দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনের সৌন্দর্য ও দ্রৌপদী মুর্মুর অভূতপূর্ব আতিথেয়তা



এম এ আমিন রিংকু
দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনের সৌন্দর্য ও দ্রৌপদী মুর্মুর অভূতপূর্ব আতিথেয়তা

দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনের সৌন্দর্য ও দ্রৌপদী মুর্মুর অভূতপূর্ব আতিথেয়তা

  • Font increase
  • Font Decrease

হেমন্তে দিল্লির আকাশ মোহনীয় থাকে। অক্টোবরের চোদ্দ তারিখ সেদিন। ফ্রেন্ডস কলোনির হোটেল সুরিয়ায় সকালে গরম কফিতে চুমুক দিতে দিতে টিভিতে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে নিচ্ছিলাম। সারাদিনের আবহাওয়া বেশ উপভোগ্য থাকবে বলে জানলাম। আবহাওয়া দারুণ হলেও সহযাত্রীদের মধ্যে একটা চাপা উদগ্রীবতা দেখতে পেলাম। উদগ্রীবতা থাকারই কথা। আমরা একশ তরুণ ভারতে এসেছি ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন প্রকল্পের আওতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে। আমাদের ট্যুর শিডিউল অনুসারে আজ রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হওয়ার কথা।

পড়ন্ত বিকেলে আমাদেরকে বহনকারী গাড়ি বহর এসে থামল ফোরকোর্টে। গাড়ি থেকে নেমে বামে ঘুরতেই চোখে পড়ল ক্লাসিক ইউরোপিয়ান ও ভারতীয় স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন; রাষ্ট্রপতি ভবন! হলুদাভ বেলে পাথরে নির্মিত এ ভবনের সৌন্দর্য আর বিশালতা দেখে বিস্ময়ে আমার মত সতীর্থ অনেকেরই মুখ 'হা' হয়ে গিয়েছিল।

এডউইন লুটিয়েনস ও হার্বার্ট বেকারের নকশায় তৈরি এ প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসটি পৃথিবীর সুন্দরতম ভবনগুলোর অন্যতম। শুধু তাই নয়, পৃথিবীর সবচাইতে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের সাংবিধানিক প্রধানের এই বাসভবনটি আকারে আয়তনে সারা দুনিয়ার যে কোন রাষ্ট্রপ্রধানের বাসভবনের চাইতে বড়। রাষ্ট্রপতি ভবন কমপ্লেক্সটি ৩৩০ একরের সুবিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অবস্থিত। চারতলা ভবনটিতে কামরা আছে ৩৪০টি। এ কমপ্লেক্সের ১৯০ একরের বাগানে আছে হাজারও প্রজাতির গাছ।

১৯২৯ সালে যখন ভবনটি তৈরি হয়, তখন এর নাম ছিল ভাইসরয়’স হাউস। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীন হওয়ার পর এই ভবনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় গভর্নমেন্ট হাউস। পরে রাষ্ট্রপতি ড. রাজেন্দ্র প্রসাদের সময় এর নাম হয় রাষ্ট্রপতি ভবন। ২৯ হাজার লোক ১৭ বছর ধরে এই ভবনটি তৈরি করেন। সাম্রাজ্যিক আধিপত্য এবং ক্ষমতার প্রতীক থেকে, ভবনটি আজ ভারতীয় গণতন্ত্র এবং এর ধর্মনিরপেক্ষ, বৈচিত্র্যময় এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ঐতিহ্যের প্রতীক।

বাংলাদেশ থেকে আগত ইয়ুথ ডেলিগেটসদের সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হবে দরবার হলে। ফোরকোর্ট থেকে দরবার হলে ঢোকার জন্য মাড়াতে হবে প্রশস্ত ৩১ খানা সিঁড়ি। লাল বেলে পাথরের সিঁড়িতে গালিচা বিছিয়ে রাখা হয়েছে আমাদের জন্য। জীবনের প্রথম লাল গালিচা দিয়ে হেঁটে যাবার অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা দুষ্কর। ভবনের বেদীতে উঠে খানিকটা হেঁটে গেলেই দরবার হল। এই বৃত্তাকার দরবার হলেই রাষ্ট্রপতি উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। ভারত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান করা হয় এ দরবার হলেই।

