বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসা: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা



ডা. রিফাত আল মাজিদ
ডা. রিফাত আল মাজিদ।

ডা. রিফাত আল মাজিদ।

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসা ব্যবস্থায় সার্বিকভাবে বাংলাদেশের নাজুক অবস্থা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। চিকিৎসক স্বল্পতা থেকে শুরু করে ডায়াগনোসিস ব্যবস্থা, যন্ত্রপাতির অপ্রুলতা ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগ নতুন কিছু নয়। জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাপে দিন দিন আরও নাজুক হচ্ছে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ।

সেই সাথে রয়েছে প্রাইভেট স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা ও তাদের ব্যবসায়ীক মনোভাব। চিকিৎসা সেবা অসহায় মানুষের জন্য অধিকার থেকে এখন করুনার বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরন ও সুযোগ সুবিধা ছাড়াই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সচল রেখে চলেছেন সারা দেশব্যাপী। এর মধ্যেই সবচেয়ে অবহেলিত হচ্ছে ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা। ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা ব্যবস্থায় কারোরই যেন অবহেলার অন্ত নেই।

দেশে সার্বিক ভাবে ক্যান্সার চিকিৎসায় যথোপযুক্ত সুযোগ সুবিধা ও চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ অপ্রতুল। রোগীর ভারে সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপেও সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হচ্ছে না। যেহেতু ক্যান্সার চিকিৎসা একটি জটিল চিকিৎসা পদ্ধতি তার থেকেও জটিল ক্ষেত্র বিশেষে ক্যান্সারের ডায়াগনোসিস।

রোগীদের একের পর এক টেস্ট দেয়া হচ্ছে কিন্তু চিকিৎসা শুরু করা যাচ্ছে না, টেস্টগুলো আবার অনেক ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ। এসবের পূর্নাঙ্গ ব্যবস্থাপনার ঘাটতি ও রোগীদের পর্যাপ্ত কাউন্সেলিং এর অভাবে তাদের মধ্যে ভুলবুঝাবুঝি এসব যেন নিত্য দিনের অবস্থা।

তাই আমাদের আগে জানতে হবে ক্যান্সার রোগটি অন্যান্য সকল রোগ থেকে অনেকটাই আলাদা। এখানে সিস্টেম অনুযায়ী বিভিন্ন স্টেইজ নির্ধারিত হয় এবং একেক স্টেজে চিকিকৎসা পদ্ধতিও হয় ভিন্ন ভিন্ন। সকল ক্যান্সার এক রকম নয়, এই ধারণাটা সবার আগে বুঝতে হবে। আবার একই জাতের ক্যান্সারের মাঝেও অনেক রকমভেদ রয়েছে। সেগুলোর উপরেও চিকিৎসা ভিন্ন ধরনের। সার্জারি, কেমোথেরাপি কিংবা রেডিওথেরাপি কোন অবস্থায় কখন কিভাবে দিতে হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়াও চিকিৎসকদের জন্য ক্ষেত্রবিশেষে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।

উন্নতদেশের মত আমাদের দেশে একজন রোগীর জন্য মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ড যেন আকাশকুসুম কল্পনা। যার কারনে এখানে থেকে সেখানে ছুটোছুটি করতে করতেই দীর্ঘায়িত হয় সঠিক চিকিৎসা। ক্যান্সার শনাক্তকরণের জন্য শুরুতে প্রয়োজন হয় বায়প্সি পরীক্ষা। আক্রান্ত স্থান থেকে মাংস কেটে এনে বিশেষজ্ঞ প্যাথলজিস্ট চিকিৎসক সেটি পরীক্ষা করেন।

আরও আছে এফ এন এ সি পরীক্ষা যেটি সুই দিয়ে করা হয়। এসব ক্ষেত্রে সবসময় সঠিক ডায়াগনোসিস করা যায় না। তবে একটা ধারনা পাওয়া যায় এবং অনেকক্ষেত্রে এর মাধ্যমেই সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া যায়। আবার কিছু ক্ষেত্রে এই পরীক্ষাটির সাইড ইফেক্টও হতে পারে। ঝুঁকি বিবেচনায় চিকিৎসকরা এটা করে থাকেন।

