রোমান পোলান্‌স্কি : সেলিব্রেটি স্ক্যান্ডালের মোক্ষম উদাহরণ



মরিয়ম সুলতানা, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
রোমান পোলান্‌স্কি

রোমান পোলান্‌স্কি

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন চলচ্চিত্র শিল্পের প্রাণভোমরা হলিউডের জন্য হলেও বিশ্বের অন্যতম রোমাঞ্চকর গল্পের নগরী হিসেবে লস এঞ্জেলসকে চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু ’৭০-এর দশকের এই শহর ছিল সেলিব্রেটি স্ক্যান্ডাল দ্বারা অন্ধকারাচ্ছন্ন। যৌন বিকারগ্রস্ততা, মাদকাসক্তি প্রভৃতি ছিল হলিউড পাড়ার পরতে পরতে।

রোমান পোলান্‌স্কি তেমনই একজন সেলিব্রেটি যার ঝুলি নানাবিধ স্ক্যান্ডালে পরিপূর্ণ। তিনি একাধারে সফল একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা, এমনকি লেখক। তবে আজ তিনি পৃথিবীবাসির কাছে একজন চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেই সমধিক পরিচিত এবং প্রতিষ্ঠিত। বহুমুখী প্রতিভাধর এই প্রথিতযশা চলচ্চিত্র পরিচালক তার এই এক জীবনে কুড়িয়েছেন অসংখ্য সুখ্যাতি, জীবন তাকে দু হাত ভরে দিয়েছে এবং তিনিও দু হাত পেতে সেসব গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তার জীবনের এই আলোয় ঝলমলে অধ্যায়ের ঠিক বিপরীতেই রয়েছে এক ভয়ংকর কালো অধ্যায়। আর সেই কালো অধ্যায়ের সূত্র ধরেই বলায় যায়, রোমান পোলান্‌স্কির জীবনই হলো ‘সেলিব্রেটি স্ক্যান্ডাল’-এর মোক্ষম উদাহরণ।

এই বিশ্ববিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ১৯৩৩ সালের ১৮ আগস্ট ফ্রান্সের প্যারিস শহরে জন্মগ্রহণ করেন কিন্তু তার বেড়ে ওঠা পোল্যান্ডে। মা বুলা (জন্মনাম কাৎজ-প্রৎজেবর্স্কা) এবং বাবা রিসজার্ড পোলান্‌স্কি ছিলেন যথাক্রমে চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর্য নির্মাতা। পোলান্‌স্কির বাবা ইহুদি এবং পোল্যান্ডের অধিবাসী ছিলেন। পোলান্‌স্কির মা রাশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং রোমান ক্যাথলিক হিসেবে বেড়ে ওঠেন, তিনি মূলত অর্ধ-ইহুদি বংশধর ছিলেন। 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/18/1566144369603.jpg
◤ পোলান্‌স্কির বিখ্যাত চলচ্চিত্র দ্য পিয়ানিস্ট ◢


পোলান্‌স্কি পোল্যান্ডের তৃতীয় বৃহত্তম শহর উচের ন্যাশনাল ফিল্ম স্কুলে পড়াশোনা করেন। তাঁর চলচ্চিত্রে পদার্পণ একজন অভিনেতা হিসেবে। ১৯৫০-এর দশকে আন্দ্রজেয় ভায়দার ‘পোকোলনি’ (প্রজন্ম, ১৯৫৪) এবং একই বছর সিলিক স্টার্নফেল্ডের ‘জাকজারোয়ানি রোভার’ (জাদুকরী বাইসাইকেল) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে অভিনেতা পোলান্‌স্কির অভিষেক ঘটে।

চলচ্চিত্র পরিচালনায় পোলান্‌স্কির অভিষেক হয় ১৯৫৫ সালে, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘রোভার’ (সাইকেল) নির্মাণের মধ্যদিয়ে। রোভার একটি আধা-আত্মজীবনীমূলক চলচ্চিত্র এবং এখানেও পোলান্‌স্কি অভিনয় করেন।

