কলোনি তৈরি করে রাত্রিযাপন করে ‘শামুকখোল’



বিভোর, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
আকাশে ডানা মেলেছে শামুকখোল। ছবি: আবু বকর সিদ্দিক

আকাশে ডানা মেলেছে শামুকখোল। ছবি: আবু বকর সিদ্দিক

  • Font increase
  • Font Decrease

জলাভূমির পাখি শামুকখোল। আজ প্রায় দুই/তিন দশক আগেও বাংলাদেশে সহজে দেখা মিলতো না। উপযুক্ত পরিবেশ, পর্যাপ্ত খাবার এবং প্রজনন সুবিধার কারণে এই পাখি এখন বাংলাদেশের আনাচে কানাচে দেখা মিলছে। সেই সঙ্গে বহুগুণ বৃদ্ধিও পেয়েছে শামুকখোলের সংখ্যা।

প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক এ পাখি প্রসঙ্গে বলেন, শামুকখোল এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার খাল, বিল এবং নদীর কাছাকাছি এলাকাগুলোতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছে। এরা প্রজনন শেষে আর দেশের বাইরে যাচ্ছে না। বাংলাদেশেই তারা কলোনি তৈরি করে স্থায়ীভাবে থাকছে। ফলে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে সহজেই এই পাখির দেখা পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এক সময় শামুকখোল পাখি মূলত আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালীন ভিজিটে আসতো। এজন্য এদেরকে ‘পরিযায়ী পাখি’ বলা হয়। এরা বাংলাদেশে তখন খুব বেশি স্থায়ীভাবে বসবাস করতো না। অল্প সংখ্যক দেখা যেতো। প্রজননের জন্য তারা অন্য দেশ থেকে আমাদের দেশে আসতো। প্রজনন শেষে তারা আবারও দেশ ত্যাগ করতো। আমাদের দেশে যে শামুকখোলগুলো আসতো সেগুলোর বেশির ভাগ মূলত স্থায়ীভাবে বসবাস করতো পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন এলাকা, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামে। ভারতে বছর বছর প্রচণ্ড খরার কারণে ওই দেশে এদের প্রজনন এখন প্রায় বন্ধ হয়েছে।

ঠোঁটে শামুক ধরেছে শামুকখোল। ছবি: আবু বকর সিদ্দিক

পাখিটির নামকরণ প্রসঙ্গে ইনাম আল হক বলেন, শামুকখোল পাখির ইংলিশ নাম Asian Openbill আর বৈজ্ঞানিক নাম Anastomus oscitans। আবাসিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এখন বাংলাদেশে বিপুল পরিমণ শামুকখোল দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের হাওড়-বাঁওড় এবং নদী এলাকাগুলোতে শামুকখোল কলোনি স্থাপন করেছে। এই পাখির ঠোঁটের সাথে অন্য কোন পাখির ঠোঁটের মিল নেই। শামুকখোল পাখির ঠোঁটের নিচের অংশের সাথে উপরের অংশে বড় ফাঁক। এরা এই বিশেষ ঠোঁটে শামুক তুলে চাপ দিয়ে শামুকের ঢাকনা খুলে ফেলে এবং ভিতরের নরম অংশ খেয়ে নেয়। মূলত শামুকের ঢাকনা খোলার শৈল্পিক কৌশলের কারণেই এই পাখির নামকরণ করা হয়েছে ‘শামুকখোল পাখি’।

ইনাম আল হক আরও বলেন, শামুকখোল পাখি খুবই নিরীহ পাখি। এদের বাহ্যিকভাবে পুরুষ-স্ত্রী বোঝা যায় না। গায়ের রঙ সাদা কালো। বয়স্ক পাখি হলে তার শরীরের সাদা রঙ অনেকটা কালচে বরণ ধারণ করে। এদের আবাসস্থল থাকে দুটি। একটি স্থায়ী বাসা থাকে তাদের। যেখানে তারা কেবলমাত্র প্রজননের সময় অবস্থান করে। অপরটি হচ্ছে প্রজনন পরবর্তী অস্থায়ী অবস্থান। এরা প্রজননের সময় কেবল নির্দিষ্ট বাসায় চলে আসে। অর্থাৎ এই পাখি যেখানে বাসা বাঁধে সেই বাসাতেই প্রতিবছর প্রজনন করে থাকে। এক থেকে দেড় সপ্তাহ সময় লাগে তাদের বাসা তৈরি করতে। বাসা তৈরি হলে সেখানে তারা ডিম দেয়।

