আজকাল শোবিজ তারকারা কাজের চেয়ে নাকি ব্যক্তিগত কারণেই বেশি চর্চিত! তাই বলে শিরোনাম পড়ে ভাবার কিছু নেই যে, ছোটপর্দার জনপ্রিয় দুই তারকা তৌসিফ মাহবুব আর তানজিন তিশার মধ্যে আবার ব্যক্তিগত কোন সম্পর্ক তৈরী হয়েছে।
তৌসিফ মাহবুব হ্যাপিলি ম্যারিড। আর তানজিন তিশা সিঙ্গেল লাইফ উপভোগ করছেন। এখন তিনি কাজে খুব মনোযোগী। এই দুই তারকা এবার আসছেন বর্তমান সময়ের গল্প নিয়ে। এ সময়কার সম্পর্কের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘বরযাত্রী’, যেখানে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব ও তানজিন তিশা। এটি নির্মাণ করেছেন সুমন ধর।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, মাস কয়েক আগে নারায়ণগঞ্জের মনোরম লোকেশন ও রাজধানী ঢাকার আশে পাশে নাটকটির দৃশ্যায়ন হয়। গল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রাখতে আয়োজনে কমতি রাখেননি নির্মাতা। নাটকটির একটি দৃশ্যে তৌসিফ-তিশাকে পারফর্ম করতে দেখা যাবে বলেও জানা গেছে।
নির্মাতা বলেন, ‘বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটের গল্পেই এই নাটকটি। সম্পর্কে পাওয়া না পাওয়ার গল্প বলা যেতে পারে। প্রেমের গল্প। গল্প অনুযায়ী নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি দারুণভাবে উপস্থাপন করার। কাজটি দর্শকের পছন্দ হবে আশা করি।’
বিজ্ঞাপন
‘বরযাত্রী’ নাটকে তৌসিফ মাহবুব ও তানজিন তিশা
কেএস ফিল্মস এর কর্ণধার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, আগামীকাল ২৩ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টায় নাটকটি কেএস এন্টারটেইনমেন্ট ইউটিউব চ্যানেলে উন্মুক্ত হবে।
সুমন ধরের গল্প, চিত্রনাট্যে নাটকটিতে তৌসিফ মাহবুব-তানজিন তিশা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন আজিজুল হাকিম, শিল্পি সরকার অপু, এস এন জনি, সুব্রত চক্রবর্তী ও মিলি মুন্সি প্রমুখ।
প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে ‘আমি বাংলায় গান গাই’ শোনেননি এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আজ প্রয়াত হয়েছেন বাংলা গানের এই প্রখ্যাত শিল্পী। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। তার প্রয়াণের খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলার সঙ্গীত জগতে। কলকাতার জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী অনুপম রায় তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছন আনন্দবাজার অনলাইনে-
প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের ‘আমি বাংলার গান গাই’ অনুপম রায়ের কণ্ঠেও শুনেছেন মানুষ। শিল্পীর প্রয়াণের খবরে অনুপম বলেছেন, “প্রতুলদার আমি বড় ভক্ত। সত্যিই গুণী শিল্পী এবং খুবই ব্যতিক্রমী শিল্পী ছিলেন। তার গান গাওয়ার ধরন অথবা গান নিয়ে ভাবনাচিন্তা আর পাঁচজনের চেয়ে ভিন্ন ছিল। তাকে হারানো আমাদের কাছে বড় ক্ষতি। শুধু একটি গান নয়। তার বহু ভাল অ্যালবাম ছিল। আমি সামনে বসেও তার অনুষ্ঠান শুনেছিলাম। বাংলার গুরুত্বপূর্ণ শিল্পী। আমার খুব প্রিয় একটা গান রয়েছে, ‘লাল কমলা হলদে সবুজ’। আসলে ওটা মাও দে জং-এর একটি কবিতা। সেই কবিতা অনুবাদ করে তিনি সুর দিয়েছিলেন। গানের সঙ্গে গল্প করে বলতেন। সেই দৃশ্য আমার আজও মনে আছে।”
অনুপম মনে করেন, প্রতুলের মতো শিল্পী আর হবে না। সঙ্গীত পরিচালক তথা গায়কের কথায়, “তিনি যে সময়ের মানুষ বা তার যা ভাবনাচিন্তা, তা বর্তমানের শিল্পীদের মধ্যে নেই। এখন হয়তো অন্য রকমের কাজ তৈরি হবে। তার সময়েও কিন্তু তিনি ব্যতিক্রমী ছিলেন।”
