অরণ্যে-মাজারে-মন্দিরে (দুই)



সাঈদ চৌধুরী
অরণ্যে-মাজারে-মন্দিরে

অরণ্যে-মাজারে-মন্দিরে

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাতঃভ্রমণে প্রতিদিন রংধনু থেকে লাক্কাতুরা ও মালনীছড়া চা বাগানের প্রান্তসীমা ঘুরে আসি। লাক্কাতুরা চা বাগান সিলেট শহরের বিমান বন্দর সড়কে মনোলোভা পরিবেশে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম চা বাগান। ইংরেজ সাহেব হার্ডসনের হাত ধরে ১৮৫৪ সালে ১৫০০ একর জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে অবশ্য বেসরকারি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।

প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের আনন্দ ভ্রমণ আর উচ্ছল সময় কাটানোর প্রথম পছন্দের স্থান এটি। বিশাল এই বাগানটি থেকে প্রতি বছর ৫ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়। এর পাশেই উপমহাদেশের সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত মালনীছড়া চা বাগান। এখানে চায়ের পাশাপাশি কমলা ও রাবার চাষ হয়। পাশে রয়েছে নান্দনিক পরিবেশে অবস্থিত সিলেট ক্যাডেট কলেজ। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ক্যাডেট কলেজ এটি। চা বাগান বেষ্টিত এই কলেজের সুবিশাল সবুজ উপত্যকা মনোমুগ্ধকর।
দরবেশ হযরত শাহ জালালের (রহ.) সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিনের (রহ.) মাজার সংলগ্ন মসজিদে ফজরের সালাত সেরে আমরা হাঁটা শুরু করি। আমার সাথে ৩ প্রবীণ আর ১ নবীন নিত্যসঙ্গী। সিলেট শহরে আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক প্রবীণ মুসলিমলীগ নেতা আলাউদ্দিন চৌধুরী না আসা পর্যন্ত যাত্রা শুরু হয় না। সরকারি কর্মকর্তা ও ঢাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশরাফ হোসেন মূলত মাতিয়ে রাখেন দুই ঘণ্টার প্রাতঃভ্রমণ।

মজুমদারি থেকে ডা. আব্দুস শহীদ খান অথবা তার ছোট ভাই সুলায়মান খান মাঝে মধ্যে যুক্ত হন আমাদের সাথে। সেদিন আমরা আম্বরখানা হয়ে দরগার দিকে যাই। ভোর বেলা যানবাহন বিহীন শহরে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। সূর্য ওঠার আগেই অনেক পথ হাঁটা হয়। হাঁটতে হাঁটতে প্রতিদিনই নতুন কিছু দেখি। সিভিল সার্জনের অফিস থেকে আলিয়া মাদরাসার মোড় পর্যন্ত গাছপালাগুলো খুবই ভাল লাগে। উল্টো দিকে অত্যাচারী পলাতক রাজা গৌর গোবিন্দের টিলা দেখে ইতিহাসের অনেক নির্মমতা চোখে ভাসে।

ডা. আব্দুস শহীদ খান সাথে থাকায় আমাদের কথাবার্তা স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক আলোচনায় রূপ নিয়েছে। তিনি বললেন, প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে প্রাতঃকালীন ভ্রমণ স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল। শরীরে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। মন অনেক চাঙ্গা থাকে। রক্ত চলাচল ও হরমোনের স্বাভাবিক ছন্দের প্রয়োগ ঘটার ফলে শারীরিক ক্লান্তিও দূর হয়। শরীরের ক্যালোরি পোড়ে। ফলে ফ্যাট ঝড়ে। ওজন হ্রাস পায়। হৃদয় ভাল থাকে। ভ্রমণ হৃদরোগ বা স্ট্রোকের হাত থেকে রক্ষা করে।

আলাউদ্দিন চৌধুরী বললেন, একসঙ্গে কয়েকজন ভ্রমণ করলে গল্প করতে করতে যাওয়া যায়। ভোরের বন্ধুদের সাথে গল্প করাটাও প্রাতঃভ্রমণের সুবিধার একটা দিক, যোগ করলেন আশরাফ হোসেন। এরই মাঝে চৌহাট্টায় ফুলের দোকান থেকে একটি গান ভেসে আসে, পাগল মন রে, মন কেন কথা বলে? গীতিকার ও সুরকার সম্ভবত আহমদ কায়সার এবং শিল্পী দিলরুবা খান।