রোভারে তিনি তার বাস্তব জীবনের একটি সহিংস চক্রের কথা উল্লেখ করেছেন। যেখানে দেখানো হয়েছে এক কুখ্যাত ক্রাকো ফেলোন ইয়ানুশ ডিজুবা, পোলান্‌স্কির সাইকেল বিক্রি করে দিতে চেয়েছিল; কিন্তু পরিবর্তে ডিজুবা তাকে মারধর করে এবং তার টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়। বাস্তব জীবনে পোলান্স্কির মাথার খুলি ফাটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সে গ্রেফতার হয় এবং আরো আটটি অপরাধের মধ্যে তিনটি হত্যার জন্য তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। উচে পড়াশোনার সময় আরো বেশ কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছায়াছবি তাকে স্বীকৃতি এনে দেয়, বিশেষ করে ‘ডভায় লুডজি জ শাফাঁ’ (১৯৫৮) এবং ‘গডাই স্পাডায়া আনিওউ’ (১৯৫৯)। তিনি ১৯৫৯ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন।

ক্যারিয়ারের সোপানগুলি অবলীলায়, অত্যন্ত সফলতার সাথে ছুঁতে পারলেও তার দাম্পত্য জীবনের যাত্রাটা খুব একটা মসৃণ ছিল না। অভিনেত্রী বারবারা ল্যাস ছিলেন এই পোলিশ চলচ্চিত্র পরিচালকের প্রথম স্ত্রী। যিনি পোলান্‌স্কির ‘হোয়েন অ্যাঞ্জেলস ফল’ (১৯৫৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তারপর এই জুটি ১৯৫৯ সালেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কিন্তু ১৯৬১ সালে মাত্র দু বছরের ব্যবধানে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তারপর তিনি আবারও ১৯৬৮ সালের ২০ জানুয়ারি অভিনেত্রী শ্যারন টেইটকে (২৪ জানুয়ারি ১৯৪৩-৯ আগস্ট ১৯৬৯) বিবাহ করেন। শ্যারন টেইটও ছিলেন একজন সুঅভিনেত্রী।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/18/1566144309583.jpg
◤ অভিনেত্রী ও প্রথম স্ত্রী বারবারা ল্যাসের সঙ্গে পোলান্‌স্কি ◢


কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! রোমান পোলান্‌স্কির ক্যারিয়ার যখন খ্যাতির তুঙ্গে, ১৯৬৯ সালে সাড়ে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী অভিনেত্রী শ্যারন টেইটকে মাত্র ২৬ বছর বয়সে চার্লস ম্যানসনের অনুসারীরা হত্যা করে। স্ত্রীকে হারিয়ে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েন এই উঠতি চলচ্চিত্র পরিচালক। পরবর্তীকালে দীর্ঘ এক বিরতির পর ১৯৮৯ সালে ইম্যানুয়েল সিনার সাথে তৃতীয়বারের মতো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, যিনি একজন ফরাসি অভিনেত্রী।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/18/1566144429916.jpg
◤ অভিনেত্রী ও দ্বিতীয় স্ত্রী শ্যারন টেইটের সাথে পোলান্‌স্কি ◢


১৯৭৭ সালে রোমান পোলান্স্কি মাত্র ১৩ বছর বয়সী কিশোরী সামান্থা গেইমে’র সাথে যৌন সংসর্গে জড়িয়ে পড়েন, যখন তার বয়স ৪৩ বছর। ১০ মার্চ সামান্থার মা সুসানের তৎপরতায় পোলান্স্কিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পোলান্স্কি জনসম্মুখে অপরাধ স্বীকার করেন এবং ইউরোপে পালিয়ে যান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরলে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে, এজন্য তিনি আর ফেরত আসেননি এবং ইউরোপ থেকেই চলচ্চিত্র পরিচালনা অব্যাহত রাখেন।

