ওয়াট রঙ খুন মন্দিরের ইতিহাস



অঞ্জনা দত্ত
-লেখক

-লেখক

  • Font increase
  • Font Decrease

(পূর্বপ্রবাশের পর)

কতদিন ধরে মনের মধ্যে পুষে রাখা যায় বলুন? তাই একবারে উগড়ে দিয়েছি। থাইল্যান্ড ভ্রমণের এই ইতিবৃত্ত পড়ার পরে আপনার মনে হবে যাই একবার ঘুরে আসি। থাইল্যান্ড তো আমাদের দেশ থেকে বেশি দূরে নয়।

‘ওয়াট’ শব্দের অর্থ থাই ভাষায় টেম্পল বা মন্দির। মসজিদকে Mosque বলা হয়। এটি থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলির বৌদ্ধ মন্দিরগুলিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। বিশ শতকের শেষ দিকে, ওয়াট রং খুনের পূর্ববর্তী কাঠামো প্রায় ধ্বংসস্তূপে ছিল এবং বড় ধরনের মেরামতের প্রয়োজন ছিল। পুরানো মন্দিরের অনেক রেকর্ড পাওয়া যায়নি। এর পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছিল, তবে তহবিলের অভাবে এটি সম্পূর্ণ করা যায়নি।

তখন চিয়াং রাইয়ের একজন শিল্পী, চালেরমচাই কোসিটপিপাট, মন্দিরটিকে সম্পূর্ণরূপে পুনর্নির্মাণ করার এবং ব্যক্তিগতভাবে এই প্রকল্পে অর্থায়ন করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৭ সালে নির্মাণ শুরু হয়েছিল এবং এখনও চলছে। মন্দিরটি ২০১৪ সালের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল, তারপরে প্রকৌশলীদের একটি দল এটিকে নিরাপদ ঘোষণা না করা পর্যন্ত মন্দির বন্ধ ছিল।

হোয়াইট টেম্পল বা সাদা মন্দির বা ওয়াট রং খুন থাইল্যান্ডের সমকালীন, প্রচলিত ঐতিহ্যবিরোধী, ব্যক্তিমালিকানাধীন বৌদ্ধ মন্দিরের দৃষ্টিনন্দন এক শৈল্পিক উপস্থাপন। চালেরমাই কোসিটপিপাট প্রচলিত ধারণা ভেঙে এটিকে অন্য ধাঁচে নির্মাণ করার কথা ভাবেন। বিশেষ করে রঙের ব্যবহারে। মন্দিরের বাইরের অংশটি একটি উজ্জ্বল তুষার-সদৃশ সাদা, যা বিশুদ্ধতার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য এবং মন্দিরের উজ্জ্বলতা বা বুদ্ধের শিক্ষাকে বিশ্বে প্রতিফলিত করার আকাঙ্ক্ষার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল।

সাদা রঙ থাই বৌদ্ধ মন্দিরের জন্য একটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক রঙ। কেননা বৌদ্ধ মন্দিরগুলো সাধারণত ঐতিহ্যগতভাবে সোনালি (অনেকসময় সোনাও ব্যবহার করে থাকে) বা লাল রঙের হয়ে থাকে। তবে শিল্পী মনে করেন সোনা খুব ঘনিষ্ঠভাবে লোভ বা লালসার সাথে জড়িত। সাদা রঙের শক্তিশালী ব্যবহার মন্দিরের মিশনের সাথে আলোকিত হওয়ার প্রতীক।

মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল ৬.৪ একর জমিতে। এ পর্যন্ত মন্দিরটি নির্মাণে চালেরমাচাই এর চল্লিশ মিলিয়ন থাই বাথ ব্যয় হয়েছে। তিনি মন্দির সংলগ্ন এলাকাটি শিক্ষা ও ধ্যানের কেন্দ্র এবং গৌতম বুদ্ধের শিক্ষাগ্রহণের সুফল লাভের উপযোগী করে গড়ে তুলতে চেয়েছেন। কোসিটপিপাট মন্দিরটিকে বুদ্ধের প্রতি নিবেদন বলে মনে করেন এবং বিশ্বাস করেন যে এই প্রকল্পটি তাঁকে মানুষের মাঝে অমর করে রাখবে। কোসিতপিপাটের কাজের জন্য নিবেদিত একটি ছোট জাদুঘর মন্দিরের পাশেই অবস্থিত।