দরবার হলে পা রেখেই একটা অন্যরকম প্রশান্তির পরশে যেন বুকটা শীতল হয়ে গেল। ভবনের সুউচ্চ ছাদ থেকে ঝোলানো মখমলের লাল পর্দার নিচে পাতা আছে রাষ্ট্রপতির জন্য আসন। তার সামনে সারি ধরে পাতা হয়েছে আমাদের জন্য চেয়ার। রাজকীয় চেয়ারে টান হয়ে বসলাম আমরা। কিছুক্ষণ পরেই আসল রাজকীয় ইউনিফর্ম পরা প্রেসিডেন্ট গার্ড। এরপরে পিন পতন নীরবতা। খানিক পরেই ঘোষণা করা হল 'মহামান্য রাষ্ট্রপতি দরবার হলে প্রবেশ করছেন'। আমরা সবাই দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতিকে সম্মান জানালাম। প্রবেশদ্বারের পরে দ্বিতীয় সারিতে আমার আসন। ঠিক পাশ দিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু হেঁটে গেলেন; এ অনুভূতিটা একেবারেই ভিন্নরকম।

আমাদের এ সফরের প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্ত ছিল চমকে পরিপূর্ণ। রাষ্ট্রপতি ভাষণ শুরুর পূর্বে বাংলায় জিজ্ঞাসা করলেন 'কেমন আছেন'। ছোট দুটি শব্দ। প্রতিদিন শতবার শুনি আমরা। কিন্তু রাষ্ট্রপতি মুর্মুর মুখে থেকে শব্দ দুটি শুনে আবেগপ্রবণ হয়েছি। কর্ণ ইন্দ্রিয় যেন পুলকিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি তার ভাষণের পুরোটা সময় জুড়ে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির প্রশংসা করলেন। জানালেন বাংলাদেশের তরুণদের অগ্রযাত্রায় তার মুগ্ধতার কথা।আগামীতে বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় যাবে দৃঢ়তার সাথে সে আশাবাদও ব্যক্ত করলেন। আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো বিনয়ী মানুষটির বক্তব্য শুনছিলাম। আট মিনিটের মোহনীয় বক্তব্য যেন নিমেষে শেষ হয়ে গেল।

দরবার হলের অনুষ্ঠান শেষে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয় অশোকা হলে। লং ড্রইংরুম আর ব্যাঙ্কুয়েট হলের সামনের করিডোর দিয়ে যাওয়া যায় অশোকা হলে। রাষ্ট্রপতি ভবনে যতগুলো করিডোর আছে তা একসাথে হিসেব করলে লম্বায় হবে আড়াই কিলোমিটার! করিডোরের দুপাশের দেয়াল জুড়ে বিখ্যাত সব শিল্পীদের চিত্রকর্ম ঝোলানো। পৃথিবীতে কিছু অভিজ্ঞতা নিজে পরখ না করলে সেই অভিজ্ঞতার সুখানুভূতি অন্যকে ঠিকঠাক বোঝানো যায় না। রাষ্ট্রপতি ভবনের করিডোর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার অভিজ্ঞতাটা ঠিক এমনই। করিডোরের বাঁকে বাঁকে দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা প্রেসিডেন্ট গার্ড। মিষ্টি করে মুচকি হেসে আমাদের সম্ভাষণ জানাচ্ছিলেন তারা।

