সম্মানসূচক স্বর্ণপাম পেলেন আলেন দ্যুলো



বৃষ্টি শেখ খাদিজা, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
আলেন দ্যুলো

আলেন দ্যুলো

  • Font increase
  • Font Decrease

ছয় দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারের স্বীকৃতি হিসেবে কান চলচ্চিত্র উৎসবে এবার সম্মানসূচক পাম দ’র পেলেন আলেন দ্যুলো। রোববার (১৯ মে) তার হাতে এই স্বীকৃতি তুলে দেন মেয়ে আনুশকা। এ সময় পালে দে ফেস্তিভাল ভবনের সাল দুবুসি থিয়েটারে উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানায় তাকে।

মেয়ের হাত থেকে পুরস্কারটি নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন আলা দ্যুলো। তখন তাকে জড়িয়ে ধরেন আনুশকা। ৮৩ বছর বয়সী এই গুণী মানুষের চোখে দেখা গেছে আনন্দ অশ্রু। মঞ্চে এ সময় ছিলেন কান উৎসবের সভাপতি পিয়ের লেসকিউর ও পরিচালক থিয়েরি ফ্রেমো।

যদিও আলা দ্যুলোকে সম্মানসূচক পাম দ’র দেওয়ার সিদ্ধান্তে সমালোচনা তৈরি হয়। নারীদের নিয়ে কটূক্তি ও সমলিঙ্গের বিয়েবিরোধী মনোভাবের কারণে তার বিরুদ্ধে আমেরিকায় পিটিশন চালু হয়। এতে স্বাক্ষর করে ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। এ কারণে তাকে পাম দ’র না দেওয়ার দাবি ওঠে। কিন্তু সব সমালোচনাকে উড়িয়ে তাকেই সম্মানসূচক পাম দ’র দিলো আয়োজকরা।

ষাট ও সত্তর দশকে আলা দ্যুলো ছিলেন হার্টথ্রব। ওই সময়ে ধ্রুপদী কিছু ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে ফ্রান্সের আইকনে পরিণত হন তিনি। পুরস্কার গ্রহণের পর অশ্রুসিক্ত চোখে তার মুখে শোনা যায়, ‘একটা ব্যাপারে আমি নিশ্চিত, সত্যিকার অর্থেই যদি কোনও কিছু নিয়ে গর্ব করি তাহলে তা আমার ক্যারিয়ার। এই সম্মান আমার ক্যারিয়ারের জন্য দেওয়া হয়েছে। অন্য কোনোকিছুর জন্য না। এজন্য আমি খুশি, আনন্দিত ও সন্তুষ্ট।’

উৎসবের ষষ্ঠ দিনে (১৯ মে) সকাল ১১টায় সাল বুনুয়েলে ছিল আলা দ্যুলোর মাস্টারক্লাস। এই আয়োজনে নিজেকে নির্দোষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি সমকামি বিয়েবিরোধী নই। এ নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই। মানুষের যা ইচ্ছে করতে পারে। তবে সমলিঙ্গের দম্পতির দত্তক সন্তান নেওয়ার বিরোধী আমি। আর যদি কখনও বলে থাকি, কোনও নারীকে চড় দিয়েছি; তাহলে বেশি চড় খেতে হয়েছে আমাকে। জীবনে কখনও কোনও নারীকে হয়রানি করিনি। তারাই বরং আমাকে হেনস্তা করেছে।’

রূপালি পর্দায় অসাধারণ কাজগুলোর প্রতি সম্মান জানাতে পাম দ’র প্রদানের পর সাল দুবুসিতে দেখানো হয় তার অভিনীত জোসেফ লসির ‘মিস্টার ক্লেইন’ ছবির পুনরুদ্ধার করা প্রিন্ট। ১৯৭৬ সালে এটি জায়গা পায় প্রতিযোগিতা বিভাগে। এর আগে রবিবার লালগালিচায় অফিসিয়াল আয়োজনে পায়চারি করেছেন বাবা-মেয়ে।

১৯৬২ সালে আলা দ্যুলোর ‘দ্য এক্লিপস’ কানে বিশেষ জুরি প্রাইজ জেতে। এটি পরিচালনা করেন ইতালির মিকেলাঞ্জেলো আন্তোনিওনি। ১৯৬৩ সালে কান উৎসবে স্বর্ণ পাম জেতে লুকিনো ভিসকন্তি পরিচালিত ‘দ্য লিওপার্ড’।

