মা হারালেন বেবি নাজনীন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মা হারালেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বেবি নাজনীন। ১৭ই এপ্রিল সকালে তার মা আবিদা মনসুর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া---- রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি জটিলতাসহ নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি তিন মেয়ে, এক ছেলে, নাতী-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বেবি নাজনীনের পারিবারিক সূত্র জানায়, বুধবার বাদ জোহর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ১৬ই এপ্রিল বেবী নাজনীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পেশাগত কারণে জাপান রওনা হয়েছেন। সেখান থেকে মায়ের চলে যাওয়ার খবর পেয়েছেন। দ্রুতই ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে তার। মায়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

 

   

জীবনের সেরা অভিনয় উপহার দিলেন রবি কিষাণ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতে রবি কিশান

‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতে রবি কিশান

  • Font increase
  • Font Decrease

‘টুয়েলভথ ফেল’ এর পর আবারও সর্বত্র আলোচনায় বলিউডের একটি কম বাজেটের ছবি! যদিও নতুন এই ছবিটি বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে গেল মার্চের ১ তারিখে। প্রায় দু’মাস পর নতুন করে আলোচনায় আসার অন্যতম কারণ, সম্প্রতি ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্লাটফর্ম নেটফ্লিক্সে!

বলছি কিরণ রাও পরিচালিত এই সময়ের আলোচিত হিন্দি ছবি ‘লাপাতা লেডিস’ এর কথা। মাত্র ৪/৫ কোটি বাজেটের ছবিটি বক্স অফিসে আয় করেছে ২০ কোটির বেশী। ওটিটি রাইটস, টিভি রাইটস মিলিয়ে সেটা বাড়বে আরো কয়েক গুণ।

কিন্তু এতো কম বাজেটের ছবিটি কেন সবার মুখে মুখে? এরজন্য সিনেবিশ্লেষকরা বলছেন, কোনো জটিলতা ছাড়া সহজভাবে একটি দারুণ গল্প দর্শককে দেখাতে পেরেছেন কিরন রাও। মূলত গল্পের শক্তিকেই বেশীর ভাগ ছবিটি নিয়ে সর্বত্র আলোচনার জন্য ক্রেডিট দিচ্ছেন!

‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতে রবি কিশান

গল্পের পাশাপাশি যদিও এই ছবির প্রধান এবং অন্যতম শক্তি বলা যায় অভিনয়! ছবিতে যারা অভিনয় করেছেন প্রত্যেকেই কম পরিচিত, তবে এমন নিঁখুত অভিনয় করেছেন; মনে হয়েছে এই চরিত্রের মানুষগুলো পাশের বাড়ির! সবাইকে দর্শক সিনেপর্দায় দেখেও আপন করে নিয়েছেন। গল্প ও চরিত্রের সাথে সবাই মিশে গেছেন।

তবে এটা সত্য যে, এই ছবিতে একজন বেশ পরিচিত মুখও অভিনয় করেছেন। নাম রবি কিষাণ। ভারতীয় ছবির বেশ আলোচিত মুখই বলা যায়। ছবিতে লোকাল থানার বড় বাবুর চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। লোকাল থানার দায়িত্বে সাধারণত যে স্বভাবের দারোগা থাকে; ঠিক মানানসই চরিত্রটি করেছেন রবি কিষাণ। তার অভিনয় দেখে দর্শক বলছেন, এমন দুর্দান্ত অভিনয় রবি কিষাণ এর আগে করেননি। দুই পা এগিয়ে আবার কেউ বলছেন, ‘লাপাতা লেডিস’-এ জীবনের সেরা অভিনয় করেছেন রবি কিষাণ।

