বিধিনিষেধ: জনমনের প্রতিক্রিয়া



আনিসুর বুলবুল
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় বিপর্যস্ত দেশ। দানবীয় রূপ নিয়েছে এ মহামারি। ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। সংক্রমণও ঊর্ধ্বমুখী। শুধু শহর নয়, জেলা-উপজেলা এমনকি প্রত্যন্ত এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি। এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার দেশজুড়ে বিধিনিষেধ দিয়েছে। চলমান বিধিনিষেধ নিয়ে দেশের বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলাম। বিভিন্ন পেশার মধ্যে স্কুল-কলেজের শিক্ষক, সরকারি চাকরীজীবি, নাট্যনির্মাতা, ট্রাফিক সার্জেন্ট, ব্যবসায়ী, অ্যাডভোকেট, মুদি দোকানদার, সিকিউরিটি গার্ড, গৃহকর্মীও ছিলেন।

এসব মানুষের কাছে দুটি প্রশ্ন করা হয়েছিল— চলমান বিধিনিষেধ নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া কি এবং সরকারের উদ্দেশে তিনি কিছু বলতে চান কি না। তারা নানা রকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কেউ বলেছেন, লকডাউনের বিকল্প হিসাবে দ্রুত সবাইকে টিকার আওতায় আনতে হবে। কেউ বলেছেন, টিকার জন্য নিবন্ধন পদ্ধতি সহজ করতে হবে। আবার কেউ সাধারণ জনগণের ঘরে খাবার নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। কেউ অনুরোধ করেছেন প্রতিটি জেলা সদরে করোনা ইউনিটের বেড সংখ্যা দ্বিগুণ করার। কেউ বা মাস্ক পরিধানকে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কথাও বলেছেন।

বিধিনিষেধ নিয়ে নানা পেশার মানুষের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলো-

 

সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু

সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু
সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, বাংলা বিভাগ
খানবাহাদুর আওলাদ হোসেন খান কলেজ, মানিকগঞ্জ।

চলমান বিধিনিষেধ নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট নই। বিধিনিষেধ বা লকডাউন যাই বলি না কেন, যতটা কঠোরভাবে কার্যকর করলে কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করার কথা তেমনটা হচ্ছে না। সরকারি সংস্থা বিআইডাব্লিউটিসি প্রথম দিন থেকে সরকারি প্রজ্ঞাপন উপেক্ষা করে ফেরিতে যাত্রী, মোটর সাইকেল পারাপার করেছে। অনেক শিল্প কারখানা খুলেছিল। সাধারণ মানুষও নানা অজুহাতে বাইরে এসেছে, বাজারে গেছে। আমার প্রত্যাশা ছিল এবারের লকডাউনটা সত্যি সত্যি কঠোরভাবে পালিত হবে। কিন্তু কার্যত তা হয়নি।

আমার অনুরোধ থাকবে করোনা মোকাবেলায় প্রতিটি জেলা সদরে করোনা ইউনিটের বেড সংখ্যা দ্বিগুণ করা। প্রয়োজনে জেলায় জেলায় ফিল্ড হসপিটাল চালুর প্রস্তুতি রাখা,পর্যাপ্ত অক্সিজেন সাপ্লাই নিশ্চিত করা, যতদ্রুত সম্ভব যত বেশি মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। এবং বর্তমান পরিস্থিতকে হেলথ ইমার্জেন্সি ঘোষণা করে সমস্ত প্রশাসনিক, রাজনৈতিক,সামাজিক এবং অর্থনৈতিক শক্তি করোনা মোকাবেলায় নিয়োজিত করা। এবং মাস্ক পরিধানকে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।

 

কামরুজ্জামান
কামরুজ্জামান

কামরুজ্জামান
অতিরিক্ত উপমহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, ঢাকা।

চলমান বিধিনিষেধ হলো সরকারের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা, করোনার এই উর্ধ্ব গতি নিয়ন্ত্রণ করার। আগে জীবন পরে জীবিকা এই নীতিতেই সরকার সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে চেষ্টা করছে।

