পুলিশ নাট্যদলের অনন্য কীর্তি ‘অভিশপ্ত আগস্ট’ ১৫০তম মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

শোকের চাদরে ঢাকা আগস্ট। জাতির পিতাকে হারানোর শোকে মূহ্যমান জাতির কান্নার মাসও এটি। ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উদ্দীপ্ত হওয়ার শোকের বিয়োগাত্মক আখ্যানকে উপজীব্য করে বাঙালি জাতির সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার মাসও এই আগস্ট। দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে মুক্তির স্বাদ এনে দিয়ে বঙ্গবন্ধু যখন সদ্য জন্ম নেওয়া দেশটাকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন সমৃদ্ধি, শান্তি ও সফলতার পথে সেই সময়েই শকুনের কালো থাবায় ইবলিশের প্রেতাত্মা আঘাত হানে লাল-সবুজের পতাকার স্বাধীন মানচিত্রে। এরপর থেকেই উল্টো পথে চলছে স্বদেশ।

কালবৈশাখি ঝড়ের মত মানচিত্রে আঘাত হানে আগস্ট ট্রাজেডির খলনায়ক খন্দকার মোশতাক। মুক্তিযুদ্ধের আশির্বাদে পাওয়া স্বপ্নের সোনার বাংলাকে খামচে ধরে ঘরের শত্রু বিভীষণরূপী ঘৃণিত মোশতাক। সেই কালো রাতে শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের রক্ত ঝরেনি, রক্ত ঝরেছে মানচিত্রের, পতাকার ও স্বাধীন বাংলাদেশের। যার কারণে গোটা বাঙালি জাতির জীবনের এক অভিশাপের নাম আগস্ট। গা শিউরে উঠা অভিশপ্ত সেই কাল রাতের দৃশ্যকল্পকে ‘অভিশপ্ত আগস্ট’ নামে নাট্যরূপে মঞ্চায়ন করেছে বাংলাদেশ পুলিশ নাট্যদল।

ছবি: বার্তা ২৪

গতকাল সোমবার (১০ জুন) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে নাটকটির ১৫০তম মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হয়।

নাটকটির পরতে পরতে বুনিত হয়েছে শোকের কালো সুতায় গাঁথা ইতিহাসের বর্বরতা ও নির্মমতা। কাহিনীর দৃশ্যপটে শুধু কুখ্যাত খুনী খন্দকার মোশতাকের দূরভিসন্ধি ও ষড়যন্ত্রই চিত্রিত হয়নি, পাশাপাশি উঠে এসেছে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন ও অকৃত্রিম ভালোবাসা, বীরাঙ্গনা গৃহকর্মী পরীবানু, নিরাপত্তা রক্ষী সিদ্দিক ও মুহিতের বিশ্বস্ততা এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের প্রতি তাদের দায় ও ভালোবাসার কথা। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা, অবুঝ শেখ রাসেলকে খুনের পর হায়েনাদের উল্লাসও তুলে ধরা হয়েছে নাটকটিতে।

ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানের ব্যক্তিগত উদ্যোগ, পরিকল্পনা, গবেষণা ও তথ্যসংকলনে নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন পুলিশ সদর দপ্তরের পরিদর্শক মো. জাহিদুর রহমান।