অথচ এই চরিত্রটি নাকি শুরু করতে চেয়েছিলেন পরিচালক কিরণ রাওয়ের প্রাক্তন স্বামী এবং বলিউডর সুপারস্টার আমির খান। যিনি আবার কম বাজেটের এই ছবিটির প্রযোজকও। এই চরিত্রটি নিয়ে কিরণ গণমাধ্যমকে বলছিলেন, আমির এই চরিত্রটি ভীষণ পছন্দ করেছিলেন। পর্দায় এই চরিত্রটি তিনি রূপদানও করতে চেয়েছিলেন। এমনকি স্ক্রিন টেস্টও হয়েছিলো তার। কিন্তু শেষমেষ তাকে বাদ দেয়া হয়। নেয়া হয় রবি কিষাণকে।

‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতে রবি কিশান

কিরণ বলেন, আমার এটা আসলে কম বাজেটের একটা ছবি। এটা রিয়েলেস্টিক রাখতে আমি বদ্ধপরিকর ছিলাম। সিনেমাটি দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্যভাবে তুলে ধরতে বড় তারকা মুখ ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, এটা ভেবে শেষ পর্যন্ত আমিরকে ওই চরিত্র থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, আমিরের অডিশন খুব ভালো হয়েছিলো। কিন্তু রবি কিষাণেরটা আরো বেশী কিছু ছিলো। তার অডিশন দেখে আমির এবং আমি মনে করেছিলাম এই চরিত্রটিকে রবি কিষাণ আমিরের চেয়ে বাস্তবসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্য রূপে পর্দায় তুলে ধরতে বেশী সক্ষম হবেন।

;

কানের মূল বিচারকের তালিকায় নারীর আধিপত্য



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
প্রধান তিন বিচারক গ্রেটা গারউইগ, লিলি গ্ল্যাডস্টোন ও এভা গ্রিন

প্রধান তিন বিচারক গ্রেটা গারউইগ, লিলি গ্ল্যাডস্টোন ও এভা গ্রিন

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সের ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল কানে ১৪ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত হবে এবারের উৎসব। উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান ফ্রান্সে ফ্রান্স টেলিভিশন এবং আন্তর্জাতিকভাবে ব্রুট সরাসরি সম্প্রচার করবে।
কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৭তম আসরের মূল প্রতিযোগিতায় সব মিলিয়ে নির্বাচিত হয়েছে ২২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র। এরমধ্যে কোনটি স্বর্ণপাম জিতবে সেটি নির্বাচনের গুরুদায়িত্ব সামলাবেন যারা, তাদের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। বিচারকদের প্রধান হিসেবে আগেই ‘বার্বি’র পরিচালক গ্রেটা গারউইগের নাম জানিয়ে রেখেছেন আয়োজকরা। এবার প্রকাশিত হলো তার নেতৃত্বাধীন প্যানেলের সদস্য তালিকা।

মূল প্রতিযোগিতার বিচারক থাকছেন ৯ জন। তাদের মধ্যে নারীই সংখ্যাগরিষ্ঠ। গ্রেটা গারউইগ তো আছেনই, এছাড়া আছেন আমেরিকান অভিনেত্রী লিলি গ্ল্যাডস্টোন, ফরাসি অভিনেত্রী এভা গ্রিন, লেবানিজ পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার নাদিন লাবাকি এবং তুর্কি চিত্রনাট্যকার ও আলোকচিত্রী এব্রু জেলান।

গত বছর কানে প্রতিযোগিতার বাইরে প্রদর্শিত মার্টিন স্করসেসির ‘কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন’ চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য লিলি গ্ল্যাডস্টোন আমেরিকার প্রথম আদিবাসী হিসেবে অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এর আগে বেশ কয়েকটি পুরস্কার জিতেছেন ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা। এবারের বিচারক প্যানেলে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য তিনিই।