আমাদের অবাক করে আশরাফ হোসেন গুন গুন করে সুর তোলেন, ‘কে বলে পাগল/ সে যেন কোথায়/ রয়েছ কতই দূরে/ মন কেন এত কথা বলে।/ ও পাগল মন, মন রে/ মন কেন এতো কথা বলে।/ মনকে আমার যত/ চাই যে বুঝাইতে/ মন আমার চায়/ রঙের ঘোড়া দৌড়াইতে। পাগল মন রে/ মন কেন এত কথা বলে/ ও পাগল মন, মন রে/ মন কেন এত কথা বলে/ আমি বা কে আমার/ মনটা বা কে?/ আজো পারলাম না/আমার মনকে চিনিতে।/ পাগল মন রে/ মন কেন এত কথা বলে/ ও পাগল মন, মন রে/ মন কেন এত কথা বলে।

আশি তোলায় সের হইলে/ চল্লিশ সেরে মণ/ মনে-মনে এক মন না হইলে/ মিলবে না ওজন।/ পাগল মন রে/ মন কেন এত কথা বলে/ ও পাগল মন, মন রে/ মন কেন এত কথা বলে/ কে বলে পাগল/ সে যেন কোথায়/ রয়েছ কতই দূরে/ মন কেন এত কথা বলে।/ ও পাগল মন, মন রে/ মন কেন এতো কথা বলে।

ছয়মাস ধরে একসাথে বেড়াই, আশরাফ যে এমন সুন্দর গান পারেন তা আমাদের জানা ছিল না। তার গানের গলা যেন মধুঝরা।

প্রাতঃভ্রমণ শেষে যখন ফিরছি, দরগা গেইটে সৌরভের সাথে দেখা। মাত্র একদিনের পরিচয় হলেও সৌরভ আমাকে দেখে এগিয়ে এল। যেন বহু দিনেরে চেনা-পরিচিত। জানতে চাইল আমি কোথায় যাব? বললাম বাসায় যাচ্ছি। আমার সাথে সেও হাঁটতে শুরু করল। আগের দিনের আলোচনা থেকেই আবারো দরগার চালচিত্র নিয়ে কথা শুরু হয়।

আম্বরখানা পয়েন্টে এসে আমরা একটি ফাস্ট ফুডের দোকানে ঢ়ুকি। পাশেই সুলভ বইঘর। প্রতিদিন এখান থেকে জাতীয় সংবাদপত্র নেই। মাঝে মধ্যে পাশের দোকানের জিলাপি খাই। এখানকার মচমচে জিলাপির জুড়ি নেই। আমাকে তারা একটু আলাদা খাতির করে। ফ্রেস জিলাপি বানিয়ে দেয়। আমার ইচ্ছা ও পছন্দ তাদের জানা আছে।

এই জিলাপির প্রস্তুত প্রণালি অন্যদের চেয়ে একটু আলাদা। একটি বড় বাটিতে ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার ও দই যত্ন সহকারে মিশায়। ভিনেগার ও পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ডো তৈরি করে। এতে সামান্য সোডা দেয় এবং কেচাপের বোতলে ডো নেয়। তারপর প্যানে তেল ও ঘি একসঙ্গে গরম করে। আমার জন্য ৩টি এলাচ ও ১ চামচ লেবুর রস যুক্ত করে। কেচাপের বোতল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে জিলাপির আকৃতিতে প্যানে ডো দিয়ে ভেজে নেয় জিলাপি। চিনির সিরা তৈরি করে কুসুম গরম থাকা অবস্থায় ভাজা জিলাপি ঢালে এবং ১০ সেকেন্ড পরে পরিবেশন করে।

মচমচে জিলাপিটা সৌরভের খুব পছন্দ হয়। খাওয়ার ফাঁকে আমাকে ধন্যবাদ জানায়। উচ্চ শিক্ষিত সৌরভ তার জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত, আশা-হতাশার অনেক কথা বলে চলেছে। আমিও তার চিন্তার চারণভূমিতে ঢুকে পড়েছি। নরসিংদী থেকে সিলেট এসেছে একমাসও হয়নি। একটি নতুন ব্যবসায় নেমেছে। সিলেট থেকে কামরূপ ট্যুর। ঢাকায় অন্য কোম্পানির প্রতিনিধি ছিল। এখন নিজেই ট্যুর অপারেশন শুরু করেছে। আপাতত কোন বাসা নেয়নি। তাই দরগায় দর্শনার্থীদের সাথে থাকে। সেখানেই লোকজনকে কামরূপ যাবার জন্য উদ্বুদ্ধ করে।