মোশতাকের স্বপ্নভঙ্গের প্রথম দৃশ্য থেকে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের রক্তে রঞ্জিত ভয়াবহ শেষ দৃশ্যটিও ছিল নান্দনিকতায় পরিপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা, আবেগ, ভালোবাসার পাশাপাশি ইতিহাসের জঘন্যতম নরপশু খন্দকার মোশতাকের প্রতি ঘৃণা লক্ষ্যণীয় ছিল প্রতিটি দৃশ্যের বুননে। ইতিহাসের কুখ্যাত খলনায়ক খন্দকার মোশতাকের ঘৃণিত চক্রান্তের স্বপ্নের মাধ্যমেই নাটকের পর্দা উঠে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে খুন করে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে সে। স্বপ্নের মাঝেই চিত্রিত হয় ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের ট্রাজেডি। ইতিহাসের ঘৃণিত সেই নির্মমতা ও বীভৎসা দেখে ইবলিশের হাসিতে ফেটে পড়ে দেশের ইতিহাসের কলংকিত এই নরপশু। স্বপ্নের মাঝেই প্রতিফলিত হয় তার দূরভিসন্ধি ও ষড়যন্ত্রের আদ্যোপান্ত। হঠাৎ কুকুরের শব্দে মানবরূপী এই দানবের ঘুম ভেঙে যায়। কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দে লেজ গুটিয়ে পালানোর উপক্রম ঘৃণিত এই দুর্বৃত্তের। এই দৃশ্য উপভোগে মিলনায়তনভর্তি দর্শকদের চোখে মুখে মোশতাকের প্রতি ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ ফুটে উঠেছিল।

ছবি: বার্তা ২৪

এরপর মেজর ডালিম ও রশিদের ষড়যন্ত্র দর্শকদের যেমন ব্যথিত করেছে ঠিক তেমনি বীরাঙ্গনা গৃহকর্মী পরীবানু, পিএস মুহিত ও নিরাপত্তা রক্ষী সিদ্দিকের বিশ্বস্ততার দৃশ্যগুলো আপ্লুত ও শিহরিত করেছিল দর্শকদের। সেই সঙ্গে খন্দকার মোশতাকের কুটবুদ্ধি, সেনাবাহিনী ও রক্ষীবাহিনীকে নিয়ে ঘৃণ্য অপপ্রচারের বিভ্রান্তি দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন নির্দেশক মো. জাহিদুর রহমান।

শেষ দৃশ্যে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে খুন ও পরীবানুর আকুতি মিনতির পরও বুলেটের আঘাতে শিশু রাসেলের বুক ঝাঁঝরা করে দেওয়ার দৃশ্যটি ছিল গা ছম ছম করা ভয়াবহতায় ভরা। অভিনয়শিল্পীদের সংলাপ প্রক্ষেপণ, এক্সপ্রেশন, উচ্চকিত সংলাপের উঠানামা ও প্রতিটি স্টেপেই ছিল পেশাদার অভিনয়ের ছোঁয়া। লাইট, সাউন্ড ইফেক্ট, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকসহ নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রেই মুন্সীয়ানার ছাপ রেখেছেন নির্দেশক জাহিদুর রহমান। শিক্ষণীয় বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিটি দৃশ্যকে হৃদয়গ্রাহী করে তুলেছিলেন নাটকটির রচয়িতা ও নির্দেশক। শিল্পী ও নির্দেশকের পারদর্শিতায় ফুটে উঠেছিল পেশাদারিত্বের ছাপ। সকল শ্রেণীর মানুষের সামনে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরার প্রত্যয়ে নাটকের সংলাপে ও অভিনয়ে ছিল সহজ-সরল ও সাবলীলতার ছাপ। নির্দেশনার প্রতিটি বিভাগের কারুকাজে দক্ষতার পাশাপাশি খন্দকার মোশতাক চরিত্রেও অনবদ্য অভিনয় করেছেন মো. জাহিদুর রহমান।

ছবি: বার্তা ২৪

‘অভিশপ্ত আগস্ট’ নাটকটি নিয়ে ডি আই জি হাবিবুর রহমান বলেন, শোকাবহ আগস্টকে জাতির সামনে শৈল্পিকভাবে তুলে ধরতে প্রায় এক দশক আগে থেকেই নানা পরিকল্পনা করছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট অনেকের সাথেই কথা বলেছিলাম। কিন্তু কোন মনঃপূত কিছু না পাওয়াতে অবশেষে পুলিশ নাট্যদলকেই দায়িত্ব দিলাম। সমাজের অপরাধ দমনের পাশাপাশি অভিনয় ও নির্দেশনার নানা কাজে পুলিশ বাহিনী যে কারো চেয়ে কোন অংশে কম নয় তাই বোঝা যাচ্ছে নাটকটি নির্মাণের পর। দর্শকদের দ্বারা প্রশংসিত হওয়ার কারণে মাত্র এক বছরে আমরা নাটকটির শততম মঞ্চায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। এটি এদেশের নাটকের ইতিহাসে অনন্য রেকর্ড। দর্শক না চাইলে আমরা এত তাড়াতাড়ি শততম মঞ্চায়নের রেকর্ড অর্জন করতে সক্ষম হতাম না। রাজারবাগের পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, শিল্পকলা একাডেমিসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নাটকটি মঞ্চায়ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।

