মেঘনাদ সাহা : বিশ্বমানের বাঙালি বিজ্ঞানী



যাকওয়ান সাঈদ, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
মেঘনাদ সাহা [অক্টোবর ৬, ১৮৯৩ - ফেব্রুয়ারি ১৬, ১৯৫৬]

মেঘনাদ সাহা [অক্টোবর ৬, ১৮৯৩ - ফেব্রুয়ারি ১৬, ১৯৫৬]

  • Font increase
  • Font Decrease

পৃথিবীবিখ্যাত সব বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি আমাদের কাছে বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার নামটাও খুব পরিচিত। এর কারণটি হলো, তিনি শুধুমাত্র একজন বিজ্ঞানীই নন, বরং তিনি একজন বাঙালি বিজ্ঞানী। বিজ্ঞান বিষয়ে বিশ্বের দরবারে আমাদের যেই বিশেষ-বিশেষ কিছু গর্বের জায়গা রয়েছে, সেখানে মেঘনাদ সাহার নামটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এই ফিচারটি মেঘনাদ সাহাকে নিয়ে। পাঠের সুবিধার্থে ফিচারটিকে কয়েকটি ফুটনোটের মধ্যদিয়ে উপস্থাপন করা হলো।

১.
শুরুতেই মেঘনাদ সাহার বিজ্ঞানবিশ্বে এত বৃহৎভাবে সমাদৃত হবার কারণটি উল্লেখ করা যাক। অর্থাৎ, যে থিওরিটির কারণে তিনি বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত হয়ে ছিলেন, সেটিকে ব্যাখ্যা করা যাক। তার এই থিওরিটির নাম ছিল, ‘ল অব থার্মার আইওয়ানাইজেশন’। মূলত, জ্যোতি-পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে এই তত্ত্বটি ছিল এক নতুন সংযোজন।

‘ল অব থার্মার আইওয়ানাইজেশন’-এর সরল ব্যাখ্যাটা হলো, সূর্য এবং গ্যালাক্সিতে যেসব নক্ষত্র রয়েছে, এদের সবার চারপাশেই ঘিরে আছে একটি গ্যাসীয় পদার্থ। এই গ্যাসীয় পদার্থকে ভাগ-ভাগ করলে দেখা যাবে, আবার এর মধ্যেই রয়েছে কয়েকটি বিশেষ ধরনের মৌলিক পদার্থ। যেমন বিদ্যুৎনিরপেক্ষ পরমাণু, যাকে বলা হয় নিউট্রাল অ্যাটম। অথবা যেমন আছে, আয়ন। মেঘনাদ সাহার সূত্রটি হলো, সূর্য ও নক্ষত্রের পার্শ্ববর্তী ওই গ্যাসীয় পদার্থের মধ্যে কতভাগ নিউট্রাল অ্যাটম রয়েছে, বা কতভাগ আয়ন রয়েছে, সেটার পরিমাণ নিশ্চিত করা। নক্ষত্রের বর্ণালি বিশ্লেষণে মেঘনাদের এই আবিষ্কারটি ছিল সবচাইতে প্রথম।

২.
মেঘনাদ সাহার জন্ম বাংলাদেশে, ১৮৯৩ সালের ৬ অক্টোবর, তৎকালীন ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে। গ্রামের নাম, শ্যাওরাতলী। তার পিতার নাম ছিল জগন্নাথ সাহা, আর মায়ের নাম ভুবনেশ্বরী দেবী। পেশায় তার পিতা ছিলেন একজন নিম্নআয়ের মুদি দোকানদার। ফলত, মেঘনাদ সাহার পড়াশোনার আর্থিক ভার গ্রহণ করা তার পক্ষে কঠিন ছিল।

