প্রার্থনা আর আনুষ্ঠানিকতায় বিশ্বজুড়ে নববর্ষ উদযাপন



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নববর্ষের প্রার্থনা

নববর্ষের প্রার্থনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রার্থনা আর আনুষ্ঠানিকতায় বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে। বর্ষবরণ উপলক্ষে নানা দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় স্থানগুলোতে আয়োজন করা হয়েছিল আলোকসজ্জার ব্যবস্থা। বিশ্বের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ কিরিবাতির বাসিন্দারা প্রথম নতুন বছরকে বরণ করে নেন।

বরাবরের মতো, হংকং, সিডনি এবং দুবাইতে মনোমুগ্ধকর আতশবাজির প্রদর্শন ছিল চোখে পড়ার মতো। ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনিরো এবং নিউইয়র্ক সিটিতে সবচেয়ে বড় উদযাপন হয়েছে। ব্রাজিলের কোপাকাবানা সমুদ্র সৈকতে ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার মূর্তির সামনে নতুন বছরের উদযাপনের সময় আতশবাজি পোড়ানো হয়। এসময় পুরো রিও ডি জেনিরোর আকাশ আলোকিত হয়ে যায়। কোপাকাবানা সমুদ্র সৈকতে প্রতি বছর আনুমানিক দুই মিলিয়ন লোক আসে।

বার্লিনের ব্র্যান্ডেনবার্গ গেট এবং প্যারিসের আর্ক ডি ট্রায়ম্ফেসহ ইউরোপজুড়ে, ২০২৪ সালকে বরণ করতে তাদের আইকনিক ল্যান্ডমার্কগুলোতে জড়ো হোন। নতুন বছরের শুরুতে আতশবাজি দেখতে হাজার হাজার মানুষ লন্ডন এবং এডিনবার্গের রাস্তায় জড়ো হয়েছিলেন। নাইজেরিয়ার লাগোসে নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে ক্লাবে কনসার্ট করেছে।

প্যারিস গেটে জমকালো আয়োজন আর বর্ণিল আতশবাজি

নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ারে জড়ো হওয়া দর্শনার্থীদের প্রায় সবাই হাতে বেলুন নেড়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে। নববর্ষের সময়ে আইকনিক বল ড্রপের সুন্দর দৃশ্য দেখতে এখানে প্রতি বছর কয়েক লাখ লোক টাইম স্কয়ারে জড়ো হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষা করে এবং প্রিয়জনের জন্য ভালো জায়গা রাখতে সেখানে অনেককে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবস্থান করতেও দেখা যায়।

টাইমস স্কয়ারে ঘুরতে আসা মিশিগানের মাইক গ্যালারোভিক সিবিসি নিউজকে বলেন, তার অন্তত সাতবার এখানে আসার অভিজ্ঞতা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি স্কটল্যান্ডে গিয়েছি, অস্ট্রিয়ায় ছিলাম, গত বছর এস্তোনিয়ায় ছিলাম কিন্তু নতুন বছরের জন্য আমি সবসময় টাইমস স্কয়ারে ফিরে আসি। আজ রাতে এটি সত্যিই পৃথিবীর কেন্দ্র।

নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে বর্ণিল আতশবাজি

দক্ষিণ আমেরিকার অন্য দেশগুলোর মতো চিলির আকাশেও প্রদর্শিত হয়েছে ব্যাপক আতশবাজি। ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়া, পুয়ের্তো রিকো এবং কানাডার নোভা স্কোটিয়া অনেক দেরিতে ২০২৪ সালে প্রবেশ করেছে এবং কানাডার পূর্বে নিউফাউন্ডল্যান্ড ও ল্যাব্রাডরে আরও পরে আসে নববর্ষ।

মেক্সিকো সিটিতে ২০২৪ সালের শুরু উদযাপন করতে হাজার হাজার লোক জড়ো হয়। এসময় তারা রিফর্মা অ্যাভিনিউতে ভিড় করে এবং মধ্যরাত পর্যন্ত আতশবাজি প্রদর্শন এবং রাস্তার কনসার্ট উপভোগ করে।

