সিনেপ্লেক্সে অজানা এক নায়করাজ
নায়করাজ রাজ্জাক, বাংলা চলচ্চিত্র ইতিহাসের উজ্জ্বল নক্ষত্র।
ওপারে চলে গেছেন তিনি একবছর হয়ে এলো।
তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ২১ আগস্ট।
এই উপলক্ষে ওই দিনই ‘রাজাধিরাজ রাজ্জাক’ মুক্তি পাচ্ছে বড়পর্দায়, রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরায়, স্টার সিনেপ্লেক্সে।
এটি একটি জীবনীনির্ভর প্রামাণ্যচিত্র।
৯০ মিনিটের ‘রাজাধিরাজ রাজ্জাক’ নির্মাণ করেছেন শাইখ সিরাজ।
তিনি বললেন-
আমরা যারা এখন মাঝ বয়সী, তাদের ষাট বা সত্তরের দশকের পর্দার নায়কেরা কোনো না কোনোভাবে প্রভাব ফেলেছে। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। প্রভাব ফেলেছিলো বলেই পরিণত বয়সে এসে যখন নিজেরা এসে টেলিভিশন বা নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত হলাম, তখন রাজ্জাক সাহেবের সঙ্গে পরিচয় হলো। ছোটবেলায় চলচ্চিত্রে যে রাজ্জাককে দেখেছি, তার সঙ্গে পরিচয়ের পর ভাবলাম, তাকে নিয়ে জীবনীনির্ভর প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করা যায়। ভাবনার সেই শুরু, যা শেষ হলো ‘রাজাধিরাজ রাজ্জাক’ দিয়ে।
বড়পর্দায় প্রামাণ্যচিত্র মুক্তির ঘটনা বিরল।
তবে শাইখ সিরাজ আশাবাদী।
তিনি ভাবছেন-
নায়করাজকে নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে, তারা নিশ্চয় প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে প্রিয় নায়কের গল্পটি দেখবেন। যেখানে অজানা এক নায়করাজকে আবিষ্কার করবেন দর্শক।
গত ১৬ আগস্ট ‘রাজাধিরাজ রাজ্জাক’ এর ২৭ মিনিট দেখানোর আয়োজন করা হয় চ্যানেল আই ভবনে।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন-
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, পরিচালক আমজাদ হোসেন, সুরকার গীতিকার ও চিত্র পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার, অভিনয়শিল্পী ফারুক, সুজাতা আজিম, মিশা সওদাগর, শহীদুল আলম সাচ্চু, ফেরদৌস, পূর্ণিমা, সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী, খুরশীদ আলম, সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী, চিত্রসমালোচক শফিউজ্জামান খান লোদী, রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী সহ আরও অনেকেই।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিলেন আদিত্য শাহীন।
‘রাজাধিরাজ রাজ্জাক’-এর নির্মাণ শুরু হয় নায়করাজের জীবদ্দশায়।