ফুলবাড়ীয়ার ঐতিহ্যবাহী হুমগুটি খেলা



মোতাছিম বিল্লাহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উভয় বাংলার অন্যতম লোকউৎসব পৌষপার্বণ। যা বাংলা সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। পৌষের শেষ দিকে এই উৎসবের প্রস্তুতি চলে। বাহারি পিঠাপুলি এবং গ্রামীণ খেলাধুলার মাধ্যমে উদযাপন করা হয় উৎসবটি। ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া, মুক্তাগাছা ও ত্রিশালে পৌষ সংক্রান্তির এই দিনটি উদযাপন করা হয় এক ভিন্ন আমেজে। এই অঞ্চলে পৌষ সংক্রান্তির উৎসবকে জোরালো এবং উৎসবের নান্দনিকতাকে আরো উৎকর্ষ করতে আয়োজন করা হয় হুমগুটি খেলা।

হুমগুটি খেলা উপলক্ষে ফুলবাড়িয়ার আশপাশের এলাকা সাজে নতুন এক রূপে। চারোদিকে বিরাজ করে উৎসব উৎসব ভাব। মানুষের মুখে লেগে থাকে ঝলমলে হাসি। মনের ভিতর থাকে চাপা উত্তেজনা। এলাকার বিভিন্ন স্থানে বসে লোকজ মেলা। রাস্তার দুপাশে থাকে ছাউনি ঘেরা বিভিন্ন দোকান। বাবার বাড়িতে নাইওর আসে আদরের মেয়েরা। বাড়িতে বাড়িতে সমাগম ঘটে কাছে দূরের স্বজনদের। আশপাশে জবাই করা হয় প্রায় হাজারখানেক গরু। প্রতিটি বাড়িতে চলে রান্নাবান্না ও পিঠাপুলির উৎসব। এলাকার প্রতিটি মানুষ মুখিয়ে থাকেন এই দিনটির অপেক্ষায়।


ভয়ঙ্কর একটি খেলা হুমগুটি। এই খেলার গোড়াপত্তন হয় প্রায় ২৬৪ বছর আগে। তৎকালীন মুক্তাগাছার জমিদার শশীকান্তের সঙ্গে ত্রিশালের জমিদার হেমচন্দ্র রায়ের জমির পরিমাপ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিরোধ মীমাংসা করতে লক্ষ্মীপুর গ্রামের বড়ই আটা নামক স্থানে তালুক-পরগনার সীমানায় এই গুটি খেলার আয়োজন করা হয়। খেলায় বিজয়ী হয় মুক্তাগাছা জমিদারের প্রজারা। জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের পর এটি সম্পূর্ণরূপে সাধারণ মানুষের খেলায় পরিণত হয়।

হুমগুটি পিতলের তৈরি। আকারে প্রায় ছয়টি ফুটবলের সমান। ওজন প্রায় এক মণ। হুমগুটি সারা বছর গ্রামের মোড়লদের তত্ত্বাবধানে থাকে। কয়েকটি এলাকা মিলে 'হুমগুটি খেলা উদযাপন কমিটি' গঠন করা হয়। খেলা পরিচালনার দায়িত্ব থাকে সেই কমিটির ওপর। এ বছর ২৬৫তম হুমগুটি খেলা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ জানুয়ারি, রোববার।


খেলা শুরু হয় বিকেল ৩ টায়। তাই তালুক-পরগনা সীমানায় সকাল থেকেই দর্শক জড়ো হতে থাকে। গুটি নিয়ে এলে রাস্তায় পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করা জায়গা থেকে শুরু হয় খেলা। খেলা শুরু হওয়ার পর আর বিশেষ কোনো দায়িত্ব থাকে না উদযাপন কমিটির।

এই খেলায় নির্দিষ্ট কোনো দল বা রেফারি নেই। যে কেউ যে কোনো জায়গা থেকে দল নিয়ে এসে খেলতে পরে। কোনো রকম ফি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কেউ চাইলে এককভাবে এসেও খেলতে পারে। খেলা শুরুর সময় চারদিক হিসাবে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম থেকে একজন করে মোট চারজন গুটি হাতে নিয়ে বুকের কাছে উঁচিয়ে ধরেন।