কথা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা ও ত্যাগ এবং বিকৃত ইতিহাসের কালো থাবা থেকে জাতিকে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার লক্ষ্যে ‘অভিশপ্ত আগস্ট’ নাটকটি প্রযোজনার সিদ্ধান্ত নিই আমরা। বঙ্গবন্ধুর প্রতি সাধারণ মানুষের ভালোবাসা ও আগ্রহের কারণেই এই নাটকটি আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি প্রাপ্তি ঘটিয়েছে।

ছবি: বার্তা ২৪

নির্দেশক মো. জাহিদুর রহমান বলেন, শিক্ষণীয় বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি সবশ্রেণীর মানুষের সামনে নাটকটিকে উপভোগ্য করে তোলার জন্য প্রসেনিয়াম থিয়েটারের ধারা থেকে বের হয়ে নতুনত্ব এনে নাটকটির নির্মাণে আমি ভিন্ন প্রথা অবলম্বন করেছি। আমি চেয়েছি সবশ্রেণীর মানুষের নিকট নাটকটি বোধগম্য হোক। নাটকটিকে দর্শকদের কাছে উপভোগ্য ও হৃদয়গ্রাহী করে তোলার জন্য প্রথাগত নিয়ম ভেঙে নাটকটিকে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছি। নাটকটিতে বঙ্গবন্ধু, বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ও শেখ রাসেলকে রূপক অর্থে তুলে ধরে ভিন্ন রকমের একটা এক্সপেরিমেন্ট চালিয়েছি। ডি আই জি হাবিব স্যার আমাকে এত বড় সুযোগ দেওয়াতে আমি উনার প্রতি আন্তরিকভাবে অনেক বেশি কৃতজ্ঞ। এই প্রযোজনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা না থাকলে এত বড় কাজ সম্ভব হতো না।

এর আগে শিল্পীদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান ও লাকী ইনাম। এরপর পুলিশ থিয়েটারকে ফুলেল শুভেচছায় সিক্ত করেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

হাসপাতালে শেষ দেখায় সামিনাকে যা বলেছিলেন শাফিন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার যে অনুষ্ঠানে গাইতে গিয়ে আর ফিরলেন না শাফিন আহমেদ, সেই মঞ্চে সেদিন গেয়েছিলেন দেশের আরেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী। অনুষ্ঠানের চার দিনের মাথায় জানতে পারেন শাফিন আহমেদ চিরতরে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। শাফিন আহমেদের মৃত্যুর খবর অবিশ্বাস্য ছিল সামিনা চৌধুরীর কাছে। এই খবর সহ্য করাটাও ছিল ভীষণ কষ্টদায়ক।

যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সামিনা চৌধুরী জানালেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামী ইজাজ খান স্বপনসহ গিয়েছিলেন শাফিন আহমেদকে দেখতে। হাসপাতালে তাদের থাকার অনুরোধ করেছিলেন বলেও জানালেন সামিনা চৌধুরী।

সামিনা বলেন, ‘‘তিন দিন আগে দেখে এলাম শাফিন ভাইকে। বারবার আমাকে আর স্বপনকে থাকতে বলছিলেন। স্বপনকে বললেন, ‘আমাকে ছেড়ে যেয়ো না প্লিজ! আমার সঙ্গে গল্প করো। আমার অনেক ব্যথা হচ্ছে কোমরে। স্বপন, তোমাকে কিছু বলব, বসো।’'