মন্দিরের মধ্যে স্থাপিত শিল্পটি থাই বৌদ্ধ এবং হিন্দু ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ প্রদর্শন করে। শিল্পের সামগ্রিক চেহারা প্রায়শই এর জটিল বিবরণ এবং সাবধানে ফিলিগ্রেড প্রান্তের কারণে বিস্তৃত অলঙ্করণ হিসাবে বর্ণনা করা হয়। এটি পরাবাস্তবতার কিছু বৈশিষ্ট্যও প্রদর্শন করে এবং নাটকীয় চিত্রকল্পের ব্যাপক ব্যবহার করে। শৈল্পিক পছন্দগুলি অর্থের সমালোচনা এবং আধুনিক সমাজের সমস্যাগুলির মধ্যে নোঙর করা হয়। কোসিটপিপাট চায় মানুষ গ্রহে যে হিংসাত্মক প্রভাব ফেলছে তা প্রতিফলিত করুক।

মন্দিরের প্রবেশপথে, একটি পুকুর এবং একটি সরু সাদা সেতু রয়েছে যা মূল ভবনে যায়। এটি একটি খুব অলঙ্কৃত কাঠামো, প্রচুর ধর্মীয় চিত্র সমন্বিত। এটি কিন্নরদের দুটি মূর্তি দ্বারা সুরক্ষিত,থাই পৌরাণিক কাহিনীর অর্ধ-মানুষ এবং অর্ধ-পাখি প্রাণী যা মানুষকে রক্ষা করে বলে বিশ্বাস করা হয়। হোয়াইট টেম্পল ব্রিজের নকশার উপাদানগুলি যা ওয়াট রং খুনের মূল কাঠামোর দিকে নিয়ে যায় সেগুলির অনেকগুলি আধ্যাত্মিক নকশার উপাদান রয়েছে। সামগ্রিকভাবে, সেতুটি পেটুক অভ্যাস এবং লোভ এবং পেটুকতার সাথে যুক্ত পাপের পূর্বোক্ত প্রতীক।

মন্দিরের সামনে প্রদীপ কুমার দত্তের সঙ্গে লেখক

আরও পড়ুন: অসাধারণ এক ভ্রমণক্লান্ত দিবসের কাহিনি 

মন্দিরটির বিভিন্ন স্ট্রাকচার বিভিন্নধরনের অর্থ বহন করে আগেই বলেছি। যেমন সাদা মন্দিরের মূল ভবন উবোসোটে একটি ছোট হ্রদের উপরিস্থিত সেতু অতিক্রম করে যেতে হয়। সেতুটির সামনে অসংখ্য প্রসারিত হাত মানুষের অবারিত আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। সেতুটি লোভ, মোহ ও কামনা অতিক্রান্ত করে সুখলাভের শিক্ষা দেয়। হ্রদের সম্মুখভাগে বৌদ্ধ পুরাণের অর্ধ নরদেহ ও অর্ধ পক্ষিদেহ বিশিষ্ট দুজন কিন্নর দণ্ডায়মান আছে।

অনেক দর্শনার্থী খোদাই করা এবং ঊর্ধ্বমুখী হাতের দ্বারা গভীরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয় যা মনে হয় সেতুটিকে ঘিরে রেখেছে যখন এটি মূল মন্দির কাঠামোর পথে একটি সেতু অতিক্রম করে। অনেকের জন্য,বেদনাদায়ক হাত নরকের দীর্ঘকাল ধরে রাখা মানসিক চিত্রগুলিকে উস্কে দেয়। তারা খালি খাবারের বাটি ধরে রাখে এবং যন্ত্রণায় চিৎকার করছে। অন্যরা একটি প্রসারিত মধ্যম আঙুল প্রদর্শন করে একটি পেরেক দিয়ে লাল আঁকা। কিছু দাতব্য এবং অপূর্ণ চাহিদা প্রতিনিধিত্ব করে।