প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের ‘বাংলার গান গাই’ যেন জাতীয় সঙ্গীতের মতো: লোপামূদ্রা
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণে লোপামুদ্রা
বিনোদন
প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে ‘আমি বাংলায় গান গাই’ শোনেননি এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আজ প্রয়াত হয়েছেন বাংলা গানের এই প্রখ্যাত শিল্পী। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। তার প্রয়াণের খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলার সঙ্গীত জগতে। কলকাতার জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছন আনন্দবাজার অনলাইনে-
প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ১৯৯৩ সাল থেকে পরিচয় লোপামুদ্রার। স্মৃতি হাতড়ে গায়িকা বলেন, “প্রতুলদা আমাদের থেকে অনেকটা বড়। অনেক দিন ধরে চিনি। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই তিনি আমার কাছে ‘প্রতুলদা’। তার বন্ধুদের একটা দল ছিল। সেই দলের সকলকেই কাকা বলে ডাকতাম। কিন্তু প্রতুলদাকে দাদা বলতাম। ১৯৯৩ সালের বইমেলায় প্রতুলদার সঙ্গে প্রথম আলাপ হয়েছিল। বইমেলায় খালি গলায় গানের আসর বসত। পরে আবার রবীন্দ্রসদনের একটি অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে একই মঞ্চে গান গাওয়া। সেই অনুষ্ঠানে সুমন-নচিকেতা-অঞ্জনও ছিলেন। প্রতুলদা নিজে কবিতায় সুর দিয়ে গান তৈরি করতেন। সব মিলিয়ে আমার কাছে বড় অনুপ্রেরণা ছিলেন তিনি।”
একটি কারণে প্রতুলদাকে হিংসেও করতেন লোপামুদ্রা। গায়িকার কথায়, “গান তার নেশা ছিল। নিজের মতো গান গেয়ে যেতেন। প্রচার নিয়ে ভাবতেন না। প্রচারবিমুখ ছিলেন বরাবরই। এ জন্য তাকে হিংসে হত।” লোপামুদ্রার গানও পছন্দ করতেন প্রয়াত শিল্পী। তবে একটি গান নাকি মোটেই পছন্দ ছিল না তার। গায়িকার স্বীকারোক্তি, “আমার গান শুনতে প্রতুলদা ভালবাসতেন। কিন্তু বেণীমাধব গানটা তার মোটেই পছন্দ ছিল না। কিন্তু গানটা রেকর্ড হওয়ার পরে বেশ সাড়া ফেলেছিল। তাই প্রতুলদা বলতেন, ‘আর তো কিছু বলার নেই। এখন তো বেণীমাধব সুপারহিট।’ খুব মিষ্টি সম্পর্ক ছিল প্রতুলদার সঙ্গে।”
ভালোবাসা দিবসে গাঁটছড়া বাঁধলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ও তারকা দম্পতি রাজ বাব্বর-স্মিতা পাতিলের ছেলে প্রতীক বাব্বর। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ঘরোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শুভ অনুষ্ঠান সারেন প্রতীক-প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় ।
গতকাল সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের বিয়ের নানা মুহূর্ত পোস্ট করে এই সুখবর জানান অভিনেতা। প্রিয়ার এটি প্রথম বিয়ে হলেও প্রতীকের দ্বিতীয়। ২০০৮ সালে ‘জানে তু ইয়া জানে না’ ছবির হাত ধরে বলিপাড়ায় পা রাখেন প্রতীক।
বিয়ের আসরে প্রতীক বাব্বর ও প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়
২০১২ সালে ‘এক দিওয়ানা থা’ ছবির শুটিং করার সময় সহ-অভিনেত্রী অ্যামি জ্যাকসনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় প্রতীকের। সেই বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। তবে অ্যামির সঙ্গে সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি প্রতীকের। বলিপাড়ার গুঞ্জন, ছবি মুক্তির এক বছরের মধ্যেই সম্পর্কে ইতি টানেন অ্যামি এবং প্রতীক।