সামিনা আরও বলেন, ‘শাফিন ভাইকে পানি খাওয়াল স্বপন। তারপর তাকে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হলো। শাফিন ভাইয়ের অবস্থা দেখে আমাদের চলে আসতে বললেন আয়োজকেরা। কী বলতে চেয়েছিলেন শাফিন ভাই, কে জানে। কোনো চাপা কষ্ট কি ছিল তার ভেতর? দেশের আরেকটি সম্পদ, আরেকটি মেধার বিয়োগ হলো। চোখে শুধু ভাসছে। তোমরা যেয়ো না প্লিজ...আমাকে আর পাবা না।’

;

ম্যানেজারের সঙ্গে প্রেম, ভাঙছে যীশুর ২০ বছরের সংসার?



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মা দম্পতি

যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মা দম্পতি

  • Font increase
  • Font Decrease

টলিউড তারকা যীশু সেনগুপ্ত আর সাবেক অভিনেত্রী নীলাঞ্জনা শর্মার দুই দশকের দাম্পত্য জীবন। এত দিন তাদের সম্পর্ককে সবাই আদর্শ মেনে এসেছে। কিন্তু জীবনে কোনকিছুই যে স্থায়ী নয়, কিংবা আমরা বাইরে থেকে যা দেখি তার সবটাই যে সত্য নয় সে কথা আরও একবার হয়তো ঘটতে চলেছে! কয়েক দিন ধরে হঠাৎই টলিপাড়ায় আলোচনায় তাদের বিচ্ছেদের খবর।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তাদের সম্পর্ক আগের মতো নেই। নীলাঞ্জনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টও সে ইঙ্গিতই দিয়েছে।

দুই কন্যাকে নিয়ে ‍সুখের সংসার ছিলো যিশুর

শিনাল সূর্তি নামের নারীর সঙ্গে নাকি সম্পর্কে জড়িয়েছেন যীশু। এটাই তাদের দাম্পত্য কলহের মূল কারণ। ইতিমধ্যেই নিজের নামের পাশ থেকে সেনগুপ্ত পদবি সরিয়ে ফেলেছেন নীলাঞ্জনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাবাকে আনফলো করে দিয়েছেন বড় মেয়ে সারাও।

এখন প্রশ্ন, সত্যিই কি তাহলে যীশু-নীলাঞ্জনার ২০ বছরের দাম্পত্য ভাঙনের পথেই এগোচ্ছে? যদিও এ বিষয়ে স্পিকটি নট যীশু সেনগুপ্ত। এই পরিস্থিতিতে নীলাঞ্জনার পক্ষে কথা বলেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মহুয়া চট্টোপাধ্যায়। নীলাঞ্জনার সঙ্গে মহুয়ার বন্ধুত্ব বহুদিনের। প্রায় দিনই তাদের একসঙ্গে দেখা যায়। এদিকে এই কঠিন পরিস্থিতিতে নীলাঞ্জনার পাশেই দাঁড়ালেন মহুয়া চট্টোপাধ্যায়।

যীশু সেনগুপ্ত

মহুয়া নীলাঞ্জনার উদ্দেশে লিখেছেন, ‘তোমাকে দুর্দান্ত ও শক্তিশালী মানুষ বলেই জানি। খুব গর্ব হয় তোমার জন্য। সব সময়ই তোমার সঙ্গে রয়েছি নীলাঞ্জনা।’ পাল্টা মহুয়া চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন নীলাঞ্জনাও।

তবে শুধু মহুয়া চট্টোপাধ্যায় নন, নীলাঞ্জনার পাশে দাঁড়িয়েছেন তার অভিনেত্রী বন্ধু রাগেশ্বরীও। তিনিও নিজের ইনস্টাস্টোরিতে লিখেছেন, ‘একসময় জীবনে কঠিন সময়ে তুমি আমাকে হাত ধরে বাঁচিয়েছিলে, এবার আমার পালা। আজ আমার পালা।’

যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মা দম্পতি

ইতিমধ্যেই যীশু-নীলাঞ্জনা নাকি বিচ্ছেদের পথেই হাঁটছেন বলে খবর। টলিপাড়ায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, তারা নাকি বিচ্ছেদের বিষয়ে আইনি পরামর্শও নিচ্ছেন। শোনা যাচ্ছে, গুজরাটিকন্যা শিনাল সূর্তির সঙ্গেই নাকি বেশ কয়েক মাস ধরে তারা লিভ ইন সম্পর্কেও রয়েছেন। এমনকি ‘খাদান’ সিনেমার শুটিংয়ের জন্য কলকাতায় এসেও নাকি যীশু নিজের বাড়িতেও ওঠেননি।

প্রসঙ্গত, যীশু এ মুহূর্তে বলিউড, টলিউড ও দক্ষিণি ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা। কাজের সূত্রে মুম্বাইয়ে বেশির ভাগ সময় থাকতে হয় তাকে।

২০০৪ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন যীশু-নীলাঞ্জনা। খ্যাতির শিখরে পৌঁছানোর বহু আগেই থেকেই যীশু সেনগুপ্তের সঙ্গে আলাপ নীলাঞ্জনার। যখন তারা বিয়ে করেন, তখন যীশু টেলিভিশনের একজন উঠতি অভিনেতা। নীলাঞ্জনা শর্মাও অভিনয় করতেন। তিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিকের মেয়ে। তবে বিয়ের পর সংসারেই মন দেন নীলাঞ্জনা। দুই মেয়ে সারা ও জারাকে নিয়ে ছিল তাদের সংসার।

যীশু সেনগুপ্ত

তথ্যসূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা

;

বায়োপিকের টিজারে টিমোথি যেন অবিকল বব ডিলান!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে ও এলে ফ্যানিং

বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে ও এলে ফ্যানিং

  • Font increase
  • Font Decrease

টিমোথি শ্যালামেকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। অভিনয়গুণে অল্প দিনের মধ্যেই দর্শকের মনে শক্ত অবস্থান করে নিয়েছেন কম বয়সী এই হলিউড অভিনেতা। তার অভিনীত ‘ডুন’ ও ‘ওঙ্কা’ সিনেমা দুটি ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।

জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী বব ডিলানের বায়োপিক ‘আ কমপ্লিট আননোন’-এর মূখ্য চরিত্রেও দেখা যাবে টিমোথি শ্যালামেকে। প্রকাশ পেয়েছে ছবিটির টিজার। ‘আ কমপ্লিট আননোন’-ও যে বিশ্বজয় করতে চলেছে, তা টিজার দেখেই নিশ্চিত সিনেপ্রেমীরা।

বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে

টিজারে ‘আ হার্ড রেইন’স আ-গনা ফল’ গানের কিছু অংশ গাইতে শোনা গেছে টিমোথিকে। মেকআপ, পোশাক আর চুলের স্টাইলে টিমোথি যেন অবিকল বব ডিলান! ছবিটি পরিচালনা করেছেন ‘ওয়াক দ্য লাইন’, ‘ফোর্ড ভার্সেস ফেরারি’, ‘লোগান’ খ্যাত পরিচালক জেমস ম্যানগোল্ড।

টিজারের শুরুতে টিমোথিকে ম্যানহাটনের রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায়। এ সময়ে অ্যামেরিকান গায়ন পিট সিগার বব ডিলানের গান প্রথম শোনার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। পিট সিগারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এডওয়ার্ড নরটন। টিজারে ম্যানহাটনে ডিলানের কিছু প্রিয় স্থান দেখানো হয়েছে। তার মাঝে আছে ক্যাফে হোয়া এবং হোটেল চেলসা। টিজারে ডিলান, হোয়ান বাইজ এবং সিলভি রুশোর ত্রিভুজ প্রেমের ইঙ্গিতও দেয়া হয়েছে।