স্বর্গের দ্বার: সেতু পার হয়ে দর্শনার্থীরা স্বর্গের দ্বারে এসে পৌঁছান। দ্বারটি মৃতের ভাগ্যনির্ধারণকারী মৃত্যু ও রাহু দ্বারা প্রহরাধীন। এছাড়া উবোসোট এর সামনে বেশ কয়েকটি ধ্যানমগ্ন বুদ্ধমূর্তি রয়েছে।

উবোসোট (গর্ভগৃহ): দর্পণ ও কাঁচ দ্বারা বহির্ভাগ সজ্জিত করা সম্পূর্ণ সাদা রঙের উবোসোট মন্দিরটির মূল স্থাপনা। এতে থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যের প্রতিফলন ঘটেছে, যেমন ত্রিকোণাকার ছাদ এবং যত্রতত্র পৌরাণিক নাগ এর প্রতিকৃতি। মন্দিরের অভ্যন্তরে সাজসজ্জা শুদ্ধ সাদারং থেকে ক্রমশ উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে থাকে। ম্যুরালে কমলা রঙের অগ্নিশিখা ও দানবের মুখ চিত্রায়িত হয়েছে।

মন্দিরের মূল ভবনটি একটি কাঠের ছাদ সহ একটি সাধারণ কংক্রিটের ফ্রেমযুক্ত কাঠামো। বাইরের সমস্ত অংশ কাঁচের সন্নিবেশ সহ সাদা প্লাস্টারে আবৃত ছিল। কাঁচটি বুদ্ধের জ্ঞানের প্রতীক হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং সাদা রঙ দেবতার বিশুদ্ধতার প্রতিনিধিত্ব করে। ছাদ এবং দেয়ালে প্রচুর অলঙ্কার এবং অলঙ্করণের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী থাই স্থাপত্য উপাদান রয়েছে, যেমন তিন-স্তর বিশিষ্ট ছাদ এবং প্রান্তে স্টাইলাইজড সাপ।

সোনালি ভবন: এটি সোনালি রঙের একটি বহিঃস্থিত স্থাপনা। এটি একটি সুসজ্জিত সোনালি দালান, যা দেহের প্রতীক এবং সাদা উবোসোটটি মনের প্রতীক। সোনালি রং মানুষের ঐহিক কামনা-বাসনা ও টাকার লোভ বুঝিয়ে থাকে। সাদা ভবনটি নশ্বর সম্পদের মোহ দূর করে মনের প্রতি মনোযোগী হওয়ার তাৎপর্য বহন করে। থাই নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা আছে, এবং অ-থাই নাগরিকদের জন্য প্রবেশ ফি ১০০ বাথ। প্রকল্পে কেউ অনুদান দিতে পারবেন, তবে তা ১০০০০ বাথের বেশি নয়। চালেরমাচাই বৃহৎ দাতাগোষ্ঠী দ্বারা প্রভাবিত হতে চান না।

আর একটি কথা উল্লেখ না করলেই নয় ভারতীয় উপমহাদেশের সাথে তুলনা করলে তাহলো প্রত্যেকটি মন্দিরে (এটি ছাড়াও) ওয়াশরুমের খুব ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। হোয়াইট টেম্পলে পাঁচ বাথ করে টিকেট কাটতে হয়। কোনো কোনো মন্দিরে তাও লাগে না। অথচ পরিচ্ছন্নতার কোনো ঘাটতি নেই।

আমাদের দেশে দেখার মতো মন্দির আছেই বা কয়টা? কিন্তু ভারতবর্ষ এই ব্যাপারে অনেক পিছিয়ে আছে। কমপ্লেক্সে শুধুমাত্র একটি বিল্ডিং আছে যেটি সাদা নয়, এবং সেখানেই শৌচাগার রয়েছে। অর্থ এবং ঐশ্বর্য নিয়ে মানুষের সাধারণ আবেশের সমালোচনা হিসাবে এটিকে সোনালি রঙ দেওয়া হয়েছে।

