক করা থেকে শুরু করে নিজের হাতে রান্না করা বহু পদের মুখরোচক খাবার এবং নিজের হাতে বানানো মিষ্টি'র আয়োজন করলেন, স্কটল্যান্ডে এসে আমার ভাইয়ের সাথে দেখা হবে না বলে আমার ভাই কেও আবেরডিন থেকে ডেকে নিয়ে আসলেন, এবং আসবার পথে একগাদা খাবার প্যাক করে ব্যাগে নিজের হাতে ঢুকিয়ে দিয়ে একদম এডিনবরা এয়ারপোর্ট এর সিকিউরিটি পর্যন্ত এসে বিদায় দিয়ে গেলেন - এই আন্তরিকতাটা বোধহয় একেবারে মনের গভীর থেকে না আসলে করা সম্ভব নয়।

আসলে জীবনে আমরা বহু অপাত্রে আমাদের ভালোবাসা এবং সময় দান করে নষ্ট করি, বহু মানুষের ব্যবহার দেখে মনে হয় সত্যিই বোধহয় স্বার্থপর না হওয়াটাই আজকাল বোকামি। তবে পরমুহূর্তেই আবার যখন এরকম সুন্দর মনের মানুষ গুলোর আন্তরিকতায় অবাক এবং মুগ্ধ হই, তখন মনে হয় এই সুন্দর মনের মানুষগুলোর উপস্থিতির জন্যেই আসলে জীবনটা এতো সুন্দর। আর এরকম মানুষের উপস্থিতি আমাদের ঠিক একইভাবে ওনাদের মতোই অন্য কারো জীবনেও নিজের উপস্থিতি দিয়ে তার জীবনের কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপহার দিতে অনুপ্রেরণা যোগায়।

;

শেখ হাসিনার সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করবে: থাই সরকারের মুখপাত্র



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া (ব্যাংকক, থাইল্যান্ড)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর থাইল্যান্ডে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বুধবার (২৪ এপ্রিল) তিনি থাইল্যান্ডে এসে পৌঁছাবেন। পাঁচদিনের সফর শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি দেশে ফিরে যাবেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থাই সরকারের মুখপাত্র চাই ওয়াচারানক স্থানীয় গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাবিসিন এর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে আসছেন।

শেখ হাসিনার ভ্রমণের সময় উভয় দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি এবং এমওইউ স্বাক্ষর হবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সফরসঙ্গীদের জন্য গভর্মেন্ট হাউজে দুপুরের খাবারের আয়োজন করেছেন শ্রেত্থা থাবিসিন।

চাই ওয়াচারানক জানান, ২০০২ সালের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি প্রথম থাইল্যান্ড সফর। এই সফরে দুই দেশের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বি-পাক্ষীক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে আলোচনা করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে সহযোগীতা বৃদ্ধি, বিশেষত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এছাড়াও যোগাযোগ, পর্যটন এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান থাই সরকারের মুখপাত্র। 

;

আমিরাতে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব



তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে বসবাসরত বাঙালিরা দিনটি সাড়ম্বরে পালন করে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার ঈদের ছুটি অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পহেলা বৈশাখ। যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লোকায়ত সংস্কৃতির ডালা সাজিয়ে বর্ণিল উৎসব আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশটিতে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

ভিনদেশের মাটিতেও বাঙালি সংস্কৃতির চিরায়ত পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হলো নানা অনুসঙ্গে। দেশটিতে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যেও ছিল আনন্দের কলরব। আর এই আনন্দ উচ্ছ্বাসকে সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে প্রবাসী সনাতনি ঐক্য পরিষদের চমৎকার আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক নতুন মাত্রা পেয়েছে।


রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমিরাতের সারজায় আল জায়েদ ফার্ম হাউজে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা নববর্ষ বরণ করে নিতে সকাল সাড়ে ১০টায় মঙ্গল শোভযাত্রা র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরে নাচ, গান, মধ্যাহৃভোজ ও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণ উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

একাকী প্রবাসজীবনে পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকা, দেশীয় স্বাদ ও আমেজের জন্য সারাবছর লালায়িত থাকা এই প্রবাসীরা হাজার মাইলের দূরত্ব কষ্ট ভুলে গিয়েছিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে। আমিরাতের আবুধাবী, দুবাই, আজমান ও বিভিন্ন শহর থেকে প্রবাসীরা পরিবার নিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন, বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার, প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সিনিয়র উপদেষ্টা বিশ্বনাথ দাশ, সভাপতি অজিত কুমার রায়, সহ সভাপতি অজিত চৌধুরী মিঠু, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার, অর্থ সম্পাদক কার্তিক সাহা, দপ্তর সম্পাদক দেবব্রত তালুকদার, ফুজাইরাহ বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি বাবু তপন সরকার, জাতীয় হিন্দু মহাজোট ইউএই’র সিনিয়র উপদেষ্টা মিনাল কান্তি ধর প্রমুখ।

প্রবাসী সনাতনী পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার রায় জানান, প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগামীতে আরও বড় পরিসরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

 

;