কী মর্মান্তিক! কী হৃদয়বিদারক!



আনিসুর বুলবুল
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা আক্রান্ত হয়ে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে মারা গেলেন বাবা-ছেলে

ঘটনাটি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় পশ্চিম গোমদণ্ডী ইউনিয়নের। গত ২২ জুলাই করোনা আক্রান্ত মো. আলমগীরকে (৩৫) চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ভর্তি করা হয় তার বাবা আবু সৈয়দ চৌধুরীকে (৮০)। হাসপাতালে একদিন পরে ভর্তি করা হলেও মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাত ৯টার দিকে মারা যান আবু সৈয়দ চৌধুরী এবং ১২ ঘণ্টা পর (বুধবার) মারা যান তার ছেলে মো. আলমগীর।

ছেলে করোনা আক্রান্ত শুনে মায়ের মৃত্যু, পরে ছেলের মৃত্যু খবর পেয়ে মারা গেলেন বাবাও!

ঘটনাটি সিরাজগঞ্জ সদরের সয়দাবাদ ইউনিয়নের সদান্দনপুর গ্রামের। গত সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি হন সেনাবাহিনীর সাবেক ল্যান্স করপোরাল হাজী শহিদুল ইসলাম স্বপন (৬৫)। সেখানে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এ খবর শুনে ঈদের দিন (২১ জুলাই) স্ট্রোকে তার মা রাবেয়া বেগমের (৯৫) মৃত‌্যু হয়। হাসপাতালে হাজী শহিদুল ইসলাম স্বপনের অবস্থার অবনতি হলে শনিবার (২৪ জুলাই) ভোরে তার মৃত‌্যু হয়। এদিকে এ সংবাদ শোনার পর দুপুরের দিকে স্বপনের বাবা হাজী আব্দুল মান্নান সিদ্দিকীও (১০৫) স্ট্রোকে মারা যান।

মুমূর্ষ মায়ের আইসিইউ বেড ছেলেকে ছেড়ে দেয়ার পর শ্বাসকষ্টে মায়ের মৃত্যু!

গত ১৫ জুলাই বয়সী কানন প্রভা পাল (৬৫) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে ভর্তি হন। এর কয়েকদিন পর তার ছেলে শিমুল পালও (৪৩) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন একই হাসপাতালে। মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাকে ২২ জুলাই আইসিইউ বেডে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে ছেলের জন্যও আইসিইউ সাপোর্ট জরুরি হয়ে পড়ে। কিন্তু হাসপাতালে আইসিইউ কোনোটিই খালি না থাকায় স্বজনরা লিখিতভাবে আবেদন করে মায়ের পরিবর্তে ছেলেকে আইসিইউতে নেওয়ার জন্য। এরপর ২৭ জুলাই মাকে আইসিইউ থেকে আইসোলেশনে স্থানান্তর করা হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মা প্রাণ হারান। ঘটনাটি চট্টগ্রাম শহরের সিএমপি কলোনির।

সকালে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়ে বিকালে করোনায় মায়ের মৃত্যু

সন্তানসম্ভবা অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ৭১ টিভির নারী সাংবাদিক রিফাত সুলতানা (৩২)। প্রথমে তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পরে সেখান থেকে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে উত্তরার কেসি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখান থেকে তাকে ইম্পালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ১৬ এপ্রিল সকালে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিকাল তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এরপর বিকাল পাঁচটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ফুটফুটে কন্যা শিশুর জন্ম দিয়ে করোনায় মারা গেলেন মা