কিন্তু রোগী ও তার স্বজনরা সঠিক কাউন্সেলিং ও জ্ঞানের অভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না বা অন্যান্য জটিলতায় আটকে যান। ইকোনমিক বা আর্থিক জটিলতা ক্যান্সার চিকিৎসায় অন্যতম বাধা ও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

ক্যান্সারের ধরণ শনাক্ত করার জন্য করা হয় ইম্যুনো হিস্ট্রোক্যামিস্ট্রি। এই পরীক্ষাটা আপনার ক্যান্সারের প্রকৃত অবস্থা উদ্ভাবন করে এমনকি কোন ধরনের মেডিসিন প্রয়োগের মাধ্যমে আপনার রোগ নিরাময়ে সবচেয়ে বেশি উপযোগী হবে সেটা বের করে।

এছাড়াও ক্যান্সার চিকিৎসায় স্ট্যান্ডার্ড স্টেইজিং ইনভেস্টিগেশন লাগতে পারে যা সিটি স্ক্যান, এম আর আই, পেট সিটি স্ক্যান ইত্যাদি। এর বাইরে স্ক্রিনিং টেস্ট আছে অনেক সেগুলোও সহজলভ্য নয় সব যায়গায়। অথচ স্ক্রিনিং টেস্টগুলো অনেকের জীবনে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। প্রতিকার থেকে প্রতিরোধ বেশী গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্ক্রিনিং টেস্ট এর পাশাপাশি ডায়াগনস্টিক টেস্টগুলোও সহজলভ্য ও সহজসাধ্য করা জরুরী।

এতোগুলো পরীক্ষা করার মূল উদ্দেশ্য আপনাকে সঠিক চিকিৎসার দিকে ধাবিত করা বা ক্যান্সার হলে প্রাথমিক অবস্থায় চিহ্নিত করা। বিশ্বের সব দেশে এই সকল পরীক্ষা করার পরই ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু করা হয়। কাজেই আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই একটি প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে এবং এতেই আপনি যথার্থ চিকিৎসা এবং ফলাফল পাবেন।

এখন কথা হচ্ছে এই ধাপগুলো আমাদের দেশের দরিদ্র মধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য কতটা সহজলভ্য ও সহজভাবে বোধগম্য করার ব্যবস্থা করা হয়েছে? এসব জটিল হিসেব সাধারন মানুষ করতে না পেরে চিকিৎসায় অবহেলা করেন এবং দিন দিন পরিস্থিতি যে খারাপের দিকে যাচ্ছে সেদিকে খেয়াল থাকে না। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কী কী ব্যবস্থা নেয়া যায় দেশব্যাপী সাধারণ মানুষের জন্য সেসব নিয়ে আমাদের নীতিনির্ধারকদের এখনই ভাবতে হবে এবং দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ডা. রিফাত আল মাজিদ
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসার্চ ট্রাস্ট,বাংলাদেশ
ক্লিনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর, র‍্যামফিট মেডিকেল কনসাল্টেশন সেন্টার, মগবাজার, ঢাকা

   

এক ঘরেই তিন বলী



তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
দুই ছেলের সঙ্গে খাজা আহমদ বলী/ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

দুই ছেলের সঙ্গে খাজা আহমদ বলী/ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

চুল থেকে দাড়ি-সবই সফেদ। হাঁটাচলায় মন্থর। স্বাভাবিকভাবেই প্রবীণের বয়সটা আঁচ করা যায় প্রথম দেখাতেই। কিন্তু তার ষাটোর্ধ্ব বয়সটা যেন কেবল ক্যালেন্ডারের হিসাব। বয়স যতই ছোবল বসানোর চেষ্টা করুক না কেন-তিনি যেন এখনো ২৫ এর টগবগে তরুণ। সেই বলেই তো ফুসফুসের রোগবালাইকে তুড়ি মেরে ঐতিহাসিক আবদুল জব্বারের বলীখেলা এলেই হাজির হয়ে যান রিংয়ে। এক দুবার নয়, এবার কিনা পূর্ণ হলো সুবর্ণজয়ন্তী!