১৯৬০ সালে রেনে ক্লেমো পরিচালিত ‘পারপাল নুন’ ছবির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খ্যাতি পান আলা দ্যুলো। তখন তার বয়স মাত্র ২৫ বছর। এরপর ধ্রুপদী অনেক ছবিতে দেখা গেছে তাকে। ৮০টিরও বেশি ছবি আছে তার ঝুলিতে। এর মধ্যে মাস্টারপিস অসংখ্য। মিকেলাঞ্জেলো আন্তোনিওনি, লুকিনো ভিসকন্তি, জ্যঁ-পিয়ের মেলভিল, জোসেফ লসি, জ্যঁ-লুক গদার, জ্যাক দ্যুরের মতো মাস্টার ফিল্মমেকারদের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করেছেন আলা দ্যুলো।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই কান উৎসবের সঙ্গে আলা দ্যুলোর সম্পর্ক নিবিড়। ১৯৬১ সালের ১৩ মে প্রথমবার কানসৈকতে লালগালিচায় হেঁটেছিলেন তিনি। ওই বছর অফিসিয়াল সিলেকশনে নির্বাচিত হয় তার ‘দ্য জয় অব লিভিং’।

১৯৬৪ সালে আলা ক্যাভালিয়ের পরিচালিত ‘দ্য আনভ্যানকুইশড’ ছবির মাধ্যমে প্রযোজনায় নাম লেখান আলা দ্যুলো। এরপর ক্রাইম থ্রিলার ধাঁচের দুটি ছবি (দ্য ফাইটার, ফর অ্যা কপ’স হাইড) পরিচালনা করেন তিনি। জ্যঁ-প্যাট্রিক মোঁশেতের উপন্যাস অবলম্বনে এগুলোর চিত্রনাট্য সাজানো হয়। ১৯৬৭ সালে মুক্তি পাওয়া তার ‘লে সামুরাই’ পরবর্তী সময়ে বিখ্যাত দুই নির্মাতা জন উ ও কোয়েন্টিন টারান্টিনোকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

   

স্বামীর অবসরে দেশ ছাড়তে চান অনুষ্কা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিরাট কোহলি এবং অনুস্কা শর্মা

বিরাট কোহলি এবং অনুস্কা শর্মা

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা দম্পতি বিরাট কোহলি এবং অনুস্কা শর্মা। আউট সাইডার হয়েও ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে বলিউডে নিজের জায়গা পোক্ত করেছেন। ব্যক্তিজীবনেও আছেন বেশ সুখী। স্বামী বিরাট এবং দুই সন্তান ভামিকা এবং আকয় কে নিয়ে তার সুখী পরিবার। তবে বিরুষ্কা দম্পতি সপরিবারেই পাড়ি জমাতে পারেন বিদেশে। তাও অস্থায়ী নয়, পাকাপোক্তভাবেই থেকে যাওয়ার পরিকল্পনায় রয়েছেন। সুদূর ব্রিটেনেই নাকি সন্তানদের বড় করার পছন্দের জায়গা বিরুষ্কার। এতদিন এসব কেবল গুঞ্জন ছিল। ছেলে আকয়ের জন্ম ব্রিটেনে গোপনে হওয়ার থেকে এর সূত্রপাত হয়েছিল। সেই আগুনে এবার ঘি ঢাললেন বিরাট নিজেই।

সম্প্রতি একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে বিশ্ব রেকর্ড সেট করা ভারতীয় প্রাক্তন দলনেতা তার অবসরের সময়ের প্ল্যান নিয়ে কথা বলেন। বিরাট বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের সবাইকেই একদিন ক্যারিয়ারের শেষ দিনটি দেখতে হবে। আমি সারাজীবন খেলতে পারবো না। আমি এর পেছনেও কাজ করে রাখছি। আমি নিশ্চিতভাবেই কোনো আফসোস রাখবো না।’

অবসর দিয়ে কথা বরছেন বিরাট কোহলি

তিনি আরও বলেন, ‘খেলার জন্য আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে যাচ্ছি। তবে আমার কাজ শেষ হলে, আমি চলে যাব। আমাকে বেশ কিছু সময়ের জন্য দেখতে পাবেন না।’

