২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য আবেদনের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ (২৫ জুন)।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এক দফা আবেদনের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য জমা পড়েছে মোট ২৯ টি সিনেমা। এছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ৫টি, ৩টি ডকুমেন্টারি জমা পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে ৫ এপ্রিলের মধ্যে চলচ্চিত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। তবে করোনার কারণে নির্ধারিত সময়ে অনেকেই চলচ্চিত্র জমা দিতে না পারায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২৫ জুন করা হয়।
১৯৭৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রথম প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ব্যক্তিবিশেষকে এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্রকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করে থাকে।
আজ বিকেলে রাজধানীর নিজ বাসাতেই মৃত্যু বরণ করেছেন দেশের প্রতিথযশা অভিনেতা মাসুদ আলী খান। মৃত্যুর আগে তিনিই ছিলেন দেশের সবচেয়ে প্রবীণ অভিনেতা। শেষ বিদায়ে তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন দেশের আরেক বর্ষীয়ান অভিনেতা মামুনুর রশীদ। কথা বলেছেন মাসিদ রণ
এখন মাসুদ আলী খানকে শেষবার দেখেই বাড়িতে ফিরছি। তিনি বেঁচে নেই, কিন্তু আমি বলব তিনি একটা জীবন্ত ইতিহাস। কারণ তার সৃষ্টিশীলতা, মেধা আরও অনেক বছর অভিনয়প্রেমী মানুষের মনে জীবন্তই থাকবে।
খুবই মজার মানুষ ছিলেন মাসুদ ভাই। হাসতে ভালোবাসতেন, হাসাতেও ভালোবাসতেন। একইসঙ্গে আজীবন কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে কাটিয়েছেন। তার এই গুণ সবারই শেখার আছে। তাইতো তিনি চারটি প্রজন্মের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিলেন। তিনি আমাদের আগের প্রজন্মের সঙ্গে কাজ করেছেন, আমাদের প্রজন্মের সঙ্গে কাজ করেছেন, আমাদের পরের প্রজন্ম ও একেবারে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গেও তিনি কাজ করেছেন।
মাসুদ ভাই আমাদের অগ্রজ অভিনেতা ও থিয়েটার অ্যাকটিভিস্ট। দেশের প্রথম মঞ্চ নাটকের দল 'ড্রামা সার্কেল'র সদস্য ছিলেন এই গুণী অভিনয়শিল্পী। তাই তাকে সম্মান না করার কোন কারণ নেই। কিন্তু তার অভিনয় আমাকে আলাদা করে টানতো বলেই আমার লেখা নাটক ও নির্দেশিত নাটকেও আমি তাকে অনেকবার কাস্টিং করেছি।
তার সঙ্গে আমার সর্বশেষ দেখা হয়েছিলো কয়েক বছর আগে নাগরিক নাট্য সম্পদায় থেকে আয়োজিত আলী যাকের সম্মাননা প্রদাণ অনুষ্ঠানে। সেদিন আমরা দুজনই পুরস্কার পেয়েছিলাম। অনেক আগে দেখা হয়েছে বলে আজ যখন তাকে শেষবার দেখতে গেলাম, তখন শুধু মনে হচ্ছিলো আরেকটু যদি আমাদের দেখা হতো, আরেকটু খোঁজ-খবর যদি নিতে পারতাম!