আশোকা হলে প্রবেশের পরে হলের দেয়ালে আর ছাদের সুনিপুণ কারুকার্য ও শিল্প কর্ম দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল আমাদের। রাষ্ট্রপতি ভবনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং সুসজ্জিত হলগুলোর মধ্যে একটি এই অশোকা হল। সুবিশাল ও শৈল্পিকভাবে তৈরি হলটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা হয়। এখানেই ভারতে অবস্থিত বিভিন্ন বিদেশি দূতাবাস প্রধানেরা রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন। এছাড়াও রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজ শুরুর আগে সফররত বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি এবং ভারতীয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পরিচিতির জন্য আনুষ্ঠানিক স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই আশোকা হল। এই হলেই রাষ্ট্রপতির সাথে ছবি তোলার সুযোগ পেলাম আমরা! হলের দুপাশে একসারি চেয়ার আর তার পেছনে দাঁড়াবার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। সামনের সারির ঠিক মাঝে রাষ্ট্রপতির জন্য আসন, তার দুপাশের দুই চেয়ারে বসবেন দুজন সচিব। আমাদের মেয়েরা প্রথমে সামনের সারিত বসল পরে বাকি ফাঁকা চেয়ারে বসল ছেলেরা। পেছনের সারিতে দাঁড়ালাম আমরা বাকি ছেলেরা। দু গ্রুপের দাঁড়ানো শেষ হলে রাষ্টপতি এলেন। ছবি তোলা শেষে সামনে দাঁড়িয়ে কুশল বিনিময় করলেন। হাস্যোজ্জ্বল মুখে ব্যাঙ্কুয়েট হলে বিকেলের নাস্তার আমন্ত্রণ করে জানতে চাইলেন আমাদের এই সফরে কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা। মানুষের সুখস্মৃতি নাকি ব্রেনের হিপ্পোক্যাম্পাসে সংরক্ষিত হয় পরবর্তী সময়ে বারবার মনে করে পুলকিত হওয়ার জন্য। আমাদের এ ক্ষণটা যেন হিপ্পোক্যাম্পাসের বড় একটা অংশ দখল করে নিল মুহূর্তেই।

অশোকা হলে থেকে বেরিয়ে লুটিয়েনস গ্র্যান্ড স্ট্যায়ারের পাশের করিডোর ধরে খানিক হাঁটলেই আসে ব্যাঙ্কুয়েট হল। লম্বায় ১০৪ ফুট, ৩৪ ফুট চওড়া আর ৩৫ ফুট উচ্চতার এ হলের জৌলুষ যে কাউকে মুগ্ধ করবে। বার্মিজ সেগুন কাঠের প্যানেলিং কার্নিশ থেকে মেঝে পর্যন্ত নেমে এসেছে। আর দেয়াল জুড়ে শোভা পাচ্ছে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ড: রাজেন্দ্র প্রসাদ, ড: সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণান, ড: জাকির হোসেন, ভি.ভি. গিরি, ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ, সঞ্জীব রেড্ডি, গিয়ানি জৈল সিং, আর ভেঙ্কটারমন, ড: শঙ্কর দয়াল শর্মা এবং কে আর নারায়ণন এর বিশাল আকৃতির তৈলচিত্র।

রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রিত রাষ্ট্রপ্রধান ও তাদের সফর সঙ্গীদের জন্য ভোজসভার আয়োজন করা হয় এখানেই। হলের মাঝ বরাবর পাতা আছে লম্বা টেবিল। দুপাশে পাতা রাজকীয় চেয়ার। একসাথে ১০৪ জন এ টেবিলে খেতে পারেন। রানী এলিজাবেথসহ বিশ্বের বাঘা বাঘা রাষ্ট্র প্রধানেরা ভারতের আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে এসে খেয়েছেন এ টেবিলেই। আজ আমাদের জন্য এ টেবিল-জুড়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে নানা ধরণের খাবার! ব্যাঙ্কুয়েট হলে পুরোটা সময় রাষ্ট্রপতির সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের অমায়িক ও বন্ধুবৎসল ব্যাবহারে বিমোহিত হয়েছে আমাদের সকলেই।

ইয়ুথ ডেলিগেশনের ফ্ল্যাগ অফ ইভেন্টে পূর্বে ভ্রমণ করে যাওয়া ডেলিগেটরা বলেছিলেন, 'জীবনের সেরা অভিজ্ঞতার অর্জন করতে যাচ্ছেন আপনারা'। তাদের প্রতিটি কথার মিল পেয়ে যাচ্ছি নিখুঁতভাবে । এ ট্যুরের প্রতিটি ধাপে যে সন্মান আর সমীহ পেয়েছি সেটা কোন কিছুর সাথে তুলনা হয় না।

খাবার পরে আমরা আট দশজন মিলে ব্যাঙ্কুয়েট হল ঘুরে দেখছি এমন সময় এগিয়ে এলেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাঞ্জিভ রাই। হাত বাড়িয়ে কুশল বিনিময় করলেন। বিনয়ের সাথে জানতে চাইলেন কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা। শুনতে চাইলেই ভারত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। জমে উঠল দারুণ আড্ডা। উঠে এলো দু-দেশের অভিন্ন কৃষ্টি - সংস্কৃতি আর ইতিহাস - ঐতিহ্যের চমৎকার মেলবন্ধনের কথা। প্রাণবন্ত এ আলোচনা ছেদ পড়ল সন্ধ্যায়। ফেরার সময় হয়েছে। চারপাশে চোখ মেলে দেখলাম ভবনের বাসিন্দাদের চোখগুলো যেন বলছিল ' আর কিছুক্ষণ থেকে যাও'।

