পাইলস কী, পাইলসের লক্ষণ ও চিকিৎসা



ডা. সুশীত কুমার বিশ্বাস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাইলস, যাকে অর্শ্বরোগও বলা হয়। বৃহদান্ত্রের শেষাংশে রেকটামের ভেতরে ও বাইরে থাকা কুশনের মতো একটি রক্তশিরার জালিকা থাকে, যা প্রয়োজন সাপেক্ষে সংকুচিত ও প্রসারিত হয় যা আমরা পাইলস নামে জেনে থাকি। যখন পায়ুপথে এসব শিরার সংক্রমণ বা প্রদাহ হয় এবং চাপ পড়ে তখন পাইলস বা হেমোরয়েডসে প্রদাহ হয়। যাকে সাধারণ ভাষায় অর্শরোগ বলা হয়।

এটি মলদ্বারের এক ধরনের জটিল রোগ। পাইলসের ফলে রক্তনালিগুলো বড় হয়ে গিয়ে ভাসকুলার কুশন তৈরি হয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ যেকোন বয়সের মানুষ এ জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে। পাইলস হলে সাধারণত চুলকানি বা রক্তক্ষরণ হয়। মলদ্বারের নিচের অংশে গোল আকারে ফুলে উঠে, ফলে যে কোন সময় সেই জায়গা থেকে রক্তপাত হতে থাকে। এটি খুবই অস্বস্তিকর এবং যন্ত্রনাদায়ক।

দীর্ঘকালীন কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের পাইলসের সমস্যা দেখা দেওয়ায় অস্বাভাবিক কিছু নয়। এছাড়া যাদের মলত্যাগের অকারণে বেগ প্রদানের বদভ্যাস রয়েছে, তারাও এই রোগ বাধিয়ে ফেলতে পারেন। আসুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেই পাইলস কী, পাইলসের লক্ষণ ও চিকিৎসাসহ কিছু তথ্য।

পাইলসের প্রকারভেদ

সাধারণত পাইলস দুই প্রকার হয়ে থাকে- অভ্যন্তরীণ পাইলস ও বাহ্যিক পাইলস।

অভ্যন্তরীণ পাইলস এবং বাহ্যিক পাইলস মলদ্বারে তাদের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে। এগুলি সাধারণ এবং মলদ্বারের ভিতরে মলদ্বারের খোলার উপরে ২ থেকে ৪ সেন্টিমিটারের (সেমি) মধ্যে ঘটে।

অভ্যন্তরীণ পাইলস

অভ্যন্তরীণ অর্শ্বরোগ চারটি শ্রেণি বা পর্যায়ের হয় যা প্রোল্যাপের ওপর ভিত্তি করে।

প্রথম পর্যায়- পাইলস ফুলে বাইরের দিকে বের হয়ে আসে না বা প্রলেপস হয় না।
দ্বিতীয় পর্যায়- মলমূত্র ত্যাগের পর পাইলস ফুলে বাইরের দিকে বের হয়ে আসে এবং তারপর আপনা-আপনি ঠিক হয়ে যায়।
তৃতীয় পর্যায় - পাইলস ফুলে বাইরের দিকে বের হয়ে আসে এবং নিজে নিজে ঠিক করতে হয়।
চতুর্থ পযার্য় - পাইলস ফুলে বাইরের দিকে বের হয়ে আসে বা প্রলেপস হয় এবং তা আর নিজে ঠিক হয় না বা করা যায় না।

বাহ্যিক পাইলস

বাহ্যিক পাইলস মলদ্বারের বাইরের প্রান্তে ছোট ছোট গলদ গঠন করে। এগুলো প্রায়শই চুলকানিদায়ক এবং বেদনাদায়ক হয়ে থাকে।

পাইলসের কারণ

পাইলসের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে- দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিণ্যে ভোগা, পুরনো ডায়রিয়া, মলত্যাগে দীর্ঘক্ষণ টয়লেটে বসে থাকা ও দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা। এছাড়া পারিবারিক ইতিহাস, আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া, ভারি মালপত্র বহন করা, স্থুলতা, কায়িক শ্রম কম করা।