কামরূপ কামাক্ষা সম্পর্কে অসংখ্য গল্প-কাহিনী শুনেছি। ছোট বেলায় মাওলানা আব্দুল জলিল চৌধুরীর সাথে বদরপুর গিয়েছি। বদরপুরের ওয়াজের সময় জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে কোন ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়াই যাওয়া যেত। তখন কাউকে সাথে পাইনি বলে কামরূপ যাওয়া হয়নি।

আরেকবার ইফতেখার হোসেন শামীমসহ ঝর্ণা, পাহাড় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়া শিলং, চেরাপুঞ্জি ও মেঘালয় গিয়েছিলাম। তখন কামরূপ যাবার কথা ছিল, শেখ হাসিনা সিলেট আসবেন বলে শামীম ভাই দ্রুত ফিরতে হল। ফলে যাওয়া হয়নি। তাই কামরূপ ঘুরে দেখার আগ্রহ আমার ছিল। শিলং, কলকাতা, বুম্বে, দিল্লি, আগ্রাসহ ভারতের বহু এলাকায় গেলেও কামরূপ যাওয়া হয়নি কখনো। এক বিস্ময়কর স্থান হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত ভারতের এই জায়গাটি।

আসাম রাজ্যের গুয়াহাটি শহরের কামরূপ এলাকায় নীলাচল পর্বতে অবস্থিত কামাক্ষা মন্দির। শুনেছি মানুষ সেখানে যায় যাদু শেখার জন্য। তারা মন্ত্র শিখে শক্তিশালী তান্ত্রিকে পরিণত হয়। সেই জাদুর নগরীতে যাবার পরিকল্পনা করে ফেলি সৌরভের সাথে।

গাঁজা সেবন করছে এক পাগল

পরের সপ্তাহে একটি ট্যুর যাবে। আমিসহ ৭ জনের মধ্যে ৩ জন যাবেন ঢাকা থেকে কলকাতা হয়ে গুয়াহাটিতে। আর বাকিরা মেঘালয়ের ডাউকি সীমান্ত দিয়ে আসামে প্রবেশ করতে হবে।

সিলেটের তামাবিল দিয়ে ডাউকি সীমান্তে প্রবেশের পর সেখান থেকে শিলংয়ে যাওয়ার ট্যাক্সি নিলাম। চারজনের জন্য ট্যাক্সি ভাড়া ১৬শ রুপি। এরপর শিলং থেকে গুয়াহাটি যাবার জন্য একটি জিপ নিলাম। জিপের সিট প্রতি ৮০ রুপি দিতে হল। গুয়াহাটির পল্টন বাজার থেকে লোকাল বাসে করেই রহস্যে ঘেরা কামরূপ গিয়ে পৌঁছলাম।

রেল স্টেশন রোডে একটি হোটেলে উঠলাম আমরা। ১ হাজার রুপি সিঙ্গেল রুমের ভাড়া। অনুষ্ঠান উপলক্ষে হোটেলটি বেশ জমকালো ভাবে সাজানো হয়েছে। রুমের কোনোটির বহির্ভাগ বাদ্যযন্ত্র দিয়ে সাজানো, কোনোটির রুমই যেন আস্ত একটা রেকর্ডিং স্টুডিও।

স্টেশন এলাকায় রেস্তোরাঁ গুলোতে ২শ থেকে ৩শ রুপির মধ্যে খাওয়া যায়। সীফুড প্রেমীদের জন্য একটি বিশেষ রেস্তোরাঁ আছে, যেটি আমার খুব পছন্দ ছিল। সৌরভ বলল, প্রথমে নিরামিষ খাবার, তারপর মাছ এবং সবশেষে মাংস। এতো টাকায় খাবেন, সব খেতে হবে।

কামরূপ কামাক্ষায় দুনিয়ার সব কুসংস্কার আর ঝাড়ফুঁকে বিশ্বাসী মানুষের ঢল নেমেছে। ওঝা, বৈদ্য, কবিরাজ, ফকির, সাধু আর সন্যাসীর অভাব নেই। স্থানে স্থানে লালরঙের কাপড় দিয়ে বিশেষ ধরনের পতাকা টাঙিয়ে আস্তানা গেড়েছে তারা। সবাই কামাক্ষার দোহাই দিয়ে তাবিজ কবজ মানুষের হাতে ধরিয়ে দিয়ে ইচ্ছে মত টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিচ্ছে।

এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন এসেছেন। এর মধ্যে অনেক বাংলাদেশিও রয়েছেন। লন্ডন থেকে আসা একজনের সাথে দেখা হল। নিজের ঘরের মানুষটাকে বিশ্বাস হয় না তার। অথচ বিশ্বাস করছেন গাঁজা নামের সিদ্ধি আর নেশা জগতের এই মাদক সেবনকারীদের।

এখানে দেখা হল মনু পাগলার সাথে। শাহ জালালের (রহ.) মাজার টিলার পশ্চিমে ঝর্ণার কাছে সব সময় তাকে পাওয়া যায়। এই ঝর্ণাকে কেন্দ্র করে তারা আয় রোজগার করে। ঝর্ণাটি নানা অলৌকিক কীর্তি কিংবদন্তী রূপে এখনও প্রচলিত আছে। ঝর্ণায় প্রবাহিত পানি জমজমের পানির সদৃশ বলে এরা মানুষের মধ্যে আবেগ সৃষ্টি করে। সাধারণ মানুষ আরোগ্য লাভের জন্য এই পানি পান করে। ঝর্ণার পানি বোতলে করেও বিক্রি হয়।

মনু পাগলা আমাকে দেখে জড়িয়ে ধরে। তার হাতের হলদে রঙের পাউডারে আমার সাদা শার্ট রঙিন হয়ে যায়। আমার বিরক্তি বুঝতে পেরে মিনতির সাথে মুখে হাত বুলিয়ে দেয়। তাতেও হলদে রঙ মুখে লেগে আমাকে জোকারের মতো লাগছিলো। কিন্তু মনু পাগলার আন্তরিকতাকে ইগনোর করতে পারিনি।
মজার ব্যাপার হলো, সে আমাকে এমন একটি জিনিস দেখিয়েছে যা আমি আজো ভুলিনি। বলা যায়, কামরূপের আসল রহস্য মূলত মনু পাগলা আমাকে দেখিয়েছে। আমাদের দেশে সাধু-সন্যাসীগণ মানুষের মন জয় করার জন্য যেসব ভুয়া মন্ত্র পাঠ করেন তা সেখানে অর্থের বিনিময়ে সেখানো হয়। বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের ধর্ম, সংস্কুতি এবং পুরাণ বা মিথের আঙ্গিকে সাজানো ও পড়ানো হয়।

আমাদের দেশে মাজার-মন্দিরে সাধু-সন্যাসীগণ নেশায় ভুত হয়ে নানা রকম তন্ত্র-মন্ত্রের ধ্বনি দিতে থাকে। তারা কালো চিকার রক্তমাংস থেকে তৈরি বাম তেল, ভাদ্র মাসের মশার রক্ত থেকে তৈরি তেল, আশুক-মাশুক নামক গাছের পাতা, চিনা জুকের মাথা ইত্যাদি সংগ্রহের কথা বলে খরচ নেয়। কথিত ঘোড়ার লোম, বাঘের ছাল, মহিষের শিং আর পুড়ামাটি খাওয়াইয়া বা কবজে ঢুকাইয়া হাতিয়ে নেয় সহজ সরল মানুষের কষ্টার্জিত টাকা-পয়সা।

প্রেমে ব্যর্থ সুন্দরী মেয়েকে বশে আনা, অবাধ্য স্বামীকে বাধ্য করা, মামলা মকদ্দমায় জয়ী হওয়া বা কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অজ্ঞ মানুষজন সাধু সন্যাসীদের চরণে লুটিয়ে পড়ে। স্বপ্ন পূরণের জন্য সাধু বাবারে বিশ্বাস করে। হাজার হাজার টাকা তাদের দান দক্ষিণা দেয়। বিলেতেও এদের ব্যবসা বেশ রমরমা।

মনু পাগলা আমাকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে দেখালো ওঝা, বৈদ্য, কবিরাজ, ফকির, সাধু আর সন্যাসী কেউ পাগল নয়। অন্য পেশার মত এটা এক ধরনের পেশা। বরং বেশির ভাগ অপরাধী পালাতে গিয়ে বা প্রথম জীবনে ব্যর্থ-বিফল হয়ে এই পথে আসে। একসময় অঢেল রুজি ও অবৈধ যৌনাচারের সুবিধা পেয়ে শক্তিশালী তান্ত্রিকে পরিণত হয়। এদের অনেকে জুয়েল আইচসহ নামকরা যাদু শিল্পীদের নানা রকম যাদুর কৌশল ও ইন্ডিয়ান ক্রাইম সিরিজ দেখে সেগুলি রপ্ত করে। এর সাথে মন্ত্রের কোন সম্পর্ক নেই। মন্ত্র শুধু সাধারণ মানুষের মধ্যে ভাব জাগানোর মাধ্যমে ঠকানোর হাতিয়ার মাত্র।