তারা যে গ্রামে থাকতেন, সেটি ছিল আদতেই অজপাড়াগাঁ। সেখানে একটা হাইস্কুল পর্যন্ত ছিল না। তাই মেঘনাদ সাহাকে পড়াশোনার জন্য ভর্তি হতে হয়েছিল তার গ্রাম থেকে এগারো কিলোমিটার দূরের আরেকটি গ্রামে, শিমুলিয়ায়। যেহেতু বইপত্র বা পড়াশোনার খরচ আয়ত্তে নেওয়ার সাধ্য তার বাবার ছিল না, তাই তাকে পড়তে হয়েছিল অন্য একজন ব্যক্তির দয়ায়। অনন্তকুমার দাস নামক একজন চিকিৎসক তার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ১৯০৫ সালে মেঘনাদ শিমুলিয়া গ্রামের স্কুল থেকে মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকায় এসে কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হলেন।

বলতে গেলে, সবকিছু ভালোই চলছিল, কিন্তু সেই একই সময়ে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন আরম্ভ হলো। সেই আন্দোলন স্বাভাবিকভাবে প্রসারিত হলো কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্রদের মধ্যেও। ছাত্রদের এই আন্দোলনে জড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারগুলো ব্রিটিশ সরকার জানতে পেরেছিল। সেইসময় ঘটনাচক্রে বাংলার লাটসাহেব কলেজিয়েট স্কুল পরিদর্শন করতে আসলেন। অন্যদিকে লাটসাহেবের আসাকে কেন্দ্র করে ছাত্ররা স্কুল বয়কট করল। এই বয়কটকারীদের মধ্যে মেঘনাদ সাহাও ছিলেন। ফলত, বাকিদের সঙ্গে তাকেও স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হলো।

৩.
ঘটনার প্রেক্ষিতে, মেঘনাদ সাহাকে অন্য আরেকটি স্কুলে ভর্তি হতে হলো। সেটি ছিল ঢাকার কিশোরীলাল জুবিলি স্কুল। এই স্কুল থেকেই তিনি প্রবেশিকা অর্থাৎ ম্যাট্রিক পাশ করলেন, ১৯০৯ সালে। মেঘনাদ ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী একজন ছাত্র। সেবছর পূর্ববাংলার প্রবেশিকা-পরীক্ষার্থী সকল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন।

এরপর, ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট সম্পন্ন করে মেঘনাদ চলে গেলেন কলকাতায়। উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে তিনি বিখ্যাত প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হলেন। মূলত, জীবনের এই পর্বে এসেই তিনি অবারিতভাবে বিজ্ঞানের জগতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে গেলেন। এখানেই তিনি সহপাঠী হিসেবে পেলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে। আর তার শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন জগদীশ চন্দ্রবসু, এবং আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ।

সামনের সারিতে মাঝখানে জগদীশ চন্দ্র বসু, তার ডান পাশে মেঘনাদ সাহা


৪.

উচ্চশিক্ষা সমাপ্ত হলে যখন চাকরির ব্যাপার আসলো, তখন মেঘনাদ সাহা চাইলেন একটি সরকারি চাকরি যোগাড় করতে। তার মেধা, এবং যেই সাফল্যের সঙ্গে তিনি উত্তীর্ণ হয়েছিলেন, তাতে করে সরকারি কোনো পোস্টে তার চাকরি হলে বরং সরকারেরই উপকার হতো। কিন্তু বিপত্তি হলো যে, পুলিশ কিভাবে যেন জানতে পারল কলেজে পড়ার সময়ে তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়েছিলেন। কার্যত সরকারি কোনো জায়গায় তার চাকরি আর হলো না। এমনিতে তিনি সত্যিকার অর্থেই তৎকালীন বিপ্লবী সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। বিপ্লবী বাঘা যতীনের সঙ্গে তার বিশেষ সম্পর্ক ছিল।

তবে এই কথা বলতেই হয় যে, মেঘনাদ সাহার পক্ষে যেহেতু কোনো সরকারি কর্মক্ষেত্রে চাকরি করার সুযোগ হলো না, এই না-হওয়াটাই তাকে বিশ্বের দরবারে সমাদৃত করেছিল। নহেতু, সর্বোচ্চ তিনি একজন বড়মাপের সরকারি আমলা হতেন, কিন্তু জগৎময় খ্যাতিসম্পন্ন একজন বিজ্ঞানী হওয়া তার পক্ষে কখনোই সম্ভব হতো না।