কোথায় যাবেন তা স্পষ্ট না করলেও ভক্তদের ধারণা, যুক্তরাজ্যেই গা ঢাকা দেবেন বিরুষ্কার পরিবার। ভামিকার  জন্ম থেকেই সন্তানকে ক্যামেরার সামনে আনায় অনীহা দেখান এই দম্পতি। মাঝে বিনা অনুমতিতে খেলার মাঠে মেয়ের ছবি তোলায় ক্ষেপে যান বিরাট-অনুষ্কা। এখন তাদের পরিবারে দুই সন্তান। পাপ্পারাজিদের থেকে সন্তানদের দূরে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত।

তবে অন্যদিকে অনুষ্কার ভক্তরা চিন্তিত তাদের প্রিয় নায়িকার ক্যারিয়ার নিয়ে। স্বামী-সন্তানের জন্য দেশ ছাড়লে তার ঊর্ধ্বগামী অভিনয় ক্যারিয়ারে ধস না নামে!

অভিনয় জীবনেও অনুষ্কা যেমন ভক্তদের পছন্দের তালিকায় থাকেন, ঠিক তেমনই তার ব্যক্তিজীবন নিয়েও ভক্তদের পছন্দের সেরা তিনি। স্বামী  বিরাট কোহলির সঙ্গে তার প্রণয়, পরিণয় এরপর সংসারে দুই কন্যা ও পুত্রের আগমন যেন তাদের ভক্তদের জীবনেরও বিশেষ আনন্দের মুহূর্ত!

সন্তান ভামিকার সঙ্গে অনুষ্কা-বিরাট

ঠিক তেমনই প্রিয় তারকা দম্পতির কোনো নেতিবাচক খবরও ভক্তদের মনে দুখের  কালো মেঘ বয়ে আনে। প্রিয় খেলোয়াড় বিরাট কোহলিকে অবসরের সময়ের কথা বলতে শুনে অশ্রুসিক্ত হয়ে যায় ভক্তরা।  অনুষ্কার  অভিনয় ক্যারিয়ার নিয়েও শঙ্কা ভর করেছে ভক্তদের মনে।  কারণ এর আগেও বিরতি নিয়ে আগের ট্র্যাক ধরে রাখতে পারেন নি অনেক বলি শিল্পী।  বিরাটের অবসরে অনুষ্কা  কি বিরতি নেবেন? বা বিরতির পর ফিরলে কি একই সাফল্য ধরে রাখতে পারবেন? এই নিয়ে নেটিজেনদের চিন্তার শেষ নেই।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া  

;

ভাঙা হাতে কানের লাল গালিচায় ঐশ্বরিয়ার কালো যাদু



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন

অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সের দক্ষিণ উপকূলীয় শহর কানে বসেছে চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব।’ ৭৭তম জমকালো এই আসরে ইতোমধ্যে নজরকাড়া লুকে ভিড় জমাচ্ছেন দেশি-বিদেশি সব তারকা। এবার ভাঙা হাতে কানের লাল গালিচায় কালো যাদু দেখালেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কান চলচ্চিত্র উৎসবের দ্বিতীয় দিনে লাল গালিচায় সম্মোহনী জাদু চালালেন বলিউডের রাই সুন্দরী। পঞ্চাশের গণ্ডি পেরোনো ঐশ্বর্যর রূপর ছটায় ঝলমলিয়ে উঠল কান। বরাবরের মতো এবারের আসরেও আবেদনময়ী লুকে রূপের দ্যুতি ছড়িয়েছেন সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী।

কানের লাল গালিচায় ঐশ্বরিয়ার কালো যাদু

রেড কার্পেটে অভিনেত্রী হেঁটেছেন ফাল্গুনি-শেন পিককের কালো-সোনালি গাউন পরে। গাউনের লম্বা টেইল নজর কেড়েছে সবার।

মেয়ে আরাধ্যার হাত ধরেই ফ্রান্সে হাজির হয়েছেন বচ্চন বধূ। প্লাস্টার জড়ানো হাতে তাকে মুম্বই এয়ারপোর্টে দেখে চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। রেড কার্পেটেও প্লাস্টার হাতেই দেখা মিলল তার।

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ২০০২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারী সোনার গয়নাসহ নীতা লুল্লা শাড়িতে প্রথম হাঁটেন রেড কার্পেটে। সেই বছরই তার ছবি দেবদাস সেখানে প্রিমিয়ার হয়েছিল। তিনি অভিনেতা শাহরুখ খান এবং পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন। এরপর থেকে প্রায় প্রতি বছরই উৎসবে হাজির থেকেছেন এই অভিনেত্রী। ল’রিয়াল প্যারিসের অন্যতম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে রেড কার্পেট রেখেছেন মাতিয়ে।