বব ডিলানের বায়োপিক ‘আ কমপ্লিট আননোন’-এর দুটি দৃশ্যের কোলাজ

১৯৫৯ সালে ক্যারিয়ার শুরুর পর গানের দুনিয়ায় নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বব ডিলান। ৮১ বছরের জীবনে অনেক কীর্তি গড়েছেন তিনি। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারও পেয়েছেন এই গীতিকবি। নন্দিত এই গায়ক, গীতিকারের জীবনের প্রথম দিকের ঘটনাবলি তুলে ধরা হবে সিনেমাটিতে।

তথ্যসূত্র : এনডিটিভি

বব ডিলানের বায়োপিকে টিমোথি শ্যালামে

;

শাফিন আহমেদের কিছু বিরল ছবি আর অজানা কথা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
মা ফিরোজা বেগমের সঙ্গে শাফিন আহমেদ ও হামিন আহমেদ (২০১০) / ছবি : আবেগ রহমান

মা ফিরোজা বেগমের সঙ্গে শাফিন আহমেদ ও হামিন আহমেদ (২০১০) / ছবি : আবেগ রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্টারা হাসপাতালে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী শাফিন আহমেদ।

তার মৃত্যুর শোকের আঁচ এখনো পাওয়া যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে যেভাবে পারছেন প্রিয় শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।

শাফিনকে পেলে এভাবেই মধ্যমণি করে রাখতেন শিল্পীসমাজ। ছবিতে শাফিনের পাশে আসিফ আকবর, শওকত আলী ইমন, শহিদুল্লাহ ফরায়েজী, ফুয়াদ নাসের বাবু, লাবুসহ গানের মানুষরা
 

অনেকেই জানেন না শাফিন আহমেদের জন্ম কলকাতায়। আর তারা তিন ভাই- তাহসিন, হামিন ও শাফিন। বাবা কমল দাশগুপ্ত, মা ফিরোজা বেগম। দুজনেই সংগীতাঙ্গনের কিংবদন্তি। তবে অনেকেই জানেন না, ছেলেবেলায় শাফিন আহমেদের নাম ছিল মনোজিৎ দাশগুপ্ত!

১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ১৯৬৭ সালের দিকে গোটা পরিবারসহ পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন তারা। এরপর ভর্তি হন স্কুলে। সেসময়ই পরিবর্তন করা হয় তার নাম। মনোজিৎ দাশগুপ্ত থেকে তিনি হয়ে যান শাফিন আহমেদ।

কিশোর বেলায় মাকে ঘিরে তিন ভাই তাহসিন, হামিন ও শাফিনের হাসিমুখ

নাম পরিবর্তন নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে শাফিন জানিয়েছিলেন, ‘ভারতবর্ষ যখন স্বাধীন হলো, তখন হিন্দু-মুসলিমের মাঝে যে দূরত্ব বা বিবাদ, সেই সময়ে তা প্রবল ছিল। সেখান থেকেই কিন্তু দুটো দেশের জন্ম- ভারত ও পাকিস্তানের। সেজন্য ভারতে থাকাকালীন একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে হিন্দু পরিচিতিটা যে রকম প্রয়োজন ছিল, একই রকমভাবে যখন পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসলাম তখন দেখা গেল মুসলিম পরিচয়টা খুব জরুরি ছিল। কারণ আমরা স্কুলে ভর্তি হতে পারছিলাম না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাসার ব্যাপারটা ছিল কি, বাবা খুবই প্রগ্রেসিভ একজন মানুষ ছিলেন। ধর্ম নিয়ে তার মধ্যে সে রকম কোনো চিন্তা-ভাবনা ছিল না। উনি গানের জগতের মানুষ, গান নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। আমরা ছোটকাল থেকে বড় হয়েছি আসলে ইসলাম ধর্মকে ঘিরেই। মায়ের কাছ থেকেই এই প্রভাব এসেছে। ইসলাম ধর্মের চর্চাটা বাসায় ছিল। এ ব্যাপারে আব্বার কোনো মন্তব্য ছিল না। উনার কোনো দৃষ্টিভঙ্গি কখনোই তিনি চাপিয়ে দিতে চাননি।’