নববর্ষে বিশ্বজুড়ে আলোর ঝলকানি


 

লাস ভেগাসে ২০২৪ সালের শুরু ধাক্কা দিয়ে উদযাপন করছে। আতশবাজি দিয়ে স্বাগত জানানোর বিশাল প্রদর্শন দেখতে লাখ লাখ মানুষ স্ট্রিপ বরাবর জড়ো হয়েছিল। শহরটির কর্তৃপক্ষ বলেছে, নববর্ষের উদযাপনে ৪ লাখেরও বেশি লোকের সমাগম হয়েছিল।

মেয়রের কার্যালয় থেকে জানান হয়েছে, লন্ডনের শো'তে ২০০০ আতশবাজি, ৬০০টি ড্রোন, ৪৩০টি লাইট এবং গানের বিভিন্ন সাউন্ডট্র্যাক ও ভয়েস-ওভার ক্লিপ ব্যবহার করা হয়েছে।

একে টেমস নদীর ওপর সর্বকালের সবচেয়ে বড় আতশবাজি, আলো এবং ড্রোন শো" বলে অভিহিত করা হয়েছে। এসময় একটি রেকর্ড করা বার্তা সম্প্রচার করা হয়। এতে বলা হয়, লন্ডনে বছরের সবচেয়ে বড় রাত্রি আমাদের সমাজের বৈচিত্র্য উদযাপন করে আমাদের নতুন রাজা মহারাজ তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।

নববর্ষ বরণে অংশ নিয়েছে লাখো মানুষ

মেয়র সাদিক খান একে লন্ডনের এখন পর্যন্ত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্ববৃহৎ উদযাপন বলে অভিহিত করে বলেছেন, এটি একটি বার্তা, কেন লন্ডন বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ শহর।

শো'টির ডিজাইন করেছিলো কেমব্রিজশায়ার ভিত্তিক পাইরোটেকনিক ফার্ম টাইটানিয়াম ফায়ারওয়ার্কস।

এদিকে প্যারিস আর্ক ডি ট্রায়মফের ওপরে একটি বিস্ময়কর আতশবাজি প্রদর্শনের মাধ্যমে ২০২৪ সালকে স্বাগত জানিয়েছে। এছাড়াও প্যারিসের চ্যাম্পস এলিসিস এভিনিউতে আনুমানিক ১৫ লাখ লোক নববর্ষের উৎসবের জন্য জড়ো হয়েছিল। ফ্রান্স এই বছর তার উদযাপনের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করতে সারা দেশে ৯০ হাজারের বেশি আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা মোতায়েন করেছে। যার মধ্যে ৬ হাজার শুধু রাজধানীতেই ছিল।

আতশবাজির উৎসব

শুধু পার্টি নয় প্রার্থনার মাধ্যমেও ২০২৪ সালকে স্বাগত জানানো হয়েছে। আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার লাগোসে গির্জায় উপাসকরা নববর্ষের শুরুতে একটি উপাসনায় যোগ দেন। এদিকে জাপানের টোকিওর পূর্বে নারিতাতে লক্ষাধিক লোক নতুন বছরের প্রার্থনার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। থাইল্যান্ডের পাথুম থানি প্রদেশের ওয়াট ফ্রা ধম্মকায়া মন্দিরে নতুন বছরের সূচনা উপলক্ষে সকালে ভিক্ষা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। কেনিয়ার নাইরোবির কিবেরায় নববর্ষের শুরুতে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। নতুন বছর উপলক্ষে প্রার্থনা করা হয়েছে- ভ্যাটিকান সিটি এবং ব্যাংককের বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মধ্যেও।

   

এক ঘরেই তিন বলী



তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
দুই ছেলের সঙ্গে খাজা আহমদ বলী/ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

দুই ছেলের সঙ্গে খাজা আহমদ বলী/ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