এরপর ধাক্কাধাক্কিতে চলে খেলা। উপস্থিত লক্ষাধিক মানুষের সবাই খেলোয়াড়। চাইলে যে কেউ ধাক্কা দিতে পারেন। সবাই ধাক্কা দেন না। তবে চারদিক থেকে হাজার হাজার খেলোয়াড় ধাক্কা দেন। গুটির সাথে যে শতাধিক লোক থাকেন তারা একেবারে চেপ্টা হওয়ার উপক্রম হন। সবচেয়ে হৈহুল্লোড় হয় যখন গুটি কোনো পুকুর বা খালে পতিত হয়। শতাধিক খেলোয়ার পৌষের শীত উপেক্ষা করেই নেমে পড়েন ঠাণ্ডা পানিতে। তাই শক্তি সামর্থ্যবান লোক ছাড়া এই খেলায় অংশ নেওয়া ঝুঁকির ব্যাপার। তবুও সেসব ঝুঁকি উপেক্ষা করে অসংখ্য তরুণ-বৃদ্ধ খেলায় অংশ নেন।

এই খেলার নির্দিষ্ট কোনো সীমানা নেই। গুটি যেখানে অবস্থান করে সেটিই তার মাঠ বলে বিবেচিত হয়। আমন ধান কাটার পর এই খেলা হলেও ক্ষেতে যাদের অন্যান্য ফসল থাকে ধাক্কাধাক্কিতে গুটি সেখানেও চলে যেতে পারে। তাই সাধারণ মানুষ এবং কমিটির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকে ফসলের ক্ষেত বা মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রক্ষা করার জন্য। এই খেলায় কেউ পদদলিত হয়ে মারা গেছে বা গুরুতর আহত হয়েছে এমন কোনো ইতিহাস পাওয়া যায় না। কেউ যদি নিচে পড়ে যায় তাহলে উঠার জন্য সবাই সহযোগিতা করে।

প্রতিটি দল ভিরের মাঝে নিজেদের চিহ্নিত করার জন্য নির্দিষ্ট প্রতীক ব্যবহার করে। এক দিকের দল যখন ভালো খেলে তখন বাকি তিন দিকের দলগুলো একত্রে সেই দলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। প্রতিটি দলেরই প্রবল ইচ্ছা থাকে কৌশলে তাদের এলাকায় গুটি নিয়ে যাওয়ার। নিজেদের এলাকায় গুটি নিয়ে কোনক্রমে লুকিয়ে ফেলতে পারলেই ওই এলাকার বিজয় মোটামুটি নিশ্চিত। গুটি খোঁজার সময় থাকে পরদিন সকাল পর্যন্ত। অন্য দলগুলো গুটির খোঁজ না পেলে যারা লুকিয়েছিলেন সকাল বেলায় তারা তা বের করেন। অতঃপর তাদের এলাকাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

একটু বেলা বাড়ার পর ঢাকঢোল পিটিয়ে বিজয়ী এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে গুটি দেখানো হয়। প্রচণ্ড আনন্দ-আহ্লাদ করা হয়। বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। জয়ী এলাকার চেয়ারম্যান আনন্দে গরু জবাই দিয়ে ভুরি ভোজের আয়োজন করে। আনন্দ উৎসবের পর কমিটির কাছে গুটি হস্তান্তর করা হয়।

হুমগুটি খেলার যে আকর্ষণ ও উত্তেজনা তা এড়ানো যায় না। এ বিষয়ে নিজেকে নিবৃত্ত রাখা খুব কঠিন! প্রায় তিনশত বছরের ঐতিহ্য বলে কথা। ফুলবাড়ীয়ায় মানুষ প্রতি বছর হুমগুটি খেলা আয়োজন করার মাধ্যমে এই ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধরে রেখেছেন।

লেখক : শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

   