;

মিশা-ডিপজল প্যানেলকে সংবর্ধনা জানালেন নিপুণ সমর্থিত শিল্পীরা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মিশা-ডিপজল প্যানেলকে সংবর্ধনা জানালেন নিপুণ সমর্থিত শিল্পীরা

মিশা-ডিপজল প্যানেলকে সংবর্ধনা জানালেন নিপুণ সমর্থিত শিল্পীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনে জয়ী মিশা-ডিপজল প্যানেলকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন নিপুণ সমর্থিত ১০৩ জন শিল্পী।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে নতুন এই কমিটিকে বরণ করে নেন তারা। এ সময় শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিপুল উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গত ১৯ এপ্রিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডিএ তায়েব, সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন এবং কোষাধ্যক্ষ পদে কমল।

কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু রিয়ানা পারভিন পলি ও সনি রহমান।

;

হাতে চোট নিয়ে মেয়ের সঙ্গে কানের পথে ঐশ্বরিয়া



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হাতে প্লাস্টার নিয়ে বিমানবন্দরে ঐশ্বরিয়া রাই

হাতে প্লাস্টার নিয়ে বিমানবন্দরে ঐশ্বরিয়া রাই

  • Font increase
  • Font Decrease

কান চলচ্চিত্র উৎসব মানেই যেন বলিউড সুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই। এ বছরও সাবেক বিশ্ব সুন্দরী রেড কার্পেটে হাঁটার জন্য প্রস্তুত। বুধবার সন্ধ্যায় মেয়ে আরাধ্যা বচ্চনকে নিয়ে বিমানবন্দরে কানের উদ্দেশে রওনা দিতে দেখা যায় তাকে। তবে ভক্তদের চমকে দিয়েছে চোট পাওয়া তার ডান হাত। তাতে করা হয়েছে প্লাস্টার। এত বড় একটি উৎসবের আগে এ কী হয়ে গেল ঐশ্বরিয়ার!

পাপারাজ্জি অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে গাড়ি থেকে নামছেন ঐশ্বরিয়া। অভিনেত্রীর ডান হাতে প্লাস্টার করা। তবে বাম হাতে কিন্তু ধরে ছিলেন আরাধ্যারই হাত। কালো পোশাকের সঙ্গে ছিল হাঁটু সমান লম্বা একটা নীল রঙের কোট। আর আরাধ্যাকে দেখা গেল নীল রঙের হুডি ও কালো প্যান্টে। মায়ের কানযাত্রার সঙ্গী সে!

বিমান বন্দরে ঢোকার আগে ঐশ্বর্য কয়েক সেকেন্ডের জন্য সংবাদমাধ্যমের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়েন এবং তারপরে চলে যান কানের উদ্দেশে উড়ে যেতে।


রাই-সুন্দরীর হাতের প্লাস্টার কপালে ভাঁজ ফেলেছে তাঁর ভক্তদের। একজন লিখেছেন, ‘এভাবে চোট পাওয়া হাতে কানে হাঁটবে, ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন।’ আরেক ভক্ত মন্তব্য করেছেন, ‘আশা করি তিনি ভালো আছেন। সবচেয়ে লাবণ্যময়ী নায়িকা ঐশ্বর্য। কান উৎসবে ওকে দেখার জন্য আর তর সইছে না। অনেক ভালোবাসি’।

ঐশ্বর্য রাই ২০০২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারী সোনার গয়না সহ নীতা লুল্লা শাড়িতে প্রথম হাঁটেন রেড কার্পেটে। সেই বছরই তাঁর ছবি দেবদাস এখানেই প্রিমিয়ার হয়েছিল। তিনি অভিনেতা শাহরুখ খান এবং পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন। এরপর থেকে প্রায় প্রতি বছরই উৎসবে হাজির থেকেছেন এই অভিনেত্রী। ল'রিয়াল প্যারিসের অন্যতম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসাবে রেড কার্পেট মাতিয়ে রেখেছেন।

ঐশ্বরিয়া ছাড়াও কান চলচ্চিত্র উৎসবে এই বছর দেখা যাবে অদিতি রাও হায়দারি, শোবিতা ধুলিপালা ও কিয়ারা আদভানিকে।

;