'অতিথি দেব ভব' তথা অতিথি দেবতার মত। এ কথাগুলো শুধু ভারতীয় শাস্ত্রে নয় বাস্তবে প্রমাণ পাওয়া যায় সারা ভারত জুড়েই। ভবন থেকে বের হবার সময় করিডোর দিয়ে পাশাপাশি হেঁটে যাওয়ার সময় অনুভব করতে পারছিলাম মানুষ গুলোর সাথে এ অল্প সময়ে তৈরি হওয়া আত্মার সম্পর্ক। শুধু দুটি লাইনই মনে পড়ছিল বারবার, 'একটি মুহূর্ত বেঁচে থাকে একটি ক্ষণের তরে, স্মৃতি থেকে যায় আবহমান কাল ধরে'। রাষ্ট্রপতি ভবনের এই সুখ স্মৃতি চিরসবুজ থাকবে আজীবন।

লেখক: সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মী

   

বৃষ্টি নাকি ধান, কী প্রার্থনায় দেশ?



কবির য়াহমদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
বৃষ্টি নাকি ধান, কী প্রার্থনায় দেশ?

বৃষ্টি নাকি ধান, কী প্রার্থনায় দেশ?

  • Font increase
  • Font Decrease

‘পথের কেনারে পাতা দোলাইয়া করে সদা সঙ্কেত/ সবুজে হদুদে সোহাগ ঢুলায়ে আমার ধানের ক্ষেত/ ছড়ায় ছড়ায় জড়াজড়ি করি বাতাসে ঢলিয়া পড়ে/ ঝাঁকে আর ঝাঁকে টিয়ে পাখিগুলে শুয়েছে মাঠের পরে/ কৃষাণ কনের বিয়ে হবে, তার হলদি কোটার শাড়ী/ হলুদে ছোপায় হেমন্ত রোজ কটি রোদ রেখা নাড়ি/ কলমী লতার গহনা তাহার গড়ার প্রতীক্ষায়/ ভিনদেশী বর আসা যাওয়া করে প্রভাত সাঁঝের নায়।’ পল্লীকবি জসীম উদদীনের ‘ধান ক্ষেত’ কবিতার অপূর্ব চিত্রায়ন কৃষকের শ্রম-ঘাম আর প্রকৃতির তরফে। কাব্যে-পঙক্তির বিমূর্ত চিত্র মূর্ত হয়েছে বিস্তীর্ণ মাঠে। কিষান-কিষানির বুক ভরা আশার সার্থক রূপায়ন হতে চলেছে এ-মৌসুমে।

এখন ভরা বৈশাখ। এ-সময়টা বোরো ধানের। বোরো ধান দেশের খাদ্যচাহিদার অন্তত ৫৫ শতাংশ মিটিয়ে থাকে। দেশের হাওরভুক্ত ৭টি জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওরে এই বোরোর চাষ বেশি হয়ে থাকে। এই ধান অতিবৃষ্টি, বন্যা ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে দেশের খাদ্যচাহিদায় ঘাটতি পড়ে না। তাই এই ধান চাষ থেকে শুরু করে ঘরে ফসল তোলা পর্যন্ত অনুকূল আবহাওয়া, বিশেষ করে রোদের উপস্থিতি অতি জরুরি। বর্তমানে সে পরিস্থিতি চলছে।

সিলেট অঞ্চলের মানুষ বলে এই অঞ্চলের মানুষের চাওয়া-পাওয়া, হতাশা-উচ্চাশার সঙ্গে আমি পরিচিত। তাদেরকে উদাহরণ হিসেবে টানছি। তাদের সঙ্গে থেকে জেনেছি, বোরো মৌসুমে নির্বিঘ্নে ঘরে ফসল তোলা কতটা জরুরি। গবাদি পশুর খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে জরুরি খড় সংরক্ষণও। তীব্র রোদ এখানে সমস্যার নয়, এটা বরং আনন্দের। কারণ এই রোদ গা পোড়ালেও বুক ভরা আশার সার্থক বাস্তবায়নের পথ দেখায়। দেশের যে খাদ্যচাহিদা, যে খাদ্যনিরাপত্তা সেটা এই বোরো ধানের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। তাই চাষ থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যায়ে দরকার হয় প্রকৃতির সহায়তা। এবার এখন পর্যন্ত সে সহায়তা আছে, যদিও এ মাসের শুরুর দিকে একবার ঝড়বৃষ্টিসহ শঙ্কার কালমেঘ হাতছানি দিয়েছিল। সেটা আপাতত দূরে সরেছে।