ঘটনাটি মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ডেফলউরা গ্রামের। সন্তানসম্ভাবা লিমা আক্তারকে (২১) ঈদের আগে মৌলভীবাজারের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। এ সময় তার করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে গাইনি ডাক্তার করোনা টেস্ট করানোর জন্য বলেন এবং সেখান থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। নমুনা দেয়ার তিন দিন পর তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। সেখানের ডাক্তাররা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে সিলেট রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজে নিয়ে গিয়ে সিজারে ঈদের দিন (২১ জুলাই) ফুটফুটে কন্যা শিশুর জন্ম দেন তিনি। এরপর ২৭ জুলাই দিবাগত রাত ৯টায় সিলেটের নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় করোনায় মারা গেলেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া আক্তার (২৮) সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত ১২ জুলাই র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করিয়ে করোনা পজিটিভ নিশ্চিত হন তিনি। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ওই দিনই সানিয়া আক্তারকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৬ জুলাই তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল কম। তার প্রচুর শ্বাসকষ্ট ছিল। হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানোলা দিয়ে তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ২৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

করোনার ভয়াল থাবায় বিপর্যস্ত দেশ। কী মর্মান্তিক! কী হৃদয়বিদারক! সব ঘটনা ঘটে চলেছে দেশে। সন্তান পৃথিবীর মুখ দেখার আগেই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় করোনায় কেড়ে নিচ্ছে কারো প্রাণ; কেউ ফুটফুটে কন্যা শিশুর জন্ম দিয়ে বুকের দুধও খাওয়াতে পারেননি; কেউ আবার সকালে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আর বিকালেই ঢলে পড়েছেন মৃত্যুর কোলে; কোথাও আবার মুমূর্ষ মায়ের আইসিইউ বেড ছেলেকে ছেড়ে দেয়ার পর শ্বাসকষ্টে মায়ের মৃত্যু ঘটেছে! কোথাও ছেলের করোনা আক্রান্ত শুনে মায়ের মৃত্যু হয়েছে, পরে ছেলের মৃত্যু খবর পেয়ে মারা গেছেন বাবাও! আবার কোথাও ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে মারা গেছেন বাবা-ছেলেও!

দিন দিন দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। সংক্রমণও ঊর্ধ্বমুখী। শুধু শহর নয়, জেলা-উপজেলা এমনকি প্রত্যন্ত এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি। রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরেও বেশিরভাগ হাসপাতালে ফাঁকা নেই আইসিইউ শয্যা। রোগীর স্বজনরা এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটে বেড়াচ্ছেন। শুধু আইসিইউ নয়, সাধারণ শয্যা পেতেও বেগ পেতে হচ্ছে অনেককে। রোগীর চাপে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লকডাউন দিয়ে রাখলেও সংক্রমণ ও মৃত্যু কোনোটিই কমছে না। হাসপাতালগুলোর ফটকে, আঙিনায়, করিডরে, বারান্দায় রোগীর স্বজনেরা উৎকণ্ঠা নিয়ে ছোটাছুটি করছেন। একটু পরপর রোগী আসছেন, নিয়মিত বিরতিতে মানুষের লাশ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স বেরিয়ে যাচ্ছে। মানুষকে বাঁচাতে চিকিৎসক–নার্সদের আপ্রাণ চেষ্টা আছে। আবার কোথাও কোথাও অবহেলার অভিযোগও আছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এত কম জনবল দিয়ে কি এত রোগী সামলানো যায়!

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত দ্রুত বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা করা যাবে, তত সংক্রমণের সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে। আর রোগী শনাক্ত করা গেলে নিয়ন্ত্রণকাজ আরো সহজ হবে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে অনেকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও পরীক্ষা না করানোয় বুঝতে পারে না। বাড়িতে থেকে অবস্থা যখন জটিল হয় তখন হাসপাতালে ছোটে, কিন্তু তখন আর কিছু করার থাকে না। তারা বলছেন, মৃত্যু কমাতে হলে সবার আগে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর টিকা নিশ্চিত করতে হবে।

দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২০ হাজার ২৫৫ জন মানুষ। এরমধ্যে পুরুষ ১৩ হাজার ৭৫০ জন এবং মহিলা ৬ হাজার ৫০৫ জন। যা অদ্যবধি শতকরা হিসেবে যথাক্রমে ৬৭.৮৮ শতাংশ ও ৩২.১২ শতাংশ।