হোয়াইট টেম্পল দেখা শেষ হলে (শেষ কী আর হয়!) এলিসা ( ট্যুর গাইডের নাম) আমাদের লাঞ্চ সেরে নিতে বলল। তখন প্রায় বারোটা বাজে। এই অঞ্চলের লোকেরা ঠিক বারোটায় তাদের লাঞ্চ সেরে নেয়। এটি সিঙ্গাপুরেও দেখেছি। বেইজিং এও। ভিয়েতনামের কথা ঠিক মনে নেই। এবারের গন্তব্য গোল্ডেন ট্রায়াংগেল। তবে এককালের আফিমের চাষের জন্য বিখ্যাত গোল্ডেন ট্রায়াংগেল নিয়ে পরে লিখব।

এই পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশে এবং শ্রীলঙ্কা, মায়ানমারে, থাইল্যান্ডে এবং অন্যান্য জায়গায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও বৌদ্ধ মন্দিরের মধ্যে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে  Shwedagon  এর পরে চিয়াংরাই এর নীল বৌদ্ধ মন্দির অকল্পনীয় সৌন্দর্যমন্ডিত। আমার দেখা ভারতের কোনো মন্দিরের সাথে তুলনা করতে পারব না। তবে এটা ঠিক যে ভারতীয় মন্দিরগুলো যে ভাবধারাকে আশ্রয় করে নির্মিত হয়ে থাকে, বৌদ্ধ মন্দিরের থিম ভিন্ন ধর্মের।

উষ্ণ জলে পা ভেজানো ভ্রমণে নতুন মাত্রা আনে

আবার অনেকেই গৌতম বুদ্ধকে সনাতনধর্মের একজন অবতার মনে করেন। এটা মনে হয় ঠিক নয়। শাক্যমুনী তো সম্পূর্ণ অন্য ধর্মের প্রচার করেছিলেন। যার সাথে সনাতন ধর্মের তেমন কিছু মিল নেই। শুধু নির্বাণ লাভ বা মোক্ষ লাভের কথা বলা হয় দুই ধর্মে। এটি নিজেদের ভগবানের কাছে সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করে, তাঁর ওপর বিশ্বাস রেখে প্রতিটি কাজে ঈশ্বরের ওপর আস্থা রেখে কাজ করে গেলে আশা করা যায় একদিন সে বা তিনি নির্বাণ বা মোক্ষ লাভ করবেন।

এবারে চিয়াংমাইতে সনাতন ধর্ম এবং বৌদ্ধ ধর্মের মধ্যে একধরনের ককটেল আবিষ্কার করেছি৷ এই প্রথম দেখলাম বৌদ্ধ মন্দিরে আমাদের সিদ্ধিদাতা গণেশ বাবাজির ছবি এবং মা লক্ষ্মীর মূর্তি। দেখে খুব চমৎকৃত হলাম। বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে যারা সন্ন্যাস জীবনকে বেছে নেন... নানারকম পর্যায়ে হতে হয়। বেশ কষ্টের কিন্তু এই পথ।

কিন্তু আমাদের মতো আমজনতা মার্কা ধর্মপালনকারীরা বুঝে গিয়েছে জাগতিক পৃথিবীতে ধনদৌলত ছাড়া কোনো কাজ  হয় না। তাই মনে হয় বৌদ্ধ মন্দিরে গণেশ বাবাজী এবং মা লক্ষীর স্থান হয়েছে৷ বৌদ্ধদের মধ্যে অন্য কারণ থাকলে সেটি উল্লেখ করতে পারেন। তবে স্বীকার করতেই হবে সেই মন্দিরগুলোর স্থাপত্যশৈলী অনবদ্য, দৃষ্টিনন্দন।

ব্লু টেম্পল (ওয়াট রং সুয়া টেন) হল চিয়াং রাইয়ের সবচেয়ে নতুন মন্দির। রিমকক জেলার চিয়াং রাই শহর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২০০৫ সালে এই ধরনের মন্দির নির্মাণ করার কথা হয়েছিল। এটি ২০১৬ সালে সম্পন্ন হয়েছিল। (সমাপ্ত) 