চাকরি ছেড়ে বসের সামনেই ঢোল বাজিয়ে নাচলেন যুবক!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিত্যদিনের অফিসের কর্মপরিবেশে অনেকের মধ্যেই 'বিরক্তি' চলে আসে। তবুও ধৈয্য নিয়ে সব সহ্য করে টিকে থাকার জন্য চালিয়ে যান লড়াই। তবে এ যাত্রায় সকলের দ্বারা টিকে থাকা সম্ভব হয় না। অফিসের 'বিষাক্ত' কর্মপরিবেশে অনেকেই ভোগেন মানসিক সমস্যায় কিংবা ব্যক্তিজীবনে। এমন পরিবেশ থেকে বাঁচতে একেক জন একেক পন্থা অবলম্বন করে থাকেন।

তবে অনিকেত নামের এক যুবক এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে যা করেছেন নেট দুনিয়ায় তা রীতিমতো ভাইরাল। এসব থেকে মুক্তি পেতে চাকরিটাই ছেড়ে দিয়েছেন এই যুবক। এতেই ক্ষান্ত হননি তিনি, বসের সামনেই ঢাকঢোল বাজিয়ে নেচে উদযাপন করেছেন এমন মুহূর্তের।

ঘটনাটি ভারতের পুনে রাজ্যের। অনিকেত নামের ওই যুবক বিক্রয় সহযোগী হিসেবে চাকরি করতেন।

তার এমন উদযাপনের একটি ভিডিও ইন্সটাগ্রাম শেয়ার করেছেন অনীশ ভগত।

ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, গত তিন বছর ধরে এই কোম্পানির সাথে কাজ করেও বেতন খুব একটা বাড়েনি। এছাড়াও অফিসের বসের দ্বারাও তাকে বিভিন্ন সময়ে অপমানিত হতে হয়েছে।

তাই তার কাজের শেষ দিনে বন্ধুরা অফিসের বাইরে ঢোল নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন এবং নেচেছিলেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, এ ঘটনায় তার বস অনেক উত্তেজিত হয়েছেন। পাশাপাশি তার বস লোকজনকে ধাক্কা দিয়েছেন এবং চিৎকারও করেছেন।

ভিডিওটির ক্যাপশনে ভগত লিখেছেন, আমি মনে করি আপনারা অনেকেই এর সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবেন। আজকাল বিষাক্ত কাজের সংস্কৃতি খুব বেশি দেখা যায়। সম্মান এবং অধিকারের অভাব খুবই সাধারণ। অনিকেত তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। আমি আশা করি এই গল্প মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।

পোস্ট করা ভিডিওটি এক মিলিয়নেরও (১০ লাখের বেশি) বেশি ভিউ পেয়েছে। পোস্টটিতে অসংখ্য লাইক ও কমেন্টও রয়েছে।

একজন ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি জানি না কেন এটি আমাকে এত সন্তুষ্ট করেছে।'

আরেকজন লিখেছেন, 'নাচটি আমাকে অন্য মাত্রার তৃপ্তি দিয়েছে।'

'আপনি সত্যিই আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে ইতিবাচক এবং উত্সাহী ব্যক্তি'- তৃতীয় একজন ঠিক এভাবেই নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস 

;

অভয়ারণ্যে মানুষ যখন বন্দিখাঁচায়



প্রমা কোয়েল, ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিড়িয়াখানা, নানানরকম পশুপাখি ও প্রাণীর বন্দিশালা। কেবল রং-বেরঙের চিড়িয়াই নয়; বাঘ, সিংহ, ভালুক, বানর, গণ্ডারসহ কত বন্যপ্রাণীই না খাঁচায় বন্দি থাকে!

চিড়িয়াখানায় রাখতে বন্য প্রাণীদের প্রকৃতির স্বাধীন জীবন থেকে ছিনিয়ে আনা হয়। তাদের খাঁচায় বন্দি করা হয় যেন, মানুষ তাদের দেখে আনন্দ পায়। অনেক প্রাণীর জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি খাঁচাতেই কেটে যায়।

ছোট থেকে বড় সব বয়সের মানুষই চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। শিশুরা না হয় অবুঝ! তবে যারা প্রাপ্তবয়স্ক তারাও চিড়িয়াখানায় এই বন্দি প্রাণীদের জীবনকে গভীরভাবে অনুধাবন করতে পারেন না।

