নেটফ্লিক্সের ফাঁসি চাই



ইমন খান, অতিথি লেখক
‘এক্সট্র্যাকশন’ সিনেমার পোস্টার ও নেটফ্লিক্স ,ছবি: সংগৃহীত

‘এক্সট্র্যাকশন’ সিনেমার পোস্টার ও নেটফ্লিক্স ,ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৩ সালে নেটফ্লিক্স যখন তার প্রথম অরিজিনাল টিভি সিরিজ ‘হাউজ অফ কার্ডস’র জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়; তখন তারা সিরিজটির একটি পর্বও রিভিউ করেনি, তাহলে প্রশ্ন এত বড় সিদ্ধান্ত কিভাবে নিয়েছিল নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষ?

উত্তর: বিগ-ডেটা...

নেটফ্লিক্সের মোটামুটি সব সিদ্ধান্তই বিগ-ডেটা আর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা প্রভাবিত। গুগলের মত নেটফ্লিক্সের কাছেও ব্যবহারকারীদের বিশাল সাইজের তথ্য আছে যা তাদের যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে দারুণভাবে সহায়তা করে।

‘হাউজ অফ কার্ডস’র পোস্টার


‘হাউজ অফ কার্ডস’র ক্ষেত্রে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল নেটফ্লিক্সের কাছে

১) এই সিরিজটির ব্রিটিশ সংস্করণ- যেটা আগেই যুক্তরাজ্যে প্রচারিত হয়েছিল এবং তা যথেষ্ট দর্শক সমাদৃত হয়েছিল।
২) সিরিজটির পরিচালক ছিলেন ডেভিড ফিঞ্চার- নেটফ্লিক্সের তৎকালীন ডেটা অনুযায়ী দর্শকদের মাঝে ফিঞ্চারের নির্মিত কন্টেন্টগুলোর গ্রহণযোগ্যতা ছিল বেশ।
৩) সিরিজের কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন কেভিন স্পেসি- যে কোন সিনেমা বা সিরিজে স্পেসি থাকা মানেই প্রোডাকশন হিট, ঠিক এমন ডেটাই নির্দেশ করেছিল নেটফ্লিক্সের এনালাইসিস।

এই তিন তথ্য থেকে সহজেই এক ভেন ডায়াগ্রাম তৈরি করে ফেলে নেটফ্লিক্স আর চোখ বন্ধ করে ১০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সেরে ফেলে ‘হাউজ অফ কার্ডস’ টিমের সাথে। ফলাফল? এখনো পর্যন্ত নেটফ্লিক্সের দুর্দান্ত জনপ্রিয় সিরিজগুলোর ভেতরে ‘হাউজ অফ কার্ডস’ একটি।

এতক্ষণের পাঁচালীর উদ্দেশ্য? একটা সম্যক ধারণা পাওয়া যে নেটফ্লিক্স মূলত কিভাবে কন্টেন্ট নির্বাচন করে আর এই পুরো প্রক্রিয়াতে তাদের প্রভাব কতটুকু। নেটফ্লিক্সে দুই ধরণের কন্টেন্ট পাওয়া যায়- অরিজিনাল আর লাইসেন্সড; অরিজিনাল কন্টেন্টগুলোর প্রডাকশনে নেটফ্লিক্সের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকে তবে লাইসেন্সড কন্টেন্টগুলো নেটফ্লিক্স রেডিমেড কিনে ফেলে।

নেটফ্লিক্সে ‘এক্সট্র্যাকশন’

এখন আসি আমাদের মূল আলোচনায়, সাম্প্রতিক ঢাকার প্রেক্ষাপটে নির্মিত ‘এক্সট্র্যাকশন’ চলচ্চিত্র নিয়ে দারুণ বিতর্ক তৈরি হয়েছে, কেউ কেউ নেটফ্লিক্সের মুণ্ডুপাত করেও দিচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় আমরা উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাচ্ছি।