গর্ভকালীন সময়ে, পায়ুপথে যৌনক্রিয়া, যকৃত রোগ বা লিভার সিরোসিস ইত্যাদি কারণেও এ রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়। সর্বোপরি পোর্টাল ভেনাস সিস্টেমে কোনো ভাল্ব না থাকায় উপরিউক্ত যে কোনো কারণে পায়ু অঞ্চলে শিরাগুলোতে চাপের ফলে পাইলস সৃষ্টি হয়।

পাইলসের লক্ষণ-

পাইলস রোগে যেসব লক্ষণ দেখা যায় তা হচ্ছে- পায়ুপথের অন্ত্র বা ভেতরের পাইলস রোগে সাধারণত তেমন কোনো ব্যথা বেদনা, অস্বস্তি থাকে না। অন্যদিকে পায়ুপথের বহিঃঅর্শরোগে পায়ুপথ চুলকায়, বসলে ব্যথা করে, পায়খানার সঙ্গে টকটকে লাল রক্ত দেখা যায় বা শৌচ করার টিস্যুতে তাজা রক্ত লেগে থাকে, মলত্যাগে ব্যথা লাগা, পায়ুর চারপাশে এক বা একের অধিক থোকা থোকা ফোলা থাকে।

পাইলসের সাধারণ লক্ষণগুলো হলো-

>> পায়ু অঞ্চলে ব্যথা ও চুলকানি।
>> মল বা মলত্যাগের পর রক্ত।
>> মলদ্বারের চারপাশে একটি শক্ত গলদা।

অভ্যন্তরীণ অর্শ্বরোগের লক্ষণ-

>> মল অতিক্রম করার সময় অতিরিক্ত চাপ বা জ্বালা হতে পারে।
>> মলত্যাগের সময় ব্যথাহীন রক্তপাত।
>> যদি পাইলস প্রল্যাপস, ব্যথা এবং জ্বালা হয়।

বহিরাগত অর্শ্বরোগের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে-

>> মলদ্বারের চারপাশে চুলকানি।
>> মলদ্বারের কাছে বেদনাদায়ক মাংসল গলদ।
>> বসার সময় ব্যথা বা অস্বস্তি।
>> মলদ্বারে রক্তক্ষরণ।

পাইলসের চিকিৎসা-

পায়ুদ্বার সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা হলে প্রথমেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। এ ধরনের অসুখের ক্ষেত্রে অনেকেই চেপে যান প্রথমে, যা অসুখের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকেরা রোগ নির্ণয় করে প্রক্টোস্কোপির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা শুরু করতে পারেন।

প্রথম পর্যায়ে মলম, ইনজেকশন বা রাবার ব্যান্ড লাইগেশনের সাহায্যেই রোগ নিরাময় করা সম্ভব। অসুখের মাত্রা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেলে অবশ্য শল্যচিকিৎসা ছাড়া উপায় নেই। তবে সব কয়টি ক্ষেত্রেই রোগটি ফিরে আসার শঙ্কা থাকে, যদি না সাবধানে থাকা যায়।

এজন্য বদলে ফেলুন লাইফস্টাইল। পাইলস বা পায়ুদ্বার সংক্রান্ত যে কোনো অসুখের জন্য পরোক্ষভাবে দায়ী অনিয়মিত লাইফস্টাইল। এজন্য খাওয়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে। এড়িয়ে চলতে হবে ক্যাফিন জাতীয় পানীয়, তেল-ঝাল মশলাযুক্ত রান্না। পাইলসের রোগীদের পক্ষে শুকনো লঙ্কা বিষতুল্য। ভারী জিনিস তোলাও কিন্তু বারণ।