কিষান-কিষানির দরকার এখন তীব্র রোদ। তারা এটা পাচ্ছে। দেশে তীব্র তাপদাহ। এখানেও এর ব্যতিক্রম নয়। তবু তারা এই রোদের প্রার্থনায় রয়েছে। বৃষ্টি এখন তাদের কাছে দুর্যোগ-সম। কারণ এই বৃষ্টি এবং অতি-বৃষ্টিসৃষ্ট বন্যা তাদের স্বপ্নসাধ গুঁড়িয়ে ভাসিয়ে নিতে পারে সব। ২০১৭ সালের দুঃসহ স্মৃতি এখনও বিস্মৃত হয়নি সুনামগঞ্জের কৃষকেরা। সে বছর সুনামগঞ্জের ছোট-বড় ১৩৭ হাওরের ফসল বন্যায় এবার ভেসে গিয়েছিল। গতবার কৃষক নির্বিঘ্নে ফসল ঘরে তুলেছেন। এরআগের বছর অন্তত ২০টি হাওরের ফসলহানি হয়েছিল বন্যায়।

প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল ক্ষেতের ফসল, দেশের খাদ্যনিরাপত্তা। এখানে প্রচণ্ড তাপদাহ তাই প্রভাব ফেলে সামান্যই। রোদে পুড়ে, প্রয়োজনে ছাতা মাথায় দিয়ে কিষান-কিষানিরা স্বপ্ন তোলেন ঘরে। তারা বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা না করে বরং রোদ আরও কিছুদিন অব্যাহত রাখার প্রার্থনায় বসেন। কৃষকেরা পরিমিত বৃষ্টি চায় চৈত্র মাসে, বৈশাখে চায় খাঁ খাঁ রোদ্দুর, কারণ এই রোদে সোনালী ধান ঘরে ওঠে। লোককথার প্রচলিত, ধান তোলার মৌসুমে ঝড়বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে ফসল রক্ষা করার জন্য হাওরবাসীরা তন্ত্রসাধক বা ‘হিরাল’ ও ‘হিরালি’-দের আমন্ত্রণ জানাতেন। তারা এসে মন্ত্রপাঠ করে ঝড়বৃষ্টি থামানোর জন্য চেষ্টা করতেন। লোকায়ত বিশ্বাস থেকে আগেকার মানুষজন এমন আচার পালন করতেন। এসবে সত্যি কাজ হতো কিনা সেটা বিতর্ক এবং ব্যক্তি-বিশ্বাসসাপেক্ষ, তবে এই হিরাল-হিরালিদের আমন্ত্রণ বলে বৈশাখে একদম বৃষ্টি চায় না হাওরের কৃষক।

হাওরপারের মানুষেরা যখন রোদ অব্যাহত থাকার প্রার্থনায়, তখন দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহে পুড়তে থাকা মানুষেরা আছেন বৃষ্টিপ্রার্থনায়। দেশের জায়গায়-জায়গায় বৃষ্টি প্রার্থনায় ইস্তিস্কার নামাজ পড়া হচ্ছে, গণমাধ্যমে সচিত্র সংবাদ আসছে এর। কোথাও প্রবল বিশ্বাসে কেউ কেউ ‘ব্যাঙের বিয়ে’ দিচ্ছেন, এটাও বৃষ্টি প্রার্থনায়। সামাজিক মাধ্যমে গরমের তীব্রতার আঁচ মিলছে, বৃষ্টি নাকি ধান—কোনটা জরুরি এই প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ। কেবল তাই নয়, বাংলাদেশের প্রচণ্ড তাপদাহ নিয়ে বিশ্বমিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে দেশের মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে প্রতিবেদন করেছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি, এএফপি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া। গণমাধ্যমগুলো বলছে, প্রচণ্ড গরমের কারণে টানা দ্বিতীয় বছর বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের ঘোষণাও এসেছে। বৃষ্টি-প্রার্থনায় নামাজের আয়োজনের কথাও এসেছে বিশ্বমিডিয়ায়।