কানের এবারের অফিশিয়াল পোস্টার

জেমস বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজের ‘ক্যাসিনো রয়েল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুবাদে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পান এভা গ্রিন। ৪৩ বছর বয়সী এই তারকার ঝুলিতে আরও আছে রিডলি স্কটের ‘কিংডম অব হ্যাভেন’, টিম বার্টনের ‘ডার্ক শ্যাডোস’, ‘মিস পেরেগ্রিনস হোম ফর পিকিউলিয়ার চিলড্রেন’ ও ‘ডাম্বো’, রোমান পোলানস্কির ‘বেজড অন অ্যা ট্রু স্টোরি’। এব্রু জেলান হলেন স্বর্ণপাম জয়ী ‘উইন্টার স্লিপ’ ছবির গল্পকার ও চিত্রনাট্যকার। এটি পরিচালনা করেছেন তার স্বামী তুর্কি চলচ্চিত্রকার নুরি বিলগে জেলান।

এবারের আসরে পাঁচ নারীর পাশাপাশি মূল প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেলে আছেন স্বর্ণপাম জয়ী জাপানিজ পরিচালক হিরোকাজু কোরি-এদা, ইতালিয়ান অভিনেতা পিয়ারফ্রান্সেসকো ফাভিনো, স্প্যানিশ পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার হুয়ান আন্তোনিও বায়োনা ও নেটফ্লিক্সের ‘লুপিন’ খ্যাত ফরাসি অভিনেতা-প্রযোজক ওমর সি।

কানাডিয়ান পরিচালক জেভিয়ার দোলানের নেতৃত্বে আঁ সাঁর্তে রিগা বিভাগে বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন মরক্কোর পরিচালক আজমেই এল মুদির, ফরাসি পরিচালক মাইমুনা দুকুরে, অভিনেত্রী ভিকি ক্রিপস, সমালোচক টড ম্যাকার্থি।

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং শিক্ষার্থীদের বিভাগ সিনেফঁদাসোতে বেলজিয়ান অভিনেত্রী লুবনা আজাবালের নেতৃত্বে বিচারক হিসেবে কাজ করবেন সার্বিয়ান পরিচালক ভ্লাদিমির পেরিসিচ, ফরাসি পরিচালক ম্যারি-ক্যাস্টি মঁচো-শার, ফরাসি প্রযোজক ক্লদিন নুগারে, ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটের সাবেক পরিচালক পাওলো মোরেত্তি। ক্যামেরা দ’র পুরস্কারের প্রধান বিচারক ফরাসি অভিনেত্রী এমানুয়েল বেয়াঁ ও বেলজিয়ান-কঙ্গোলিজ সংগীতশিল্পী-নির্মাতা বালোজি।

বিচারকদের পুরো প্যানেল

মূল প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত ২২টি চলচ্চিত্র
* দ্য অ্যাপ্রেনটিস (আলি আব্বাসি, ইরান/ডেনমার্ক)
* মোটেল ডেস্টিনো (করিম আইনুজ, ব্রাজিল)
* বার্ড (আন্ড্রেয়া আর্নল্ড, যুক্তরাজ্য)
* এমিলিয়া পেরেস (জ্যাক অদিয়াঁর, ফ্রান্স)
* আনোরা (শন বেকার, যুক্তরাষ্ট্র)
* মেগালোপলিস (ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা, যুক্তরাষ্ট্র)
* দ্য শ্রাউডস (ডেভিড ক্রোনেনবার্গ, কানাডা)
* দ্য সাবস্ট্যান্স (কোরালি ফারজাঁ, ফ্রান্স)
* গ্র্যান্ড ট্যুর (মিগেল গোমেজ, পর্তুগাল)
* মার্সেলো মিয়ো (ক্রিস্তফ অনোরেঁ, ফ্রান্স)
* কট বাই দ্য টাইডস (জিয়া জ্যাং-কি, চীন)
* অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট (পায়েল কাপাডিয়া, ভারত)
* কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস (ইয়োর্গোস লানতিমোস, গ্রিস)
* বিটিং হার্টস (জিল ল্যুলুশ, ফ্রান্স)
* ওয়াইল্ড ডায়মন্ড (আগাত রিদাঁজে, প্রথম চলচ্চিত্র, ফ্রান্স)
* ওহ কানাডা (পল শ্রেডার, যুক্তরাষ্ট্র)
* লিমোনোভ–দ্য ব্যালাড (কিরিলি সেরেব্রেনিকোভ, রাশিয়া)
* পার্তেনোপ (পাওলো সরেন্তিনো, ইতালি)
* দ্য গার্ল উইথ দ্য নিডেল (মান্নেস ফন হোর্ন, সুইডেন)
* দ্য মোস্ট প্রেসাস অব কারগোজ (মিশেল অ্যাজানাভিসুস, ফ্রান্স)
* দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ)
* থ্রি কিলোমিটারস টু দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড (এমানুয়েল পারবু, রোমানিয়া)