তবে শুনতে অদ্ভুত লাগলেও সত্য যে, সামান্থার সাথে আজও রোমান পোলান্‌স্কির যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ আছে। জানা যায়, পোলান্‌স্কি ইউরোপে পালিয়ে যাওয়ায় সামান্থা খুশিই হয়েছেন এবং তিনি তাকে ক্ষমাও করে দিয়েছেন। কারণ তিনি চান না পোলান্‌স্কির বাকি জীবন জেলে কাটুক। এদিকে রহস্যজনকভাবে সামান্থা পোলান্‌স্কিকে ধর্ষক কিংবা যৌননিপীড়ক কিংবা শিশুকামী হিসেবে চিহ্নিত করতে নারাজ। সামান্থার ভাষ্যমতে, “আমি কখনোই তাকে পেডোফাইল বলব না। আমি যেটা বলতে পারি তা হলো, তিনি নিতান্তই ভুলবশত চরমতম খারাপ একটা কাজ করে ফেলেছেন। এবং, আমি তাকে তখনই পেডোফাইল হিসেবে চিহ্নিত করতে পারতাম, যদি তিনি তার পরবর্তী জীবনেও এই একই ধরনের কাজ অব্যাহত রাখতেন।”

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/18/1566144560460.jpg
◤ সামান্থা গেইম ◢


তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ২০০৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধেই সুইজারল্যান্ডে থাকাকালীন রোমান পোলান্‌স্কিকে গ্রেফতার করা হয় এবং এই গ্রেফতার নিয়ে তুমুল বিতর্কের জন্ম হয়। রোমান পোলান্‌স্কির পক্ষে হলিউডের অসংখ্য নামজাদা সেলিব্রেটি, ইউরোপের শিল্পীগোষ্ঠী, এমনকি রাজনীতিকরা সমবেত হয়। তারা এই গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে কথা বলে। এদিকে তার গ্রেফতারের ঘটনার পর আমেরিকার জনমত পোলান্‌স্কির বিপক্ষে গেলেও ইউরোপ এবং পোল্যান্ডের অগনিত মানুষ ছিল তার পক্ষে। আর এভাবেই এ-যাত্রায়ও আইনের বেড়াজাল থেকে পার পেয়ে যান রোমান পোলান্‌স্কি।

রোমান পোলানস্কি পরিচালিত চলচ্চিত্রসমূহ
• জ উ ভজি (১৯৬২)
• রিপালসন (১৯৬৫)
• কুল-দে-সাক (১৯৬৬)
• দ্য ফিয়ারলেস ভ্যাম্পায়ার কিলার্স (১৯৬৭)
• রোজামারিস বেবি (১৯৬৮)
• ম্যাকবেথ (১৯৭১)
• হোয়াট? (১৯৭২)
• চায়নাটাউন (১৯৭৪)
• লা লোকাতায়ার (১৯৭৬)
• তেস (১৯৭৬)
• পাইরেটস (১৯৮৬)
• ফ্র্যান্টিক (১৯৮৬)
• বিটার মুন (১৯৯২)
• ডেথ অ্যান্ড দ্য মেইডেন (১৯৯৪)
• দ্য নাইন্থ গেট (১৯৯২)
• দ্য পিয়ানিস্ট (২০০২)
• অলিভার টুইস্ট (২০০৫)
• দ্য ঘোস্ট রাইটার (২০১০)
• কার্নেজ (২০১১)
• লা ভেনাস অ লা ফরুর (২০১৩)
• দাপ্রেস উন হিস্তোয়ার ভ্রাই (২০১৭)

পোলান্‌স্কি পরিচালিত ‘দ্য পিয়ানিস্ট’ চলচ্চিত্রটিই সবচেয়ে বেশি আলোচিত এবং এটিই কেবল একাডেমি পুরস্কার অর্জন করে। পোল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেনের যৌথ প্রযোজনায় নির্মীত এই দ্য পিয়ানিস্ট ২০০২ সালে মুক্তি পেয়েছিল।

পোল্যান্ডের এক ইহুদি পিয়ানো বাদকের ‘দ্য পিয়ানিস্ট’ নামের আত্মজীবনী গ্রন্থ থেকে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। দ্য পিয়ানিস্ট কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ছবির পুরস্কার অর্জন করে। এছাড়া তিনটি ক্ষেত্রে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করে : সেরা অভিনেতা, সেরা পরিচালক এবং সেরা অভিযোজিত চিত্রনাট্য। এছাড়া ফ্রান্সের সেজার পুরস্কার লাভ করে তিনটি ক্ষেত্রে : সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা ও সেরা চলচ্চিত্র। এই ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অ্যাড্রিয়েন ব্রডি। অ্যাড্রিয়েন ব্রডিই একমাত্র মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা যিনি ফ্রান্সের সেজার পুরস্কার জিতেছেন।