করোনা আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে ৯ হাজার ৩৪৯ জন। এরপর চট্টগ্রামে ৩ হাজার ৭৫৩ জন, খুলনায় ২ হাজার ৬৯০ জন, রাজশাহীতে ১ হাজার ৫৬১ জন, রংপুরে ১ হাজার জন, সিলেটে ৭৩৬ জন, বরিশালে ৬৩৫ জন এবং ময়মনসিংহে ৫৩১ জন।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত ০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন ৫৮ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের ১৩২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৪৪৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১ হাজার ১৮০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২ হাজার ৪৩৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪ হাজার ৮২৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ৬ হাজার ২৯৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ৩ হাজার ৫২৭ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের ১ হাজার ১১০ জন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের ২১৯ জন এবং ১০০ বছরের উর্ধ্বে ২৪ জন।

এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৭ হাজার ৭৬৪ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১ হাজার ৯৩১ জন, বাসায় মারা গেছেন ৫৩৭ জন এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এনেছেন ২৩ জন।

এছাড়া দেশে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ২৬ হাজার ২৫৩ জন। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগের বাসিন্দাই ৭ লাখ ৪২ হাজার ৩৭৬ জন। এরপর চট্টগ্রামে ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৩৪ জন, খুলনায় ৯১ হাজার ৪০০ জন, রাজশাহীতে ৮১ হাজার ৪৩৯ জন, রংপুরে ৪৩ হাজার ৯ জন, সিলেটে ৩৭ হাজার ৮২৮ জন, বরিশালে ৩২ হাজার ১২৫ জন এবং ময়মনসিংহে ২৪ হাজার ৯৪২ জন।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুশতাক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, বড় সমস্যাটি হয়েছে দুই ঈদে মানুষের চলাচল ও অসতর্ক থাকার প্রবণতা। বিশেষ করে যারা পজিটিভ হয়ে বাসায় থাকছে তাদের ঠিকমতো মনিটর করা হচ্ছে না। কম উপসর্গধারীরা বাইরে ঘুরে বেড়ায়, যাদের মাধ্যমে সংক্রমণ বিস্তার ঘটছে।

তিনি বলেন, পরীক্ষা না করেও উপসর্গ নিয়ে অনেকেই বাড়িতে থাকছে। জটিল অবস্থায় শেষ সময়ে হাসপাতালে দৌড়ঝাঁপ করছে। এটাও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। সরকারের উচিত যত পজিটিভ রোগী হয় প্রত্যেককে মনিটর করা। এর মাধ্যমেই বোঝা যাবে কাকে কখন হাসপাতালে যেতে হবে।

আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেছেন, মৃত্যু কমাতে হলে সবার আগে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর টিকা নিশ্চিত করতে হবে। যেখানেই বয়স্কদের টিকা আগে নিশ্চিত হয়েছে সেখানেই মৃত্যু কমেছে। এখন দেখা যাচ্ছে, এক পরিবারে একজন আক্রান্ত হলে সবাই আক্রান্ত হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে পারিবারিকভাবে আইসোলেশনের ব্যাপারে মানুষ সতর্ক নয়।

তিনি বলেন, যারাই পজিটিভ হয় সবাইকেই আইসোলেশনের পাশাপাশি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া দরকার। এ ছাড়া বয়স্ক ও যাদের আগে থেকে কোনো রকম জটিলতা আছে তাদের পজিটিভ হলেই হাসপাতালে যেতে হবে।

করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেছেন, সামনে কঠিন অবস্থা আসছে। এখন শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক দিনে আরও ২৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৫ হাজার ২৭১ জনের মধ্যে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ২৩৭ জনের। ওই সময় রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১৬ হাজার ২৩০ জন। রোগী শনাক্তের হার ছিল ৩০ দশমিক ১২ শতাংশ।

   

এক ঘরেই তিন বলী



তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
দুই ছেলের সঙ্গে খাজা আহমদ বলী/ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

দুই ছেলের সঙ্গে খাজা আহমদ বলী/ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

