সাকরাইনে মাতল পুরান ঢাকা: বর্ণিল ঘুড়ি উড়িয়ে দিলো সম্প্রীতির বার্তা



আহসান জোবায়ের, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ছেয়ে গেছে রঙবেরঙের ঘুড়িতে। হরেক রকম রঙিন আর নানান ডিজাইনের ছোট বড় আকৃতির ঘুড়ি। ঘুড়িগুলো ঘুরে ঘুরে পুরান ঢাকার আকাশকে রঙিন করে তুলছে। কোনো ঘুড়ি মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে আবার কোনটা আকাশে রাজত্ব করছে। কোনো ঘুড়ি দিগন্ত ছাড়িয়ে যায় অন্য দিগন্তে।


কোনো ঘুড়ি নাটাই ছেড়ে উড়ে যায় আকাশের নীল সীমানায়। পৌষ মাসকে বিদায় দিতে পুরান ঢাকাবাসীর আয়োজন সাকরাইন উৎসব, যা ঘুড়ি উৎসব নামেও পরিচিত।


আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকলেও রোববার ভোরে সূর্য উঠার আগে থেকে নাটাইয়ে সুতো বেধে ঘুড়ি আকাশে উড়িয়ে দেয় পুরান ঢাকাইয়ারা। বেলা গড়ানোর পর পিঠাপুলির বানানো শেষে এই উৎসবে যোগ দেন বাড়ির গৃহিণীরাও। ঘুড়িকে আকাশ ছোঁয়ানোর চেষ্টা সবার। তবে ক্ষণে ক্ষণে একে অপরের কাটাকাটিতে যোগ হয়েছে মান-অভিমান। ‘বাকাট্টা… বাকাট্টা ধর ধর’ বলে ভেসে আসে চিৎকারও।


দিনের আলো শেষে যেমন অন্ধকার নামে তেমনি ঘুড়ি নাটাইয়ের কাছে এসে পৌঁছায় সন্ধ্যার লাল আলো জ্বলে উঠলে। শুরু হয় রাতের কসরত; সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় আঁতশবাজি, ফানুস উড়ানো, আগুন নিয়ে খেলা, বড় বড় গ্যাস বেলুন উড়ানো, হরেক রকমের লাইটিং যা অন্ধকার আকাশকে বিভিন্ন আলোয় অলোকিত করে। আর ডিজের তালে তালে চলতে থাকে তরুণ-তরুণীদের উদ্যম নাচ। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে উৎসবের মহাযজ্ঞ। ছাদে ছাদে দেখা যায় পুরান ঢাকাবাসীর উচ্ছ্বাস।


পুরান ঢাকার সূত্রাপুর, মিলব্যারাক, সদরঘাট, নবাবপুর, লালবাগ, চকবাজার, দয়াগঞ্জ , মুরগিটোলা, ধুপখোলা মাঠ, বংশাল, ওয়ারী, ইসলামপুর, শাঁখারিবাজার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, তাঁতিবাজার, রায়সাহেব বাজার এলাকার মানুষ ঘটা করে সাকরাইন পালন করে।


এদিন বিকালে ধুপখোলা মাঠে বাবা-মায়ের সাথে সাকরাইন উৎসবে আসেন নাজিফা নুসরাত। চার বছরের নাজিফা হাতে ঘুড়ি আর নাটাই পেয়ে যারপরনাই খুশি। হাতে ঘুড়ির সুতো ঝুলিয়ে মাঠের এপাশ-ওপাশ দৌঁড়ে তার খুশির সীমা নাই। পরিবারের সদস্যদের সাথে সেলফি তুলে শেষ হয় তাদের বিকালের উৎসব।

ধুপখোলায় সাকরাইনের উৎসবে যোগ দেন বিভিন্ন বয়সী মানুষেরা। ষাটোর্ধ্ব নজরুল ইসলাম নাটাই হাতে, ঘুড়ি হাতে সাথে তার বন্ধু মনোয়ার হোসেন। গানের তালে নাচানাচি আর বিশেষ কায়দায় ঘুড়ি উড়ানো; দুই বন্ধুর এমন উদ্দীপনা নজর কেড়েছে উপস্থিত সবার।