সরকার দ্রুত গতিতে টিকা দেয়া নিশ্চিত করে চলমান লকডাউন ধীরে ধীরে তুলে দিতে পারে। একই সাথে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও নির্দেশাবলি পালন নিশ্চিত করণে আগের মতই সমন্বিত ব্যবস্থা চলমান রাখা জরুরি বলে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি মনে করি।

 

মাবরুর রশিদ বান্নাহ


 

মাবরুর রশিদ বান্নাহ
তরুণ নাট্যনির্মাতা

আমি সরকারের বিধিনিষেধের সঙ্গে অবশ্যই একমত পোষণ করি। কিন্তু এখানে কিছু কথা আছে। আমি মনে করি, এ বিধিনিষেধগুলো অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। সময়ে সময়ে ছাড় দেওয়া বা আগেও কয়েকবার লকডাউনের কথা বলে সেটা পরিপূর্ণভাবে মেনে না চলা বা চলতে বাধ্য না করতে পারা— এগুলো ব্যর্থতার মধ্যেই পড়ে। তারপর খেটে খাওয়া মানুষ, যাদের সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়, যারা দিন এনে দিন খায়— সে মানুষগুলোর জন্য ব্যবস্থা করা দরকার। তারা কেমন আছে, তারা ভালো থাকবে কি না।

সরকারের উদ্দেশে অবশ্যই বলতে চাই, যদি লকডাউন ঘোষণা করেন তাহলে ঠিকঠাক মতো পালন করান। যাতে পরবর্তীতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আবার খুলে দেওয়া যায়। কিন্তু কোনো কিছুই যেন অর্ধেক না হয় বা পুরোটা শেষ হলো না এমনটা মনে না হয়। এটাই অনুরোধ। এদেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি। এ কাজ অনেক কঠিন। সরকার যথেষ্ট চেষ্টা করছে। তারা যেন আরেকটু বাড়িয়ে করে।

 

মো. শফিকুল ইসলাম ভূঞা

মো. শফিকুল ইসলাম ভূঞা
সিনিয়র শিক্ষক, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ।

লকডাউন দিয়ে এ দেশে করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। দেশের বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক কাঠামোর কারণেই তা অসম্ভব। এই ঘনবসতির দেশে দূরত্ব বজায় রেখে চলা অসম্ভব। বেশিরভাগ কায়িকশ্রমজীবী মানুষের পক্ষে মাস্ক পরে থাকাও অসম্ভব। আর কাজ বন্ধ রেখে মাসের পর মাস ঘরবন্দি থাকাও অসম্ভব। লকডাউনের বিকল্প হিসাবে দ্রুত সবাইকে টিকার আওতায় আনতে হবে। টিকা যোগাড়ের সাথে সাথে টিকাদান কার্যক্রমেও গতি বাড়াতে হবে। বর্তমানে টিকা পেতে অনলাইনে নিবন্ধনের যে উচ্চাভিলাসী পদ্ধতি চালু আছে সেভাবে চললে টিকা মেয়াদোত্তীর্ণ হবে কিন্তু মানুষ টিকা বঞ্চিতই থেকে যাবে।

টিকার জন্য নিবন্ধন পদ্ধতি সহজ করতে হবে। টিকা কেন্দ্রে টিকা কার্ড থাকবে, সেখানেই নিবন্ধন হবে। নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা যেতে পারে। প্রত্যেক ইউনিয়নে গণটিকাকেন্দ্র স্থাপন করে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের সেই সামর্থ্য আছে। টিকার নিবন্ধনে জাতীয় পরিচয়পত্রের বিকল্প রাখতে হবে।

 

মুহাম্মদ সোহরাব হুসাইন

মুহাম্মদ সোহরাব হুসাইন
পু‌লিশ সা‌র্জেন্ট, ট্রা‌ফিক তেজগাঁও বিভাগ, ডিএম‌পি।

নিঃসন্দে‌হে সরকার সবসময় জনকল‌্যা‌ণেই সকল স্বিদ্ধান্ত নি‌য়ে থা‌কেন। এরই ধারাব‌া‌হিকতায় জনগণকে স্বাস্থ‌‌্যবি‌ধি মে‌নে চলায় অভ‌্যস্থ করা ও ভ‌বিষ‌্যৎ গণ‌বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণের জন‌্য চলমান এ বি‌ধি‌নি‌ষেধ দি‌য়ে‌ছেন। কিন্তু এ বি‌ধি নি‌ষে‌ধের ফ‌লে দে‌শের সাম‌গ্রিক অর্থনী‌তির ওপর এবং সাধারণ জনগ‌ণের জী‌বিকা নির্বা‌হে কি ধর‌নের, কতটা বি‌রুপ প্রভাব পড়তে পা‌রে সে বিষ‌য়ে আরো চুল‌চেরা হি‌সেব করা উচিৎ।