রোমান পোলান্‌স্কি শৈশবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিজ চোখে অবলোকন করেছিলেন, হয়তো সেজন্যই তার দ্য পিয়ানিস্টের নির্মাণশৈলি ছিল এত বেশি জীবন্ত। কাল পরিক্রমায় বিশ্ব রোমান পোলান্‌স্কিকে ভুলে যেতে পারে, কিন্তু দ্য পিয়ানিস্টকে কখনো ভুলতে পারবে না।

   

উপকূলে ঝড়ের বিপদ সংকেত, ঢাকায় চিত্রকরের নীল মেঘ!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপকূলে চলছে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত। দমকা বাতাসের তোড়ে সমুদ্রে উত্তাল ঢেউ। আকাশে হৈ হৈ রব তুলে দখল করেছে কালো মেঘ। ছড়িয়ে দিচ্ছে গুড়ুম গুড়ুম ডাক! কয়েক ঘণ্টা বাদেই প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আসার সম্ভাবনা। তবে কথায় বলে, বাজ পড়ার আগে আকাশ শান্ত হয়ে যায়!

ঠিক যেন প্রকৃতি তার সেই রূপটিই মেলে ধরলো। উপকূল অঞ্চলগুলোতে মানুষজনকে সতর্ক করা হচ্ছে। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ অথচ রাজধানীর আকাশ স্নিগ্ধ-কোমল!

শুধু কী তাই! ছবি আঁকার পর শিল্পী তার রঙ মাখা তুলিগুলো এলোমেলো করে ফেলে রাখে যেমন, সেই ছবি যেন আকাশে সেঁটে দিয়েছে কেউ। লাল, গোলাপি, কমলা, নীল, বেগুনি রঙের মিশ্রণে অপূর্ব সুন্দর এক এলোমেলো চিত্র উঁকি দিচ্ছে আকাশে। তার মাঝে ধূসর মেঘ ঘোলা জলে মাছের মতো দুরন্তপনায় ছুটে যাচ্ছে বহুদূর।

শনিবার (২৫ মে) গোধুলি লগ্নে ঢাকার আকাশ ঠিক এভাবেই রঙিন হয়ে ওঠে। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ রংধনুর ছোঁয়া ছাড়াই রঙিন পটচিত্রের রূপ মেলে ধরে গগন, যেন আকাশ নয়, কোনো চঞ্চলা কিশোরীর উৎফুল্ল মন! প্রকৃতি এখন স্তব্ধ হয়ে আছে। গাছের একটি পাতাও যেন নড়ছে না। অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরের অথৈ উম্মাদনা। স্থানীয়দের ভয়, জলোচ্ছ্বাসে যেন তাদের জনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এমনি করেই প্রকৃতির বহুরূপী লীলাখেলা চলতে থাকে অবলীলায়।

;

বিখ্যাত মিমের ভাইরাল কুকুর কাবোসু আর বেঁচে নেই



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভাইরাল কুকুর কাবোসু / ছবি: সংগৃহীত

ভাইরাল কুকুর কাবোসু / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যখন মানুষ জুড়তে শুরু করলো ইন্টারনেটে নতুন অনেক নতুন উদ্ভাবনার দেখা মিললো। এমন এক ব্যাপার হলো মিম। বর্তমান সময়ে সেন্স অব হিউমারের (রসবোধ) এক অন্যতম মাধ্যম এই মিম। বিশেষত কোনো ছবি ব্যবহার করে তাতে হাস্যরসাত্মক কিছু জুড়ে দিয়ে এইসব মিমগুলো বানানো হয়।

২০১৩ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনই একটি ছবি ভাইরাল হয়। পরবর্তী সময়ে যা একটি বিখ্যাত ‘মিম ম্যাটেরিয়াল’-এ পরিণত হয়। কমলা-সোনালী এবং সাদা রঙের সম্বনয়ে বাহারি লোমের এই কুকুরটির নাম কাবোসু। কাবোসুর বয়স ১৯ বছর।