আমি মাসুদ ভাইয়ের আত্মার চিরশান্তি কামনা করি। দেশবাসীকে বলবো তার জন্য সবাই প্রার্থণা করবেন।
আজ বিকেলে রাজধানীর নিজ বাসাতেই মৃত্যু বরণ করেছেন দেশের প্রতিথযশা অভিনেতা মাসুদ আলী খান। মৃত্যুর আগে তিনিই ছিলেন দেশের সবচেয়ে প্রবীণ অভিনেতা। আর অভিনেত্রীদের মধ্যে এখন সবচেয়ে প্রবীণ হলেন জনপ্রিয় তারকা দিলারা জামান। মাসুদ আলী খান আর দিলারা জামানের বন্ধুত্বের বয়সও বহু বছর। শেষ বিদায়ে প্রিয় বন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন দিলারা জামান। কথা বলেছেন মাসিদ রণ
আজ আমাকে অভিনেতা মামুনুর রশিদ ফোন করে স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন। তারও বয়স হয়েছে, আমিও তার কুশল জানতে চাইলাম। অনেকদিন পর মামুনুর রশিদের ফোন পেয়ে খুব ভালো লাগছিলো। সেই রেশ থাকতে থাকতেই পেলাম মাসুদ আলী খানের মৃত্যুর খবর। নিমিষেই সব উল্টে গেলো। আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে খবরটি মেনে নিতে।
এক এক করে শূণ্যতা তৈরি হয়ে যাচ্ছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। মাসুদ আলী খানের মতো এমন অভিনেতা আর আসবে না। তার শূণ্যস্থানও কেউ পূরণ করতে পারবে না।
মাসুদ আলী খানের সঙ্গে আমার দেখা আশির দশকের শুরুর দিকে বিটিভির একটি নাটক করতে গিয়ে। তার দারুণ অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। এরপর এতো কাজ একসঙ্গে করেছি, কখন যে একজন সিনিয়র শিল্পী আমার বন্ধুপ্রতিম হয়ে গেলেন বুঝতেই পারিনি। ব্যক্তিজীবনে আমি অবশ্য তাকে ভাই বলেই ডাকতাম, বয়সে কিংবা অভিনয়জীবনে তিনি আমার সিনিয়র। কিন্তু সম্পর্কটা সিনিয়র-জুনিয়র ছিলো না। তাকে আমি মনে করতাম একাধারে সহকর্মী, বন্ধু ও পরিবারের মানুষ।
আমাকে নাম ধরেই ডাকতেন। আমার স্বামীকে খুব শ্রদ্ধা করতেন মাসুদ আলী ভাই। তাই মাঝে মাঝে মজা করে বলতেন, ভাবী অনেক দিন আপনার হাতের খিচুড়ি খাই না। তাকে খিচুড়ি খাওয়ানোর মানে তো শুধু তাকেই খাওয়ানো নয়, পুরো শুটিং ইউনিটকে খাওয়াতে হতো। আমার বেশ ভালো লাগতো খাওয়াতে। কারণ তিনি খাওয়ার পর যে তৃপ্তির হাসি হাসতেন সেটি দেখার জন্যই রান্না করা কোনো কষ্টই মনে হতো না। স্বামী আমাকে একা করে চলে গেলেন, এরপর প্রিয় বান্ধবী শর্মিলি আহমেদকে (প্রখ্যাত অভিনেত্রী) হারালাম। আর আজ সেই প্রিয় বন্ধুকে হারিয়ে বলতে পারেন আমি সঙ্গীহারা হয়ে গেলাম!
উনি কিন্তু দারুণ মজার মানুষ ছিলেন। সেন্স অব হিউমার ছিলো দেখার মতো। তবে একটা বাচ্চা মনও তার ভেতর লুকিয়ে ছিলো। একবার আমার বড় মেয়ের কাছে বেড়াতে গিয়েছিলাম জাপানে। উনার জন্য খুব সামান্য একটা উপহার এনেছিলাম। কিন্তু সেটা পেয়েই যে কী খুশি হয়েছিলেন সেটা বলে বোঝাতে পারবো না।
আজ উনার মৃত্যুর পর কতো স্মৃতি যে চোখের সামনে ভেসে আসছে! বিখ্যাত ধারাবাহিক নাটক ‘একান্নবর্তী’র শুটিংয়ের দিনগুলো খুব বেশি করে মনে পড়ছে। অনেক কাজ একসঙ্গে করেছি, হিসেবও নেই। একটা জুটি হয়েছিলো আমাদের। কিন্তু এই নাটকের কথাই বেশি মনে পড়ছে। আমাদের জুটি সে সময় অসম্ভব পছন্দ করেছিলো দর্শক। গত বছরও আমি, অপি করিম, সুইটিসহ ‘একান্নবর্তী’ নাটকের অনেকে মাসুদ আলী ভাইকে তার বাসায় দেখতে গিয়েছিলাম। দারুণ একটি দিন কাটিয়েছিলাম আমরা।
আমি চাই আল্লাহ যেন আমার প্রিয় বন্ধু সহশিল্পী মাসুদ আলী ভাইকে ভালো রাখেন। কারণ তিনি আপাদমস্তক একজন ভদ্র মানুষ ছিলেন। জীবনটাকে অনেক নিয়মের মধ্যে পালন করতেন। সরকারি চাকরি আর অভিনয় পেশাকে দারুণভাবে সামলাতেন। তার কাছ থেকে আমিও শিখতাম আমার শিক্ষকতা পেশা আর অভিনয়জীবনকে ব্যালেন্স করার বিষয়টি।