সন্ধ্যার পর রাজধানীর মুরগিটোলা মোড়ে জামান ভিলার ছাদে জমে উঠে ডিজে গানের উৎসব। উঠতি বয়সী তরুণ তরূণীদের সাথে শিশুদের উপস্থিতিও ছিলো দেখার মতো। ধানমন্ডি থেকে উৎসবে যোগ দিতে আসেন লাবণ্য কবির। তিনি বলেন, উৎসব আয়োজনে পুরান ঢাকার মানুষের জুড়ি নেই। আর সাকরাইনের আয়োজন শুধু পুরান ঢাকাতেই হয়। তাই বন্ধুদের সাথে প্রতিবছর এই দিন এখানে চলে আসি।


দিনভর ঘুড়ি উড়ানোর উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত থাকলেও ডিজে পার্টিতে সবার প্রবেশাধিকার মিলে না। ডিজে পার্টিকে ঘিরে বিভিন্ন আয়োজন করেন মহল্লার তরুণরা। নির্দিষ্ট চাঁদার বিনিময়ে টোকেন সংগ্রহ করেন আগতরা। এরপর টোকেন দেখিয়ে প্রবেশ করতে হয় ডিজে পার্টির অনুষ্ঠানে। এতে নাচ-গানের পাশাপাশি থাকে বিভিন্ন খাবারের আয়োজন।


শিংটোলা পঞ্চায়েত মহল্লায় থ্রি স্টার বয়েজের উদ্যোগে চলে পার্টির আয়োজন। মহল্লার উদ্যোক্তা সজিব বিশ্বাস বলেন, পুরান ঢাকার উৎসব বলতে আমরা সাকরাইনকেই বুঝি। তাই সাকরাইন আসলে আমাদের মহল্লার তরুণদের নিয়ে আয়োজন করি। ফেসবুকে ইভেন্ট ছাড়ি, সেখান থেকে অনেকেই রেজিস্ট্রেশন করে। আবার আশপাশের মহল্লার বন্ধুরাও ঘুরতে আসে।

সাকরাইনের মূল উৎসবকে ঘিরে ধুপখোলা মাঠে ছিলো বিশেষ আয়োজন। মাঠের একপাশে জমে উঠে পিঠাপুলির আয়োজন। নানান বয়সী মানুষ এসে ভিড় করছেন পিঠার ভ্রাম্যমাণ স্টলগুলোতে। বিক্রেতারাও পিঠা বিক্রি করতে যেন হাঁপিয়ে উঠছেন।


এদিন বিকাল সাড়ে তিনটায় ধুপখোলা মাঠে সাকরাইন উৎসবের উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস। এ সময় তিনি বলেন, আকাশে আজ শুধু ঘুড়ি আর ঘুড়ি। আমরা আনন্দিত ঐতিহ্যবাহী ধূপখোলা মাঠে প্রাচীনতম এই উৎসবে সমবেত হয়েছি। আমাদের কাউন্সিলরদের সহযোগিতায় আমরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। বাসা বাড়িতে অনেকে ঘুড়ি উড়াচ্ছে, সকলে মজা করছে। শিশুরা-যুবকেরা ঘুড়ি উড়াচ্ছে।

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, প্রায় ৩০ বছর পর নাটাই হাতে নিয়েছি। এই অনুভূতি প্রকাশ করার মতো না। ঢাকাবাসীর ঐতিহ্য আমরা ঢাকাবাসীর মধ্যে ফিরিয়ে দিতে চাই, শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সাম্প্রদায়িকতার বিপরীতে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বেড়ে ওঠে।

জানা যায়, প্রাচীনকাল থেকেই পুরান ঢাকায় এ উৎসব চলে আসছে। হতে পারে এটা হাজার বছরের উৎসব বা তারও আগের। ১৭৪০ সালের দিকে মোঘল আমলে নায়েব-ই-নাজিম নওয়াজেশ মোহাম্মদ খানের আমলে ঘুড়ি উড়ানো এই দিনটি কেন্দ্র করে বর্তমানে সাকরাইন একটি অন্যতম উৎসব ও আমেজের পরিণত হয়েছে। ধর্ম-বর্ণ ভেদাভেদ না রেখে সকলে এই উৎসব পালন করে থাকেন।

