কলকাতায় প্রদর্শিত হলো সব্যসাচীর ‘রিটেন বাই’ ও ‘সবুজ চশমা’



বিনোদন ডেস্ক
সব্যসাচী চক্রবর্তী

সব্যসাচী চক্রবর্তী

  • Font increase
  • Font Decrease

পৃথিবী জুড়ে যেমন ক্রিকেট খেলার পরিবর্তন হয়েছে, তেমনি রূপান্তর হচ্ছে সিনেমার। বর্তমানে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি দেখতে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে মানুষের মধ্যে। সেই আগ্রহ কলকাতাবাসীর মধ্যেও লক্ষ্যনীয়। সে কারণে কলকাতায় প্রথমবার প্রদর্শিত হলো সব্যসাচী চক্রবর্তী অভিনীত দুটি শর্টফিল্ম। এগুলো হলো- ‘রিটেন বাই’ (১৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ড) ও ‘সবুজ চশমা’ (২৫ মিনিট)।

দুই তরুণ বাঙালি পরিচালক, বয়সে নবীণ হলেও আন্তর্জাতিক আঙ্গিনায় এরইমধ্যে তাদের ছবি দুটি বেশ প্রশংসা পেয়েছে।

‘রিটেন বাই’ লস অ্যাঞ্জেলসে প্রবাসী বাঙালি কন্যা কঙ্কনা চক্রবর্তীর পরিচালনা এবং ‘সবুজ চশমা’, কলকাতার ছেলে ইন্দ্রনিল নাগের পরিচালিত। এই দুটি শর্টফিল্মেই অভিনয় করেছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী।

সম্প্রতি কলকাতায় ছবি দুটির বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন নির্মাতারা। অনুষ্ঠানে সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, আমি এমনিতে কাজ খুব কমই করছি। কিন্তু কঙ্গনা যখন এই ছবিটি করল তার আগে অবশ্য ইন্দ্রনীল তার ফিল্মটি তৈরি করে ফেলেছিল। আমার পছন্দ হলো পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলে আর কাজের জন্য রাজি হলাম। আমি মনে করি যারা সিরিয়াসলি এ ধরনের কাজ করতে আগ্রহী তাদের আগ্রহটা আরও বাড়ানো উচিত। এখানে আমি যে কাজ করেছি তাতে আমার থেকে বড় গুরুত্ব পরিচালকের ভাবনা। ভবিষ্যতে এই শর্ট ফিল্মগুলো আস্তে আস্তে বিগ বাজেট ফিল্মে জায়গা নেবে। এখন শর্ট ফিল্ম দেখানোর বিভিন্ন মাধ্যম সামনে এসেছে। বিভিন্ন সংস্থা এগিয়ে এসে তাদের নিজেদের প্লাটফর্ম এই শর্ট ফিল্মগুলোকে দেখানোর আগ্রহ দেখাচ্ছে। এছাড়া সারা ভারতবর্ষে অনেকগুলি শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হয়, আর এই ‘রিটেন বাই’ ইতিমধ্যেই অনেকগুলো পুরস্কার পেয়েছে। কিন্তু এখন হয়তো শর্ট ফিল্ম সংখ্যায় কম হয়, কিন্তু আগামীতে আরও বাড়বে।

‘সবুজ চশমা’ নিয়ে পরিচালক ইন্দ্রনীল নাগ বলেন, গল্পটা ১৯৬৮ এর কিন্তু আমি যখন ছবিটি দেখাচ্ছি তখন সেটা ২০০৯ সালকে তুলে ধরছি। এখানে গল্পটা একজন প্রফেসরকে কেন্দ্র করে, যিনি একটি সবুজ পাথর আবিষ্কার করে ফেলেন এবং সেই পাথর থেকে তিনি একটি লেন্স তৈরি করেন। কিন্তু তাকে ভারতীয় বৈজ্ঞানিক সংস্থা এবং তার কলেজ সবাই দূরে সরিয়ে রাখে। কারণ তিনি দাবি করেন এই চশমা দিয়ে নাকি ভূত দেখা যায়। এরপর তাকে পাগল প্রমাণ করে কলেজ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি একদিন একটি স্টেশনে একটি ছেলের সঙ্গে আলাপ হয় এবং গল্প এগিয়ে যেতে থাকে। এটি একটি সায়েন্স ফিকশন ছবি।