দুর্ভাগ্যবশত কুকুরটি আর বেঁচে নেই। ২৪ মে (শুক্রবার) দীর্ঘদিন ধরে রোগাক্রান্ত থাকার পর অবশেষে দেহ ত্যাগ করে কুকুরটি। কুকুরটির মালিক আতসুকো সাতো (৬২) জাপানের চিবা প্রিফেকচারের সাকুরা শহরের একটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক।শুক্রবার তার প্রকাশিত ব্লগে একটি দুঃখের কবিতা আবৃত্তির পর তিনি এই খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

ভাইরাল কুকুর কাবোসু / ছবি: সংগৃহীত

১৯ বছর বয়সেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। ২৬ মে রবিবার কাবোসুর স্মরণে একটি স্মরণ সভার আয়োজনও করা হবে। কুকুরটির মারা যাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকলে দুঃখ প্রকাশ করছে।

২০২২ সালে ক্রোানক লিম্ফোমা লিউকুমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল। সেই থেকেই কাবোসুর চিকিৎসা চলছিল। তবে দুঃখের বিষয়, সে আর সুস্থ হয়ে ফিরতে পারলো না।

কাবোসুর ত্যাড়া চোখে দৃষ্টির একটি ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। এটি ইন্টারনেটে সবচেয়ে আইকনিক এবং স্বীকৃত ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এমনকি ক্রিপ্টো কারেন্সির দুনিয়াতেও তার নাম ছিল।

;

বুদ্ধ পূর্ণিমার তাৎপর্য



অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা। বুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এক মহান দিন এটি। এই দিনে গৌতম বুদ্ধ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেন। একই দিনে মহাজ্ঞানী বুদ্ধত্ব এবং বুদ্ধ মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। এই তিথিকে বলা হয় বৈশাখী পূর্ণিমা, যা আজ বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক ভেসাক ডে হিসেবে পালন করা হয়। বৈশাখ মাসের এই তিথিতে মহামতি গৌতম বুদ্ধের জীবনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংগঠিত হয়েছিল। ত্রি-স্মৃতিবিজড়িত এ তিথির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অত্যন্ত বিশাল।

খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ অব্দে এই দিনে আড়াই হাজার বছর আগে মহামতি গৌতম বুদ্ধ ভারতবর্ষের তৎকালীন কপিলাবস্তু দেবদহ নগরের মধ্যবর্তী লুম্বিনী কাননে মাতা রানী মায়াদেবীর পিতৃগৃহে যাবার পথে শালবৃক্ষের নিচে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্টপূর্ব ৫৮৮ অব্দে ৩৫ বছর বয়সে বোধিবৃক্ষমূলে কঠোর সাধনা বলে তিনি বুদ্ধত্ব লাভ করেন। খ্রিস্টপূর্ব ৫৪৩ অব্দে ৮০ বছর বয়সে একই দিনে ৪৫ বছর দুঃখ মুক্তির ধর্ম প্রচার করে কুশীনগরে যুগ্মশাল তরুণমূলে চিরনির্বাসিত হয়ে মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন অর্থাৎ তিনি দুঃখ থেকে মুক্তি লাভ করেছেন। পৃথিবীতে আর জন্মলাভ করবেন না। গৌতম বুদ্ধের পিতার নাম ছিল রাজা শুদ্ধধন ও গৃহী নাম ছিল সিদ্ধার্থ। ২৫২৭ বছর আগে ভারতবর্ষে যখন ধর্মহীনতা মিথ্যা দৃষ্টি সম্পন্ন বিশ্বাস্বে ধর্মে সমাজের শ্রেণি বৈষম্যের চরম দুরবস্থা ও কুসংস্কারে নিমজ্জিত, প্রাণী হত্যায় চরম তুষ্টি ,তখন শান্তি মৈত্রী অহিংস সাম্য ও মানবতার বার্তা নিয়ে মহামতি বুদ্ধের আবির্ভাব ঘটে।