অন্য পাখিদের সাথে শামুকখোল। ছবি আবু বকর সিদ্দিক

এরা পানির ধারে, অল্প পানি অথবা পানির উপরে ভাসমান কিছুর উপর চুপ করে থাকে শিকার ধরতে। এছাড়াও অগভীর পানিতে হেঁটে হেঁটে কাদায় ঠোঁট ঢুকিয়ে খাবার খুঁজে। এদের খাদ্য তালিকার ৯০ ভাগ শামুক। এছাড়াও এরা ছোট মাছ, বড় আকাড়ের পোকা, কাঁকড়া, ব্যাঙ খেয়ে জীবন ধারণ করে বলে জানান ইনাম আল হক।

   

আন্দিজ পর্বতমালার আলু বাঁচানোর চেষ্টা গবেষকদের



ফিচার ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জনপ্রিয় খাবারগুলোর মধ্যে আলু অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর আন্দিজ পর্বতমালা আলু উৎপাদন বেশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পরিবর্তিত আবহাওয়ায় আলু চাষে ঝুঁকি মোকাবিলা করে কিভাবে এ জাতের আলু চাষ করা যায় তা নিয়ে গবেষণা করছে আলু বীজ গবেষকরা।

স্থানীয় স্টার্চ জাতীয় খাদ্য সমূহের প্রধান উৎস হলো এ পর্বতমালার আলু। পেরুর একটি অলাভজনক সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অব আন্দাজের নির্বাহী সহকারী ট্যামি স্টেনার বলেছেন, আন্দিজ পর্বত মালার আলু অনেকটা গোলাপের মতো। দেখতেও অনেক সুন্দর।

তিনি বলেন, মায়েরা যখন ছেলের জন্য মেয়ে দেখতে যায় তখন তাকে এ আলুর খোসা ছাড়িয়ে দিতে বলেন। এ সময় খুব যত্নসহকারে আলুর খোসা ছাড়াতে হয় যাতে তার আকৃতি নষ্ট না হয়। 

সমুদ্রপৃষ্ঠের ৩২০০ মিটার থেকে৫০০০ মিটার উপরে আন্দিজ পর্বতমালায় ১৩০০ টিরও বেশি জাতের আলু জন্মায়। এগুলো ফ্যাকাশে নয় যা ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুপারমার্কেট গুলোতে পাওয়া যায়। এ পর্বতের আলু সাধারণত বেগুনি, গোলাপী, লাল এবং কালো, সেইসাথে সাদা এবং হলুদ হয়ে থাকে।

এ আলু প্রক্রিয়াজাত করতে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। কিছু আছে ফ্রিজে শুকিয়ে নিতে হয়। কিছু যা শুধুমাত্র পুরো রান্না করা যায়, যেগুলি রান্নার জন্য খোসা ছাড়িয়ে কাটা যায়।

স্বতন্ত্র আলুর জাতগুলোর প্রায়শই বর্ণনামূলক নাম থাকে যা তাদের আকৃতি বর্ণনা করে। জাতগুলোর মধ্যে অন্যতম হল পুমার পাঞ্জা, লামার নাক।

পেরুর শহর পিসাকের কাছে ছয়টি আদিবাসী সম্প্রদায় ২০০২ সালে আলু পার্ক গড়ে তোলে। এই অঞ্চলে জন্মানো আলুর জিনগত বৈচিত্র্য এবং সেইসাথে তাদের চাষ করা লোকেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

অন্যান্য স্থানীয় আন্দিয়ান ফসল ভুট্টা থেকে কুইনোয়াও এখানে জন্মায়। পার্কে ব্যবহৃত কৃষি পদ্ধতিগুলো হাজার বছর ধরে বিকশিত হয়েছে। কৃষকরা প্রায় ১০,০০০ হেক্টর (৩৮ বর্গ মাইল) জমিতে সারা বছরই একাধিকবার ফসল উৎপন্ন হয়।

অনেক জাতের আলুর মধ্যে যেগুলো হারিয়ে যেতে পারে এবং বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খায়িতে নিতে পারবে স্থানীয় কৃষক ও গবেষকরা সেগুলো সংরক্ষণ করেছে।

