চট্টগ্রামে গড়ে তোলা হচ্ছে ‘আইয়ুব বাচ্চু চত্বর’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আইয়ুব বাচ্চু ও ‘আইয়ুব বাচ্চু চত্বর’-এর নকশা

আইয়ুব বাচ্চু ও ‘আইয়ুব বাচ্চু চত্বর’-এর নকশা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চু জন্মেছিলেন চট্টগ্রামে। প্রয়াত শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বন্দরনগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রবর্তক মোড়টিকে ‘আইয়ুব বাচ্চু চত্বর’ ঘোষণা করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এতে থাকবে একটি কৃত্রিম রুপালি গিটার।

আইয়ুব বাচ্চুর জানাজায় অংশ নিয়ে তার স্মৃতি সংরক্ষণে উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এর অংশ হিসেবেই প্রবর্তক মোড়টিকে ‘আইয়ুব বাচ্চু চত্বর’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

জানা গেছে, গত বছরের ১৮ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের গোলপাহাড় মোড় থেকে প্রবর্তক মোড় পর্যন্ত চার লেন বিশিষ্ট সড়কটির সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর আওতায় প্রবর্তক মোড়ে বসানো হচ্ছে আইয়ুব বাচ্চুর রুপালি গিটারের আদলে একটি গিটার।

গত বছরের ১৮ অক্টোবর সাংস্কৃতিক অঙ্গনের শিল্পী, ভক্ত-শ্রোতাদের কাঁদিয়ে চিরবিদায় নেন আইয়ুব বাচ্চু। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। ২০ অক্টোবর বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর চৈতন্য গলির কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক। গিটারের জাদুকর হিসেবে আলাদা সুনাম ছিল তার। ভক্তদের কাছে তিনি ‘এবি’ নামেও পরিচিত ছিলেন।

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। ১৯৭৮ সালে ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে সংগীত জগতে তার পথচলা শুরু হয়। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সোলস ব্যান্ডে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে এলআরবি ব্যান্ড গঠন করেন আইয়ুব বাচ্চু। এর প্রথম অ্যালবাম ‘এলআরবি’ বাজারে আসে ১৯৯২ সালে। এটাই দেশের প্রথম ডাবল অ্যালবাম। এলআরবি’র অন্য অ্যালবামগুলো হলো ‘সুখ’ (১৯৯৩), ‘তবুও’ (১৯৯৪), ‘ঘুমন্ত শহরে’ (১৯৯৫), ‘ফেরারি মন’ (১৯৯৬), ‘স্বপ্ন’ (১৯৯৬), ‘আমাদের বিস্ময়’ (১৯৯৮), ‘স্পর্শ’ (২০০৮), ‘যুদ্ধ’ (২০১২), ‘রাখে আল্লা মারে কে’ (২০১৬)।

১৯৮৬ সালে প্রকাশিত ‘রক্তগোলাপ’ হলো আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম প্রকাশিত একক অ্যালবাম। তার সাফল্যের শুরুটা হয় দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘ময়না’র (১৯৮৮) মাধ্যমে। ১৯৯৫ সালে বাজারে আসে তার তৃতীয় একক অ্যালবাম ‘কষ্ট’। এর প্রায় সবক’টি গান জনপ্রিয়তা পায়। বিশেষ করে ‘কষ্ট কাকে বলে’, ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘অবাক হৃদয়’, ‘আমিও মানুষ’ গানগুলো এখনও শ্রোতাদের মুখে মুখে। তার অন্য একক অ্যালবামগুলো হলো ‘সময়’ (১৯৯৮), ‘একা’ (১৯৯৯), ‘প্রেম তুমি কী?’ (২০০২), ‘দুটি মন’ (২০০২), ‘কাফেলা’ (২০০২), ‘রিমঝিম বৃষ্টি’ (২০০৮), ‘বলিনি কখনো’ (২০০৯), ‘জীবনের গল্প’ (২০১৫)।

আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া গানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘চলো বদলে যাই’। এর কথা ও সুর তারই। শ্রোতাপ্রিয় গানের তালিকায় আরও রয়েছে ‘শেষ চিঠি কেমন এমন চিঠি’, ‘ঘুম ভাঙা শহরে’, ‘হকার’, ‘সুখ’, ‘রুপালি গিটার’, ‘গতকাল রাতে’, ‘তারা ভরা রাতে’, ‘এখন অনেক রাত’ ইত্যাদি।