একদিকে প্রচণ্ড তাপদাহ, অন্যদিকে খাদ্যনিরাপত্তার প্রধান উপকরণ ধান ঘরে তোলার অনিশ্চয়তা—তবু অনেকের কাছে সাময়িক স্বস্তিই যেন মুখ্য। অথচ আর দিন দশেক বেরো আবাদ-এলাকায় বৃষ্টি না নামলে ধানগুলো ঘরে ওঠত কৃষকের। নিশ্চিত হতো খাদ্যনিরাপত্তার।

প্রকৃতির ওপর আমাদের হাত নেই, নিয়ন্ত্রণ নেই; তবু মনে করি আমাদের আকাঙ্ক্ষার প্রকাশে কৃষকদের গুরুত্ব থাকা উচিত। আমাদের চাওয়ায় হয়তো প্রকৃতির রীতি বদলাবে না, তুমুল রোদ্দুরের দেশে হঠাৎ বৃষ্টি নামবে না, তবে ধান ঘরে তোলার আগ পর্যন্ত রোদ্দুর কামনায় কৃষক স্বস্তি পাবে; ভাবতে পারবে এই দেশ আছে তাদের সঙ্গে।

কৃষকের জয় হোক। অন্তত বোরো-এলাকায় প্রকৃতি কৃষকের সঙ্গে থাকুক।

;

৫০ বছর আগে মহাকাশ থেকে তোলা পৃথিবীর ছবি আজও শ্রেষ্ঠ



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সালটা ১৯৬৮। বিশ্বব্যাপী মানুষ মেতে উঠেছিল বড়দিনের আনন্দে। তখনো জানতো না, বড়দিন উপলক্ষে তারা একটি বিশেষ উপহার পেতে চলেছে। পৃথিবী থেকে আমরা হরহামেশাই চাঁদ দেখি। অমাবস্যা-পূর্ণিমা, এমনকি পক্ষের মাঝামাঝি সময়ের বদৌলতে নানা দৃষ্টিকোণে নানা আকারের চাঁদ দেখতে পাই। তবে চাঁদ থেকে পৃথিবী দেখতে কেমন? এরকমটা হয়তো অনেকেই ভাবেন।

নাসার মহাকাশচারীরা অ্যাপোলো ৪ এ করে তখন চাঁদের চারপাশে টহল দিচ্ছে। সেখান থেকে তারা চাঁদের বাসকারীদের দৃষ্টিতে পৃথিবী কেমন হবে তার এক নমুনা জোগাড় করেন। ক্রিসমাসের কিছুদিন আগে ক্রুরা চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার সময় ব্যারেন লুনার হরিজোন থেকে একটি ছবি তোলে। সেখানে সুদূর মহাকাশ থেকে পৃথিবীর একটি সুন্দর দৃশ্য ধারণ করা হয়। চমৎকার সেই রঙিন ছবিটি সবকিছু পরিবর্তন করতে চলেছিল।

ছবিটি তুলেছিলেন মার্কিন নভোচারী বিল অ্যান্ডার্স এবং জিম লাভেল। ছবিটি ধারণ করার পর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে যান। অর্ধ শতাব্দী পার হয়ে যাওয়ার পরও এটিকে প্রকৃতির সবচেয়ে আইকনিক ছবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এটিই মহাকাশ থেকে তোলা প্রথম রঙিন এবং উচ্চ রেজুলেশনের ছবি।

১৯৭০ সালে পরিবেশ সচেতনতা এবং এই ব্যাপারে সক্রিয়তা বাড়ানোর উদ্দেশে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে পৃথিবী দিবস প্রচারিত হওয়ার কারণে ছবিটিকে বিশেষ কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ফটোগ্রাফিক সোসাইটির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাইকেল প্রিচার্ড ছবিটিকে নিখুঁত দাবি করেন। তিনি বলেন, এই ছবিটি পৃথিবীর এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছিল, যা আগে কোনো ছবি করতে পারেনি। প্রকাণ্ড মহাবিশ্বে পৃথিবীর অস্তিত্ব কতটা ক্ষুদ্র গ্রহ, তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ছবিটি।