৫.
সেই সময়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় নিজ উদ্যোগে ‘ইউনিভার্সিটি কলেজ অব সায়েন্স’ প্রতিষ্ঠিত করলেন। তিনিই মেঘনাদ সাহাকে ডেকে নিয়ে সেখানে গণিতের প্রভাষক পদে চাকরি দিলেন। একই সময়ে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে সত্যেন্দ্রনাথ বসুও গণিত বিভাগে চাকরি পেয়েছিলেন।

সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সঙ্গে সহশিক্ষক হয়ে তার এই যে কাজ আরম্ভ করার সময়টা, এই সময়টাকে সবচাইতে ভালোভাবে বর্ণনা করেছেন বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী আচার্য দেবেন্দ্রমোহন বসু। এই পর্বে বরং, আচার্য দেবেন্দ্রমোহনের ভাষ্যেই মেঘনাদ সাহাকে জানা যাক—

“১৯১৯ সালে বার্লিন থেকে ফিরে এসে যখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে যোগ দিলাম, সেখানে সতীর্থ হিসেবে পেলাম দুই তরুণকে। বললাম, বিজ্ঞানে পাশ্চাত্য দেশগুলোতে অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটে চলেছে। বললাম বার্লিনে আমার অভিজ্ঞতার কথা। বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় তখন আলোকিত করে রেখেছেন এক একজন দিকপাল বিজ্ঞানী। যাদের মধ্যে আছেন ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক, আলবার্ট আইনস্টাইন, ভারবুর্গ, মার্ক্স বর্ন, ওয়াল্টার লার্নাস্ট। কোয়ান্টাম তত্ত্ব এবং আপেক্ষিকবাদ নিয়ে চলছে নানান গবেষণা। লক্ষ করলাম মেঘনাদ এবং সত্যেন্দ্রনাথ আমার কথাগুলো যেন গিলছেন। বার্লিন থেকে দুটো বই এনেছিলাম। প্ল্যাঙ্কের লেখা Thermodynamik এবং Warmesstrahlung—বই দুটির মধ্যে ডুবে গেলেন সত্যেন্দ্রনাথ। কিন্তু মেঘনাদ মুখর হয়ে উঠলেন। বিদেশে কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা এবং তাপ বলবিদ্যার ওপর সাম্প্রতিক খবরাখবর জানার নিয়মিত আলোচনা করতে লাগলেন তিনি। বিশেষ করে ‘থার্মাল আইওনাইজেশন’ এবং কিভাবে তার সাহায্যে নক্ষত্রের আলোক বর্ণালির চরিতাবলি ব্যাখ্যা করা যায় তার ওপর। আমার তখনই মনে হয়েছিল, শুধু তত্ত্ব নিয়ে চিন্তাভাবনা করেই মেঘনাদ ক্ষান্ত হতে চান না, তত্ত্বের পরীক্ষালব্ধ ফলাফল এবং তার প্রয়োগের দিকেই তার আগ্রহ বেশি।”

৬.
এই সময়ে মেঘনাদ সাহা বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রবন্ধ লিখতে শুরু করেন। এইসব প্রবন্ধগুলোকে একইভাবে মেঘনাদের গবেষণাসম্ভারও বলা যায়। তিনি সেইসময়ে যেসব পত্র-পত্রিকাতে লেখালেখি করতেন সেগুলো হলো, অ্যাস্ট্রনমিকাল জার্নাল, ফিজিক্যাল রিভিউ, জার্নাল অব দি এশিয়াটিক সোসাইট অব বেঙ্গল, জার্নাল অব দি ডিপার্টমেন্ট অব সায়েন্স, ইত্যাদি।

৭.
১৯১৯ সালে মেঘনাদ সাহা স্কলারশিপ নিয়ে লন্ডনে চলে যান। সেখানে গিয়ে ইম্পেরিয়াল কলেজ অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী অধ্যাপক ফাউলারের অধীনে কাজ করার সুযোগ লাভ করেন। যা মেঘনাদের জীবনে অন্যতম একটা টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করেছে। এই সময়ে তিনি কেমব্রিজের পৃথিবীবিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার জে. জে. থমসনের সান্নিধ্যও লাভ করেছিলেন।