চুল থেকে দাড়ি-সবই সফেদ। হাঁটাচলায় মন্থর। স্বাভাবিকভাবেই প্রবীণের বয়সটা আঁচ করা যায় প্রথম দেখাতেই। কিন্তু তার ষাটোর্ধ্ব বয়সটা যেন কেবল ক্যালেন্ডারের হিসাব। বয়স যতই ছোবল বসানোর চেষ্টা করুক না কেন-তিনি যেন এখনো ২৫ এর টগবগে তরুণ। সেই বলেই তো ফুসফুসের রোগবালাইকে তুড়ি মেরে ঐতিহাসিক আবদুল জব্বারের বলীখেলা এলেই হাজির হয়ে যান রিংয়ে। এক দুবার নয়, এবার কিনা পূর্ণ হলো সুবর্ণজয়ন্তী!

চট্টগ্রামের অন্যতম আবেগের ঠিকানা ঐতিহাসিক এই বলীখেলার বড় বিজ্ঞাপন হয়ে ওঠা এই বলীর নাম খাজা আহমদ বলী। ৫০ বছর ধরে বলীখেলায় অংশ নিয়ে দর্শকদের আনন্দ দিয়ে যাওয়া এই বলীর এখন পড়ন্ত বয়স। ফুসফুসে বাসা বেঁধেছে রোগ। কানেও শোনেন কম। খাজা আহমদ বুঝে গিয়েছেন, তার দিন ফুরাচ্ছে। কিন্তু তিনি যে বলীখেলার স্মৃতি থেকে সহজেই মুছে যেতে চান না। সেজন্যই উত্তরসূরী হিসেবে এরই মধ্যে গড়ে তুলেছেন নিজের দুই ছেলেকে। বাবার পাশাপাশি দুই ভাইও এখন বলীখেলার নিয়মিত প্রতিযোগী।

খাজা আহমেদ বলীর বাবাও বলীখেলায় অংশ নিতেন। বাবার সঙ্গে বলীখেলায় এসে ১৯৭৪ সালে শখের বসে খেলতে নামেন খাজা আহমেদও। বয়স তখন ১২ বছরের আশপাশে। সেই শুরু, আর কোনোদিন মিস করেননি বলীখেলায় অংশ নেওয়া। একবার চ্যাম্পিয়নের গৌরবও অর্জন করেছিলেন। বহু বছর ধরে খাজা আহমেদ বলী ও সত্তরোর্ধ্ব মফিজুর রহমানের ‘বলীযুদ্ধ’ জব্বারের বলীখেলার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে এই দ্বৈরথ হয়তো আর দেখা যাবে না। দুই বছর আগে উৎপত্তি হওয়া ফুসফুসের রোগটা ইদানিং যে খাজা আহমদকে বেশিই ভোগাচ্ছে। সেজন্য গতবছর অবসরের ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার দুই ছেলেকে নিয়ে বলীখেলায় এসে আবেগ সামলাতে পারেননি খাজা আহমেদ। ছেলেদের সঙ্গে নিজেও নেমে পড়েন রিংয়ে। সেজন্য আরও একবার মফিজুর রহমান-খাজা আহমেদের লড়াই দেখল হাজারো দর্শক। যদিওবা যৌথ বিজয়ী ঘোষণা করে দুজনের মুখেই হাসি ফুটিয়েছেন রেফারি।

প্রতিপক্ষ মফিজুর রহমানের সঙ্গে বলী-যুদ্ধে খাজা আহমদ

কেন অবসর ভাঙলেন এমন প্রশ্নে হাসি খেলা করে যায় খাজা আহমেদ বলীর মুখে। বলতে থাকেন, ‘বয়সের কারণে শরীর দস্ত। ফুসফুসও ঠিকঠাক কাজ করছে না। সেজন্য অবসর নিয়েছিলাম। কিন্তু বলীখেলায় আসার পর দেখলাম দর্শকেরা সবাই অনুরোধ করছেন। সেজন্য মন বলল, না খেললে দর্শকদের প্রতি অন্যায় হবে। আর আবেগ ও ভালোবাসার কাছে বয়স-রোগ পেরেছে কবে?’