গৌতম বুদ্ধ অহিংস ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করেছেন। এই জীবজগৎ অনিত্য দুঃখ অনাত্মাময় প্রাণমাত্রই প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। অস্থায়ী বা অনিত্য কার্যতকারণের অধীন। তিনি জীবনের প্রগাঢ় খাটি চার আর্যসত্য আবিষ্কার করলেন। জগতে দুঃখ আছে, দুঃখের অবশ্যই কারণ আছে, দুঃখের নিবৃত্তি আছে, দুঃখ নিবৃত্তির উপায় আছে। দুঃখ নিবৃত্তির উপায় হলো নির্বান লাভ। এই নির্বান লাভের ৮টি মার্গ আছে। যেমন সম্যক বা সঠিক দৃষ্টি , সম্যক সংকল্প, সম্যক বাক্য, সম্যক কর্ম, সম্যক জীবিকা, সম্যক প্রচেষ্টা, সম্যক স্মৃতি, সম্যক সমাধি। এই পথ পরিক্রমায় শীল সমাধি প্রত্তোয় নির্বাণ লাভের একমাত্র উপায়। সব প্রাণী সুখী হোক, পৃথিবীর সবচেয়ে পরম, মহৎ বাণী তিনি প্রচার করেছেন। শুধু মানুষের নয়, সব প্রাণ ও প্রাণীর প্রতি, প্রেম, ভালোবাসা, অহিংসা, ক্ষমা, মৈত্রী, দয়া, সহনশীলতা, সহমোর্মিতা, সহানুভূতি, মমত্ববোধ, প্রীতি, সাম্য, সম্প্রীতির কথা তিনি বলেছেন।

১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ৫৪/১১৫ রেজুলেশন এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক ভেসাক ডে হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। সেই থেকে এই দিনটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ “ভেসাক ডে” হিসেবে পালন করে আসছে। বুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র এই দিনকে বিভিন্ন নামে পালন করা হয়। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, নেপালে বুদ্ধ পূর্ণিমা, লাওসে বিশাখ পূজা, ইন্দোনেশিয়া হারি ওয়াইসাক ডে, মালয়শিয়ায় ওয়েসাক ডে, মায়ানমারে ফুল ডে অব কাসন, সিঙ্গাপুরে হারি ভেসাক ডে নামে পালন করে থাকে আবার কেউ বুদ্ধ জয়ন্তী দিবস হিসেবেও পালন করে থাকে।

জাতিসংঘের মহাসচিব এস্তেনিও গুতেরেজ ভেসাক ডে উপলক্ষে বলেছেন, “On the day of Vesak, Let us celebrate Lord Buddha’s wisdom by taking action for others with compassion and solidarity and by renewing our commitment to build a peaceful world.”

ফিলিস্তিনে আজ চরমভাবে মানবতা বিপন্ন হচ্ছে। অশান্তিময় এই পৃথিবীতে বুদ্ধের মৈত্রী, সংহতি, সাম্য, মানবতা ও শান্তির বাণী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আজও প্রাসঙ্গিক এবং খুব প্রয়োজন। বিশ্ব আজ পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখোমুখি। পরিবেশ দূষণ, গ্লোবাল ওয়ার্মিং, জলাবদ্ধতা, বৃক্ষ নিধন, বন উজাড়, জীব বৈচিত্র্য হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তন এই সবুজ গ্রহের ইতিহাসে নজিরবিহীন। গৌতম বুদ্ধই প্রথম বৃক্ষকে এক ইন্দ্রিয় বিশিষ্ট জীবরূপে আখ্যায়িত করেছেন। বুদ্ধ ছিলেন বিশুদ্ধ পরিবেশবাদী দার্শনিক। পরিবেশ রক্ষা ও সংরক্ষণে তিনি সব সময় সোচ্চার ছিলেন। তাই বুদ্ধের জন্ম বুদ্ধত্ব লাভ ও মহা পরিনির্বাণ বৃক্ষের পদমূলের বিশুদ্ধ পরিবেশ মন্ডিত পরিবেশে সংগঠিত হয়েছিল।