লেখক: কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও পরিব্রাজক

৫৫ বছর পর ডুবে যাওয়া জাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৫৫ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৬৯ সালের ২৫ আগস্ট একটি দুর্যোগ বার্তা দিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ডুবে যায় অস্ট্রেলিয়ার 'এমভি নুনগাহ' জাহাজ। পরে তাৎক্ষণিক উদ্ধার তৎপরতায়ও জাহাজে থাকা মানুষদের জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তখন থেকেই জাহাজটির নিখোঁজ হওয়া দেশটির নাগরিকদের কাছে রহস্য হয়ে ছিল। 

এবার সেই রহস্যের উদঘাটনের দ্বারপ্রান্তে দেশটির বিজ্ঞান সংস্থা কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (সিএসআইআরও)। বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, ডুবে যাওয়া জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেছে।

ওই ঘটনায় জাহাজে থাকা ২৬ জনের মধ্যে ক্রুসহ ২১ জনের মারা যাওয়ার খবর গণমাধ্যমে উঠে এসেছিল।  

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার তথ্য জানায়।

বিবিসি জানায়, ৭১ মিটার (২৩৩ ফুট) দৈর্ঘ্যের ওই মালবাহী জাহাজটি নিউ সাউথ ওয়েলসের উপকূল থেকে ইস্পাত নিয়ে যাচ্ছিল। পরে ঝড়ের কবলে পরে জাহাজটি ডুবে যায়। এমন ঘটনা তখন অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। 

জাহাজটি ডুবে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাঁচজনকে জীবিত ও ২০ জনের মরদেহ তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একঝনের লাশ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ডেরওয়েন্ট নদীতে ১৯৫৬ সালে তোলা 'এমভি নুনগাহ'
 

গণমাধ্যমটি জানায়, অস্ট্রেলিয়া তাদের উচ্চ রেজোলিউশন সমুদ্রতল ম্যাপিং এবং ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে ধ্বংসাবশেষের অবস্থান নিশ্চিত করেছে।

তবে সিডনি থেকে প্রায় ৪৬০ কি.মি (২৮৬ মাইল) উত্তরে সাউথ ওয়েস্ট রকসের উপকূলের গভীর জলে স্থানীয়রা এক বছর আগে একটি ধ্বংসাবশেষ দেখেছিল। পরে তারা এ সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে অবগত করার পর বিজ্ঞানীরা সন্ধান চালিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। 

স্থানীয়দের তথ্যের পর বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ করেছিল এটি ডুবে যাওয়া জাহাজটি হতে পারে। তবে প্রয়োজনীয় কোন প্রযুক্তি বা ডাইভিং জ্ঞান না থাকার কারণে সেটিই যে ডুবে যাওয়া জাহাজ নুনগাহ তা নিশ্চিত করতে পারেনি তারা।

গত মাসে সিএসআইআরও উচ্চ প্রযুক্তি নিয়ে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজতে শুরু করে।

পরে তারা ওই স্থানের ১৭০ মিটার নিচে এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে।

সিএসআইআরও'র কর্মকর্তা ম্যাট কিম্বার বলেন, এই ট্র্যাজেডি এখনও অনেকের স্মৃতিতে রয়েছে। তবে ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কারের বিষয়টি জানার ফলে সবার জন্যই কিছুটা স্বস্তির কারণ হবে। 

নিহত ক্রুদের পরিবারের সদস্যরা অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে জানিয়েছেন, আবিষ্কারটি একটি স্বস্তির বিষয়।

;

বিশ্বের সবচেয়ে ‘কুৎসিত কুকুর’ এটি!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর কুকুরের তথ্য যেমন রয়েছে তেমনি এবার সবচেয়ে কুৎসিত আকৃতির কুকুরেরও তথ্য মিলেছে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

স্কাই নিউজ বলছে, চলতি বছরের ২১ জুন (শুক্রবার) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত কুকু্রের প্রতিযোগিতা বসেছে। ওই প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা ওয়াইল্ড থাং নামে আট বছর বয়সী একটি কুকুর এ তকমা পেয়েছে।