এই লন্ডনে থাকাকালীনই তার ‘ইকুয়েশন অব থার্মাল আইওনাইজেশন’ নামক বিখ্যাত গবেষণাটি প্রকাশিত হয়, ‘ফিলসফিক্যাল’ ম্যাগাজিনে। এই গবেষণাটিই তাকে বিজ্ঞানবিশ্বে খ্যাতিবান করে তুলেছিল। এবং এর কারণেই পরবর্তীতে রয়াল সোসাইটি তাকে ফেলো নির্বাচিত করেছিল।

৮.
পরের বছর, ১৯২০ সালে তিনি বার্লিন গিয়েছিলেন। সেখানে থাকাকালেই আশুতোষ মুখোপাধ্যায় তাকে জানান যে, তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। এই খবরটি তার জন্য খুব তৃপ্তির ছিল। পক্ষান্তরে এটাই ঘটল যে, তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করবার কিছুদিন পরেই বুঝতে পারলেন এখানে কাজ করা খুব সহজ ব্যাপার নয়। কেননা, ব্রিটিশ সরকার কখনোই কাউকে ইচ্ছাস্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিত না।

এই কারণেই তিনি বেশিদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে পারেননি। লাহোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার জন্য আমন্ত্রণপত্র এলো, তখন তিনি সেখানে চলে গেলেন। সেখানেই তিনি ১৯২৩ সাল থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।

১৯২১ সালে বার্লিনে মেঘনাদ সাহা


তবে হ্যাঁ, এর মধ্যেও তিনি নানা জায়গায় নানান সংযুক্তির মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানের প্রসারে কাজ করে গেছেন। ১৯৩৩ সালে পুনরায় কিছুদিনের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে একটি পারমাণবিক গবেষণাগার গড়ে তুলেছিলেন তিনি। যার নাম দিয়েছিলেন ‘ইন্সটিটিউ অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্স’। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সাহা ইন্সটিটিউ অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্স’।

এছাড়া, ১৯৩১ সালে তিনি উত্তর প্রদেশে বিজ্ঞান একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর ১৯৩৫ সালে, তারই উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ‘ইন্ডিয়ান সায়েন্স নিউজ এসোসিয়েশন’। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি, আর মেঘনাদ সাহা ছিলেন এটির সাধারণ সম্পাদক।

৯.
১৯৪৩ সালে দামোদরে বিরাট একটি বন্যার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতের বন্যা-নিরসন প্রক্রিয়া নিয়ে মেঘনাদ ভাবতে আরম্ভ করেন। দামোদর নদীতে বাঁধ দেবার প্রকল্প হাতে নেন। ওই সময়েই তিনি বুঝেছিলেন যে, বন্যার সংকট নিরসনে বিদ্যুৎ-উৎপাদনের বিকল্প নেই। কেননা, একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে হলে চাই প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎ। সেই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই তিনি এলাহাবাদে একটি সভার অঅয়োজন করেন। যার সভাপতি হয়েছিলেন জওহরলাল নেহেরু।

মেঘনাদ সাহাই সেই সভাতে বিদ্যুৎ-উৎপাদন বাড়ানোর জন্য একটি পরিকল্পনা কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই কমিটি গঠিত হলে সেটারও সভাপতি হয়েছিলেন জওহরলাল নেহেরু।

১০.
শেষজীবনে মেঘনাদ সাহা রাজনীতির সঙ্গেও জড়িয়েছিলেন। তার এই রাজনীতিতে জড়িয়ে যাওয়া নিয়ে নানা মহলেই সমালাচনার সূত্রপাত হয়েছিল, বা সকলে এই বিষয়টি ভালোভাবে দেখেননি। অনেকেই মনে করেছেন, মেঘনাদ সাহার এটির প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু মেঘনাদের তরফে এই রাজনীতিতে জড়িয়ে যাবার পেছনে যুক্তি ছিল। তিনি মনে করতেন, স্বাভাবিকভাবেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে রাষ্ট্রের দায়িত্ব নেবে বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করতে হলে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যেই সাহায্য প্রয়োজন, সেটা কিভাবে আনা সম্ভব? যদি না প্রশাসনিক ক্ষমতাকে কাজে লাগানো যায়। আর, সেই অর্থেই, প্রশাসনিক ক্ষমতাকে কাজে লাগানোর জন্যই রাজনীতি করবার প্রয়োজন রয়েছে।