ছবিটির শুটিং হয়েছে পুরুলিয়া, ঝারগ্রাম, ঝাড়খন্ড-পুরুলিয়া বর্ডার। সব্যসাচী চক্রবর্তী ছাড়াও এই ছবিতে আরও ২৯ জন কাজ করেছেন। ‘সবুজ চশমা’য় মিউজিক দিয়েছেন রুপম ইসলাম, গান গেয়েছেন শিলাজিৎ দা।

অপর পরিচালক কঙ্কণা চক্রবর্তী জানালেন, এই দুটি শর্ট ফিল্মেই কমন লিংক হলেন সব্যসাচী চক্রবর্তী এবং এই ইন্টারন্যাশনাল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভাল যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছে। ধীরে ধীরে পৃথিবীতে শর্টফিল্ম গুরুত্ব পাচ্ছে।

   

বিবিসিতে সাক্ষাৎকার দিয়ে উচ্ছ্বসিত আসিফ



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘দ্য নাদিয়া আলী শো’ এবং অনুরাধা পাড়োয়ালের সঙ্গে আসিফ

‘দ্য নাদিয়া আলী শো’ এবং অনুরাধা পাড়োয়ালের সঙ্গে আসিফ

  • Font increase
  • Font Decrease

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর এখন লন্ডনে। সে কথা কদিন আগেই নিজের ফেসবুকে জানিয়েছেন তিনি। এবার তিনি লন্ডনে গিয়েছেন নিজের নতুন গান ‘চিরদিনের জীবন সঙ্গীনি’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। কারণ এই গানটির সংগীতপরিচালক রাজা কাশেফ সেখানেই থাকেন।

গত ১৫ মে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অব কমন্সের কমিউনিটি হলে প্রথম কোন বাংলাদেশি শিল্পীর গানের প্রকাশনা অনুষ্ঠান হলো। বিষয়টি আসিফের জন্য দারুণ সম্মানের ব্যাপার। তাছাড়া এই গানটিতে তার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন উপমহাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অনুরাধা পাড়োয়াল।

‘দ্য নাদিয়া আলী শো’তে আসিফ

এবারের লন্ডন সফরে আসিফের ক্যারিয়ারে আরেকটি নতুন অভিজ্ঞতা যুক্ত হলো। বাংলাদেশের খুবই অল্প সংখ্যক তারকার সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় গণমাধ্যম বিবিসি ওয়ার্ল্ডে। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন আসিফ আকবর। বিবিসি ওয়ার্ল্ডের লন্ডন কার্যালয়ে গিয়ে তিনি যে বেশ উচ্ছ্বসিত তা তার ফেসবুকের ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যাচ্ছে।

আসিফ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শৈশবে তিন ব্যান্ডের রেডিও টিউন করে আব্বাকে খবর শোনাতাম। আজকে গেলাম বিবিসি ওয়ার্ল্ডের লন্ডন হেডকোয়ার্টারে। অংশ নিয়েছি ‘দ্য নাদিয়া আলী শো’তে। নাদিয়া আলী বাংলাদেশের মেয়ে। বিবিসিতে কাজ করা একমাত্র বাংলাদেশী। আমাদের গর্ব। বাংলা ইংরেজী মিলিয়ে ককটেল ইন্টারভিউ দিলাম। বিবিসি’তে সময়টা ছিল বেশ উপভোগ্য। থ্যাংকস রাজা ও রুবাইয়াত।’