১৯৬০ সালের পরই পৃথিবী নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে শুরু করে। ষাটের দশকের শেষভাগে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের মানুষ অনুধাবন করে পৃথিবীকে আজীবন একইভাবে ব্যবহার করা যাবে না। গ্রহের প্রতি আমাদের আরও অনুরাগী হতে হবে। সেই উদ্দেশে ১৯৬৯, ‘৭০ ও ‘৭১ সালে ‘ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ’, মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি’ এবং ‘গ্রিনপিস’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই ছবিটি প্রকাশের ১৮ মাস পর ২০ মিলিয়ন মার্কিন নাগরিক পৃথিবী রক্ষার আন্দোলনে রাস্তায় নামে।

পৃথিবী রক্ষা করার জন্য মানুষদের উৎসাহিত করার বেলায় ছবিটি অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। এখনো অবদি মহাকাশ থেকে পৃথিবীর পাঠানো ছবিগুলোর মধ্যে ১৯৬৮ সালে বড়দিনের আগে তোলা সেই ছবিটিকে শ্রেষ্ঠ বিবেচনা করা হয়।

;

মাঝরাতে আইসক্রিম, পিৎজা খাওয়া নিষিদ্ধ করল মিলান!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: স্কাই নিউজ

ছবি: স্কাই নিউজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসক্রিম, পিৎজা অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাঝরাতে এসব মুখরোচক খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ইতালিতে জেলাটিনের তৈরি আইসক্রিম খুব বিখ্যাত। এজন্য ইতালিতে 'জেলাটো সংস্কৃতি' নামে একটা কালচার গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইতালির মিলানের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।

মিলানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মাঝরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আইসক্রিম, পিৎজা, ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার ও পানীয় পান করে থাকে। এতে করে সেখানকার এলাকাবাসীদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে শহরবাসীর রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে মধ্যরাতের পর পিৎজা ও পানীয়সহ সব ধরনের টেকওয়ে খাবার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে, তৎকালীন মেয়র গিউলিয়ানো পিসাপিয়া অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু 'অকুপাই জেলাটো' আন্দোলনসহ তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এরপর আবারও মিলানে এ আইনটি প্রস্তাব করেছেন ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্রানেল্লি। দেশটির ১২টি জেলা এই প্রস্তাবের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মিলানের মেয়র গ্রানেল্লি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিকতা ও বিনোদন এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ: নোলো, লাজারেটো, মেলজো, ইসোলা, সারপি, ভায়া সিজারিয়ানো, আরকো ডেলা পেস, কোমো-গাইআউলেন্টি, পোর্টা গ্যারিবল্ডি, ব্রেরা, টিসিনিজ এবং দারসেনা-নাভিগলি।

জানা যায়, প্রস্তাবটি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর থাকবে এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি প্রতিদিন রাত ১২.৩০ টায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারী ছুটির দিনে রাত ১.৩০ টা থেকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মে মাসের শুরু পর্যন্ত আপিল করার এবং আইন পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার সময় রয়েছে।

 

 

 

;

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজ কুকুর ফিরলো যুক্তরাজ্যের মালিকের কাছে



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয় যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির পালিত কুকুর। যুক্তরাজ্যে আসার ১৭ দিন পর মিলো নামের কুকুরটিকে ফিরে পেয়েছেন জেসন হোয়াটনাল নিক রোল্যান্ডস দম্পতি।

হোয়াটনাল এবং তার সঙ্গী নিক সম্প্রতি তাদের কুকুর মিলোকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া পরিদর্শনে যান। তারা যখন সোয়ানসিতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তখন মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার হ্যান্ডলার থেকে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী কুকুরটিকে অবশেষে মেলবোর্নের শহরতলিতে ১৭ দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়।


হোয়াটনাল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘মিলোকে ফিরে পাওয়াটা খুবই আশ্চর্যজনক ছিল আমার জন্য। যখন আমি আমার প্রিয় মিলোর (কুকুর) সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিলাম, তখন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কান্না দেখে অন্যরাও কেঁদেছিল। এটি সত্যিই আবেগপ্রবণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য প্রান্তে থেকে মিলোর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম না মিলো কোথায় আছে। এটি বেশ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য, কিছুটা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাকে ফিরে পাবো ভাবিনি।

মিলোকে পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলাম, তখন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য আসে, তারা মিলোর সন্ধান দেয়। মিলোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

;