তবে এখানেই সব শেষ, বলে দিয়েছেন খাজা আহমেদ বলী। বলেছেন, ‘বয়স হয়ে গেছে। মনে হয় না আর খেলতে পারব। অসুখটা বেশি যন্ত্রণা দিচ্ছে। সেজন্য মনে মনে মেনে নিয়েছি এটাই আমার শেষ অংশগ্রহণ। বাকিটা আল্লাহর হাতে।’

তিন ছেলে ও এক মেয়ের বাবা খাজা আহমদের বাড়ি চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায়। কৃষিকাজ করেই চলে সংসার। তবে বলীখেলা এলে সব কাজ বাধ। কয়েকদিন ধরে চলে প্রস্তুতি। নিজের স্মৃতি ধরে রাখতে এরই মধ্যে খাজা আহমেদ নিজের দুই ছেলেকে গড়ে তুলেছেন বলী হিসেবে। ২০১২ সাল থেকে বলীখেলায় নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন তার বড় ছেলে মো. সেলিম। গত বছর থেকে যোগ দিয়েছেন ছোট ছেলে মো. কাইয়ুমও। এখন বলীখেলার আগে দুই ছেলেকে নিয়ে চলে খাজা আহমদের প্রস্তুতি।

জানতে চাইলে সেলিম বলেন, ‘বাবার কাছ থেকে আমরা বলীখেলা শিখেছি। বয়সের কারণে বাবা এখন অসুস্থ। হয়তো আর খেলা হবে না। সেজন্য তার উত্তরসূরী হিসেবে আমরা বলীখেলায় অংশ নেব সামনের দিনগুলোতে। এটা শুধু পরিবারের বলীর প্রজন্ম ধরে রাখার জন্য নয়, তরুণদের মাদক-সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগও।’

বাবাকে পাশে রেখে একই কথা বললেন ছোট ছেলে মো. কাইয়ুমও। বলেন, ‘হয়তো বাবা আর খেলবেন না। তবে তিনি না খেললেও যতদিন বেঁচে থাকবেন বলীখেলা দেখতে আসবেন। রিংয়ের নিচে দাঁড়িয়ে আমাদের উৎসাহ দিয়ে যাবেন।’

ছেলের কথা শুনে আবেগ খেলে যায় খাজা আহমেদ বলীর মনে। কাঁধের গামছাটা হাতে তুলে নিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বললেন, ‘না খেললেও যতদিন বাঁচি এখানে, এই বলীর মাঠ লালদীঘি ময়দানে ছুটে আসব। এটা থেকে দূরে থাকতে পারব না।’

খাজা আহমেদ যখন কথা বলছিলেন দূরে কোথাও তখন মাইকে বাজছিল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই অমর গান। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় অক্লান্ত গলায় গেয়ে চলেছেন, যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে, আমি বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে...

;

চাকরি ছেড়ে বসের সামনেই ঢোল বাজিয়ে নাচলেন যুবক!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিত্যদিনের অফিসের কর্মপরিবেশে অনেকের মধ্যেই 'বিরক্তি' চলে আসে। তবুও ধৈয্য নিয়ে সব সহ্য করে টিকে থাকার জন্য চালিয়ে যান লড়াই। তবে এ যাত্রায় সকলের দ্বারা টিকে থাকা সম্ভব হয় না। অফিসের 'বিষাক্ত' কর্মপরিবেশে অনেকেই ভোগেন মানসিক সমস্যায় কিংবা ব্যক্তিজীবনে। এমন পরিবেশ থেকে বাঁচতে একেক জন একেক পন্থা অবলম্বন করে থাকেন।

তবে অনিকেত নামের এক যুবক এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে যা করেছেন নেট দুনিয়ায় তা রীতিমতো ভাইরাল। এসব থেকে মুক্তি পেতে চাকরিটাই ছেড়ে দিয়েছেন এই যুবক। এতেই ক্ষান্ত হননি তিনি, বসের সামনেই ঢাকঢোল বাজিয়ে নেচে উদযাপন করেছেন এমন মুহূর্তের।