চুল থেকে দাড়ি-সবই সফেদ। হাঁটাচলায় মন্থর। স্বাভাবিকভাবেই প্রবীণের বয়সটা আঁচ করা যায় প্রথম দেখাতেই। কিন্তু তার ষাটোর্ধ্ব বয়সটা যেন কেবল ক্যালেন্ডারের হিসাব। বয়স যতই ছোবল বসানোর চেষ্টা করুক না কেন-তিনি যেন এখনো ২৫ এর টগবগে তরুণ। সেই বলেই তো ফুসফুসের রোগবালাইকে তুড়ি মেরে ঐতিহাসিক আবদুল জব্বারের বলীখেলা এলেই হাজির হয়ে যান রিংয়ে। এক দুবার নয়, এবার কিনা পূর্ণ হলো সুবর্ণজয়ন্তী!

চট্টগ্রামের অন্যতম আবেগের ঠিকানা ঐতিহাসিক এই বলীখেলার বড় বিজ্ঞাপন হয়ে ওঠা এই বলীর নাম খাজা আহমদ বলী। ৫০ বছর ধরে বলীখেলায় অংশ নিয়ে দর্শকদের আনন্দ দিয়ে যাওয়া এই বলীর এখন পড়ন্ত বয়স। ফুসফুসে বাসা বেঁধেছে রোগ। কানেও শোনেন কম। খাজা আহমদ বুঝে গিয়েছেন, তার দিন ফুরাচ্ছে। কিন্তু তিনি যে বলীখেলার স্মৃতি থেকে সহজেই মুছে যেতে চান না। সেজন্যই উত্তরসূরী হিসেবে এরই মধ্যে গড়ে তুলেছেন নিজের দুই ছেলেকে। বাবার পাশাপাশি দুই ভাইও এখন বলীখেলার নিয়মিত প্রতিযোগী।

খাজা আহমেদ বলীর বাবাও বলীখেলায় অংশ নিতেন। বাবার সঙ্গে বলীখেলায় এসে ১৯৭৪ সালে শখের বসে খেলতে নামেন খাজা আহমেদও। বয়স তখন ১২ বছরের আশপাশে। সেই শুরু, আর কোনোদিন মিস করেননি বলীখেলায় অংশ নেওয়া। একবার চ্যাম্পিয়নের গৌরবও অর্জন করেছিলেন। বহু বছর ধরে খাজা আহমেদ বলী ও সত্তরোর্ধ্ব মফিজুর রহমানের ‘বলীযুদ্ধ’ জব্বারের বলীখেলার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে এই দ্বৈরথ হয়তো আর দেখা যাবে না। দুই বছর আগে উৎপত্তি হওয়া ফুসফুসের রোগটা ইদানিং যে খাজা আহমদকে বেশিই ভোগাচ্ছে। সেজন্য গতবছর অবসরের ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার দুই ছেলেকে নিয়ে বলীখেলায় এসে আবেগ সামলাতে পারেননি খাজা আহমেদ। ছেলেদের সঙ্গে নিজেও নেমে পড়েন রিংয়ে। সেজন্য আরও একবার মফিজুর রহমান-খাজা আহমেদের লড়াই দেখল হাজারো দর্শক। যদিওবা যৌথ বিজয়ী ঘোষণা করে দুজনের মুখেই হাসি ফুটিয়েছেন রেফারি।

প্রতিপক্ষ মফিজুর রহমানের সঙ্গে বলী-যুদ্ধে খাজা আহমদ

কেন অবসর ভাঙলেন এমন প্রশ্নে হাসি খেলা করে যায় খাজা আহমেদ বলীর মুখে। বলতে থাকেন, ‘বয়সের কারণে শরীর দস্ত। ফুসফুসও ঠিকঠাক কাজ করছে না। সেজন্য অবসর নিয়েছিলাম। কিন্তু বলীখেলায় আসার পর দেখলাম দর্শকেরা সবাই অনুরোধ করছেন। সেজন্য মন বলল, না খেললে দর্শকদের প্রতি অন্যায় হবে। আর আবেগ ও ভালোবাসার কাছে বয়স-রোগ পেরেছে কবে?’