   

চাকরি ছেড়ে বসের সামনেই ঢোল বাজিয়ে নাচলেন যুবক!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিত্যদিনের অফিসের কর্মপরিবেশে অনেকের মধ্যেই 'বিরক্তি' চলে আসে। তবুও ধৈয্য নিয়ে সব সহ্য করে টিকে থাকার জন্য চালিয়ে যান লড়াই। তবে এ যাত্রায় সকলের দ্বারা টিকে থাকা সম্ভব হয় না। অফিসের 'বিষাক্ত' কর্মপরিবেশে অনেকেই ভোগেন মানসিক সমস্যায় কিংবা ব্যক্তিজীবনে। এমন পরিবেশ থেকে বাঁচতে একেক জন একেক পন্থা অবলম্বন করে থাকেন।

তবে অনিকেত নামের এক যুবক এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে যা করেছেন নেট দুনিয়ায় তা রীতিমতো ভাইরাল। এসব থেকে মুক্তি পেতে চাকরিটাই ছেড়ে দিয়েছেন এই যুবক। এতেই ক্ষান্ত হননি তিনি, বসের সামনেই ঢাকঢোল বাজিয়ে নেচে উদযাপন করেছেন এমন মুহূর্তের।

ঘটনাটি ভারতের পুনে রাজ্যের। অনিকেত নামের ওই যুবক বিক্রয় সহযোগী হিসেবে চাকরি করতেন।

তার এমন উদযাপনের একটি ভিডিও ইন্সটাগ্রাম শেয়ার করেছেন অনীশ ভগত।

ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, গত তিন বছর ধরে এই কোম্পানির সাথে কাজ করেও বেতন খুব একটা বাড়েনি। এছাড়াও অফিসের বসের দ্বারাও তাকে বিভিন্ন সময়ে অপমানিত হতে হয়েছে।

তাই তার কাজের শেষ দিনে বন্ধুরা অফিসের বাইরে ঢোল নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন এবং নেচেছিলেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, এ ঘটনায় তার বস অনেক উত্তেজিত হয়েছেন। পাশাপাশি তার বস লোকজনকে ধাক্কা দিয়েছেন এবং চিৎকারও করেছেন।

ভিডিওটির ক্যাপশনে ভগত লিখেছেন, আমি মনে করি আপনারা অনেকেই এর সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবেন। আজকাল বিষাক্ত কাজের সংস্কৃতি খুব বেশি দেখা যায়। সম্মান এবং অধিকারের অভাব খুবই সাধারণ। অনিকেত তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। আমি আশা করি এই গল্প মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।

পোস্ট করা ভিডিওটি এক মিলিয়নেরও (১০ লাখের বেশি) বেশি ভিউ পেয়েছে। পোস্টটিতে অসংখ্য লাইক ও কমেন্টও রয়েছে।

একজন ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি জানি না কেন এটি আমাকে এত সন্তুষ্ট করেছে।'

আরেকজন লিখেছেন, 'নাচটি আমাকে অন্য মাত্রার তৃপ্তি দিয়েছে।'

'আপনি সত্যিই আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে ইতিবাচক এবং উত্সাহী ব্যক্তি'- তৃতীয় একজন ঠিক এভাবেই নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস 

;

অভয়ারণ্যে মানুষ যখন বন্দিখাঁচায়



প্রমা কোয়েল, ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিড়িয়াখানা, নানানরকম পশুপাখি ও প্রাণীর বন্দিশালা। কেবল রং-বেরঙের চিড়িয়াই নয়; বাঘ, সিংহ, ভালুক, বানর, গণ্ডারসহ কত বন্যপ্রাণীই না খাঁচায় বন্দি থাকে!