স্টেনার বলেন, আলুগুলো প্রায় ৮ হাজার বছর আগে থেকে আন্দিজ পর্বতমালায় জন্মানো শুরু করে। তাই আলু কীভাবে চাষ করা হয় সে সম্পর্কে অনেক ইতিহাস ও পরীক্ষালব্ধ জ্ঞান রয়েছে। আলু পার্কে যে কাজটি চলছে তা বিশ্বজুড়ে মূল্যবান খাদ্য গাছপালা সংরক্ষণ এবং পরিবর্তিত জলবায়ুতে খাদ্য অভিযোজনের উপায় খুঁজে বের করার একটি বড় প্রচেষ্টার অংশ।

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বীজ সংরক্ষক সংস্থাগুলো গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। স্বালবার্ড গ্লোবাল সিড ভল্ট ২০১৭ সালে পটেটো পার্কের প্রতিনিধিসহ সারা বিশ্ব থেকে আলু বীজে সংস্করণ করে।

এই ধরনের সংস্থাগুলো মূল্যবান ফসল হারানোর বিরুদ্ধে একটি অত্যাবশ্যক রক্ষাকবচ হতে পারে। এগুলো বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কের একটি অংশে পরিণত হলে কৃষকর খাদ্যের জিনগত বৈচিত্র্য রক্ষা করতে পারবে।

ছোট চাষীরা হাজার হাজার বিরল এবং অস্বাভাবিক ফসলের জাতগুলো বাগানে, খামারে চাষ করে বীজ সংরক্ষণের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখে। প্রকৃতপক্ষে, গবেষণায় দেখা গেছে যে বৈশ্বিক বীজ বৈচিত্র্যের সিংহভাগই জিন ব্যাঙ্কের পরিবর্তে বিশ্বের ২.৫ বিলিয়ন ক্ষুদ্র ধারকদের হাতে রয়েছে।

পূর্বে কৃষিতে একটি নির্দিষ্ট ফসলের বৈচিত্র্যময় পরিসর বৃদ্ধি করা হত। যখন বিজ্ঞানীরা ভুট্টা এবং গমের মতো প্রধান ফসলের "উন্নত" জাতের প্রজনন শুরু করে তখন অনেক কৃষক এগুলোকে গ্রহণ করেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া টেকের প্রযুক্তির ইতিহাসের অধ্যাপক হেলেন অ্যান কারি বলেছেন, "কৃষিতে গভীর রূপান্তর ঘটেছে, অনেক ফসল স্থানান্তর হয়েছে। এতে নতুন ফসল চাষ হচ্ছে।

বীজ ব্যাংক যা জিনব্যাঙ্ক নামেও পরিচিত। তারা কয়েক দশক ধরে বীজ এবং অন্যান্য উদ্ভিদ সামগ্রী সঞ্চয়ে রাখে। কিন্তু যেখানে জমিতে চাষের মাধ্যমে ফসল সংরক্ষণ করতে হয় সেটা করতে পারছে না তারা। প্রকৃতপক্ষে, বীজ সংরক্ষণ করতে এবং ভবিষ্যতের জন্য বিভিন্ন ধরণের ফসলের স্টুয়ার্ড করার জন্য একজন কৃষক না হয়েও তা সংরক্ষন করা যায়।

বীজ সংরক্ষণের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অলাভজনক সংস্থা সিড সেভারস এক্সচেঞ্জ আইওয়া, তাদের জিন ব্যাঙ্কে বীজের দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণ এবং কৃষকদের সাথে তাদের বীজ ভাগ করে নিয়ে জমিতে চাষের মাধ্যমে সংরক্ষণ করছে।

আলু পার্কে কৃষকদের গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিভিন্ন আলুর জাতগুলোর জন্য গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে তারা পাহাড়ের অনেক উচ্চতায় চলে যাচ্ছে।

স্টেনার বলেছেন, "তারা ইতিমধ্যেই অনেক উঁচুতে রয়েছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আরো উঁচুতে যাওয়ার সুযোগ নেই। এ সম্প্রদায়ের একজন প্রবীণ কৃষক বলেছেন: "আপনি আকাশে আলু চাষ করতে পারবেন না। তাই, কৃষকরা পরিবর্তে কম উচ্চতায় পুনরায় আলু চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

;

৭৪ বছর ছুটিহীন কর্মজীবন!