মন্ত্রগুলোর একটি হল- অটকশাহ মটকশাহ/ আমি বড় গনকশাহ/ মাঝে একটা ফাড়া আছে/ দুশমন দুইজন লগে আছে/ দুশমন ছাড়াইতে গেলে- কালা একটা মুরগি লাগব/ সোয়া পাচ আনা পয়সা লাগব/ সাদা একখান ধুতি লাগব।/ ইছিম পাদরনে/ মা কদরনে/ মশাই তরনে/ কালা চিকা বাম তেল, ভাদোমাইয়া মশার তেল/ আশুক-মাশুকের পাতা/ ছয়কুড়ি চিনা জুকের মাথা/ হাটুতে ছুকাইয়া তালুতে ভরন দিতে হবে।/ আল্লাবান, কুরানবান, আয়াতুল কুরছিবান/ ছয়কুড়ি ছয়বান ছাড়িবে/ ইষৎ মহাদেবী যথাচিরি ভূমিতে পড়িবে।

এজাতীয় মন্ত্রগুলি বলার বা আবৃত্তি করার একটা ভন্ডামি স্টাইল আছে, সেটাও তারা শিখিয়ে দেয়। (চলবে স্মৃতির ডাইরি থেকে)

লেখক: লন্ডন প্রবাসী। সাংবাদিক, কবি ও কথা সাহিত্যিক।

   

এক ঘরেই তিন বলী



তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
দুই ছেলের সঙ্গে খাজা আহমদ বলী/ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

দুই ছেলের সঙ্গে খাজা আহমদ বলী/ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

চুল থেকে দাড়ি-সবই সফেদ। হাঁটাচলায় মন্থর। স্বাভাবিকভাবেই প্রবীণের বয়সটা আঁচ করা যায় প্রথম দেখাতেই। কিন্তু তার ষাটোর্ধ্ব বয়সটা যেন কেবল ক্যালেন্ডারের হিসাব। বয়স যতই ছোবল বসানোর চেষ্টা করুক না কেন-তিনি যেন এখনো ২৫ এর টগবগে তরুণ। সেই বলেই তো ফুসফুসের রোগবালাইকে তুড়ি মেরে ঐতিহাসিক আবদুল জব্বারের বলীখেলা এলেই হাজির হয়ে যান রিংয়ে। এক দুবার নয়, এবার কিনা পূর্ণ হলো সুবর্ণজয়ন্তী!

চট্টগ্রামের অন্যতম আবেগের ঠিকানা ঐতিহাসিক এই বলীখেলার বড় বিজ্ঞাপন হয়ে ওঠা এই বলীর নাম খাজা আহমদ বলী। ৫০ বছর ধরে বলীখেলায় অংশ নিয়ে দর্শকদের আনন্দ দিয়ে যাওয়া এই বলীর এখন পড়ন্ত বয়স। ফুসফুসে বাসা বেঁধেছে রোগ। কানেও শোনেন কম। খাজা আহমদ বুঝে গিয়েছেন, তার দিন ফুরাচ্ছে। কিন্তু তিনি যে বলীখেলার স্মৃতি থেকে সহজেই মুছে যেতে চান না। সেজন্যই উত্তরসূরী হিসেবে এরই মধ্যে গড়ে তুলেছেন নিজের দুই ছেলেকে। বাবার পাশাপাশি দুই ভাইও এখন বলীখেলার নিয়মিত প্রতিযোগী।

খাজা আহমেদ বলীর বাবাও বলীখেলায় অংশ নিতেন। বাবার সঙ্গে বলীখেলায় এসে ১৯৭৪ সালে শখের বসে খেলতে নামেন খাজা আহমেদও। বয়স তখন ১২ বছরের আশপাশে। সেই শুরু, আর কোনোদিন মিস করেননি বলীখেলায় অংশ নেওয়া। একবার চ্যাম্পিয়নের গৌরবও অর্জন করেছিলেন। বহু বছর ধরে খাজা আহমেদ বলী ও সত্তরোর্ধ্ব মফিজুর রহমানের ‘বলীযুদ্ধ’ জব্বারের বলীখেলার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে এই দ্বৈরথ হয়তো আর দেখা যাবে না। দুই বছর আগে উৎপত্তি হওয়া ফুসফুসের রোগটা ইদানিং যে খাজা আহমদকে বেশিই ভোগাচ্ছে। সেজন্য গতবছর অবসরের ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার দুই ছেলেকে নিয়ে বলীখেলায় এসে আবেগ সামলাতে পারেননি খাজা আহমেদ। ছেলেদের সঙ্গে নিজেও নেমে পড়েন রিংয়ে। সেজন্য আরও একবার মফিজুর রহমান-খাজা আহমেদের লড়াই দেখল হাজারো দর্শক। যদিওবা যৌথ বিজয়ী ঘোষণা করে দুজনের মুখেই হাসি ফুটিয়েছেন রেফারি।