   

চিড়িয়াখানায় কুকুরকে পান্ডা বানিয়ে প্রদর্শন



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চিড়িয়াখানায় কুকুরকে পান্ডা বানিয়ে প্রদর্শন

চিড়িয়াখানায় কুকুরকে পান্ডা বানিয়ে প্রদর্শন

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ব চীনের একটি চিড়িয়াখানা কুকুরকে ‘পান্ডা’ বানিয়ে প্রদর্শন করা হয়েছে। কুকুরের শরীরে সাদা এবং কালো রং মাখিয়ে আসল পান্ডাদের মতো বানিয়ে প্রদর্শন করা হয়। চীনের জিয়াংসু প্রদেশের তাইঝু চিড়িয়াখানায় গত ০১ মে এ ঘটনা ঘটে।

সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে এমন অবাক কাণ্ডের তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়- পহেলা মে’র ছুটিকে কেন্দ্র করে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী বাড়াতে কর্তৃপক্ষ চিড়িয়াখানায় ‘পান্ডা কুকুর’ দেখা যাবে বলে বিজ্ঞাপন দেয়। তাদের বিজ্ঞাপন দেখে দর্শনার্থীরা চিড়িয়াখানায় ছুটে আসে। এসে তাদের এমন কাণ্ড দেখে অনেক দর্শনার্থী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়।

নিউইয়র্ক পোস্টে বলা হয়, চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা দুটি চৌ চৌ কুকুরের মুখ কালো রং করেছেন, যাতে কুকুরগুলোকে ক্ষুদ্রাকৃতির পান্ডাদের মতো দেখা যায়। এই কুকুরগুলোকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে প্রদর্শনের জন্য রেখে দেওয়া হয়, যেখানে দর্শনার্থীদের ভিড় করে তাদের দেখার জন্য জড়ো হয়।

যখন দর্শনার্থীরা বুঝতে পারেন কুকুরগুলো আসল পান্ডা নয়, তখন অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তারা অভিযোগ করেন, প্রাণীর সঙ্গে এমন আচরণ নিষ্ঠুরতা।

তবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যে রং তারা ব্যবহার করেছেন তা ক্ষতিকারক নয় এবং এ রঙে কোনো রাসায়নিকও নয়।

চিড়িয়াখানার একজন মুখপাত্র জানান, তাদের চিড়িয়াখানায় কোনো পান্ডা ভাল্লুক ছিল না। তাই তারা এমনটি করেছেন। মানুষও চুলে রং করে। কুকুরের লম্বা পশম থাকলে প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করা যায়।

অন্য একজন জানান, তাদের চিড়িয়াখানায় আসল পান্ডা রাখার জায়গা নেই। এভাবে করলে দর্শনার্থীদের আরও বেশি আনন্দ দেওয়া যাবে বলে তারা এমনটি করেছেন।

উল্লেখ্য, চৌ চৌ একটি স্পিটজ-টাইপ কুকুর, যা মূলত উত্তর চীনে পাওয়া যায়।

;

চম্পারণের ১০৭ বছর



ফিচার ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১০৭ বছর আগে ১৯১৭ সালের ১৫ এপ্রিল বিকেলের কথা। শোষণের হাত থেকে বাঁচার জন্য হাজার হাজার কৃষক বিহারের চম্পারণের মতিহারি রেলস্টেশনে তীক্ষ্ণ চশমা পরা এক লোকের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। রাজকুমার শুক্লা নামে একজন চম্পারণের কৃষক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী জী কে চম্পারণে আসার জন্য অনুরোধ করেন।