সরকার ঘো‌ষিত লকডাউন বাস্তাবায়‌নে সম্মুখ স‌ারির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকা‌রী বা‌হিনীর সদস‌্য হি‌সে‌বে চেক‌পো‌স্টে প্রতি‌দিন প্রা‌ন্তিক মানুষজ‌নের ক্রিয়া-প্রতি‌ক্রিয়া অভিমত থে‌কে এটা ম‌নে হয় যে, মানুষজন জী‌বিকা নির্বাহ ক‌রে বেঁচে থাক‌তে চায়। যেটা চলমান বি‌ধি‌নি‌ষে‌ধের ফ‌লে বৃহত্তর জন‌গো‌ষ্ঠী কর‌তে পার‌ছে না। সব‌চে‌য়ে বে‌শি বিপ‌দে প‌ড়ে‌ছে যারা কা‌রো কাছে হাত পাততে পার‌ছে না আবার নি‌জে উপার্জনও কর‌তে পার‌ছে না। আমা‌দের সমা‌জে এ শ্রেণির লোকজন অনেক বে‌শি। এমন প‌রি‌স্থি‌তে সরকা‌রের উচিৎ লকডাউনের বিকল্প ‌গণটিকা কর্মসূ‌চি‌ জোরদার করা। যত দ্রুত সম্ভব বি‌ধিনি‌ষেধ শিথিল ক‌রে দি‌য়ে জীবন যাত্রায় কিছুটা স্বাভা‌বিক অবস্থা ফি‌রি‌য়ে আনার চেষ্টা করা।

 

মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জসিম

মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জসিম
অ্যাডভোকেট, জজ কোর্ট, মানিকগঞ্জ।

এভাবে একের পর এক লকডাউন সমস্যার সমাধান নয়। আমাদের মত গরিব দেশে লকডাউন কার্যকর করা অনেক কঠিন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে খাদ্যের ব্যবস্থা না করে কখনো লকডাউন ফলপ্রসূ হবে না, তাই লকডাউনের বিকল্প হিসেবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং পার্সোনাল দূরত্ব বজায় রাখতে হবে পরিশেষে বলছি সকল মানুষকে ভ্যাকসিন এর আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

লকডাউন যদি দিতেই হয় তার আগে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ৭/১৪ দিনের খাওয়ার ব্যবস্থা করবেন তার পরই লকডাউন দিবেন। সকল নাগরিককে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে এবং সব কিছুই স্বাভাবিক করে দিতে হবে।

 

সাফায়েত হোসেন

সাফায়েত হোসেন
প্রিন্সিপাল, স্কাইলার্স মডেল স্কুল, মাটিকাটা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট।

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল এবং ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। কারও ঘরে খাবার আছে, কারও ঘরে খাবার নেই। এ ধরনের বিধিনিষেধ দিয়ে সরকার এক শ্রেণির জনগণকে পর্যায়ক্রমে দারিদ্র্য সীমার নিচে ঠেলে দিয়েছে। তাই এ ধরনের বিধিনিষেধ আমাদের দেশে কার্যকরী পদক্ষেপ হবে বলে আমার মনে হয় না। এবং জনগণ বাধ্য হয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর চেয়ে ক্ষুধার যন্ত্রণাকে প্রাধান্য দিচ্ছে।

সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- আগে সাধারণ জনগণের ঘরে খাবার নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে অন্য খাত থেকে অর্থ এনে স্বাস্থ্য খাতকে উন্নত করুন এবং প্রত্যেকের জন্য টিকার ব্যবস্থা করুন। তারপর লকডাউনের পরিবর্তে কার্ফিউ জারি করুন।

 

সাজযাদ হোসেন শোয়েব

সাজযাদ হোসেন শোয়েব
ডিজিটাল মিডিয়া ও মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ

এরকম জোরদার লকডাউনে ঢাকার বাইরে নিজ নিজ এলাকায় যত শ্রমিক ও বাংলাদেশি অবস্থান করছেন সরকার চাইলে প্রত্যেক জেলায় জেলায় নগরায়ন ও কর্মসংস্থান করে দিতে পারে। এতে করে ঢাকা শহরের ওপরে চাপ কমবে এবং উপজেলা শহরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যাবে।

যে জেলার যে মানুষ সে সেই জেলাতেই কাজ করতে পারবেন। ইন্ডাস্ট্রিগুলোও ঢাকার বাইরে কর্মসংস্থান গড়তে পারবে ও সেটাপ করতে পারবে। ঢাকা বর্তমানে যে ফাঁকা অবস্থাতে আছে সেরকম ভাবে থাকলে ঢাকার ওপরে বহিরাগতের চাপ কমবে ও জেলায় জেলায় তারা বিভিন্ন কর্মে যোগ দিতে পারলে তারাও বেঁচে থাকতে পারবে।

 

আনোয়ার হোসেন মিয়া

আনোয়ার হোসেন মিয়া
সুলতানার স্বপ্ন জেনারেল স্টোর, বাগানবাড়ি, উত্তর ভাষাণটেক।

চলমান বিধিনিষেধ মোটেও কার্যকর একটি পদ্ধতি না। এটি কার্যকর হচ্ছে না। সরকারের সদিচ্ছার যে অভাব তা আমি বলবো না। আসলে প্রক্রিয়াটাই এরকম যে মানুষকে ঘরে ধরে রাখা যাচ্ছে না। মানুষ ঠিকই বেরিয়ে যাচ্ছে। আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, মুদি ব্যবসায়ী। জনগণ জানে ঠিকই যে তিনটা পর্যন্ত মুদি দোকান খোলা থাকবে। কিন্তু আমার দিনের বেলার চেয়ে রাতেই বেশি কাস্টমার হয়। আমি কোনো না কোনোভাবে বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে দোকান খোলা রাখি। কারণ একটাই কাস্টমার যদি না আসতো আমি নিজেই দোকান খুলতাম না।

সরকারের উদ্দেশে অনেক কিছুই বলতে চাই। তারমধ্যে করোনা নিয়ে বলতে গেলে বলতে হবে যে বর্তমান পদ্ধতি লকডাউন আসলে গতানুগতিক হয়ে গেছে। সরকারকে নতুন করে নতুন কিছু ভাবতে হবে। যেটা শতভাগ কার্যকর হয়।

 

আশরাফুল ইসলাম

আশরাফুল ইসলাম
সিকিউরিটি গার্ড, ইউনাইটেড হোমস্, বাগানবাড়ি, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট।

চলমান বিধিনিষেধে আমাদের মতো নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলো খুব কষ্টে আছে। পরিবহন বন্ধ থাকায় তারা সঠিকভাবে উপার্জন করতে পারছে না। তাই তারা খুব কষ্টে জীবন যাপন করছে। এর জন্য বিধিনিষেধ অনেকেই মানতে চাচ্ছে না।

সরকারের উদ্দেশে একটা কথায় বলতে চাই। গরিব মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে সীমিত আকারে জেলা পর্যায়ে পরিবহনগুলো চলাচল করতে দেওয়া হয়। আর গরিবদের খাদ্যদ্রব্য যেনো সঠিকভাবে পায়। নেতারা যেনো গরিবদের খাদ্যদ্রব্যগুলো নিজেরাই খেয়ে না ফেলে সে দিকে খেয়াল রাখতে বলছি।

 

নাসিমা আক্তার

নাসিমা আক্তার
গৃহকর্মী, মোহনগঞ্জ বস্তি, মাটিকাটা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট।

আমরা তো খুব কষ্টে আছি। আমার মা যে বাসায় ছুটা কাজ করত এখন আর করতে পারছে না। করোনার কারণে তারা বাদ দিয়ে দিছে। আমি একটা বাসায় কাজ করি। সে বাসাতেই থাকি। আমাকে বাদ দেয় নাই কিন্তু আমাকে তো আর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দেয় না। বলে ভাইরাস নিয়া আসবা। আমাদের বস্তির বাচ্চাকাচ্চা অসুস্থ ওষুধ নিতে পারতেছে না। কারো কাছে তো টাকা নাই। যারা কাজ করতো বাইরে কেউ করতে পারতেছে না। খুবই কষ্ট।