রক ঘরানার গানের এই শিল্পী আধুনিক আর লোকগীতিতেও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। বেশকিছু ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন তিনি। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া প্রথম গান ‘লুটতরাজ’ ছবির ‘অনন্ত প্রেম’। এছাড়া ‘আম্মাজান’ ছবির টাইটেল গানটি বেশ জনপ্রিয়। দুটিতেই পর্দায় ঠোঁট মিলিয়েছেন প্রয়াত মান্না।

   

হাসপাতাল থেকে ঘরে ফিরলেন শাহরুখ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান

বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান

  • Font increase
  • Font Decrease

একমাত্র কন্যা সুহানা খানের জন্মদিনে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ে। আর তাতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে কিং খানের ভক্তরা। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে প্রিয় অভিনেতার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

যেনতেন অসুস্থতা ছিল না। একেবারে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল এই সুপারস্টারকে! আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ শেষে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

ভক্তদের জন্য সুখবর। হাতপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তাদের প্রিয় তারকা। একটু সুস্থ হতেই মুম্বাই নিজের ঘরে ফিরলেন শাহরুখ। গতকাল (২৩ মে) হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন শাহরুখ।  সেদিনই আহমেদাবাদ থেকে মুম্বাইয়ের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। ঠিক তখনই পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় লেন্সবন্দি হন তিনি।

তবে ভক্তরা তাকে এক ঝলক দেখার জন্য যতই অপেক্ষা করে বসে থাকুক না কেন, বাদশার দেখা পেতে এখন যে বেশ ধৈর্য ধরতে হবে সেটা তিনি বুঝিয়ে দিলেন। এদিন ছাতা দিয়ে মুখ ঢেকে তবেই হাসপাতাল থেকে বের হন শাহরুখ। তবে সেটি কি রোদ না লাগানোর জন্য নাকি ভক্তদের নজর এড়াতে সেটি স্পষ্ট নয়।

ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত (২১ মে) নিজের দলের খেলা দেখতে আহমেদাবাদে গিয়েছিলেন কিং খান। সেখানে অসুস্থবোধ করায় শহরের কেডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। গ্যালারিতে বসে দলের জয় উপভোগ করেন তিনি। একপর্যায়ে প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক হয় তার! পরে তাকে আহমেদাবাদের কেডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

;

সারাদেশে ফারিণ অভিনীত প্রথম ছবি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
তাসনিয়া ফারিণ /  ছবি : ফেসবুক

তাসনিয়া ফারিণ / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বড়পর্দায় নাম লেখালেন সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। দেশজুড়ে আজ মুক্তি পেয়েছে তার সিনেমা ‘ফাতিমা’। এরইমধ্যে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পর্যন্ত নিজের ঝুলিতে পুরেছেন ফারিণ (তার প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি কলকাতার নির্মাতা অতনু ঘোষের ‘আরো এক পৃথিবী’র জন্য)।

তবে এই ‘ফাতিমা’ই হলো ফারিণের প্রথম সিনেমা। এই ছবির কাজ যখন তিনি শুরু করেন তখন তিনি আজকের অবস্থানে ছিলেন না। নাটকে অভিনয় করে নিজের একটা পরিচিতি গড়েছেন সবেমাত্র। তখন তাকে খুব একটা চ্যালেঞ্জিং চরিত্রেও দেখা যায়নি সেভাবে। এমনকি ওটিটিতে ফারিণ যে চমৎকার কিছু কাজ করেছেন, সেসবও দেখেনি দর্শক। তার গানের প্রতিভাও তখন বিকশিত হয়নি লোকের কাছে।

‘ফাতিমা’ সিনেমার পোস্টারে ইয়াশ রোহান ও তাসনিয়া ফারিণ

এমন অবস্থাতেই ফারিণকে প্রধাণ চরিত্রে সুযোগ করে দেন নির্মাতা ধ্রুব হাসান। সেটি ২০১৭ সালের কথা। এরপর কেটে গেছে প্রায় ৮ বছর! অবশেষে সেই সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে দেশের ১০টি প্রেক্ষাগৃহে। সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে ফারিণকে, সঙ্গে আছেন ইয়াশ রোহান এবং সুমিত সেনগুপ্ত। চলতি বছর ইরানের ৪২তম ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার পায় ছবিটি।

গত মঙ্গলবার ছিল ছবিটির প্রিমিয়ার শো। যেখানে শোবিজ অঙ্গনের তারকাসহ গণমাধ্যমকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। সিনেমাটি দেখে প্রশংসা করেছেন সবাই।