তিনি এখানে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে না আসলেও প্রায় এক বছর ধরে তার উকিল বন্ধু ব্রজ কিশোর প্রসাদ, রাজেন্দ্র প্রসাদ, গোরখ প্রসাদ, চন্দ্রভাগা সহায় এবং বাবু ধারনীধরদের নিয়ে ভারতীয় ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কৃষকদের সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। সাবধানতার সাথে ৪ হাজারের বেশি সাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করেন তারা। প্রধানত কৃষকদের দুঃখজনক জীবনের বর্ণনা ও দ্বিগুণ করের আওতায় তাদের শোষণের কথা সমীক্ষায় উঠে আসে।

চম্পারণ সত্যাগ্রহ ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা এবং ভারতীয় জাতীয় আন্দোলনের পদ্ধতি ও মতাদর্শ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এটি অহিংস প্রতিরোধ এবং নাগরিক অবাধ্যতার সাথে মহাত্মা গান্ধীর প্রথম দিকের পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি চিহ্নিত করে, যা পরে তার নেতৃত্ব এবং ভারতের স্বাধীনতার জন্য বৃহত্তর আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য হয়ে ওঠে। চম্পারণ সত্যাগ্রহ ১৯১৭ সাল থেকে ১৯১৮ সালের মধ্যে ভারতের বিহারের চম্পারণ জেলায় সংঘটিত হয়েছিল।

১০০ বছর পর হস্তলিখিত সাক্ষ্যগুলি জাতীয় আর্কাইভস থেকে সংগ্রহ করে সবরমতী আশ্রমের আর্কাইভ বিভাগে প্রতিলিপি করা হচ্ছে। এসব আর্কাইভ আটটি খণ্ডে রূপান্তরিত হচ্ছে। কীভাবে কৃষকরা তাদের কণ্ঠস্বর উত্থাপিত হতে দেয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অধিকারের দাবি জানায়। সাক্ষ্য রেকর্ড করার এই সত্যাগ্রহের ফলেই চম্পারণ কৃষি আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল।

চম্পারণ সত্যাগ্রহ গান্ধীর নিপীড়ক ব্রিটিশ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের উপায় হিসাবে অহিংস প্রতিরোধকে নিয়োগ করার প্রথম প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে একটি হিসাবে চিহ্নিত করেছিল। তিনি এই কৌশলটিকে “সত্যাগ্রহ” বলে অভিহিত করেন, যার অনুবাদ “সত্য শক্তি”।

 চম্পারণের মতিহারি রেলস্টেশন। ছবি: সংগৃহীত

চম্পারণ অভিযানের জনগণের হতাশা একটি কার্যকর রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়। গান্ধী জী এবং তার দল রেকর্ড করছিল কিভাবে কৃষকরা নীল চাষের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। নীলকররা কিভাবে কৃষকদের বাধ্য করছে নীল চাষ করার জন্য এসব বিষয় তুলে ধরেছেন। নীল চাষ না করলে কৃষকদের উপর দ্বিগুণ করন চাপিয়ে দেওয়া হতো। ব্রিটিশ রোপনকারীরা এজেন্টদের ব্যবহার করে বলপ্রয়োগ ও সহিংসতার মাধ্যমে কর আইন কার্যকর করতো।

সবরমতি আশ্রমের পরিচালকের মতে, গান্ধী ও তার অ্যাডভোকেট বন্ধুরা শ্রোতার ভূমিকা পালন করেন। গান্ধীর মাধ্যমে কৃষকরা নির্দ্বিধায় কথা বলতে পারেন। তারই ফল হলো আজ আমাদের সাথে কৃষকদের সম্পর্কের বিস্তারিত রেকর্ড রয়েছে জমিদার, ব্রিটিশ নীল কারখানার মালিকদের সাথে সম্পর্ক এবং ভূমি রাজস্ব কাঠামোর শোষণমূলক প্রকৃতি।

তিনি বলেন, চম্পারণ সত্যাগ্রহের সময়, বাপু দেখিয়েছিলেন যে মানুষকে স্বাধীনতার জন্য একটি গণআন্দোলনে আকৃষ্ট করার জন্য তাদের ব্যক্তিগত জীবনে একটি সুস্পষ্ট এবং পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন করা গুরুত্বপূর্ণ। তবেই স্বাধীনতার ধারণা তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