অ্যামির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বলিপাড়ার প্রযোজক সান্যা সাগরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন প্রতীক। সান্যার পিতা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দীর্ঘ দিন সম্পর্কে থাকার পর সান্যাকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে বিয়ে করেন প্রতীক। বিয়ের পরের বছরেই বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন তারা। ২০২০ সাল থেকে তারা আলাদা থাকতে শুরু করেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে আইনি বিচ্ছেদ হয় প্রতীক এবং সান্যার।
প্রতীক বাব্বর ও প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়
বিবাহবিচ্ছেদের পর এক বছর পার হতে না হতেই আবার প্রেমে পড়েন প্রতীক। বাঙালি কন্যা প্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সম্প্রতি ‘চালচিত্র’ নামের বাংলা ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে প্রিয়াকে। প্রতীক এক পুরনো সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, ২০২২ সাল থেকে প্রিয়াকে চেনেন তিনি। অভিনেতার এক বন্ধুর মাধ্যমেই প্রিয়ার সঙ্গে তার আলাপ হয়। এক বছর গোপনে প্রেম করার পর তারা সম্পর্কের কথা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেন।
১৯৯০ সালে ১৬ এপ্রিল কলকাতার এক বাঙালি পরিবারে জন্ম প্রিয়ার। কলকাতা থেকে তার পরিবার কানাডায় চলে যায়। কানাডার আলবের্তার বাসিন্দা তিনি। প্রিয়ার জন্ম সে দেশেই। কানাডা থেকে স্কুল এবং কলেজের পড়াশোনা শেষ করেন প্রিয়া। ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং এবং কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে স্নাতক হন তিনি। ছয় বছর ধরে কত্থকের প্রশিক্ষণ নেন প্রিয়া। কানাডার বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠানও করেছেন তিনি। নৃত্যের পাশাপাশি রবীন্দ্রসঙ্গীতেও পারদর্শী প্রিয়া।
প্রতীক বাব্বর ও প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়
২০১১ সালে কানাডার একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন প্রিয়া। দর্শকের কাছে বহুল প্রশংসা পান তিনি। তার এক বছর পর মুম্বই যান প্রিয়া। বলি অভিনেতা অনুপম খেরের কাছে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন প্রিয়া। প্রশিক্ষণ চলাকালীন পরিণীতি চোপড়া এবং বরুণ ধবনের সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করার সুযোগও পান তিনি।
২০১৩ সালে বড় পর্দায় কাজ শুরু করেন প্রিয়া। ‘কিস’ নামের একটি তেলুগু ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। তার পরের বছর ‘জোরু’ এবং ‘অসুরা’ নামের আরও দু’টি তেলুগু ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ২০১৫ সালে বলিপাড়ায় পদার্পণ করেন প্রিয়া। ‘জাজবা’ ছবিতে অভিনয় করে হিন্দি চলচ্চিত্রজগতে কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথম হিন্দি ছবিতে ঐশ্বরিয়া রাই-ইরফান খানের মতো তারকার সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন প্রিয়া।
বিয়ের আসরে প্রতীক বাব্বর ও প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়
তারপর ‘বার বার দেখো’, ‘২০১৬ দ্য এন্ড’, ‘দিল যো না কহে সকা’, ‘সোশ্যাল’ এবং ‘রেন’ নামের একাধিক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় প্রিয়াকে। বড়পর্দার পাশাপাশি ওটিটির পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ পান প্রিয়া। ‘বারিশ’, ‘হ্যালো মিনি’ এবং ‘টুইস্টেড ৩’-এর মতো একাধিক হিন্দি ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন তিনি।