   

এক ঘরেই তিন বলী



তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
দুই ছেলের সঙ্গে খাজা আহমদ বলী/ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

দুই ছেলের সঙ্গে খাজা আহমদ বলী/ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

চুল থেকে দাড়ি-সবই সফেদ। হাঁটাচলায় মন্থর। স্বাভাবিকভাবেই প্রবীণের বয়সটা আঁচ করা যায় প্রথম দেখাতেই। কিন্তু তার ষাটোর্ধ্ব বয়সটা যেন কেবল ক্যালেন্ডারের হিসাব। বয়স যতই ছোবল বসানোর চেষ্টা করুক না কেন-তিনি যেন এখনো ২৫ এর টগবগে তরুণ। সেই বলেই তো ফুসফুসের রোগবালাইকে তুড়ি মেরে ঐতিহাসিক আবদুল জব্বারের বলীখেলা এলেই হাজির হয়ে যান রিংয়ে। এক দুবার নয়, এবার কিনা পূর্ণ হলো সুবর্ণজয়ন্তী!

চট্টগ্রামের অন্যতম আবেগের ঠিকানা ঐতিহাসিক এই বলীখেলার বড় বিজ্ঞাপন হয়ে ওঠা এই বলীর নাম খাজা আহমদ বলী। ৫০ বছর ধরে বলীখেলায় অংশ নিয়ে দর্শকদের আনন্দ দিয়ে যাওয়া এই বলীর এখন পড়ন্ত বয়স। ফুসফুসে বাসা বেঁধেছে রোগ। কানেও শোনেন কম। খাজা আহমদ বুঝে গিয়েছেন, তার দিন ফুরাচ্ছে। কিন্তু তিনি যে বলীখেলার স্মৃতি থেকে সহজেই মুছে যেতে চান না। সেজন্যই উত্তরসূরী হিসেবে এরই মধ্যে গড়ে তুলেছেন নিজের দুই ছেলেকে। বাবার পাশাপাশি দুই ভাইও এখন বলীখেলার নিয়মিত প্রতিযোগী।

খাজা আহমেদ বলীর বাবাও বলীখেলায় অংশ নিতেন। বাবার সঙ্গে বলীখেলায় এসে ১৯৭৪ সালে শখের বসে খেলতে নামেন খাজা আহমেদও। বয়স তখন ১২ বছরের আশপাশে। সেই শুরু, আর কোনোদিন মিস করেননি বলীখেলায় অংশ নেওয়া। একবার চ্যাম্পিয়নের গৌরবও অর্জন করেছিলেন। বহু বছর ধরে খাজা আহমেদ বলী ও সত্তরোর্ধ্ব মফিজুর রহমানের ‘বলীযুদ্ধ’ জব্বারের বলীখেলার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে এই দ্বৈরথ হয়তো আর দেখা যাবে না। দুই বছর আগে উৎপত্তি হওয়া ফুসফুসের রোগটা ইদানিং যে খাজা আহমদকে বেশিই ভোগাচ্ছে। সেজন্য গতবছর অবসরের ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার দুই ছেলেকে নিয়ে বলীখেলায় এসে আবেগ সামলাতে পারেননি খাজা আহমেদ। ছেলেদের সঙ্গে নিজেও নেমে পড়েন রিংয়ে। সেজন্য আরও একবার মফিজুর রহমান-খাজা আহমেদের লড়াই দেখল হাজারো দর্শক। যদিওবা যৌথ বিজয়ী ঘোষণা করে দুজনের মুখেই হাসি ফুটিয়েছেন রেফারি।

প্রতিপক্ষ মফিজুর রহমানের সঙ্গে বলী-যুদ্ধে খাজা আহমদ

কেন অবসর ভাঙলেন এমন প্রশ্নে হাসি খেলা করে যায় খাজা আহমেদ বলীর মুখে। বলতে থাকেন, ‘বয়সের কারণে শরীর দস্ত। ফুসফুসও ঠিকঠাক কাজ করছে না। সেজন্য অবসর নিয়েছিলাম। কিন্তু বলীখেলায় আসার পর দেখলাম দর্শকেরা সবাই অনুরোধ করছেন। সেজন্য মন বলল, না খেললে দর্শকদের প্রতি অন্যায় হবে। আর আবেগ ও ভালোবাসার কাছে বয়স-রোগ পেরেছে কবে?’