অনেকটা সময় পর সিনেমাটি মুক্তি দিতে পেরে আনন্দিত পরিচালক ধ্রুব হাসান। তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, ঢাকার ছয়টি সিনেপ্লেক্সসহ দেশের মোট ১০টি সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। তালিকায় আছে স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি, মিরপুর সনি স্কয়ার, মহাখালীর এসকে টাওয়ার শাখা, কেরানীগঞ্জের লায়ন সিনেমাস, শ্যামলীর শ্যামলী সিনেমা ও যমুনার ব্লকবাস্টার। ঢাকার বাইরে ছবিটি দেখা যাবে নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপ, চট্টগ্রামের বালি আর্কেড, সিলেটের গ্র্যান্ড সিলেট মুভি থিয়েটার, সিরাজগঞ্জের রুটস সিনে ক্লাব।

‘ফাতিমা’ সিনেমার পোস্টার

‘ফাতিমা’ সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন পান্থ কানাই, তারিক আনাম খান, শাহেদ আলী সুজন। সহযোগী প্রযোজক এবং প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে আছেন কবির আহমেদ।

;

হাত লম্বা-খাটোর তো কিছু নেই : নিপুণ



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
নিপুণ আক্তার /  ছবি : নূর এ আলম

নিপুণ আক্তার / ছবি : নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। নানা কারণে তিনি এখন আলোচিত মুখ। এতো আলোচনার মধ্যেই আজ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সিনেমা ‘সুস্বাগতম’। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে তিনি বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন নতুন সিনেমা ও তার বিরুদ্ধে ওঠা সাম্প্রতিক সময়ের নানা অভিযোগ নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ

নিপুণ আক্তার /  ছবি : নূর এ আলম

আপনি দেশের বাইরে। কিন্তু বাংলাদেশে আপনাকে নিয়ে এতো আলোচনা, এতো বিতর্ক! কবে ফিরবেন?


আসলে আমি এতো লম্বা সময়ের জন্য বিদেশে এসে থাকি না। কিন্তু এই সময়টা এখানে থাকা খুব জরুরী। কারণ আমার একমাত্র মেয়ে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে। তার কনভোকেশনে আমি অংশ নিয়েছি। শুধু আমি নই, সারা বিশ্ব থেকে অভিভাবকরা এসেছেন ছেলে-মেয়েদের কনভোকেশনে। এরপর আবার মেয়েটা মাস্টার্সে ভর্তি হলো। তা নিয়েও অনেক কাজ করতে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি জরুরী ছিল বাসা বদলানো। চার বছর পর মেয়েটা নতুন বাসায় উঠলো। তাকে সব গোছগাছ করে দিলাম। আমি জুনের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফিরব।

নিপুণ আক্তার /  ছবি : নূর এ আলম

আজ আপনার সিনেমা ‘সুস্বাগতম’ মুক্তি পেয়েছে। বিদেশে থাকার জন্য তো কোন ধরনের প্রচারণা করতে পারলেন না?


হ্যাঁ। বর্তমান সময়ে সিনেমা প্রচার না করলে সহজে মানুষের কাছে পৌঁছায় না। কিন্তু কিছু করার নেই, আমি তো দেশে নেই। এখানে থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যতোটা পেরেছি প্রচারণা চালাচ্ছি। এছাড়া ছবির অন্যান্য শিল্পী নীরব, স্পর্শিয়াসহ অনেকেই তাদের মতো প্রচারণা চালানোর কথা। সবাইকে ছবিটি দেখার অনুরোধ করব। কারণ ছবিটি খুব সুন্দর একটি বার্তা দেবে। সেটি হলো- মানুষের জন্ম তার হাতে নেই। সৃষ্টিকর্তা তাকে যে পরিবেশে পাঠাবেন তাকে সেখানেই আসতে হবে। কিন্তু আমরা যদি নিজের জন্ম বা সামাজিক অবস্থানের কথা না ভেবে নিজেকে ভালোভাবে গড়ে তুলি তাহলে স্বপ্নপূরণ করা সম্ভব।

নিপুণ আক্তার /  ছবি : নূর এ আলম

ছবিতে নাকি স্পর্শিয়ার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন!