নেটফ্লিক্সে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রানা নাইডু’ ওয়েব সিরিজে রানা দগ্গুবতী, ভেঙ্কটেশ দগ্গুবতী, সুরভিন চাওলার মতো তারকাদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন প্রিয়া। ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অধুরা’ নামের হরর ঘরানার ওয়েব সিরিজে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে।
প্রতীক বাব্বর ও প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রিয়া এবং প্রতীক দু’জনের নাম এবং পদবির আদ্যক্ষর যথাক্রমে পি এবং বি। ‘পিবি’ লিখেই অভিনেত্রী তার কাঁধে ট্যাটু করিয়েছেন। সামনে লাল রং দিয়ে ভালবাসার উল্কি আঁকা রয়েছে। অন্য দিকে আঁকা ‘ইনফাইনাইট’ চিহ্ন। একই রকম ট্যাটু হাতে আঁকিয়েছিলেন প্রতীক।
বিয়ের আসরে প্রতীক বাব্বর ও প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়
মডেলিং, অভিনয়, উপস্থাপনার পাশাপাশি পিয়া জান্নাতুল পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। এতোদিন ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে কাজ করলেও এবার নিজের জন্যই সহকারী খুঁজছেন পিয়া।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে নিজের জন্য ব্যক্তিগত সহকারী চেয়ে একটি জব সার্কুলার (চাকরির বিজ্ঞাপন) দেন পিয়া। সেখানে নিজের প্রত্যাশা কেমন ও আবেনকারীদের যোগ্যতা কেমন হবে- সে সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেন তিনি। পোস্টে পিয়া লেখেন, ‘আমি একজন অত্যন্ত উৎসাহী ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে যোগদানের জন্য খুঁজছি। যিনি আমার সঙ্গে অফিসে এবং বাইরে- উভয়দিকেই কাজে সহযোগিতা করতে আগ্রহী থাকবেন। তবে আপনাকে অবশ্যই নমনীয় হতে হবে এবং কাজ সম্পর্কিত আমার সাথে ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
পিয়া জান্নাতুল । ছবি: মোমেন্টওয়ালা
নিজের পোস্টে ই-মেইল অ্যাড্রেসটিও যোগ করে দেন পিয়া। আর সেখানে আবেদন করতে থাকেন আগ্রহীরা। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এক পর্যায়ে খানিকটা বিব্রত প্রকাশ করেন পিয়া জান্নাতুল। কারণ, সেই পোস্টে চাকরি প্রত্যাশীদের আগ্রহ ছিল তুলনামূলক বেশি।
পিয়ার দাবি, অনেকে বেশিই উৎসাহ প্রকাশ করছেন যা অপ্রয়োজনীয়। তাদের উদ্দেশ্যে বিনীত অনুরোধও রাখেন পিয়া। তিনি পোস্টের মন্তব্যের ঘরে লেখেন, ‘অনুগ্রহ করে আপনার কাজের বিবরণটি বুঝুন। আপনি যদি ঢাকা বা দেশের বাইরে থাকেন, তাহলে আবেদন পাঠাবেন না। ১৫ মিনিটে ১০০ আবেদন পেয়েছি। দয়া করে আপনার ও আমার- উভয়েরই সময় নষ্ট করবেন না।’
পিয়া জান্নাতুল । ছবি: মোমেন্টওয়ালা
২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে মডেলিংয়ে যাত্রা শুরু করেন পিয়া। এরপর ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি শিরোপা এবং মিশরে ওয়ার্ল্ড টপ মডেল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ার সাফল্য অর্জন করেন তিনি।
তারপর ২০১২ সালে ‘চোরাবালি’ চলচ্চিত্রে ‘সুজানা’ চরিত্রে অভিনয় করে হন প্রশংসিত। সে বছরই শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘আবার হাসিমুখ’ গানের মিউজিক ভিডিওতে তাকে দেখতে পাওয়া যায়। পরে ২০১৫ সালে তিনি একই সঙ্গে বেশ কটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’, ‘দ্য স্টোরি অব সামারা’। এর মধ্যেই লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিস থেকে আইন বিভাগে স্নাতক শেষ করেন পিয়া। বর্তমানে উচ্চ আদালতে আইনজীবী পেশাতে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি।
পিয়া জান্নাতুল । ছবি: মোমেন্টওয়ালা