‘এক্সট্র্যাকশন’ হল নেটফ্লিক্সের অরিজিনাল কন্টেন্ট, কিন্তু অরিজিনাল কন্টেন্টগুলোতেও নেটফ্লিক্সের ভূমিকা ঠিক কতটুকু থাকে? প্রথমত নেটফ্লিক্স কন্টেন্টের বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা নিরূপণের জন্য বিগ-ডেটার সহায়তা নিবে, সেখানে থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। এটার প্রযোজনা কিংবা ডিস্ট্রিবিউশনে নেটফ্লিক্স আগাবে কি আগাবে না তা ঠিক করে বিগ-ডেটা, যেমনটা হয়েছিল ‘হাউজ অফ কার্ডস’র ক্ষেত্রে। কিন্তু কন্টেন্টের শিল্প নির্দেশনা, ক্রিয়েটিভ জায়গাগুলোতে কিন্তু নেটফ্লিক্স হস্তক্ষেপ করে না। এটা সম্পূর্ণ পরিচালক আর সংশ্লিষ্ট প্রোডাকশন হাউজের উপর নির্ভর করছে।

‘এক্সট্র্যাকশন’ চলচ্চিত্রটির নির্মাণে নেটফ্লিক্স প্রধানত ডিস্ট্রিবিউটের ভূমিকা পালন করেছে। তাহলে নির্মাণে যুক্ত কারা? হলিউডের এজিবিও প্রোডাকশন হাউজ এই চলচ্চিত্রের আসল নির্মাতা আর এজিবিও এর নেপথ্যে আছে বিখ্যাত রুশো ব্রাদারস। এন্থোনি রুশো আর জোয় রুশো (রুশো ব্রাদারস) হলিউডে এখন অ্যাকশানধর্মী মোশন-পিকচার নির্মাণে দেবতা-তুল্য। তাদের সর্বশেষ ক্যাপ্টেন অ্যামেরিকা: দ্যা উইন্টার সোলজার, ক্যাপ্টেন অ্যামেরিকা: সিভিল ওয়্যার, অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার, অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ড গেইম ইত্যাদি চলচ্চিত্রগুলো বক্স অফিসের সব হিসেব নিকেশকে এলোমেলো করে দিয়েছিল।

তো রুশো ব্রাদার্স যখন নেটফ্লিক্সের কাছে নতুন একটা ধামাকা অ্যাকশন মুভির প্ল্যান নিয়ে এলো, বলা বাহুল্য নেটফ্লিক্স এক কথাতেই রাজি হল। কেন? কারণ নেটফ্লিক্সের ডেটা নির্দেশ করে রুশো ব্রাদার্সদের নির্মিত বা সম্পৃক্ততায় নির্মিত অ্যাকশন মুভিগুলো দারুণভাবে দর্শকপ্রিয় হয়। আর সাথে থাকে ব্যাবসায়িক সাফল্য! তাই নেটফ্লিক্স ‘এক্সট্র্যাকশন’ বানানোর সিদ্ধান্তে যেতে খুব একটা সময় নেয় নি। জানিয়ে রাখা ভালো, রুশো ব্রাদার্সের সাথে নেটফ্লিক্সের এটাই ছিল প্রথম কলাবোরেশন আর এরপর তারা ‘ম্যাজিক: দ্যা গ্যাদারিং’ নামের একটা অ্যানিমেশনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

গল্পের এই পর্যন্ত সব ঠিক-ঠাক ছিল, বিপত্তি বাঁধলো ঠিক পরের ধাপ থেকে। নেটফ্লিক্সের সবুজ সংকেত পেয়ে রুশো ব্রাদার্সের প্রোডাকশন হাউজ কাজে নেমে পড়ল, নিজেরা নির্দেশনার দেয়ার পরিবর্তে রুশো ব্রাদারস একজন পরিচালক নির্বাচিত করলেন যিনি ‘এক্সট্র্যাকশন’ চলচ্চিত্রটা নির্দেশনা দিবেন। তো তারা খুঁজে খুঁজে স্যাম হার্গ্রেইভ নামের এক ভদ্রলোকের হাতে এই গুরুদায়িত্ব তুলে দিলেন।