একদম ঠিক শুনেছেন। আমি আসলে কখনোই নায়িকা চরিত্রে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে চাইনি। যে চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ আছে সেখানেই মন দিয়ে কাজ করেছি। এই ছবিতেও আমার চরিত্রটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই মেয়েটি তার সামাজিক অবস্থান ভুলে গিয়ে তার মেয়েকে একদিন পাইলট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। সেই চরিত্রে রয়েছে স্পর্শিয়া। সে খুব ভালো অভিনয় করেছে। আমাদের ছবির নির্মাতা শফিকুল আলমও কিন্তু পেশাগত জীবনে একজন পাইলট। হতে পারে এটি তারই জীবনের একটি খন্ডচিত্র।

নিপুণ আক্তার /  ছবি : নূর এ আলম

শিল্পী সমিতির চেয়ার নিয়ে আবারও শুরু হয়েছে আইনি লড়াই। আপনার প্রতিপক্ষ ডিপজল বলেছেন, আপনি বিদেশে থেকেও আইনি যে কাজগুলো করছেন, তাতে বোঝাই যায় আপনার হাত কতো লম্বা। এ বিষয়ে কী বলবেন?


(হাহাহা) এটা কোন কথা, আপনিই বলেন! আমি পৃথিবীর যেখানেই থাকি, আইনের কাজ আইন করবে। তাতে হাত লম্বা-খাটোর তো কিছু নেই। আমি বিদেশে যেহেতু অনেকদিন থাকবো তাই আসার আগে নির্বাচনের সময় তাদের কারচুপি, অন্যায়মূলক কর্মকাণ্ডের যে সব প্রমাণাদি পেয়েছি সবটাই আমার আইনজীবীকে বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি। যেখানে সাইন করার দরকার করে এসেছি। এরপরও আমার কোন সাইন লাগলে আমার অবর্তমানে একজন সেই কাজ করতে পারবেন বলে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি করে এসেছি। ফলে এখন আইনের প্রক্রিয়া বিজ্ঞ আদালতের গতিতে চলছে। এতে আমার তো অতিরিক্ত কিছু করার নেই।

নিপুণ আক্তার /  ছবি : নূর এ আলম

ডি এ তায়েব আপনাকে বলেছেন, আপনি সম্মানীত ব্যক্তিদের নামে আজেবাজে মন্তব্য করছেন। ডিপজলকে অশিক্ষিত বলেছেন। এই কথা কি মুখ ফসকে বেরিয়েছিল?


একদম না। আমি বুঝে শুনেই উনাকে (ডিপজল) মূর্খ্য বলেছি। কারণ তিনি ইদানিং যেসব কাজ করছেন বা কথা বলছেন তাতে মূর্খতারই পরিচয় দিচ্ছেন। আমি ভুল কিছু বলিনি। আর ডি এ তায়েবের কথা যেহেতু আপনি তুললেন, তার ব্যাপারে বলতে চাই, আমি দেশে ফিরে তার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তার শিল্পী সমিতির সদস্য পদ নিয়ে আমি যে প্রশ্ন তুলেছি, উনি সেটার ভুলভাল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তিনি যখন সদস্যপদ পেয়েছেন তখন কি তার পাঁচটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল? বিষয়টি আপনারা খোঁজ নিলেই পেয়ে যাবেন। যদি পাঁচটি ছবি মুক্তিই না পায় তাহলে উনি কিভাবে শিল্পী সমিতির সদস্য হতে পারেন?

নিপুণ আক্তার /  ছবি : নূর এ আলম

আপনাকে কটাক্ষ করে এফডিসিতে সাধারণ শিল্পীদের মিছিল কিংবা নির্বাচনের এতোদিন পর কারচুপির অভিযোগ আনার জন্য আপনাকে বিভিন্ন জন বিভিন্ন কথা বলছেন। এতে আপনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন কি না?