তবে এবারই ওয়াইল্ড থাং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেনি। এর আগেও ৫ বার এমন প্রতিযোগিতায় প্রাণীটি অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু প্রতিবারই নিরাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে।

ওয়াইল্ড থাং এবং তার মালিক অ্যান লুইস। ছবি: সুমিকো মুটস / এনবিসি নিউজ

ওয়াইল্ড থাং এর মালিক অ্যান লুইস বলেন, ওয়াইল্ড থাং কুকুরছানা হিসাবে একটি ভয়ানক রোগ ক্যানাইন ডিস্টেম্পারে সংক্রমিত হয়েছিল। কোন ক্ষতি ছাড়াই অনেক চিকিৎসার পর বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তার দাঁত বেশি বৃদ্ধি না পাওয়ায় জিহ্বা বাইরে থাকে এবং তার সামনের ডান পা ২৪/৭ প্যাডেল আকারে থাকে।

পুরস্কার হিসেবে তাদেরকে ৫ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৫১১ টাকা) দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত কুকুর প্রতিযোগিতা প্রায় ৫০ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিযোগিতাটি আকর্ষণীয় করার জন্য কুকুরগুলোকে বিশেষ এবং অনন্য করে সাজিয়ে তোলা হয়।

;

ট্যাক্সি চালকের অনর্গল ইংরেজি বলার দক্ষতা!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এই সংবাদটি পড়তে হলে আপনাকে ভুলে যেতে হবে শুধু শিক্ষিতরাই সাবলীলভাবে ইংরেজি বলতে পারেন! কারণ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় এক ট্যাক্সি চালক তার যাত্রীর সাথে অনর্গল ইংরজিতে কথা বলছেন।

ঘটনাটি প্রতিবেশী দেশ ভারতের মহারাষ্ট্রে ঘটেছে। দেশটির গণমাধ্যম এনডিতিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এনডিটিভি বলছে, ওই ট্যাক্সি চালক তার যাত্রীদের সাথে ইংরেজি কথা বলার পাশাপাশি কিভাবে আরও দক্ষ হওয়া যায় সে বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।

মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে ধারণ করা ভিডিওটি ভূষণ নামে একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী শেয়ার করেছেন। ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, "এমন ঘটনা দেখে আমি কিছু সময়ের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। পরে তার সাথে কথা বলার সময় কিছুটা তোতলা হয়েছিলাম। তার ইংরেজিতে সাবলীলতা দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম।"

পরে তার সাথে এ নিয়ে কিছুক্ষণ আলাপ হলো।

ট্যাক্সি চালক বলেন, ইংরেজি শেখা থাকলে আপনি লন্ডন এবং প্যারিসের মতো উন্নত দেশে যেতে পারবেন। এটা বিশ্বব্যাপী ভাষা। এ কারণে ইংরেজি শেখা গুরুত্বপূর্ণ।

ভিডিওটিতে একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, "তার কথা বলার ধরণ ডক্টর এপিজে আবদুল কালামের মতো শোনাচ্ছেন"।

অপর একজন লিখেছেন, "১৬ বছরের শিক্ষার পর তার ইংরেজি আমার চেয়ে অনেক ভালো।"

;

‘প্রিয় স্বাধীনতা’ কবিতার মেঘনা নদীর দেখা মেলে চুনা নদীতে



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: মৃত্যুঞ্জয় রায়, বার্তা২৪, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের চুনা নদীর তীরের জীবন

ছবি: মৃত্যুঞ্জয় রায়, বার্তা২৪, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের চুনা নদীর তীরের জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