বিবিসি ওয়ার্ল্ডের লন্ডন কার্যালয়ে আসিফ

রাজা ও রুবাইয়াত লন্ডন প্রবাসী বাঙালি দম্পতি। তারা দুজনই গানের সঙ্গে যুক্ত। এই দম্পতিকে যেহেতু আসিফ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাতে বোঝাই যাচ্ছে বিবিসির সাক্ষাৎকারের বিষয়টিতেও সহযোগীতা করেছেন রাজা কাশেফ ও রুবাইয়াত দম্পতি।

লন্ডনে যাওয়ার আগে ‘চিরদিনের জীবন সঙ্গীনি’ গানটি নিয়ে আসিফ ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘‘মুম্বাই সফরে গিয়ে শ্রদ্ধেয় কিংবদন্তি অনুরাধা পাড়োয়াল ম্যাডামের সাথে ডুয়েট গানটির ভয়েস দিয়েছিলাম। উনার ভয়েস আগেই নেয়া ছিল। শ্রদ্ধেয় কবির বকুল ভাইয়ের গীতিকবিতায় সুর ও সঙ্গীত করেছেন রাজা কাশেফ (ইংল্যান্ড)। হলফ করে বলতে পারি, একটি সমৃদ্ধ বাংলা গান হয়েছে। অনুরাধা ম্যাডামের প্রতি কৃতজ্ঞতা উনার গায়কী এবং আতিথেয়তার জন্য। আসছে ১৫ মে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হাউস অব কমন্সে একটি সাড়ম্বর প্রকাশনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘চিরদিনের জীবন সঙ্গিনী’ গানটি অবমুক্ত করা হবে। অনুরাধা ম্যাডামসহ আমি সেখানে থাকবো আশা করছি।’’

কিংবদন্তি শিল্পী অনুরাধা পাড়োয়ালের সঙ্গে আসিফ আকবর

‘চিরদিনের জীবন সঙ্গীনি’ গানের ভিডিও পরিচালনা করেছেন সৌমিত্র ঘোষ ইমন। গানটিতে আসিফের সঙ্গে অভিনয় করেছেন সাবা বশির (ইংল্যান্ড)।

;

ছেলের সাফল্যে আপ্লুত প্রসেনজিৎ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বাবা প্রসেনজিৎ-এর সঙ্গে ‍তৃষাণজিৎ

বাবা প্রসেনজিৎ-এর সঙ্গে ‍তৃষাণজিৎ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ৪০ বছর ধরে সিনেমায় তার একচ্ছত্র আধিপত্য। মাঝে কিছু বছর কম বয়সী নায়কদের বেশ দাপট চললেও এখন দর্শকের রুচির পরিবর্তন ঘটেছে। তাই সেই এঘেয়ে প্রেমের গল্প, ধুমধারাক্কা একশন আর আইটেম গানে ভর্তি কমার্শিয়াল সিনেমাগুলো বেশি সুবিধঅ করে উঠতে পারছে না। তাই আর্টিস্টিক সিনেমার হাত ধরে ফর্মে ফিরে এসেছেন বুম্বাদা। তার সিনেমা মানেই ভিন্ন কিছু। সঙ্গে যদি থাকে ঋতুপর্ণা, তার মানেই সিনেমা সুপার হিট। একসঙে্গই অর্ধশত সিনেমার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তারা। সামনেই আসতে চলেছে জনপ্রিয় এই জুটির পঞ্চাশ তম সিনেমা অযোগ্য। ৭ জুন সিনেমা ঘরে প্রকাশ পাবে সিনেমাটি।

সিনেমা জীবনে যেমন সফল এবং গর্বিত প্রসেনজিৎ, তেমনই ব্যক্তিজীবনও তার বেশ ভালো কাটছে। সম্প্রতি ছেলের সাফল্যে আপ্লুত হয়ে পড়েন অভিনেতা। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ইন্সটাগ্রামে) ছেলে তৃষানজিতের একটি ছবি প্রকাশ করেন তিনি।   