চম্পারণ সত্যাগ্রহের ফলস্বরূপ, ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ কৃষকদের অভিযোগ তদন্তের জন্য চম্পারন কৃষি তদন্ত কমিটি নিয়োগ করতে বাধ্য হয়েছিল। এই কমিটি শেষ পর্যন্ত কৃষকদের অনুকূলে সংস্কারের সুপারিশ করেছিল, যা গ্রামীণ জনগণের মধ্যে উন্নত অবস্থা এবং ক্ষমতায়নের বোধের দিকে পরিচালিত করে।

;

রেলস্টেশনে বুকশপ আর চোখে পড়ে না!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪, খুলনা রেলওয়ে স্টেশন

ছবি: বার্তা২৪, খুলনা রেলওয়ে স্টেশন

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা সময় ছিল যখন রেলের দীর্ঘ যাত্রায় রেলের বগিতে সময় কাটাতে হতো। তখন এই অলস সময় কাটাতে বইয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। যাত্রাপথে বই খুলে গভীর মনোযোগ দিয়ে বই পড়তেন। সে কারণে রেলের বগিতে, স্টেশনগুলোতে কিছুক্ষণ পর পর বই বিক্রেতাদের হাকডাকও ছিল বেশ রকমের। স্টেশনেও থাকতো বই বিক্রির দোকান, যা ‘বুকশপ’ নামে পরিচিত ছিল। এখন তা শুধুই স্মৃতি মাত্র!

রেলস্টেশনে এসব বইয়ের দোকানে অনেক ধরনের বই পাওয়া যেতো, যা বাজারের বইয়ের দোকানগুলোতে থাকতো না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে সবকিছু। এখন বই কিনে আর কেউ রেলে চড়েন না। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় স্মার্টফোনে সময় পার করেন। রেলের কোচে এখন আর বইয়ের ফেরিওয়ালাও ওঠেন না, বই কেনার কাউকে পাওয়া যায় না বলে।

১৯৮৫ সালে খুলনা রেলস্টেশনে বইয়ের ব্যবসা শুরু করেছিলেন মো. আবু বক্কার। বিশাল বইয়ের দোকান ছিল রেলস্টেশনে। বইয়ের দোকানের নাম ছিল ‘প্রজ্ঞা রেলওয়ে বুক স্টল’। কিন্তু এখন আর এত বই নেই সে দোকানে। গুটি কয়েক বই রয়েছে সে বুকশপে। তবে এগুলোও বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এখন পুরনো স্টেশনের সেই দোকানটিতে চা, পান, সিগারেট বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, খুলনার রেলস্টেশনটি এখন আন্তর্জাতিক মানের। যদিও সেখানে বইয়ের দোকান দেওয়ার জন্য কোনো স্থানই আর খালি নেই। আগ্রহও নেই রেল কর্তৃপক্ষের।

এ বিষয়ে প্রজ্ঞা রেলওয়ে বুক স্টলের মো. আবু বক্কার আক্ষেপ নিয়ে বলেন, এখন আমার বয়স ৮০। কী আর করবো! কেউ আর বই কিনে রেলে চড়েন না। বই পড়েনও না। অন্য ব্যবসা পারি না। তাই, এখন এই দোকানে বসে চা, পান, বিড়ি বিক্রি করি। কিছু পুরনো বই রয়েছে। কিন্তু বিক্রি হয় না’।

আবৃত্তিকার কামরুল কাজল জানান, রেলে চড়ার অনেক স্মৃতি রয়েছে আমার। প্রতিবার রেলে উঠলে নতুন নতুন বই কিনতাম। অনেক নতুন বই রেলস্টেশনের স্টলে পেতাম, যা খুলনার অনেক বইয়ের দোকানে পেতাম না। আবার রেলে উঠলে অনেক হকার বই বিক্রি করতেন। সেই সব বইগুলো ছিল সময় কাটানোর বড় অনুষঙ্গ। কিন্তু এখন বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ দেখি না।

রেলস্টেশনে বুকশপ বা বইয়ের স্টল এখন আর চোখেই পড়ে না! খুলনা রেলওয়ে স্টেশন, ছবি- বার্তা২৪.কম

বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দীন বিশ্বাস জানান, এখনকার ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ কমে গেছে। আগ্রহ তৈরিতে এলাকাভিত্তিক পাঠাগার গড়ে তুলতে হবে। বইয়ের চাহিদা না থাকায় অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন।

রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল জোনের (রাজশাহী) ব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানালেন, পুরনো রেলস্টেশনগুলোতে বই বিক্রির জন্য স্থান থাকলেও নতুন যেসব স্টেশন তৈরি হয়েছে, সেসব স্টেশনে আলাদা স্থান রাখা হয়নি। এছাড়া যারা স্টেশনে ব্যবসা করার জন্য আবেদন করেছেন, তারা বেশির ভাগ খাবারের দোকান হিসেবে বরাদ্দ চান।

 

;

প্রকৃতিতে শোভা ছড়াচ্ছে ‘সোনালু ফুল’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সবুজের ফাঁকে উঁকি দিয়ে হলুদ আভায় মুগ্ধতা ছড়ানো ফুল সোনালু। নজরকাড়া সৌন্দর্যে মুখরিত এই ফুল পথিকের মনে এনে দিচ্ছে প্রশান্তির ছোঁয়া। পরিবেশ ও প্রকৃতির শোভা বর্ধনে সোনালু দারুণ এক নিসর্গ মায়া এনে দিয়েছে। এই ফুলের দেখা মিলছে নওগাঁর বিভিন্ন পথে প্রান্তরে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, নওগাঁ শহরের বরেন্দ্র অফিসের পাশে থোকায়-থোকায় হলুদ আভায় ঝুলে আছে সোনালু। ফুলের মাথা হতে লম্বা লতার মত বড় হয়েছে।

শীতকালে সব পাতা ঝরার পর বসন্তে একেবারেই মৃতের মতো দাঁড়িয়ে থাকে গাছটি। গ্রীষ্মের শুরুতে দু’একটি কচিপাতার সাথে ফুল ফুটতে শুরু করে। হলুদ সোনালি রঙের অসংখ্য ফুল সারা গাছজুড়ে ঝাড় লণ্ঠনের মতো ঝুলতে দেখা যায়।


জানা যায়, সোনালু গাছের পাতাঝরা মাঝারি আকৃতির । এটি আট থেকে ৯ মিটার উঁচু হয়। হলুদ বরণ এ ফুল দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি আছে তার বাহারি নামও। পরিচিত নামগুলো হলো সোনালু, সোনাইল, সোঁদাল, বান্দরলাঠিসহ আরো অনেক। ফুল থেকে ধীরে ধীরে লাঠির মত কালো রঙের ফল হয়ে সেটি কয়েক সেন্টিমিটার অব্ধি লম্বা হয়ে থাকে।

পথচারী আলমগীর বলেন, সোনালু দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আর শহরের মধ্যে চোখে পড়েনা বললেই চলে। যতবার দেখি খুব সুন্দর লাগে। মনের মধ্যে এনে দেয় এক প্রশান্তি। 

স্থানীয় বাসিন্দা মিঠু বলেন, আমি মোবাইল দিয়ে প্রচুর ছবি তুলেছি এই ফুলের। আমার খুব ভালো লাগে সোনালু ফুল। তবে এই ফুল যেন হারিয়ে না যায় সেজন্য আমাদের গাছ লাগানো উচিৎ। আমাদের বাড়ির আশেপাশে অনেক সোনালু গাছ আছে যা আমাদের মুগ্ধ করে।


নওগাঁ সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এনায়েতুস সাকালাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন- এটি মূলত সৌন্দর্য বর্ধনে রোপণ করা হয়। গ্রাম বাংলায় এই ফুলকে বাদর লাঠি গাছ বলেও ডাকা হয়। এটির বৈজ্ঞানিক নাম 'কেসিয়া ফিসটুলা (Cassia Fastula)। এই উদ্ভিদ বাংলাদেশে অনেক জাতের আছে। ফুলটার জন্য বেশি খ্যাতি রয়েছে বলে অনেক জায়গায় লাগানো হয়। গাছের কাঠগুলো জ্বালানি কাজে ব্যবহার করা হয়।

;