 

;

কোটি পেরিয়েছে কোনালের ১০ গান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কোনাল

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কোনাল

  • Font increase
  • Font Decrease

মিউজিক ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করছেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কোনাল। কারো করো মতে, এই মুহূর্তে দেশের এক নম্বর নারী শিল্পীর নামও কোনাল। গেল রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া রাজকুমার ফিল্মের রাজকুমার গানটি দিয়ে দর্শক হৃদয়ে দোলা দিয়েছেন মিষ্টি কণ্ঠের এই শিল্পী।

এর বাইরে ঈদের আরেকটি ফিল্মের জন্যও গান গেয়েছেন কোনাল। নাটকের গানেও সরব উপস্থিতি ছিল জনপ্রিয় এই কণ্ঠ শিল্পীর। “রাজকুমার” গানটি মুক্তির মাস পার হতে না হতেই ইউটিউব ভিউ দেড় কোটি ছাড়িয়েছে। দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়া এই গানের ফেসবুক, টিকটক এ হয়েছে লাখ লাখ রিলস। শিল্পী থেকে শুরু করে অনেকে আবার গানটি কাভারও করেছেন। এর মধ্যেই শোনা গেল, রাজকুমার ফিল্মের গান ছাড়াও কোনালের গাওয়া আরও ৯ টি গান কোটি ভিউয়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তা জানিয়েছেন সময়ের আলোচিত ও গুণী এই সঙ্গীত শিল্পী।

কোনালের ফেসবুক পেজ থেকে জানা গেছে, অডিও আর ফিল্মে গাওয়া অনেক গান থেকে ১০টি গান ইউটিউব ভিউতে কোটিবারের বেশি শোনা আর দেখা হয়েছে। কোটিতে কোনালের ১০ গান, বেস্ট অফ কোনাল- এমন ট্যাগ লাইন দিয়ে গানগুলোর তালিকা দেওয়া হয়েছে। কোটি ভিউ ছাড়িয়ে যাওয়া কোনালের গানের মধ্যে আছে “বন্ধু” ( ১ কোটি ১ লাখ ৮১ হাজারের বেশি), “আমি পারবোনা তোমার হতে” (১ কোটি ৭ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি), “আগুন লাগাইলো” (৩ কোটি ৫২ লাখের বেশি), “তুমি আমার জীবন” ( ৩ কোটি ১৫ লাখের বেশি), “মিস বুবলী” (২ কোটি ৩০ লাখের বেশি ), “পাইনা তোকে” (১ কোটি ৭২ লাখের বেশি), “মেঘের নৌকা” (২ কোটি ৭১ লাখের বেশি ), “সুরমা সুরমা” ( ১ কোটি ৮৬ লাখের বেশি), “ও প্রিয়তমা” ( ১৫ কোটি ২০ লাখের বেশি) এবং “রাজকুমার” (১ কোটি ৫৬ লাখের বেশি)।