চিড়িয়াখানায় রাখতে বন্য প্রাণীদের প্রকৃতির স্বাধীন জীবন থেকে ছিনিয়ে আনা হয়। তাদের খাঁচায় বন্দি করা হয় যেন, মানুষ তাদের দেখে আনন্দ পায়। অনেক প্রাণীর জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি খাঁচাতেই কেটে যায়।

ছোট থেকে বড় সব বয়সের মানুষই চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। শিশুরা না হয় অবুঝ! তবে যারা প্রাপ্তবয়স্ক তারাও চিড়িয়াখানায় এই বন্দি প্রাণীদের জীবনকে গভীরভাবে অনুধাবন করতে পারেন না।

এশিয়ার বড় দেশ চীনে রয়েছে, এক অদ্ভুত চিড়িয়াখানা। চংকিংয়ে অবস্থিত সেই চিড়িয়াখানার নাম ‘লেহে লেদু বন্যপ্রাণী চিড়িয়াখানা’। একে ‘রিভার্স জু’ (বিপরীত চিড়িয়াখানা) বলেও ডাকা হয়।

এখানেও মানুষ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে পশু দেখতে আসেন। তবে একেবারেই ভিন্ন উপায়ে। মূলত, একটি খাঁচা রয়েছে, যেখানে মানুষদের সেই খাঁচায় পুরা হয়। তারপর সেই খাঁচাবন্দি মানুষদের নিয়ে রাখা হয়, অভয়ারণ্যে। সেখানে বন্য প্রাণীরা মানুষের খাঁচার চারপাশে অবাধে ঘুরতে থাকে। চিড়িয়াখানায় বন্দি প্রাণীদের বন্দিজীবনের এক প্রতীকী দৃশ্য!

অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের জন্য এটি এক নতুন অভিজ্ঞতা!

অভয়ারণ্যে খাঁচায় বন্দি মানুষ, ছবি-সংগৃহীত

খুব কাছে থেকে হিংস্র বন্যপ্রাণীদের মুক্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যেমন লোমহর্ষক, ঠিক তেমনই আতঙ্কজনকও হতে পারে। বিপরীতধর্মী এই চিড়িয়াখানাটি সবার জন্য প্রথম উন্মুক্ত করা হয়, ২০১৫ সালে। তখন বিশ্বের সংবদমাধ্যমের শিরোনাম কেড়েছিল এ চিড়িয়াখানাটি।

একটি শক্ত লোহার খাঁচাবেষ্টিত দর্শনার্থীদের একটি ট্রাকে তুলে অভয়ারণ্যে রেখে দেওয়া হয়। সেখানে তাদের ঘিরে ধরে ঘুরতে থাকে বাঘ, ভালুক, সিংহ ইত্যাদি হিংস্র প্রাণী।

এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার প্রধান চ্যান লিয়াং বলেন, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা রক্ষার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। খাঁচার ফাঁকা অংশ দিয়ে হাতের আঙুলও বের না করার নির্দেশনা দেওয়া থাকে।

তবে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই চিড়িয়াখানাটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে অনেক। এর নৈতিকতা নিয়ে অনেকে প্রশ্নও তুলেছেন।

অনেকে মনে করেন, এরকম ব্যবস্থাপনায় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কারণ, শিকারী প্রাণীগুলো প্রচণ্ড হিংস্র। তাই, সে কারণে যে কোনো সময় বিপজ্জনক ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

আবার এরকম চিন্তাভাবনার প্রশংসাও করেছেন অপর একটি পক্ষ। তাদের বক্তব্য, পৃথিবীটা কেবল মানুষদের নয়। প্রকৃতিতে সব প্রাণীদের একটা ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন। তাদের বন্দি করে রাখা মানুষের উচিত নয়। কারণ, মুক্ত প্রকৃতিতে বিরাজ করার অধিকার সব প্রাণীরই রয়েছে।

তাদের মন্তব্য, আমরা প্রাণীদের আবাসস্থল বনজঙ্গল সব উজাড় করেছি। সে কারণে তাপমাত্রাও অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আবার প্রাণীদের বন্দি রেখে তাদের জীবন চরম দুর্বিষহ করে তুলি।

চাইলে এবং সুযোগ পেলে এই ধরনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে চিড়িয়াখানাটি ঘুরে আসতে পারেন বৈকি!

তথ্যসূত্র: এনিমেল অ্যারাউন্ড দ্য গ্লোব

;

৫ বছরের শিশুর বিস্ময়কর প্রতিভা!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বয়স সবে ৫ কিংবা ৬। এই বয়সেই তার প্রতিভা দেখে অবাক হবে যে-কেউ!

গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভিডিওটি ১ মিলিয়নের (১০ লাখের বেশি) বেশি মানুষ দেখেছেন। খবর এনডিটিভি। 

ভিডিওতে রিলি নামের ওই শিশুটিকে প্রথমে শ্বাস নিতে দেখা যায়। তারপর সে একটি শক্তিশালী গর্জন দিয়ে শ্বাস ছাড়ে। ওই গর্জনটি হুবুহ সিংহের গর্জনের অনুরূপ।

রিলির মা অ্যামি ভিডিওটি এক্সে শেয়ারের পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। শিশুটির এমন নিখুত দক্ষতা দেখে মুগ্ধ দর্শকরা। ভিডিওটিতে অনেকেই নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, এত অল্প বয়সে এমন বাস্তবসম্মত গর্জন তৈরি করার রিলির ক্ষমতার বিস্ময় প্রকাশ করে।

আরেকজন লিখেছেন, শিশুরা খুব দ্রুত শিখে। তার এমন প্রতিভা সত্যিই অবাক করার মতো।

;

বান্টি গ্রাম: উড়ছে রং-বেরঙের কাপড়



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বান্টি গ্রামের মাঠে শুকাতে দিচ্ছেন বাটিকের রং করা কাপড়/ছবি: নূর এ আলম

বান্টি গ্রামের মাঠে শুকাতে দিচ্ছেন বাটিকের রং করা কাপড়/ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশেই বান্টি গ্রাম। বাটিকের গ্রাম বলেই এর পরিচিতি। এখানে ঘরে ঘরে বাটিক-ব্লকের কাজ চলে। গ্রামজুড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৫০০ কারখানা। এই গ্রামে দিনরাত কাজ করেন হাজারো শ্রমিক। এই কাজে তাদের সংসার চলে। বান্টি গ্রামের কর্মময় জীবন চিত্র তুলে এনেছেন বার্তা২৪.কম এর ফটো এডিটর নূর এ আলম। 

বান্টি গ্রামে থ্রিপিস, ওড়না, সালোয়ার, কামিজ, বিছানার চাদর ও বালিশের কাভারে বাটিকের কাজ করা হয়/ছবি: নূর এ আলম


 

দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা এসব কিনতে আসেন। তাদের হাত ধরেই এসব কাপড় চলে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে


কাপড় রং করার আগে প্রতিটি কারখানায় গরম পানিতে রং প্রস্তুত করা হয়/ছবি: নূর এ আলম

 

কাপড়ের রং পাকা করতে সেদ্ধ করা হচ্ছে।/ছবি: নূর এ আলম


কয়েক ধাপে চলে কাপড়ে বাটিকের করার কাজ/ছবি: নূর এ আলম


রং মেশানোর প্রক্রিয়াটা ঠিক আছে কিনা হাত দিয়ে দেখছেন একজন/ছবি: নূর এ আলম


গ্রামে কাপড়ে রঙ মেশানোর কাজ ভোর থেকে রাত পর্যন্ত চলে/ছবি: নূর এ আলম


বাটিকের গ্রামের অনেক বাড়িতে বসানো হয়েছে লুম মেশিন। এই মেশিন দিয়ে নানান ধরনের নকশা করা হয়/ছবি: নূর এ আলম


লুম মেশিনে চলছে কাপড় বুননের কাপড়/ছবি: নূর এ আলম


কাপড়ে রঙ করা শেষে শুকাতে দেওয়ার আগে পানি ঝরিয়ে ফেলা হয়/ছবি: নূর এ আলম


রং করা কাপড় শুকাতে দিচ্ছেন এক নারী শ্রমিক/ছবি: নূর এ আলম


বান্টি গ্রামের নারী পুরুষ সবাই ব্লক বাটিক ও প্রিন্টের সঙ্গে জড়িত/ছবি: নূর এ আলম

রং করা কাপড় ছাদে ও মাঠে শুকাতে দেওয়া হয়/ছবি: নূর এ আলম


কড়া রোদে শুকানোর পর তা কারখানায় নিয়ে আসেন শ্রমিকরা।/ছবি: নূর এ আলম


প্রচন্ড তাপদাহে বাটিকের চাহিদা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। /ছবি: নূর এ আলম


;