সিনেমাটির একটি দৃশ্যে ক্রিস হেমসওয়ার্থ

অবাক করা বিষয় হল, স্যাম হার্গ্রেইভ জীবনে কখনোই চলচ্চিত্র পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন না। রুশো ব্রাদার্সের সিনেমাগুলোতে তিনি স্ট্যান্ট কোর্ডিনেটর হিসেবে বহুদিন কাজ করেছেন। সোজা বাংলায় বলতে গেলে ফাইট-ডিরেক্টরকে ধরে এনে রুশো ভাতৃদ্বয় আস্ত একটি সিনেমা পরিচালনার দায়িত্ব দিলেন, প্রশ্ন কেন?

বহুদিন বিখ্যাত পরিচালকের সাথে কাজ করে সিনেমাটগ্রাফার, স্ক্রিন রাইটার, এডিটর পরিচালনায় নেমে গেছেন এমন উদাহরণ আছে, আর এসব ক্ষেত্রে যাদের অধীনে তারা কাজ করেছেন তাদের লবিং এর ভূমিকাটাই বেশি। স্যাম হার্গ্রেইভও রুশো ব্রাদার্সের নেক নজরে পরে পরিচালনায় চলে আসাদের একজন।

হার্গ্রেইভের পুরো সিনেমা বানানোর অভিজ্ঞতা কোন কালেই ছিল না, তাছাড়া তিনি অ্যাকশন দৃশ্যগুলো নির্মাণের বাইরে রুশো ব্রাদার্সের সাথে পূর্ববর্তী সিনেমাগুলোতে কাহিনী বিনির্মাণ, শিল্প নির্দেশনাতে সম্পৃক্ত থাকতেন কম।

ফলাফলস্বরূপ যা হবার তাই হল, দুর্দান্ত অ্যাকশনে ভরপুর একটি সিনেমা আমরা ঠিকই পেয়েছি কিন্তু সিনেমার ডিটেইলিং এ ভয়াবহ কিছু সমস্যা থেকে গেল। সিনেমা আর বাস্তবতা এক না তবে এটাও ঠিক যে যখন আপনি কোন সমাজ বা সংস্কৃতিকে তুলে ধরবেন-তখন সেটার ডিটেইলিং অনেক ভাল না হলেও খারাপ না হওয়াটা জরুরী। অন্তত হলিউডি নির্মাতাদের কাছ থেকে আমরা সবাই সেই প্রত্যাশাই করে থাকি।

স্যামের জায়গাতে যদি নিয়মিত কোন পরিচালক থাকতেন অথবা রুশো ব্রাদার্স নিজেরাই যদি পরিচালনা করতেন- তাহলে হয়ত বাংলাদেশের প্রতিনিধিকারী দলটির পুরো প্রডাকশনে আরও বেশ সম্পৃক্ততা থাকত, তাহলে হয়ত ঢাকার দোকানগুলোর ব্যানারে হিন্দি লেখা থাকত না, তাহলে হয়তো প্রডাকশন ডিজাইনের সীমাবদ্ধতাগুলো এতটা দৃশ্যমান হত না।

দিনশেষে একজন নির্মাতার কাছে তার সৃষ্টি সন্তানের মত, তিনি গোঁজামিল দিয়ে কোন কিছু বানাবার আগে চেষ্টা করবেন সেটার ভেতরে ঢুকবার। অন্তত ‘এক্সট্র্যাকশন’ সিনেমায় জড়িত শিল্প নির্দেশনা প্রদানকারী টিমের কাজকর্ম একজন জাত নির্মাতা অবশ্যই দেখভাল করতেন।

সিনেমাটির একটি দৃশ্য


কিন্তু প্রথম নির্মাণেই পরিচালকের কাছ থেকে এত ডিটেইলিং আশা করাটাও আসলে বোকামি। আর তিনি যদি মৌসুমি নির্মাতা হয়ে থাকেন তাহলে সেটা ভিন্ন। মৌসুমি নির্মাতারা আসেন, জনপ্রিয়তা পেলে থাকেন না হলে হারিয়ে যান। তবে রুশো ব্রাদার্স কিছুটা হতাশ করেছেন, নেটফ্লিক্সের সাথে তাদের প্রথম কোলাবোরশনে রেগুলার কোন নির্মাতাকে দায়িত্ব দিতে পারতেন...আর স্বভাবতই প্রডাকশনের যা কিছু ব্যর্থতা তার দায় ৯৫% পরিচালক আর এজিবিও টিমের উপরেই বর্তায়।