পাইলস থেকে ক্যান্সার হওয়ার পূর্বেই এর চিকিৎসা করা জরুরি। রিং লাইগেশন এবং লংগো অপারেশনের দ্বারা শতকরাই প্রায় ১০০% রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন। প্রচলিত এই অপারেশনে মলদ্বারের তিনটি অংশ কাটার প্রয়োজন হয়।

এই অপারেশন শুধু তাদের জন্যই করা হয় যাদের রিং লাইগেশন এর জন্য উপযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং যারা লংগো অপারেশন করানোর জন্য মেশিন কিনতে অক্ষম।

চলিত অপারেশনের মতই আরেকটি অপারেশন হলো লেজার অপারেশন। পার্থক্য শুধু এটাই যে, লেজার অপারেশনে বিম ব্যবহার করা হয়। এবং প্রচলিত অপারেশনে সার্জিক্যাল নাইফ ব্যবহার করে কাটাকাটির কাজ করা হয়।

চলিত অপারেশনের মতো লেজার অপারেশনে ক্ষত স্থান হবে তিনটি । লেজার অপারেশন ও সাধারণত অপারেশ

লেখক: ডা. সুশীত কুমার বিশ্বাস, এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য) এফসিপিএস (সার্জারি), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফরিদপুর।

   

‘নিরাপদ মাতৃত্ব ও পরিকল্পিত পরিবার গড়ে তুলতে হবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, 'এই সেবা ও প্রচার সপ্তাহে নিরাপদ মাতৃত্ব, পরিকল্পিত পরিবার, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৬৫ হাজার শিশু মারা যায়, প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মা শিশু জন্মদানের সময় মারা যায়। গত বছরের তুলনায় এ বছর কিছুটা কমেছে। তবে নিরাপদ মাতৃত্ব শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে, এটাই আমাদের লক্ষ্য।' 

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে আয়োজিত পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

জাহিদ মালেক বলেন, 'বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে। আমাদের দেশে এখনো ৫০ ভাগ বাল্যবিবাহ হয়ে থাকে। বাল্যবিবাহের কারণে নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সরকার এ বিষয়ে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে। শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার অর্ধেকে নেমে এসেছে।' 

স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, 'কমিউনিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত লোকবল, ওষুধ ও সরঞ্জাম নিশ্চিত করতে হবে পাশাপাশি মায়েদেরও এসব বিষয়ে অবহিত হতে হবে। গর্ভকালীন সময়ে মায়ের প্রতি যথাযথ টেক কেয়ার করতে হবে। তাদের নিরাপদ খাবার ও যত্ন দিতে হবে। কিশোরীদের যথাসময়ে টিকা দিতে হবে। ডেলিভারিতে সি সেকশন কমিয়ে নরমাল ডেলিভারিতে করাতে হবে।' 

সরকারের অবদানের প্রধান একটি অংশ স্বাস্থ্যখাতে হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'স্বাস্থ্যখাতে সরকার এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। ভ্যাকসিনেশনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন, যার অবদান এই স্বাস্থ্যখাতের। কিডনি ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট এখন আমাদের দেশেই হচ্ছে।' 

সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'সরকারকে বেকায়দায় ফেলায় জন্য একটি পক্ষ জ্বালাও-পোড়াও করছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। ঢাকা এখন একটা উন্নত দেশের মতো। এই উন্নয়ন অনেকের চক্ষুশূল হয়ে গেছে।' 

;

পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের উদ্বোধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘নিরাপদ মাতৃত্ব, পরিকল্পিত পরিবার; স্মার্ট বাংলাদেশ হোক আমাদের অঙ্গীকার’ —প্রতিপাদ্যে প্রতি বছরের ন্যায় দেশব্যাপী পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২৩ উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে এর উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা পৌঁছে দিতে হবে এবং সেবাকেন্দ্র থেকে ২৪/৭ স্বাভাবিক প্রসবসেবা দিতে প্রতিটি উপজেলার একটি করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের মডেল কেন্দ্রগুলোকে সঠিকভাবে কাজ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা-৩ অর্জনে তথা মাতৃ ও শিশু মৃত্যু রোধে সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২৩ ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব সাহান আরা বানু।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, ইউএনএফপি বাংলাদেশের রিপ্রেজেনটেটিভ ক্রিস্টিন ব্লকহুস, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিঞা, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর।