ফিচার ডেস্ক বার্তা২৪.কম
মেলবা মেবানের বিদায়ী অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

মেলবা মেবানের বিদায়ী অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ছুটি ছাড়া আপনি কতদিন চাকরি করতে পারবেন? এমন প্রশ্নের উত্তর একেক জনের কাছে একেক রকম হলেও, কেউই দীর্ঘ সময় ছুটিহীন চাকরি করবেন এমন উত্তর আশা করা যায় না। কিন্তু, অসুস্থ হলে যে সবারই ছুটি প্রয়োজন হবে সেটা নিশ্চিত। তবে এই কথাটি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের মেলবা মেবানের (৯০) জন্য প্রযোজ্য নয়। কারণ, এই নারী তাঁর ৭৪ বছরের কর্মজীবনে কখনও ছুটি কাটাননি আরও অবাক করার বিষয় হচ্ছে অসুস্থ হলেও সে হাসিমুখে তাঁর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে গেছেন। মার্কিন গনমাধ্যম ফক্স নিউজের বরাত দিয়ে এমন খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ডেইলি মেইল।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, মেলবা মেবানে ১৯৪৯ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে মেয়ার এন্ড স্মিথ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ‘লিফট গার্ল’ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫৬ সালে এটি অধিগ্রহণ করে নেয় ডিলার্ড। মেয়ার পরবর্তী বছরগুলোতে পুরুষদের পোশাক এবং কসমেটোলজিতে কাজ শুরু করেন ধরে তিনি এখানেই কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘ ৭৪ বছর কর্মজীবনে তিনি কখনও ছুটি নেননি এমনকি অসুস্থ হলেও না। 

মেলবার সম্পর্কে টাইলারের ডিলার্ডের স্টোর ম্যানেজার জেমস সায়েঞ্জ ফক্স নিউজকে বলেন, তিনি শুধু একজন বিক্রয়কর্মী নন। তিনি একজন মা। তিনি গাইড করেন। তিনি জীবন সম্পর্কে উপদেশ দেন। তিনি বহু গুণের অধিকারী। 

তিনি আরও জানান, মেলবা তাঁর মুখে হাসি নিয়ে প্রতিদিন কাজ শুরু করতেন।

তিনি বিক্রয়ে পারদর্শী ছিলেন এবং এমন কোন গ্রাহক বা সহকর্মী ছিল না যে তাকে ভালোবাসে না। তার পরে যারা এখানে কাজ শুরু করেছে তাদের সবাইকে খুব সুন্দরভাবে প্রশিক্ষন দিয়েছেন এবং শিখিয়েছেন। 

মেবানে জানান, কর্মস্থলে কখনো বিরক্ত হতেন না তিনি। সেখানকার সবাইকে ভালোবাসতেন এবং প্রতিদিন কাজে যেতে পছন্দ করতেন। অবসর নেওয়ার পর এখন বিশ্রাম, ভ্রমণ এবং ভালো খাবার খেয়ে দিনযাপন করতে চান তিনি। 

মেবানের কয়েক দশকের কাজ এবং নিষ্ঠার প্রতি সম্মান জানাতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে তাঁকে স্টোরের দীর্ঘতম কর্মক্ষম কর্মচারী হওয়ার জন্য ‘সার্টিফিকেট অব এক্সিলেন্স’ পুরস্কার প্রদান করা হয়। 

;

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল 'ব্ল্যাকি', সম্পদ ৩ কোটি ডলার



ফিচার ডেস্ক বার্তা২৪.কম
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল 'ব্ল্যাকি'। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল 'ব্ল্যাকি'। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাধারণত যখন কেউ মারা যায় তখন তাঁর সম্পদের অংশ পরিবারের সদস্যদের কাছে রেখে যান। কেউ কেউ আবার বিভিন্ন দাতব্য সংস্থায়ও দান করে থাকেন। তবে, যুক্তরাজ্যের বাকিংহ্যামশায়ারের বাসিন্দা বেন রিয়া যা করেছেন তা বিরল! স্রেফ ভালোবাসা থেকেই তাঁর সম্পদের বড় একটি অংশ প্রিয় পোষা বিড়াল ‘ব্ল্যাকির’ জন্য দিয়ে যান। আর এতেই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল হয়ে উঠে ‘ব্ল্যাকি’। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইট থেকে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

রেকর্ড সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ১৯৮৮ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ব্ল্যাকির নাম উঠেছে। সেই নাম ৩৫ বছর ধরে এখনো বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়াল হিসেবে গিনেসের পাতায় বিড়ালটির এই স্বীকৃতি অক্ষুণ্ন রয়েছে। 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সবচেয়ে ধনী বিড়ালটির সম্পদের পরিমাণ আসলে কত?