একদম না। শুনুন, আপনি যখন এমন রাঘব বোয়ালদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে যাবেন তখন আপনাকে নানা ধরনের কটাক্ষ, নিন্দা কিংবা তারচেয়ে বড় কিছু মোকাবিলা করতে হবে। সুতরাং এ নিয়ে মাথা ঘামালে চলবে না। নিজের অধিকারের জন্য এবং সত্যের জন্য লড়তে হবে মাথা উচু করে। আমি সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করেছি। এসব কটাক্ষে আমার কিচ্ছু আসে যায় না। আর নির্বাচনের প্রায় এক মাস পর কারচুপি নিয়ে আইনের দারস্থ হওয়ার কারণও আছে। আমাকে সব তথ্য উপাত্ত সময় নিয়ে জমা করতে হয়েছে। তাছাড়া অনেকেই জানেন, প্রচণ্ড গরমে আমাদের নির্বাচন হয়েছে। আমি তা সহ্য করতে না পেরে পরদিন থেকেই খুব অসুস্থ হয়ে পড়ি। আপনি আমার কণ্ঠ তো শুনছেনই, বুঝতেই পারছেন কতোটা অসুস্থ আমি (কণ্ঠ একেবারে বসা, মাঝেমধ্যে কাশি, কথা বলতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল)। কিন্তু মেয়ের জন্য আমাকে ফ্লাই করে আসতেই হলো। এভাবেই সবকিছু ব্যালেন্স করতে চলতে হবে জীবনে। কোনকিছুই এমনি এমনি অর্জন হয় না। হলেও তা উপভোগের কিছু নেই।

;

কানের গ্রাঁ প্রিঁ উঠলো আর্জেন্টিনার হাতে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘সায়মন অব দ্য মাউন্টেন' ছবির দৃশ্য

‘সায়মন অব দ্য মাউন্টেন' ছবির দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবের সমান্তরাল বিভাগ ক্রিটিকস’ উইকের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘গ্রাঁ প্রিঁ’ জিতেছে আর্জেন্টাইন পরিচালক ফেদেরিকো লুইসের প্রথম চলচ্চিত্র ‘সায়মন অব দ্য মাউন্টেন’। ভূমধ্যসাগরের তীরে এসপেস মিরামার হোটেলে বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যা ৬টায় বিজয়ী তালিকা ঘোষণা করা হয়। তখন উপস্থিত ছিলেন ক্রিটিকস’ উইকের প্রধান নির্বাহী আভা কায়েন।

উঠতি বয়সের এক কিশোরের মানসিক ব্যাধির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাকে কেন্দ্র করে ছবিটির গল্প। এতে অভিনয় করেছেন আর্জেন্টাইন অভিনেতা, গায়ক ও গীতিকবি লরেঞ্জো ফেরো। এর যৌথ প্রযোজক আর্জেন্টিনা, চিলি ও উরুগুয়ের তিনটি পৃথক প্রতিষ্ঠান।

ক্রিটিকস’ উইকের সর্বোচ্চ পুরস্কার জিতে ফেদেরিকো লুইস বলেছেন, ‘আমাদের কাছে এই পুরস্কারের তাৎপর্য কী শুধু সেটাই ভাবছি না, আর্জেন্টিনার বাসিন্দাদের জন্য এর অর্থ কী সেটি নিয়েও ভাবছি, যাদের আগামী চার বছর স্থানীয় চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সংগ্রাম করতে হবে। এমন অনেকে আছেন যারা এখনও ভাবে, আমরা চলচ্চিত্র বানালেও কেউ দেখতে চায় না। আশা করি, এই পুরস্কার সেই চিন্তায় পরিবর্তন আনবে এবং আর্জেন্টিনার মানুষ এবং তারপর সারাবিশ্ব আমাদের সিনেমা দেখবে।’

৬৩তম ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস’ উইকের বিজয়ী তালিকা

গ্রাঁ প্রিঁ
সায়মন অব দ্য মাউন্টেন (ফেদেরিকো লুইস, আর্জেন্টিনা-চিলি-উরুগুয়ে)

‘সায়মন অব দ্য মাউন্টেন' ছবির পোস্টর

ফ্রেঞ্চ টাচ প্রাইজ অব দ্য জুরি

ব্লু সান প্যালেস (কনস্ট্যান্স সাং, যুক্তরাষ্ট্র)

লুই রোদ্যুরের ফাউন্ডেশন রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড
রিকার্দো তেওদোরো (ছবি: বেবি, ব্রাজিল)

লাইৎজ সিনে ডিসকোভার প্রাইজ (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র)
মন্টসুরিস পার্ক (গিল সেলা, ফ্রান্স)

গ্যান ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ফর ডিস্ট্রিবিউশন
জুলি কিপস কোয়ায়েট (লিওনার্দো ফন ডেইল, বেলজিয়াম-সুইডেন)

এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড
লিওনার্দো ফন ডেইল ও রুথ বেকার্ট (ছবি: জুলি কিপস কোয়ায়েট, বেলজিয়াম-সুইডেন)

ক্যানাল প্লাস অ্যাওয়ার্ড (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র)
অ্যাবসেন্ট (জেম দেমিরার, তুরস্ক)

;