তবে এখানেই সব শেষ, বলে দিয়েছেন খাজা আহমেদ বলী। বলেছেন, ‘বয়স হয়ে গেছে। মনে হয় না আর খেলতে পারব। অসুখটা বেশি যন্ত্রণা দিচ্ছে। সেজন্য মনে মনে মেনে নিয়েছি এটাই আমার শেষ অংশগ্রহণ। বাকিটা আল্লাহর হাতে।’

তিন ছেলে ও এক মেয়ের বাবা খাজা আহমদের বাড়ি চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায়। কৃষিকাজ করেই চলে সংসার। তবে বলীখেলা এলে সব কাজ বাধ। কয়েকদিন ধরে চলে প্রস্তুতি। নিজের স্মৃতি ধরে রাখতে এরই মধ্যে খাজা আহমেদ নিজের দুই ছেলেকে গড়ে তুলেছেন বলী হিসেবে। ২০১২ সাল থেকে বলীখেলায় নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন তার বড় ছেলে মো. সেলিম। গত বছর থেকে যোগ দিয়েছেন ছোট ছেলে মো. কাইয়ুমও। এখন বলীখেলার আগে দুই ছেলেকে নিয়ে চলে খাজা আহমদের প্রস্তুতি।

জানতে চাইলে সেলিম বলেন, ‘বাবার কাছ থেকে আমরা বলীখেলা শিখেছি। বয়সের কারণে বাবা এখন অসুস্থ। হয়তো আর খেলা হবে না। সেজন্য তার উত্তরসূরী হিসেবে আমরা বলীখেলায় অংশ নেব সামনের দিনগুলোতে। এটা শুধু পরিবারের বলীর প্রজন্ম ধরে রাখার জন্য নয়, তরুণদের মাদক-সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগও।’

বাবাকে পাশে রেখে একই কথা বললেন ছোট ছেলে মো. কাইয়ুমও। বলেন, ‘হয়তো বাবা আর খেলবেন না। তবে তিনি না খেললেও যতদিন বেঁচে থাকবেন বলীখেলা দেখতে আসবেন। রিংয়ের নিচে দাঁড়িয়ে আমাদের উৎসাহ দিয়ে যাবেন।’

ছেলের কথা শুনে আবেগ খেলে যায় খাজা আহমেদ বলীর মনে। কাঁধের গামছাটা হাতে তুলে নিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বললেন, ‘না খেললেও যতদিন বাঁচি এখানে, এই বলীর মাঠ লালদীঘি ময়দানে ছুটে আসব। এটা থেকে দূরে থাকতে পারব না।’

খাজা আহমেদ যখন কথা বলছিলেন দূরে কোথাও তখন মাইকে বাজছিল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই অমর গান। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় অক্লান্ত গলায় গেয়ে চলেছেন, যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে, আমি বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে...

;

চাকরি ছেড়ে বসের সামনেই ঢোল বাজিয়ে নাচলেন যুবক!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিত্যদিনের অফিসের কর্মপরিবেশে অনেকের মধ্যেই 'বিরক্তি' চলে আসে। তবুও ধৈয্য নিয়ে সব সহ্য করে টিকে থাকার জন্য চালিয়ে যান লড়াই। তবে এ যাত্রায় সকলের দ্বারা টিকে থাকা সম্ভব হয় না। অফিসের 'বিষাক্ত' কর্মপরিবেশে অনেকেই ভোগেন মানসিক সমস্যায় কিংবা ব্যক্তিজীবনে। এমন পরিবেশ থেকে বাঁচতে একেক জন একেক পন্থা অবলম্বন করে থাকেন।

তবে অনিকেত নামের এক যুবক এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে যা করেছেন নেট দুনিয়ায় তা রীতিমতো ভাইরাল। এসব থেকে মুক্তি পেতে চাকরিটাই ছেড়ে দিয়েছেন এই যুবক। এতেই ক্ষান্ত হননি তিনি, বসের সামনেই ঢাকঢোল বাজিয়ে নেচে উদযাপন করেছেন এমন মুহূর্তের।