গিনেস ওয়ার্ল্ড বলছে, যখন ব্ল্যাকি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিড়ালের স্বীকৃতি পেয়েছিল, তখন সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ডলার। বর্তমানে যা ৩ কোটি ২০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

গিনেস ওয়ার্ল্ডের তথ্য মতে, ‘ব্ল্যাকির’ মালিক বেন রিয়া প্রাচীন জিনিসপত্র ক্রয় এবং বিক্রি করে কোটি ডলারের মালিক হন। ১৯৮৮ সালে এই ধনকুব মারা গেলে সম্পদের বিশাল একটি অংশ বিড়ালের নামে দিয়ে যান। তবে বেনের পরিবার ছিল কিন্তু সে একাই বসবাস করতো।  

তার বেশিরভাগ অর্থই তিনটি দাতব্য সংস্থার মধ্যে উইল করে যান। যেই সংস্থাগুলো পোষা প্রাণীদের দেখভাল ও সুরক্ষা দিয়ে থাকে। উইলে তিনি উল্লেখ করেন, যতদিন ব্ল্যাকি বেঁচে থাকবে ততদিন প্রাণীটির দেখভাল করতে হবে। 

তবে বেনের প্রিয় ব্ল্যাকি কত দিন বেঁচে ছিল কিংবা বেনের মৃত্যুর পর ব্ল্যাকির ভাগ্যে কী জুটেছিল, সেই বিষয়ে গিনেসের ওয়েবসাইটে কিছু না জানালেও এই রেকর্ড এখন পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেনি সেটি নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি ।

;

১৬০০ মিটার উচ্চতায় কম সময়ে দড়ি পার হয়ে বিশ্ব রেকর্ড!



ফিচার ডেস্ক বার্তা২৪.কম
শি হ্যালিন। ছবি: সংগৃহীত

শি হ্যালিন। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬০০ মিটার (১.৬ কিলোমিটার) উচ্চতায় চীনের শি হ্যালিন (৩১) নামে এক ব্যক্তি খুব দ্রুত সময়ে ১০০ মিটারের স্ল্যাকলাইন (দড়ির উপর দিয়ে হাঁটা) পার হয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইট থেকে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

রেকর্ড সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চীনা নাগরিক শি হ্যালিন সবচেয়ে কম সময়ে মাত্র ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে ১০০ মিটার লম্বা দড়ি পার হয়ে বিশ্ব রেকর্ড করেছেন। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬০০ মিটার উঁচুতে ছিল। 

শি হ্যালিন জানান, আমি পিংজিয়াংয়ের মাউন্ট উগং-এর গুয়ানিইন্ডাং ক্যাম্পে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬০০ মিটার উপরে স্টান্ট করেছি। সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে এই রেকর্ডটি করতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ব হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এটি বিশাল এক চ্যালেঞ্জ ছিল। বিশেষ করে এতো উচ্চতায় বাতাসের চাপ বেড়ে যায় এবং তাপমাত্রা হ্রাস পেতে থাকে। এর মধ্যে আবার দিনটি ছিল খুব কুয়াশাচ্ছন্ন। ফলে ভালো করে দেখতেও সমস্যা হচ্ছিল। 

এই রেকর্ডের পর সে আরও বেশি মনোযোগ দিয়ে এরকম প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জন করতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি। 

তবে, এর আগেও তিনি এশিয়াতে বেশ কয়েকটি স্ল্যাকলাইন রেকর্ড জিতেছেন। ২০১৬ সালে তিনি ২ মিনিটে এই রেকর্ডটি করেছিলেন কিন্তু, সেটি পরের বছরই ফ্রান্সের নাগরিক লুকাস মিলিয়ার্ডের কাছে হারাতে হয়। 

;