গুণী অভিনেতা মাসুদ আলী খান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৪টা ২০ মিনেটে রাজধানীর কলাবাগানের নিজ বাসাতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
মাসুদ আলী খানের মৃত্যুর খরর নিশ্চিত করেছেন তার ভাগনের স্ত্রী শারমিনা আহমেদ।
তিনি বলেন, আজ বিকেল চারটা ২০ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। আমরা পরবর্তী কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।
১৯৫৬ সালে এ দেশের প্রথম নাটকের দল ড্রামা সার্কেলের সঙ্গে যুক্ত হন মাসুদ আলী খান। সেই থেকে অভিনয়ে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ৫ দশকেরও বেশি সময় টানা অভিনয় করেছেন তিনি।
তার অভিনীত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে দুই দুয়ারি, দীপু নাম্বার টু, মাটির ময়না। তার অভিনীত আলোচিত কয়েকটি নাটক হচ্ছে কূল নাই কিনার নাই, এইসব দিনরাত্রি, কোথাও কেউ নেই।
মাসুদ আলী খানের জন্ম ১৯২৯ সালে ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে। বাবা আরশাদ আলী খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মাসুদ আলী খান ১৯৫৫ সালে বিয়ে করেন তাহমিনা খানকে। ব্যক্তিজীবনে এই অভিনেতার এক ছেলে ও এক মেয়ে। চাকরিজীবনে সরকারের নানা দফতরে কাজ করেছেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নেন। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে একের পর এক বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাসুদ আলী খান।
ছোট থেকেই কার কার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন, সবার সামনেই র্নিদ্বিধায় বলে ফেলতে পারেন সাইফ কন্যা সারা আলী খান। প্রথম ছবি মুক্তির আগেই জানিয়েছিলেন, অভিনেতা কার্তিক আরিয়ানকে তার পছন্দ। এরপর তার সঙ্গে ছবি করতে গিয়ে প্রেমও করেছিলেন। যদিও শেষে গিয়ে টেকেনি তাদের সম্পর্ক।
এরপর শোনা যায়, সাবেক প্রেমিক বীর পাহাড়িয়ার কাছেই নাকি ফিরে গেছেন সারা। এরপর আবেদনময় ক্রিকেটার শুভমান গিল থেকে শুরু করে আরও একাধিক তরুণের সঙ্গে সারার প্রেমের খবর শোনা গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আবারও এই নায়িকাকে নিয়ে শোনা যাচ্ছে নতুন চর্চা। জানা গেছে, এবার কোনো অভিনেতা নয়, নেতার ছেলের সঙ্গে নাকি প্রেম করছেন সারা!
সম্প্রতি তার কেদারনাথ দর্শনের ছবি নাকি সেই প্রমাণই দিচ্ছে। যার পর থেকেই শুরু হয়েছে চর্চা। প্রতি বছরই কেদারনাথ দর্শন করতে যান সারা। কখনও ভাইয়ের সঙ্গে, কখনও জাহ্নবী কাপুরের সঙ্গেও গিয়েছেন। এবার সারার কেদারনাথ যাত্রার সঙ্গী ছিলেন সেই নেতার ছেলে-এমনটিই চর্চা।
সম্প্রতি কেদারনাথ দর্শনের একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন সারা। কিন্তু কার সঙ্গে গেছেন, তার আভাস দেননি। যদিও সামাজিক মাধ্যমে এখন অনেক কিছুই আড়াল করা কঠিন। তাতে একরকম ধরাই পড়েছেন সারা! অভিনেত্রীকে কেদারনাথে পূজা দিতে দেখা গেছে অর্জুন প্রতাপ বাজওয়ার সঙ্গে। আর তা নিয়েই সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনদের চর্চা সারা-অর্জুনের সম্পর্ক নিয়ে।
অর্জুন প্রতাপ পাঞ্জাবের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ফতেহ জং সিংহ বাজওয়ার ছেলে। পাঞ্জাবে বিজেপির সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। যদিও অর্জুন চলচ্চিত্র জগতের লোক। ভারতের অন্যতম নামী মডেলও। একাধিক ব্র্যান্ডের প্রচার দূত হিসেবেও কাজ করেছেন। বলিউড অভিনেত্রীদের সঙ্গেও তার ওঠাবসা।
২০১৮ সালে ‘কেদারনাথ’ ছবি দিয়ে বলিউডে পা রাখেন সারা আলী খান। তার জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে, একইসঙ্গে ঘটছে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা।