শিল্পী সমিতির নির্বাচন, কে কোন পদে লড়ছেন?



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শিল্পী সমিতির নির্বাচন, কে কোন পদে লড়ছেন?

শিল্পী সমিতির নির্বাচন, কে কোন পদে লড়ছেন?

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হচ্ছে আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)। এই নির্বাচনে বিজয়ী কমিটি ২০২৪ থেকে ২০২৬ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবে।

২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একটি মিশা-ডিপজল পরিষদ, অন্যটি কলি-নিপুণ পরিষদ।

এর মধ্যে সভাপতি পদে লড়ছেন একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও দাপুটে খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর। আর সাধারণ সম্পাদক পদে গেলো আসরের মতো এবারও প্রার্থী হয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। 

তার বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন চলচ্চিত্রের মুভি লর্ড ও দানবীর-খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। নিজের নির্বাচনী লক্ষ্যের বিষয়ে মিশা সওদাগর বলেছেন, শিল্পীরা বেশি কিছু চায় না, তারা সম্মান চায়। 

ইফতার, পিকনিক, উৎসব এসবে সম্মান চায়। কোনো শিল্পী অসুস্থ হলে যথাসম্ভব তার পাশে থাকা। এসবই আমাদের মূল লক্ষ্য।

অন্যদিকে, আরেক সভাপতি পদের প্রার্থী মাহমুদ কলির লক্ষ্য, মানুষের কাছে চলচ্চিত্রের সুনাম কিছুটা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আমার চেষ্টা থাকবে সেটা পুনরুদ্ধার করা। যদিও হঠাৎ করে তার নির্বাচনে আসা অনেকেই ভালো ভাবে নেয়নি। কারণ, চলচ্চিত্র অভিনয় থেকে বিদায় নেওয়ার পর শিল্পীদের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিছিন্ন। গেল নির্বাচনে ভোট দিতে আসেননি তিনি।

দুই প্যানেলের হয়ে কে কোন পদে লড়ছেন, এক নজরে তা জেনে নেওয়া যাক:

মিশা-ডিপজল পরিষদ
সভাপতি পদে মিশা সওদাগর, সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।

এই প্যানেলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য হতে চান অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন ও ফিরোজ মিয়া (ফিরোজ শাহী)।

কলি-নিপুণ পরিষদ
সভাপতি পদে মাহমুদ কলি, সহ-সভাপতি পদে আছেন ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে বাপ্পি সাহা। সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দফতর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে প্রার্থী হয়েছেন আজাদ খান।

এই প্যানেলের কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদের জন্য লড়ছেন সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো.সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।

প্রসঙ্গত, এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। এবারের মোট ভোটার ৫৭০ জন। তারাই বেছে নেবেন আগামী দুই বছরের চলচ্চিত্র শিল্পীদের নেতা-অভিভাবক।

   

পরীর জবাবে রাজ-বুবলীর বিয়ের ইঙ্গিত!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
শবনম বুবলী, শরিফুল রাজ ও পরীমণি

শবনম বুবলী, শরিফুল রাজ ও পরীমণি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢালিউডে যে ক’জন তারকা কারণে অকারণে আলোচনায় থাকেন তাদের মধ্যে অন্যতম পরীমণি, শবনম বুবলী আর শরিফুল রাজ। এই তিন তারকার সমন্বিত ইস্যু নিয়েও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম ছিল।

পরীমণি আর বুবলীর মধ্যে তেমন কোন বাগ বিতণ্ডার কথা ইতোপূর্বে শোনা যায়নি। তেমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল না। কিন্তু হুট করে একদিন বুবলীকে নাম উল্লেখ না করেই খোঁচা মেরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন পরী। তার ভাষ্য ছিল, পরীর ছেলে রাজ্যর জন্মদিনের ভিডিও বুবলী তার ছেলে বীরের জন্মদিনের ভিডিওতে হুবহু নকল করেছেন।

শবনম বুবলী

বুবলীও পরে সেই স্ট্যাটাসের জবাব দিয়েছিলেন। থেমে ছিলেন না পরীও। তিনিও বুবলীকে উদ্দেশ্য করে আবারও স্ট্যাটাস দেন। ভিডিও নকল করা নিয়ে যে এই জনপ্রিয় দুই নায়িকা ঝগড়া করছেন সে কথা তখন অনেকেই মানতে পারেননি।

অবশেষে জানা গেল সেই ঘটনার পেছনের রহস্য। এই বিবাদের পেছনেও দায়ী শরিফুল রাজ! পরী তার সাবেক স্বামীর বর্তমান প্রেয়সিকে সহ্য করতে না পেরেই এমনটা করেছিলেন বলে ধারণা করছেন অনেকে।

শরিফুল রাজ

কেননা, কদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শরিফুল রাজ আর শবনম বুবলীর গোপনে বিয়ে করার খবর ছড়িয়েছে। মেইনস্ট্রিম গণমাধ্যমে সেভাবে খবরটি প্রচার না পেলেও সামাজিক মাধ্যমে তা ভালোভাবেই ছড়ায়।

কিন্তু দুদিনের মাথায় সেই গুঞ্জন মিইয়ে যায়। সেই খবরের জায়গা দখল করে নেয় পরী আর রাজের রিইউনিয়নের খবর! পরীর বাসা থেকে ঝগড়া করে বেরিয়ে আসার দীর্ঘদিন পর রাজ সেখানে ফিরে গিয়েছিলেন। ছিলেন কয়েক ঘণ্টা, একসঙ্গে তারা খাওয়া দাওয়াও করেছেন। এসব কথা পরে পরী নিজেই গণমাধ্যমে বলেছেন। শুধু তাই নয়, রাজকে সঠিকভাবে জীবনযাপন করার পরামর্শও দেন পরী। নয়তো নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে সন্তানের জীবনে, সে কথাও বলেছেন।

পরীমণি

এই ঘটনার চার দিনের মাথায় পরীমনি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘যাকে আমার বাসার দারোয়ানই গেটে অ্যালাও করবে না, সে স্বপ্নে আমার রান্না খায়!’

ফেসবুক পোস্টে কারও নাম উল্লেখ না করলেও নেটিজেনরা মনে করছেন, শরিফুল রাজকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বলেছেন। মন্তব্যের ঘরে খল অভিনেতা শিমুল খান লিখেছেন, ‘কে খাইলো তোমার রান্না? (স্বপ্নে)।

উত্তরে পরীমনি লিখেছেন, ‘আছে এক টোকাই। তার বিয়ার নিউজের চাপ ঢাকল, আমাকে আর আমার ছেলেকে দিয়ে। কত বড় নিমকহারাম!’

সিনেমার দৃশ্যে বুবলী ও রাজ

পরীর এমন উত্তরেই সবাই দুইয়ে-দুইয়ে চার মেলাচ্ছেন, কেন পরী-বুবলীর দ্বন্দ্ব শুরু হলো, কেনই বা রাজ হুট করে পরীর বাসায় গেলেন আর পরীই বা কাদের বিয়ের খবর ধামাচাপা দেওয়ার কথা বলছেন। আসল সত্য কী তা সময়ই বলে দেবে।

;

সংস্কৃতিখাতে জাতীয় বাজেটের ১ শতাংশ বরাদ্দ নিয়ে উদীচীর সেমিনার



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে উদীচীর সেমিনার / ছবি: বার্তা২৪

শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে উদীচীর সেমিনার / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সংস্কৃতি খাতে জাতীয় বাজেটের ন্যূনতম এক শতাংশ বরাদ্দ করার দাবিতে সেমিনার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। শুক্রবার (৩১ মে) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে ‘জাতীয় বাজেট: সংস্কৃতিখাতে এক শতাংশ বরাদ্দের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক উদীচীর এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

মূল প্রবন্ধে অমিত রঞ্জন দে বলেন, ‘জাতীয় জীবনে সংস্কৃতি চেতনা দুর্বল হলে অপসংস্কৃতির বিস্তার ঘটে। সংস্কৃতির যে মানবীয় রূপ তা ক্রমশ দূরে সরে যেতে থাকে এবং কেবলমাত্র মুষ্টিমেয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিনোদনের উপকরণে পর্যবসিত হয়। সাম্প্রদায়িক ভেদচিন্তা ক্রমান্বয়ে মানবিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটিয়ে চলছে, সমাজ ও রাষ্ট্রে নেতিবাচক প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।’

তিনি আরও বলেন,‘একদিকে উন্নয়নের নামে লুটপাট বাণিজ্য, অর্থ পাচার; অন্যদিকে পুঁজিবাদী অর্থনীতির গর্ভজাত ভোগবাদ, যৌনতা, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস, মৌলবাদী গোষ্ঠীর তাণ্ডব জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এর বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক গণজাগরণে এখন সময়ের প্রয়োজন। একে কেন্দ্র করেই উৎসারিত হবে নবীন চিত্রকলা, সঙ্গীত, নাটক, কাব্য। তবে তার জন্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা জরুরি। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা এবং সদিচ্ছাও একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। অর্থনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টিতে বিগত কয়েক বছর ধরে দাবি উঠছে সংস্কৃতিখাতে জাতীয় বাজেটের ন্যূনতম ১ ভাগ বরাদ্দ দেয়ার। কিন্তু তা ০.০৯ থেকে ০.১৬ ভাগের উপরে ওঠেনি কোনোভাবে।’

উদীচীর সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বাজেটের জন্য বরাদ্দের একটা অংশ শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যার মধ্যে গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার, পুতুল নাট্য উৎসব, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব, যন্ত্রসংগীত উৎসব, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নাটক নির্মাণ উল্লেখ্যযোগ্য। কিন্তু, দেখা গেছে প্রায় সবগুলো অনুষ্ঠানই হয়েছে শিল্পকলার চৌহদ্দির মিলনায়তনের ভেতরে যেখানে সাধারণ মানুষের যাতায়াত নেই বললেই চলে। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ শিল্পকলা একাডেমির দরজায় দাঁড়িয়ে ভেতরেই কি হচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা করে। ভেতরে গিয়ে দেখার সাহস তাদের নেই। অথচ সংবিধানের ২৩ নং অনুচ্ছেদে সর্বস্তরের জনগণ যাতে জাতীয় সংস্কৃতির সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে এবং অংশগ্রহণের সুযোগ পায় সে বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।’

সংস্কৃতি এবং সংস্কৃতিকর্মীরাই রাষ্ট্রের বহুমাত্রিক সংকটে গণমানুষের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি করে থাকেন। প্রেরণা জোগান ঘুরে দাঁড়াতে। বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ আমাদের গণসংগ্রামগুলো তারই সাক্ষ্য বহন করে থাকে। এই সংস্কৃতিকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে সংস্কৃতিখাতে জাতীয় বাজেটের ন্যূনতম এক শতাংশ বরাদ্দ দেয়ার যৌক্তিক দাবি করে আসছে। তাদের সেই দাবি বারংবার উপেক্ষা করা হচ্ছে, যা আমাদের বাজেট ভাবনা এবং দর্শনের সীমাবদ্ধতা ছাড়া আর কিছু না।-এমনটাও উল্লেখ করা হয় প্রবন্ধে।

সেমিনারে অন্য বক্তারা বলেন, প্রতিবছর জাতীয় বাজেটের আকার বাড়ছে, কিন্তু সংস্কৃতির কাঠামো-পরিকাঠামো বাড়ছে না। মহান মুক্তিযুদ্ধের মৌল চেতনা ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও সমাজতন্ত্র অভিমুখী আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের যে স্বপ্নকল্প তার সাথে সঙ্গতি রেখে বাজেট প্রণীত হচ্ছে না। যতটুকু যা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে তা অবকাঠামো নির্মাণে সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে। সেখানে চলছে অবাধ লুটপাট এবং নির্ধারিত সময়ে কাজটি সম্পন্ন না করতে পারায় ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তারা আরো বলেন, স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সংস্কৃতিকর্মীরা সম্মুখ সারিতে ছিলেন। কিন্তু, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর রাজনৈতিক ব্যক্তিরা চলে গেলেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে আর সংস্কৃতি কর্মীরা পড়ে থাকলেন রাজপথে। সংস্কৃতি বাজেট যারা করেন তারা সংস্কৃতি বোঝেন কিনা সে প্রশ্ন তোলেন তারা। বলেন, ধর্মীয় মৌলবাদকে প্রশ্রয় দেয়ার মাশুল দিতে হবে রাষ্ট্রকে। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে সংস্কৃতি খাতে বাজেট বরাদ্দের দাবি জানান বক্তারা।

উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান-এর সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন মামুনুর রশীদ, মফিদুল হক, ম. হামিদ, এম এম আকাশ, ফওজিয়া মোসলেম, মানজারে হাসিন মুরাদ, আসিফ মুনির তন্ময়, আজাদ আবুল কালাম, আহকামউল্লাহ, মিজানুর রহমান, রাহুল রাহা, রেজাউল করিম সিদ্দিক রানা, ডা. লেলিন চৌধুরী, মানজারুল ইসলাম চৌধুরী সুইট, জাকির হোসেন, নারায়ণ চন্দ্র শীল, প্রণয় সাহা, আবদুস সেলিম, ড. আজিজুর রহমান, রঘু অভিজিৎ রায়সহ বরেণ্য সংস্কৃতিজন এবং সংগঠকবৃন্দ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ লিখেছেন এবং উপস্থাপন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মাহমুদ সেলিম।

;

অপূর্বর সঙ্গে কাজ ছিল রোমাঞ্চকর : অনিন্দিতা মিমি



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
অনিন্দিতা মিমি /  ছবি : নূর এ আলম

অনিন্দিতা মিমি / ছবি : নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

অনিন্দিতা মিমি এ সময়ের টিভি পর্দার প্রিয় মুখ। শুরুটা মডেলিং দিয়ে হলেও এখন অভিনয় করছেন নাটক ও টেলিছবিতে। ঈদেও তার একাধিক কাজ প্রচারিত হবে। সমসাময়িক বিষয়ে বার্তা২৪.কমের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। কথা বলেছেন মাসিদ রণ

অনিন্দিতা মিমি /  ছবি : নূর এ আলম

শোবিজে পথচলা কবে থেকে?


কোভিডের মধ্যে পড়াশুনা বা আনুষাঙ্গিক অনেক কিছুই বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। সেই সময়টা কাজে লাগানোর জন্য ফটোশুট করা শুরু করি। ২০২০ সালে ফ্যাশন ফটোশুট দিয়ে কাজ শুরু করি। আর অভিনয় শুরু ২০২২ সাল থেকে। প্রথম কাজ ছিল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ’র ওয়েব সিরিজ ‘গার্লস স্কোয়াড’। ছয় পর্বের এই সিরিজটি দর্শকের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলে। এজন্য আমার পথচলা মসৃন হয়েছে অনেকখানি। অনেকেই কাজের প্রস্তাব দিতে থাকেন। এভাবেই একের পর এক কাজ করছি।

অনিন্দিতা মিমি /  ছবি : নূর এ আলম

নাটকের অঙ্গন আপনার জন্য নতুন একটি মাধ্যম। এই অঙ্গনে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া কতোটা চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে?