ঘটনাটি ভারতের পুনে রাজ্যের। অনিকেত নামের ওই যুবক বিক্রয় সহযোগী হিসেবে চাকরি করতেন।

তার এমন উদযাপনের একটি ভিডিও ইন্সটাগ্রাম শেয়ার করেছেন অনীশ ভগত।

ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, গত তিন বছর ধরে এই কোম্পানির সাথে কাজ করেও বেতন খুব একটা বাড়েনি। এছাড়াও অফিসের বসের দ্বারাও তাকে বিভিন্ন সময়ে অপমানিত হতে হয়েছে।

তাই তার কাজের শেষ দিনে বন্ধুরা অফিসের বাইরে ঢোল নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন এবং নেচেছিলেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, এ ঘটনায় তার বস অনেক উত্তেজিত হয়েছেন। পাশাপাশি তার বস লোকজনকে ধাক্কা দিয়েছেন এবং চিৎকারও করেছেন।

ভিডিওটির ক্যাপশনে ভগত লিখেছেন, আমি মনে করি আপনারা অনেকেই এর সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবেন। আজকাল বিষাক্ত কাজের সংস্কৃতি খুব বেশি দেখা যায়। সম্মান এবং অধিকারের অভাব খুবই সাধারণ। অনিকেত তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। আমি আশা করি এই গল্প মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।

পোস্ট করা ভিডিওটি এক মিলিয়নেরও (১০ লাখের বেশি) বেশি ভিউ পেয়েছে। পোস্টটিতে অসংখ্য লাইক ও কমেন্টও রয়েছে।

একজন ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি জানি না কেন এটি আমাকে এত সন্তুষ্ট করেছে।'

আরেকজন লিখেছেন, 'নাচটি আমাকে অন্য মাত্রার তৃপ্তি দিয়েছে।'

'আপনি সত্যিই আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে ইতিবাচক এবং উত্সাহী ব্যক্তি'- তৃতীয় একজন ঠিক এভাবেই নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস 

;

অভয়ারণ্যে মানুষ যখন বন্দিখাঁচায়



প্রমা কোয়েল, ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিড়িয়াখানা, নানানরকম পশুপাখি ও প্রাণীর বন্দিশালা। কেবল রং-বেরঙের চিড়িয়াই নয়; বাঘ, সিংহ, ভালুক, বানর, গণ্ডারসহ কত বন্যপ্রাণীই না খাঁচায় বন্দি থাকে!

চিড়িয়াখানায় রাখতে বন্য প্রাণীদের প্রকৃতির স্বাধীন জীবন থেকে ছিনিয়ে আনা হয়। তাদের খাঁচায় বন্দি করা হয় যেন, মানুষ তাদের দেখে আনন্দ পায়। অনেক প্রাণীর জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি খাঁচাতেই কেটে যায়।

ছোট থেকে বড় সব বয়সের মানুষই চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। শিশুরা না হয় অবুঝ! তবে যারা প্রাপ্তবয়স্ক তারাও চিড়িয়াখানায় এই বন্দি প্রাণীদের জীবনকে গভীরভাবে অনুধাবন করতে পারেন না।

এশিয়ার বড় দেশ চীনে রয়েছে, এক অদ্ভুত চিড়িয়াখানা। চংকিংয়ে অবস্থিত সেই চিড়িয়াখানার নাম ‘লেহে লেদু বন্যপ্রাণী চিড়িয়াখানা’। একে ‘রিভার্স জু’ (বিপরীত চিড়িয়াখানা) বলেও ডাকা হয়।

এখানেও মানুষ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে পশু দেখতে আসেন। তবে একেবারেই ভিন্ন উপায়ে। মূলত, একটি খাঁচা রয়েছে, যেখানে মানুষদের সেই খাঁচায় পুরা হয়। তারপর সেই খাঁচাবন্দি মানুষদের নিয়ে রাখা হয়, অভয়ারণ্যে। সেখানে বন্য প্রাণীরা মানুষের খাঁচার চারপাশে অবাধে ঘুরতে থাকে। চিড়িয়াখানায় বন্দি প্রাণীদের বন্দিজীবনের এক প্রতীকী দৃশ্য!

অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের জন্য এটি এক নতুন অভিজ্ঞতা!

অভয়ারণ্যে খাঁচায় বন্দি মানুষ, ছবি-সংগৃহীত

খুব কাছে থেকে হিংস্র বন্যপ্রাণীদের মুক্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যেমন লোমহর্ষক, ঠিক তেমনই আতঙ্কজনকও হতে পারে। বিপরীতধর্মী এই চিড়িয়াখানাটি সবার জন্য প্রথম উন্মুক্ত করা হয়, ২০১৫ সালে। তখন বিশ্বের সংবদমাধ্যমের শিরোনাম কেড়েছিল এ চিড়িয়াখানাটি।

একটি শক্ত লোহার খাঁচাবেষ্টিত দর্শনার্থীদের একটি ট্রাকে তুলে অভয়ারণ্যে রেখে দেওয়া হয়। সেখানে তাদের ঘিরে ধরে ঘুরতে থাকে বাঘ, ভালুক, সিংহ ইত্যাদি হিংস্র প্রাণী।

এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার প্রধান চ্যান লিয়াং বলেন, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা রক্ষার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। খাঁচার ফাঁকা অংশ দিয়ে হাতের আঙুলও বের না করার নির্দেশনা দেওয়া থাকে।

তবে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই চিড়িয়াখানাটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে অনেক। এর নৈতিকতা নিয়ে অনেকে প্রশ্নও তুলেছেন।

অনেকে মনে করেন, এরকম ব্যবস্থাপনায় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কারণ, শিকারী প্রাণীগুলো প্রচণ্ড হিংস্র। তাই, সে কারণে যে কোনো সময় বিপজ্জনক ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

আবার এরকম চিন্তাভাবনার প্রশংসাও করেছেন অপর একটি পক্ষ। তাদের বক্তব্য, পৃথিবীটা কেবল মানুষদের নয়। প্রকৃতিতে সব প্রাণীদের একটা ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন। তাদের বন্দি করে রাখা মানুষের উচিত নয়। কারণ, মুক্ত প্রকৃতিতে বিরাজ করার অধিকার সব প্রাণীরই রয়েছে।

তাদের মন্তব্য, আমরা প্রাণীদের আবাসস্থল বনজঙ্গল সব উজাড় করেছি। সে কারণে তাপমাত্রাও অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আবার প্রাণীদের বন্দি রেখে তাদের জীবন চরম দুর্বিষহ করে তুলি।

চাইলে এবং সুযোগ পেলে এই ধরনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে চিড়িয়াখানাটি ঘুরে আসতে পারেন বৈকি!

তথ্যসূত্র: এনিমেল অ্যারাউন্ড দ্য গ্লোব

;

৫ বছরের শিশুর বিস্ময়কর প্রতিভা!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বয়স সবে ৫ কিংবা ৬। এই বয়সেই তার প্রতিভা দেখে অবাক হবে যে-কেউ!

গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভিডিওটি ১ মিলিয়নের (১০ লাখের বেশি) বেশি মানুষ দেখেছেন। খবর এনডিটিভি। 

ভিডিওতে রিলি নামের ওই শিশুটিকে প্রথমে শ্বাস নিতে দেখা যায়। তারপর সে একটি শক্তিশালী গর্জন দিয়ে শ্বাস ছাড়ে। ওই গর্জনটি হুবুহ সিংহের গর্জনের অনুরূপ।

রিলির মা অ্যামি ভিডিওটি এক্সে শেয়ারের পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। শিশুটির এমন নিখুত দক্ষতা দেখে মুগ্ধ দর্শকরা। ভিডিওটিতে অনেকেই নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, এত অল্প বয়সে এমন বাস্তবসম্মত গর্জন তৈরি করার রিলির ক্ষমতার বিস্ময় প্রকাশ করে।

আরেকজন লিখেছেন, শিশুরা খুব দ্রুত শিখে। তার এমন প্রতিভা সত্যিই অবাক করার মতো।

;