ছবিটি ২০১২ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ফিরোজা বেগমের স্বামী ও শাফিনের বাবা কমল দাশগুপ্ত’র ১০০ তম জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে তোলা। ফ্রেমবন্দী হয়েছিলেন দেশের চার প্রখ্যাত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, সুবীর নন্দী, ফিরোজা বেগম ও শাফিন আহমেদ। একে একে সবাই চলে গেছেন, রয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন (তিনিও বেশ অসুস্থ)। 

শাফিন আহমেদের ডাক নাম ছিল মুনা। পরিবারের অনেকে এ নামেই ডাকে। এ ছাড়া সংগীতাঙ্গনের অনেকে যারা আমাকে ছোটবেলা থেকে চেনে, তখনও এমন তারকাখ্যাতি পাইনি, বয়স ১৭-১৮ হবে; সেই সময়ে যারা চিনতেন তারাও মুনা নামটিই আগে বলেন।

কিংবদন্তি সুরকার কমল দাশগুপ্ত ও প্রখ্যাত নজরুল সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের সন্তান শাফিন। যেন সুরের চামচ মুখে জন্মেছিলেন তিনি। বাবার কাছে উচ্চাঙ্গসংগীত আর তবলা, মায়ের কাছে নজরুলসংগীত শিখেছেন। ৯ বছর বয়সে নজরুলের শিশুতোষ গান ‘প্রজাপতি প্রজাপতি’ রেকর্ড করেছেন শাফিন।

কৈশোরে বিটলসসহ বহু ওয়েস্টার্ন অ্যালবাম হাতের নাগালে পেয়েছেন। ইংরেজি গানে মুগ্ধতা জমে; বাড়িতে ড্রামস ও গিটার বাজাতেন। মা-বাবা নাখোশ হননি; বরং আশকারাই দিয়েছেন।

মায়ের সঙ্গে হামিন ও শাফিন

শাফিন আহমেদের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে প্রখ্যাত গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ বলেছেন, ‘ওনার কণ্ঠটা একদমই আলাদা। অত্যন্ত সুরে গান করেন। একই সঙ্গে বেজ বাজিয়ে গান করা ভীষণ কঠিন কাজ। এটিই তাকে আলাদা করেছে।’

প্রিন্স মাহমুদের লেখা ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘কী করে সব ভুলে যাই’সহ ১০ টির মতো গান গেয়েছেন শাফিন। মাইলসের বাইরে শাফিনের বেশির ভাগ জনপ্রিয় একক গানের কথা ও সুর করেছেন তিনি।

১৯৭৯ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস। চার দশকের ক্যারিয়ারে ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা অন্তরে’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’সহ বহু হিট গান উপহার দিয়েছেন শাফিন।

কনসার্টে রীতিমতো ঝড় তুলতেন রক তারকা শাফিন

কনসার্টে রীতিমতো ঝড় তুলতেন রক তারকা শাফিন। গান আর গিটারের তালে শ্রোতাদের হৃদয়ে উন্মাদনা ছড়িয়েছেন। প্রাণশক্তিই তাকে সমসাময়িকদের চেয়ে আলাদা করেছে বলে মনে করেন আরেক ব্যান্ড তারকা মাকসুদ হক।

নব্বইয়ের দশকে কলকাতায় মাইলসের কনসার্টে শ্রোতাদের ঢল নামত। কলকাতার শিল্পীরাও শাফিন আহমেদকে শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছেন। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে কলকাতায় গায়ক অনুপম রায় বলেছেন, মাইলসে শাফিনের গান শুনেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। ব্যান্ডটির ভক্ত তিনি। কলকাতার ক্যাকটাস ব্যান্ডের সিধুসহ আরও অনেকেই শাফিনের গানের প্রতি ভালোবাসার কথা জানিয়েছেন।

ব্যান্ড মাইলস-এর সদস্যরা

;