নাটকের অঙ্গনে জায়গা করে নেওয়া অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। কারণ আমাদের এখানে মেধাবী ছেলে-মেয়ের কমতি নেই। সেই অনুযায়ি কাজের সুযোগ খুব কম। তাই নিজেকে যতোক্ষণ না কেউ প্রমাণ করতে পারছে, ততোক্ষণ তার দিকে কেউ ফিরেও তাকায় না। কাজ পাওয়া ভীষণ শক্ত, কম্পিটিশন অনেক বেশি। আমার ক্ষেত্রেও প্রথম কাজটা পাওয়া ছিল অনেক চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু একটি ভালো কাজে সুযোগ পেয়েছিলাম বলে তারপর থেকে বেশ মসৃনভাবে কাজ করছি। তবে আরও ভালো কাজের সুযোগ চাই। কেবল তো শুরু।

অনিন্দিতা মিমি /  ছবি : নূর এ আলম

সেদিক থেকে প্রথম দিন অভিনয় করতে গিয়ে কোন জটিলতায় পড়তে হয় কি না?


‘গার্লস স্কোয়াড’ ওয়েব সিরিজ দিয়েই তো শুরু। মাহিদুল রাকিব ছিলেন পরিচালক। আমি ভীষণ নার্ভাস ছিলাম। আমার মনে আছে, ভয়ের চোটে প্রথম দৃশ্যটি ওকে করতে আমাকে ১৮টি শট দিতে হয়েছিল! সহশিল্পী ছিলেন সেমন্তী সৌমি। তারসঙ্গে আমার আগে থেকেই আমার পরিচয় ছিল। ফলে তিনি আমাকে ভীষণ সহযোগীতা করেছিলেন। এজন্য খুব একটা মানসিক চাপ নিতে হয়নি।

অনিন্দিতা মিমি /  ছবি : নূর এ আলম

‘গার্লস স্কোয়াড’-এ সামিরা খান মাহি, সৌমি, রুকাইয়া জাহান চমক, নাবিলাসহ অনেকগুলো নারী তারকা অভিনয় করবেন। আপনার কাছে কার অভিনয় সবচেয়ে ভালো লাগে?


সৌমির সঙ্গে আমার যেহেতু আগে থেকেই পরিচয়, আর সে আমার ভালো বন্ধু এখন, তাই তার প্রতি আলাদা দুর্বলতা আমার আছে। তবে দর্শক হিসেবে বলতে গেলে সামিরা খান মাহির অভিনয় আমার সবচেয়ে ভালোলাগে। আমার ধারণা, দর্শকও এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে একমত হবেন।

অনিন্দিতা মিমি /  ছবি : নূর এ আলম

এরমধ্যে অনেকের সঙ্গেই কাজ করা হয়েছে। কার সঙ্গে কাজ করতে সবচেয়ে ফ্যাসিনেটিং লেগেছে?


নিঃসন্দেহে অপূর্ব ভাইয়ার কথা বলব। তপু খানের নির্দেশনায় ‘ডার্ক জাস্টিস’ নামের একটি কাজ করেছিলাম। সেখানে অপূর্ব ভাইয়ার সঙ্গে অভিনয় করা ছিল আমার জন্য খুবই রোমাঞ্চকর। একে তো এতো বড়মাপের তারকা, তারওপর আমি তার ফ্যান। বলতে গেলে, আমার নাটক দেখাই শুরু অপূর্ব আর নিশো ভাইয়ার নাটক দেখে। কিন্তু কাজের সময় দেখলাম দৃশ্যটি ভালো করার জন্য যা যা করা দরকার উনি তাই করেন। আমাকে এতোটাই সহজ করে ফেলেছিলেন যে আমার মধ্যে আর কোন জড়তা কাজ করেনি অভিনয় করার সময়। অপূর্ব ভাইয়ার সঙ্গে কাজ করার স্বপ্ন ছিল, পূরণ হয়েছে। এখন স্বপ্ন দেখি নিশো ভাইয়ার সঙ্গে কাজ করার। তবে তিনি এখন নাটক করছেন না। যেহেতু সিনেমা করছেন, আমার সুযোগ আসলে সিনেমাতেই তার সঙ্গে কাজ করবো।

অনিন্দিতা মিমি /  ছবি : নূর এ আলম

কাজ নিয়ে কি পরিকল্পনা সামনে?