চট্টগ্রামের অন্যতম আবেগের ঠিকানা ঐতিহাসিক এই বলীখেলার বড় বিজ্ঞাপন হয়ে ওঠা এই বলীর নাম খাজা আহমদ বলী। ৫০ বছর ধরে বলীখেলায় অংশ নিয়ে দর্শকদের আনন্দ দিয়ে যাওয়া এই বলীর এখন পড়ন্ত বয়স। ফুসফুসে বাসা বেঁধেছে রোগ। কানেও শোনেন কম। খাজা আহমদ বুঝে গিয়েছেন, তার দিন ফুরাচ্ছে। কিন্তু তিনি যে বলীখেলার স্মৃতি থেকে সহজেই মুছে যেতে চান না। সেজন্যই উত্তরসূরী হিসেবে এরই মধ্যে গড়ে তুলেছেন নিজের দুই ছেলেকে। বাবার পাশাপাশি দুই ভাইও এখন বলীখেলার নিয়মিত প্রতিযোগী।

খাজা আহমেদ বলীর বাবাও বলীখেলায় অংশ নিতেন। বাবার সঙ্গে বলীখেলায় এসে ১৯৭৪ সালে শখের বসে খেলতে নামেন খাজা আহমেদও। বয়স তখন ১২ বছরের আশপাশে। সেই শুরু, আর কোনোদিন মিস করেননি বলীখেলায় অংশ নেওয়া। একবার চ্যাম্পিয়নের গৌরবও অর্জন করেছিলেন। বহু বছর ধরে খাজা আহমেদ বলী ও সত্তরোর্ধ্ব মফিজুর রহমানের ‘বলীযুদ্ধ’ জব্বারের বলীখেলার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে এই দ্বৈরথ হয়তো আর দেখা যাবে না। দুই বছর আগে উৎপত্তি হওয়া ফুসফুসের রোগটা ইদানিং যে খাজা আহমদকে বেশিই ভোগাচ্ছে। সেজন্য গতবছর অবসরের ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার দুই ছেলেকে নিয়ে বলীখেলায় এসে আবেগ সামলাতে পারেননি খাজা আহমেদ। ছেলেদের সঙ্গে নিজেও নেমে পড়েন রিংয়ে। সেজন্য আরও একবার মফিজুর রহমান-খাজা আহমেদের লড়াই দেখল হাজারো দর্শক। যদিওবা যৌথ বিজয়ী ঘোষণা করে দুজনের মুখেই হাসি ফুটিয়েছেন রেফারি।

প্রতিপক্ষ মফিজুর রহমানের সঙ্গে বলী-যুদ্ধে খাজা আহমদ

কেন অবসর ভাঙলেন এমন প্রশ্নে হাসি খেলা করে যায় খাজা আহমেদ বলীর মুখে। বলতে থাকেন, ‘বয়সের কারণে শরীর দস্ত। ফুসফুসও ঠিকঠাক কাজ করছে না। সেজন্য অবসর নিয়েছিলাম। কিন্তু বলীখেলায় আসার পর দেখলাম দর্শকেরা সবাই অনুরোধ করছেন। সেজন্য মন বলল, না খেললে দর্শকদের প্রতি অন্যায় হবে। আর আবেগ ও ভালোবাসার কাছে বয়স-রোগ পেরেছে কবে?’