সেই শুরুর আলোচনায় আবার ফিরে যাই, পুরো ঘটনায় আসলে নেটফ্লিক্সের দায় কতটুকু? আমি বলব ৫%, আর এই ৫% আমার দেশে যেমন প্রযোজ্য ঠিক তেমনটা প্রযোজ্য নেটফ্লিক্সের অপারেশন বিদ্যমান থাকা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের জন্যও। শিল্প নির্দেশনা, কাহিনী, ক্রিয়েটিভ এগুলোতে পরিচালককে স্বাচ্ছন্দ্যটুকু দিয়ে নেটফ্লিক্স মূলত বিগ ডেটা দিয়ে প্রজেক্টের ফিন্যানশিয়াল ভায়াবিলিটি নিরূপণ করতেই বেশি মনোযোগী থাকে!
হ্যাঁ, এখন আপনি দাবী করতে পারেন যে নেটফ্লিক্সের কন্টেন্ট মডারেশন আরও মজবুত হওয়া জরুরী। তবে নিরাশার কথা হল এতদিনের যে মডেল তারা অনুসরণ করে আসছে, খুব শীঘ্রই বড় কোন দুর্যোগ না আসলে সেটা থেকে সরে আসার কোন সম্ভাবনা নেই!
তবে আদোতে এই বিতর্কের ফলে নেটফ্লিক্সের অজান্তেই তাদের লাভ হয়েছে, গ্রামের যে ছেলেটা নেটফ্লিক্সের নাম জানত না সে বোধকরি ‘এক্সট্র্যাকশন’ বিতর্কের কারণে নেটফ্লিক্স চিনে ফেলেছে। হয়ত এই কন্টেন্ট দেখে ভালো না লাগলেও অন্য একটা কন্টেন্ট দেখে তার ভালো লাগবে আর সাবস্ক্রাইব করবে।

একটা তিতে সত্য দিয়ে শেষ করি, আমাদের দেশের অনেক ভালো কিছুই আমরা আসলে প্রচার করতে ব্যর্থ হয়েছি, পজেটিভিটিগুলোকে সেভাবে তুলে ধরতে কখনোই পারিনি, স্বভাবতই নেতিবাচক সংবাদের কারণে বার বার বিশ্ব মিডিয়াতে শিরোনামের কারণ হয়েছি। আজ যদি আমাদের বৃহৎ পরিসরে একটা পজিটিভ ইমেজ থাকত তাহলে স্যাম হার্গ্রেইভ এর মত ঠিকঠাক বাংলাদেশকে না চেনা ভদ্রলোকটিও নেগেটিভ কিছু নির্মাণের আগে পড়াশুনা করে নিতেন। সেই অব্দি আমাদের নেটফ্লিক্সের ফাঁসী চাওয়া থেকে বিরত থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

লেখক: ইমন খান, বিজ্ঞাপন নির্মাতা

   

ডিউন কপি করেছে কল্কি মেকার্স, নেটিজেনদের সন্দেহ



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি নির্ভর সিনেমা কল্কি ২৮৯৮ এ.ডি। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে অত্যাধুনিক পৃথিবী পরিণত হয়েছে প্রায় ধ্বংসস্তূপে। অভিনয় করেছেন প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন, কমল হাসান, অমিতাভ বচ্চনসহ বাঘা বাঘা বলিউড অভিনয় শিল্পীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সিনেমাটির নতুন পোস্টারের সাথে প্রকাশের নতুন তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে৷

পোস্টার প্রকাশ পাওয়া পর সিনেমা নিয়ে আবারও হাইপ তৈরি হয়েছে৷ নেটিজেনরা একেরপর এক প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে।