আমি কিন্তু গড়পড়তা যা পাচ্ছি তাই করছি না। একটু বেছে বেছে ভালোমানের কাজগুলোই করছি। কারণ অভিনয় নিয়ে আমার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। আমি হারিয়ে যেতে চাই না। সিনেমায় ভালো ভালো চরিত্রে কাজ করতে চাই। এজন্য যতো পরিশ্রম করতে হয় করবো।

অনিন্দিতা মিমি /  ছবি : নূর এ আলম

আপনাকে শোবিজের একটি সার্কেলের সঙ্গে বেশি দেখা যায়। তাদের কারও সঙ্গে কি ব্যক্তগত কোন সম্পর্ক আছে?


যে কোন জায়গায় নিজস্ব একটা ভূবণ তৈরী করে নেওয়া ভালো। আমিও তেমন কিছু বন্ধু পেয়েছি যাদের সঙ্গে আমার মনের মিল রয়েছে। এর বাইরে কোন সম্পর্ক নেই। এখন আমি একদম সিঙ্গেল। শুধুই কাজ নিয়ে থাকতে চাই। বিয়ে শাদীর কথাও ভাবছি না। বিয়ে করলে এমন কাউকে করব যিনি আমার কাজকে সাপোর্ট করবেন এবং মন থেকে সম্মান করবেন। কারণ অভিনয় আমি ছাড়তে পারবো না। কেউ তাতে বাঁধা দিলে তিনি আমার জীবনসঙ্গী হতে পারবেন না।

অনিন্দিতা মিমি /  ছবি : নূর এ আলম

আপনার পছন্দের অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং নির্মাতা কারা?


অপূর্ব, নিশো, শাকিব খান, আরিফিন শুভ, সিয়াম আহমেদ দেশের মধ্যে আমার প্রিয় অভিনেতা। প্রিয় অভিনেত্রীর তালিকায় রয়েছেন শাবানা, শাবনূর, মৌসুমী, নুসরাত ফারিয়া ও মেহজাবীন চৌধুরী। পছন্দের নির্মাতাদের মধ্যে অমিতাভ রেজা, শিহাব শাহীন আর মিজানুর রহমানের কথা এই মুহূর্তে সবার আগে মনে পড়ছে। বলিউডের সিনেমা খুব ভালো লাগে। দীপিকা, ক্যাটরিনা, শাহরুখ খান আর সিদ্ধার্থ মালহোত্রা আমার ভীষণ প্রিয়। কারিনা কাপুরের ‘হিরোইন’-এর মতো চরিত্র পেলে জানপ্রাণ দিয়ে কাজ করতাম। কোন চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য যদি আমাকে খোলামেলা দৃশ্যও করতে হয় তাতে আমার কোন ‘না’ নেই।

অনিন্দিতা মিমি /  ছবি : নূর এ আলম
;

নুসরাত ফারিয়ার বেলায়ও কী তাই ঘটবে?



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
নুসরাত ফারিয়া ও ফুয়াদ আল মুক্তাদির

নুসরাত ফারিয়া ও ফুয়াদ আল মুক্তাদির

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই বাংলার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া গান গেয়েও পেয়েছেন সফলতা। সে কথা বোঝা যায় যখন ফারিয়া শুধুমাত্র নিজের সিনেমার গান আর নিজের গাওয়া গান দিয়ে লম্বা সময়ের স্টেজ শো দারুণভাবে মাতিয়ে রাখেন। ফারিয়াই শুধু নন, তার গাওয়া গানে নাচতে দেখা যায় দুই বাংলার অনেক জনপ্রিয় নায়িকাদের। স্টেজে ফারিয়ার গানগুলোর চাহিদা এতোটাই তুঙ্গে!