মেঘনা নদী দেব পাড়ি
কল-অলা এক নায়ে।

আবার আমি যাব আমার
পাড়াতলী গাঁয়ে।

গাছ-ঘেরা ঐ পুকুরপাড়ে
বসব বিকাল বেলা।

দু-চোখ ভরে দেখব কত
আলো-ছায়ার খেলা।

বাঁশবাগানে আধখানা চাঁদ
থাকবে ঝুলে একা।


ঝোপে ঝাড়ে বাতির মতো
জোনাক যাবে দেখা।

ধানের গন্ধ আনবে ডেকে
আমার ছেলেবেলা।

বসবে আবার দুচোখে জুড়ে
প্রজাপতির মেলা।

হঠাৎ আমি চমকে উঠি
হলদে পাখির ডাকে।

ইচ্ছে করে ছুটে বেড়াই
মেঘনা নদীর বাঁকে।

শত যুগের ঘন আঁধার
গাঁয়ে আজো আছে।

সেই আঁধারে মানুষগুলো
লড়াই করে বাঁচে।

মনে আমার ঝলসে ওঠে
একাত্তরের কথা,

পাখির ডানায় লিখেছিলাম-
প্রিয় স্বাধীনতা।

কবি শামসুর রাহমানের প্রিয় স্বাধীনতা কবিতার লাইনের সঙ্গে মিল রেখে বলতে হয়-

শ্যামনগরের চুনা নদীর তীরে থাকা মানুষগুলোর কথা।
চুনা নদী পাড়ি দেবো, ডিঙ্গি নৌকা দিয়া।

আবার আমি যাবো আমার উপকূলের গাঁয়ে।
কাজের জন্য ছুটে বেড়াই, চুনা নদীর বাঁকে।

বনে বাঘ, জলে কুমির আর ডাঙ্গায় লোনা পানির ক্ষত।
সেই চরের মানুষগুলো, এখনো লড়াই করে বাঁচে।

বর্ষাকালের দুপুর বেলা। আকাশে কালো মেঘ খেলা করছে! নদীতে পানি ঢেউ খেলছে! ভেসে আসছে, গেট থেকে জল আসার শব্দ। নদীর এপার ওপার হচ্ছেন ডিঙা নৌকা দিয়ে পাড়ে থাকা মানুষগুলো। ছুটে চলেছেন নারী-পুরুষ একে একে চুনা নদীর তীরে কাজের সন্ধানে। সন্ধ্যা হলেই দেখা মেলে বাড়ি ফেরার তাড়া। রাতের আঁধারে পশুপাখি, জীবজন্তু, পোকামাকড়ের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচেন এই চুনা নদীর পাড়ের মানুষগুলো।

সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের চুনা নদীর তীরে বসবাস নিত্যসংগ্রামী মানুষদের, ছবি- মৃত্যুঞ্জয় রায়, বার্তা২৪.কম


এখানকার মানুষজন লড়াই সংগ্রাম করে এখনো টিকে আছেন। টিকে থেকে তাদের রোজ কাজের সন্ধানে অবিরাম ছুটে চলতে হয়। বর্তমানে ভাঙাগড়ার জীবনে অনিশ্চিত এক ভবিষ্যত নিয়ে বসবাস করছেন তারা। শ্যামনগর উপজেলার কলবাড়ি এলাকায় অবস্থিত চুনা নদীর চরটি। ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়-সম্বল হারানো ২০-২৫টি জেলে পরিবারের ঠাঁই হয়েছে এখানে। বছরের পর বছর এই চরকে আগলে বসবাস করলেও সব সময় লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয় তাদের।

তাদের একজন ৩৫ বছর বয়েসি রমেশ চন্দ্র মণ্ডল। দুর্যোগে সহায়-সম্পদ হারিয়ে আশ্রয় নেন চরের এক কোণে। সেখানে মাটির ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস তার। শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেও ভর করে থাকতে হয়, স্ত্রীর ওপর। তার কষ্টের বিনিময়ে জোটে তাদের একমুঠো ভাত। স্ত্রী একাই লড়াই সংগ্রাম করে বেঁচে আছেন তাদের নিয়ে এই চরে।

বনে পশুপাখির, জলে কুমির আর স্থলে বন্যা, জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে এভাবে তাদের জীবন প্রবহমান। তাদের জীবন চলার পথে নেই কোনো বিরাম। সংগ্রাম করে টিকে থাকেন সবাই। একে একে সব কিছু হারিয়েও এখানো টিকে থাকতে হয় তাদের।

রমেশের মতো একই অবস্থা ষাটোর্ধ্ব ফকির বিশ্বাসের। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়লেও পেটের দায়ে কাজ করতে হয় তাকে। একবেলা কাজ করলে অপর বেলা কাটে অসুস্থতায়!