এই ১০ গানের মধ্যে 'ও প্রিয়তমা' বাংলাদেশি গান হিসেবে বিগত বছরে রেকর্ড করে। গানটি মুক্তির কিছুদিনে গ্লোবাল টপ চার্ট-এ জায়গা করে নেয়, যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম গান হিসেবেই আছে। শুরুতে গানটি টাইগার মিডিয়া ও অভি কথাচিত্র এই দুই প্লাটফর্ম থেকে রিলিজ হয়েছে। পরে বায়োস্কোপ ও ভার্সেটাইল মিডিয়া ইউটিউব চ্যানেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। রিলিজের ১০ মাসে ৪ প্ল্যাটফর্মে এই গানের ভিউ ১৬ কোটির কাছাকাছি। প্রিয়তমা ছবির এই গানে কোনালের কোআর্টিস্ট বালাম।

২০০৯ সালে রিয়েলিটি শো চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ চাম্পিয়নের মুকুট জয় করে পেশাদার গানের যাত্রা শুরু হয় কোনালের। মুকুট জয়ের একদিন পর প্লেব্যাক করেন। মায়ের জন্য পাগল ফিল্মের সেই গানের সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন ইমন সাহা। ১৫ বছরে শতাধিক ফিল্মের গান গেয়েছেন কোনাল। এখন তো ফিল্ম প্রযোজক, পরিচালক এবং সঙ্গীত পরিচালকদের আস্থার একটি নাম এই শিল্পী। শুধুমাত্র বিগত বছরেই সুরমা সুরমা, মেঘের নৌকা এবং ও প্রিয়তমা’র মতো তিনটি বিগেস্ট হিট ও ব্যপক শ্রোতাপ্রিয় গান পাওয়া গেছে কোনালের কাছ থেকে, একই বছরে ব্যাক টু ব্যাক তিন সুপারহিট গান উপহার দেওয়ার নজির নিকট অতীতে কোনো শিল্পীর ঝুলিতে নেই বলে মনে করছেন সঙ্গীত সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে এসবকে আশীর্বাদ ও কঠোর সাধনার ফল হিসেবে মনে করে সঙ্গীতের সামনের পথ চলতে চান কোনাল। এই শিল্পীর মতে, শ্রোতারাই আমার সব, তারা আছেন বলেই গান গাই। তাদের ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণা আমার এগিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় শক্তি ও সাহস। বাংলাদেশের গানে অবদান রাখতে, নিজেকে বিকশিত করতেই কুয়েত থেকে চলে আসি। রিয়ালিটি শোতে নাম লেখাই। নানা ধাপ পেরিয়ে, দেশের সঙ্গীতের ৪ দিকপাল শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন, আলাউদ্দিন আলী এবং সুবীর নন্দী ও বিশ্ব বাঙ্গালীদের বিচারে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করি। এরপর থেকে পেশাদার সঙ্গীতে পথচলা শুরু। নানান আপস অ্যান্ড ডাউনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। কখনো মনোবল হারাইনি। বিশ্বাস ছিলো সৃষ্টিকর্তা সব দেখছেন। কঠোর পরিশ্রম ও সাধনায় আজ এমন সাফল্যের দেখা পাওয়া, এটার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার সেইসব পরিচালক, প্রযোজক, সঙ্গীতপরিচালক, গীতিকার-সুরকারদের প্রতি- যারা আমার উপর শুরু থেকেই আস্থা রেখেছেন, দারুণ সব গানের অংশ হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমিও সবার আস্থা ভালোবাসায় গানে গানে সুন্দর একটা জীবন কাটাতে চাই। বাংলা গান দিয়েই বিশ্বে নিজেকে আরো বড় পরিসরে মেলে ধরতে চাই।

জানা গেছে, কোনালের অনেকগুলো নতুন গান রিলিজের অপেক্ষায় রয়েছে। এসব গান ধীরে ধীরে শ্রোতারা পাবেন। কোনালের নিজের ইউটিউবেও গানগুলো রিলিজ হবে। ফিল্ম, নাটকের গান তো রয়েছেই। 

;

নেটফ্লিক্সের শীর্ষ পাঁচে ‘চমকিলা’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘অমর কিং চমকিলা’ সিনেমায় দিলজিৎ দোসাঞ্জ ও পরিনীতি চোপড়া