ঘটনাটি ভারতের পুনে রাজ্যের। অনিকেত নামের ওই যুবক বিক্রয় সহযোগী হিসেবে চাকরি করতেন।

তার এমন উদযাপনের একটি ভিডিও ইন্সটাগ্রাম শেয়ার করেছেন অনীশ ভগত।

ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, গত তিন বছর ধরে এই কোম্পানির সাথে কাজ করেও বেতন খুব একটা বাড়েনি। এছাড়াও অফিসের বসের দ্বারাও তাকে বিভিন্ন সময়ে অপমানিত হতে হয়েছে।

তাই তার কাজের শেষ দিনে বন্ধুরা অফিসের বাইরে ঢোল নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন এবং নেচেছিলেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, এ ঘটনায় তার বস অনেক উত্তেজিত হয়েছেন। পাশাপাশি তার বস লোকজনকে ধাক্কা দিয়েছেন এবং চিৎকারও করেছেন।

ভিডিওটির ক্যাপশনে ভগত লিখেছেন, আমি মনে করি আপনারা অনেকেই এর সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবেন। আজকাল বিষাক্ত কাজের সংস্কৃতি খুব বেশি দেখা যায়। সম্মান এবং অধিকারের অভাব খুবই সাধারণ। অনিকেত তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। আমি আশা করি এই গল্প মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।

পোস্ট করা ভিডিওটি এক মিলিয়নেরও (১০ লাখের বেশি) বেশি ভিউ পেয়েছে। পোস্টটিতে অসংখ্য লাইক ও কমেন্টও রয়েছে।

একজন ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি জানি না কেন এটি আমাকে এত সন্তুষ্ট করেছে।'

আরেকজন লিখেছেন, 'নাচটি আমাকে অন্য মাত্রার তৃপ্তি দিয়েছে।'

'আপনি সত্যিই আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে ইতিবাচক এবং উত্সাহী ব্যক্তি'- তৃতীয় একজন ঠিক এভাবেই নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস 

;

অভয়ারণ্যে মানুষ যখন বন্দিখাঁচায়



প্রমা কোয়েল, ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিড়িয়াখানা, নানানরকম পশুপাখি ও প্রাণীর বন্দিশালা। কেবল রং-বেরঙের চিড়িয়াই নয়; বাঘ, সিংহ, ভালুক, বানর, গণ্ডারসহ কত বন্যপ্রাণীই না খাঁচায় বন্দি থাকে!

চিড়িয়াখানায় রাখতে বন্য প্রাণীদের প্রকৃতির স্বাধীন জীবন থেকে ছিনিয়ে আনা হয়। তাদের খাঁচায় বন্দি করা হয় যেন, মানুষ তাদের দেখে আনন্দ পায়। অনেক প্রাণীর জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি খাঁচাতেই কেটে যায়।

ছোট থেকে বড় সব বয়সের মানুষই চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। শিশুরা না হয় অবুঝ! তবে যারা প্রাপ্তবয়স্ক তারাও চিড়িয়াখানায় এই বন্দি প্রাণীদের জীবনকে গভীরভাবে অনুধাবন করতে পারেন না।

এশিয়ার বড় দেশ চীনে রয়েছে, এক অদ্ভুত চিড়িয়াখানা। চংকিংয়ে অবস্থিত সেই চিড়িয়াখানার নাম ‘লেহে লেদু বন্যপ্রাণী চিড়িয়াখানা’। একে ‘রিভার্স জু’ (বিপরীত চিড়িয়াখানা) বলেও ডাকা হয়।

এখানেও মানুষ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে পশু দেখতে আসেন। তবে একেবারেই ভিন্ন উপায়ে। মূলত, একটি খাঁচা রয়েছে, যেখানে মানুষদের সেই খাঁচায় পুরা হয়। তারপর সেই খাঁচাবন্দি মানুষদের নিয়ে রাখা হয়, অভয়ারণ্যে। সেখানে বন্য প্রাণীরা মানুষের খাঁচার চারপাশে অবাধে ঘুরতে থাকে। চিড়িয়াখানায় বন্দি প্রাণীদের বন্দিজীবনের এক প্রতীকী দৃশ্য!

অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের জন্য এটি এক নতুন অভিজ্ঞতা!

অভয়ারণ্যে খাঁচায় বন্দি মানুষ, ছবি-সংগৃহীত

খুব কাছে থেকে হিংস্র বন্যপ্রাণীদের মুক্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যেমন লোমহর্ষক, ঠিক তেমনই আতঙ্কজনকও হতে পারে। বিপরীতধর্মী এই চিড়িয়াখানাটি সবার জন্য প্রথম উন্মুক্ত করা হয়, ২০১৫ সালে। তখন বিশ্বের সংবদমাধ্যমের শিরোনাম কেড়েছিল এ চিড়িয়াখানাটি।

একটি শক্ত লোহার খাঁচাবেষ্টিত দর্শনার্থীদের একটি ট্রাকে তুলে অভয়ারণ্যে রেখে দেওয়া হয়। সেখানে তাদের ঘিরে ধরে ঘুরতে থাকে বাঘ, ভালুক, সিংহ ইত্যাদি হিংস্র প্রাণী।

এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার প্রধান চ্যান লিয়াং বলেন, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা রক্ষার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। খাঁচার ফাঁকা অংশ দিয়ে হাতের আঙুলও বের না করার নির্দেশনা দেওয়া থাকে।

তবে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই চিড়িয়াখানাটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে অনেক। এর নৈতিকতা নিয়ে অনেকে প্রশ্নও তুলেছেন।

অনেকে মনে করেন, এরকম ব্যবস্থাপনায় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কারণ, শিকারী প্রাণীগুলো প্রচণ্ড হিংস্র। তাই, সে কারণে যে কোনো সময় বিপজ্জনক ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

আবার এরকম চিন্তাভাবনার প্রশংসাও করেছেন অপর একটি পক্ষ। তাদের বক্তব্য, পৃথিবীটা কেবল মানুষদের নয়। প্রকৃতিতে সব প্রাণীদের একটা ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন। তাদের বন্দি করে রাখা মানুষের উচিত নয়। কারণ, মুক্ত প্রকৃতিতে বিরাজ করার অধিকার সব প্রাণীরই রয়েছে।

তাদের মন্তব্য, আমরা প্রাণীদের আবাসস্থল বনজঙ্গল সব উজাড় করেছি। সে কারণে তাপমাত্রাও অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আবার প্রাণীদের বন্দি রেখে তাদের জীবন চরম দুর্বিষহ করে তুলি।

চাইলে এবং সুযোগ পেলে এই ধরনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে চিড়িয়াখানাটি ঘুরে আসতে পারেন বৈকি!

তথ্যসূত্র: এনিমেল অ্যারাউন্ড দ্য গ্লোব

;

৫ বছরের শিশুর বিস্ময়কর প্রতিভা!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বয়স সবে ৫ কিংবা ৬। এই বয়সেই তার প্রতিভা দেখে অবাক হবে যে-কেউ!

গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভিডিওটি ১ মিলিয়নের (১০ লাখের বেশি) বেশি মানুষ দেখেছেন। খবর এনডিটিভি। 

ভিডিওতে রিলি নামের ওই শিশুটিকে প্রথমে শ্বাস নিতে দেখা যায়। তারপর সে একটি শক্তিশালী গর্জন দিয়ে শ্বাস ছাড়ে। ওই গর্জনটি হুবুহ সিংহের গর্জনের অনুরূপ।

রিলির মা অ্যামি ভিডিওটি এক্সে শেয়ারের পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। শিশুটির এমন নিখুত দক্ষতা দেখে মুগ্ধ দর্শকরা। ভিডিওটিতে অনেকেই নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, এত অল্প বয়সে এমন বাস্তবসম্মত গর্জন তৈরি করার রিলির ক্ষমতার বিস্ময় প্রকাশ করে।

আরেকজন লিখেছেন, শিশুরা খুব দ্রুত শিখে। তার এমন প্রতিভা সত্যিই অবাক করার মতো।

;