এই পবিত্র দিনে বৌদ্ধরা বিভিন্ন দেশে দেশে সব প্রাণীর সুখ শান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনা করেন। অশান্ত পৃথিবীতে পরিবেশ সংরক্ষণে বুদ্ধের বাণী নীতি ও আদর্শ বিশ্ব মানবতার শিক্ষা, দর্শন, চিন্তা চেতনা ,ভাবনা সুন্দর, শান্ত, সাম্যময় পৃথিবী গড়ার বিকল্প নাই। সব প্রাণী সুখী হোক, দুঃখ থেকে মুক্তি লাভ করুক।

অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া
চিকিৎসক, লেখক, সংগঠক ও গবেষক

;

মহামতি সিদ্ধার্থ গৌতম



প্রদীপ কুমার দত্ত
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি।
ধর্মং শরণং গচ্ছামি।

সিদ্ধার্থ গৌতম খৃষ্টপূর্ব ৫৬৪সালে(এই সাল নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ আছে) কপিলাবস্তুর লুম্বিনীতে (বর্তমানে নেপালের অন্তর্গত) শাক্য রাজা শুদ্ধোধন এর প্রাসাদে তাঁর মহিষী মায়া দেবীর ঔরষে জন্মগ্রহণ করেন। দিনটি ছিল বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথি।

তিনি শৈশব থেকেই ছিলেন ভাবুক প্রকৃতির। রাজকার্য তাঁকে আকর্ষণ করতো না। জীবনের গূঢ় রহস্য নিয়ে তিনি চিন্তা করতেন। তিনি লক্ষ্য করলেন সংসারে কর্মই প্রধান। বাকি সবই অনিত্য। তিনি ভাবতেন জরা, ব্যাধি, মৃত্যু থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে। যৌবনের এক পর্যায়ে প্রাসাদে মাতা, পিতা, স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে রেখে এক রাতে তিনি বেরিয়ে পড়েন পথে। গ্রহণ করলেন শ্রমণের জীবন।

একসময় তিনি গয়ার নিকট উরুবিল্ব (বর্তমানে ভারতের বিহারের বৌদ্ধগয়া) গ্রামে এক বৃক্ষতলে মোক্ষলাভের উপায় ভাবতে জাগতিক সমস্ত আকর্ষণ ত্যাগ করে ধ্যান করতে বসেন। ক্ষুধা, তৃষ্ণা ইত্যাদি বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত অবস্থায় এক বৈশাখী পূর্ণিমায় তিনি আলোকপ্রাপ্ত হন। তিনি লাভ করলেন দিব্যজ্ঞান। এই জ্ঞানই হলো অজ্ঞানতা ও অশিক্ষা, লোভ এবং আকাঙ্খা, রোগ ও দুঃখভোগ এবং পুনর্জন্ম থেকে মুক্তি। সেই মুক্তিলাভের উপায় হলো জীবন যাপনে শুদ্ধাচার।

তাঁর আশি বছরের জীবনের বাকি অংশ তিনি কাটালেন তাঁর মোক্ষলাভের সূত্র এবং লোভ, হিংসা-দ্বেষহীন পরোপকারের জীবন ধারণের জন্য শিষ্য এবং শিষ্যদের মাধ্যমে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধ করে। বারানসীর অদূরে সারনাথে প্রথম পাঁচজনকে তিনি শিষ্যত্বে বরণ করেন। এই সংখ্যা ধীরে ধীরে বর্ধিত হতে থাকে এবং প্রচার ছড়িয়ে পড়তে থাকে দিকে দিকে। বৃহৎ এক জনগোষ্ঠীকে আকর্ষণ করতে সক্ষম হয় তাঁর এই প্রচার।প্রথমে গাঙ্গেয় অববাহিকাতে চলে এই প্রচারাভিযান। পরে তা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

এইভাবে শান্তির অমোঘ বাণী প্রচারে বাকি জীবন কাটিয়ে তিনি যখন বুঝলেন তাঁর ধরাধাম ত্যাগের সময় হয়েছে, তখন তিনি তাঁর প্রচার সাথী শিষ্যদের উদ্দেশ্যে শেষ দেশনা প্রদান করেন। সেখানে তিনি তাঁর শিষ্যদের বলেন যে তিনি তাঁদের পথের দিশা দেখিয়ে গেলেন মাত্র। মানুষ মরণশীল।মানব জীবনে দুঃখ,কষ্ট জরা,ব্যাধি অবশ্যম্ভাবী।তাই জীবদ্দশায় উচিৎ সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে সৃষ্টির সকল জীবের কল্যাণসাধন করা।তাঁদেরকে নিজের আত্মাকে আলোকিত করে নিজেকেই আলোকপ্রাপ্ত হতে হবে।