ইউরোপে স্কুলজীবন শেষ করলেও উচ্চশিক্ষার জন্য মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন তৃষাণজিৎ। তবে কলকাতা নয়, দক্ষিণ ভারতের নামী প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক শেষ করলেন। গ্রাজুযেশন সেরেমনিতে ছেলের স্নাতকের প্রশংসাপত্র পাওয়ার মুহূর্তের ভিডিও প্রকাশ করেন অভিনেতা। তিনি লেখেন, ‘ আজ নিজেকে গর্বিত বাবা মনে হচ্ছে। কারণ, আমার ছেলে মিশুক স্নাতক হল। ওর জীবনের এমন এক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে গর্বিত। অনেক শুভেচ্ছা। ভবিষ্যতে আরও সাফল্য পাও।’  বুম্বাদার এই পোস্টে ইন্ডাস্ট্রির সকল সহকর্মী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ।

ছেলের অভিনয় জগতে আসা নিয়ে কখনো মুখ খোলেননি প্রসেনজিৎ। তবে যেহেতু এখন পড়াশোনার পাঠ চুকেছে তাই শিগগিরই হয়তো তাকে বঢ় পর্দায় দেখা যাবে- আশা করছেন নেটিজেনরা। যদিও ছোটথেকেই ফুটবলে ঝোঁক রয়েছে তৃষাণের। তবে তাকে দৈহিক গঠন এবং লুক দেখে অনেকে মনে করেন, তৃষাণজিতের উচিত বাবা-দাদার পথের অনুসারী হওয়া।   

;

হীরামান্ডির ‘আলমজেব’-এর পাশে দাঁড়ালেন রিচা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হীরামন্ডি সিরিজে রিচা চাড্ডা ও শারমিন সেহগাল

হীরামন্ডি সিরিজে রিচা চাড্ডা ও শারমিন সেহগাল

  • Font increase
  • Font Decrease

বড়পর্দার রূপালী মায়া কাটিয়ে ওটিটি জগতে এলেন খ্যাতিমান নির্মাতা সঞ্জয়লীলা বানসালি। তার প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘হীরামান্ডি : দ্য ডায়মন্ড বাজার’ মুক্তির পর থেকেই আলোচনায়। বিশাল আয়োজনে নির্মিত এই সিরিজ দর্শকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাচ্ছে। তবে নেটফ্লিক্সে এটি বিপুল সাড়া পাচ্ছে।

‘হীরামান্ডি’র যে দিকটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা-নিন্দা হচ্ছে, তা হলো আলমজেব চরিত্র। এই চরিত্রে শারমিন সেহগালের অভিনয় দর্শকের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়েছে। শারমিনের অভিনয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। এমনকি তাকে কাস্ট করার কারণে বানসালির বিরুদ্ধে ‘স্বজনপোষণ’র অভিযোগও তুলছে নেটিজেনরা। কারণ তিনি শারমিনের মামা।

মামা-ভাগ্নি সঞ্জয়লীলা বানসালি ও শারমিন সেহগাল

এবার নিন্দায় বিপর্যস্ত শারমিনের পাশে দাঁড়ালেন এই সিরিজেরই সহ-অভিনেত্রী রিচা চাড্ডা। ‘হীরামান্ডি’তে রিচার অভিনয় দারুণ প্রশংসা কুড়াচ্ছে। এমন সময় সাধারনত তারকারা এদিক সেদিক তাকান না। নিজের সফলতা উপভোগ করেন। বিপাকে জড়িয়ে নিজের দিকে সমালোচনার তীর আসুক সেটা তারা একেবারেই চান না। তবে রিচা বরাবরই আলাদা। তিনি স্পষ্ট ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করেন। নিজের অনুভূতি কোন কিছুর চাপে দমিয়ে রাখার পাত্রী তিনি নন। এর আগেও রিচা তার ‘সর্বজিৎ’ সিনেমার কো আর্টিস্ট ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সমালোচনার মোক্ষম জবাব দিয়েছিলেন। তার সেই জবাব রীতিমতো ভাইরাল হয়।