তবে এখানেই সব শেষ, বলে দিয়েছেন খাজা আহমেদ বলী। বলেছেন, ‘বয়স হয়ে গেছে। মনে হয় না আর খেলতে পারব। অসুখটা বেশি যন্ত্রণা দিচ্ছে। সেজন্য মনে মনে মেনে নিয়েছি এটাই আমার শেষ অংশগ্রহণ। বাকিটা আল্লাহর হাতে।’

তিন ছেলে ও এক মেয়ের বাবা খাজা আহমদের বাড়ি চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায়। কৃষিকাজ করেই চলে সংসার। তবে বলীখেলা এলে সব কাজ বাধ। কয়েকদিন ধরে চলে প্রস্তুতি। নিজের স্মৃতি ধরে রাখতে এরই মধ্যে খাজা আহমেদ নিজের দুই ছেলেকে গড়ে তুলেছেন বলী হিসেবে। ২০১২ সাল থেকে বলীখেলায় নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন তার বড় ছেলে মো. সেলিম। গত বছর থেকে যোগ দিয়েছেন ছোট ছেলে মো. কাইয়ুমও। এখন বলীখেলার আগে দুই ছেলেকে নিয়ে চলে খাজা আহমদের প্রস্তুতি।

জানতে চাইলে সেলিম বলেন, ‘বাবার কাছ থেকে আমরা বলীখেলা শিখেছি। বয়সের কারণে বাবা এখন অসুস্থ। হয়তো আর খেলা হবে না। সেজন্য তার উত্তরসূরী হিসেবে আমরা বলীখেলায় অংশ নেব সামনের দিনগুলোতে। এটা শুধু পরিবারের বলীর প্রজন্ম ধরে রাখার জন্য নয়, তরুণদের মাদক-সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগও।’

বাবাকে পাশে রেখে একই কথা বললেন ছোট ছেলে মো. কাইয়ুমও। বলেন, ‘হয়তো বাবা আর খেলবেন না। তবে তিনি না খেললেও যতদিন বেঁচে থাকবেন বলীখেলা দেখতে আসবেন। রিংয়ের নিচে দাঁড়িয়ে আমাদের উৎসাহ দিয়ে যাবেন।’

ছেলের কথা শুনে আবেগ খেলে যায় খাজা আহমেদ বলীর মনে। কাঁধের গামছাটা হাতে তুলে নিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বললেন, ‘না খেললেও যতদিন বাঁচি এখানে, এই বলীর মাঠ লালদীঘি ময়দানে ছুটে আসব। এটা থেকে দূরে থাকতে পারব না।’

খাজা আহমেদ যখন কথা বলছিলেন দূরে কোথাও তখন মাইকে বাজছিল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই অমর গান। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় অক্লান্ত গলায় গেয়ে চলেছেন, যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে, আমি বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে...

;

চাকরি ছেড়ে বসের সামনেই ঢোল বাজিয়ে নাচলেন যুবক!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিত্যদিনের অফিসের কর্মপরিবেশে অনেকের মধ্যেই 'বিরক্তি' চলে আসে। তবুও ধৈয্য নিয়ে সব সহ্য করে টিকে থাকার জন্য চালিয়ে যান লড়াই। তবে এ যাত্রায় সকলের দ্বারা টিকে থাকা সম্ভব হয় না। অফিসের 'বিষাক্ত' কর্মপরিবেশে অনেকেই ভোগেন মানসিক সমস্যায় কিংবা ব্যক্তিজীবনে। এমন পরিবেশ থেকে বাঁচতে একেক জন একেক পন্থা অবলম্বন করে থাকেন।

তবে অনিকেত নামের এক যুবক এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে যা করেছেন নেট দুনিয়ায় তা রীতিমতো ভাইরাল। এসব থেকে মুক্তি পেতে চাকরিটাই ছেড়ে দিয়েছেন এই যুবক। এতেই ক্ষান্ত হননি তিনি, বসের সামনেই ঢাকঢোল বাজিয়ে নেচে উদযাপন করেছেন এমন মুহূর্তের।

ঘটনাটি ভারতের পুনে রাজ্যের। অনিকেত নামের ওই যুবক বিক্রয় সহযোগী হিসেবে চাকরি করতেন।