নেটিজেনের এক পক্ষ সিনেমা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। অনেকে মন্তব্য করেছে সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া সুপারহিট হলিউড সিনেমা ডিউন ফ্রাঞ্চাইজির সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে কল্কি সিনেমার।

আগে থেকেই এরকম মন্তব্য করেছিলেন অনেকে। নতুন এই পোস্টার প্রকাশ পাওয়ার পর আবার সমালোচনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন দীপিকা পাডুকোন। তার একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে কল্কি সিনেমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পাশে ডিউনের অভিনেত্রী জেনডায়ার আরেকটি ছবি। দুই অভিনেত্রীর লুকে মিল খুঁজে পেয়েছেন তারা। নেটিজেনদের দাবি কল্কি সিনেমা সংশ্লিষ্টরা ডিউন সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। কিন্তু এমনটা স্বীকার করতে নারাজ পরিচালক।

সিনেমার প্রচারণার সময় থেকেই ভক্তদের মনে হতে থাকে কপি করার কথা। হায়েদ্রাবাদে এক প্রচারণা ক্যাম্পেইনে পরিচালক নাগ অশ্বিনকে এই নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছিল। এক শিক্ষার্থী অশ্বিনকে প্রশ্ন করেন, 'কল্কি সিনেমার পোস্টার দেখলে কেন মনে হচ্ছে ডিউনের পোস্টার দেখছি?' এই প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক বলেন, 'ধূলাবালি এর কারণ! কল্কি সিনেমা কেয়ামতের সময়কার গল্পে তৈরি। ধ্বংসপ্রায় পৃথিবীতে বায়ু বিষাক্ত, সূর্য মৃতপ্রায় আর পরিবেশ বসবাসের অযোগ্য। সেই কারণে প্রতিটি সিনে চারদিকে এত বালি। ডিউন সিনেমাও মরুভূমি অঞ্চলের গ্রহের গল্প। দু'টো সিনেমায় এই সাদৃশ্যের কারণেই এমন মনে হচ্ছে।'

;

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইমতিয়াজ আলির পরিচালনায় অমর সিং চামকিলায় অভিনয়ের কারণে প্রশংসিত হয়েছেন পরিণীতি চোপড়া। সম্প্রতি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কেরিয়ার শুরুর দিনগুলো ভাগ করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এক পডকাস্টে শো-তে কেরিয়ার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। যশ রাজ ফিল্মের মার্কেটিং এবং পিআর বিভাগে একজন ইন্টার্ন হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন পরিনীতি চোপড়া।

পরিণীতি বলেন, ‘আমি রানির হয়ে 'দিল বোলে হারিপ্পা', দীপিকা পাড়ুকোন এবং নীল নিতিন মুকেশের 'লফাঙ্গে পারিন্দে'র প্রচার করেছি। অনুষ্কা ও শাহিদ কাপুরের ‘বদমাশ কোম্পানি’র কাজও করেছিলাম। যশরাজের স্টুডিয়োতে ইন্টার্ন হিসেবে আমার শেষ ছবি ছিল ব্যান্ড বাজা বরাত। ওদের জন্য কফিও অর্ডার করতাম’। তিনি আরও বলেন, ইন্টার্ন থাকার সময় যে সাংবাদিকদের তিনি সেলেব্রিটি সাক্ষাৎকারে ব্যবস্থা করে দিতেন, তাঁরাই এখন তাঁর সাক্ষাৎকার নেন।


যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে দেড় বছর কাজের পর, সেই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। একদিন হঠাৎই তাঁর কাছে ফোন আসে আদিত্য চোপড়ার। যা তাঁর কেরিয়ার আর জীবন দুটোই বদলে দেয়। ‘চাকরি ছাড়ার কয়েকদিন পর, আমি আদির কাছ থেকে একটি ফোন পাই। তখন তো আমি অবাক, ও আমাকে কেন ফোন করছে।’