তবে এখানেই সব শেষ, বলে দিয়েছেন খাজা আহমেদ বলী। বলেছেন, ‘বয়স হয়ে গেছে। মনে হয় না আর খেলতে পারব। অসুখটা বেশি যন্ত্রণা দিচ্ছে। সেজন্য মনে মনে মেনে নিয়েছি এটাই আমার শেষ অংশগ্রহণ। বাকিটা আল্লাহর হাতে।’

তিন ছেলে ও এক মেয়ের বাবা খাজা আহমদের বাড়ি চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায়। কৃষিকাজ করেই চলে সংসার। তবে বলীখেলা এলে সব কাজ বাধ। কয়েকদিন ধরে চলে প্রস্তুতি। নিজের স্মৃতি ধরে রাখতে এরই মধ্যে খাজা আহমেদ নিজের দুই ছেলেকে গড়ে তুলেছেন বলী হিসেবে। ২০১২ সাল থেকে বলীখেলায় নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন তার বড় ছেলে মো. সেলিম। গত বছর থেকে যোগ দিয়েছেন ছোট ছেলে মো. কাইয়ুমও। এখন বলীখেলার আগে দুই ছেলেকে নিয়ে চলে খাজা আহমদের প্রস্তুতি।

জানতে চাইলে সেলিম বলেন, ‘বাবার কাছ থেকে আমরা বলীখেলা শিখেছি। বয়সের কারণে বাবা এখন অসুস্থ। হয়তো আর খেলা হবে না। সেজন্য তার উত্তরসূরী হিসেবে আমরা বলীখেলায় অংশ নেব সামনের দিনগুলোতে। এটা শুধু পরিবারের বলীর প্রজন্ম ধরে রাখার জন্য নয়, তরুণদের মাদক-সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগও।’

বাবাকে পাশে রেখে একই কথা বললেন ছোট ছেলে মো. কাইয়ুমও। বলেন, ‘হয়তো বাবা আর খেলবেন না। তবে তিনি না খেললেও যতদিন বেঁচে থাকবেন বলীখেলা দেখতে আসবেন। রিংয়ের নিচে দাঁড়িয়ে আমাদের উৎসাহ দিয়ে যাবেন।’

ছেলের কথা শুনে আবেগ খেলে যায় খাজা আহমেদ বলীর মনে। কাঁধের গামছাটা হাতে তুলে নিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বললেন, ‘না খেললেও যতদিন বাঁচি এখানে, এই বলীর মাঠ লালদীঘি ময়দানে ছুটে আসব। এটা থেকে দূরে থাকতে পারব না।’

খাজা আহমেদ যখন কথা বলছিলেন দূরে কোথাও তখন মাইকে বাজছিল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই অমর গান। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় অক্লান্ত গলায় গেয়ে চলেছেন, যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে, আমি বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে...

;

চাকরি ছেড়ে বসের সামনেই ঢোল বাজিয়ে নাচলেন যুবক!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিত্যদিনের অফিসের কর্মপরিবেশে অনেকের মধ্যেই 'বিরক্তি' চলে আসে। তবুও ধৈয্য নিয়ে সব সহ্য করে টিকে থাকার জন্য চালিয়ে যান লড়াই। তবে এ যাত্রায় সকলের দ্বারা টিকে থাকা সম্ভব হয় না। অফিসের 'বিষাক্ত' কর্মপরিবেশে অনেকেই ভোগেন মানসিক সমস্যায় কিংবা ব্যক্তিজীবনে। এমন পরিবেশ থেকে বাঁচতে একেক জন একেক পন্থা অবলম্বন করে থাকেন।

তবে অনিকেত নামের এক যুবক এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে যা করেছেন নেট দুনিয়ায় তা রীতিমতো ভাইরাল। এসব থেকে মুক্তি পেতে চাকরিটাই ছেড়ে দিয়েছেন এই যুবক। এতেই ক্ষান্ত হননি তিনি, বসের সামনেই ঢাকঢোল বাজিয়ে নেচে উদযাপন করেছেন এমন মুহূর্তের।