 হীরামন্ডি সিরিজে লাজ্জো চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় ও নাচ পরিবেশন করেছেন রিচা

এবার হীরামন্ডি সিরিজের ‘আলমজেব’ চরিত্রের শারমিককে নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে রিচা বলেন, ‘সত্যি বলতে, এটা (সমালোচনা করা) দর্শকের অধিকার। তারা সিরিজটি পছন্দ করতে পারে, অপছন্দও করতে পারে। কারও অভিনয় ভালো লাগবে, আবার কারও কাজ ভালো লাগবে না। কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মানুষ যেভাবে ট্রল করে, মিম বানায়, নিন্দা করে; আমার মতে এটা সবার জন্যই ক্ষতিকর। কারও প্রতি নির্দয় হওয়া উচিত নয়, কারণ আগামীকাল এমন কিছু আপনার সঙ্গেও ঘটতে পারে। এবং হ্যাঁ, প্রত্যেকেই মানুষ।’

মা হতে যাচ্ছেন রিচা। তার স্বামী বলিউড অভিনেতা আলী ফজল

‘হীরামান্ডি’ নির্মিত হয়েছে ১৯৪০-এর দশকের প্রেক্ষাপটে। তখন লাহোরে হীরামান্ডি নামের এলাকায় বাইজিপাড়া ছিল। সেখানকার ছয় বাইজিকে ঘিরেই এগিয়েছে সিরিজের গল্প। এর মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে ভারতের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ। সিরিজটিতে আরও আছেন মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, অদিতি রাও হায়দারি, সানজিদা শেখ, ফারদিন খান, শেখর সুমন, ফরিদা জালার প্রমুখ।

তথ্যসূত্র : বলিউড হাঙ্গামা

;

জয়িতার টেগর’স টেল-এ বুঁদ সাধারণ থেকে তারকা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
একক সংগীতানুষ্ঠান ‘‘টেগর’স টেল’’-এ গাইছেন জয়িতা

একক সংগীতানুষ্ঠান ‘‘টেগর’স টেল’’-এ গাইছেন জয়িতা

  • Font increase
  • Font Decrease

একজন স্কুল জীবনের বন্ধুর অনুভূতি দিয়ে শুরু করা যাক। মারুফা আজিজ উপমা লিখেছেন, ‘সেই স্কুল জীবন থেকে তোর গান শুনে আসছি, কিন্তু এবারের গান অন্যরকম ভালো লাগার। কারণ এবার তোর একক সংগীত সন্ধ্যায় ছিলাম আমরা। প্রতিটা মুহূর্তে আন্টিকে (প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী শিল্পী মিতা হক) মিস করেছি, মাঝে মাঝে দেখে মনে হচ্ছিল আন্টিই গাইছেন। গর্বিত বাবা-মায়ের গর্বিত সন্তান।’

কথাগুলো যাকে নিয়ে লেখা হয়েছে তিনি ফারহিন খান জয়িতা। তরুণ প্রজন্মের রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী। যাকে এ প্রজন্মের অন্যতম মেধাবী রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী বলে মনে করেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা!