ফোনে আদিত্য সেই সময় পরিণীতিকে যশরাজের সঙ্গে তিনটি সিনেমার চুক্তিতে স্বাক্ষর করানোর কথা বলেছিলেন। কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মার সঙ্গে তাঁর অডিশনের ভিডিও পছন্দ হয়েছিল আদিত্য চোপড়ার। এর এক মাস পর লেডিজ ভার্সেস রিকি বহেল-এর অফার পান।


এরপর প্রায় ১১ বছর যশরাজের নায়িকা হিসেবে কাজ করেন পরিণীতি। ইশকজাদে, হাসি তো ফাসি, মেরি প্যায়ারি বিন্দু-র মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শকদেরকে।

‘পাঞ্জাবের এলভিস প্রিসলি’ ওরফে গায়ক অমর সিংহ চমকিলার ‘বায়োপিক’-এ দেখা যাচ্ছে পরিণীতি চোপড়াকে। অমর সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গায়ক-অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ, এবং তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন পরিণীতি চোপড়া।

এই ছবির জন্য নিজের প্রায় ১৬ কেজি ওজন বাড়ান পরিনীতি। এমনকী, সেই ‘মোটা চেহারা’ নিয়েই বিয়ে করতে হয় তাঁকে! তবে, এত ভালো একটা সিনেমার জন্য এটুকু আত্মত্যাগে তিনি খুশি, জানিয়েছেন পরিণীতি।

;

বাংলাদেশে প্রচলিত শাস্ত্রীয় নৃত্য



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

  • Font increase
  • Font Decrease

নানারকম বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে তৈরি হয় সুর। সেই সুরের সাথে তাল মিলিয়ে অনুভূতির আত্মপ্রকাশ নৃত্য। শরীরের সকল অঙ্গের সঞ্চালনের মাধ্যমে শৈল্পিক চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। নাচ একটি বিনোদনের মাধ্যমও বটে! আমাদের দেশে অনেক বিনোদন শিল্পী নাচের চর্চা করেন।

আমাদের দেশে এখন নানারকম নৃত্য চর্চা দেখা যায়। তবে বরাবরই আমাদের দেশে শাস্ত্রীয় নৃত্য চর্চার প্রাধান্য দেখা যায়। নৃত্য সম্পর্কিত পাঠ্য তথ্য অনুযায়ী, শাস্ত্রীয় নৃত্যেরও নানারকম বিভিন্নতা রয়েছে। তবে মূলত ৮ ধরনের নৃত্যকে প্রধান শাস্ত্রীয় নৃত্যের অন্তর্ভুক্ত বিবেচনা করা হয়।

সেগুলো হলোঃ ১। কত্থক, ২। ভরতনাট্যম, ৩।মণিপুরি, ৪। ওডিসি, ৫। কথাকলি, ৬।কুচিপুরি, ৭।মোহিনিত্তম এবং ৮।গৌড়ীয়।

কত্থকঃ উত্তর ভারতে শুরু হয়েছিল কত্থক চর্চা। একে প্রাচীনতম শাস্ত্রীয় নৃত্য হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয় যাযাবর সম্প্রদায়ের মাধ্যমে এই নৃত্যের আবির্ভাব হয়েছিল। আধুনিক সমাজে কত্থক নৃত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দিক্ষিতও এই নৃত্যে পারদর্শী। আমাদের দেশে মুনমুন আহমেদ, শিবলী মোহাম্মদ অনন্য কত্থক শিল্পী।

ভরতনাট্যমঃ দক্ষিণ ভারতীয় তাণ্ডব ধর্মী নৃত্য প্রকৃতি ভরতনাট্যম। একে কঠিনতম শাস্ত্রীয় নৃত্যগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারতবর্ষে বিশ্বাস করা হয়, প্রাচীনতম ধর্মীয় বইয়ে এই ঘরানার নৃত্যের উল্লেখ রয়েছে।

মণিপুরিঃ মণিপুরি সম্প্রদায়ের চর্চিত নাচ এটি। একে মন্দির ধর্মী ধ্রুপদ নৃত্য বলা হয়। বাংলায় এই নৃত্য চর্চার প্রসার হয় রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে। আমাদের দেশে ওয়ার্দাঁ রিহাব, সামিনা হোসেন প্রেমা, শরমিলা বন্দোপাধ্যায় এখন এই নৃত্যে পারদর্শী। তবে শান্তিবালা সিনহার হাত ধরে মণিপুরি নাচের প্রসার ঘটেছিল।