একজন নায়িকা যখন গান করেন তখন তার গায়কী প্রফেশনাল সঙ্গীতশিল্পীদের মতো না হওয়াটাই স্বাভাবিক। ফলে ফারিয়া তার প্রথম গান ‘পটাকা’তে নিজের গায়কী নিয়ে বেশ সমালোচনার শিকার হন। এরপর নিজের গায়কীর উন্নতি করেছেন তিনি। ফলে পরের গানগুলোতে ততোটা সমালোচনা শুনতে হয়নি এই নায়িকাকে। দিনে দিনে তার গান হয়ে উঠেছে দর্শকের অন্যতম আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। কারণ গান এখন আর শুধু শোনার বিষয় নয়, দেখারও বিষয়। সেদিক থেকে ফারিয়ার গানগুলোর উপস্থাপনা দশে দশ। তার নাচ, ফ্যাশন স্টেটমেন্ট, ভিডিওর নির্মাণ সব মিলিয়ে বড় পরিসরে কাজ করেন তিনি।

নুসরাত ফারিয়া /  ছবি : ফেসবুক

সেই ফারিয়া আবারও আসতে চলেছেন নতুন গান নিয়ে। তবে এই গান নিয়ে আবারও শঙ্কা জেগে ওঠে ভক্তদের মনে। কারণ তিনি এবার যে সঙ্গীত পরিচালকের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি বরাবরই বিতর্কিত। ফুয়াদ আল মুক্তাদির ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই পুরোন গানের রিমেক করে থাকেন। কিছু গান সাময়িক জনপ্রিয়তাও পেয়েছে তার। তবে কট্টর সমালোচনা তার পিছু ছাড়েনি। শুধু তাই নয়, তার সঙ্গে কাজ করে অনেক শিল্পীও হয়েছেন সমালোচিত।

সাম্প্রতিক সময়ে জেফার রহমান তার প্রমাণ। এই গায়িকা একের পর এক গান দিয়ে এবং অভিনয় করে নিজেকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু যেই না ফুয়াদের সঙ্গে ‘সোনাবন্ধু তুই আমাকে বোত্থা দাও দে কাইট্টালা’ নামের বিতর্কিত কথার গান গাইলেন, তখনই তাকে নিয়ে তিব্র সমালোচনা শুরু হয় নেট দুনিয়ায়। ফারিয়ার নতুন গানে যেন এমনটা না হয় সেটাই প্রত্যাশা ভক্তদের।

নুসরাত ফারিয়া /  ছবি : ফেসবুক

গতকাল (বৃহস্পতিবার) ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ফুয়াদ লিখেছেন, ‘নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে রেকর্ডিং। তখন তার দীপ্তিচ্ছটা ছিল দেখার মতো। সে বলেছে আমি তার শৈশবের মিউজিক্যাল হিরো এবং নিজেকে তার চিমটি কাটতে হয়েছিল। কিন্তু হে, একই অনুভূতি, সে আন্তর্জাতিক মঞ্চ মাতিয়ে যাচ্ছে।’

ফুয়াদ আরও জানিয়েছেন, নতুন এ গানে তাদের সঙ্গে আরও আছেন ভারতের তরুণ গায়ক সঞ্জয়। গানটি লিখেছেন বাঁধন। যদিও গানের নাম এখনো ঠিক করা হয়নি। তাই সেটি প্রকাশও করতে পারেননি ফুয়াদ। এ ছাড়া গানটি কবে প্রকাশ করা হবে, সেটিও প্রকাশ করেননি এই জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক।

নুসরাত ফারিয়া /  ছবি : ফেসবুক

;