‘অমর কিং চমকিলা’ সিনেমায় দিলজিৎ দোসাঞ্জ ও পরিনীতি চোপড়া

  • Font increase
  • Font Decrease

গেল ১২ এপ্রিল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে স্টিমিং হয়েছে দিলজিৎ দোসাঞ্জ ও পরিনীতি চোপড়া অভিনীত হিন্দি সিনেমা ‘অমর কিং চমকিলা’। আর মুক্তি পেতেই রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছে এই ছবিটি। শুধু তাই নয়, মুক্তির অল্প সময়ের মধ্যেই নেটফ্লিক্স গ্লোবালের শীর্ষ পাঁচটি চলচ্চিত্রের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে এই সিনেমাটি। কিন্তু কী এমন আছে এই সিনেমাতে জানেন কি?

ভারতের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ইমতিয়াজ আলী পরিচালিত এই সিনেমাটির গল্প নির্মাণ হয়েছে আশির দশকের একজন পাঞ্জাবি গায়ক চমকিলার জীবনকে কেন্দ্র করে। যেখানে পাঞ্জাবি এই গায়ক কীভাবে গানের মধ্য দিয়ে অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন এবং কীভাবে মাত্র ২৭ বছর বয়সে বিদায় নিলেন দুনিয়া থেকে, সেটাই তুলে আনা হয়েছে।

দিলজিৎ দোসাঞ্জ ও পরিণীতি চোপড়া অভিনীত চলচ্চিত্রটি আশির দশকে উত্তাল পাঞ্জাবের জঙ্গিবাদের পটভূমিতে তৈরি হয়েছে। সেখানে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় চমকিলা, যার গানগুলো জড়িয়ে ছিল নানা বিতর্ক ও উত্তেজনায়। ধারণা করা হয়, এমন কোনো গানকে কেন্দ্র করেই চমকিলা ও তার স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সিনেমার ছয়টি গান লিখেছেন ইরশাদ কামিল এবং কণ্ঠ দিয়েছেন এআর রহমান।

‘অমর কিং চমকিলা’ সিনেমায় পরিনীতি চোপড়া ও দিলজিৎ দোসাঞ্জ

এদিকে ছবিটি মুক্তির এত অল্প সময়ে একে ঘিরে দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমতিয়াজ বলেন, ‘ফিল্ম ও আমার প্রতি দর্শকরা যে উষ্ণতা ও ভালোবাসা দেখিয়েছেন, বিষয়টি আমি অনুভব করতে পারছি।’

নির্মাতা ইমতিয়াজ জানান, মুম্বাইয়ে যখন প্রথম সিনেমার প্রদর্শনী হয় তখনই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি সঠিক পথে আছেন। কারণ চমকিলার গল্প পাঞ্জাবের ঐতিহ্য, ভাষা ও বাকি সব বিষয়ও তুলে ধরে। পাশাপাশি পর্দায় একজন গায়ক রাস্তায় গান করতে করতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠার গল্পকেও তিনি তুলে ধরতে পেরেছিলেন। তার কাছে পাঞ্জাবের মতো চমকিলার জীবনও একাধারে গৌরব ও সংঘাতময়।

‘অমর কিং চমকিলা’ সিনেমায় পরিনীতি চোপড়া ও দিলজিৎ দোসাঞ্জ

এর আগে ইমতিয়াজের ‘লাভ আজ কাল’, ‘রকস্টার’ ও ‘জাব উই মিট’-এর মধ্য দিয়ে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। তবে ‘অমর সিং চমকিলা’ তার প্রথম বায়োপিক। ইমতিয়াজ বলেন, ‘যেহেতু এটি একটি বাস্তব ঘটনা নিয়ে তৈরি ফিল্ম, তাই চেষ্টা করেছি বেশকিছু সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও যতটুকু সম্ভব দর্শকদের সত্য গল্পটি জানাতে।’

তথ্যসূত্র : পিঙ্কভিলা

;