ফকির বিশ্বাস বার্তা২৪কমকে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়-সম্বল হারিয়ে এই চরে আশ্রয় নিয়েছিলাম। আশ্রয়ের দুই যুগ লড়াই সংগ্রাম করে টিকে থাকলেও ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারিনি। বরং প্রতিবছর ছোটবড় দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছি। লড়াই-সংগ্রাম করতে হয়েছে বারংবার!

জীবন কাটে যুদ্ধ করে, ঝড়-ঝঞ্ঝা মাথায় পেতে...চুনা নদীর তীরের মানুষের জীবন, ছবি- মৃত্যুঞ্জয় রায়, বার্তা২৪.কম

চুনা নদীর চরে মাছের পোনা গুনতে দেখা যায় নমিতা রাণী রায়কে। নমিতা রাণী রায় বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্বামী-সন্তান নিয়ে সবসময় চিন্তার ভেতরে থাকতে হয় আমাকে। নদীতে কুমির আর বনে বাঘের আতঙ্ক! তারপর ডাঙায় লোনা পানির ক্ষত। লবণাক্ততায় ভরা জীবনকাল। তারপর চরটি নদীর ধারে হওয়াতে একটু জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় বসতবাড়ি। এই লড়াই-সংগ্রাম করেই বেঁচে আছি সেই প্রথম থেকে। মাছের পোনা বিক্রি করে চলে আমাদের সংসার। আমরা সবাই এখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংগ্রাম করে টিকে আছি।

নমিতা রাণী রায় বলেন, যখন বসতবাড়ি নদীর পানিতে তলিয়ে যায়, তখন স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ওই সময় অনেক কষ্টে চর এলাকার সবার দিন কাটে। শিশু সন্তানদের সবসময় নজরে রাখতে হয়। অন্যথায় নদীতে পড়ে গিয়ে ঘটতে পারে ছোট-বড় দুর্ঘটনা!

নিত্যদিনের লড়াই-সংগ্রাম

লড়াই সংগ্রামের শেষ নেই উপকূলে থাকা মানুষজনের। সর্বশেষ, ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’-এর আঘাতে নদীর জোয়ারের জলে তলিয়ে যায় তাদের বসতঘর। ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ বলে কথা না! যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় জোয়ারের পানিতে তাদের বসতঘর তলিয়ে যায়। তখন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না তাদের। এমনও অনেক সময় গেছে যে, দিনের পর দিন উনুনে আগুন দিতে পারেননি তারা। ওই সময় শুকনো খাবার খেয়ে থাকতে হয়েছে তাদের। এমনও দিন গেছে, যেদিন তাদের শুধুমাত্র পানি পান করে বেঁচে থাকার জন্য লড়তে হয়েছে।

ঘরছোঁয়া জলের বানের দিকে তাকিয়ে থাকেন চুনা নদীর তীরের মানুষজন আর ভাবেন আর কত সংগ্রাম, ছবি- মৃত্যুঞ্জয় রায়,বার্তা২৪.কম

সত্যি, তাদের ভাষ্যের সঙ্গে বড়ই মিল কবি শামসুর রাহমানের ‘প্রিয় স্বাধীনতা’ কবিতার! ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকাটা একটা বড় প্রশ্নেরই বটে! জঙ্গল, বন্যা, নদীভাঙনের সঙ্গে অবিরাম সংগ্রাম করে টিকে থাকা একটা অকল্পনীয় ব্যাপার। অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট আর অভাবে চরের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন। তাদের জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাঁধ ভাঙন, জলোচ্ছ্বাসসহ ঘূর্ণিঝড়। প্রতিবছর এসব দুর্যোগে শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে প্রতিনিয়ত সর্বস্বান্ত হচ্ছেন তারা। আবারও লড়াই-সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার তাগিদে ঘুরেও দাঁড়ান তারা।

;