এশিয়ার বড় দেশ চীনে রয়েছে, এক অদ্ভুত চিড়িয়াখানা। চংকিংয়ে অবস্থিত সেই চিড়িয়াখানার নাম ‘লেহে লেদু বন্যপ্রাণী চিড়িয়াখানা’। একে ‘রিভার্স জু’ (বিপরীত চিড়িয়াখানা) বলেও ডাকা হয়।

এখানেও মানুষ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে পশু দেখতে আসেন। তবে একেবারেই ভিন্ন উপায়ে। মূলত, একটি খাঁচা রয়েছে, যেখানে মানুষদের সেই খাঁচায় পুরা হয়। তারপর সেই খাঁচাবন্দি মানুষদের নিয়ে রাখা হয়, অভয়ারণ্যে। সেখানে বন্য প্রাণীরা মানুষের খাঁচার চারপাশে অবাধে ঘুরতে থাকে। চিড়িয়াখানায় বন্দি প্রাণীদের বন্দিজীবনের এক প্রতীকী দৃশ্য!

অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের জন্য এটি এক নতুন অভিজ্ঞতা!

অভয়ারণ্যে খাঁচায় বন্দি মানুষ, ছবি-সংগৃহীত

খুব কাছে থেকে হিংস্র বন্যপ্রাণীদের মুক্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যেমন লোমহর্ষক, ঠিক তেমনই আতঙ্কজনকও হতে পারে। বিপরীতধর্মী এই চিড়িয়াখানাটি সবার জন্য প্রথম উন্মুক্ত করা হয়, ২০১৫ সালে। তখন বিশ্বের সংবদমাধ্যমের শিরোনাম কেড়েছিল এ চিড়িয়াখানাটি।

একটি শক্ত লোহার খাঁচাবেষ্টিত দর্শনার্থীদের একটি ট্রাকে তুলে অভয়ারণ্যে রেখে দেওয়া হয়। সেখানে তাদের ঘিরে ধরে ঘুরতে থাকে বাঘ, ভালুক, সিংহ ইত্যাদি হিংস্র প্রাণী।

এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার প্রধান চ্যান লিয়াং বলেন, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা রক্ষার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। খাঁচার ফাঁকা অংশ দিয়ে হাতের আঙুলও বের না করার নির্দেশনা দেওয়া থাকে।

তবে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই চিড়িয়াখানাটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে অনেক। এর নৈতিকতা নিয়ে অনেকে প্রশ্নও তুলেছেন।

অনেকে মনে করেন, এরকম ব্যবস্থাপনায় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কারণ, শিকারী প্রাণীগুলো প্রচণ্ড হিংস্র। তাই, সে কারণে যে কোনো সময় বিপজ্জনক ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

আবার এরকম চিন্তাভাবনার প্রশংসাও করেছেন অপর একটি পক্ষ। তাদের বক্তব্য, পৃথিবীটা কেবল মানুষদের নয়। প্রকৃতিতে সব প্রাণীদের একটা ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন। তাদের বন্দি করে রাখা মানুষের উচিত নয়। কারণ, মুক্ত প্রকৃতিতে বিরাজ করার অধিকার সব প্রাণীরই রয়েছে।

তাদের মন্তব্য, আমরা প্রাণীদের আবাসস্থল বনজঙ্গল সব উজাড় করেছি। সে কারণে তাপমাত্রাও অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আবার প্রাণীদের বন্দি রেখে তাদের জীবন চরম দুর্বিষহ করে তুলি।

চাইলে এবং সুযোগ পেলে এই ধরনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে চিড়িয়াখানাটি ঘুরে আসতে পারেন বৈকি!

তথ্যসূত্র: এনিমেল অ্যারাউন্ড দ্য গ্লোব

;

৫ বছরের শিশুর বিস্ময়কর প্রতিভা!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বয়স সবে ৫ কিংবা ৬। এই বয়সেই তার প্রতিভা দেখে অবাক হবে যে-কেউ!

গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভিডিওটি ১ মিলিয়নের (১০ লাখের বেশি) বেশি মানুষ দেখেছেন। খবর এনডিটিভি। 

ভিডিওতে রিলি নামের ওই শিশুটিকে প্রথমে শ্বাস নিতে দেখা যায়। তারপর সে একটি শক্তিশালী গর্জন দিয়ে শ্বাস ছাড়ে। ওই গর্জনটি হুবুহ সিংহের গর্জনের অনুরূপ।

রিলির মা অ্যামি ভিডিওটি এক্সে শেয়ারের পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। শিশুটির এমন নিখুত দক্ষতা দেখে মুগ্ধ দর্শকরা। ভিডিওটিতে অনেকেই নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, এত অল্প বয়সে এমন বাস্তবসম্মত গর্জন তৈরি করার রিলির ক্ষমতার বিস্ময় প্রকাশ করে।

আরেকজন লিখেছেন, শিশুরা খুব দ্রুত শিখে। তার এমন প্রতিভা সত্যিই অবাক করার মতো।

;

বান্টি গ্রাম: উড়ছে রং-বেরঙের কাপড়



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বান্টি গ্রামের মাঠে শুকাতে দিচ্ছেন বাটিকের রং করা কাপড়/ছবি: নূর এ আলম

বান্টি গ্রামের মাঠে শুকাতে দিচ্ছেন বাটিকের রং করা কাপড়/ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশেই বান্টি গ্রাম। বাটিকের গ্রাম বলেই এর পরিচিতি। এখানে ঘরে ঘরে বাটিক-ব্লকের কাজ চলে। গ্রামজুড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৫০০ কারখানা। এই গ্রামে দিনরাত কাজ করেন হাজারো শ্রমিক। এই কাজে তাদের সংসার চলে। বান্টি গ্রামের কর্মময় জীবন চিত্র তুলে এনেছেন বার্তা২৪.কম এর ফটো এডিটর নূর এ আলম। 

বান্টি গ্রামে থ্রিপিস, ওড়না, সালোয়ার, কামিজ, বিছানার চাদর ও বালিশের কাভারে বাটিকের কাজ করা হয়/ছবি: নূর এ আলম


 

দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা এসব কিনতে আসেন। তাদের হাত ধরেই এসব কাপড় চলে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে


কাপড় রং করার আগে প্রতিটি কারখানায় গরম পানিতে রং প্রস্তুত করা হয়/ছবি: নূর এ আলম

 

কাপড়ের রং পাকা করতে সেদ্ধ করা হচ্ছে।/ছবি: নূর এ আলম


কয়েক ধাপে চলে কাপড়ে বাটিকের করার কাজ/ছবি: নূর এ আলম


রং মেশানোর প্রক্রিয়াটা ঠিক আছে কিনা হাত দিয়ে দেখছেন একজন/ছবি: নূর এ আলম


গ্রামে কাপড়ে রঙ মেশানোর কাজ ভোর থেকে রাত পর্যন্ত চলে/ছবি: নূর এ আলম


বাটিকের গ্রামের অনেক বাড়িতে বসানো হয়েছে লুম মেশিন। এই মেশিন দিয়ে নানান ধরনের নকশা করা হয়/ছবি: নূর এ আলম


লুম মেশিনে চলছে কাপড় বুননের কাপড়/ছবি: নূর এ আলম


কাপড়ে রঙ করা শেষে শুকাতে দেওয়ার আগে পানি ঝরিয়ে ফেলা হয়/ছবি: নূর এ আলম


রং করা কাপড় শুকাতে দিচ্ছেন এক নারী শ্রমিক/ছবি: নূর এ আলম


বান্টি গ্রামের নারী পুরুষ সবাই ব্লক বাটিক ও প্রিন্টের সঙ্গে জড়িত/ছবি: নূর এ আলম

রং করা কাপড় ছাদে ও মাঠে শুকাতে দেওয়া হয়/ছবি: নূর এ আলম


কড়া রোদে শুকানোর পর তা কারখানায় নিয়ে আসেন শ্রমিকরা।/ছবি: নূর এ আলম


প্রচন্ড তাপদাহে বাটিকের চাহিদা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। /ছবি: নূর এ আলম


;