প্রতিপক্ষ মফিজুর রহমানের সঙ্গে বলী-যুদ্ধে খাজা আহমদ

কেন অবসর ভাঙলেন এমন প্রশ্নে হাসি খেলা করে যায় খাজা আহমেদ বলীর মুখে। বলতে থাকেন, ‘বয়সের কারণে শরীর দস্ত। ফুসফুসও ঠিকঠাক কাজ করছে না। সেজন্য অবসর নিয়েছিলাম। কিন্তু বলীখেলায় আসার পর দেখলাম দর্শকেরা সবাই অনুরোধ করছেন। সেজন্য মন বলল, না খেললে দর্শকদের প্রতি অন্যায় হবে। আর আবেগ ও ভালোবাসার কাছে বয়স-রোগ পেরেছে কবে?’

তবে এখানেই সব শেষ, বলে দিয়েছেন খাজা আহমেদ বলী। বলেছেন, ‘বয়স হয়ে গেছে। মনে হয় না আর খেলতে পারব। অসুখটা বেশি যন্ত্রণা দিচ্ছে। সেজন্য মনে মনে মেনে নিয়েছি এটাই আমার শেষ অংশগ্রহণ। বাকিটা আল্লাহর হাতে।’

তিন ছেলে ও এক মেয়ের বাবা খাজা আহমদের বাড়ি চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায়। কৃষিকাজ করেই চলে সংসার। তবে বলীখেলা এলে সব কাজ বাধ। কয়েকদিন ধরে চলে প্রস্তুতি। নিজের স্মৃতি ধরে রাখতে এরই মধ্যে খাজা আহমেদ নিজের দুই ছেলেকে গড়ে তুলেছেন বলী হিসেবে। ২০১২ সাল থেকে বলীখেলায় নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন তার বড় ছেলে মো. সেলিম। গত বছর থেকে যোগ দিয়েছেন ছোট ছেলে মো. কাইয়ুমও। এখন বলীখেলার আগে দুই ছেলেকে নিয়ে চলে খাজা আহমদের প্রস্তুতি।

জানতে চাইলে সেলিম বলেন, ‘বাবার কাছ থেকে আমরা বলীখেলা শিখেছি। বয়সের কারণে বাবা এখন অসুস্থ। হয়তো আর খেলা হবে না। সেজন্য তার উত্তরসূরী হিসেবে আমরা বলীখেলায় অংশ নেব সামনের দিনগুলোতে। এটা শুধু পরিবারের বলীর প্রজন্ম ধরে রাখার জন্য নয়, তরুণদের মাদক-সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগও।’

বাবাকে পাশে রেখে একই কথা বললেন ছোট ছেলে মো. কাইয়ুমও। বলেন, ‘হয়তো বাবা আর খেলবেন না। তবে তিনি না খেললেও যতদিন বেঁচে থাকবেন বলীখেলা দেখতে আসবেন। রিংয়ের নিচে দাঁড়িয়ে আমাদের উৎসাহ দিয়ে যাবেন।’

ছেলের কথা শুনে আবেগ খেলে যায় খাজা আহমেদ বলীর মনে। কাঁধের গামছাটা হাতে তুলে নিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বললেন, ‘না খেললেও যতদিন বাঁচি এখানে, এই বলীর মাঠ লালদীঘি ময়দানে ছুটে আসব। এটা থেকে দূরে থাকতে পারব না।’

খাজা আহমেদ যখন কথা বলছিলেন দূরে কোথাও তখন মাইকে বাজছিল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই অমর গান। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় অক্লান্ত গলায় গেয়ে চলেছেন, যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে, আমি বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে...

;

চাকরি ছেড়ে বসের সামনেই ঢোল বাজিয়ে নাচলেন যুবক!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিত্যদিনের অফিসের কর্মপরিবেশে অনেকের মধ্যেই 'বিরক্তি' চলে আসে। তবুও ধৈয্য নিয়ে সব সহ্য করে টিকে থাকার জন্য চালিয়ে যান লড়াই। তবে এ যাত্রায় সকলের দ্বারা টিকে থাকা সম্ভব হয় না। অফিসের 'বিষাক্ত' কর্মপরিবেশে অনেকেই ভোগেন মানসিক সমস্যায় কিংবা ব্যক্তিজীবনে। এমন পরিবেশ থেকে বাঁচতে একেক জন একেক পন্থা অবলম্বন করে থাকেন।

তবে অনিকেত নামের এক যুবক এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে যা করেছেন নেট দুনিয়ায় তা রীতিমতো ভাইরাল। এসব থেকে মুক্তি পেতে চাকরিটাই ছেড়ে দিয়েছেন এই যুবক। এতেই ক্ষান্ত হননি তিনি, বসের সামনেই ঢাকঢোল বাজিয়ে নেচে উদযাপন করেছেন এমন মুহূর্তের।

ঘটনাটি ভারতের পুনে রাজ্যের। অনিকেত নামের ওই যুবক বিক্রয় সহযোগী হিসেবে চাকরি করতেন।

তার এমন উদযাপনের একটি ভিডিও ইন্সটাগ্রাম শেয়ার করেছেন অনীশ ভগত।

ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, গত তিন বছর ধরে এই কোম্পানির সাথে কাজ করেও বেতন খুব একটা বাড়েনি। এছাড়াও অফিসের বসের দ্বারাও তাকে বিভিন্ন সময়ে অপমানিত হতে হয়েছে।

তাই তার কাজের শেষ দিনে বন্ধুরা অফিসের বাইরে ঢোল নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন এবং নেচেছিলেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, এ ঘটনায় তার বস অনেক উত্তেজিত হয়েছেন। পাশাপাশি তার বস লোকজনকে ধাক্কা দিয়েছেন এবং চিৎকারও করেছেন।

ভিডিওটির ক্যাপশনে ভগত লিখেছেন, আমি মনে করি আপনারা অনেকেই এর সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবেন। আজকাল বিষাক্ত কাজের সংস্কৃতি খুব বেশি দেখা যায়। সম্মান এবং অধিকারের অভাব খুবই সাধারণ। অনিকেত তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। আমি আশা করি এই গল্প মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।

পোস্ট করা ভিডিওটি এক মিলিয়নেরও (১০ লাখের বেশি) বেশি ভিউ পেয়েছে। পোস্টটিতে অসংখ্য লাইক ও কমেন্টও রয়েছে।

একজন ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি জানি না কেন এটি আমাকে এত সন্তুষ্ট করেছে।'

আরেকজন লিখেছেন, 'নাচটি আমাকে অন্য মাত্রার তৃপ্তি দিয়েছে।'

'আপনি সত্যিই আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে ইতিবাচক এবং উত্সাহী ব্যক্তি'- তৃতীয় একজন ঠিক এভাবেই নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস 

;

অভয়ারণ্যে মানুষ যখন বন্দিখাঁচায়



প্রমা কোয়েল, ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিড়িয়াখানা, নানানরকম পশুপাখি ও প্রাণীর বন্দিশালা। কেবল রং-বেরঙের চিড়িয়াই নয়; বাঘ, সিংহ, ভালুক, বানর, গণ্ডারসহ কত বন্যপ্রাণীই না খাঁচায় বন্দি থাকে!

চিড়িয়াখানায় রাখতে বন্য প্রাণীদের প্রকৃতির স্বাধীন জীবন থেকে ছিনিয়ে আনা হয়। তাদের খাঁচায় বন্দি করা হয় যেন, মানুষ তাদের দেখে আনন্দ পায়। অনেক প্রাণীর জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি খাঁচাতেই কেটে যায়।

ছোট থেকে বড় সব বয়সের মানুষই চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। শিশুরা না হয় অবুঝ! তবে যারা প্রাপ্তবয়স্ক তারাও চিড়িয়াখানায় এই বন্দি প্রাণীদের জীবনকে গভীরভাবে অনুধাবন করতে পারেন না।

এশিয়ার বড় দেশ চীনে রয়েছে, এক অদ্ভুত চিড়িয়াখানা। চংকিংয়ে অবস্থিত সেই চিড়িয়াখানার নাম ‘লেহে লেদু বন্যপ্রাণী চিড়িয়াখানা’। একে ‘রিভার্স জু’ (বিপরীত চিড়িয়াখানা) বলেও ডাকা হয়।

এখানেও মানুষ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে পশু দেখতে আসেন। তবে একেবারেই ভিন্ন উপায়ে। মূলত, একটি খাঁচা রয়েছে, যেখানে মানুষদের সেই খাঁচায় পুরা হয়। তারপর সেই খাঁচাবন্দি মানুষদের নিয়ে রাখা হয়, অভয়ারণ্যে। সেখানে বন্য প্রাণীরা মানুষের খাঁচার চারপাশে অবাধে ঘুরতে থাকে। চিড়িয়াখানায় বন্দি প্রাণীদের বন্দিজীবনের এক প্রতীকী দৃশ্য!

অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের জন্য এটি এক নতুন অভিজ্ঞতা!

অভয়ারণ্যে খাঁচায় বন্দি মানুষ, ছবি-সংগৃহীত

খুব কাছে থেকে হিংস্র বন্যপ্রাণীদের মুক্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যেমন লোমহর্ষক, ঠিক তেমনই আতঙ্কজনকও হতে পারে। বিপরীতধর্মী এই চিড়িয়াখানাটি সবার জন্য প্রথম উন্মুক্ত করা হয়, ২০১৫ সালে। তখন বিশ্বের সংবদমাধ্যমের শিরোনাম কেড়েছিল এ চিড়িয়াখানাটি।

একটি শক্ত লোহার খাঁচাবেষ্টিত দর্শনার্থীদের একটি ট্রাকে তুলে অভয়ারণ্যে রেখে দেওয়া হয়। সেখানে তাদের ঘিরে ধরে ঘুরতে থাকে বাঘ, ভালুক, সিংহ ইত্যাদি হিংস্র প্রাণী।

এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার প্রধান চ্যান লিয়াং বলেন, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা রক্ষার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। খাঁচার ফাঁকা অংশ দিয়ে হাতের আঙুলও বের না করার নির্দেশনা দেওয়া থাকে।

তবে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই চিড়িয়াখানাটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে অনেক। এর নৈতিকতা নিয়ে অনেকে প্রশ্নও তুলেছেন।

অনেকে মনে করেন, এরকম ব্যবস্থাপনায় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কারণ, শিকারী প্রাণীগুলো প্রচণ্ড হিংস্র। তাই, সে কারণে যে কোনো সময় বিপজ্জনক ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

আবার এরকম চিন্তাভাবনার প্রশংসাও করেছেন অপর একটি পক্ষ। তাদের বক্তব্য, পৃথিবীটা কেবল মানুষদের নয়। প্রকৃতিতে সব প্রাণীদের একটা ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন। তাদের বন্দি করে রাখা মানুষের উচিত নয়। কারণ, মুক্ত প্রকৃতিতে বিরাজ করার অধিকার সব প্রাণীরই রয়েছে।

তাদের মন্তব্য, আমরা প্রাণীদের আবাসস্থল বনজঙ্গল সব উজাড় করেছি। সে কারণে তাপমাত্রাও অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আবার প্রাণীদের বন্দি রেখে তাদের জীবন চরম দুর্বিষহ করে তুলি।

চাইলে এবং সুযোগ পেলে এই ধরনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে চিড়িয়াখানাটি ঘুরে আসতে পারেন বৈকি!

তথ্যসূত্র: এনিমেল অ্যারাউন্ড দ্য গ্লোব

;

৫ বছরের শিশুর বিস্ময়কর প্রতিভা!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বয়স সবে ৫ কিংবা ৬। এই বয়সেই তার প্রতিভা দেখে অবাক হবে যে-কেউ!

গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভিডিওটি ১ মিলিয়নের (১০ লাখের বেশি) বেশি মানুষ দেখেছেন। খবর এনডিটিভি। 

ভিডিওতে রিলি নামের ওই শিশুটিকে প্রথমে শ্বাস নিতে দেখা যায়। তারপর সে একটি শক্তিশালী গর্জন দিয়ে শ্বাস ছাড়ে। ওই গর্জনটি হুবুহ সিংহের গর্জনের অনুরূপ।

রিলির মা অ্যামি ভিডিওটি এক্সে শেয়ারের পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। শিশুটির এমন নিখুত দক্ষতা দেখে মুগ্ধ দর্শকরা। ভিডিওটিতে অনেকেই নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, এত অল্প বয়সে এমন বাস্তবসম্মত গর্জন তৈরি করার রিলির ক্ষমতার বিস্ময় প্রকাশ করে।

আরেকজন লিখেছেন, শিশুরা খুব দ্রুত শিখে। তার এমন প্রতিভা সত্যিই অবাক করার মতো।

;