মল্ল রাজত্বভুক্ত কুশিনগরে তিনি মহাপরিনির্বাণ প্রাপ্ত হন। কি আশ্চর্য! সেই দিনটিও ছিল বৈশাখী পূর্ণিমা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই তিন বিশেষ দিনের সমষ্টিকে ভেসাক ডে হিসাবে পালন করা হয়। ভারত থেকে তিব্বত হয়ে চীন, জাপান, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর সহ পুরো দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বৌদ্ধ ধর্ম একসময় ছড়িয়ে পড়ে। যার বিপুল প্রভাব এখনো বিদ্যমান।

শাক্যমুণি গৌতমবুদ্ধর প্রধানতম শিক্ষা ও প্রার্থনা হলো জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক। সিদ্ধার্থ গৌতমের ধর্ম গ্রহণ করে সম্রাট অশোক তা তাঁর রাজত্বের দিকে দিকে ছড়িয়ে দেন। সম্রাট অশোক লুম্বিনীতে তীর্থভ্রমণ করাকালীন একটি স্তম্ভ স্থাপন করেন। সেই স্তম্ভে ব্রাহ্মী লিপিতে শাক্যমুনি বুদ্ধ কথাটি পাওয়া যায়। এর অর্থ করা যায় শাক্যদের মধ্যে তপস্বী ও আলোকপ্রাপ্ত।

মহামতি বুদ্ধের বাণী প্রথম দিকে ছিল শ্রুতি নির্ভর। পরবর্তীতে তা ভিনায়া বা প্রচারকদের (বর্তমানকালের শ্রমন বা ভান্তে) জন্য প্রতিপালনীয় বিধান ও সুত্ত পিতাকা বা বুদ্ধদেবের উপদেশসমূহ তাঁর শিক্ষা হিসাবে লিপিবদ্ধকরণ করা হয়। আরও পরে তাঁর অনুসারীরা অভিধর্ম, জাতক কাহিনী, মহাযান সূত্র ইত্যাদি ধর্মগ্রন্থ প্রকাশ করেন। তার মধ্যে জাতক কাহিনীতে সিদ্ধার্থ গৌতমের পূর্ববর্তী জন্মসমূহের কথা লিপিবদ্ধ আছে। আলোকপ্রাপ্ত হয়ে পুনর্জন্ম থেকে মহামুক্তির আগে তিনি পূর্ব জন্মসমূহের কথা স্মরণ করতে পেরেছিলেন।বেশিরভাগ বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ আদিকালে পালি ভাষায় লিখিত হয়েছিল।

জ্ঞান অন্বেষণকে বৌদ্ধ ধর্ম সর্বোচ্চ মর্যাদা দেয়। বৌদ্ধ যুগেই পৃথিবীর বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় রূপে পরিচিত নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। আমরা গর্ব বোধ করতে পারি যে আমাদের মাটির সন্তান অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান বৌদ্ধ ধর্মকে তিব্বতে প্রচারে প্রধানতম ভূমিকা রাখেন।তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্ম রাজধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ও সেখান থেকে চীন,কোরিয়া,জাপান সহ এশিয়ার দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

ইতিহাসের এক পর্যায়ে ভারতবর্ষের বিশাল এলাকায় বৌদ্ধ ধর্মের প্রাবল্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।সম্রাট অশোকের কন্যা সংঘমিত্রা এই ধর্মকে সিংহল দ্বীপে(বর্তমান শ্রীলঙ্কা) প্রসারিত করেন।আজও পৃথিবীতে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা বিভিন্ন ধারায় তাঁদের মহান শান্তির ধর্মকে পালন ও সংরক্ষণ করে যাচ্ছেন। 

লেখক: প্রাবন্ধিক ও পরিব্রাজক

;