ঘটনাটি ভারতের পুনে রাজ্যের। অনিকেত নামের ওই যুবক বিক্রয় সহযোগী হিসেবে চাকরি করতেন।

তার এমন উদযাপনের একটি ভিডিও ইন্সটাগ্রাম শেয়ার করেছেন অনীশ ভগত।

ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, গত তিন বছর ধরে এই কোম্পানির সাথে কাজ করেও বেতন খুব একটা বাড়েনি। এছাড়াও অফিসের বসের দ্বারাও তাকে বিভিন্ন সময়ে অপমানিত হতে হয়েছে।

তাই তার কাজের শেষ দিনে বন্ধুরা অফিসের বাইরে ঢোল নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন এবং নেচেছিলেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, এ ঘটনায় তার বস অনেক উত্তেজিত হয়েছেন। পাশাপাশি তার বস লোকজনকে ধাক্কা দিয়েছেন এবং চিৎকারও করেছেন।

ভিডিওটির ক্যাপশনে ভগত লিখেছেন, আমি মনে করি আপনারা অনেকেই এর সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবেন। আজকাল বিষাক্ত কাজের সংস্কৃতি খুব বেশি দেখা যায়। সম্মান এবং অধিকারের অভাব খুবই সাধারণ। অনিকেত তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। আমি আশা করি এই গল্প মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।

পোস্ট করা ভিডিওটি এক মিলিয়নেরও (১০ লাখের বেশি) বেশি ভিউ পেয়েছে। পোস্টটিতে অসংখ্য লাইক ও কমেন্টও রয়েছে।

একজন ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমি জানি না কেন এটি আমাকে এত সন্তুষ্ট করেছে।'

আরেকজন লিখেছেন, 'নাচটি আমাকে অন্য মাত্রার তৃপ্তি দিয়েছে।'

'আপনি সত্যিই আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে ইতিবাচক এবং উত্সাহী ব্যক্তি'- তৃতীয় একজন ঠিক এভাবেই নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস 

;

অভয়ারণ্যে মানুষ যখন বন্দিখাঁচায়



প্রমা কোয়েল, ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিড়িয়াখানা, নানানরকম পশুপাখি ও প্রাণীর বন্দিশালা। কেবল রং-বেরঙের চিড়িয়াই নয়; বাঘ, সিংহ, ভালুক, বানর, গণ্ডারসহ কত বন্যপ্রাণীই না খাঁচায় বন্দি থাকে!

চিড়িয়াখানায় রাখতে বন্য প্রাণীদের প্রকৃতির স্বাধীন জীবন থেকে ছিনিয়ে আনা হয়। তাদের খাঁচায় বন্দি করা হয় যেন, মানুষ তাদের দেখে আনন্দ পায়। অনেক প্রাণীর জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি খাঁচাতেই কেটে যায়।

ছোট থেকে বড় সব বয়সের মানুষই চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। শিশুরা না হয় অবুঝ! তবে যারা প্রাপ্তবয়স্ক তারাও চিড়িয়াখানায় এই বন্দি প্রাণীদের জীবনকে গভীরভাবে অনুধাবন করতে পারেন না।

এশিয়ার বড় দেশ চীনে রয়েছে, এক অদ্ভুত চিড়িয়াখানা। চংকিংয়ে অবস্থিত সেই চিড়িয়াখানার নাম ‘লেহে লেদু বন্যপ্রাণী চিড়িয়াখানা’। একে ‘রিভার্স জু’ (বিপরীত চিড়িয়াখানা) বলেও ডাকা হয়।

এখানেও মানুষ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে পশু দেখতে আসেন। তবে একেবারেই ভিন্ন উপায়ে। মূলত, একটি খাঁচা রয়েছে, যেখানে মানুষদের সেই খাঁচায় পুরা হয়। তারপর সেই খাঁচাবন্দি মানুষদের নিয়ে রাখা হয়, অভয়ারণ্যে। সেখানে বন্য প্রাণীরা মানুষের খাঁচার চারপাশে অবাধে ঘুরতে থাকে। চিড়িয়াখানায় বন্দি প্রাণীদের বন্দিজীবনের এক প্রতীকী দৃশ্য!

অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের জন্য এটি এক নতুন অভিজ্ঞতা!

অভয়ারণ্যে খাঁচায় বন্দি মানুষ, ছবি-সংগৃহীত

খুব কাছে থেকে হিংস্র বন্যপ্রাণীদের মুক্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যেমন লোমহর্ষক, ঠিক তেমনই আতঙ্কজনকও হতে পারে। বিপরীতধর্মী এই চিড়িয়াখানাটি সবার জন্য প্রথম উন্মুক্ত করা হয়, ২০১৫ সালে। তখন বিশ্বের সংবদমাধ্যমের শিরোনাম কেড়েছিল এ চিড়িয়াখানাটি।

একটি শক্ত লোহার খাঁচাবেষ্টিত দর্শনার্থীদের একটি ট্রাকে তুলে অভয়ারণ্যে রেখে দেওয়া হয়। সেখানে তাদের ঘিরে ধরে ঘুরতে থাকে বাঘ, ভালুক, সিংহ ইত্যাদি হিংস্র প্রাণী।

এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার প্রধান চ্যান লিয়াং বলেন, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা রক্ষার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। খাঁচার ফাঁকা অংশ দিয়ে হাতের আঙুলও বের না করার নির্দেশনা দেওয়া থাকে।

তবে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই চিড়িয়াখানাটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে অনেক। এর নৈতিকতা নিয়ে অনেকে প্রশ্নও তুলেছেন।

অনেকে মনে করেন, এরকম ব্যবস্থাপনায় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কারণ, শিকারী প্রাণীগুলো প্রচণ্ড হিংস্র। তাই, সে কারণে যে কোনো সময় বিপজ্জনক ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

আবার এরকম চিন্তাভাবনার প্রশংসাও করেছেন অপর একটি পক্ষ। তাদের বক্তব্য, পৃথিবীটা কেবল মানুষদের নয়। প্রকৃতিতে সব প্রাণীদের একটা ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন। তাদের বন্দি করে রাখা মানুষের উচিত নয়। কারণ, মুক্ত প্রকৃতিতে বিরাজ করার অধিকার সব প্রাণীরই রয়েছে।

তাদের মন্তব্য, আমরা প্রাণীদের আবাসস্থল বনজঙ্গল সব উজাড় করেছি। সে কারণে তাপমাত্রাও অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আবার প্রাণীদের বন্দি রেখে তাদের জীবন চরম দুর্বিষহ করে তুলি।

চাইলে এবং সুযোগ পেলে এই ধরনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে চিড়িয়াখানাটি ঘুরে আসতে পারেন বৈকি!

তথ্যসূত্র: এনিমেল অ্যারাউন্ড দ্য গ্লোব

;

৫ বছরের শিশুর বিস্ময়কর প্রতিভা!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বয়স সবে ৫ কিংবা ৬। এই বয়সেই তার প্রতিভা দেখে অবাক হবে যে-কেউ!

গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভিডিওটি ১ মিলিয়নের (১০ লাখের বেশি) বেশি মানুষ দেখেছেন। খবর এনডিটিভি। 

ভিডিওতে রিলি নামের ওই শিশুটিকে প্রথমে শ্বাস নিতে দেখা যায়। তারপর সে একটি শক্তিশালী গর্জন দিয়ে শ্বাস ছাড়ে। ওই গর্জনটি হুবুহ সিংহের গর্জনের অনুরূপ।

রিলির মা অ্যামি ভিডিওটি এক্সে শেয়ারের পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। শিশুটির এমন নিখুত দক্ষতা দেখে মুগ্ধ দর্শকরা। ভিডিওটিতে অনেকেই নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন।

এক্স ব্যবহারকারী একজন লিখেছেন, এত অল্প বয়সে এমন বাস্তবসম্মত গর্জন তৈরি করার রিলির ক্ষমতার বিস্ময় প্রকাশ করে।

আরেকজন লিখেছেন, শিশুরা খুব দ্রুত শিখে। তার এমন প্রতিভা সত্যিই অবাক করার মতো।

;