;

'শিশু স্নায়ুরোগীদের বিশ্বমানের সেবা দিচ্ছে বিএসএমএমইউ'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিশু স্নায়ুরোগীদের বিশ্বমানের সেবা দিচ্ছে বিএসএমএমইউ

শিশু স্নায়ুরোগীদের বিশ্বমানের সেবা দিচ্ছে বিএসএমএমইউ

  • Font increase
  • Font Decrease

'শিশু স্নায়ুরোগীসহ সকল বিভাগে বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বর্তমান প্রশাসন বেশ মনোযোগী। শিশু স্নায়ুরোগীদের সেবার জন্য বিশ্বে যে ধরনের সেবা দেয়া হয় সেটিও এখানে দেয়া হচ্ছে। সামনে আরও উন্নতমানের সেবা দেবার লক্ষ্যে কাজ চলছে।' 

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিএসএমএমইউয়ে শিশু স্নায়ুরোগের সেবায় ইএমজি সেবা ও নিউরো-মাসকুলার ডিজঅর্ডার ক্লিনিক উদ্বোধনকালে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, 'আজ ইনিস্টিটিউট-অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিসঅর্ডার এন্ড অটিজম (ইপনা) ও শিশু নিউরোলজি বিভাগের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। ইপনায় সেবা নিতে আসা বিশেষ শিশুরা বেশ সংবেদনশীল। তাদের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। চিকিৎসকরা যেমন বিশেষ শিশুদের যত্ন দেবেন, তার চেয়ে বেশি সেবা পরিজনদের মাধ্যমে দিতে হবে। এতে করে বিশেষ শিশুরা দেশের সম্পদে পরিণত হবে। বিশেষ শিশুদের মেধার বিকাশে কাজ করছে ইপনা।' 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার এন্ড অটিজম (ইপনা) ও শিশু নিউরোলজী বিভাগের যৌথ উদ্যোগে ক্লিনিকটি চালু করার মাধ্যমে শিশু স্নায়ু রোগীদের চিকিৎসা ও গবেষণার জন্য নতুন একটু দ্বার উন্মোচিত হলো।

প্রসঙ্গত, নার্ভ কনডাকশন স্টাডি (এনসিএস) ও ইলেকেট্রোমায়োগ্রাম (ইএমজি) পরীক্ষার মাধ্যমে শিশুদের স্নায়ুরোগ ও মাংসপেশির রোগ শনাক্ত করনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

অনুষ্ঠানে ইপনার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতার, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমা, অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, অধ্যাপক ডা. সাঈদা তাবাস্সুম আলম, সহকারি অধ্যাপক ডা. বিকাশ চন্দ্র পাল, সহকারী অধ্যাপক ডা. সানজিদা আহমেদসহ বিভাগের সকল ফ্যাকালটি ও চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।

;

স্বাস্থ্য ক্যাডারে স্থায়ী হলেন ৪৩৮ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের স্থায়ী নিয়োগ পেয়েছে ৪৩৮ জন। এর মধ্যে সহকারী সার্জন পদে ৪২০ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ১৮ কর্মকর্তার চাকরি স্থায়ী করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পার-২ অধিশাখার  উপসচিব কমল কুমার ঘোষ স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালা ১৯৮১ এর বিধি ৭ মোতাবেক বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের সহকারী সার্জন পদের ৪২০ কর্মকর্তার চাকরি তাদের নামের পাশে বর্ণিত তারিখ থেকে স্থায়ী করা হলো।

অপর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালা ১৯৮১ এর বিধি ৭ মোতাবেক বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদের ১৮ কর্মকর্তার চাকরি তাদের নামের পাশে বর্ণিত তারিখ থেকে স্থায়ী করা হলো।

 

;