ওডিসিঃ পার্শ্ববর্তী ভারতীয় রাজ্য ওড়িষ্যার নৃত্য ঘরনা ওডিসি। ভারতে এই নৃত্য চর্চা বেশ সমৃদ্ধ। আমাদের দেশে তেমন অভিজ্ঞ খুব বেশি নেই। সেখানকার এক খোদাইচিত্রে এই নৃত্যভঙ্গী আবিষ্কার হয়েছিল। নৃত্যশিল্পী বেনজির সালাম কোলকাতা থেকে ওডিসি নৃত্য নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন, আমাদের দেশে তিনি বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিনি প্রশিক্ষণ দেন।

আমাদের দেশে এই ৪ ধরনের নৃত্য চর্চা বেশি নজরে পড়ে। তবে শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে এইসব নাচের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তবে কালের বিবর্তনে আধুনিক নৃত্য চর্চাও হয়। ব্যালে, হাই হিলস, বেলি , সালসা, হিপহপ সহ নানারকম নাচের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।

;

জাহ্নবীর লাল ড্রেসের ছবিতে নেটদুনিয়ায় আগুন



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লাল রঙে ভালো লাগে না এমন মেয়ে খুব কম দেখা যাবে। জাহ্নবী কাপুরও তার বাইরে যান না। লাল রং যেন সবার মধ্যেই স ফিরিয়ে আনে যেন। আর আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুরও লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে বুঝিয়ে দিলেন যে উনি এই রঙের কতটা ভক্ত।

আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে

জাহ্নবী কাপুরের গ্ল্যামার এবং চমৎকার স্টাইলিং প্রত্যেককে মুগ্ধ করে মুহূর্তেই। সম্প্রতি জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে একটি ছবি দিয়েছেন। হাইনেক, ফুলহাতা এই ড্রেসটি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।

জাহ্নবী কাপুরের সৌন্দর্য অনেককেই মনে করিয়ে দেয় শ্রীদেবীর কথা। মায়ের সঙ্গে মেয়ের মুখশ্রীর অবিকল মিলও খুঁজে পান অনেকেই। যেমন আটের দশকের ফ্যাশন সেন্সেশন ছিলেন ‘হাওয়া হাওয়াই’, ঠিক তেমনই তাঁর কন্যা একুশ শতকে স্টাইলিং স্টেটমেন্টে সকলকে মুগ্ধ করেছেন। আর তাঁর এই রেড ড্রেস লুকটি হল অন্যতম উদাহরণ।

জাহ্নবী কাপুরের ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট

জাহ্নবী কাপুর তার লুকটি ক্রিয়েট করতে একটি ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট বেছে নিয়েছিলেন। আর এই ড্রেসে যে তাঁকে চমৎকার দেখতে লাগছিল, সে কথা তো বলাই বাহুল্য! তাঁকে দেখে তো চোখ ফেরানোই যাচ্ছিল না। তবে জাহ্নবীর এই লুকটি অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছিল অন্যতম জনপ্রিয় পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনির কথা। ২০০০ সালে তাঁর ‘ওহ ডিড ইট এগেইন’ গানের লুকটির এক ছাপ যেন জাহ্নবীর এই সাজেও পাওয়া গিয়েছিল!

পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনি ও জাহ্নবী কাপুর

জাহ্নবী কাপুরের এই রেড ল্যাটেক্স ড্রেসটি ছিল হাই নেকলাইন এবং ফুল স্লিভ। এর বডিফিট প্যাটার্ন অভিনেত্রীর টোনড কার্ভলাইনকে হাইলাইট করেছিল। কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিল তাঁর ফিগারকে। এই কথা বলতে কোনও অসুবিধা নেই যে, জাহ্নবীর এই লুক হু হু করে তাপমাত্রার পারদ চড়িয়েছিল।

;