তার এমন উদযাপনের একটি ভিডিও ইন্সটাগ্রাম শেয়ার করেছেন অনীশ ভগত।

ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, গত তিন বছর ধরে এই কোম্পানির সাথে কাজ করেও বেতন খুব একটা বাড়েনি। এছাড়াও অফিসের বসের দ্বারাও তাকে বিভিন্ন সময়ে অপমানিত হতে হয়েছে।

তাই তার কাজের শেষ দিনে বন্ধুরা অফিসের বাইরে ঢোল নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন এবং নেচেছিলেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, এ ঘটনায় তার বস অনেক উত্তেজিত হয়েছেন। পাশাপাশি তার বস লোকজনকে ধাক্কা দিয়েছেন এবং চিৎকারও করেছেন।

ভিডিওটির ক্যাপশনে ভগত লিখেছেন, আমি মনে করি আপনারা অনেকেই এর সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবেন। আজকাল বিষাক্ত কাজের সংস্কৃতি খুব বেশি দেখা যায়। সম্মান এবং অধিকারের অভাব খুবই সাধারণ। অনিকেত তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। আমি আশা করি এই গল্প মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।

পোস্ট করা ভিডিওটি এক মিলিয়নেরও (১০ লাখের বেশি) বেশি ভিউ পেয়েছে। পোস্টটিতে অসংখ্য লাইক ও কমেন্টও রয়েছে।

একজন ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি জানি না কেন এটি আমাকে এত সন্তুষ্ট করেছে।'

আরেকজন লিখেছেন, 'নাচটি আমাকে অন্য মাত্রার তৃপ্তি দিয়েছে।'

'আপনি সত্যিই আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে ইতিবাচক এবং উত্সাহী ব্যক্তি'- তৃতীয় একজন ঠিক এভাবেই নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস 

;

অভয়ারণ্যে মানুষ যখন বন্দিখাঁচায়



প্রমা কোয়েল, ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিড়িয়াখানা, নানানরকম পশুপাখি ও প্রাণীর বন্দিশালা। কেবল রং-বেরঙের চিড়িয়াই নয়; বাঘ, সিংহ, ভালুক, বানর, গণ্ডারসহ কত বন্যপ্রাণীই না খাঁচায় বন্দি থাকে!

চিড়িয়াখানায় রাখতে বন্য প্রাণীদের প্রকৃতির স্বাধীন জীবন থেকে ছিনিয়ে আনা হয়। তাদের খাঁচায় বন্দি করা হয় যেন, মানুষ তাদের দেখে আনন্দ পায়। অনেক প্রাণীর জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি খাঁচাতেই কেটে যায়।

ছোট থেকে বড় সব বয়সের মানুষই চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। শিশুরা না হয় অবুঝ! তবে যারা প্রাপ্তবয়স্ক তারাও চিড়িয়াখানায় এই বন্দি প্রাণীদের জীবনকে গভীরভাবে অনুধাবন করতে পারেন না।

এশিয়ার বড় দেশ চীনে রয়েছে, এক অদ্ভুত চিড়িয়াখানা। চংকিংয়ে অবস্থিত সেই চিড়িয়াখানার নাম ‘লেহে লেদু বন্যপ্রাণী চিড়িয়াখানা’। একে ‘রিভার্স জু’ (বিপরীত চিড়িয়াখানা) বলেও ডাকা হয়।

এখানেও মানুষ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে পশু দেখতে আসেন। তবে একেবারেই ভিন্ন উপায়ে। মূলত, একটি খাঁচা রয়েছে, যেখানে মানুষদের সেই খাঁচায় পুরা হয়। তারপর সেই খাঁচাবন্দি মানুষদের নিয়ে রাখা হয়, অভয়ারণ্যে। সেখানে বন্য প্রাণীরা মানুষের খাঁচার চারপাশে অবাধে ঘুরতে থাকে। চিড়িয়াখানায় বন্দি প্রাণীদের বন্দিজীবনের এক প্রতীকী দৃশ্য!

অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের জন্য এটি এক নতুন অভিজ্ঞতা!

অভয়ারণ্যে খাঁচায় বন্দি মানুষ, ছবি-সংগৃহীত

খুব কাছে থেকে হিংস্র বন্যপ্রাণীদের মুক্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যেমন লোমহর্ষক, ঠিক তেমনই আতঙ্কজনকও হতে পারে। বিপরীতধর্মী এই চিড়িয়াখানাটি সবার জন্য প্রথম উন্মুক্ত করা হয়, ২০১৫ সালে। তখন বিশ্বের সংবদমাধ্যমের শিরোনাম কেড়েছিল এ চিড়িয়াখানাটি।

একটি শক্ত লোহার খাঁচাবেষ্টিত দর্শনার্থীদের একটি ট্রাকে তুলে অভয়ারণ্যে রেখে দেওয়া হয়। সেখানে তাদের ঘিরে ধরে ঘুরতে থাকে বাঘ, ভালুক, সিংহ ইত্যাদি হিংস্র প্রাণী।

এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার প্রধান চ্যান লিয়াং বলেন, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা রক্ষার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। খাঁচার ফাঁকা অংশ দিয়ে হাতের আঙুলও বের না করার নির্দেশনা দেওয়া থাকে।

তবে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই চিড়িয়াখানাটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে অনেক। এর নৈতিকতা নিয়ে অনেকে প্রশ্নও তুলেছেন।

অনেকে মনে করেন, এরকম ব্যবস্থাপনায় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কারণ, শিকারী প্রাণীগুলো প্রচণ্ড হিংস্র। তাই, সে কারণে যে কোনো সময় বিপজ্জনক ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

আবার এরকম চিন্তাভাবনার প্রশংসাও করেছেন অপর একটি পক্ষ। তাদের বক্তব্য, পৃথিবীটা কেবল মানুষদের নয়। প্রকৃতিতে সব প্রাণীদের একটা ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন। তাদের বন্দি করে রাখা মানুষের উচিত নয়। কারণ, মুক্ত প্রকৃতিতে বিরাজ করার অধিকার সব প্রাণীরই রয়েছে।

তাদের মন্তব্য, আমরা প্রাণীদের আবাসস্থল বনজঙ্গল সব উজাড় করেছি। সে কারণে তাপমাত্রাও অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আবার প্রাণীদের বন্দি রেখে তাদের জীবন চরম দুর্বিষহ করে তুলি।

চাইলে এবং সুযোগ পেলে এই ধরনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে চিড়িয়াখানাটি ঘুরে আসতে পারেন বৈকি!

তথ্যসূত্র: এনিমেল অ্যারাউন্ড দ্য গ্লোব

;

৫ বছরের শিশুর বিস্ময়কর প্রতিভা!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বয়স সবে ৫ কিংবা ৬। এই বয়সেই তার প্রতিভা দেখে অবাক হবে যে-কেউ!

গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভিডিওটি ১ মিলিয়নের (১০ লাখের বেশি) বেশি মানুষ দেখেছেন। খবর এনডিটিভি। 

ভিডিওতে রিলি নামের ওই শিশুটিকে প্রথমে শ্বাস নিতে দেখা যায়। তারপর সে একটি শক্তিশালী গর্জন দিয়ে শ্বাস ছাড়ে। ওই গর্জনটি হুবুহ সিংহের গর্জনের অনুরূপ।

রিলির মা অ্যামি ভিডিওটি এক্সে শেয়ারের পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। শিশুটির এমন নিখুত দক্ষতা দেখে মুগ্ধ দর্শকরা। ভিডিওটিতে অনেকেই নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, এত অল্প বয়সে এমন বাস্তবসম্মত গর্জন তৈরি করার রিলির ক্ষমতার বিস্ময় প্রকাশ করে।

আরেকজন লিখেছেন, শিশুরা খুব দ্রুত শিখে। তার এমন প্রতিভা সত্যিই অবাক করার মতো।

;