ফারহিন খান জয়িতা

জয়িতার আরেকটি পরিচয় আছে। তিনি একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রয়াত রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী ও শিক্ষক মিতা হক এবং মঞ্চ নাটকের যুবরাজ’খ্যাত খালেদ খানের একমাত্র কন্যা।

গত ১৭ মে ছুটির দিনে রাত ৮টা থেকে বনানীর যাত্রা বিরতির নতুন ঠিকানায় জয়িতার একক সংগীত সন্ধ্যা ‘টেগর’স টেলস’। সেই অনুষ্ঠান দেখতে টিকেট কেটে হাজির হন অনেকেই। তারমধ্যে শোবিজ তারকারাও ছিলেন।

এক ঘন্টা ৪৫ মিনিট জয়িতা একে একে গেয়ে গেলেন বাল্মীকি প্রতিভা, মায়ার খেলা, প্রেম পর্যায়ের গানগুলো।

অনুষ্ঠানে এক ফ্রেমে জয়িতা, তার স্বামী শাহিদ মুস্তাফিজ, অভিনেত্রী নাজনিন হাসান চুমকী, নাদিয়া আহমেদ ও তার মা

গান শুনতে গিয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী নাজনিন হাসান চুমকী। নিজের অনুভূতির কথা সোশ্যাল লিখেছেন এভাবে, ‘গত সন্ধ্যায় জয়িতার কণ্ঠে রবীন্দ্র সংগীতে বুঁদ হয়ে ছিলাম। জয়িতা সোনা, তোমার কণ্ঠে মধু আছে। আর উচ্চারণ, তোমার কাছ থেকে অনেক শেখার আছে। তুমি অতুলনীয়। তোমার জন্য শুভকামনা সকল সময়।’

জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী নাদিয়া আহমেদ অনুষ্ঠান শেষে ছোট ছোট কিছু ভিডিও ক্লিপিং শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আমাদের জয়িতা। মিতা আপার সুযোগ্য কন্যা জয়িতা। ওকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিংবা ওকে নিয়ে বলবার কিছু নেই। শুধু বলবো, আজকে গান থেকে শুরু করে কয়েক লাইন আবৃত্তি এক অসাধারন মুগ্ধতার সন্ধ্যা কাটলো। যারা রবীন্দ্রপ্রেমী তাদের জন্য একটু শেয়ার করলাম। জয়িতা তুই একটা ভালবাসা।’

জয়িতার সঙ্গে সেমন্তী মঞ্জুরী ও তার স্বামী

নিজে রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী হয়ে আরেকজন রবীন্দ্র সংগীতশিল্পীকে নিয়ে সেমন্তী মঞ্জুরী লিখেছেন, ‘অনেকদিন পর দিদির এতগুলো গান শুনলাম! আনন্দঘন সময় কাটলো। গান তো ভালো বলতেই হয়। তবে আবৃত্তি শুনে বার বার মামার (জয়িতার বাবা অভিনেতা খালেন খান) চেহারাটা চোখের সামনে ভেসে উঠছিল। লাভ ইউ জয়িতা দিদি।’

মেধাবী নির্মাতা কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘কি অনবদ্য এক ঘন্টা পয়তাল্লিশ মিনিট কাটালাম! জয়িতা দোস্ত, তুমি সবার হৃদয় হরণ করেছ। তোমার গায়কী এবং গান নির্বাচন ছিলো এক কথায় পারফেক্ট। তুমি তো বটেই, তোমার যন্ত্রশিল্পীরাও অসাধারন পারফরমেন্স করেছেন গত রাতে। গান, নাচ, কবিতা সব মিলিয়ে অদ্ভূত সুন্দর একটা আবহ তৈরী হয়েছিলো। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি আমি। এ ধরনের পরিবেশনা তোমার আরও বেশি বেশি করা উচিত।’

একক সংগীতানুষ্ঠান ‘‘টেগর’স টেল’’-এ অনবদ্য পরিবেশনা ছিল জয়িতার

শুধু এই তারকারাই নন, জয়িতার ফেসবুক জুড়ে আরও নানা পেশা, নানা বয়সের দর্শকের প্রশংসা বার্তা ছড়িয়ে আছে। টিকেট শেষ হয়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে জয়িতা আগের দিনই জানিয়েছেন, শিগগির আবার ফিরবেন এরকম আয়োজন নিয়ে।

;